ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসইর প্রধান সূচক সাত হাজার পয়েন্টে টিকে থাকা নিয়ে রীতিমতো যুদ্ধ হচ্ছে। কখনও টানা কয়েকদিনের পতনে নেমে যাচ্ছে এই অবস্থান থেকে, আবার কয়েক দিনের টানা উত্থানে ছাড়াচ্ছে এই সীমা।
গত সপ্তাহের শেষ দুই দিন আর চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই কর্মদিবস পতনে সূচক ৬ হাজার ৯০০ পয়েন্টের কাছাকাছি নেমে আসার পর টানা দুই দিনের উত্থানে তা আবার ৭ হাজারের ওপরে উঠে।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার শুরুতে বেড়ে গিয়েও এক পর্যায়ে বেলা ১২টার কিছু সময় আগে ৬ হাজার ৯৯৬ পয়েন্টে নেমে আসে সূচক। তবে শেষ আড়াই ঘণ্টায় সেখান থেকে বেড়ে সূচক দাঁড়ায় ৭ হাজার ২৩ পয়েন্টে।
দিন শেষে সূচকের অবস্থান ধরে রাখায় প্রধান ভূমিকা ছিল ব্যাংক খাতের। যে ১০টি কোম্পানি সূচকে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যোগ করেছে, তার মধ্যে ৬টিই ব্যাংক।
বাজারে উত্থান পতনের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ আবার নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছেন। লেনদেনেই সেই বিষয়টি স্পষ্ট।
জানুয়ারির শুরু থেকে বাজারে চাঙাভাব ফেরার পর লেনদেন বাড়তে বাড়তে এক পর্যায়ে দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে দুই হাজার কোটির ঘরের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল।
তবে এখন তা সেখান থেকে অনেকটাই কম। লেনদেন এখনও এক হাজার কোটি টাকার বেশি হলেও দেড় হাজার কোটির ঘর ছুঁতেই পারছে না।
গত বছরের মে থেকে জুলাইয়ের শুরু পর্যন্ত সূচক এভাবে ৬ হাজার পয়েন্টে টিকে থাকা নিয়ে লড়াই হয়েছিল। সেই লড়াইয়ে জয় আসার পর সূচক ৭ হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে যায় আগস্টে। তখন আট হাজার পয়েন্টের দিকে ছোটার আলোচনা তৈরি হয়। কিন্তু সেপ্টেম্বর থেকে দর সংশোধনে তা আর হয়নি।
দর সংশোধনের প্রথম এক মাসে কয়েকটি বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে থাকায় সূচক বাড়তে থাকে। তবে অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বড় মূলধনি সেই কোম্পানিগুলোও দর হারাতে থাকে।
এই ধারা চলতে থাকে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত। এর মধ্যে সূচকের অবস্থান সাড়ে ছয় হাজারে নেমে আসে কি না, এমন আশঙ্কাও দেখা দেয়। তবে সেটি শেষ পর্যন্ত হয়নি। গত বছরের শেষ সপ্তাহ থেকে চলতি বছরের জানুয়ারির প্রায় পুরোটাতেই দেখা যায় চাঙাভাব। তবে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ের মতো প্রাণ ফেরেনি।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বেড়েছে ১৬৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর, কমেছে ১৭২টির। দর পাল্টায়নি ৪২টির।
লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে লেনদেন টানা হাজার কোটি টাকার বেশি হয়েছে।
লেনদেনে বৃহস্পতিবার সবচেয়ে ভালো অবস্থানে ছিল ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলো। ৮২ শতাংশ ব্যাংকের শেয়ারের দর বেড়েছে এদিন। এছাড়া ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাতের ৬৯ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।
সূচক বৃদ্ধিতে সিমেন্ট, তথ্য প্রযুক্তি, ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি ছিল উল্লেখযোগ্য।
যে সব কোম্পানির দর বৃদ্ধিতে সূচকের উত্থান
বৃহস্পতিবার সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল সদ্য তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ব্যাংকের। কোম্পানির শেয়ার দর ৯.৩৭ শতাংশ দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ৪.৪৬ পয়েন্ট।
এনআরবিসির দর ৬.২ শতাংশ বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ৪.৪৫ পয়েন্ট। ওয়ালটন সূচক বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে ৩.৮৮ পয়েন্ট।
বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর শেয়ার দর বৃহস্পতিবার বেড়েছে দশমিক ৩২ শতাংশ। এতে সূচক বেড়েছে ৩.৮৮ পয়েন্ট।
