টানা চারদিনের সূচক পতনের মনস্তাত্ত্বিক চাপ কাটল সূচকের বড় উত্থানে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনও।
চার দিনে ১০৬ পয়েন্ট হারিয়ে ফেলার পর মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৭১ দশমিক ৩১ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৩৯টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে ৯৫টির।
আগের দিন লেনদেন ছিল ১ হাজার ২১৫ কোটি টাকা। সেটি বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। একদিনের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বেড়েছে ১৩৫ কোটি টাকা।
সূচকের উত্থানে ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ৯৯৭ পয়েন্টে। গত ৩০ জানুয়ারি তা ৭ হাজারের নিচে নেমে যাওয়ার আগে টানা ১২ কর্মদিবস সাত হাজারের বেশি ছিল সূচক।
গত বছরের শেষ প্রান্তিকে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পুঁজিবাজারে দর সংশোধন শুরু হয়। সেটি চলে সাড়ে তিন মাস। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বাজার। চলতি বছরের প্রথম মাসের টানা তিন সপ্তাহ চাঙাভাব থাকে। তবে গত চার দিন ধরে টানা দরপতন হলে নতুন করে শঙ্কা দেখা দেয়।
মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে সূচক বেড়ে গেলেও পরে বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত কমতে থাকে। তবে এরপর থেকে টানা উত্থান দেখা দেয়ায় নতুন করে দর সংশোধনের চাপ কাটে বিনিয়োগকারীদের।
প্রধান খাতগুলোর মধ্যে ভালো দিন গেছে বস্ত্র, প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বিবিধ, আর্থিক, খাদ্যে।
লেনদেনে শতভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে জীবন বিমা খাতের। তবে সাধারণ বিমা খাতের ২৮ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। সেবা ও আবাসন, কাগজ ও প্রকাশনা, টেলিকম খাতের শতভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। সিমেন্ট খাতেও একটি ছাড়া বাকি সবগুলো কোম্পানির দর বেড়েছে।
লেনদেনে সবচেয়ে এগিয়ে প্রকৌশল খাত। বিবিধ, বস্ত্র, ওষুধ ও রসায়ন এবং বিমা খাতেও আগ্রহ দেখা গেছে।
যেসব কোম্পানির উত্থানে সূচক বেড়েছে
সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ। কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের জন্য ২৫ শতাংশ নদগ লভ্যাংশ দেয়ার প্রস্তাব করায় এই আগ্রহ জন্মেছে।
কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৬.১৮ শতাংশ। আর এতে সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ৯.১৬ পয়েন্ট।
টেলিকম খাতের রবির শেয়ার দর ২.১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় সূচক বেড়েছে ৭.০৩ পয়েন্ট। স্কয়ার ফার্মার শেয়ার দর ২.০৪ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৬.৬৯ পয়েন্ট।
পাওয়ারগ্রিডের শেয়ার দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ৩.২৩ পয়েন্ট। এছাড়া ডেল্টা লাইফ, আর এ কে সিরামিকস, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, রেনাটা ও বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ১৩ দশমিক ২৬ পয়েন্ট।
সূচক বৃদ্ধিতে ডেসকোর অবদান ছিল ২.১৪ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৪২ পয়েন্ট।
অন্যদিকে গ্রামীণফোনের শেয়ারদর ০.৩৭ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ২.৯৯ পয়েন্ট। লিনডেবিডি, ফরচুন সুজ, অলেম্পিকি ইন্ডাস্ট্রিজ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, বার্জার পেইন্টস, বিকন ফার্মা, সামিট পাওয়ার, আইসিবি ও এনভয় টেক্সটাইল সূচক কিছুটা কমিয়েছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১০.৬৪ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির ১০ কোম্পানি
শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের দর বৃদ্ধির কোনো সীমা ছিল না এদিন। এই সুযোগে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৯.০৭ শতাংশ।
কোম্পানিটি দীর্ঘ লোকসানের বৃত্ত থেকে বের হয়ে মুনাফার তথ্য জানিয়েছে। লভ্যাংশের পাশাপাশি এই বিয়ষটিও শেয়ারদর বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
তবে স্বাভাবিক দর বৃদ্ধির বিবেচনায় বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসে শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ। ২৬ টাকা ২০ পয়সা দরের শেয়ার পৌছেছে ২৮ টাকা ৮০ পয়সায়। সহযোগী কোম্পানি বিবিএস ক্যাবলসের শেয়ার বিক্রির পর মুনাফায় ফেরার সংবাদ আসার পর চার কর্মদিবসে শেয়ারদর ২০ টাকা থেকে উঠে এলো এই পর্যায়ে।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা খান ব্রাদাস পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ।
এদিন আরও পাঁচটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে নয় শতাংশের বেশি। এর মধ্যে লোকসানি ইয়াকিন পলিমারের ৯.৮৮ শতাংশ, ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্কের ৯.৮৫ শতাংশ, নতুন তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের ৯.৭০ শতাংশ এবং বিডি থাই ফুডের ৯.৬৫ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
৮.১৩ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের। ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.৯৩ শতাংশ।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
মঙ্গলবার সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর কমেছে এনভয় টেক্সটাইলের ৪.২১ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ডেফোডিল কম্পিউটারের দর কমেছে ৩.৭৩ শতাংশ।
তিন শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমেছে আরও চারটি কোম্পানির। এর মধ্যে ফরচুন সুজের দর ৩.৩৯ শতাংশ, এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের দর ৩.১৫ শতাংশ, কুইন সাউথ টেক্সটাইলের ৩.১০ শতাংশ কমেছে।
দরপতনের ষষ্ঠ স্থানে থাকা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের দর ২.৯৭ শতাংশ, লিনডে বিডির দর ২.৭৬ শতাংশ, দুলামিয়া কটনের ২.৭৪ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।
দর পতনের শীর্ষ তালিকায় আরও ছিল রহিম টেক্সটাইল, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ ও ন্যাশনাল টি কোম্পানি।
লেনদেনে সেরা ১০
মঙ্গলবার সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের ৯৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার। হাতবদল হয়েছে ৬৪ লাখ ৬৯ হাজার ৭৩৭টি শেয়ার।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের ৯০ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১ কোটি ১২ লাখ ১৮ হাজার ৯৯২টি শেয়ার এদিন হাতবদল হয়েছে।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনে লেনদেন হয়েছে ৭০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
এছাড়া বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসে ৩৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, ওরিয়ন ফার্মায় ৩৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ হয়েছে।
আরএকে সিরামিকের ৩৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকার, ফারইস্ট লাইফের ২৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকার, ন্যাশনাল পলিমারের ২৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকার, বিডি ফাইন্যান্সে ২৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার ও ইউনিয়ন ব্যাংকের ২৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য