রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশ- আইসিবি চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই থেকে ডিসেম্বর) শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস বাড়াতে পেরেছে ১২৫ শতাংশ। এই তথ্য যেদিন পুঁজিবাজারে প্রকাশ হলো, সেদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর হারাল ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ।
বিকন ফার্মার ক্ষেত্রেও একই চিত্র। কোম্পানিটি অর্ধবার্ষিক হিসাবে আয় দ্বিগুণেরও বেশি বাড়াতে পেরেছে। এই তথ্য প্রকাশের দিন কোম্পানিটির শেয়ারদর কমল ৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি পাওয়ার গ্রিডের আয় বেড়েছে ১০ শতাংশের মতো। আর কোম্পানিটির শেয়ারদর হারিয়েছে ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস যেদিন বছরের দুই প্রান্তিকে ৪৪ শতাংশ আয় বাড়ানোর তথ্য জানাল, সেদিন কোম্পানটির শেয়ারদর হারাল ১ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।
কেবল এ চারটি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ২২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস পুঁজিবাজারের সূচক কমেছে ৩৫ পয়েন্ট।
জুনে অর্থবছর শেষ হয় এমন কোম্পানিগুলো কয়েক দিন ধরেই তাদের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়ের তথ্য জানাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, শক্তিশালী মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলো বেশ ভালো করছে। বেশির ভাগের আয়ই বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
আয় বাড়লে শেয়ারদর সাধারণত বাড়ে। তবে বছরের শুরুতে চাঙা হয়ে ওঠা পুঁজিবাজার প্রথম মাসের শেষ দিকে আবার কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি করছে। গত বছরের শেষ দিকে বিনিয়োগকারীরা এমন বিভ্রান্তির সময় শেয়ার না কিনে অপেক্ষায় ছিলেন, কেউ শেয়ার কম দামে ছেড়ে দিয়েছেন আরও কমে যাবে এমন শঙ্কায়। এর ফলে ঘটে দরপতন, যে বৃত্ত ভাঙার আভাস দেখা গিয়েছিল বছরের শেষ সপ্তাহ থেকে।
তবে গত সপ্তাহেই বাজারে দেখা দেয় ধীরগতি। সূচক উঠতেই পারছিল না। এর মধ্যে নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনে লেনদেনের চিত্র আবার বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা হতাশা তৈরি করেছে।
১১ কর্মদিবস পর সূচক আবার ৭ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে গেছে। লেনদেন কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৮টির, কমেছে ২২৯টির। আর দর আগের দিনের মতোই আছে ৩৩টির।
লেনদেন হয়েছে মোট ১ হাজার ৩৩৩টি টাকা। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। লেনদেন বেড়েছে ১১৪ কোটি টাকা।
খাতভিত্তিক সবচেয়ে ভালো অবস্থানে ছিল সাধারণ বিমা খাতের কোম্পানিগুলো। বিবিধ খাতেও বেশির ভাগ কোম্পানির দর বেড়েছে।
প্রধান বাকি সব খাতেই শেয়ারদর কমেছে। বস্ত্র খাতে ১৫ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে ৭২ শতাংশর। ব্যাংক, আর্থিক জ্বালানি, ওষুধ ও রসায়ন, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, প্রকৌশল খাতেও গেছে বাজে দিন।
লেনদেন সবচেয়ে বেশি হয়েছে বস্ত্র খাতে। পরের অবস্থান যথাক্রমে বিবিধ, প্রকৌশল এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি।
যেসব কোম্পানির দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে
রোববার আইসিবি’র শেয়ার দর ৬.১৫ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে সবচেয়ে বেশি ১১.৭৫ পয়েন্ট। বিকনফার্মার শেয়ার দর ৬.০৪ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৫.৭ পয়েন্ট। পাওয়ার গ্রিডের শেয়ার দর কমে আসায় সূচক কমেছে ৩.৬৬ পয়েন্ট।
