রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশ- আইসিবি চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই থেকে ডিসেম্বর) শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস বাড়াতে পেরেছে ১২৫ শতাংশ। এই তথ্য যেদিন পুঁজিবাজারে প্রকাশ হলো, সেদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর হারাল ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ।
বিকন ফার্মার ক্ষেত্রেও একই চিত্র। কোম্পানিটি অর্ধবার্ষিক হিসাবে আয় দ্বিগুণেরও বেশি বাড়াতে পেরেছে। এই তথ্য প্রকাশের দিন কোম্পানিটির শেয়ারদর কমল ৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি পাওয়ার গ্রিডের আয় বেড়েছে ১০ শতাংশের মতো। আর কোম্পানিটির শেয়ারদর হারিয়েছে ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস যেদিন বছরের দুই প্রান্তিকে ৪৪ শতাংশ আয় বাড়ানোর তথ্য জানাল, সেদিন কোম্পানটির শেয়ারদর হারাল ১ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।
কেবল এ চারটি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ২২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস পুঁজিবাজারের সূচক কমেছে ৩৫ পয়েন্ট।
জুনে অর্থবছর শেষ হয় এমন কোম্পানিগুলো কয়েক দিন ধরেই তাদের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়ের তথ্য জানাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, শক্তিশালী মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলো বেশ ভালো করছে। বেশির ভাগের আয়ই বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
আয় বাড়লে শেয়ারদর সাধারণত বাড়ে। তবে বছরের শুরুতে চাঙা হয়ে ওঠা পুঁজিবাজার প্রথম মাসের শেষ দিকে আবার কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি করছে। গত বছরের শেষ দিকে বিনিয়োগকারীরা এমন বিভ্রান্তির সময় শেয়ার না কিনে অপেক্ষায় ছিলেন, কেউ শেয়ার কম দামে ছেড়ে দিয়েছেন আরও কমে যাবে এমন শঙ্কায়। এর ফলে ঘটে দরপতন, যে বৃত্ত ভাঙার আভাস দেখা গিয়েছিল বছরের শেষ সপ্তাহ থেকে।
তবে গত সপ্তাহেই বাজারে দেখা দেয় ধীরগতি। সূচক উঠতেই পারছিল না। এর মধ্যে নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনে লেনদেনের চিত্র আবার বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা হতাশা তৈরি করেছে।
১১ কর্মদিবস পর সূচক আবার ৭ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে গেছে। লেনদেন কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৮টির, কমেছে ২২৯টির। আর দর আগের দিনের মতোই আছে ৩৩টির।
লেনদেন হয়েছে মোট ১ হাজার ৩৩৩টি টাকা। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। লেনদেন বেড়েছে ১১৪ কোটি টাকা।
খাতভিত্তিক সবচেয়ে ভালো অবস্থানে ছিল সাধারণ বিমা খাতের কোম্পানিগুলো। বিবিধ খাতেও বেশির ভাগ কোম্পানির দর বেড়েছে।
প্রধান বাকি সব খাতেই শেয়ারদর কমেছে। বস্ত্র খাতে ১৫ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে ৭২ শতাংশর। ব্যাংক, আর্থিক জ্বালানি, ওষুধ ও রসায়ন, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, প্রকৌশল খাতেও গেছে বাজে দিন।
লেনদেন সবচেয়ে বেশি হয়েছে বস্ত্র খাতে। পরের অবস্থান যথাক্রমে বিবিধ, প্রকৌশল এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি।
যেসব কোম্পানির দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে
রোববার আইসিবি’র শেয়ার দর ৬.১৫ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে সবচেয়ে বেশি ১১.৭৫ পয়েন্ট। বিকনফার্মার শেয়ার দর ৬.০৪ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৫.৭ পয়েন্ট। পাওয়ার গ্রিডের শেয়ার দর কমে আসায় সূচক কমেছে ৩.৬৬ পয়েন্ট।
