একের পর এক প্রাণীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক পরিদর্শন করেছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
ডা. নাজমুল করিম খানের নেতৃত্বে সোমবার দুপুরে সিআইডির কেমিক্যাল ল্যাব টিম পার্ক থেকে মৃত প্রাণীগুলোর খাবার ও পরিবেশের নমুনা সংগ্রহ, কথা বলেছে কর্মীদের সঙ্গে।
সিআইডির ওই দলে ছিলেন সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন, গাজীপুর জেলা সিআইডির এসপি মোহাম্মদ রিয়াজুর হক ও এডিসি শিক্ষা অঞ্জন কুমার সরকার।
পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সিআইডি প্রাণীদের সরবরাহ করা খাবার, মাটি ও পানি থেকে নমুনা নিয়েছে।
নমুনাগুলো সিআইডির ল্যাবে পরীক্ষা করে প্রাণী মৃত্যুর সঠিক কারণ বের করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।
তিনি জানান, ল্যাবের রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটিকে দেয়া হবে।
দেশের বৃহৎ এই সাফারি পার্কের টালমাটাল পরিস্থিতিতে রোববার বিকেল ৪টায় সাফারি পার্ক পরিদর্শনে আসেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সিসি ক্যামেরা লাগাব। আর মৃত্যুর ঘটনা গোপন যদি করা হয়ে থাকে, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেন মৃত্যুর বিষয়টি গোপন করা হলো সেই রহস্য উদ্ঘাটন করব।’
জানুয়ারি থেকে একের পর এক পার্কে মারা গেছে ১১টি জেব্রা এবং একটি করে বাঘ ও সিংহী। পার্কের অব্যবস্থাপনা, পার্কের কর্মকর্তাদের কোন্দলসহ নানা খবর প্রকাশের পর পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য ১০ দিনের সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এরই মধ্যে পার্কের প্রকল্প পরিচালক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন:পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়েছে।
মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে গিয়ে শনিবার বেলা ১১টার দিকে শেষ হয় এই শোভাযাত্রা।
এতে অংশ নেন জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম, সিভিল সার্জন নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ বীর মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার-৭১-এর নরসিংদীর সভাপতি মোতালিব পাঠানসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
শোভাযাত্রা শেষে স্টেডিয়ামে বড় পর্দায় স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বেলা ৩টায় স্টেডিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে গান পরিবেশন করবেন জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলসের শাফিন আহমেদ।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে ঝালকাঠিতে আনন্দ র্যালি হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শনিবার সকাল ৯টায় কার্যালয়ের সামন থেকে র্যালিটি বের হয়। বিভিন্ন ব্যানার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে হয় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে গিয়ে।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলীসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ র্যালিতে লোক অংশ নেন। এসময় নাচে-গানে আনন্দে মেতে উঠেন তারা।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, ‘স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আজ। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ খুব উচ্ছ্বসিত। ঝালকাঠিতে আনন্দের বন্যা বইছে।’
কিছুক্ষণ পরই মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় উদ্বোধন করা হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর। এ সেতুর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থায় কুমিল্লার তেমন সম্পর্ক না থাকলেও উদ্বোধন উপলক্ষে জেলাবাসীর উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মতো।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে টাউনহলে এসে মিলিত হয়। আনন্দ শোভাযাত্রায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে।
শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ, জেলা পরিষদের প্রশাসক রিয়ার এডমিরাল অবসরপ্রাপ্ত আবু তাহের, বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হাসান পাখি, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী সফিকুর রহমান।
