× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Manpower export is also in the air
google_news print-icon

জনশক্তি রপ্তানির পালেও হাওয়া

জনশক্তি-রপ্তানির-পালেও-হাওয়া
গত ডিসেম্বরে বিদেশে কর্মী পাঠানোর রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। ফাইল ছবি
গত ডিসেম্বর মাসে ১ লাখ ৩১ হাজার ৩১৬ জন কাজ নিয়ে বিভিন্ন দেশে গেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এক মাসে এত বেশি জনশক্তি রপ্তানি হয়নি।

জনশক্তি রপ্তানিতে সুদিন ফিরছে। পণ্য রপ্তানির মতো জনশক্তি রপ্তানির পালেও হাওয়া লেগেছে। করোনা মহামারির মধ্যে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গত ডিসেম্বর মাসে ১ লাখ ৩১ হাজার ৩১৬ জন কাজ নিয়ে বিভিন্ন দেশে গেছেন।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এক মাসে এত বেশি জনশক্তি রপ্তানি হয়নি। এর আগে ২০১৭ সালের মার্চে ১ লাখের কিছু বেশি কর্মী বিদেশে গিয়েছিলেন।

জনশক্তি রপ্তানিকারক ও অর্থনীতির গবেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির প্রধান বাজার মধ্যপাচ্যের দেশগুলো। দুই বছরের মহামারির ধাক্কা সামলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো এই দেশগুলোও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় চাঙা হচ্ছে এসব দেশের অর্থনীতি। সব মিলিয়ে তাদের কাজের লোকের চাহিদা বেড়েছে। তাই বাড়ছে জনশক্তি রপ্তানি। এ কারণে আগামী দিনগুলোতে দেশে রেমিট্যান্সের পরিমাণও বাড়বে বলে আশার কথা শুনিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে এ দেশ থেকে মোট ৬ লাখ ১৭ হাজার ২০৯ জন কর্মী গেছেন বিভিন্ন দেশে। নতুন করে শ্রমবাজার না খুললেও পুরোনো বাজার থেকেই চাহিদা বাড়ছে। এ ছাড়া খুলতে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারও। ইতিমধ্যে দুই দেশের সরকারের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়েছে।

সব মিলিয়ে নতুন বছরে জনশক্তি রপ্তানি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরে জনশক্তি রপ্তানির রেকর্ডে আমরা (সরকার) সত্যিই খুশি। শিগগিরই মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানো শুরু হবে। এবার কঠোরভাবে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়টি মনিটর করব। এরই মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে সই হয়েছে। এবার সম্পূর্ণ সিন্ডিকেটমুক্ত রেখে কম অভিবাসন খরচে কর্মী পাঠানোর চেষ্টা করব। ফলে সব মিলিয়ে জনশক্তি রপ্তানিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে। আরও বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসবে।’

বিএমইটির তথ্যে দেখা যায়, গত বছর যে সোয়া ৬ লাখের মতো কর্মী বিদেশে গেছেন, তাদের মধ্যে জানুয়ারি মাসে গেছেন ৩৫ হাজার ২৩২ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ৪৯ হাজার ৫১০ জন এবং মার্চে ৬১ হাজার ৬৫৩ জন। এপ্রিলে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর গতি কমে যায়। ওই মাসে ৩৪ হাজার ১৪৫ জন কর্মী গেছেন। মে মাসে গেছেন ১৪ হাজার ২০০ জন।

জুন মাসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসতে থাকলে আবার সংখ্যা বাড়তে থাকে। জুনে গেছেন ৪৮ হাজার ৫৬৭ জন, জুলাই মাসে ১২ হাজার ৩৮০ জন, আগস্টে ১৯ হাজার ৬০৪ জন, সেপ্টেম্বর মাসে ৪২ হাজার ৮ জন গেছেন।

অক্টোবরে ৬৫ হাজার ২৩৩ জন, নভেম্বরে ১ লাখ ২ হাজার ৮৬১ জন এবং ডিসেম্বরে সবচেয়ে বেশি কর্মী গেছেন ১ লাখ ৩১ হাজার ৩১৬ জন।

