× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Mohsin Khans last days were like that
google_news print-icon

মহসিন খানের শেষ দিনগুলো যেমন ছিল

মহসিন-খানের-শেষ-দিনগুলো-যেমন-ছিল
ফেসবুক লাইভে এসে বুধবার আত্মহত্যা করেন চিত্রনায়ক রিয়াজের শ্বশুর আবু মহসিন খান। ছবি: ফেসবুক
মহসিন খানের ছোট ভাই আবু হাসান মো. ওয়াহিদুজ্জামান লিপু বলেন, ‘ওনার একাকিত্ব ওনাকে খেয়ে ফেলেছে। মানুষ একা বাঁচতে পারে না। একটা মানুষ তিন থেকে চার বছর একটা ফ্ল্যাটে একা থাকেন। তার ওয়াইফ, ছেলে দেশের বাইরে।

ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা করা ব্যবসায়ী আবু মহসিন খানের শেষ দিনগুলো কাটছিল নিঃসঙ্গতায়। ফেসবুক লাইভে তিনি তার একাকিত্বের কথা জানিয়েছেন। তাকে যারা দেখেছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেও জানা গেছে, সচ্ছলতার অভাব না থাকলেও বন্ধুপরিজনহীন জীবন কাটছিল তার।

ধানমন্ডি সাত নম্বর সড়কের ২৫ নম্বর বাসায় ১২ তলা একটি ভবনের ছয় তলায় থাকতেন আবু মহসিন খান। ভবনের ম্যানেজার আব্দুর রহিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ছয় মাস ধরে এখানে আছি। এই বাসাটা স্যারের (মহসিন) নিজের কেনা ফ্ল্যাট। আমি গত ছয় মাসের কথা বলতে পারি। তিনি একাই থাকতেন এই বাসায়। স্যার বাসার সবকিছু একাই হ্যান্ডেল করতেন। কাউকে তার বাসায় যেতে দেখা যায়নি।’

ছয় তলায় ফাইভ-এ ফ্ল্যাটটি এখন ফাঁকা। মৃত্যুর এক দিন পর বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়ে দেখা যায় গৃহকর্মীরা বাসাটির ধুলা পরিষ্কার করছেন। ভবনের এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী বলেন, ‘আমি প্রায় তিন বছর ধরে এই বাড়ির সিঁড়ি মুছি। গত তিন বছর ধরে দেখতেছি তিনি একাই থাকেন এই বাসায়। আমি তো ভেতরে যাইতাম না। তাই বলতে পারব না, ভেতরে কী হতো।’

বৃহস্পতিবার বেলা ২টা থেকে আত্মীয়স্বজন মহসিনকে শেষবারের মতো দেখতে আসা শুরু করেন। তবে তার আত্মীয়স্বজনের সংখ্যা হাতে গোনা। ৮২ বছর বয়সী মহসিনের বাবা তাকে দেখতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। সেখানে দেখা যায় তার ছোট দুই ভাইকেও।

মহসিনের একাকী চলাচল

ব্যবসায়ী আবু মহসিন খান নিজ বাসা থেকে বেরিয়ে মাঝে মাঝে বাইরে হাঁটতে বেরোতেন। একাই যেতেন জুতায় কালি করাতে, খাবার কিনতে।

২৫ নম্বর ভবনের বিপরীত পাশের একটি চায়ের দোকানি মো. রতন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উনি একা একা বের হয়ে মুদি কেনাকাটা করতেন। জুতা কালি করতে আসতেন। সঙ্গে কাউকে দেখি নাই কোনো দিন। মাঝে মাঝে বাসার সামনে দিয়ে একাই ঘুরে বেড়াতেন।’

চায়ের দোকানের পাশেই ফুটপাতে বসেন মুচি রণজিত। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘স্যার আমার কাছে জুতা কালি করাতে আসতেন। দেখতাম মাঝে মাঝে বাইরে একা একা ঘোরাফেরা করতেন।’

নাম প্রকাশ না করে মহসিনের পাশের ফ্ল্যাটের এক প্রতিবেশী নারী জানান, আসা-যাওয়ার পথে তার সঙ্গে দেখা হলে কুশল বিনিময় হতো। তাকে দেখে তার কখনও মনে হয়নি, আত্মহত্যা করার মতো বিষণ্নতায় ভুগছেন।

