সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া দীর্ঘ সংশোধনের ক্ষতি কাটিয়ে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে পুঁজিবাজারে যে চাঙাভাব দেখা দিয়েছিল, সেটি স্থায়ী হতে না হতেই আবার দর সংশোধনের আভাস। নতুন বছরে প্রথমবারের মতো টানা চার কর্মদিবস সূচকের পতন দেখল বিনিয়োগকারীরা।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার ৩৫.৯৯ পয়েন্টের পর দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমল ৬৫.২৬ পয়েন্ট। অর্থাৎ নতুন সপ্তাহের দুই দিনেই সূচক পড়ল ১০১.২৫ পয়েন্ট। চার দিনে কমল ১০৬.২৮ পয়েন্ট।
গত বছরের শেষ সপ্তাহ আর নতুন বছরের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪৭৫.৮১ পয়েন্ট সূচক বাড়ার পর হাত গুটিয়ে থাকা বিনিয়োগকারীরা ফিরতে থাকে। তবে গত সপ্তাহে বাজার উঠানামা করতে থাকায় আবার তৈরি হয় বিভ্রান্তি। কমে যায় লেনদেন। এক পর্যায়ে সূচক ৭ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে আসে রোববার। সেটি আরও কমে গিয়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৬৯২৬.২৯ পয়েন্ট।
সূচকের সঙ্গে সোমবার লেনদেনেও টানা লেগেছে। আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১২০ কোটি টাকা। চলতি সপ্তাহের প্রথমদিন রোববার লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩৩৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। সেটি কমে হয়েছে ১ হাজার ২১৫ কোটি ১ লাখ টাকা। সোমবার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৩৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
তবে লেনদেন ও সূচকের এমন অবস্থাকে এখনও স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন ব্র্যাক ইপিএল সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রুত কুমার সরকার। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বর ডিসেম্বর সময়ে সূচকের যে পরিমাণ পতন ছিল তার অনেকটাই পূরণ হয়েছে জানুয়ারিতে। হিসাব করে দেখা হলে জানুয়ারির বেশিরভাগ সময়ই সূচকের উত্থান ছিল। ফলে শেয়ার তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।
‘আশার বিষয় হচ্ছে সূচক যে অবস্থায় থাকুক না কেন লেনদেন হাজার কোটিতে স্থির আছে। এ অবস্থায় পুঁজিবাজারকে স্বাভাবিকই বলা চলে। আর মূল্য সংশোধনও পুঁজিবাজারেরই একটি অংশ।’
আগের দিনের মতোই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। ৭২টি কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ার বিপরীতে কমেছে ২৬৪টির, দর পাল্টায়নি ৪৪টি কোম্পানির।
প্রধান খাতগুলোর মধ্যে এমন কোনোটি ছিল না যেটিতে চাঙাভাব দেখা গেছে। প্রকৌশল খাতে ৩৪ শতাংশ কোম্পানির, সাধারণ বিমা খাতের ২০ শতাংশ আর ব্যাংকের ১৮ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে।
দীর্ঘদিন পর লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে প্রকৌশল খাত। পরের অবস্থানগুলো ছিল বস্ত্র, ব্যাংক, ওষুধ ও রসায়ন এবং বিবিধ খাত।
সূচকের পতন যেসব কোম্পানির কারণে
সূচক সবচেয়ে বেশি কমিয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। চলতি অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে গত অর্থবছরের চেয়ে বেশি আয় করার তথ্য জানানোর পরও কোম্পানিটি দর হারাচ্ছে। অথচ গত বছর কোম্পানিটির শেয়ারদর ১০ গুণেরও বেশি বেড়েছে।
এই কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৩.২৪ শতাংশ। এ কারণে সূচক কমেছে ৮.২ পয়েন্ট।
তারপরই আছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশ-আইসিবি। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর ৩.৬৪ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৭.৩৯ পয়েন্ট। তৃতীয় অবস্থানে থাকা টেলিকম খাতের রবির দর ১.৩২ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৪.৯ পয়েন্ট।
এছাড়া বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর দর পতনে সূচক কমেছে ৪.৩৫ পয়েন্ট, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এমজেএল বাংলাদেশ, ফরচুন, ওয়ালটনের শেয়ার দর কমায় সোমবার ডিএসইএক্স কমেছে ১২.৬৭ পয়েন্ট।
এছাড়া বিকন ফার্মা ২.৩৩ পয়েন্ট ও তিতাস গ্যাস ১.৮৫ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে।
সব মিলিয়ে ১০টি কোম্পানিই সূচক কমিয়েছে ৪১.৬৯ পয়েন্ট।
বিপরীতে যেসব কোম্পানি সূচকে পয়েন্ট যোগ করতে পেরেছে, সেগুলোর অবদান খুব একটি বেশি ছিল না।
সবচেয়ে বেশি ৪.৮০ পয়েন্ট যোগ করতে পেরেছে গ্রামীণ ফোন। কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ০.৫৪ শতাংশ।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ারের দর ১.১৯ শতাংশ বাড়ায় সূচকে যোগ হয়েছে ৩.২৫ পয়েন্ট।
বার্জার পেইন্টস, ফারইস্ট লাইফ, ন্যাশনাল পলিমার, এসিআই ফরমুলেশন, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল ও আমান ফিড কিছু পয়েন্ট যোগ করেছে। সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি যোগ করতে পেরেছে ১৩.৮২ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির ১০ কোম্পানি
এই তালিকার শীর্ষের দুটি কোম্পানিই নতুন তালিকাভুক্ত।
এর মধ্যে বিডি থাই ফুডের শেয়ারদর বেড়েছে ১০ শতাংশ। তবে কেবল ৬ হাজার ৩১৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
আরেক নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৯.৯৬। এতে ২৮ টাকা ১০ পয়সার শেয়ার পৌঁছেছে ৩০ টাকা ৯০ পয়সায়।
ন্যাশনাল পলিমারের শেয়ারদর রোববারের পর সোমবারও বেড়েছে সর্বোচ্চ পরিমাণে। ৯.৯৪ শতাংশ বেড়ে ৫৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে হয়েছে ৬৩ টাকা।
পর পর দুই দিন সর্বোচ্চ সীমায় লেনদেন হওয়ার পর তৃতীয় কর্মদিবসে বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসের শেয়ার দর বেড়েছে ৮.২৬ শতাংশ।
বিডি ল্যাম্পসের দর বেড়েছে ৮.২৩ শতাংশ। কোম্পানিটির ৪ লাখ ৬৯ হাজার ১৩৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১৩ কোটি ৭০ লাখ টাকায়।
লোকসানের বৃত্ত ভেঙে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা করা সোনারগাঁও টেক্সটাইলের দর বেড়েছে ৬.২৭ শতাংশ।
পাঁচ শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে দুটি কোম্পানি। এগুলো হচ্ছে আমরা টেকনোলজি ও ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
চার শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, এসিআই ফরমুলেশন, কাট্টালি টেক্সটাইল।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
এই তালিকার শীর্ষে ছিল ন্যাশনাল ফিড মিলস। ৮.৭৮ শতাংশ দর পতনে ২০ টাকা ৫০ পয়সার শেয়ার নেমে এসেছে ১৮ টাকা ৭০ পয়সায়।
দ্বিতীয় স্থানে ছিল ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটির দর ৮.৭২ শতাংশ কমেছে। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ফরচুন সুজের শেয়ার দর কমেছে ৭.৯২ শতাংশ।
মেঘনা পেট লিমিটেডের শেয়ার দর ৭.৬৯ শতাংশ, সাফকো স্পিনিংয়ের দর ৬.৪৬ শতাংশ, সিমটেক্সের দর ৬.৩১ শতাংশ, এমজেএল বিডির দর ৫.৩৭ শতাংশ এবং হা ওয়েল টেক্সটাইলের দর কমেছে ৫.৩৫ শতাংশ।
এছাড়া খান ব্রাদার পিপি ওভেনের দর ৪.৬৯ শতাংশ। ওরিয়ন ইনফিউশন এবং ফার্মা এইডের দর কমেছে ৪.৪৭ শতাংশ।
লেনদেনে সেরা ১০
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে নতুন তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ব্যাংকের শেয়ার। ৯০ কোটি ৩২ লাখ টাকায় ৬ কোটি ৫৯ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডের লেনদেন হয়েছে ৬৫ কোটি ১১ লাখ টাকা।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি ২০ লাখ টাকা। ন্যাশনাল পলিমারের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি ২০ লাখ টাকার।
কুইন সাউথ টেক্সটাইলের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৮ টাকা ৪৪ লাখ টাকার। ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকার।
সাইফ পাওয়ারের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকার। এ তালিকায় আছে বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, মালেক স্পিনিং, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সও।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য