× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Peoples Rights Council is waiting for BNPs proposal
google_news print-icon

বিএনপির প্রস্তাবের অপেক্ষায় গণ অধিকার পরিষদ

বিএনপির-প্রস্তাবের-অপেক্ষায়-গণ-অধিকার-পরিষদ
গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া। ছবি: নিউজবাংলা
বিএনপি কোনো প্রস্তাব দিলে কী করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘প্রস্তাব পেলে আমরা অবশ্যই খুবই ইতিবাচকভাবে বিষয়টি দেখব। কারণ এই সরকারকে হটানো দরকার এবং একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা দরকার। এ বিষয়ে আমরা সবাই একমত। বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের মতবিরোধ থাকতে পারে, তবে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব ইনশাআল্লাহ।’

আওয়ামী লীগ সরকারকে হঠাতে আন্দোলনের জন্য বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে আগ্রহী নতুন রাজনৈতিক দল গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া। তিনি মনে করেন, এই প্রস্তাব শিগগিরই আসবে। তারা খুবই ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবেন তা।

আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াপুত্র বলেছেন, বর্তমান সরকারকে হটাতে সব শক্তির এক হতে হবে। এ জন্য বিদেশি সহায়তা লাগলেও সেটি নিতে আপত্তি নেই।

নিউজবাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন রেজা কিবরিয়া।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণফোরামে যোগ দেন রেজা। পরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হয়ে হবিগঞ্জের একটি আসনে ভোটে লড়ে হেরে যান তিনি। সে সময় তাকে নিয়ে গণফোরামে বিভক্তি তৈরি হয়।

পরে রেজা কিবরিয়া সেই দল থেকে বের হয়ে যোগ দেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের গণ অধিকার পরিষদে। দলটির আহ্বায়ক তিনি।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখনও ‘নবীন’ রেজা মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দিন ফুরিয়ে এসেছে। আগামীতে যে সরকার গঠন হতে যাচ্ছে, তাতে আওয়ামী লীগের থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই।

তার দাবি, র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞাই শেষ নয়। আরও নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির বিভিন্ন দপ্তরে থাকা তার সাবেক সহকর্মীদের কাছ থেকে এই তথ্য জেনেছেন তিনি।

আপনি এ দেশে সরকার হটাতে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর সহায়তার কথা বলেছেন। এটা কি বিদেশি হস্তক্ষেপের মতো ব্যাপার হয়ে গেল না?

একাত্তরে আপনি যদি একটু খেয়াল করেন, বিদেশি হস্তক্ষেপের কথায় তো কারও আপত্তি ছিল না। আমাদের দেশে এখনও এমন শক্তি নেই যারা নিজেদের গণতান্ত্রিক অবকাঠামো নিজেরা রক্ষা করবে। তা ছাড়া আমরা এখনও বিদেশের ওপরে নির্ভরশীল অর্থনৈতিকভাবে। এটা অস্বীকার করে কোনো লাভ নেই। আমরা অনেক ধনী হয়ে গেছি, কানাডা হয়ে গেছি, সিঙ্গাপুর হয়ে গেছি, এ ধরনের বাজে কথা না বলে বলা উচিত এখনও বাইরের রাষ্ট্রের ওপর আমরা বিভিন্নভাবে নির্ভরশীল। দেশে সমস্যা আছে। অনেক বছরে এগুলো ঠিক করতে পারিনি। এখন দেখা যাক কী করা যায়।

আপনাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী থাকবে?

আমাদের মধ্যে প্রথম চয়েজ, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার, বিএনপির নেতারা যে প্রস্তাবটি দিয়েছেন। কারণ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ওটা একটা পরীক্ষিত পদ্ধতি। এটা যদি না মানেন তাহলে আমরা আরও দুটি পছন্দ দিলাম। একটা হলো জাতীয় সরকার। সেখানে সব দলের মানুষ থাকবে। তারা আরও দেড়-দুই বছর প্রস্তুতি নিতে পারে। কারণ নির্বাচনে প্রস্তুতির ব্যাপার আছে। সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে একটু সময় লাগে।

তৃতীয় পছন্দ হলো জাতিসংঘের আওতায় নির্বাচন। যে দেশে নির্বাচনের সব ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যায়, সেখানে জাতিসংঘের একটা ভূমিকা পালন করার সুযোগ থাকে। কিন্তু এটা প্রথম পছন্দ নয়। এটা একটি সম্ভাবনা।

আপনারা বলছেন দেশের জনগণ আপনাদের সঙ্গে আছে। তাহলে বিদেশি শক্তির দ্বারস্থ কেন হতে হচ্ছে? জনগণের শক্তির ওপর আপনাদের আস্থা নেই?