এছাড়া আইএফআইসি ব্যাংকের সূচক বাড়িয়েছে ২.৫৬ পয়েন্ট। এছাড়া সিটি ব্যাংক ২.৪১ পয়েন্ট, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ২.২৩ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে। এ তালিকায় আছে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, যার শেয়ারের দর বৃদ্ধি সূচক বাড়াতে সহায়ক ছিল ১.৯৬ পয়েন্ট।
সোনালী পেপার ও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকও ছিল এ তালিকায়।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানিই সূচক বাড়িয়েছে ২৯.৩৯ পয়েন্ট।
অন্যদিকে দর পতনের কারণে সূচক নিচের দিকে টেনে নামানোর চেষ্টায় ছিল বেশ কিছু কোম্পানি। এর মধ্যে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের দর ২.২৬ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৭.৮৮ পয়েন্ট।
আর এ কে সিরামিকসের দর ৬.৪৫ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৬.১৩ পয়েন্ট।
পাওয়ার গ্রিড, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, তিতাস গ্যাস, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বিএসআরএম লিমিটেড, আইসিবি, ইউনিলিভার ও বিএসআরএম স্টিলও সূচক ফেলেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৩৬.৭৬ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির ১০ কোম্পানি
বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে নাহি অ্যালুমিনিয়ামের ৯.৯৫ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৩ টাকা।
সদ্য তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯৪ শতাংশ। এছাড়া বিডি থাই ফুডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯০ শতাংশ।
আরও চারটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে নয় শতাংশের বেশি। এর মধ্যে আছে কাট্টালি টেক্সটাইল প্রাইম ইন্স্যুরেন্স, ইউনিয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস।
আট শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে দুটি কোম্পানির। এর একটি বিডি ওয়েল্ডিং, যার দর বেড়েছে ৮.৭২ শতাংশ, বেঙ্গল উইসডমের শেয়ার দর বেড়েছে ৮.০৩ শতাংশ।
এছাড়া আরামিট সিমেন্টের দর বেড়েছে ৬.৪১ শতাংশ।
দর পতনের দশ কোম্পানি
এদিন সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর কমেছে আর এ কে সিরামিকসের। কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২৫ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এটি বিনিয়োগকারীদের পছন্দ হয়নি। যে কারণে শেয়ার দর কমেছে ৬.৪৫ শতাংশ।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৫.৫৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সের দর কমেছে ৪.৩৪ শতাংশ। সাভার রিফ্যাক্টরিজির দর কমেছে ৪.৩০ শতাংশ।
প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর ৩.৯৯ শতাংশ, রিং সাইন টেক্সটাইলের দর ৩.৬৭ শতাংশ, শাশা ডেনিমের দর ৩.৬৩ শতাংশ, এএমসিএল (প্রাণ) দর ৩.৩০ শতাংশ, এপেক্স ফুডের দর কমেছে ৩.১৯ শতাংশ।
লেনদেনে সেরা ১০
বৃহস্পতিবার টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের। এদিন কোম্পানিটির ৮৫ কোটি ৯১ লাখ টাকার ৫৭ রাখ ৩৬ হাাজর ৪৮৩টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসের ১ কোটি ৫৮ লাখ ৭ হাজার ৫৭৩টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৪৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকায়।
সদ্য তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ব্যাংকের ৩ কোটি ৫ লাখ ১৩ হাজার ১৫৫টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৪১ কোটি ১২ লাখ টাকায়।
ফরচুন সুজে ৩৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা এবং বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকোতে লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৯২ লাখ টাকার।
লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানির তালিকায় ছিল আর এ কে সিরামিক, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ওরিয়ন ফার্মা, লাফার্জ হোলসিম ও এশিয়া ইন্স্যুরেন্স
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য