এদিন বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ব্র্যাক ব্যাংক, তিতাস গ্যাসের শেয়ার দর কমেছে সূচক কমেছে ৭.৮৩ পয়েন্ট।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলের ১.৬১ পয়েন্ট, বেক্সিমকো ফার্মার ১.৪৮ পয়েন্ট ও ইউনিলিভার কনজ্যুমারের ১.২৪ পয়েন্ট কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানিই সূচক ফেলেছে ৩৩.২৭ পয়েন্ট।
অন্যদিকে শেয়ার দর বাড়াতে প্রধান ভূমিকায় ছিল গ্রামীণফোন। শেয়ারদর ০.৭৪ শতাংশ বাড়ায় সূচকে যোগ হয়েছে ৫.৪২ পয়েন্ট।
লাফার্জ হোলসিম, বার্জার পেইন্টস, ইউনিয়ন ব্যাংক, একমি ল্যবরেটরিজ, ওরিয়ন ফার্মা, বেক্সিমকো লিমিটেড, লিন্ডে বিডি, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও এনভয় টেক্সটাইলের কারণেও সূচক কমেছে খানিকটা।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচকে যোগ করতে পেরেছে ১৭.৬১ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির ১০ কোম্পানি
টানা দুই দিন দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমায় ছুঁয়ে লেনদেন হলো বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসের। দুই দিনে শেয়ারদর ২০ টাকা থেকে হয়েছে ২৪ টাকা ২০ পয়সা। বৃহস্পতিবার ১০ শতাংশ বেড়ে দাম দাঁড়ায় ২২ টাকা, সেটি আরও ১০ শতাংশ বাড়ে রোববার।
ন্যাশনাল পলিমারের শেয়ার দর বেড়েছে যতটুকু বাড়া সম্ভব ততটুকুই। ৯.৯৮ শতাংশ বেড়ে শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ৫৭ টাকা ৩০ পয়সায়।
তালিকাভুক্ত হওয়ার পর তৃতীয় কর্মদিবসেও সর্বোচ্চ পরিমাণে বেড়েছে ইউনিয়ন ব্যাংকের দর। নতুন তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স ও বিডি থাই ফুডসের দরও বেড়েছে প্রায় একই পরিমাণে।
আট শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে দুটি কোম্পানির। এর মধ্যে কুইন সাউথ টেক্সটাইলের দর ৮.৫৮ শতাংশ ও জেমিনি সি ফুডসের দর ৮.৫২ শতাংশ দর বেড়েছে।
দর বৃদ্ধিতে অষ্টম স্থানে থাকা ফার্মা এইডের দর বেড়েছে ৭.৪২ শতাংশ।
এছাড়া অগ্নি সিস্টেমসের দর ৬.১৫ শতাংশ আর ন্যাশনাল টি কোম্পানির দর ৬.০৪ শতাংশ বেড়েছে।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
দর পতনের শীর্ষে ছিল শমরিতা হসপিটালের ৯.৯৫ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ার দর ১১২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১০১ টাকা ৩০ পয়সা।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা হামিদ ফেব্রিক্সের দর কমেছে ৮.২৪ শতাংশ। অ্যাকটিভ ফাইনের দর কমেছে ৭.১৯ শতাংশ। মালেক স্পিনিংয়ের দর কমেছে ৭.০৮ শতাংশ।
ছয় শতাংশের বেশি কমেছে চারটি কোম্পানির দর। এর মধ্যে জাহিন টেক্সটাইলের কমেছে ৬.৫৭ শতাংশ, দেশ গার্মেন্টসের কমেছে ৬.৫৩ শতাংশ, গ্লোবাল হ্যাভি ক্যামিকেলের কমেছে ৬.৩৮ শতাংশ আর আইসিবির দর কমেছে ৬.১৫ শতাংশ।
বেঙ্গল উইসডন, বিকনফার্মা, সিনোবাংলা ছিল দরপতনের শীর্ষ দশে।
লেনদেনে সেরা ১০ কোম্পানি
রোববার সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের ১০৫ কোটি ৭ লাখ টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৬৭ লাখ ৭৭ হাজার ৫৫টি শেয়ার।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনে লেনদেন হয়েছে ৮৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা পাওয়ার গ্রিডে লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
কুইন সাউথ টেক্সটাইলে ৪১ কোটি ১৮ লাখ টাকা, ওরিয়ন ফার্মায় ৩৮ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
সাইফ পাওয়ারটেক ও ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। মালেক স্পিনিং, আরএকে সিরামিক, মতিন স্পিনিংও ছিল এই তালিকায়।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য