পর পর চার কর্মদিবসে সূচকের টানা পতনে নতুন করে সংশোধনের যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, সেটি টানা দুই দিনের উত্থানে আপাতত কমেছে।
মঙ্গলবার ৭১ দশমিক ৩১ পয়েন্টের পর বুধবার সূচক বেড়েছে আরও ১৯ দশমিক ১৫ পয়েন্ট। তবে এর আগের দুই দিনে সূচক কমেছিল ১০১ পয়েন্টের মতো।
পুঁজিবাজারে সূচকের উঠানামার মধ্যে একটি বিষয় দেখা যাচ্ছে, সেটি হলো কোনো একক খাত চাঙা হচ্ছে না। একেক দিন একেক খাতের শেয়ারদর বাড়ছে, লেনদেনেও আগ্রহ একেকদিন একেক খাতে বেশি দেখা যাচ্ছে।
আগের দিন জীবন বিমা খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বাড়লেও দর হারিয়েছিল সাধারণ বিমা খাতের কোম্পানিগুলো। বুধবার জীবনবিমা খাতের ৮৫ শতাংশের পাশাপাশি সাধারণ বিমার ৯০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।
প্রধান খাতগুলোর মধ্যে চাঙা ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, যার ৮৩ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। প্রকৌশল খাতে বেড়েছে ৬২ শতাংশ কোম্পানির দর।
তবে অর্থবছর শেষ করে লভ্যাংশের প্রস্তুতি থাকা ব্যাংক ও আর্থিক খাত এখনও ঘুমিয়ে। ব্যাংক খাতের ৩৪ শতাংশ ও আর্থিক খাতের ৪৬ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।
লেনদেনের শুরুতে সূচক বেড়েছিল আরও বেশি। ৬ হাজার ৯৯৬ পয়েন্টের সূচক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে উঠে আছে ৭ হাজার ২৮ পয়েন্টে। সেখান থেকে আবারও উত্থান। বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনার আগ্রহে ১০ টা ৪৮ মিনিটে সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬১ পয়েন্ট বাড়ে। তখন প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান ছিল ৭ হাজার ৫৭ পয়েন্টে।
সূচকের এমন উত্থান বেলা ১১ টা ৩৬ মিনিট পর্যন্ত। তারপর থেকেই মূলত মুনাফা উত্তোলনের চাপ পড়ে প্রধান সূচক ডিএইএক্সে। লেনদেনের শেষ সময় পর্যন্ত সূচকের উত্থান অব্যাহত থাকলেও কমে আসে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনার আগ্রহ।
দিন শেষে আগের দিনের তুলনায় ১৯ পয়েন্ট বেড়ে সূচক দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১৬ পয়েন্টে। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সূচকের পতনের টানা ১২ দিন সাত হাজারে থাকা সূচক ৬ হাজারে নেমে আসে। এরপর টানা তিনদিন ছয় হাজার সূচকে অবস্থান করে বুধবার আবারও সাত হাজারে স্থির হলো ডিএসইএক্স।
সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। বুধবার ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। একদিনের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৮৬ কোটি টাকা।
এদিন ২০৪টি কোম্পনি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে। কমেছে ১২৬টির। দর পাল্টায়নি ৫১টির।
যেসব কোম্পানির দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে
বুধবার সূচক বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল টেলিকম খাতের রবির। কোম্পানির শেয়ার দর ১.৫৭ শতাংশ দর বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৬.৪৩ পয়েন্ট। স্কয়ার ফার্মার শেয়ার দর ১.১৬ শতাংশ শেয়ার দর বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৪.২৭ পয়েন্ট।
এছাড়া ব্র্যাক ব্রাংকের শেয়ার দর ১.৪৪ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ২.২৮ পয়েন্ট। ফরচুর সুজ, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, গ্রামীণফোনের শেয়ার দর বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৫.৬৭ পয়েন্ট।
সূচকের বৃদ্ধিতে আরও অবদান ছিল বেক্সিমকো সুকুক, যার ইউনিট প্রতি দর ২.৩০ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১.২৩ পয়েন্ট।
ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার, রিং শাইন ও সামিট এলায়েন্স পোর্টের শেয়ার দর বাড়ায় সূচক বেড়েছে ২.৫৮ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২২.৯১ পয়েন্ট।
এদিন যেসব কোম্পনির শেয়ারের দর পতন সূচকে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করেছিল তার মধ্যে আছে ওয়ালটন, আইসিবি, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, আর এ কে সিরামিকস, ডেল্টা লাইফ, ন্যাশনাল লাইফ, ওরিয়ন ফার্মা, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, বসুন্ধরা পেপার মিলস ও বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি।
দর বৃদ্ধির ১০ কোম্পানি
বুধবার লেনদেনে সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১০ শতাংশ। দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধিতে কোম্পানিটির ৭২ টাকার শেয়ার পৌঁছেছে ৭৯ টাকা ২০ পয়সায়।
নতুন তালিকাভুক্ত বিডি থাই ফুডের শেয়ার বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
এ ছাড়া নতুন তালিকাভুক্ত আরেক কোম্পানি ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দরও বেড়েছে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
বেঙ্গল উইসডমের শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। নয় শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে আরও দুটি কোম্পানির। এগুলো হচ্ছে অলেম্পিক এক্সেসরিজ ও ইয়াকিন পলিমার।
সাত শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে তিনটি কোম্পানির। এগুলো হচ্ছে রিং সাইন, সান লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও একমি পেস্টিসাইড।
ছয় শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে ৫টি কোম্পানির। এর মধ্যে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে আছে একটি। অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিসের শেয়ার দর বেড়েছে ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
৫ দশমিক ০৯ শতাংশ শেয়ার দর পতন হয়েছে শমরিতা হসপিটালের। দিনের সবচেয়ে বেশি দর হারানোর তালিকার শীর্ষে ছিল এটি।
এ ছাড়া ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ দর হারিয়েছে সোনারগাঁও টেক্সটাইল। মতিন স্পিনিংয়ের শেয়ার দর হারিয়েছে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
এ ছাড়া তিন শতাংশের বেশি শেয়ার দর হারিয়েছে বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, আরএকে সিরামিক, বসুন্ধরা পেপার, ডেল্টা লাইফ, অগ্নি সিস্টেমস।
এসিআই ফরমুলেশন ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ, ন্যাশনাল লাইফের ৩ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।
দুই শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমেছে ২০টি কোম্পানির। এর মধ্যে লাভেলো আইসক্রিমের ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
লেনদেনে সেরা ১০
বুধবার সবচেয়ে বেশি টাকার অংকে শেয়ার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের ৯৭ কোটি ২৮ লাখ টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৬৪ লাখ ৪০ হাজার ৬৯০টি।
এ ছাড়া বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের লেনদেন হয়েছে ৫৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৪২ লাখ ২৮ হাজার ২৩৩টি।
ফরচুন সুজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকার। ওরিয়ন ফার্মার ৩৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকার।
বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৫২ লাখ টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৩ লাখ ২৯ হাজার ৭০৫টি। আরএকে সিরামিকের ২৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, ন্যাশনাল পলিমারের ২৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, লাফার্জ হোলসিমের ২৬ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
সদ্য তালিকাভুক্ত হওয়া ইউনিয়ন ব্যাংকের এদিন ২৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৯২ লাখ ৯০ হাজার ২২৩টি।
এ ছাড়া কুইন সাউথ টেক্সটাইলের ২১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার ৬১ লাখ ৫ হাজার ৬৩৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য