টানা চারদিনের সূচক পতনের মনস্তাত্ত্বিক চাপ কাটল সূচকের বড় উত্থানে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনও।
চার দিনে ১০৬ পয়েন্ট হারিয়ে ফেলার পর মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৭১ দশমিক ৩১ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৩৯টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে ৯৫টির।
আগের দিন লেনদেন ছিল ১ হাজার ২১৫ কোটি টাকা। সেটি বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। একদিনের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বেড়েছে ১৩৫ কোটি টাকা।
সূচকের উত্থানে ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ৯৯৭ পয়েন্টে। গত ৩০ জানুয়ারি তা ৭ হাজারের নিচে নেমে যাওয়ার আগে টানা ১২ কর্মদিবস সাত হাজারের বেশি ছিল সূচক।
গত বছরের শেষ প্রান্তিকে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পুঁজিবাজারে দর সংশোধন শুরু হয়। সেটি চলে সাড়ে তিন মাস। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বাজার। চলতি বছরের প্রথম মাসের টানা তিন সপ্তাহ চাঙাভাব থাকে। তবে গত চার দিন ধরে টানা দরপতন হলে নতুন করে শঙ্কা দেখা দেয়।
মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে সূচক বেড়ে গেলেও পরে বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত কমতে থাকে। তবে এরপর থেকে টানা উত্থান দেখা দেয়ায় নতুন করে দর সংশোধনের চাপ কাটে বিনিয়োগকারীদের।
প্রধান খাতগুলোর মধ্যে ভালো দিন গেছে বস্ত্র, প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বিবিধ, আর্থিক, খাদ্যে।
লেনদেনে শতভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে জীবন বিমা খাতের। তবে সাধারণ বিমা খাতের ২৮ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। সেবা ও আবাসন, কাগজ ও প্রকাশনা, টেলিকম খাতের শতভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। সিমেন্ট খাতেও একটি ছাড়া বাকি সবগুলো কোম্পানির দর বেড়েছে।
লেনদেনে সবচেয়ে এগিয়ে প্রকৌশল খাত। বিবিধ, বস্ত্র, ওষুধ ও রসায়ন এবং বিমা খাতেও আগ্রহ দেখা গেছে।
যেসব কোম্পানির উত্থানে সূচক বেড়েছে
সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ। কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের জন্য ২৫ শতাংশ নদগ লভ্যাংশ দেয়ার প্রস্তাব করায় এই আগ্রহ জন্মেছে।
কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৬.১৮ শতাংশ। আর এতে সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ৯.১৬ পয়েন্ট।
টেলিকম খাতের রবির শেয়ার দর ২.১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় সূচক বেড়েছে ৭.০৩ পয়েন্ট। স্কয়ার ফার্মার শেয়ার দর ২.০৪ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৬.৬৯ পয়েন্ট।
পাওয়ারগ্রিডের শেয়ার দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ৩.২৩ পয়েন্ট। এছাড়া ডেল্টা লাইফ, আর এ কে সিরামিকস, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, রেনাটা ও বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ১৩ দশমিক ২৬ পয়েন্ট।
সূচক বৃদ্ধিতে ডেসকোর অবদান ছিল ২.১৪ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৪২ পয়েন্ট।
অন্যদিকে গ্রামীণফোনের শেয়ারদর ০.৩৭ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ২.৯৯ পয়েন্ট। লিনডেবিডি, ফরচুন সুজ, অলেম্পিকি ইন্ডাস্ট্রিজ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, বার্জার পেইন্টস, বিকন ফার্মা, সামিট পাওয়ার, আইসিবি ও এনভয় টেক্সটাইল সূচক কিছুটা কমিয়েছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১০.৬৪ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির ১০ কোম্পানি
শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের দর বৃদ্ধির কোনো সীমা ছিল না এদিন। এই সুযোগে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৯.০৭ শতাংশ।
কোম্পানিটি দীর্ঘ লোকসানের বৃত্ত থেকে বের হয়ে মুনাফার তথ্য জানিয়েছে। লভ্যাংশের পাশাপাশি এই বিয়ষটিও শেয়ারদর বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
তবে স্বাভাবিক দর বৃদ্ধির বিবেচনায় বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসে শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ। ২৬ টাকা ২০ পয়সা দরের শেয়ার পৌছেছে ২৮ টাকা ৮০ পয়সায়। সহযোগী কোম্পানি বিবিএস ক্যাবলসের শেয়ার বিক্রির পর মুনাফায় ফেরার সংবাদ আসার পর চার কর্মদিবসে শেয়ারদর ২০ টাকা থেকে উঠে এলো এই পর্যায়ে।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা খান ব্রাদাস পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ।
এদিন আরও পাঁচটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে নয় শতাংশের বেশি। এর মধ্যে লোকসানি ইয়াকিন পলিমারের ৯.৮৮ শতাংশ, ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্কের ৯.৮৫ শতাংশ, নতুন তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের ৯.৭০ শতাংশ এবং বিডি থাই ফুডের ৯.৬৫ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
৮.১৩ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের। ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.৯৩ শতাংশ।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
মঙ্গলবার সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর কমেছে এনভয় টেক্সটাইলের ৪.২১ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ডেফোডিল কম্পিউটারের দর কমেছে ৩.৭৩ শতাংশ।
তিন শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমেছে আরও চারটি কোম্পানির। এর মধ্যে ফরচুন সুজের দর ৩.৩৯ শতাংশ, এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের দর ৩.১৫ শতাংশ, কুইন সাউথ টেক্সটাইলের ৩.১০ শতাংশ কমেছে।
দরপতনের ষষ্ঠ স্থানে থাকা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের দর ২.৯৭ শতাংশ, লিনডে বিডির দর ২.৭৬ শতাংশ, দুলামিয়া কটনের ২.৭৪ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।
দর পতনের শীর্ষ তালিকায় আরও ছিল রহিম টেক্সটাইল, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ ও ন্যাশনাল টি কোম্পানি।
লেনদেনে সেরা ১০
মঙ্গলবার সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের ৯৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার। হাতবদল হয়েছে ৬৪ লাখ ৬৯ হাজার ৭৩৭টি শেয়ার।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের ৯০ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১ কোটি ১২ লাখ ১৮ হাজার ৯৯২টি শেয়ার এদিন হাতবদল হয়েছে।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনে লেনদেন হয়েছে ৭০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
এছাড়া বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসে ৩৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, ওরিয়ন ফার্মায় ৩৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ হয়েছে।
আরএকে সিরামিকের ৩৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকার, ফারইস্ট লাইফের ২৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকার, ন্যাশনাল পলিমারের ২৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকার, বিডি ফাইন্যান্সে ২৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার ও ইউনিয়ন ব্যাংকের ২৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য