২০২১ সালে মোট জনশক্তি রপ্তানির মধ্যে ৪ লাখ ৫৭ হাজার ২২৭ জনই গেছেন সৌদি আরবে। অর্থাৎ ৭৪ শতাংশই গেছেন সৌদি আরবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেছেন ২৯ হাজার ২০২ জন, কুয়েতে ১ হাজার ৮৪৮ জন, ওমানে ৫৫ হাজার ৯ জন, কাতারে ১১ হাজার ১৫৮ জন, বাহরাইনে মাত্র ১১ জন, লেবাননে ২৩৫ জন, জর্ডানে ১৩ হাজার ১১৬ জন, লিবিয়ায় ৩ জন, সুদানে ৩৯ জন, মালয়েশিয়ায় ২৮ জন, সিঙ্গাপুরে ২৭ হাজার ৮৭৫ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১০৮ জন, ইউকেতে ১২৩ জন, ইতালিতে ৬৫৩ জন, জাপানে ৩ জন, ব্রুনাইয়ে ১২ জন, মরিশাসে ২১৫ জন এবং ইরাকে গেছেন ৫ জন।

এদিকে নারী জনশক্তি রপ্তানিও আগের বছরগুলোর চেয়ে বেড়েছে। ২০২১ সালে ৮০ হাজার ১৪৩ জন নারী কর্মী কাজ নিয়ে বিদেশে গেছেন। জানুয়ারিতে গেছেন ৪ হাজার ৬৬৯ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৬ হাজার ৩৮২ জন, মার্চে ৮ হাজার ২৯৭ জন, এপ্রিলে ৫ হাজার ২৩৯ জন, মে মাসে ৪ হাজার ২৩৮ জন।

জুনে ৬ হাজার ৯০১ জন, জুলাইয়ে ১ হাজার ৬৯১ জন, আগস্টে ৩ হাজার ৬৫৯ জন, সেপ্টেম্বরে ৮ হাজার ৫৩ জন, অক্টোবরে ৮ হাজার ৪৮৮ জন এবং নভেম্বরে ১০ হাজার ৯৬২ জন নারী কর্মী কাজ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছেন। সবশেষ ডিসেম্বরে গেছেন সবচেয়ে বেশি ১১ হাজার ৫৬৪ জন।

নারী কর্মীদের মধ্যেও সবচেয়ে বেশি সৌদি আরবে গেছেন ৪৬ হাজার ৩৬১ জন। এর পরে জর্ডানে ১১ হাজার ৬৯৭ জন, আর ওমানে গেছেন ৭ হাজার ৬৪৫ জন নারী কর্মী। গত বছর এই তিন দেশেই সবচেয়ে বেশি নারী কর্মী পাঠানো গেছে।

জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পণ্য রপ্তানির মতো জনশক্তি রপ্তানিতেও দেশে সুবাতাস বইছে। ডিসেম্বরে আমরা জনশক্তি রপ্তানিতে রেকর্ড গড়েছি। এরই মধ্যে দুটি সুসংবাদ এসেছে।

‘তিন বছর পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়েছে; ফের শ্রমিক যাবে সেখানে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অর্থনীতি চাঙা হয়েছে। সেখানে আরও বেশি কর্মী যাবে; আরও বেশি রেমিট্যান্স আসবে। আরেকটি সুখবর হচ্ছে, সরকার ১ জানুয়ারি থেকে রেমিট্যান্সের প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করেছে। সব মিলিয়ে রেমিট্যান্সে একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। ইতিমধ্যে আমরা সেই প্রভাব দেখতে পাচ্ছি।’

নারীদের কাজের পরিবেশ ও নিরাপত্তা দিতে পারলে আরও অধিকসংখ্যক কর্মী শ্রমবাজারে পাঠানো সম্ভব বলে মনে করেন আবুল বাশার।

২০১৯ সালে মহামারি করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের শ্রমবাজার। মহামারির আগের বছর ২০১৯ সালে ৭ লাখ ১৫৯ জন কর্মী কাজ নিয়ে বিদেশে গিয়েছিলেন। করোনার ধাক্কায় ২০২০ সালে তা ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৬৯ জনে নেমে আসে। তবে ২০২১ সালে ধীরে ধীরে তা আবার আলোর মুখ দেখতে শুরু করে; যা বছরজুড়েই গতিতে ছিল। মহামারির আগের সময়ের গতিতে ফিরেছে।