এ ধরনের অত্যাচারী সরকারের সামনে দাঁড়ানো এত সহজ না। মানুষকে গুম, হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন করা হচ্ছে। হিটলারের সময় দেখেন, খুব বেশি লোক কিন্তু তার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামত না। সাদ্দাম হোসেনের সময়ও একই অবস্থা। চোচেস্কুর সময় রোমানিয়াতে মানুষ রাস্তায় নামত না, ঘৃণিত সরকার ছিল, কিন্তু লোকে নামত না।

এই সরকারও ঘৃণিত, কিন্তু আপনি যদি জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনার ভোটের সংখ্যা কত?’ বলবে, ‘আমরা তো সেটা বলতে পারব না।’

নির্বাচন তো নেই ১২ বছর। সুতরাং যাচাই করা কঠিন। আমরা শুধু সোশ্যাল মিডিয়া, আমাদের মিটিংগুলিতে কত লোক আসে, কত লোক সাপোর্ট করে, সেটা থেকে আন্দাজ করতে পারি।

একটা জিনিস আমি বলতে পারব যে, আওয়ামী লীগের কোনো সম্ভাবনা নেই ক্ষমতায় আসার। কারণ যে বড় কথাটা বলে জোর গলায়, উন্নয়নের জোয়ারে আমরা ডুবে যাচ্ছি, সেটা এটা একেবারে মিথ্যা।

বিএনপির প্রস্তাবের অপেক্ষায় গণ অধিকার পরিষদ

আপনি ও নুরুল হক নুর একটি বিশেষ দেশের দূতাবাসে একাধিকবার আমন্ত্রণ পেয়েছেন এবং সেসব ছবি বেশ ফলাও করে প্রচার করেন। কী বার্তা দিতে চান দেশবাসীকে?

এটা কোনো বিশেষ মেসেজ না। আলোচনা হচ্ছে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে। এটা একটা স্বাভাবিক কার্যক্রম। অনেক দূতাবাস বিভিন্ন দলের লোকের সঙ্গে আলোচনা করে। এটা একটা কমন বিষয়। আমরা অন্য দলের মতো এদের সঙ্গে দেখা করি।

র‌্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর আপনি বলেছেন আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। এটা কীসের ভিত্তিতে বলছেন?

মনে রাখবেন, আমি অনেক বছর আমেরিকায় চাকরি করেছি এবং আইএমএফে চাকরি করতাম। এই নিষেধাজ্ঞাগুলো আসে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট থেকে। আমি আইএমএফে যখন চাকরি করতাম, আমেরিকাতে যারা কর্মচারী ছিল, তাদের অনেকে আইএমএফ ছেড়ে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টে কাজ করে। অনেককে চিনি। এতটুকু বললাম।

এই সম্পর্কটা ১৬ বছরের সম্পর্ক। আপনার যদি পুরোনো কলিগ থাকত, আপনিও টুকটাক কিছু খবর পেতেন। আমি কোনো লিস্ট পাইনি স্বীকার করব, কোনো ডেটও পাইনি এবং কোনো সংখ্যা পাইনি। অবশ্য আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখেছি, বিভিন্ন লোক একেবারে নির্দিষ্ট সংখ্যা বলে দেয়। আমার এত তথ্য নেই। আমি শুধু জানি, আরও নিষেধাজ্ঞা আসবে।

কী ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে জেনেছেন?

এখন পর্যন্ত যে নিষেধাজ্ঞা আসছে, সেটা হলো যারা কারও আদেশ পালন করেছে তাদের ওপর, কিন্তু যে আদেশ দিয়েছে, তার ওপরে নিষেধাজ্ঞা এখনও পড়েনি। এগুলো সামনে আসবে।

বিএনপির প্রসঙ্গে আসা যাক। দলটি জোট বড় করে এক দফা আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে পত্রিকায় খবর প্রকাশ হয়েছে। এই জোটে যেতে আপনাদের কোনো প্রস্তাব কি দেয়া হয়েছে? যদি হয়ে থাকে, তাহলে আপনাদের মনোভাব কী? আর যদি ভবিষ্যতে প্রস্তাব পান, তাহলে কী সিদ্ধান্ত নেবেন?

এখন পর্যন্ত দেয়নি, কিন্তু এটা শিগগিরই হবে। সাংবাদিকদের থেকে শোনা যাচ্ছে, এই আলোচনাগুলো কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হবে, তবে আজকে পর্যন্ত (সোমবার) আসেনি। কয়েক দিনের মধ্যে প্রস্তাব চলে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।

প্রস্তাব পেলে আমরা অবশ্যই খুবই ইতিবাচকভাবে বিষয়টি দেখব। কারণ এই সরকারকে হটানো দরকার এবং একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা দরকার। এ বিষয়ে আমরা সবাই একমত। বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের মতবিরোধ থাকতে পারে, তবে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব ইনশাআল্লাহ।

আপনারা দল গঠন করলেন বেশ কিছু দিন হলো। নানা কর্মসূচিও দিচ্ছেন। এতে তরুণদের বেশ ভালো অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে। তো সংগঠন কতটুকু বড় হলো? উপজেলা ও জেলাগুলোতে কি কমিটিগুলো গঠন করা গেল?

