ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসইর প্রধান সূচক সাত হাজার পয়েন্টে টিকে থাকা নিয়ে রীতিমতো যুদ্ধ হচ্ছে। কখনও টানা কয়েকদিনের পতনে নেমে যাচ্ছে এই অবস্থান থেকে, আবার কয়েক দিনের টানা উত্থানে ছাড়াচ্ছে এই সীমা।
গত সপ্তাহের শেষ দুই দিন আর চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই কর্মদিবস পতনে সূচক ৬ হাজার ৯০০ পয়েন্টের কাছাকাছি নেমে আসার পর টানা দুই দিনের উত্থানে তা আবার ৭ হাজারের ওপরে উঠে।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার শুরুতে বেড়ে গিয়েও এক পর্যায়ে বেলা ১২টার কিছু সময় আগে ৬ হাজার ৯৯৬ পয়েন্টে নেমে আসে সূচক। তবে শেষ আড়াই ঘণ্টায় সেখান থেকে বেড়ে সূচক দাঁড়ায় ৭ হাজার ২৩ পয়েন্টে।
দিন শেষে সূচকের অবস্থান ধরে রাখায় প্রধান ভূমিকা ছিল ব্যাংক খাতের। যে ১০টি কোম্পানি সূচকে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যোগ করেছে, তার মধ্যে ৬টিই ব্যাংক।
বাজারে উত্থান পতনের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ আবার নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছেন। লেনদেনেই সেই বিষয়টি স্পষ্ট।
জানুয়ারির শুরু থেকে বাজারে চাঙাভাব ফেরার পর লেনদেন বাড়তে বাড়তে এক পর্যায়ে দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে দুই হাজার কোটির ঘরের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল।
তবে এখন তা সেখান থেকে অনেকটাই কম। লেনদেন এখনও এক হাজার কোটি টাকার বেশি হলেও দেড় হাজার কোটির ঘর ছুঁতেই পারছে না।
গত বছরের মে থেকে জুলাইয়ের শুরু পর্যন্ত সূচক এভাবে ৬ হাজার পয়েন্টে টিকে থাকা নিয়ে লড়াই হয়েছিল। সেই লড়াইয়ে জয় আসার পর সূচক ৭ হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে যায় আগস্টে। তখন আট হাজার পয়েন্টের দিকে ছোটার আলোচনা তৈরি হয়। কিন্তু সেপ্টেম্বর থেকে দর সংশোধনে তা আর হয়নি।
দর সংশোধনের প্রথম এক মাসে কয়েকটি বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে থাকায় সূচক বাড়তে থাকে। তবে অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বড় মূলধনি সেই কোম্পানিগুলোও দর হারাতে থাকে।
এই ধারা চলতে থাকে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত। এর মধ্যে সূচকের অবস্থান সাড়ে ছয় হাজারে নেমে আসে কি না, এমন আশঙ্কাও দেখা দেয়। তবে সেটি শেষ পর্যন্ত হয়নি। গত বছরের শেষ সপ্তাহ থেকে চলতি বছরের জানুয়ারির প্রায় পুরোটাতেই দেখা যায় চাঙাভাব। তবে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ের মতো প্রাণ ফেরেনি।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বেড়েছে ১৬৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর, কমেছে ১৭২টির। দর পাল্টায়নি ৪২টির।
লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে লেনদেন টানা হাজার কোটি টাকার বেশি হয়েছে।
লেনদেনে বৃহস্পতিবার সবচেয়ে ভালো অবস্থানে ছিল ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলো। ৮২ শতাংশ ব্যাংকের শেয়ারের দর বেড়েছে এদিন। এছাড়া ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাতের ৬৯ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।
সূচক বৃদ্ধিতে সিমেন্ট, তথ্য প্রযুক্তি, ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি ছিল উল্লেখযোগ্য।
যে সব কোম্পানির দর বৃদ্ধিতে সূচকের উত্থান
বৃহস্পতিবার সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল সদ্য তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ব্যাংকের। কোম্পানির শেয়ার দর ৯.৩৭ শতাংশ দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ৪.৪৬ পয়েন্ট।
এনআরবিসির দর ৬.২ শতাংশ বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ৪.৪৫ পয়েন্ট। ওয়ালটন সূচক বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে ৩.৮৮ পয়েন্ট।
বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর শেয়ার দর বৃহস্পতিবার বেড়েছে দশমিক ৩২ শতাংশ। এতে সূচক বেড়েছে ৩.৮৮ পয়েন্ট।