আরও উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবু খান, কুমিল্লা মহিলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জামাল নাছের, র্যাব ১১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন, নেত্রী পাপড়ি বসুসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের উধর্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এ দিকে সকাল ১০টার দিকে নগরীর টাউনহলে দেখা যায়, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মূল অনুষ্ঠান বড় পর্দায় দেখতে হাজার খানেক মানুষ ভীড় করেছেন।
নিজের রিকশা থামিয়ে টাউনহলের বাইরে থেকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন দেখতে আসা জমির হোসেন জানান তার বাড়ি পিরোজপুর।
জমির বলেন, ‘আমাদের মনে আনন্দের বন্যারে ভাই। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে আমাদের কেমন মনে হচ্ছে বলে বোঝানো যাবে না। এখন আর ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। সেতুর উপর দিয়া দ্রুত চলে যাবো বাড়ি।’
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, ‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধন আমাদের আরেক বিজয়। সবাই হয়তো অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে উদ্বোধন দেখতে পারবেন না, তাই কুমিল্লাবাসীর জন্য জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নগরীর টাউনহলে উদ্বোধন অনুষ্ঠান দেখার ব্যবস্থা করেছি।
‘আয়োজনে সব শ্রেণি পেশার মানুষের অংশগ্রহণে বলা যায় আজ কুমিল্লার জন্যও আনন্দের দিন।’
আরও পড়ুন:পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে সুধী সমাবেশে যোগ দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী। হুইলচেয়ারে করে তিনি সুধী সমাবেশে আসেন।
শনিবার সকাল ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সমাবেশস্থলে ডা. জাফরুল্লাহকে দেখা যায়। এ সময় তার পরনে ছিল সাদা-কালো রঙের শার্ট ও খাকি লুঙ্গি।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার পর মাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। সকাল ১০টার দিকে তিনি মাওয়া প্রান্তে পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রী মাওয়ায় যোগ দেন সুধী সমাবেশে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সাড়ে তিন হাজার নাগরিককে আমন্ত্রণ জানানো হয় এই সমাবেশে। ভোর সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হয় অতিথিদের আগমন।
ফুরিয়ে এলো ক্ষণগণনার পালা। আর অল্প সময়ের মধ্যে বহুল প্রতীক্ষার পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উচ্ছ্বাসে মুখর গোটা মাওয়া প্রান্ত। অপেক্ষার অবসান হলো বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার আগমনের মধ্য দিয়ে।
দুর্নীতিচেষ্টার মিথ্যে অভিযোগ এনে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে বিশ্বব্যাংকের সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর নিজস্ব অর্থায়নের এই সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তার নেতৃত্বেই নির্মিত হয়েছে সেতুটি। আজ তার হাত ধরেই খুলে যাবে সেতুটি।
এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণাঞ্চল সরাসরি যুক্ত হচ্ছে রাজধানীর সঙ্গে।
সুধী সমাবেশ শেষে বেলা ১১টার দিকে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করবেন সরকারপ্রধান। পদ্মা সেতু নির্মাণসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেয়ার কথাও রয়েছে তার।
বেলা ১১টা ১২ মিনিটে টোল দিয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ১১টা ২৩ মিনিটের দিকে পদ্মা সেতু পাড়ি দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। ওই সময় কিছুক্ষণের জন্য গাড়ি থেকে নেমে সেতুতে পায়চারি করতে পারেন তিনি।
বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে পৌঁছেই পদ্মা সেতুর আরেকটি উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর কাঁঠালবাড়ীর ইলিয়াছ আহমেদ চৌধুরী ফেরিঘাটে আওয়ামী লীগের জনসভায় দলপ্রধান হিসেবে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন:খুলনা থেকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস উদ্দিন। বয়স ৭০ ছুঁই ছুঁই।