বিএমইটির রেকর্ড অনুযায়ী, ১৯৭৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৩০ লাখ বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজে গেছেন। এই বিশালসংখ্যক জনশক্তি পাঠানোর ক্ষেত্রে শ্রমিকদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্স ইউনিটের (রামরু) তথ্য মতে, গত বছর যে সংখ্যক কর্মী বিদেশে গেছেন, তাদের ৭৪ শতাংশই অদক্ষ। আর ৩ দশমিক ৬ শতাংশ আধা দক্ষ। আর দক্ষ কর্মীর সংখ্যা ছিল ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক মঞ্জুর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জনশক্তি রপ্তানি বাড়ায় এখন প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণও বাড়বে। এ কথা ঠিক যে, চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সপ্রবাহে ধীরগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। সেটা কিন্তু গত অর্থবছরের চেয়ে কম। আগের যে কোনো অর্থবছরের সঙ্গে তুলনা করলে এই রেমিট্যান্সকে কিন্তু কম বলা যাবে না।

‘করোনা মহামারির মধ্যে সবকিছু বন্ধ থাকায় গত অর্থবছরে পুরো রেমিট্যান্স এসেছিল ব্যাংকিং চ্যানেলে; হুন্ডির মাধ্যমে আসেনি। এখন সব কিছু খুলে যাওয়ায় এবং ব্যাংক রেটের চেয়ে কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম বেশ বেশি হওয়ায় সম্ভবত হুন্ডির মাধ্যমেও কিছু রেমিট্যান্স আসছে। সে কারণেই ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কম দেখা যাচ্ছে।

‘তবে আমার মনে হচ্ছে, রেমিট্যান্স প্রবাহে ফের গতি ফিরে আসবে। সরকার প্রণোদনার পরিমাণ বাড়িয়েছে। বেশি বেশি কর্মী বিদেশে যাচ্ছেন। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতিতেও গতি ফিরে এসেছে। এসব কিছুর প্রভাব রেমিট্যান্সে পড়বে।’

এদিকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহে ফের গতি ফিরছে। টানা পাঁচ মাস কমার পর ডিসেম্বরে কিছুটা বেড়েছিল অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক। নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে সেই গতি আরও বেড়েছে।

জানুয়ারির ২০ দিনেই দেশে ১২২ কোটি ৪১ লাখ (১.২২ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই ২০ দিনে যে হারে রেমিট্যান্স এসেছে, মাসের বাকি ১১ দিনে যদি সে হারে আসে, তাহলে জানুয়ারিতে মোট রেমিট্যান্সের অঙ্ক গিয়ে ঠেকবে ১৯০ কোটি ডলারে, যা হবে একক মাসের হিসাবে আগের সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এর আগে ২০২১ সালের জুনে ১৯৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ১ হাজার ২৩ কোটি (১০.২৩ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ২৯৪ কোটি ডলার। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রেমিট্যান্স কমেছে ২৭০ কোটি ডলার বা ২০ দশমিক ৯ শতাংশ।

গত ২০২০-২১ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি বেড়েছিল ১৫ দশমিক ১০ শতাংশ। আর চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বেড়েছে ২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ।

আরও পড়ুন:
সৌদিতে বাংলাদেশিকে ‘খুন’ পাকিস্তানির
সৌদি শ্রমবাজার নিয়ে উদ্বেগের কথা জানাল জেদ্দা কনস্যুলেট
মালয়েশিয়ায় কর্মী যাবে ২৫ এজেন্সি ও ২৫০ এজেন্টের মাধ্যমে
দেশকে প্রোডাকশন হাব বানাতে কাজ করুন
মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও শ্রমবাজার খোঁজার তাগিদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Bangladesh Bank has bought and 1 million at auction

নিলামে ৪৭.৫০ মিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

নিলামে ৪৭.৫০ মিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ডলারের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বিগত তিন অর্থবছর ধরে রিজার্ভ থেকে বিপুল পরিমাণ ডলার বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ভিন্ন পথে হাঁটছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ছয় দফায় মোট ৬৮ কোটি ডলারের বেশি কিনে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সবশেষ মঙ্গলবার ৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে কেনা হয়েছে ৪৭.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, বাজারে বর্তমানে ডলারের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। এ কারণেই রিজার্ভ থেকে বিক্রি না করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকেই ডলার কিনছে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভবিষ্যতেও এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

