× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Peoples Rights Council is waiting for BNPs proposal
google_news print-icon

বিএনপির প্রস্তাবের অপেক্ষায় গণ অধিকার পরিষদ

বিএনপির-প্রস্তাবের-অপেক্ষায়-গণ-অধিকার-পরিষদ
গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া। ছবি: নিউজবাংলা
বিএনপি কোনো প্রস্তাব দিলে কী করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘প্রস্তাব পেলে আমরা অবশ্যই খুবই ইতিবাচকভাবে বিষয়টি দেখব। কারণ এই সরকারকে হটানো দরকার এবং একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা দরকার। এ বিষয়ে আমরা সবাই একমত। বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের মতবিরোধ থাকতে পারে, তবে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব ইনশাআল্লাহ।’

আওয়ামী লীগ সরকারকে হঠাতে আন্দোলনের জন্য বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে আগ্রহী নতুন রাজনৈতিক দল গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া। তিনি মনে করেন, এই প্রস্তাব শিগগিরই আসবে। তারা খুবই ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবেন তা।

আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াপুত্র বলেছেন, বর্তমান সরকারকে হটাতে সব শক্তির এক হতে হবে। এ জন্য বিদেশি সহায়তা লাগলেও সেটি নিতে আপত্তি নেই।

নিউজবাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন রেজা কিবরিয়া।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণফোরামে যোগ দেন রেজা। পরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হয়ে হবিগঞ্জের একটি আসনে ভোটে লড়ে হেরে যান তিনি। সে সময় তাকে নিয়ে গণফোরামে বিভক্তি তৈরি হয়।

পরে রেজা কিবরিয়া সেই দল থেকে বের হয়ে যোগ দেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের গণ অধিকার পরিষদে। দলটির আহ্বায়ক তিনি।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখনও ‘নবীন’ রেজা মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দিন ফুরিয়ে এসেছে। আগামীতে যে সরকার গঠন হতে যাচ্ছে, তাতে আওয়ামী লীগের থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই।

তার দাবি, র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞাই শেষ নয়। আরও নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির বিভিন্ন দপ্তরে থাকা তার সাবেক সহকর্মীদের কাছ থেকে এই তথ্য জেনেছেন তিনি।

আপনি এ দেশে সরকার হটাতে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর সহায়তার কথা বলেছেন। এটা কি বিদেশি হস্তক্ষেপের মতো ব্যাপার হয়ে গেল না?

একাত্তরে আপনি যদি একটু খেয়াল করেন, বিদেশি হস্তক্ষেপের কথায় তো কারও আপত্তি ছিল না। আমাদের দেশে এখনও এমন শক্তি নেই যারা নিজেদের গণতান্ত্রিক অবকাঠামো নিজেরা রক্ষা করবে। তা ছাড়া আমরা এখনও বিদেশের ওপরে নির্ভরশীল অর্থনৈতিকভাবে। এটা অস্বীকার করে কোনো লাভ নেই। আমরা অনেক ধনী হয়ে গেছি, কানাডা হয়ে গেছি, সিঙ্গাপুর হয়ে গেছি, এ ধরনের বাজে কথা না বলে বলা উচিত এখনও বাইরের রাষ্ট্রের ওপর আমরা বিভিন্নভাবে নির্ভরশীল। দেশে সমস্যা আছে। অনেক বছরে এগুলো ঠিক করতে পারিনি। এখন দেখা যাক কী করা যায়।

আপনাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী থাকবে?

আমাদের মধ্যে প্রথম চয়েজ, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার, বিএনপির নেতারা যে প্রস্তাবটি দিয়েছেন। কারণ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ওটা একটা পরীক্ষিত পদ্ধতি। এটা যদি না মানেন তাহলে আমরা আরও দুটি পছন্দ দিলাম। একটা হলো জাতীয় সরকার। সেখানে সব দলের মানুষ থাকবে। তারা আরও দেড়-দুই বছর প্রস্তুতি নিতে পারে। কারণ নির্বাচনে প্রস্তুতির ব্যাপার আছে। সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে একটু সময় লাগে।

তৃতীয় পছন্দ হলো জাতিসংঘের আওতায় নির্বাচন। যে দেশে নির্বাচনের সব ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যায়, সেখানে জাতিসংঘের একটা ভূমিকা পালন করার সুযোগ থাকে। কিন্তু এটা প্রথম পছন্দ নয়। এটা একটি সম্ভাবনা।

আপনারা বলছেন দেশের জনগণ আপনাদের সঙ্গে আছে। তাহলে বিদেশি শক্তির দ্বারস্থ কেন হতে হচ্ছে? জনগণের শক্তির ওপর আপনাদের আস্থা নেই?