ভবনের কয়েকজন চালক জানান, মহসিন সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতেন। চালক রানা নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘স্যার খুব ভালো মানুষ ছিলেন। সবার সাথে হাসিখুশি মুখে কথা বলতেন। বাসায় কেউ থাকত না তার সঙ্গে। মাঝে মাঝে তার ভাইয়ের বাসা থেকে খাবার আসত। তিনি একা একা গাড়ি চালিয়ে খাবার আনতেন। অসুস্থ থাকলে খাবার অর্ডার দিয়ে আনাতেন। একটা ছেলে মাঝে মাঝে এসে তার গাড়ি ধুয়ে দিত। বাসা পরিষ্কার করে দিত।’

মহসিন খানের শেষ দিনগুলো যেমন ছিল
ধানমন্ডির এই ভবনের একটি ফ্ল্যাটেই থাকতেন আবু মহসিন খান। ছবি: নিউজবাংলা

রানা বলেন, ‘চালকদের জন্য এই ভবনে আলাদা লিফট। তবে তিনি লিফটে উঠলে আমাদের তার লিফটে ওঠাতেন।’

মহসিন খানের জামাতা চিত্রনায়ক রিয়াজ বলেন, ‘আমরাই খাবার পাঠাতাম। এ ছাড়া তিনি বাইরে থেকে খাবার অর্ডার করে আনতেন। কতদিন আগে থেকে ক্যানসার সেটা মনে করতে পারছি না। তবে বছর দুয়েক আগে তার অপারেশন করা হয় ক্যানসারের। আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অনেকবার বলেছি। তবে তিনি থাকেননি।’

মহসিন খানের ছোট ভাই আবু হাসান মো. ওয়াহিদুজ্জামান লিপু বলেন, ‘ওনার একাকিত্ব ওনাকে খেয়ে ফেলেছে। মানুষ একা বাঁচতে পারে না। একটা মানুষ তিন থেকে চার বছর একটা ফ্ল্যাটে একা থাকেন। তার ওয়াইফ, ছেলে দেশের বাইরে। উনি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। ওনার অপারেশনও হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে একটা গ্যাপ তৈরি হয়ে গিয়েছিল, কারণ উনি দেশের বাইরেই বেশি ছিলেন। আপনার সঙ্গে আমার গ্যাপ থাকলে আপনার কিছুই আমি জানতে পারব না। ওনার সঙ্গে আমাদের আট বছরের একটা গ্যাপ ছিল। মাঝে মধ্যে কথা হতো, কিন্তু ওরকম যে সবকিছু শেয়ার করবে, সে সুযোগ ছিল না। গ্যাপ হয়ে গেলে শেয়ার করার অবস্থাটা থাকে না।

‘ওনার ক্লোজ ছিল ওনার ছেলেমেয়ে। মেয়ের হাজবেন্ড কতটা ক্লোজ ছিল, আমি জানি না। মেয়ের হাজবেন্ডের সঙ্গে তো আর এত কিছু শেয়ার করা যাবে না। আপনি আপনার সন্তানের সঙ্গে যেভাবে সবকিছু শেয়ার করতে পারবেন, অন্যদের সঙ্গে পারবেন না। বাবাও বেঁচে আছেন। বাবা স্ট্রোক করা রোগী। ওনাকে ঘটনা জানানোর আগে প্রেশার, সুগার লেভেল মেপে জানাতে হয়েছে। ওনাকে জানানোটাই অনেক কষ্ট হয়েছে।’

মহসিন খানের শেষ দিনগুলো যেমন ছিল
আবু মহসিন খানের মৃত্যুর পর তার ফ্ল্যাটে মেয়েজামাই চিত্রনায়ক রিয়াজ। ছবি: নিউজবাংলা

আবু হাসান মো. ওয়াহিদুজ্জামান লিপু জানান, ক্যানসারের কারণে মহসিন খানের একটি কিডনি অস্ত্রোপচার করে ফেলে দিতে হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ায় এ অস্ত্রোপচার হয়।