ডলার কেনা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ (এফএক্স) নিলাম কমিটির মাধ্যমে, মাল্টিপল প্রাইস অকশন পদ্ধতিতে। এক ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৭৫ পয়সা পর্যন্ত।

এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচ দফায় ডলার কেনে। ১৩ জুলাই ১৮ ব্যাংক থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কেনা হয়। এরপর ১৫ জুলাই একই দরে ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২৩ জুলাই ১২১ টাকা ৯৫ পয়সা দরে এক কোটি ডলার কেনে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া ৭ আগস্ট ১২১ টাকা ৩৫ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার, ১০ আগস্ট ১১ ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে মোট ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার কেনা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ডলারের দাম হঠাৎ করে অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া বা অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়া- দুটোই অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। বর্তমানে দেশে খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে এবং বিদেশি দায় পরিশোধও সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ফলে নিকট ভবিষ্যতে ডলারের তীব্র চাহিদা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তাদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই ডলার ক্রয় রিজার্ভকে আরও শক্তিশালী করবে। এছাড়া জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এলে বিনিয়োগ বাড়বে, ফলে ডলারের চাহিদাও বাড়তে পারে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dhaka Chamber calls to set up a commercial court to attract foreign investment

বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে ‘কমার্শিয়াল কোর্ট’ স্থাপন করার আহ্বান ঢাকা চেম্বারের

বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে ‘কমার্শিয়াল কোর্ট’ স্থাপন করার আহ্বান ঢাকা চেম্বারের

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে অভিজ্ঞ বিচারকদের নিয়োগের মাধ্যমে একটি ‘কমার্শিয়াল কোর্ট’ স্থাপন করা এবং আইনি প্রক্রিয়ার সংস্কার একান্ত অপরিহার্য।

তিনি বলেন, বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তির দীর্ঘসূত্রিতায় বিদেশি বিনিয়োগ ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও দেশে সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি, বিনিয়োগ ও মেধাস্বত্ত্ববিষয়ক বিরোধ ক্রমাগত বাড়ার বিষয়টি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ অবস্থার আলোকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে গতি আনতে একটি আলাদা কমার্শিয়াল কোর্ট স্থাপন এবং আইনি প্রক্রিয়ার সংস্কার একান্ত অপরিহার্য।

মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ঢাকা চেম্বার আয়োজিত ‘ব্যবসায় বিরোধ নিষ্পত্তি ও চুক্তি প্রয়োগ কার্যক্রমের অগ্রগতি’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি দলের প্রধান মাইকেল মিলার এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) ও ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আবদুর রহিম খান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, জনবহুল এদেশে আদালতে মামলার সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে এবং বিচারিক কার্যক্রমের দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়টিকে আরো অসহনীয় করে তুলেছে। যার ফলে স্থানীয় বিনিয়োগের পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে আরবিট্রেশন আইন করা হলেও, বাণিজ্যের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা যায়নি। বাণিজ্য বিষয়ক বিরোধসমূহ যদি প্রথাগত আদলতের বাইরে গিয়ে মেটানো যায়, তাহলে একদিকে যেমন আদলতের উপর চাপ কমবে, সেই সঙ্গে বাণিজ্যের পরিবেশেরও উন্নয়ন হবে।

তিনি আরও বলেন, কমার্শিয়াল কোর্ট স্থাপনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এটার খসড়া চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বাণিজ্যবিষয়ক আদালতসমূহে বিশেষজ্ঞ বিচারকদের নিয়োগ দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় সংষ্কারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