এ ধরনের অত্যাচারী সরকারের সামনে দাঁড়ানো এত সহজ না। মানুষকে গুম, হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন করা হচ্ছে। হিটলারের সময় দেখেন, খুব বেশি লোক কিন্তু তার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামত না। সাদ্দাম হোসেনের সময়ও একই অবস্থা। চোচেস্কুর সময় রোমানিয়াতে মানুষ রাস্তায় নামত না, ঘৃণিত সরকার ছিল, কিন্তু লোকে নামত না।

এই সরকারও ঘৃণিত, কিন্তু আপনি যদি জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনার ভোটের সংখ্যা কত?’ বলবে, ‘আমরা তো সেটা বলতে পারব না।’

নির্বাচন তো নেই ১২ বছর। সুতরাং যাচাই করা কঠিন। আমরা শুধু সোশ্যাল মিডিয়া, আমাদের মিটিংগুলিতে কত লোক আসে, কত লোক সাপোর্ট করে, সেটা থেকে আন্দাজ করতে পারি।

একটা জিনিস আমি বলতে পারব যে, আওয়ামী লীগের কোনো সম্ভাবনা নেই ক্ষমতায় আসার। কারণ যে বড় কথাটা বলে জোর গলায়, উন্নয়নের জোয়ারে আমরা ডুবে যাচ্ছি, সেটা এটা একেবারে মিথ্যা।

বিএনপির প্রস্তাবের অপেক্ষায় গণ অধিকার পরিষদ

আপনি ও নুরুল হক নুর একটি বিশেষ দেশের দূতাবাসে একাধিকবার আমন্ত্রণ পেয়েছেন এবং সেসব ছবি বেশ ফলাও করে প্রচার করেন। কী বার্তা দিতে চান দেশবাসীকে?

এটা কোনো বিশেষ মেসেজ না। আলোচনা হচ্ছে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে। এটা একটা স্বাভাবিক কার্যক্রম। অনেক দূতাবাস বিভিন্ন দলের লোকের সঙ্গে আলোচনা করে। এটা একটা কমন বিষয়। আমরা অন্য দলের মতো এদের সঙ্গে দেখা করি।

র‌্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর আপনি বলেছেন আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। এটা কীসের ভিত্তিতে বলছেন?

মনে রাখবেন, আমি অনেক বছর আমেরিকায় চাকরি করেছি এবং আইএমএফে চাকরি করতাম। এই নিষেধাজ্ঞাগুলো আসে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট থেকে। আমি আইএমএফে যখন চাকরি করতাম, আমেরিকাতে যারা কর্মচারী ছিল, তাদের অনেকে আইএমএফ ছেড়ে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টে কাজ করে। অনেককে চিনি। এতটুকু বললাম।

এই সম্পর্কটা ১৬ বছরের সম্পর্ক। আপনার যদি পুরোনো কলিগ থাকত, আপনিও টুকটাক কিছু খবর পেতেন। আমি কোনো লিস্ট পাইনি স্বীকার করব, কোনো ডেটও পাইনি এবং কোনো সংখ্যা পাইনি। অবশ্য আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখেছি, বিভিন্ন লোক একেবারে নির্দিষ্ট সংখ্যা বলে দেয়। আমার এত তথ্য নেই। আমি শুধু জানি, আরও নিষেধাজ্ঞা আসবে।

কী ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে জেনেছেন?

এখন পর্যন্ত যে নিষেধাজ্ঞা আসছে, সেটা হলো যারা কারও আদেশ পালন করেছে তাদের ওপর, কিন্তু যে আদেশ দিয়েছে, তার ওপরে নিষেধাজ্ঞা এখনও পড়েনি। এগুলো সামনে আসবে।

বিএনপির প্রসঙ্গে আসা যাক। দলটি জোট বড় করে এক দফা আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে পত্রিকায় খবর প্রকাশ হয়েছে। এই জোটে যেতে আপনাদের কোনো প্রস্তাব কি দেয়া হয়েছে? যদি হয়ে থাকে, তাহলে আপনাদের মনোভাব কী? আর যদি ভবিষ্যতে প্রস্তাব পান, তাহলে কী সিদ্ধান্ত নেবেন?