কী ধরনের ক্যানসার ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কী ক্যানসার ছিল সেটা আমি বলতে পারব না। আমি কিছুই জানি না।’

মহসিন খান তার ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লিপু বলেন, ‘তার ব্যবসা কীভাবে বন্ধ হয়ে গেল, এটা আমি বলতে পারব না। কারণ ওনার সঙ্গে আট বছরের গ্যাপ। উনি কোথায় ব্যবসা করতেন, কীভাবে করতেন, কিছুই জানি না।’

আট বছরের যোগাযোগহীনতা কীভাবে তৈরি হলো, জানতে চাইলে লিপু বলেন, ‘উনি বেশির ভাগ সময় দেশের বাইরে ছিলেন। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া। এখন আপনি যদি দেশের বাইরে থাকেন, তাহলে আপনার সঙ্গে আমার তো যোগাযোগটা থাকবে না। উনি তিন বছর থাকতেন বিদেশে, এর পর দেশে ১০ দিন থাকতেন, আবার চলে যেতেন।’

শেষ চার বছর দেশেই ছিলেন মহসিন

শেষ চার বছর মহসিন খান দেশে ছিলেন জানিয়ে লিপু বলেন, ‘ওনার ছেলে আর ওয়াইফ তিন-চার বছর আগে শেষ দেশে এসেছিলেন। তারা অস্ট্রেলিয়া থাকেন। উনি স্বাধীনচেতা মানুষ তো, বাসাতেই থাকতেন। আমরা দূর থেকে যতটুকু সাপোর্ট দিতে পেরেছি, দিয়েছি। খাবার-দাবার রান্না করে দিয়ে যাওয়া এতটুকু আমরা করতে পেরেছি। এই ফ্ল্যাটটা ওনার নিজের। উনি অন্য কোথাও থাকতেই চাইতেন না। ওনার মোহাম্মদপুরেও ফ্ল্যাট আছে, কলাবাগানেও আছে।’

তৈরি পোশাক মহসিন খানের পারিবারিক ব্যবসা। তার বাবা ১৯৮২ সাল থেকে দুটি পোশাক কারখানার মালিক। মহসিন খান পরে উনি পৃথক ব্যবসা শুরু করেন।

বুধবার রাত ৯টার দিকে নিজ ফ্ল্যাটে ফেসবুক লাইভে এসে মহসিন খান মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। তার আগে তিনি তার নিঃসঙ্গতা, পরিবার নিয়ে হতাশার কথা জানান। এক নিকটাত্মীয়ের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে দুঃখও প্রকাশ করেন তিনি।

আরও পড়ুন:
শ্বশুরের জন্য দোয়া চাইলেন রিয়াজ
রিয়াজের শ্বশুরের দাফন রায়ের বাজারে
রিয়াজের শ্বশুরের আত্মহত্যার ভিডিও অপসারণের নির্দেশ
রিয়াজের শ্বশুরের আত্মহত্যার ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা
ফেসবুক লাইভে এসে নায়ক রিয়াজের শ্বশুরের আত্মহত্যা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
DMPs 24 cases in violation of traffic laws in the capital

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,২৪৬ মামলা

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,২৪৬ মামলা

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত দুই দিনে ২ হাজার ২৪৬টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ৩২২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সোমবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
TCBs fair priced products in the capital started selling

রাজধানীতে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি শুরু

রাজধানীতে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।

ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।

প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।

টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।

জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।

এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।

দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two women members of the Dhakkamara Chakra in the capital

রাজধানীতে ধাক্কামারা চক্রের ২ নারী সদস্য গ্রেফতার

রাজধানীতে ধাক্কামারা চক্রের ২ নারী সদস্য গ্রেফতার

ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে ধাক্কামারা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথী আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।

ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।

গত শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সপ্তম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চিৎকার দিলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অপর দু’জন কৌশলে পালিয়ে যান।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুই নারী ভুক্তভোগী জানান, তাদের যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।

তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথী আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি হওয়া নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যুথী আক্তার আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।

এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
212 cases in violation of traffic laws in the capital 

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,১৭২টি মামলা 

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,১৭২টি মামলা 

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ১৭২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ২৮৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

