স্বাধীনতার ৫০ বছর পর ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাবেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান প্রদর্শন করতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে ৯৩তম কমিশন বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, ‘১০০ বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে এমন এনআইডি তুলে দেয়া হবে শিগগির। এ জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এ ক্ষেত্রে তারা পাবেন স্মার্টকার্ড।’
এর আগে এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর জানিয়েছিলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান প্রদর্শন করতে স্মার্টকার্ডের এক পাশে বীর মুক্তিযোদ্ধা শব্দ দুটি জুড়ে দেয়া হবে।
ইসির এনআইডি সার্ভারে প্রায় ১১ কোটি ১৭ লাখ নাগরিকের তথ্য রয়েছে। এদের প্রায় সবার লেমিনেটিং করা জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। আর স্মার্টকার্ড রয়েছে সাড়ে ছয় কোটি মানুষের।
২০০৭ সালে দেশে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুতের কাজ হাতে নেয় ইসি। পরে তার ভিত্তিতেই দেয়া হয় এনআইডি। এরপর ২০১১ সালে এসে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় স্মার্টকার্ড প্রকল্প হাতে নেয় নির্বাচন কমিশন।
৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে আপাতত নিয়োগ পাচ্ছেন দুই হাজার ৬৪ জন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ক্যাডার পদে সুপারিশ করা ৯৯ জনের ফল স্থগিত থাকছে।
জনপ্রাশন মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। সে সময় দু’হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার ও ৬৪২ জনকে নন-ক্যাডারসহ মোট দু’হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সুপারিশকৃত প্রার্থীদের মধ্যে ২৫৫ জনের বিষয়ে পুনরায় যাচাই-বাছাই শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকার।
যাচাই-বাছাই চলাকালে এক প্রতিবেদনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানায়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আরও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ২৫৫ জন প্রার্থীর গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশেষ শাখায় পাঠানো হয়েছে। মেডিক্যাল পরীক্ষা ও গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে।
২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর আটটি বিভাগের বিভিন্ন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় চার লাখ ৩৫ হাজারের বেশি প্রার্থী অংশ নেন।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয় ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি। এতে মোট ১৫ হাজার ২২০ জন উত্তীর্ণ হন। একই বছরের জুলাইয়ে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় মোট ৯ হাজার ৮৪১ জন কৃতকার্য হন।
আরও পড়ুন:অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী শনিবার আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসছেন। এদিন ছোট ছোট সাতটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করবেন তিনি। তবে এবারও জাতীয় পার্টিকে সংলাপের জন্য ডাকা হচ্ছে না।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গণফোরাম, এলডিপি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দল, লেবার পার্টি, জাতীয় পার্টি (আন্দালিব রহমান পার্থ) ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলকে সংলাপে ডাকা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব বলেন, সংস্কার কার্যক্রমকে কীভাবে এগিয়ে নেয়া যায় তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ চলছে। এর ধারাবাহিকতায় আগামী শনিবার সাতটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আবার সংলাপ হবে। আরও দু-একটি দলকে এই দফায় বা আগামী দফায় আমন্ত্রণ জানানো হবে।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে সংস্কার প্রক্রিয়া ছাড়া আরও কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হবে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে দ্রব্যমূল্য। দ্রব্যমূল্য নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা উদ্বেগ কাজ করছে। দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে আজ কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ডিমের দাম সবচেয়ে ঊর্ধ্বমুখী। আমদানি পর্যায়ে শুল্ক ৩৩ শতাংশ থেকে ১৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। ভোজ্যতেলের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমদানি পর্যায়ে পাঁচ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে আনা হয়েছে। ৯৯ শতাংশ গার্মেন্টস চালু হয়েছে। এছাড়া নানাবিধ কারণে এক শতাংশ কারখানা এখনও বন্ধ রয়েছে।’