এই সংগঠনটি অন্য সংগঠনের থেকে ভিন্ন। এটা প্রথম দিন থেকেই কিন্তু বেশ শক্তিশালী ছিল। কারণ আগের যে অঙ্গ সংগঠনগুলো, সারা দেশে এগুলোর প্রচার হচ্ছিল। বিশেষ করে আমাদের ছাত্র অধিকার পরিষদের সব জেলায় মোটামুটি সংগঠন আছে।

যুব অধিকার পরিষদে প্রত্যেক জেলায় কমিটি আছে; উপজেলা পর্যন্ত আছে। কিছু জায়গায় ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন পর্যন্ত কমিটি আছে। ওয়ার্ড লেভেলে যখন ১০০ জনের কমিটি থাকে, তখন আপনি বুঝতে পারেন যে, দলটা অলরেডি সংগঠিত। এটা আছে।

আমাদের গণ অধিকার পরিষদের কমিটিগুলো এখনও ফাইনাল হয়নি। সেগুলোতে অন্য কমিটি থেকে কিছু লোক জয়েন করবে। আর কিছু সিনিয়র লোক জয়েন করবে। ধরুন কলেজের অধ্যক্ষ, যারা উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন, যারা এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, এ ধরনের মানুষ।

যাদের ওপর সরকার প্রভাব ফেলতে পারে, তারা তো এই মুহূর্তে জয়েন করবে না। তাদের স্ত্রীর চাকরি চলে যেতে পারে, ছেলে-মেয়েদের অসুবিধা করতে পারে, হুমকি দিতে পারে। এ ছাড়া অনেক লোক এখন সাহস করে নামছে। বিশেষ করে এই নিষেধাজ্ঞা (আমেরিকার) আসায় তারা বুঝতে পেরেছে যে, এদের (সরকার) দিন প্রায় শেষ।

আপনারা নির্বাচন কমিশনে এখনও নিবন্ধিত না। নিবন্ধন না পেলে আগামী নির্বাচন কীভাবে করবেন?

নিবন্ধনের যে শর্ত আছে, আমরা সেগুলো পালন করতে পারব। সে ব্যাপারে কোনো চিন্তা নেই। আমরা এটা জমা দিলেই ইনশাআল্লাহ পাব। না হলে তখন পরিস্থিতি দেখা যাবে। আমার মনে হয়, নিবন্ধন না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা যদি শর্ত পালন করি, তারপরে না হলে আইনের আশ্রয় নেব।

আপনারা সরকারকে খুবই আক্রমণ করে কথা বলেন। সরকারপ্রধানের পক্ষ থেকে আপনাদের স্বাধীনভাবে কর্মসূচি পালন করতে দিতে বলা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে এসেছে। কেউ কেউ বলে থাকেন, সরকারের সঙ্গে আসলে আপনাদের যোগাযোগ আছে।

উনি (সরকার প্রধান) যে ওই কথাটা বললেন, তার দুই দিন পরে ময়মনসিংহে ছাত্রলীগের ছেলেরা আক্রমণ করেছে আমাদের ছেলে-মেয়েদের ওপরে। অনেক লোক আহতও হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দুটি সম্ভাবনা আছে, হয় উনি সত্যি কথা বলেন না; দ্বিতীয়টা হলো, ছাত্রলীগের ওপর উনার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।

যে জিনিসটাই হোক, ছাত্রলীগ এখনও আক্রমণ করে। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে যখন মিটিং হয়, বড় মিটিং হয়। ছাত্রলীগের চেয়ে অনেক বড় সমাবেশ হলে তারা ঘাবড়ে যায়, আক্রমণ করে।

আমার ওপরে তো একবার শারীরিক আক্রমণ হয়েছে। আর ২০ বার আমাদের ভিপি নুরের ওপরে আক্রমণ হয়েছে। নুরের ওপর যে আক্রমণ হয়েছে, এত আদর বোধ হয় না করলেই ভালো।

মেয়েদের ওপরও হামলা হচ্ছে মিছিলে। অনেক ধরনের আক্রমণ হয়েছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাবেক নেতা হিসেবে এই জোটের ভবিষ্যৎ কী মনে হয়?

আমরা মনে হয় নতুন কোনো ধরন দেখবেন। নতুন একটা কাঠামো তৈরি হতে পারে। আর ঐক্যফ্রন্টের ভেতরে কিছু মানুষ ছিল যারা সরকারি দলের গোয়েন্দা বা গুপ্তচর, তবে আমাদের যদি নতুন যে কাঠামো হয়, সেখানে আমরা এটা অ্যাভয়েড করব।

বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আপনাদের একটি বড় অভিযোগ মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। কোন কথাটা বলতে চান, কিন্তু বলতে পারেন না?

কোন কারণে কোন কথার জন্য আপনার বিরুদ্ধে কখন অ্যাকশন নেবে আপনি তো জানেন না। বিষয়টি আসলে পুলিশি রাষ্ট্রের মতো, সরকারের মর্জির ওপরে দেশ চলে। আইনের শাসনে আর চলে না।

আপনি নিজের সমালোচনা সহ্য করেন?