বাংলাদেশ নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় সংস্কারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ইইউ নিবিড়ভাবে কাজ করছে। এ ধরনের সংস্কার দেশের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহিম খান বলেন, বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে শুধু যে এফডিআই আকর্ষন ব্যাহত হচ্ছে তা নয়। বরং বিষয়টি আমাদের রপ্তানি সম্প্রসারণেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং সার্বিকভাবে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক কার্যক্রমে বাংলাদেশ ক্রমাগত আস্থা হারাচ্ছে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার। তিনি বলেন, স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিকট ব্যবসায়িক চুক্তির প্রয়োগের বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক, যেখানে আমরা বেশ পিছিয়ে রয়েছি।

অনুষ্ঠানের নির্ধারিত আলোচনায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আরিফুল হক, ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর উপ আবাসিক প্রতিনিধি সোনালী দা রত্নে, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টার (বিয়াক)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে এ এম মাজেদুর রহমান, সিঙ্গাপুর ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রাজাহ অ্যান্ড থান-এর কো-হেড ভিকনা রাজা, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের স্পেশাল অফিসার বিচারপতি তারেক মোয়াজ্জেম হোসেন এবং ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড এসোসিয়েটস-এর পার্টনার ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন অংশগ্রহণ করেন।

মুক্ত আলোনায় ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সরকারের আন্ত:মন্ত্রণালয় সমন্বয়ের বেশ অভাব রয়েছে এবং এ অবস্থার উন্নয়ন না হলে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না। বাণিজ্যিক বিরোধগুলো সমাধানে আদালতে না গিয়ে, আরবিট্রেশন সেন্টারের মাধ্যমে নিষ্পত্তিতে বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

ডিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট খাতের স্টেকহোল্ডাররা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The price of LP gas has dropped to Rs

এলপি গ্যাসের দাম কমলো ৩ টাকা

এলপি গ্যাসের দাম কমলো ৩ টাকা

ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির এলপিজি (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) সিলিন্ডারের দাম কমানো হয়েছে ৩ টাকা। নতুন মূল্য অনুযায়ী, চলতি সেপ্টেম্বর মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২৭০ টাকা, যা গত মাসে ছিল ১ হাজার ২৭৩ টাকা।

মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দর ঘোষণা করেন। নতুন দাম গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়েছে ।

এছাড়া, গাড়িতে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দামও লিটারে ১৩ পয়সা কমিয়ে ৫৮ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিইআরসির ঘোষণায় বলা হয়, বেসরকারি খাতে ভ্যাটসহ প্রতি কেজি এলপিজির নতুন দাম ১০৫ টাকা ৮৭ পয়সা। সেখান থেকে বিভিন্ন ওজনের সিলিন্ডারের মূল্য নির্ধারিত হবে।

তবে সরকারি কোম্পানির সরবরাহকৃত সাড়ে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৮২৫ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। সৌদি আরামকোর প্রপেন ও বিউটেনের আন্তর্জাতিক বাজারদরের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে এ দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এই মূল্য নির্ধারণ কার্যক্রম চালু রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Starts importing tomatoes with the port of Hilli

হিলি বন্দর দিয়ে টমেটো আমদানি শুরু

হিলি বন্দর দিয়ে টমেটো আমদানি শুরু

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে টমেটো আমদানি শুরু হয়েছে।

চট্টগ্রামের বড় বাজারের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের নাসিক রাজ্য থেকে এসব টমেটো আমদানি করছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ভারত থেকে টমেটো বোঝাই একটি ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশের মধ্য দিয়ে টমেটো আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিন ২৮ টন টমেটো আমদানি করা হয়েছে। প্রতিকেজি টমেটো আমদানি করতে শুল্কসহ খরচ গুণতে হচ্ছে ৬১ টাকা।

আমদানিকারক এনামুল হক বলেন, দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় ভারতের নাসিক রাজ্য থেকে এসব টমেটো আমদানি করা হচ্ছে। বন্দরে প্রতি কেজি টমেটো ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা থাকলে আরও বেশি পরিমাণ টমেটো আমদানি করা হবে।

হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন বলেন, গতকাল মঙ্গলবার হিলি বন্দর দিয়ে এক ট্রাকে ২৮ টন টমেটো আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত এসব টমেটো ৫০০ ডলারে শুল্কায়ণ করা হচ্ছে। যেহেতু টমেটো কাঁচাপণ্য তাই দ্রুত ছাড় করণে আমদানিকারককে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধের তথ্যমতে, গত ২০২২ সালের ৬ আগস্ট সবশেষ এই বন্দর দিয়ে টমেটো আমদানি করা হয়েছিল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Gold prices reached the record per ounce over and 5