এছাড়া আইএফআইসি ব্যাংকের সূচক বাড়িয়েছে ২.৫৬ পয়েন্ট। এছাড়া সিটি ব্যাংক ২.৪১ পয়েন্ট, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ২.২৩ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে। এ তালিকায় আছে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, যার শেয়ারের দর বৃদ্ধি সূচক বাড়াতে সহায়ক ছিল ১.৯৬ পয়েন্ট।
সোনালী পেপার ও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকও ছিল এ তালিকায়।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানিই সূচক বাড়িয়েছে ২৯.৩৯ পয়েন্ট।
অন্যদিকে দর পতনের কারণে সূচক নিচের দিকে টেনে নামানোর চেষ্টায় ছিল বেশ কিছু কোম্পানি। এর মধ্যে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের দর ২.২৬ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৭.৮৮ পয়েন্ট।
আর এ কে সিরামিকসের দর ৬.৪৫ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৬.১৩ পয়েন্ট।
পাওয়ার গ্রিড, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, তিতাস গ্যাস, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বিএসআরএম লিমিটেড, আইসিবি, ইউনিলিভার ও বিএসআরএম স্টিলও সূচক ফেলেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৩৬.৭৬ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির ১০ কোম্পানি
বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে নাহি অ্যালুমিনিয়ামের ৯.৯৫ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৩ টাকা।
সদ্য তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯৪ শতাংশ। এছাড়া বিডি থাই ফুডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯০ শতাংশ।
আরও চারটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে নয় শতাংশের বেশি। এর মধ্যে আছে কাট্টালি টেক্সটাইল প্রাইম ইন্স্যুরেন্স, ইউনিয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস।
আট শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে দুটি কোম্পানির। এর একটি বিডি ওয়েল্ডিং, যার দর বেড়েছে ৮.৭২ শতাংশ, বেঙ্গল উইসডমের শেয়ার দর বেড়েছে ৮.০৩ শতাংশ।
এছাড়া আরামিট সিমেন্টের দর বেড়েছে ৬.৪১ শতাংশ।
দর পতনের দশ কোম্পানি
এদিন সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর কমেছে আর এ কে সিরামিকসের। কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২৫ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এটি বিনিয়োগকারীদের পছন্দ হয়নি। যে কারণে শেয়ার দর কমেছে ৬.৪৫ শতাংশ।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৫.৫৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সের দর কমেছে ৪.৩৪ শতাংশ। সাভার রিফ্যাক্টরিজির দর কমেছে ৪.৩০ শতাংশ।
প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর ৩.৯৯ শতাংশ, রিং সাইন টেক্সটাইলের দর ৩.৬৭ শতাংশ, শাশা ডেনিমের দর ৩.৬৩ শতাংশ, এএমসিএল (প্রাণ) দর ৩.৩০ শতাংশ, এপেক্স ফুডের দর কমেছে ৩.১৯ শতাংশ।
লেনদেনে সেরা ১০
বৃহস্পতিবার টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের। এদিন কোম্পানিটির ৮৫ কোটি ৯১ লাখ টাকার ৫৭ রাখ ৩৬ হাাজর ৪৮৩টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসের ১ কোটি ৫৮ লাখ ৭ হাজার ৫৭৩টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৪৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকায়।
সদ্য তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ব্যাংকের ৩ কোটি ৫ লাখ ১৩ হাজার ১৫৫টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৪১ কোটি ১২ লাখ টাকায়।
ফরচুন সুজে ৩৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা এবং বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকোতে লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৯২ লাখ টাকার।
লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানির তালিকায় ছিল আর এ কে সিরামিক, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ওরিয়ন ফার্মা, লাফার্জ হোলসিম ও এশিয়া ইন্স্যুরেন্স
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য