এদিন বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ব্র্যাক ব্যাংক, তিতাস গ্যাসের শেয়ার দর কমেছে সূচক কমেছে ৭.৮৩ পয়েন্ট।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলের ১.৬১ পয়েন্ট, বেক্সিমকো ফার্মার ১.৪৮ পয়েন্ট ও ইউনিলিভার কনজ্যুমারের ১.২৪ পয়েন্ট কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানিই সূচক ফেলেছে ৩৩.২৭ পয়েন্ট।
অন্যদিকে শেয়ার দর বাড়াতে প্রধান ভূমিকায় ছিল গ্রামীণফোন। শেয়ারদর ০.৭৪ শতাংশ বাড়ায় সূচকে যোগ হয়েছে ৫.৪২ পয়েন্ট।
লাফার্জ হোলসিম, বার্জার পেইন্টস, ইউনিয়ন ব্যাংক, একমি ল্যবরেটরিজ, ওরিয়ন ফার্মা, বেক্সিমকো লিমিটেড, লিন্ডে বিডি, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও এনভয় টেক্সটাইলের কারণেও সূচক কমেছে খানিকটা।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচকে যোগ করতে পেরেছে ১৭.৬১ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির ১০ কোম্পানি
টানা দুই দিন দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমায় ছুঁয়ে লেনদেন হলো বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসের। দুই দিনে শেয়ারদর ২০ টাকা থেকে হয়েছে ২৪ টাকা ২০ পয়সা। বৃহস্পতিবার ১০ শতাংশ বেড়ে দাম দাঁড়ায় ২২ টাকা, সেটি আরও ১০ শতাংশ বাড়ে রোববার।
ন্যাশনাল পলিমারের শেয়ার দর বেড়েছে যতটুকু বাড়া সম্ভব ততটুকুই। ৯.৯৮ শতাংশ বেড়ে শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ৫৭ টাকা ৩০ পয়সায়।
তালিকাভুক্ত হওয়ার পর তৃতীয় কর্মদিবসেও সর্বোচ্চ পরিমাণে বেড়েছে ইউনিয়ন ব্যাংকের দর। নতুন তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স ও বিডি থাই ফুডসের দরও বেড়েছে প্রায় একই পরিমাণে।
আট শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে দুটি কোম্পানির। এর মধ্যে কুইন সাউথ টেক্সটাইলের দর ৮.৫৮ শতাংশ ও জেমিনি সি ফুডসের দর ৮.৫২ শতাংশ দর বেড়েছে।
দর বৃদ্ধিতে অষ্টম স্থানে থাকা ফার্মা এইডের দর বেড়েছে ৭.৪২ শতাংশ।
এছাড়া অগ্নি সিস্টেমসের দর ৬.১৫ শতাংশ আর ন্যাশনাল টি কোম্পানির দর ৬.০৪ শতাংশ বেড়েছে।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
দর পতনের শীর্ষে ছিল শমরিতা হসপিটালের ৯.৯৫ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ার দর ১১২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১০১ টাকা ৩০ পয়সা।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা হামিদ ফেব্রিক্সের দর কমেছে ৮.২৪ শতাংশ। অ্যাকটিভ ফাইনের দর কমেছে ৭.১৯ শতাংশ। মালেক স্পিনিংয়ের দর কমেছে ৭.০৮ শতাংশ।
ছয় শতাংশের বেশি কমেছে চারটি কোম্পানির দর। এর মধ্যে জাহিন টেক্সটাইলের কমেছে ৬.৫৭ শতাংশ, দেশ গার্মেন্টসের কমেছে ৬.৫৩ শতাংশ, গ্লোবাল হ্যাভি ক্যামিকেলের কমেছে ৬.৩৮ শতাংশ আর আইসিবির দর কমেছে ৬.১৫ শতাংশ।
বেঙ্গল উইসডন, বিকনফার্মা, সিনোবাংলা ছিল দরপতনের শীর্ষ দশে।
লেনদেনে সেরা ১০ কোম্পানি
রোববার সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের ১০৫ কোটি ৭ লাখ টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৬৭ লাখ ৭৭ হাজার ৫৫টি শেয়ার।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনে লেনদেন হয়েছে ৮৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা পাওয়ার গ্রিডে লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
কুইন সাউথ টেক্সটাইলে ৪১ কোটি ১৮ লাখ টাকা, ওরিয়ন ফার্মায় ৩৮ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
সাইফ পাওয়ারটেক ও ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। মালেক স্পিনিং, আরএকে সিরামিক, মতিন স্পিনিংও ছিল এই তালিকায়।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য