এখন পর্যন্ত দেয়নি, কিন্তু এটা শিগগিরই হবে। সাংবাদিকদের থেকে শোনা যাচ্ছে, এই আলোচনাগুলো কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হবে, তবে আজকে পর্যন্ত (সোমবার) আসেনি। কয়েক দিনের মধ্যে প্রস্তাব চলে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।

প্রস্তাব পেলে আমরা অবশ্যই খুবই ইতিবাচকভাবে বিষয়টি দেখব। কারণ এই সরকারকে হটানো দরকার এবং একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা দরকার। এ বিষয়ে আমরা সবাই একমত। বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের মতবিরোধ থাকতে পারে, তবে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব ইনশাআল্লাহ।

আপনারা দল গঠন করলেন বেশ কিছু দিন হলো। নানা কর্মসূচিও দিচ্ছেন। এতে তরুণদের বেশ ভালো অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে। তো সংগঠন কতটুকু বড় হলো? উপজেলা ও জেলাগুলোতে কি কমিটিগুলো গঠন করা গেল?

এই সংগঠনটি অন্য সংগঠনের থেকে ভিন্ন। এটা প্রথম দিন থেকেই কিন্তু বেশ শক্তিশালী ছিল। কারণ আগের যে অঙ্গ সংগঠনগুলো, সারা দেশে এগুলোর প্রচার হচ্ছিল। বিশেষ করে আমাদের ছাত্র অধিকার পরিষদের সব জেলায় মোটামুটি সংগঠন আছে।

যুব অধিকার পরিষদে প্রত্যেক জেলায় কমিটি আছে; উপজেলা পর্যন্ত আছে। কিছু জায়গায় ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন পর্যন্ত কমিটি আছে। ওয়ার্ড লেভেলে যখন ১০০ জনের কমিটি থাকে, তখন আপনি বুঝতে পারেন যে, দলটা অলরেডি সংগঠিত। এটা আছে।

আমাদের গণ অধিকার পরিষদের কমিটিগুলো এখনও ফাইনাল হয়নি। সেগুলোতে অন্য কমিটি থেকে কিছু লোক জয়েন করবে। আর কিছু সিনিয়র লোক জয়েন করবে। ধরুন কলেজের অধ্যক্ষ, যারা উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন, যারা এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, এ ধরনের মানুষ।

যাদের ওপর সরকার প্রভাব ফেলতে পারে, তারা তো এই মুহূর্তে জয়েন করবে না। তাদের স্ত্রীর চাকরি চলে যেতে পারে, ছেলে-মেয়েদের অসুবিধা করতে পারে, হুমকি দিতে পারে। এ ছাড়া অনেক লোক এখন সাহস করে নামছে। বিশেষ করে এই নিষেধাজ্ঞা (আমেরিকার) আসায় তারা বুঝতে পেরেছে যে, এদের (সরকার) দিন প্রায় শেষ।

আপনারা নির্বাচন কমিশনে এখনও নিবন্ধিত না। নিবন্ধন না পেলে আগামী নির্বাচন কীভাবে করবেন?

নিবন্ধনের যে শর্ত আছে, আমরা সেগুলো পালন করতে পারব। সে ব্যাপারে কোনো চিন্তা নেই। আমরা এটা জমা দিলেই ইনশাআল্লাহ পাব। না হলে তখন পরিস্থিতি দেখা যাবে। আমার মনে হয়, নিবন্ধন না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা যদি শর্ত পালন করি, তারপরে না হলে আইনের আশ্রয় নেব।

আপনারা সরকারকে খুবই আক্রমণ করে কথা বলেন। সরকারপ্রধানের পক্ষ থেকে আপনাদের স্বাধীনভাবে কর্মসূচি পালন করতে দিতে বলা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে এসেছে। কেউ কেউ বলে থাকেন, সরকারের সঙ্গে আসলে আপনাদের যোগাযোগ আছে।

উনি (সরকার প্রধান) যে ওই কথাটা বললেন, তার দুই দিন পরে ময়মনসিংহে ছাত্রলীগের ছেলেরা আক্রমণ করেছে আমাদের ছেলে-মেয়েদের ওপরে। অনেক লোক আহতও হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দুটি সম্ভাবনা আছে, হয় উনি সত্যি কথা বলেন না; দ্বিতীয়টা হলো, ছাত্রলীগের ওপর উনার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।

যে জিনিসটাই হোক, ছাত্রলীগ এখনও আক্রমণ করে। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে যখন মিটিং হয়, বড় মিটিং হয়। ছাত্রলীগের চেয়ে অনেক বড় সমাবেশ হলে তারা ঘাবড়ে যায়, আক্রমণ করে।

আমার ওপরে তো একবার শারীরিক আক্রমণ হয়েছে। আর ২০ বার আমাদের ভিপি নুরের ওপরে আক্রমণ হয়েছে। নুরের ওপর যে আক্রমণ হয়েছে, এত আদর বোধ হয় না করলেই ভালো।

মেয়েদের ওপরও হামলা হচ্ছে মিছিলে। অনেক ধরনের আক্রমণ হয়েছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাবেক নেতা হিসেবে এই জোটের ভবিষ্যৎ কী মনে হয়?

