পর পর চার কর্মদিবসে সূচকের টানা পতনে নতুন করে সংশোধনের যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, সেটি টানা দুই দিনের উত্থানে আপাতত কমেছে।
মঙ্গলবার ৭১ দশমিক ৩১ পয়েন্টের পর বুধবার সূচক বেড়েছে আরও ১৯ দশমিক ১৫ পয়েন্ট। তবে এর আগের দুই দিনে সূচক কমেছিল ১০১ পয়েন্টের মতো।
পুঁজিবাজারে সূচকের উঠানামার মধ্যে একটি বিষয় দেখা যাচ্ছে, সেটি হলো কোনো একক খাত চাঙা হচ্ছে না। একেক দিন একেক খাতের শেয়ারদর বাড়ছে, লেনদেনেও আগ্রহ একেকদিন একেক খাতে বেশি দেখা যাচ্ছে।
আগের দিন জীবন বিমা খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বাড়লেও দর হারিয়েছিল সাধারণ বিমা খাতের কোম্পানিগুলো। বুধবার জীবনবিমা খাতের ৮৫ শতাংশের পাশাপাশি সাধারণ বিমার ৯০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।
প্রধান খাতগুলোর মধ্যে চাঙা ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, যার ৮৩ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। প্রকৌশল খাতে বেড়েছে ৬২ শতাংশ কোম্পানির দর।
তবে অর্থবছর শেষ করে লভ্যাংশের প্রস্তুতি থাকা ব্যাংক ও আর্থিক খাত এখনও ঘুমিয়ে। ব্যাংক খাতের ৩৪ শতাংশ ও আর্থিক খাতের ৪৬ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।
লেনদেনের শুরুতে সূচক বেড়েছিল আরও বেশি। ৬ হাজার ৯৯৬ পয়েন্টের সূচক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে উঠে আছে ৭ হাজার ২৮ পয়েন্টে। সেখান থেকে আবারও উত্থান। বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনার আগ্রহে ১০ টা ৪৮ মিনিটে সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬১ পয়েন্ট বাড়ে। তখন প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান ছিল ৭ হাজার ৫৭ পয়েন্টে।
সূচকের এমন উত্থান বেলা ১১ টা ৩৬ মিনিট পর্যন্ত। তারপর থেকেই মূলত মুনাফা উত্তোলনের চাপ পড়ে প্রধান সূচক ডিএইএক্সে। লেনদেনের শেষ সময় পর্যন্ত সূচকের উত্থান অব্যাহত থাকলেও কমে আসে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনার আগ্রহ।
দিন শেষে আগের দিনের তুলনায় ১৯ পয়েন্ট বেড়ে সূচক দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১৬ পয়েন্টে। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সূচকের পতনের টানা ১২ দিন সাত হাজারে থাকা সূচক ৬ হাজারে নেমে আসে। এরপর টানা তিনদিন ছয় হাজার সূচকে অবস্থান করে বুধবার আবারও সাত হাজারে স্থির হলো ডিএসইএক্স।
সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। বুধবার ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। একদিনের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৮৬ কোটি টাকা।
এদিন ২০৪টি কোম্পনি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে। কমেছে ১২৬টির। দর পাল্টায়নি ৫১টির।
যেসব কোম্পানির দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে
বুধবার সূচক বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল টেলিকম খাতের রবির। কোম্পানির শেয়ার দর ১.৫৭ শতাংশ দর বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৬.৪৩ পয়েন্ট। স্কয়ার ফার্মার শেয়ার দর ১.১৬ শতাংশ শেয়ার দর বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৪.২৭ পয়েন্ট।
এছাড়া ব্র্যাক ব্রাংকের শেয়ার দর ১.৪৪ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ২.২৮ পয়েন্ট। ফরচুর সুজ, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, গ্রামীণফোনের শেয়ার দর বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৫.৬৭ পয়েন্ট।
সূচকের বৃদ্ধিতে আরও অবদান ছিল বেক্সিমকো সুকুক, যার ইউনিট প্রতি দর ২.৩০ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১.২৩ পয়েন্ট।
ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার, রিং শাইন ও সামিট এলায়েন্স পোর্টের শেয়ার দর বাড়ায় সূচক বেড়েছে ২.৫৮ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২২.৯১ পয়েন্ট।
এদিন যেসব কোম্পনির শেয়ারের দর পতন সূচকে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করেছিল তার মধ্যে আছে ওয়ালটন, আইসিবি, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, আর এ কে সিরামিকস, ডেল্টা লাইফ, ন্যাশনাল লাইফ, ওরিয়ন ফার্মা, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, বসুন্ধরা পেপার মিলস ও বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি।
দর বৃদ্ধির ১০ কোম্পানি
বুধবার লেনদেনে সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১০ শতাংশ। দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধিতে কোম্পানিটির ৭২ টাকার শেয়ার পৌঁছেছে ৭৯ টাকা ২০ পয়সায়।
নতুন তালিকাভুক্ত বিডি থাই ফুডের শেয়ার বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
এ ছাড়া নতুন তালিকাভুক্ত আরেক কোম্পানি ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দরও বেড়েছে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
বেঙ্গল উইসডমের শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। নয় শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে আরও দুটি কোম্পানির। এগুলো হচ্ছে অলেম্পিক এক্সেসরিজ ও ইয়াকিন পলিমার।
সাত শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে তিনটি কোম্পানির। এগুলো হচ্ছে রিং সাইন, সান লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও একমি পেস্টিসাইড।
ছয় শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে ৫টি কোম্পানির। এর মধ্যে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে আছে একটি। অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিসের শেয়ার দর বেড়েছে ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
৫ দশমিক ০৯ শতাংশ শেয়ার দর পতন হয়েছে শমরিতা হসপিটালের। দিনের সবচেয়ে বেশি দর হারানোর তালিকার শীর্ষে ছিল এটি।
এ ছাড়া ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ দর হারিয়েছে সোনারগাঁও টেক্সটাইল। মতিন স্পিনিংয়ের শেয়ার দর হারিয়েছে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
এ ছাড়া তিন শতাংশের বেশি শেয়ার দর হারিয়েছে বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, আরএকে সিরামিক, বসুন্ধরা পেপার, ডেল্টা লাইফ, অগ্নি সিস্টেমস।
এসিআই ফরমুলেশন ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ, ন্যাশনাল লাইফের ৩ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।
দুই শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমেছে ২০টি কোম্পানির। এর মধ্যে লাভেলো আইসক্রিমের ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
লেনদেনে সেরা ১০
বুধবার সবচেয়ে বেশি টাকার অংকে শেয়ার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের ৯৭ কোটি ২৮ লাখ টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৬৪ লাখ ৪০ হাজার ৬৯০টি।
এ ছাড়া বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের লেনদেন হয়েছে ৫৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৪২ লাখ ২৮ হাজার ২৩৩টি।
ফরচুন সুজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকার। ওরিয়ন ফার্মার ৩৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকার।
বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৫২ লাখ টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৩ লাখ ২৯ হাজার ৭০৫টি। আরএকে সিরামিকের ২৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, ন্যাশনাল পলিমারের ২৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, লাফার্জ হোলসিমের ২৬ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
সদ্য তালিকাভুক্ত হওয়া ইউনিয়ন ব্যাংকের এদিন ২৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৯২ লাখ ৯০ হাজার ২২৩টি।
এ ছাড়া কুইন সাউথ টেক্সটাইলের ২১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার ৬১ লাখ ৫ হাজার ৬৩৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য