আশা করি আমি পারি। এটা একটা কঠিন প্রশ্ন। এটা প্রত্যকের মানসিকতার ওপর নির্ভর করে। আমি তো সে রকম ক্ষমতায় সরাসরি কোনোদিন ছিলাম না। সমালোচনা করলে খারাপ লাগে, কিন্তু আমি এটা নিয়ে অনেক চিন্তা করেছি। আমি চেষ্টা করেছি, নিজেকে তৈরি করতে যে, আমরা যখন ক্ষমতায় যাব, তখন আপনি এসে প্রশ্ন করবেন, সমালোচনা করবেন, এটা সহ্য করব।

আমি এটা থেকে সুবিধা নিতে চেষ্টা করব। আপনি সমালোচনা করছেন, কী ব্যাপারে করছেন, নিশ্চয়ই কোনো একটা গ্রুপ আছে যারা আমাদের সরকারের কাজে অসন্তুষ্ট। তখন আমি এটা ঠিক করতে চেষ্টা করব।

আপনার সমালোচনাটা আমি ব্যবহার করব সরকারকে আরও শক্তিশালী করতে। ক্ষেপে যাওয়ার আগে আপনার কাছ থেকে জানতে চেষ্টা করব, জনগণ কেন ক্ষেপে গেছে। অন্যরা জনগণের মধ্যে ভয় ঢোকায়; আমরা জনগণকে ভয় করব, তবে সবাইকে রাজনীতিতে খুশি করা যায় না।

এ বিষয়টি আমি বলতে পারব ক্ষমতায় যাওয়ার পর। তখন একই প্রশ্নটা করবেন। তখন আমাকে এই প্রশ্নটা করলে উত্তর দিতে পারব।

যদি এই সাক্ষাৎকারের উপস্থাপনা আপনার মনঃপুত না হয়, তাহলে কি রাগ করবেন?

বকাঝকা, গালিগালাজ করলে একটু তো অসন্তুষ্ট হবই, তবে কঠিন প্রশ্ন করলে আমার রাগ করার কিছু নাই। কঠিন প্রশ্ন ফেস করার জন্য আমি যদি রাজি না থাকি, আমার চামড়া যদি পাতলা হয়, তাহলে আমার তো রাজনীতিতে আসা উচিত না।

এর আগে আমরা আপনার একটি সাক্ষাৎকার ছেপেছিলাম। শিরোনাম আপনার পছন্দ হয়নি, আপনি তখন রিপোর্টারকে ফোন করেছিলেন।

জাস্ট পরে আমি জিনিসটা বুঝলাম। শিরোনামটা আপনারা দিয়েছেন, যেন সবার নজর লাগে। আমি জিনিসটা কিছুটা আন্দাজ করেছি, কী কারণে করেছেন জিনিসটা।

এটা নিয়ে পাসিং একটা কমেন্ট করেছি। এটা করতে হয়…না, আমার রেগে যাওয়ার কিছু নেই, তবে আমি একটু সারপ্রাইজড হয়েছিলাম। পরে বুঝেছি, দ্যাটস অ্যা টেকনিক ইন বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন:
উন্নয়ন নয়, বিএনপির ভালো লাগে মানুষ হত্যা: নৌমন্ত্রী
‘রাজনীতির চেয়ে সম্প্রীতি বড়’
ন্যায়বিচারে বাধা তৈরি করতে চক্রান্ত হচ্ছে: রিজভী
লবিস্টে ঠেকানো যাবে না সরকারের পতন: শওকত
ভোটে ‘ডাকলেন’ ফখরুল, বহিষ্কার করছেন রিজভী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
BNP delegation is going to visit China under the leadership of Mirza Fakhrul

মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপি প্রতিনিধি দল

মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপি প্রতিনিধি দল

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আমন্ত্রণে আগামী রবিবার (২২ জুন) চীন সফরে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য সৈয়দ সায়রুল কবীর খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই সফরের জন্য বিএনপিকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছে সিপিসি।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার ও দলীয় পর্যায়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ই এই সফরের মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেন তিনি। সায়রুল কবীর আরও জানান, মির্জা ফখরুলের সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির চার সদস্য— মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এ ছাড়া, চেয়ারপারসনের তিন উপদেষ্টা— জহির উদ্দিন স্বপন, ইসমাইল জাবিউল্লাহ ও অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া এবং দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেলও প্রতিনিধিদলে রয়েছেন।

সফর শুরুর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিনিধিদলটি ঢাকায় চীনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের আমন্ত্রণে চীনা দূতাবাসে সাক্ষাৎ করে বলেও জানান তিনি।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিবেচিত চীনের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক গভীর করার প্রত্যাশারই প্রতিফলনই এই সফর। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে বেইজিংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।

এদিকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপিকে একটি ‘প্রতীক্ষমাণ সরকার’ হিসেবে বিবেচনা করছেন অনেক পর্যবেক্ষক, যার অপেক্ষা চলছে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত।

এই সফরকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চীনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেখছেন বিএনপি নেতারা। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর চীন বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়িয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিএনপি, সদ্য-গঠিত এনসিপি ও কিছু ইসলামপন্থী দল।

এর আগে, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে আটটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে গঠিত একটি ২১ সদস্যের ‘অনন্য’ প্রতিনিধিদল ১১ দিনের সফরে চীন যায়।

ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। চীনা কর্তৃপক্ষ জানায়, গত আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে বহুদলীয় সম্পর্ক জোরদারের কৌশলের অংশ হিসেবেই এই সফর আয়োজন করা হয়।

১১ দিনের সফরে প্রতিনিধিদলটি বেইজিং, শানশি এবং ইউনান প্রদেশে সিপিসির কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Consensus Commission The exclusion of the first days meeting was the symbolic protest of Jamaat