স্বর্ণের দাম রেকর্ড, প্রতি আউন্স পৌঁছেছে ৩৫০০ ডলারের উপরে

স্বর্ণের দাম রেকর্ড, প্রতি আউন্স পৌঁছেছে ৩৫০০ ডলারের উপরে

বিশ্ব অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয়স্থল খুঁজতে থাকায় মঙ্গলবার প্রতি আউন্স সোনার দাম রেকর্ড সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৫০০ ডলারের উপরে পৌঁছেছে।
এশিয়ায় প্রাথমিক লেনদেনের সময় মূল্যবান ধাতুটি প্রতি আউন্স ৩,৫০১ দশমিক ৫৯ ডলারে পৌঁছেছে, যা এপ্রিলে এর আগের রেকর্ড ৩,৫০০ দশমিক ১০ ডলারকে ছাড়িয়ে গেছে।
হংকং থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
বিনিয়োগকারীরা দুর্বল মার্কিন ডলার ও ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সুদের হার কমানোর সম্ভাবনার কথা বিবেচনায় নেওয়ায় সোনার দামের এই দরপতন ঘটেছে।
মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির একটি মূল্য সূচক দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিট রেকর্ড সর্বোচ্চ থেকে পিছিয়ে এসেছে। একই সময়ে, ফেডের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।
শ্রম দিবসের জন্য সোমবার ওয়াল স্ট্রিট বন্ধ ছিল, তখন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় ডলার মিশ্র লেনদেন করেছে।
বন্ধকী জালিয়াতির অভিযোগে ফেডের গভর্নরকে তিরস্কার করার পর ট্রাম্প গত মাসে বলেছিলেন, ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর লিসা কুক পদত্যাগ না করলে, তিনি তাকে বরখাস্ত করবেন।
মার্কিন আপিল আদালত ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনেক শুল্ক, যা বিশ্ব বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সেগুলো অবৈধ বলে রায় দেওয়ার পরও এই রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছে।
তবে আদালত আপাতত এই ব্যবস্থাগুলো বহাল রাখার অনুমতি দেওয়ায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করার জন্য সময় পেয়েছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Community Bank Startup Entrepreneurs with Bangladesh Bank Signature on Refinenceing Agreement

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে কমিউনিটি ব্যাংকের স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের রিফাইন্যান্সিং সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে কমিউনিটি ব্যাংকের স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের রিফাইন্যান্সিং সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে কমিউনিটি ব্যাংকের স্টার্টআপ রিফাইন্যান্স স্কিমের অধীনে অংশীদারত্বমূলক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বুধবার (২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স সেন্টারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার এবং নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখার উপস্থিতিতে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে এসএমইএসপিডি বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং কমিউনিটি ব্যাংকের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত পারস্পরিক অংশীদারত্বমূলক এ চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন। এ সময় অনুষ্ঠানে- বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক হাফিয়া তাজরিয়ান, যুগ্ম পরিচালক মো. নুরুল কাওসার সাঈফ এবং কমিউনিটি ব্যাংকের হেড অব কর্পোরেট ব্যাংকিং ও হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মোঃ আরিফুল ইসলাম, হেড অব এসএমই অ্যান্ড এগ্রিকালচার শরিফ হাসান মামুনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ব্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Export income in July August is 5 percent growth

জুলাই-আগস্টে রপ্তানি আয়ে ১০.৬১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

জুলাই-আগস্টে রপ্তানি আয়ে ১০.৬১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে দেশের রপ্তানি আয় ১০.৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে মোট ৮ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) আজ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-আগস্ট) রপ্তানি আয় ছিল ৭ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার।

তবে, সামগ্রিক এই ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির পরও ২০২৫ সালের আগস্ট মাসে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

২০২৫ সালের আগস্ট মাসে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৪ সালের আগস্টে অর্জিত ৪ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে সামান্য কম।

স্বাভাবিকভাবেই তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাত শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে এই খাত থেকে আয় হয়েছে ৭ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে