টানা দুই রোববার দরপতনের পর এবার সপ্তাহ শুরু হলো সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। খাতভিত্তিক হিসাব করলে অর্থবছর শেষ করে লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা বিমাখাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। তবে সূচক বৃদ্ধিতে প্রধানত ভূমিকা রেখেলে দুই বড় মূলধনি কোম্পানি ওয়ালটন ও ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি।
রোববার ৪০ পয়েন্ট বাড়ার মধ্য দিয়ে টানা চার কর্মদিবস বাড়ল সূচক। তবে নতুন বছরের শুরুতে দুই সপ্তাহ টানা উত্থানে থাকার পর উত্থান পতনের বৃত্তে চলে যাওয়া পুঁজিবাজারে নতুন করে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ায় লেনদেনে চাঙাভাবে ফিরছে না।
আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবারের তুলনায় লেনদেন কিছুটা বাড়লেও এখনও তা দেড় হাজার কোটি টাকার বেশ নিচে রয়ে গেছে। চলতি বছরের শুরুতে তা দুই হাজার কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই হয়ে গিয়েছিল।
আগের দুটি রোববার পতনের মধ্য দিয়ে সপ্তাহ শুরু হয়েছিল। এর মধ্যে ৩০ জানুয়ারি সূচকের পতন হয় ৩৬ পয়েন্ট। তার আগের রোববার ২৩ জানুয়ারি সূচক পড়েছিল ৩২ পয়েন্ট।
এদিন সাধারণ বিমা খাতের ৪০টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদরই বেড়েছে। কমেছে বাকি তিনটির। বিমা খাতের মধ্যে জীবন বিমার ক্ষেত্রে এই চাঙাভাব দেখা যায়নি। এ্ই খাতের ১৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৪টির, কমেছে আটটির আর একটি দর ছিল অপরিবর্তিত।
তবে চাঙাভাব লক্ষ্য করা গেলেও সূচকে বিমা খাতের কোম্পানির প্রভাব থাকে কম। এর কারণ, এসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন খুব একটা বেশি নয়। ৯.৯৫ শতাংশ বা শেয়ার প্রতি ৮ টাকা ৫০ পয়সা দর বাড়লেও রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স সূচকে যোগ করতে পেরেছে কেবল ০.৭৫ পয়েন্ট।
অন্যদিকে সূচকে সবচেয়ে বেশি ১২.২২ পয়েন্ট যোগ করেছে ওয়ালটন ইন্ডাস্ট্রিজ। কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৪.৫৪ শতাংশ।
সূচক বৃদ্ধিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রভাব রাখে বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো।
কোম্পানিটির কাছ থেকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা বকেয়া কর দাবি করাকে কেন্দ্র করে কোম্পানিটির শেয়ারদরে যে পতন হয়েছিল, সেখান থেকে গত কয়েক দিন ধরেই ধীরে ধীরে উত্থান হচ্ছিল। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার কোম্পানিটি জানায় যে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আবেদনটি আপিল বিভাগ চূড়ান্তভাবে খারিজ করে দিয়েছে। ফলে এটা টাকা দাবির ইস্যুটির চূড়ান্ত মীমাংসা হয়ে গেছে।
এই খবরে দিনের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে যায় অনেকখানি। আগের দিন দর ছিল ৬৫০ টাকা ৪০ পয়সা। লেনদেন শুরুই হয় ৬৯৯ টাকা ৩০ পয়সায়। পরে খানিকটা পড়ে। শেষ পর্যন্ত দাম দাঁড়ায় ৬৭২ টাকা ৪০ পয়সা বা ৩.৩২ শতাংশ। এই পরিমাণ দর বৃদ্ধিতেই সূচকে যোগ হয় ৯.৭৬ শতাংশ।
অর্থাৎ সূচক যতটা বেড়েছে, তার মধ্যে অর্ধেকই বাড়িয়েছে এই দুটি কোম্পানি।
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে চারটিই ছিল বিমা খাতের। একক কোনো খাত হিসেবে সবচেয়ে বেশি ছিল সাধারণ বিমাই। নতুন কোম্পানি বিডি থাই ফুড ও ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সও ছিল এই তালিকায়। লেনদেন শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই প্রায় ১০ শতাংশ করে দর বৃদ্ধির প্রবণতা এখনও থামেনি কোম্পানি দুটির।
লেনদেনে সেরা ছিল বিবিধ খাত। এর প্রধান কারণ আলোচিত কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড আর মুনাফায় ব্যাপক উল্লম্ফন হওয়া বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন।
এই খাতে মোট লেনদেন ছিল ২১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে এই দুটি কোম্পানিতেই লেনদেন হয়েছে ২০০ কোটি ১ লাখ টাকা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। এর মধ্যে সাধারণ বিমা খাতেরই অবদান সবচেয়ে বেশি।
এর পরের অবস্থানগুলো ছিল প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়ন, বস্ত্র এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। এগুলোতে লেনদেন হয়েছে একশ কোটি টাকার বেশি।
আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবার প্রধানত ব্যাংক খাতের শেয়ারে দর বৃদ্ধিতে ভর করে সূচক বাড়লেও নতুন সপ্তাহের প্রথম দিন এই খাতে কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। তবে দরপতনের শতকরা হার খুব একটা বেশি ছিল না।
লেনদেনেও এই খাতে খুব একটা আগ্রহ দেখা যায়নি। ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাতে আগ্রহ খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। তবে এই খাতে দর হারানো কোম্পানির তুলনায় দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির সংখ্যা ছিল বেশি।
সব মিলিয়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৩৫ কোটি ৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। যা আগের দিন ছিল ১ হাজার ২৬১ কোটি ২৭ লাখ ৩২ হাজার টাকা।
ওয়ালটন-বিএটিবিসি ছাড়া সূচকে অবদান যেসব কোম্পানির
ওয়ালটন ও বিএটিবিসি ছাড়া সূচক বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে স্কয়ার ফার্মা। শেয়ারদর ২.২ শতাংশ বাড়ায় কোম্পানিটি সূচকে যোগ করেছে ৩.৭১ পয়েন্ট।
এছাড়া বরির শেয়ারদর ২.০৬ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৩.৫১ পয়েন্ট। গ্রামীণ ফোনের দর ০.৭৬ শতাংশ বাড়ায় সূচকে যোগ হয়েছে ৩.০৫ পয়েন্ট।
এছাড়া বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ১.৭১ পয়েন্ট, এমকি ল্যাবরেটরিজ ১.৬৭ পয়েন্ট, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট ১.৫৬ পয়েন্ট, রেনাটা ১ পয়েন্ট এবং রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স ০.৭৫ পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ১০টি কোম্পানি সূচকে যোগ করেছে ৩৮.৯৪ পয়েন্ট।
অন্যদিকে সূচক থেকে সবচেয়ে বেশি ১.৫৪ পয়েন্ট ফেলেছে বেক্সিমকো লিমিটেডের কারণে। কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১.৩৯ শতাংশ।
এ ছাড়া এনআরবিসি, আর এ সে সিরামিকস, বিকন ফার্মা, ইসলামী ব্যাংক, বেক্সিমকো সুকুক, এসআইবিএল, সাউথবাংলা ব্যাংক এনবিএল ও সোনালী পেপার সূচক নিচের দিকে টেনে নামানোর চেষ্টা করেছে।
এই ১০টি কোম্পানি সম্মিলিতভবে সূচক ফেলেছে ৫.২২ পয়েন্ট।
ওয়ালটন-বিএটিবিসি ছাড়া সূচকে অবদান যেসব কোম্পানির
ওয়ালটন ও বিএটিবিসি ছাড়া সূচক বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে স্কয়ার ফার্মা। শেয়ারদর ২.২ শতাংশ বাড়ায় কোম্পানিটি সূচকে যোগ করেছে ৩.৭১ পয়েন্ট।
এছাড়া বরির শেয়ারদর ২.০৬ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৩.৫১ পয়েন্ট। গ্রামীণ ফোনের দর ০.৭৬ শতাংশ বাড়ায় সূচকে যোগ হয়েছে ৩.০৫ পয়েন্ট।
এছাড়া বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ১.৭১ পয়েন্ট, এমকি ল্যাবরেটরিজ ১.৬৭ পয়েন্ট, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট ১.৫৬ পয়েন্ট, রেনাটা ১ পয়েন্ট এবং রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স ০.৭৫ পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ১০টি কোম্পানি সূচকে যোগ করেছে ৩৮.৯৪ পয়েন্ট।
অন্যদিকে সূচক থেকে সবচেয়ে বেশি ১.৫৪ পয়েন্ট ফেলেছে বেক্সিমকো লিমিটেডের কারণে। কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১.৩৯ শতাংশ।
এ ছাড়া এনআরবিসি, আর এ সে সিরামিকস, বিকন ফার্মা, ইসলামী ব্যাংক, বেক্সিমকো সুকুক, এসআইবিএল, সাউথবাংলা ব্যাংক এনবিএল ও সোনালী পেপার সূচক নিচের দিকে টেনে নামানোর চেষ্টা করেছে।
এই ১০টি কোম্পানি সম্মিলিতভবে সূচক ফেলেছে ৫.২২ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
এই তালিকার প্রথমেই ছিল রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স। ৯.৯৫ শতাংশ দর বেড়েছে কোম্পানিটির। গত বছর ব্যাপক উত্থানে শেয়ারদর দেড় শ টাকার কাছাকাছি চলে গেলেও পরে তা নেমে আসে ৮০ টাকার ঘরে। সেখান থেকে এক দিনে সাড়ে আট টাকার মতো উদ্ধার হয়েছে। সবশেষ দর দাঁড়িয়েছে ৯৩ টাকা ৯০ পয়সা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯.৯৪ শতাংশ দর বেড়েছে গত ২৩ ডিসেম্বরের পর থেকে শেয়ারপর তিন গুণ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের। আগের দিন কোম্পানিটির দর ছিল ১৩৪ টাকা ৮০ পয়সা। এক পর্যায়ে দর কমে হয় ১৩১ টাকা। তবে দিন শেষে দর দাঁড়িয়েছে ১৪৮ টাকা ২০ পয়সা।
একমি ল্যাবরেটরিজ, বিডি থাই ফুড, তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদরও বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততটাই।
এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, কাট্টালি টেক্সটাইল, গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স ও মিথুন নিটিং ছিল এই তালিকায়।
শীর্ষ ১০টি কোম্পানির বাইরে ৬ শতাংশের বেশি বেড়েছে ২টি কোম্পানির দর, ৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে ৩টি কোম্পানির দর, ৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে ৬ কোম্পানির দর, ৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে ১৭ কোম্পানির দর, ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে ২৭টি কোম্পানির দর।
দর পতনের শীর্ষ ১০
এই তালিকার শীর্ষে ছিল বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম। কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কম আয়ের তথ্য জানানোর পর শেয়ারদর কমেছে ৬.৪৫ শতাংশ। তবে লেনদেন হয়েছে বেশ ভালো। ২২ লাখ ৮৩ হাজার ৫২২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৬০ লাখ ৯২ হাজার টাকায়।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫.৪৭ শতাংশ দরপতন হয়েছে ন্যাশনাল পলিমারের। কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে আয় বাড়ার তথ্য জানানোর পর শেয়ারদরে গত কয়েকদিনে উত্থান হয়েছিল।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫.৪৭ শতাংশ দর হারিয়েছে স্বল্প মূলধনি লিবরা ইনফিউশন। চতুর্থ সর্বোচ্চ ৫.৪৪ শতাংশ দর হারিয়েছে কুইনসাউথ টেক্সটাইল। পঞ্চম সর্বোচ্চ ৪.৭৪ শতাংশ দর হারিয়েছে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক বা এনআরবিসি।
এছাড়া সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স ৪.৩১ শতাংশ, আইসিবি অগ্রণী মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ৪.২১ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ ৪.০৫ শতাংশ, বিডি ল্যাম্পস ৩.৮০ শতাংশ এবং অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড ৩.৭১ শতাংশ দর হারিয়েছে।
আরও ৭টি কোম্পানি ৩ শতাংশ, ১৮টি কোম্পানি ২ শতাংশের বেশি দর হারিয়েছে।
লেনদেনের শীর্ষ ১০
দরপতন হলেও সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের। একমাত্র কোম্পানি হিসেবে ১০০ কোটি টাকার বেশি শেয়ার হাতবদল হয়েছে কোম্পানিটির।
১০৪ কোটি ৬ লাখ ৩৪ হাজার টাকায় হাতবদল হয়েছে ৬৯ লাখ ৪১ হাজার ৪৩৮টি শেয়ার।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৫ কোটি ৯৫ লাখ ৫৮ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনে। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৬৭ লাখ ৮০ হাজার ৮৮৩টি।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা বিএটিবিসির ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ২৭ হাজার টাকায়।
একমি ল্যাবরেটরিজ, বাংলাদেশে বিল্ডিং সিস্টেমস, ইউনিয়ন ব্যাংক, ফরচুর সুজ, স্কয়ার ফার্মা, ওরিয়ন ফার্মা ও কাট্টালি টেক্সটাইল ছিল সবচেয়ে বেশি লেনদেনের তালিকায়।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ৪৭২ কোটি ৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য