ঐকমত্য কমিশন: প্রথম দিনের বৈঠক বর্জন ছিল জামায়াতের ‘প্রতীকী প্রতিবাদ’

ঐকমত্য কমিশন: প্রথম দিনের বৈঠক বর্জন ছিল জামায়াতের ‘প্রতীকী প্রতিবাদ’

দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের প্রথম দিন কেন অংশ নেয়নি জামায়াতে ইসলামী, সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ‘এটা ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ।’

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু হয়। এর আগে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় আলোচনায় যোগ দেয়নি জামায়াতে ইসলামী।

গতকালের বৈঠকে কেন অংশ নেননি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লন্ডন সফরের কিছু কিছু বিষয়ে আমরা আপত্তি জানিয়ে ও প্রশ্ন করে আমরা একটি বিবৃতি দিয়েছি। সেটি হচ্ছে তার লন্ডন সফরের বিষয়ে আমাদের আনুষ্ঠানিক অবস্থান। এটা আমাদের সংগঠনের সর্বোচ্চ নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

‘প্রধান উপদেষ্টা লন্ডন গিয়েছিলেন পুরস্কার আনতে ও পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে। পাশাপাশি, বিএনপির ভারপ্রাপ্তপ্রধানের (তারেক রহমান) সঙ্গে লন্ডনে তার বৈঠক হয়েছে। সেটিকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে তিনি যে কথা বলেছিলেন, সে বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কারণ আমরা ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচন চেয়েছিলাম।’

জামায়াতের আপত্তির কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন যে শর্তসাপেক্ষে ফেব্রুয়ারির কথা বলা হয়েছে, সেটাও আমাদের প্রস্তাবের মধ্যে আছে। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হলো—প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ দিয়েছেন, সেখানে তিনি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। এখানে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যদি কোনো পরিবর্তন হয়, সেটা হতে পারে। বিএনপির দাবি ছিল—আলোচনা করে যদি মনে করেন, নির্বাচন তারিখ পরিবর্তন হতে পারে, সেটা নিয়ে আপত্তি নেই। যেহেতু তিনি টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে অঙ্গীকার করেছেন, বাংলাদেশে এসে আবার কথাবার্তা বলে পুনর্বিবেচনা করতে পারতেন। কিন্তু সেটা তিনি করেননি।’

‘একটি দলের প্রতিনিধির সঙ্গে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন—যেটা আমাদের অবাক করেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এটির আর কোনো উদহারণ খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিভিন্ন দেশে প্রধান বিরোধী দল কিংবা পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করা বিভিন্ন দলের সাথে বৈঠক হয়। কারণ, তারা তখন একটা স্ট্যাটাস পায়। বাংলাদেশে শতাধিক রাজনৈতিক দল আছে। এখন প্রধান উপদেষ্টা যার সঙ্গে কথা বলবেন, তার সঙ্গে কী একটি যৌথ বিবৃতি দেবেন? এটা বাংলাদেশে নজিরবিহীন। এটা সঠিক ছিল না। এতে বাকি সব দল যেমন বিব্রত হয়েছে, আমরাও তেমনটি অনুভব করছি।’

যৌথ সংবাদ সম্মেলন ও বিবৃতিতে আপত্তি জামায়াতের

একটি দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যৌথ বিবৃতি ও সংবাদ সম্মেলন নিয়েই জামায়াতের আপত্তি ছিলে বলে জানিয়েছেন সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ‘কেবল জামায়াতে ইসলামী না, বাকি সব দলও বিব্রত হয়েছে। যৌথ বিবৃতি ও যৌথ সংবাদ সম্মেলন—এখানেই আমাদের আপত্তি। বিএনপির বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।’

‘এতে আমাদের মনে হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। আর এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে যে সংস্কার কমিশন আছে, তাতে তারা খুব বেশি অগ্রসর হতে পারবে না। এটা অনেকটা পর্বতের মুষিক প্রসব করার মতো হবে। কার্যকারিতা হারাবে। সেখানে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে আমরা গতকাল আসিনি।’

অন্তর্বর্তী সরকার থেকে জামায়াতের সাথে যোগাযোগ

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী যে মান-অভিমান করেছে, তা ভাঙাতে দলটির আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে তারা আস্বস্ত হয়ে দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে এসে অংশ নিয়েছেন।

এমন তথ্য দিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমীর বলেন, ‘এরমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। গতকাল দুপুরে আমাদের আমীরে জামায়াতের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। আমরা আমাদের কথা বলেছি, তিনি কিছুটা বুঝতে পেরেছেন—আশ্বস্ত করেছেন, তার সরকার নিরপেক্ষ থাকবে। কোনো বিশেষ দল বা গোষ্ঠীর প্রতি তারা অনুরক্ত না। আগামীতে এ বিষয়ে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ভূমিকা পালন করবেন ও বিষয়ে আরও যত্নবান হবেন।’

‘সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এখানে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা অচলাবস্থা চাই না, সবসময় অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করেছি। কিন্তু কোনো কিছুর ব্যত্যয় হলে আমাদের কথা বলতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।

