সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া দীর্ঘ সংশোধনের ক্ষতি কাটিয়ে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে পুঁজিবাজারে যে চাঙাভাব দেখা দিয়েছিল, সেটি স্থায়ী হতে না হতেই আবার দর সংশোধনের আভাস। নতুন বছরে প্রথমবারের মতো টানা চার কর্মদিবস সূচকের পতন দেখল বিনিয়োগকারীরা।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার ৩৫.৯৯ পয়েন্টের পর দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমল ৬৫.২৬ পয়েন্ট। অর্থাৎ নতুন সপ্তাহের দুই দিনেই সূচক পড়ল ১০১.২৫ পয়েন্ট। চার দিনে কমল ১০৬.২৮ পয়েন্ট।
গত বছরের শেষ সপ্তাহ আর নতুন বছরের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪৭৫.৮১ পয়েন্ট সূচক বাড়ার পর হাত গুটিয়ে থাকা বিনিয়োগকারীরা ফিরতে থাকে। তবে গত সপ্তাহে বাজার উঠানামা করতে থাকায় আবার তৈরি হয় বিভ্রান্তি। কমে যায় লেনদেন। এক পর্যায়ে সূচক ৭ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে আসে রোববার। সেটি আরও কমে গিয়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৬৯২৬.২৯ পয়েন্ট।
সূচকের সঙ্গে সোমবার লেনদেনেও টানা লেগেছে। আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১২০ কোটি টাকা। চলতি সপ্তাহের প্রথমদিন রোববার লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩৩৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। সেটি কমে হয়েছে ১ হাজার ২১৫ কোটি ১ লাখ টাকা। সোমবার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৩৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
তবে লেনদেন ও সূচকের এমন অবস্থাকে এখনও স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন ব্র্যাক ইপিএল সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রুত কুমার সরকার। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বর ডিসেম্বর সময়ে সূচকের যে পরিমাণ পতন ছিল তার অনেকটাই পূরণ হয়েছে জানুয়ারিতে। হিসাব করে দেখা হলে জানুয়ারির বেশিরভাগ সময়ই সূচকের উত্থান ছিল। ফলে শেয়ার তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।
‘আশার বিষয় হচ্ছে সূচক যে অবস্থায় থাকুক না কেন লেনদেন হাজার কোটিতে স্থির আছে। এ অবস্থায় পুঁজিবাজারকে স্বাভাবিকই বলা চলে। আর মূল্য সংশোধনও পুঁজিবাজারেরই একটি অংশ।’
আগের দিনের মতোই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। ৭২টি কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ার বিপরীতে কমেছে ২৬৪টির, দর পাল্টায়নি ৪৪টি কোম্পানির।
প্রধান খাতগুলোর মধ্যে এমন কোনোটি ছিল না যেটিতে চাঙাভাব দেখা গেছে। প্রকৌশল খাতে ৩৪ শতাংশ কোম্পানির, সাধারণ বিমা খাতের ২০ শতাংশ আর ব্যাংকের ১৮ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে।
দীর্ঘদিন পর লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে প্রকৌশল খাত। পরের অবস্থানগুলো ছিল বস্ত্র, ব্যাংক, ওষুধ ও রসায়ন এবং বিবিধ খাত।
সূচকের পতন যেসব কোম্পানির কারণে
সূচক সবচেয়ে বেশি কমিয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। চলতি অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে গত অর্থবছরের চেয়ে বেশি আয় করার তথ্য জানানোর পরও কোম্পানিটি দর হারাচ্ছে। অথচ গত বছর কোম্পানিটির শেয়ারদর ১০ গুণেরও বেশি বেড়েছে।
এই কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৩.২৪ শতাংশ। এ কারণে সূচক কমেছে ৮.২ পয়েন্ট।
তারপরই আছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশ-আইসিবি। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর ৩.৬৪ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৭.৩৯ পয়েন্ট। তৃতীয় অবস্থানে থাকা টেলিকম খাতের রবির দর ১.৩২ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৪.৯ পয়েন্ট।
এছাড়া বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর দর পতনে সূচক কমেছে ৪.৩৫ পয়েন্ট, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এমজেএল বাংলাদেশ, ফরচুন, ওয়ালটনের শেয়ার দর কমায় সোমবার ডিএসইএক্স কমেছে ১২.৬৭ পয়েন্ট।
এছাড়া বিকন ফার্মা ২.৩৩ পয়েন্ট ও তিতাস গ্যাস ১.৮৫ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে।
সব মিলিয়ে ১০টি কোম্পানিই সূচক কমিয়েছে ৪১.৬৯ পয়েন্ট।
বিপরীতে যেসব কোম্পানি সূচকে পয়েন্ট যোগ করতে পেরেছে, সেগুলোর অবদান খুব একটি বেশি ছিল না।
সবচেয়ে বেশি ৪.৮০ পয়েন্ট যোগ করতে পেরেছে গ্রামীণ ফোন। কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ০.৫৪ শতাংশ।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ারের দর ১.১৯ শতাংশ বাড়ায় সূচকে যোগ হয়েছে ৩.২৫ পয়েন্ট।
বার্জার পেইন্টস, ফারইস্ট লাইফ, ন্যাশনাল পলিমার, এসিআই ফরমুলেশন, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল ও আমান ফিড কিছু পয়েন্ট যোগ করেছে। সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি যোগ করতে পেরেছে ১৩.৮২ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির ১০ কোম্পানি
এই তালিকার শীর্ষের দুটি কোম্পানিই নতুন তালিকাভুক্ত।
এর মধ্যে বিডি থাই ফুডের শেয়ারদর বেড়েছে ১০ শতাংশ। তবে কেবল ৬ হাজার ৩১৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
আরেক নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৯.৯৬। এতে ২৮ টাকা ১০ পয়সার শেয়ার পৌঁছেছে ৩০ টাকা ৯০ পয়সায়।
ন্যাশনাল পলিমারের শেয়ারদর রোববারের পর সোমবারও বেড়েছে সর্বোচ্চ পরিমাণে। ৯.৯৪ শতাংশ বেড়ে ৫৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে হয়েছে ৬৩ টাকা।
পর পর দুই দিন সর্বোচ্চ সীমায় লেনদেন হওয়ার পর তৃতীয় কর্মদিবসে বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসের শেয়ার দর বেড়েছে ৮.২৬ শতাংশ।
বিডি ল্যাম্পসের দর বেড়েছে ৮.২৩ শতাংশ। কোম্পানিটির ৪ লাখ ৬৯ হাজার ১৩৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১৩ কোটি ৭০ লাখ টাকায়।
লোকসানের বৃত্ত ভেঙে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা করা সোনারগাঁও টেক্সটাইলের দর বেড়েছে ৬.২৭ শতাংশ।
পাঁচ শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে দুটি কোম্পানি। এগুলো হচ্ছে আমরা টেকনোলজি ও ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
চার শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, এসিআই ফরমুলেশন, কাট্টালি টেক্সটাইল।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
এই তালিকার শীর্ষে ছিল ন্যাশনাল ফিড মিলস। ৮.৭৮ শতাংশ দর পতনে ২০ টাকা ৫০ পয়সার শেয়ার নেমে এসেছে ১৮ টাকা ৭০ পয়সায়।
দ্বিতীয় স্থানে ছিল ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটির দর ৮.৭২ শতাংশ কমেছে। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ফরচুন সুজের শেয়ার দর কমেছে ৭.৯২ শতাংশ।
মেঘনা পেট লিমিটেডের শেয়ার দর ৭.৬৯ শতাংশ, সাফকো স্পিনিংয়ের দর ৬.৪৬ শতাংশ, সিমটেক্সের দর ৬.৩১ শতাংশ, এমজেএল বিডির দর ৫.৩৭ শতাংশ এবং হা ওয়েল টেক্সটাইলের দর কমেছে ৫.৩৫ শতাংশ।
এছাড়া খান ব্রাদার পিপি ওভেনের দর ৪.৬৯ শতাংশ। ওরিয়ন ইনফিউশন এবং ফার্মা এইডের দর কমেছে ৪.৪৭ শতাংশ।
লেনদেনে সেরা ১০
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে নতুন তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ব্যাংকের শেয়ার। ৯০ কোটি ৩২ লাখ টাকায় ৬ কোটি ৫৯ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডের লেনদেন হয়েছে ৬৫ কোটি ১১ লাখ টাকা।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি ২০ লাখ টাকা। ন্যাশনাল পলিমারের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি ২০ লাখ টাকার।
কুইন সাউথ টেক্সটাইলের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৮ টাকা ৪৪ লাখ টাকার। ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকার।
সাইফ পাওয়ারের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকার। এ তালিকায় আছে বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, মালেক স্পিনিং, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সও।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য