লেগুনাচালকের সহকারী সেজে হত্যা মামলার আসামি ধরেছেন যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল আল আজাদ।
টানা দুই দিন যাত্রাবাড়ী ও এর আশপাশ এলাকায় এভাবে ঘুরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। পরে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অভিযান চালিয়ে গত বুধবার চারজনকে গ্রেপ্তার করেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২২ জানুয়ারি ভোরে মহির উদ্দিন নামে একজন মাছ ব্যবসায়ীকে গুরুতর আহত অবস্থায় যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নেয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজন হলেন লেগুনার চালক মঞ্জু, তার সহযোগী আব্দুর রহমান, রুবেল ও রিপন। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের ছেলে খাইরুল ইসলাম ২৩ জানুয়ারি রাতে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্তভার পেয়ে ২৪ জানুয়ারি ঘটনাস্থল চিহ্নিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বিল্লাল আল আজাদ।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তদন্তের শুরুতেই আমরা যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের ওপরে যাই। ওখানকার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকাদের কাছ থেকে কিছু সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করি। কিন্তু এতে কিছু বোঝা যাচ্ছিল না। ধোলাইপাড় থেকে উঠে ফ্লাইওভারটি যাত্রাবাড়ীর যে অংশে মিলিত হয়েছে, সেখানে একটি লেগুনা থেকে কিছু একটা পড়ে যেতে দেখা যায়।
‘যে ক্যামেরায় এই দৃশ্যটা ধরা পড়েছে, তা ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৫০০ ফুট দূরের। ফলে কী হয়েছে, কারা করেছে কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না। শুধু বুঝতে পারলাম একটি লেগুনা থেকে কিছু পড়েছে আর লেগুনার পেছনে লাল রঙের কোনো একটা চিহ্ন আছে।’
এসআই বিল্লাল আল আজাদ বলেন, ‘লেগুনা এবং লেগুনার পেছনে লাল রঙের বাইরে কোনো ক্লু আমাদের কাছে ছিল না। তবে এতটুকু নিশ্চিত হওয়া যায় ভুক্তভোগী মহির উদ্দিন বাস-ট্রাক বা অন্য কোনো যানবাহনে হত্যাকাণ্ডের শিকার হননি, তাকে ফেলে দেওয়া হয়েছে একটি লেগুনা থেকে।
‘পরিচয় গোপন করে লেগুনায় হেলপার হিসেবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিই। যাত্রাবাড়ী ও এর আশপাশ এলাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বিভিন্ন এলাকায় লেগুনার সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি। এত লেগুনার মধ্যে পেছেনে লাল চিহ্ন থাকা একটি লেগুনা খুঁজে পাওয়া বেশ দুঃসাধ্য ব্যাপার ছিল।’
লেগুনার চালকের সহকারীর কাজ করতে গিয়ে চালকের জরিমানাও গুনতে হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বিল্লাল বলেন, ‘কাজ শুরুর পর লেগুনাচালক অন্যান্য হেলপার ও বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, একটি লেগুনা দুই দিন ধরে লাইনে আসছে না। জানতে পারি পাটেরবাগ এলাকায় একটি স্ট্যান্ডে লেগুনাটি পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে দেখি লেগুনাটির পেছনে লাল রং করা রয়েছে।
‘গ্যারেজের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, এই লেগুনার চালক শশুরবাড়ি মাদারীপুর রয়েছেন। যাত্রাবাড়ী থানার ওসি স্যারসহ ঊর্ধ্বতনদের অনুমতি নিয়ে আমরা মাদারীপুরে অভিযান চালাই।
‘সেখানে গিয়ে ফরহাদ নামে ওই চালককে পাই। কিন্তু তিনি জানান, গত ২১ তারিখ থেকে তিনি গাড়ি চালাচ্ছেন না। আর ঘটনাটি ঘটেছে ২২ তারিখ ভোরে। ফরহাদ জানান, মঞ্জু ও আব্দুর রহমান নামে দুজনের কাছে তিনি লেগুনাটি দিয়ে এসেছিলেন।’
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘এবার মঞ্জু আর আব্দুর রহমানকে খুঁজে বের করার পালা। আব্দুর রহমানের ঠিকানা পাই। নানা কৌশলে তাকে আটক করা হয়। কিন্তু ঠিকানাবিহীন মঞ্জুর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।
‘আমরা মঞ্জুর একজন সহকারীকে পাই। যার নাম শান্ত। তিনি জানান, মঞ্জু চিটাগাং রোডের দিকে থাকতে পারেন। সেখানে দীর্ঘ সময় খোঁজাখুঁজির পর মঞ্জুকে আমরা আটক করতে সক্ষম হই। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তার সঙ্গে রুবেল ও রিপন নামে দুজন ছিলেন। এই দুজনকেও আমরা আটক করতে সক্ষম হই। গ্রেপ্তার এ চারজনই ২৭ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।’
এসআই বিল্লাল আল আজাদ জানান, গত ২১ জানুয়ারি রুবেল, রিপন, মঞ্জু ও আব্দুর রহমান লেগুনা নিয়ে বের হন। গাড়ি চালাচ্ছিলেন মঞ্জু, তার সহযোগী হিসেবে ছিলেন আব্দুর রহমান ও পেছনের সিটে যাত্রীবেশে ছিলেন রিপন ও রুবেল।
তিনি জানান, প্রথম দফায় একবার একজনের কাছ থেকে ছিনতাই করতে ব্যর্থ হয়ে ভোর ৫টার দিকে তারা তুষারধারা আবাসিক এলাকার সাদ্দাম মার্কেটের সামনে মহির উদ্দিনকে লেগুনায় তোলেন। যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা বরাবর ফ্লাইওভারের ওপরে ৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে চলন্ত গাড়ি থেকে মহিরকে ফেলে দেন তারা।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা শিগগিরই এ মামলার চার্জশিট আদালতে উপস্থাপন করব।’
আরও পড়ুন:রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত দুই দিনে ২ হাজার ২৪৬টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩২২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।
ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।
প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।
টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।
জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।
দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে ধাক্কামারা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথী আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।
ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সপ্তম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চিৎকার দিলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অপর দু’জন কৌশলে পালিয়ে যান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুই নারী ভুক্তভোগী জানান, তাদের যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।
তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথী আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি হওয়া নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যুথী আক্তার আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ১৭২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৮৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
রাজধানী ঢাকার বস্তির শিশুদের দেহে নীরব ঘাতক সিসার বিপজ্জনক মাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব শিশুদের ৯৮ শতাংশের দেহে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসা শনাক্ত করা হয়েছে।
আইসিডিডিআরবির (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ) এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার আইসিডিডিআরবির সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) শিশুদের দেহে প্রতি লিটারে ৩৫ মাইক্রোগ্রামের উপস্থিতিকে উদ্বেগজনক মাত্রা বলে বিবেচনা করে। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সিসার কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। সিসার যেকোনো মাত্রাই শিশুর জন্য ক্ষতিকর।
আইসিডিডিআরবি ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে থাকা বস্তির শিশুদের ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। ওই গবেষণায় ২ থেকে ৪ বছর বয়সী ৫০০ শিশুর রক্তের নমুনা নেওয়া হয়।
আইসিডিডিআরবির অ্যাসিস্ট্যান্ট সায়েন্টিস্ট ডা. জেসমিন সুলতানা জানান, এসব শিশুর রক্তে প্রতি ডেসিলিটারে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে তাদের মধ্যে অর্ধেকের শরীরের এই মাত্রা ছিল ৬৭ মাইক্রোগ্রামের বেশি। গবেষণায় দেখা যায়, সিসা পোড়ানো, গলানো বা রিসাইক্লিংয়ের (পুনঃচক্র) মতো কাজগুলো যেখানে হয়, সেসব এলাকার শিশুদের মধ্যে সিসায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।
উদাহরণ দিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, গবেষণায় চিহ্নিত সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী শিশুদের রক্তে সিসার মাত্রা ছিল পাঁচ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে বসবাসকারী শিশুদের তুলনায় ৪৩% বেশি। সিসার অন্যান্য উৎসের মধ্যে রয়েছে ঘরের ভেতর ধূমপান, দূষিত ধূলিকণা, সিসাযুক্ত প্রসাধনসামগ্রী ও রান্নার পাত্র।
এই আলোচনা সভা থেকে লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি বানানো বা রিসাইক্লিং করার কারখানা বা স্থান, অথবা যেসব কারখানা বা স্থাপনায় সিসা গলানো বা পোড়ানো হয়, এমন সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিলে বা দূষণ কমানোর ব্যবস্থা নিলে সেসব এলাকার শিশুদের সিসা দূষণ থেকে বাঁচানো সম্ভব।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আইসিডিডিআরবির রিসার্চ ট্রেইনি ডা. সানজিদা তাপসি আদিবা। স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিডিডিআরবির হেলথ সিস্টেম অ্যান্ড পপুলেশন স্টাডিজ ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ড. সারাহ স্যালওয়ে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা ও ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত বাসসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-বিভাগ (ডিবি)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. বাবু মিয়া (৩৬) ও মো. রাকিবুল হাসান (২৮)। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিবি-মতিঝিল বিভাগ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কতিপয় মাদক কারবারি একটি যাত্রীবাহী বাসে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ যাত্রাবাড়ীর আসমা আলী সিএনজি রিওয়েলিং অ্যান্ড ওয়ার্কশপ লি. এর পূর্ব পাশে হামজা বডিবিল্ডারের সামনে অবস্থান করছে বলে জানতে পারে।
পরে দুপুর পৌনে ৩ টার দিকে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত একটি বাসসহ বাবু ও রাকিবুলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন মাদক কারবারিদের কাছে বিক্রি করত বলে স্বীকার করে।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ১৯২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৬৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৮৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য