যেসব দল ক্ষমতায় যেতে পারছে না, নির্বাহী ক্ষমতা বিভক্ত করে তারা সরকারের হাত-পা বেঁধে দিতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোন দল ক্ষমতায় যেতে পারবে, কোন দল পারবে না; জাতীয় স্বার্থের ক্ষেত্রে সেসব দেখা উচিত না। দেশের জন্য যেটা ভালো হবে, সেটা হওয়া উচিত।’

নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যদি কঠোর না হয়, তাহলে আরেকটি শেখ হাসিনামার্কা নির্বাচন এ দেশকে রক্ষা করতে পারবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সংযত হতে বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে

‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়ে গেছে, আমরা প্রস্তুত আছি,’—স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এমন মন্তব্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কী, সেটা তিনি (উপদেষ্টা) বোঝেননি। যিনি একটি ভবনের তালা খোলার ব্যবস্থা করতে পারেননি একমাসেও, ৩০০টি আসনের আইনশৃঙ্খলা তিনি কীভাবে রক্ষা করবেন, সেটা বিস্ময়ের বিষয়।’

‘আমি তাকে সংযতভাবে কথা বলার অনুরোধ করছি। পাশাপাশি, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডও বোঝার চেষ্টা করার অনুরোধ করছে বলে মন্তব্য করেন জামায়াতে এই নায়েবে আমীর।

নারীদের জন্য ১০০ আসন নিয়ে জামায়াতের কোনো আপত্তি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেটা সংখ্যানুপাতিক হারে হতে হবে। আগে সেটা সমাধান না করে এ বিষয়ে কথা বলার কিছু নেই।’

এনসিসি গঠনের বিষয়ে একমত

এদিকে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হওয়ার কথা জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির এই নেতা বলেন, ‘আমরা নীতিগতভাবে বলছি, আমরা এনসিসির পক্ষে। এমন একটি সাংবিধানিক ভারসাম্যপূর্ণ কমিটি বা প্রতিষ্ঠান থাকা উচিত, তারা সাংবিধানিক ও বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের বিষয়ে ভূমিকা রাখবে।’

‘সেখানে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা থাকবেন, স্পিকার ও উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের (যদি হয়) ডেপুটি স্পিকার থাকবেন। এমন একটি কাঠামোর বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘তাদের মূলপ্রস্তাব ছিল, সেখানে প্রেসিডেন্ট ও প্রধান বিচারপতি থাকবেন। কিন্তু এ বিষয়ে আমরা আপত্তি করেছি এই জন্য যে একজন দেশের অভিভাবক হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন, আরেকজন বিচারবিভাগীয় প্রধান। কাজেই তাদের এই কমিটিতে নিয়ে এলে এখানে যদি কোনো বিরোধ তৈরি হয়, তাহলে সেটা মীমাংসা করার আর কোনো সংস্থা থাকে না।

‘সেকারণে আমরা বলেছি, প্রেসিডেন্ট ও প্রধান বিচারপতিকে বাদ রেখে একটিকে গঠন করার কথা। অনেকে এদিক-ওদিক বলেছেন। কিন্তু প্রায় দুয়েকটি দল ছাড়া বাকি সবাই এনসিসি গঠনের বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছি। পাশাপাশি, তিন বাহিনীর প্রধানদেরও এটির বাইরে থাকা ভালো বলে মনে করে জামায়াতে ইসলামী,’ বলেন তাহের।

এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আজাদ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jamaat did not join the consensus commission discussion

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় যোগ দেয়নি জামায়াত

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় যোগ দেয়নি জামায়াত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় যোগ দেয়নি জামায়েতে ইসলামীর কোনো প্রতিনিধি। বিএনপি ও এনসিপির মাঝে জামায়াতের জন্য সংরক্ষিত আসনটি মধ্যাহ্নভোজের আগ পর্যন্ত ছিল ফাঁকা।

জামায়াতের আলোচনায় যোগ না দেয়ায় নানা রাজনৈতিক দল নানা মত দিয়েছেন। অনেকে বলছেন, কমিশনের বেশ কয়েকটি বিষয়ে জামায়াতের বনিবনা না হওয়ায় মঙ্গলবারের আলোচনায় তারা যোগ দেননি।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘কেন জামায়াত আলোচনায় যোগ দেয়নি সেই উত্তর কমিশনই ভালো দিতে পারবে।’

জামায়াতের আলোচনায় যোগ না দেয়া প্রসঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমরা যতদূর জানি জামায়াত আজকের বৈঠক প্রতীকী বয়কট করেছে। ঐকমত্য কমিশনের আজকের আলোচ্য বেশ কয়েকটি বিষয়ে জামায়াত হয়তো একমত হতে পারেনি। তাই আলোচনায় অংশ নেয়নি।’

জামায়াতের আলোচনায় যোগ না দেয়া প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল হিসেবে আজকের আলোচনায় জামায়াতের থাকা উচিত ছিল। তারা এই আলোচনা বয়কট করেছে কিনা সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু জানায়নি। যদি মধ্যাহ্নভোজের পরেও জামায়াত আলোচনায় না আসে তাহলে পুরো ব্যাপারটি বোঝা যাবে।’

ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আদর্শিক জায়গা থেকে আমরা বেশিরভাগ বিষয়েই একমত হয়েছি। কিন্তু নারীদের জন্য আলাদা করে সংরক্ষিত ১০০ আসন রাখার প্রয়োজন দেখি না। নারীর ক্ষমতায়ন আমরাও চাই, কিন্তু কোনো বৈষম্যমূলক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে না।’

বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল মনে করছে, নারী আসনসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে মতানৈক্য হওয়ায় আলোচনার প্রথম পর্যায়ে জামায়াত যোগ দেয়নি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Opposition Party of Chairman of Four Standing Committee in Parliament Salahuddin

সংসদে চারটি স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদ বিরোধী দলের: সালাহউদ্দিন

সংসদে চারটি স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদ বিরোধী দলের: সালাহউদ্দিন

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ের সভার মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে সাংবাদিকদের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী জাতীয় সংসদে ৫০টি স্থায়ী কমিটির মধ্যে চারটি বিরোধী দলের জন্য ধার্য হয়েছে এবং সব রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে একমত।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মঙ্গলবারের (১৭ জুন) সভায় চারটি গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় স্থায়ী কমিটি পাবলিক অ্যাকাউন্ট, প্রিভিলেজ, ইস্টিমেশন এবং পাবলিক আন্ডারটেকিং কমিটির সভাপতি পদ বিরোধী দল থেকে দেওয়ার সিদ্ধান্তে সবাই একমত বলে জানিয়েছে তিনি।

বাকি স্থায়ী কমিটি প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘শুধু এই চারটি কমিটি না, সংখ্যাধিক্যের ভিত্তিতে বাকি কমিটিতেও আনুপাতিক হারে বিরোধীদলের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকবে।’

‘এছাড়া সংবিধানের ৭০ নং অনুচ্ছেদ যেখানে নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলে সদস্য পদ বাতিলের বিধান আছে, সে বিষয়ে আস্থা ভোট এবং অর্থ বিল বাদে অন্য কোনো বিষয়ে ভোটদানে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে সবাই একমত,’ বলেন তিনি।

তবে বিএনপির পক্ষ থেকে যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং জাতীয় নিরাপত্তা এই দুই বিষয়েও দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া যাবে না এমন মত দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে এই দুই বিষয়ে অটল থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা নির্বাচিত হলে ৭০নং অনুচ্ছেদে এ দুটি বিষয়ও যুক্ত করা হবে।’

নারীদের ১০০ সংরক্ষিত আসন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই এ বিষয়ে একমত। তবে নির্বাচন পদ্ধতি কেমন হবে তা নিয়ে মতানৈক্য আছে। আশা করছি, আজকের আলোচনা শেষে এ বিষয়ে সমাধানে আসা যাবে ‘

এছাড়া জুলাই সনদের পাশাপাশি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের আলাদা আলাদা ইশতেহার গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির এ নেতা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Fakhrul calls for the interim government to rewrite the election schedule

অন্তবর্তী সরকারকে নির্বাচনের সময়সূচি পুনঃবিবেচনার আহ্বান ফখরুলের

অন্তবর্তী সরকারকে নির্বাচনের সময়সূচি পুনঃবিবেচনার আহ্বান ফখরুলের

এপ্রিল মাসকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় নয় উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারকে সময়সূচি পুনঃবিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকার বাস্তবতার ভিত্তিতে এই বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করবে।’

আজ মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এখনো (এপ্রিলের প্রথম দিকে নির্বাচন) নিয়ে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। আমরা আশা করি, সরকার এই বিষয়টি বাস্তবতার আলোকে বিবেচনা করবে।’

অন্তবর্তী সরকার যে সময়ে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে, তা সঠিক নয় বলেও দাবি এই বিএনপি নেতার।

ফখরুল বলেন, ‘আমরা প্রথম দিনই বলেছি যে, এই সময় নির্বাচনের জন্য ভালো নয়। রমজান মাস শেষ হবে, ঈদ হয়ে যাবে, তারপর কয়েকদিন পর নির্বাচন হবে। একটু ভাবুন, রমজান মাস জুড়ে প্রার্থী এবং রাজনৈতিক কর্মীরা কী ধরনের পরিস্থিতিতে পড়বেন।’

ফখরুল আরও বলেন, তিনি এখন থেকেই চিন্তিত যে প্রতিদিন ইফতার পার্টি আয়োজন করতে হবে, যা নির্বাচনী ব্যয় বাড়িয়ে দ্বিগুণ করবে।

তিনি রমজান মাসে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অসুবিধাগুলো তুলে ধরে বলেন, বিশেষত তীব্র গরম এবং বৃষ্টিপাত বা ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।

এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, তীব্র গরমের কারণে নির্বাচনী সমাবেশের জন্য লোকজন জড়ো করা সম্ভব হবে না। ‘কর্মসূচিগুলো রাতের দিকে নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, অতীতে দুটি বিতর্কিত নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশে প্রায় সব জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দল বলেছে যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব, এবং আমরা দৃঢ় বিশ্বাস করি যে এটি একটি বাস্তবসম্মত বিকল্প।’

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিএনপি যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, কারণ এটি নির্বাচনমুখী দল। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিপ্লবী দল না, আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চাই।’