জাতীয় পার্টিকে (জাপা) সংলাপে ডাকা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এটি চলমান প্রক্রিয়া। পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা এর আগে ৫ অক্টোবর বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, বাম গণতান্ত্রিক জোট, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং এবি (আমার বাংলাদেশ) পার্টির সঙ্গে সংলাপ করেন।
আরও পড়ুন:সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সচিবালয়ে মঙ্গলবার গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ মতবিনিময়’ অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
সচিবালয় কাভার করা সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের বিষয়টির সঙ্গে অনেক কিছুই জড়িত। বন্যার কারণে অনেক ফসল নষ্ট হয়েছে। সে জন্য জোগান এবং চাহিদার মধ্যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে। অন্যান্য পণ্যগুলোর ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের একটা বড় প্রভাব আছে। সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য আমরা কাজ করছি।’
বিগত সময়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনকে দুর্বল করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ভাবছি যে আমাদের হার্ডলাইনে যেতে হবে। না হলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা টাফ হবে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বিশেষ ক্ষমতা আইনেও...যারা সিন্ডিকেটের কী পারসন (মূল ব্যক্তি) আছেন, প্রয়োজনে করপোরেট যেসব কোম্পানিগুলো এসব (সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো) করছে ইচ্ছাকৃতভাবে, আমাদের কাছে কিছু রেকর্ড আছে, তাদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে অ্যারেস্ট করব।’
আওয়ামী লীগের লোকজন টিসিবির ডিলার ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা এখন নেই। তাই টিসিবির কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে আছে। টিসিবির কার্যক্রম আবার জোরদার করার কথা ভাবছি। ‘আমরা যখন একটা রিজনেবল প্রাইসে পণ্য দিতে পারব, তখন যারা সিন্ডিকেট করছে তাদের ওপর চাপ পড়বে। তারা পণ্য তো রেখে দিতে পারবে না, বিক্রি করতেই হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করত আওয়ামী লীগ সরকার। সিন্ডিকেটের মধ্যে তো ব্যবসায়ীরাই বসে ছিল। মধ্যস্বত্বভোগীরা, তারা তো এখনও রয়ে গেছেন।
‘তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ বাঁচানোর জন্য কোনো না কোনো রাজনৈতিক, কারও না কারও সঙ্গে লিয়াজোঁর মাধ্যমে সিন্ডিকেটটা টিকিয়ে রেখেছে। সে ক্ষেত্রে আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।’
কারওয়ানবাজারে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘সমস্যা হলো অ্যারেস্ট (গ্রেপ্তার) করা হলে সেখানে আবার রিপ্লেসড হয়ে যায়। গোড়াগুলো কোথায় সেটা, আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।
‘এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকে সহযোগিতা করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি আগের সেই ইভিল প্র্যাকটিসগুলোতে ঢুকে যায়, তাহলে আল্টিমেটলি যে পরিবর্তনটার জন্য এত মানুষ জীবন দিল সেটা সম্ভব হবে না।’
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এখন আমরা চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে একটা অলআউট অ্যাকশনে যাব। একই সঙ্গে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধেও।’
আরও পড়ুন:সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ১১ দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
দেশ দুটির উদ্দেশে মঙ্গলবার ঢাকা ছাড়েন তিনি।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এ সফরকালে সেনাপ্রধান জাতিসংঘ সদরদপ্তর, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করবেন।
বৈঠকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনসংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা, সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করা হবে।
আইএসপিআর জানায়, সেনাপ্রধান ২৫ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।
আরও পড়ুন:বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মিরপুর ১০ মেট্রোরেল স্টেশন চালু হয়েছে।
এ স্টেশন মেরামতে খরচ হয়েছে এক কোটি ২৫ লাখ টাকা।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান মঙ্গলবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে স্টেশন পুনরায় চালু করার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
ওই সময় উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানান, এটির সংস্কারে সময় লেগেছে ২ মাস ১৭ দিন। খরচ হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই মিরপুর ১০ নম্বর মেট্রো স্টেশনের নিচে পুলিশ বক্সে ভাঙচুর করে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। সেদিন বিকেলে অনির্দিষ্টকালের জন্য মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
পরের দিন মিরপুর ১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তৎকালীন কর্তৃপক্ষ।