আমরা মনে হয় নতুন কোনো ধরন দেখবেন। নতুন একটা কাঠামো তৈরি হতে পারে। আর ঐক্যফ্রন্টের ভেতরে কিছু মানুষ ছিল যারা সরকারি দলের গোয়েন্দা বা গুপ্তচর, তবে আমাদের যদি নতুন যে কাঠামো হয়, সেখানে আমরা এটা অ্যাভয়েড করব।

বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আপনাদের একটি বড় অভিযোগ মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। কোন কথাটা বলতে চান, কিন্তু বলতে পারেন না?

কোন কারণে কোন কথার জন্য আপনার বিরুদ্ধে কখন অ্যাকশন নেবে আপনি তো জানেন না। বিষয়টি আসলে পুলিশি রাষ্ট্রের মতো, সরকারের মর্জির ওপরে দেশ চলে। আইনের শাসনে আর চলে না।

আপনি নিজের সমালোচনা সহ্য করেন?

আশা করি আমি পারি। এটা একটা কঠিন প্রশ্ন। এটা প্রত্যকের মানসিকতার ওপর নির্ভর করে। আমি তো সে রকম ক্ষমতায় সরাসরি কোনোদিন ছিলাম না। সমালোচনা করলে খারাপ লাগে, কিন্তু আমি এটা নিয়ে অনেক চিন্তা করেছি। আমি চেষ্টা করেছি, নিজেকে তৈরি করতে যে, আমরা যখন ক্ষমতায় যাব, তখন আপনি এসে প্রশ্ন করবেন, সমালোচনা করবেন, এটা সহ্য করব।

আমি এটা থেকে সুবিধা নিতে চেষ্টা করব। আপনি সমালোচনা করছেন, কী ব্যাপারে করছেন, নিশ্চয়ই কোনো একটা গ্রুপ আছে যারা আমাদের সরকারের কাজে অসন্তুষ্ট। তখন আমি এটা ঠিক করতে চেষ্টা করব।

আপনার সমালোচনাটা আমি ব্যবহার করব সরকারকে আরও শক্তিশালী করতে। ক্ষেপে যাওয়ার আগে আপনার কাছ থেকে জানতে চেষ্টা করব, জনগণ কেন ক্ষেপে গেছে। অন্যরা জনগণের মধ্যে ভয় ঢোকায়; আমরা জনগণকে ভয় করব, তবে সবাইকে রাজনীতিতে খুশি করা যায় না।

এ বিষয়টি আমি বলতে পারব ক্ষমতায় যাওয়ার পর। তখন একই প্রশ্নটা করবেন। তখন আমাকে এই প্রশ্নটা করলে উত্তর দিতে পারব।

যদি এই সাক্ষাৎকারের উপস্থাপনা আপনার মনঃপুত না হয়, তাহলে কি রাগ করবেন?

বকাঝকা, গালিগালাজ করলে একটু তো অসন্তুষ্ট হবই, তবে কঠিন প্রশ্ন করলে আমার রাগ করার কিছু নাই। কঠিন প্রশ্ন ফেস করার জন্য আমি যদি রাজি না থাকি, আমার চামড়া যদি পাতলা হয়, তাহলে আমার তো রাজনীতিতে আসা উচিত না।

এর আগে আমরা আপনার একটি সাক্ষাৎকার ছেপেছিলাম। শিরোনাম আপনার পছন্দ হয়নি, আপনি তখন রিপোর্টারকে ফোন করেছিলেন।

জাস্ট পরে আমি জিনিসটা বুঝলাম। শিরোনামটা আপনারা দিয়েছেন, যেন সবার নজর লাগে। আমি জিনিসটা কিছুটা আন্দাজ করেছি, কী কারণে করেছেন জিনিসটা।