আইসিডিডিআরবির গবেষণা

ঢাকায় বস্তির ৯৮ শতাংশের দেহে অতিমাত্রায় সিসা

ঢাকায় বস্তির ৯৮ শতাংশের দেহে অতিমাত্রায় সিসা

রাজধানী ঢাকার বস্তির শিশুদের দেহে নীরব ঘাতক সিসার বিপজ্জনক মাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব শিশুদের ৯৮ শতাংশের দেহে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসা শনাক্ত করা হয়েছে।

আইসিডিডিআরবির (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ) এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার আইসিডিডিআরবির সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়।

উল্লেখ্য, ‍যুক্তরাষ্ট্রে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) শিশুদের দেহে প্রতি লিটারে ৩৫ মাইক্রোগ্রামের উপস্থিতিকে উদ্বেগজনক মাত্রা বলে বিবেচনা করে। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সিসার কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। সিসার যেকোনো মাত্রাই শিশুর জন্য ক্ষতিকর।

আইসিডিডিআরবি ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে থাকা বস্তির শিশুদের ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। ওই গবেষণায় ২ থেকে ৪ বছর বয়সী ৫০০ শিশুর রক্তের নমুনা নেওয়া হয়।

আইসিডিডিআরবির অ্যাসিস্ট্যান্ট সায়েন্টিস্ট ডা. জেসমিন সুলতানা জানান, এসব শিশুর রক্তে প্রতি ডেসিলিটারে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে তাদের মধ্যে অর্ধেকের শরীরের এই মাত্রা ছিল ৬৭ মাইক্রোগ্রামের বেশি। গবেষণায় দেখা যায়, সিসা পোড়ানো, গলানো বা রিসাইক্লিংয়ের (পুনঃচক্র) মতো কাজগুলো যেখানে হয়, সেসব এলাকার শিশুদের মধ্যে সিসায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।

উদাহরণ দিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, গবেষণায় চিহ্নিত সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী শিশুদের রক্তে সিসার মাত্রা ছিল পাঁচ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে বসবাসকারী শিশুদের তুলনায় ৪৩% বেশি। সিসার অন্যান্য উৎসের মধ্যে রয়েছে ঘরের ভেতর ধূমপান, দূষিত ধূলিকণা, সিসাযুক্ত প্রসাধনসামগ্রী ও রান্নার পাত্র।

এই আলোচনা সভা থেকে লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি বানানো বা রিসাইক্লিং করার কারখানা বা স্থান, অথবা যেসব কারখানা বা স্থাপনায় সিসা গলানো বা পোড়ানো হয়, এমন সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিলে বা দূষণ কমানোর ব্যবস্থা নিলে সেসব এলাকার শিশুদের সিসা দূষণ থেকে বাঁচানো সম্ভব।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আইসিডিডিআরবির রিসার্চ ট্রেইনি ডা. সানজিদা তাপসি আদিবা। স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিডিডিআরবির হেলথ সিস্টেম অ্যান্ড পপুলেশন স্টাডিজ ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ড. সারাহ স্যালওয়ে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Arrested two drug dealers with a large amount of Yaba in the capital 

রাজধানীতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার 

রাজধানীতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার 

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা ও ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত বাসসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-বিভাগ (ডিবি)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. বাবু মিয়া (৩৬) ও মো. রাকিবুল হাসান (২৮)। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সোমবার ডিবি-মতিঝিল বিভাগ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কতিপয় মাদক কারবারি একটি যাত্রীবাহী বাসে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ যাত্রাবাড়ীর আসমা আলী সিএনজি রিওয়েলিং অ্যান্ড ওয়ার্কশপ লি. এর পূর্ব পাশে হামজা বডিবিল্ডারের সামনে অবস্থান করছে বলে জানতে পারে।

পরে দুপুর পৌনে ৩ টার দিকে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত একটি বাসসহ বাবু ও রাকিবুলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন মাদক কারবারিদের কাছে বিক্রি করত বলে স্বীকার করে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Case of traffic law in the capital is 12 12 cases

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে মামলা ৩,১৯২টি

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে মামলা ৩,১৯২টি

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ১৯২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ২৬৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৮৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

p
উপরে