শনিবার সকাল ৮টার দিকে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি সারা রাত ঘুমাতে পারে নাই। কখন আসব, আর মুক্তির গান শুনব।’
আর কিছু মুহূর্ত। এরপরই বর্ণিল আয়োজনে উন্মোচিত হবে দেশের সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতুর।
এই দিনটি বীর মুক্তিযোদ্ধার কাছে মুক্তির দিন। আর এমন দিনে না আসলে আক্ষেপ থেকে যেত আজীবন। তাই এখানে আসতে পেরে উচ্ছ্বসিত বীর মুক্তিযোদ্ধা। যে উচ্ছ্বাস তার কাছে ঈদের আনন্দের চেয়েও কম নয়।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এই বিজয় ঈদের আনন্দের চেয়ে কম নয়। সারা জীবন ঘাটে এসে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তির দিন আজ। এমন দিনে আসনে না পারলে মনে দুঃখ থেকে যেত। এখন মনে হয় পরিপূর্ণতা পেয়েছে। আর কয় দিনই বাঁচব। যে কয় দিন আসি, সেই কয় দিন শান্তিতে পার হতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতু ঘোষণার দিন থেকেই ইচ্ছে ছিল প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে আসব। শুক্রবারই আসার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু পরিবারের লোকজন আসতে দেয় নাই। পরে রাত ৩টার দিকে গাড়িতে করে রওনা দেই। সকাল ৭টায় শিবচর উপজেলার পাচ্চর নামিয়ে দেয়। পরে প্রায় ৫ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে সভামঞ্চের কাছে এসেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন শান্তি পাচ্ছি। প্রশাসনের ভাইরা খুব সহযোগিতা করছে, না হলে মঞ্চের কাছে আসতে পারতাম না।’
আরও পড়ুন:‘আমাগো আর গাঙ্গে ডুইববা মরতে অইব না। লঞ্চ ডুইবা আমি পোলারে হারাইছি। এই দিনে পোলাডারে মনে পাড়তাছে। আর কয় বছর আগে সেতুডা হইলে পোলাডা হয়তো জীবিত থাকত। আইজ এই দিনে আমি ঘরে বিয়া থাকতে পারি? বয়স ওইছে তো কী হইছে। আমিও যাইতাছি প্রধানমন্ত্রীরে ধন্যবাদ দিতে।’
কথাগুলো বলছিলেন ৬৫ ঊর্ধ্ব আমজাদ হোসেন। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যেকোনো মূল্যে শামিল হতে চান তিনি। তাই তো পথের ক্লান্তি আর বয়সের ভার তোয়াক্কা না করে তিনি যোগ দিয়েছেন বিজয় মিছিলে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দিতে।
শুধু আমজাদ হোসেন নন, বিজয় মিছিলে সমাবেত হয়েছেন শত শত মানুষ। জেলা শহর থেকে মোটরসাইকেল, বাস, ট্রাক, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে তারা ছুটছেন সমাবেশস্থল কাঁঠালবাড়ীর পানে। আর যারা যানবাহন পাননি তারাও বসে নেই। হেঁটে ৩৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে রওনা করেছেন অনেকে।
তাদেরই একজন রেজা শামিম। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা নতুন প্রজন্ম স্বাধীনতার বিজয় দেখিনি, কিন্তু পদ্মা বিজয়ের উৎসব দেখছি। আমাদের জন্মান্তরের ভোগান্তি লাঘব হবে। পদ্মা সেতু উপহার দেয়ায় সড়কের ভোগান্তির তোয়াক্কা না করে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে যাচ্ছি।’
জাজিরা টিঅ্যান্ডটি মোড় থেকে কাঁঠালবাড়ী পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়কজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। সমাবেশে যোগ দিতে শহর থেকে ৩ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে ছুটছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। উৎসবে যোগ দিতে লঞ্চ ও ট্রলারে করে আসছেন ভেদরগঞ্জ, নড়িয়া, সখীপুর ও চরাঞ্চলের মানুষ।
শহর থেকে কাঁঠালবাড়ী পর্যন্ত ছেয়ে গেছে পদ্মা সেতু, প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর ছবিসংবলিত ব্যানার ফেস্টুনে। শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পদ্মা বিজয়ের উৎসব পালন করছি আমরা। ৩ লাখ মানুষ সড়ক ও নৌপথে শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ দিতে জেলা থেকে কাঁঠালবাড়ী এসেছে।’
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বর্ণিল সাজে সেজেছে শরীয়তপুর শহর। শহরের প্রতিটি সড়কে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। বাদ পড়েনি সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনাও। জেলাব্যাপী শুরু হয়েছে ৩ দিনের বিজয় উৎসব।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য