এটা নিয়ে পাসিং একটা কমেন্ট করেছি। এটা করতে হয়…না, আমার রেগে যাওয়ার কিছু নেই, তবে আমি একটু সারপ্রাইজড হয়েছিলাম। পরে বুঝেছি, দ্যাটস অ্যা টেকনিক ইন বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন:
উন্নয়ন নয়, বিএনপির ভালো লাগে মানুষ হত্যা: নৌমন্ত্রী
‘রাজনীতির চেয়ে সম্প্রীতি বড়’
ন্যায়বিচারে বাধা তৈরি করতে চক্রান্ত হচ্ছে: রিজভী
লবিস্টে ঠেকানো যাবে না সরকারের পতন: শওকত
ভোটে ‘ডাকলেন’ ফখরুল, বহিষ্কার করছেন রিজভী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
BNP leaders meeting with British High Commissioner

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাইকমিশনারের বারিধারার বাসায় যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ দলের তিন নেতা। এ সময় হাইকমিশনের রাজনৈতিক শাখার দুজন কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারের সঙ্গে এটাই বিএনপির নেতাদের প্রথম বৈঠক।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাইকমিশনারের বারিধারার বাসায় যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ দলের তিন নেতা। এ সময় হাইকমিশনের রাজনৈতিক শাখার দুজন কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন।

হাইকমিশনারের সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) বৈঠকের কারণ উল্লেখ করে ব্রিটিশ হাইকমিশন লিখেছে, হাইকমিশনার সারাহ কুক আজ (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) রাজনৈতিক কৌশল বুঝতে দলটির নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন।

ওই লেখায় বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের সঙ্গে হাইকমিশনার সারাহ কুকের একটি ছবিও সংযুক্ত করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Awami League sunk their own boat Moin Khan

আওয়ামী লীগ নিজেরাই তাদের নৌকা ডুবিয়েছে: মঈন খান

আওয়ামী লীগ নিজেরাই তাদের নৌকা ডুবিয়েছে: মঈন খান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। ফাইল ছবি
বিএনপির এই বর্ষীয়াণ নেতা বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ছাড়া এবং এই সরকার ও তাদের সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে আমরা যাবো না। তবে গ্রাম-গঞ্জে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কে যাবে কে যাবে না সেটা তো বিএনপি দলীয়ভাবে দেখতে পারে না।’

আওয়ামী লীগ তাদের নৌকা নিজেরাই ডুবিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।

বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক হৃদরোগে আক্তান্ত ডা. পারভেজ রেজা কাকনের শারীরিক খোঁজ-খবর নিতে বৃহস্পতিবার রাজধানীর মগবাজারে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় তিনি অসুস্থ কাকনের শারীরিক ও পারিবারিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।

উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এই বর্ষীয়াণ নেতা বলেন, বাংলাদেশে অতীতে কখনোই স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হয়নি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তা দলীয় প্রতীকে শুরু করেছে।

‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে বর্জনের পর তারা বুঝতে পেরেছে যে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করা হলে দেশের সামাজিক কাঠামোটা ভেঙে যাবে। তারা নিজেদের নৌকা নিজেরাই ডুবিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ছাড়া এবং এই সরকার ও তাদের সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে আমরা যাবো না। তবে গ্রাম-গঞ্জে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কে যাবে কে যাবে না সেটা তো বিএনপি দলীয়ভাবে দেখতে পারে না।’

মঈন খান বলেন, বিরোধী দলকে দমনের জন্য সরকার হামলা-মামলাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। তবে এসব করে ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনেও তারা দেশের মানুষকে ভোট কেন্দ্রে নিতে পারেনি।

‘ভয় দেখিয়ে মানুষকে দমিয়ে রাখতে চায়। দেশের জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ করেছে। তারা ভোট কেন্দ্রে যায়নি। কারণ এই ভোটের ওপর তাদের আস্থা নেই।’

মঈন খান বলেন, ‘দল গোছানো ও সংগঠন পুনর্গঠন করা চলমান প্রক্রিয়া। রাজনীতি কোনো কাপড় নয় যে, সাজিয়ে গুছিয়ে আলনা বা আলমারিতে রাখা যায়। সরকারকে বলবো- প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে আদর্শের রাজনীতিতে ফিরে আসুন। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবো, ইনশাআল্লাহ।’

আরও পড়ুন:
মেজর হাফিজ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও আক্রোশের শিকার: মঈন খান
বাংলাদেশ আজ ডামি সোনার বাংলা: মঈন খান
তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে আ.লীগ সরকার: মঈন খান
নির্বাচনে ৫ শতাংশ ভোট পড়বে কি না, সন্দেহ আছে: মঈন খান
প্রহসনের নির্বাচন করে আ.লীগ ক্ষমতায় টিকতে পারবে না: মঈন খান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Awami League does not want candidates of relatives of ministers and MPs in the upazila

উপজেলায় মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের প্রার্থিতা চায় না আওয়ামী লীগ