২৭ জুলাই সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ স্টেশন এক বছরেও যন্ত্রপাতি এনে সচল করা সম্ভব হবে না। মেরামতে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার মতো খরচ হবে।’
গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর দৃশ্যপট পাল্টে যায়। ৯ সেপ্টেম্বর ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিকের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এ পদে নিয়োগ পান প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রউফ।
তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর ডিএমটিসিএলের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই দুটি স্টেশন মেরামতে এতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন পড়বে না। পরে গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন চালু হয়। ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর ১০ মেট্রোরেল স্টেশনও দ্রুত চালু করা হবে বলে জানায় সংস্থাটি।
আরও পড়ুন:বিগত বছরগুলোর মতো চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষাতেও পাসের হার ও জিপিএ ফাইভ প্রাপ্তিতে এগিয়ে আছে মেয়েরা।
৯টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এর মধ্যে ছাত্রীদের পাসের হার ৭৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অন্যদিকে ছাত্রদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ।
মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে জিপিএ ফাইভ পাওয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে রয়েছে। ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জিপিএ ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী ৮০ হাজার ৯৩৩ জন এবং ছাত্র ৬৪ হাজার ৯৭৮ জন।
এ বছর পাসের হার কিছুটা কমেছে। গত বছর ১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ, যা এ বছর ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ৮৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
সব বোর্ডের ওয়েবসাইট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় একযোগে এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়।
সাধারণ বোর্ডগুলোর মধ্যে এবার পাসের হারের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে সিলেট। আর সবচেয়ে পিছিয়ে আছে ময়মনসিংহ।
সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৮৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ। অন্যদিকে বরিশালে ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ, ঢাকায় ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ, যশোরে ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহে এ হার ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ।
চলতি বছরে ২ হাজার ৬৯৫টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ১৯৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন পরীক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল, যার মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী, ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
বাতিল পরীক্ষাগুলোতে এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে এইচএসসিতেও একই নম্বর দিয়ে ফল তৈরি করেছে শিক্ষা বোর্ড। তা ছাড়া বিভাগ ও বিষয়ে মিল না থাকলে সে ক্ষেত্রে সাবজেক্ট ম্যাপিং নীতিমালা অনুসরণ করা হয়।
আরও পড়ুন:চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
এ বোর্ডে ৪৮ হাজার ৫৪৮ জন জিপিএ ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৪ হাজার ১৯৫ জন ছাত্র এবং ২৪ হাজার ৩৫৩ জন্য ছাত্রী।
জিপিএ ফাইভ প্রাপ্তির হার এ বোর্ডে ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে মঙ্গলবার আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণার সময় এ কথা জানান।
ফলে দেখা যায়, এ বছর ১১টি বোর্ডে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে রাজশাহীতে ২৪ হাজার ৯০২, কুমিল্লায় ৭ হাজার ৯২২, যশোরে ৯ হাজার ৭৪৯, চট্টগ্রামে ১০ হাজার ২৬৯, বরিশালে ৪ হাজার ১৬৭, সিলেটে ৬ হাজার ৬৯৮, দিনাজপুরে ১৪ হাজার ২৯৫, ময়মনসিংহে ৪ হাজার ৮২৬, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ৯ হাজার ৬১৩ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ৪ হাজার ৯২২ শিক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেয়েছে।
এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এর মধ্যে কেবল এইচএসসিতে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে এক লাখ ৩১ হাজার ৩৭৬ শিক্ষার্থী।
আলিম পরীক্ষায় পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৯ হাজার ৬১৩ পরীক্ষার্থী।
ভোকেশনাল/বিএম/ডিপ্লোমা ইন কমার্সে পাসের হার ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৪ হাজার ৯২২ শিক্ষার্থী।
গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ওই বছর জিপিএ ফাইভ পেয়েছিল ৯২ হাজার ৫৯৫ শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য