ফখরুল বিএনপির সংস্কার না করার যে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে, তা খণ্ডন করে বলেন, ‘এটা মিথ্যা প্রচারণা।’

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, বিএনপি প্রথম দল হিসেবে ভিশন-২০৩০ কর্মসূচি তুলে ধরে এবং গণঅভ্যুত্থানের আগেই ৩১ দফা সংস্কারের খসড়া উপস্থাপন করেছিল।

ফখরুল সকল রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্মীদের জাতিকে বিভক্ত না করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘দেশ একটি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ: আমরা গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাই এবং আমরা চাই দেশটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিচালিত হোক। আমরা ভোট দিতে চাই, আমাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করতে চাই এবং সংস্কার দেখতে চাই। সুতরাং, অযথা বিভেদ সৃষ্টি করবেন না।’

ফখরুল সতর্ক করে বলেন, দেশে কোনো ধরনের বিভেদ সৃষ্টি হলে তা বিদেশি শক্তি এবং ষড়যন্ত্রকারীদের দেশের ক্ষতি করার সুযোগ করে দেবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Yunus Tarek meeting is the main event of politics right now Fakhrul

ইউনূস-তারেক বৈঠক এই মুহূর্তে রাজনীতির প্রধান ইভেন্ট: ফখরুল

ইউনূস-তারেক বৈঠক এই মুহূর্তে রাজনীতির প্রধান ইভেন্ট: ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠক রাজনীতিতে এই মুহূর্তে প্রধান ইভেন্ট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে এই বৈঠকের গুরুত্ব অনেক বেশি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবেও এই ইভেন্টের গুরুত্ব অনেক বেশি। তাদের সাক্ষাতের মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ বৈঠকের মাধ্যমে রাজনীতির নতুন ডাইমেনশন সৃষ্টি হতে পারে। অর্থাৎ অনেক কিছুর সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। এখন এটা নির্ভর করবে আমাদের নেতারা সেটাকে কীভাবে নেবেন। বিএনপির পক্ষ থেকে তারেক রহমানকে সম্পূর্ণ এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। এই সাক্ষাৎকারে তার সাফল্য প্রার্থনা করছি।

বৈঠকের সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা না থাকলেও আগামী নির্বাচনের তারিখ নিয়ে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা এর মাধ্যমে সমাধান হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে ক্ষমতায় এসেছে। আমরা তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছি। তাদের যথেষ্ট রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই। তবে, তারা প্রত্যেকে নিজ-নিজ সেক্টরে যথেষ্ট অভিজ্ঞ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP wants elections next December

আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় বিএনপি

আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় বিএনপি

আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে বলে জাতীর উদ্দেশ‌্যে দেওয়া এক ভাষণে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ঘোষণা গোটা জাতিকে হতাশ করেছে বলে অভিহিত করে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ‌্যেই নির্বাচনের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেছে বিএনপি।

শনিবার (৭ জুন) সকালে দেওয়া এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেছে দলটি।

বিবৃতিতে বিএনপি জানায়, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্রসমাজ ও জনতার বিপুল ত্যাগের মধ্য দিয়ে জনগণের বিজয় অর্জিত হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন আয়োজনের অযৌক্তিক বিলম্ব জনগণকে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে।’

এ সময় রমজান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষা এবং আবহাওয়া পরিস্থিতি ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করে বিএনপি।

এর আগে, শুক্রবার (৬ জুন) রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকে বসে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম। বৈঠকের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে বিবৃতিটি দেওয়া হয়।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের বিষয়বস্তু বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হয়। সেখানে এই ঘোষণা দীর্ঘ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করেছে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রায় দেড় দশক ধরে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত এ দেশের জনগণ। বারবার গুম, হত্যা, কারাবরণ, হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েও তারা ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।’

ঐকমত্য গঠনের কথা বললেও অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজেদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে মন্তব‌্য করেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।

তারা বলেন, ‘এ কারণে বৈঠকে মনে করে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কি না; তা নিয়ে জনগণ উদ্বিগ্ন হওয়াই স্বাভাবিক।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভাষ‌্যে, এপ্রিলের শুরুতে নির্বাচন দিলে তা আবহাওয়াজনিত জটিলতা ও রমজান মাসে প্রচার-প্রচারণা ও নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে, যা পরবর্তীতে নির্বাচনের সময়সূচি পেছানোর অজুহাত হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয়— এমন কোনো সুস্পষ্ট যুক্তি উপস্থাপন করা হয়নি।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আরও বলা হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাণী দেওয়ার কথা থাকলেও প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য এক পর্যায়ে জাতির উদ্দেশ্য ভাষণে রূপ নেয়।

দীর্ঘ ওই ভাষণে অধ্যাপক ইউনূস নিজেই স্বীকার করেছেন বন্দর ও করিডর ইস্য অন্তবর্তী সরকারের তিনটি নির্দিষ্ট দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।

এ ছাড়াও ওই ভাষণে ব্যবহৃত কিছু শব্দ রাজনৈতিক সৌজন্যের সীমা অতিক্রম করেছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির নেতারা।

মন্তব্য

p
উপরে