উপজেলায় মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের প্রার্থিতা চায় না আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দল চায় মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের নিজ পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনরা যেন এই নির্বাচনে অংশ না নেন। আজ (বৃহস্পতিবার) এক বৈঠকে সাধারণ সম্পাদক বিষয়টি জানান। আমরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও জেলা-উপজেলায় তা জানাতে শুরু করেছি।’

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে কড়া নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

বৃহস্পতিবার দলটির এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এরপর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের মাধ্যমে তা বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে জানিয়ে দেয়া হয়।

বৈঠকে উপস্থিত থাকা নেতাদের একজন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিকভাবে চান উপজেলা নির্বাচন প্রভাবমুক্ত হোক। সে কারণে দল চায় যে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের নিজ পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনরা যেন এই নির্বাচনে অংশ না নেন।’

‘আজ (বৃহস্পতিবার) দলের একটি বৈঠকে সাধারণ সম্পাদক আমাদেরকে বিষয়টি জানান। আমরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং জেলা-উপজেলায় তা জানাতে শুরু করেছি।’

এবার স্বতন্ত্র মডেলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে নিজ নিজ এলাকায় রাজনৈতিক বলয় নিজেদের কব্জায় রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন আওয়ামী লীগের কিছু মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য। দলের হাইকমান্ড এই নির্বাচনে কাউকে সমর্থন না দেয়ার নির্দেশনা দিলেও এসবে কান দিচ্ছেন না তারা।

কোনো কোনো সরকার দলীয় সংসদ সদস্যরা তাদের স্ত্রী, সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনদের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছেন। নিজ দলের প্রভাবশালীদের এমন হস্তক্ষেপে ইতোমধ্যে তৃণমূলে নানামুখী বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে।

দীর্ঘদিন ধরে জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো নিজেদের পরিবারের দখলে রাখার চেষ্টার পাশাপাশি উপজেলায় একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তারা। ভোটের মাঠে স্বজনদের জিতিয়ে আনতে নানামুখী কৌশল অবলম্বন শুরু হয়েছে। এতে তৃণমূলের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়তে শুরু করেছে। এ নিয়ে তৃণমূল আওয়ামী লীগে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ।

দলীয় সূত্র জানায়, দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক নেতারা ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর দুই সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এবং একজন প্রভাবশালী সংসদ সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সন্তান বা নিকটাত্মীয়দের প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকেরা নিজ নিজ বিভাগের মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের দলের এই নির্দেশ জানাতে শুরু করেছেন।

ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক দলীয় ও দলীয় স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দলের হাইকমান্ডের কাছে জমা পড়েছে। অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। কেউ কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করলে তাদেরকে শো-কজ, সতর্কতা, তলবসহ বর্তমান দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে দলের হাইকমান্ডের।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর করার স্বার্থে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদেরকে নিজ পরিবারের সদস্যদের প্রার্থী না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’

বিএনপি ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বর্জন করায় ওই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখাতে দলের নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে উৎসাহ দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তখন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে বিরোধ তৈরি হয়।

জাতীয় নির্বাচনের মাস তিনেকের মাথায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের পছন্দের ব্যক্তিদের প্রার্থী করা নিয়ে দলীয় বিরোধ আরও বেড়ে যাচ্ছে। এর রেশ ইতোমধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় পড়তে শুরু করেছে।

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নিজের ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন কাজ না করার হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। নাটোরে প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিবের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।

এসবের পরিপ্রেক্ষিতে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন। বৈঠকে ওবায়দুল কাদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরকে সারা দেশে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের মধ্যে যাদের স্বজন ও পরিবারের সদস্য নির্বাচন করছেন, সেই তালিকা তৈরির নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, এবার চার পর্বে দেশের ৪৮১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে। ইতোমধ্যে প্রথম ধাপে ১৫২টি ও দ্বিতীয় ধাপে দেশের ১৬১টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরপর ২১ মে হবে দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ।

আরও পড়ুন:
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন
উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির
উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ চান না প্রধানমন্ত্রী
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ১৮৯১ মনোনয়নপত্র দাখিল
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There are 1786 valid candidates in the first phase upazila elections

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন ফাইল ছবি
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে এক হাজর ৭৮৬ জন। মাঠ পর্যায় থেকে পাঠনো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল, আর বৈধতা পেয়েছে এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থীর।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আপিল করা যাবে। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। এরপর প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল এবং ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৮ মে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Summon that candidate in Singra upazila election to EC

সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে সেই প্রার্থীকে ইসিতে তলব

সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে সেই প্রার্থীকে ইসিতে তলব সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লুৎফুল হাবিব। ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, ৮ মে অনুষ্ঠেয় নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাইসহ তিনজনকে অপহরণের সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এ ঘটনায় আপনি লুৎফুল হাবীবকে দায়ী করা হয়েছে। এ বিষয়ে সোমবার ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে কমিশন।

নাটোরের সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধরের অভিযোগে অপর প্রার্থী মো. লুৎফুল হাবিবকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বৃহস্পাতবার অভিযুক্তকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ৮ মে অনুষ্ঠেয় নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাইসহ তিনজনকে অপহরণের সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এ ঘটনায় আপনি লুৎফুল হাবীবকে দায়ী করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে বর্ণিত বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এছাড়া সব জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচিত্র বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।

উল্লেখিত প্রতিবেদন ও পত্রিকান্তে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণ হয়েছে। এরূপ ঘটনার জন্য কেন আপনার প্রার্থিতা বাতিল অথবা আপনার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে বিষয়ে লিখিত জবাবসহ নির্বাচন কমিশনে ২২ এপ্রিল সোমবার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।

উল্লেখ্য, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর নাটোর জেলা নির্বাচন অফিসে গেলে দেলোয়ার হোসেনকে গাড়িতে তুলে নিয়ে আহত অবস্থায় তাকে তার বাড়ির পাশে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।

ভুক্তভোগী প্রার্থীর পরিবার এ ঘটনার জন্য আরেক প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তার সমর্থকদের দায়ী করেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীব তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক। দেলোয়ার হোসেন মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে লুৎফুল হাবীব ছিলেন একক প্রার্থী।

আরও পড়ুন:
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Awami League strict to stop interference of ministers MPs in upazila elections Quader

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর আওয়ামী লীগ: কাদের

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর আওয়ামী লীগ: কাদের 
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের বলেন, দল ও দলের বাইরে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যাতে নির্বাচিত হয় সেটাই আওয়ামী লীগ প্রত্যাশা করে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতারা যাতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে না পারে সেজন্য কঠোর সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচন বিরোধী অবস্থান নেয়ায় ভিন্ন প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগকেও কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করতে হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ এবার দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছে না। দল ও দলের বাইরে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যাতে নির্বাচিত হয় সেটাই আওয়ামী লীগ প্রত্যাশা করে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতারা যাতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কঠোর সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রথম ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। দেশের জনগণ যখন নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে বিএনপি নেতারা তখন বরাবরের ন্যায় দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনি ব্যবস্থাকে বাধ্যগ্রন্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করতে চায়। বিপরীতে আওয়ামী লীগ নির্বাচনি ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে নিরন্তন সংগ্রাম চালিয়ে আসছে।

ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির গণতন্ত্রবিরোধী অপতৎপরতা সম্পর্কে সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের জন্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন ।

ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টে বিএনপি লাগাতারভাবে ষড়যন্ত্র চক্রান্ত ও অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে গণতন্ত্র ও নির্বাচন বানচালের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মেতে উঠেছিল বিএনপি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইতোপূর্বে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি সারাদেশে ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে শত শত নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল। তাদের এই ভয়াবহ সম্মিলিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই বিএনপি নেতারা বিরোধী দল দমনের কথা বলে। সরকার বেপরোয়াভাবে কাউকে কারাগারে পাঠাচ্ছে না। বরং সন্ত্রাস ও সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা আইন ও আদালতের মুখোমুখি হচ্ছে এবং জামিনে মুক্তিও পাচ্ছে।

তিনি বলেন, তবে যারা নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে-জনগণের জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি করেছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে সেসব সন্ত্রাসী ও তাদের গডফাদারদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা ও মহামান্য আদালত যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় নেই, সে যে দলেরই হোক না কেন সন্ত্রাসীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক শিষ্ঠাচারবর্হিভূত বক্তব্য প্রদান করছে। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশে বদ্ধপরিকর। জনগণের ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা করতে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি বরাবরের ন্যায় নির্বাচন ও দেশের গণতন্ত্র বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। সে কারণে জনগণও তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Obaidul Kader speaks more frankly Rizvi

ওবায়দুল কাদের বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী

ওবায়দুল কাদের বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব বিএনপির কাছে তালিকা চেয়ে তারস্বরে চিৎকার করছেন। তিনি কিসের তালিকা চাইছেন? এর আগেও তো তালিকা দেয়া হয়েছিল। আর তালিকা তো তাদের কাছেই রয়েছে। আইন-আদালত, থানা-পুলিশ তো তাদেরই কব্জায়।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বেশি বেশি অবান্তর কথা বলেন বলে মন্তব্য করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেছেন, ওবায়দুল কাদের বিএনপির ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার যে তালিকা চেয়েছেন তা সরকারের কাছেই আছে।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘গণমাধ্যমে দেখেছি, ওবায়দুল কাদের সাহেব বিএনপির কাছে তালিকা চেয়ে তারস্বরে চিৎকার করছেন। তিনি কিসের তালিকা চাইছেন? এর আগেও তো তালিকা দেয়া হয়েছিল। আর তালিকা তো তাদের কাছেই রয়েছে। আইন, আদালত, থানা, পুলিশ তো তাদেরই কব্জায়।

‘ওবায়দুল কাদের সাহেবের স্নায়ু শিথিল, মস্তিষ্ক অলস ও হৃদয় দুর্বল হওয়ার কারণে বেশি বেশি অবান্তর কথা বলেন। সরকার অসংখ্য মানুষকে গুম, খুন ও অপহরণ করেছে। জাতিসংঘ গুমের একটি তালিকা দিয়েছিল। বিনাভোটের সরকার আজ পর্যন্ত তার কোনো জবাব দিতে পারেনি।’

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীসহ সব গুম রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে বলে অভিযোগ করেন দলটির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলীকে গুমের ১২ বছর পূর্ণ হলো আজ (বুধবার)। আজও তাকে ফিরে পাওয়ার অধীর অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন তার স্ত্রী-সন্তান-পরিবারসহ দেশের অগণিত নেতাকর্মী।

‘শেখ হাসিনা সরকারের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর বনানীতে ২ নম্বর সড়কের সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গাড়িচালক আনসার আলীসহ তুলে নিয়ে যায় ইলিয়াস আলীকে। এরপর গাড়িটি পাওয়া গেলেও হদিস মেলেনি তাদের। একথা আজ জনগণের সামনে স্পষ্ট যে, এই ফ্যাসিবাদী সরকারই ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে আপোসহীন সংগ্রাম আর টিপাইমুখ বাঁধ ও সীমান্ত আগ্রাসনের প্রতিবাদে সিলেট অঞ্চলে গড়ে উঠা গণ-আন্দোলনে নেতৃত্বের কারণে ইলিয়াস আলী রাষ্ট্রযন্ত্র ও দেশি-বিদেশি অপশক্তির গাত্রদাহের প্রধান কারণ ছিলেন। ইলিয়াস আলী আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। তার জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক দক্ষতায় ঈর্ষাকাতর সরকার রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে তাকে গুম করেছে।’

তিনি বলেন, ‘যারা অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার তাদেরই অত্যন্ত সচেতনভাবে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে, গুম করা হচ্ছে, আয়নাঘরে আটক করে রাখা হচ্ছে। ভারতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার প্রমাণ অভিনব গুমের শিকার হয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তাকে দুই মাস গুম করে রাখার পর পাচার করা হয় ভারতে। সেখানে তারা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে দেয়।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গুম-খুন-ক্রসফায়ার বাহিনী র‌্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে গুমের মাত্রা কিছুটা কমলেও এখনও গুম হচ্ছে। তবে গুমের প্যাটার্ন চেঞ্জ হচ্ছে। সেটা হলো আগে যারা গুম হতো তারা আর ফেরত আসতো না। এখন যারা গুম হচ্ছেন তারা ৫ দিন ৭ দিন এমনকি এক মাস পরেও কেউ কেউ ফেরত আসছে। অথবা লাশ পাওয়া যাচ্ছে। গুম বাহিনী এখন স্বল্প সময়ের জন্য গুম করছেন। এই স্বল্প সময়ের গুম হওয়াটাও খুবই ভয়ংকর।’

রিজভী বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল বুধবার আদালতে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’

আরও পড়ুন:
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইন্ডিয়া আউট প্রচার চালাচ্ছে জনগণ: রিজভী
সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট হিসেবে পরিচিত: রিজভী
যার সেক্রেটারি নির্বাচিত হওয়ার কথা তাকে ভরা হয়েছে জেলে: রিজভী
বিদ্যুৎ খাত গভীর সংকটে: রিজভী
আওয়ামী সিন্ডিকেটের মুনাফার জন্য বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে: রিজভী

মন্তব্য

p
উপরে