পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
বৃহস্পতিবার এই টেলিফোন আলাপের সময় তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতবিনিময় করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন চলতি বছর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে মালয়েশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বর্তমান স্তরে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রশংসা করে সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহ সম্পর্কটিকে ‘কৌশলগত পর্যায়ে’ উন্নীত করার ওপর জোর দেন।
টেলিফোন আলাপে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন অর্থনীতির সব সেক্টরে বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগের সুযোগ উন্মুক্ত করার বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকারের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন।
তিনি নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসন চ্যানেলের মাধ্যমে আরও কর্মী পাঠানোর মাধ্যমে মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মকাণ্ডে অবদান রাখতে বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তুতির কথা জানান। মন্ত্রী মোমেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি-প্রশিক্ষিত জনশক্তি নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ জানান।
সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহ দুই দেশের আইসিটি কর্তৃপক্ষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতির ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের ওপর জোর দেন।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সব ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার সহায়ক ভূমিকার প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য মালয়েশিয়াকে অব্যাহত সমর্থনের অনুরোধ জানান। মোমেন মালয়েশিয়া সরকারকে তাদের অর্ধ মিলিয়নেরও বেশি করোনার টিকা অনুদানের জন্য ধন্যবাদ জানান।
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করে সাইফুদ্দিন বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে ১১ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশাল মানবিক পদক্ষেপের জন্য সমগ্র বিশ্ব কৃতজ্ঞ।’
মোমেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও বৈশ্বিক ফোরামে বাংলাদেশি প্রার্থিতার পক্ষে মালয়েশিয়ার সমর্থন চান। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পারস্পরিক সুবিধার সময়ে বাংলাদেশ সফরে সম্মত হন। এ সময় দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন:দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তিনটি ইউনিটের ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছে।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৩২ মিনিটে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। ওই ইউনিটটি ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন হলেও সেটি থেকে রাতে প্রাথমিকভাবে ৭০ থেকে ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর থেকে জাতীয় গ্রিডে যোগ করা হচ্ছে। এটি চালু রাখতে ৮০০ থেকে ৯০০ টন কয়লা প্রয়োজন হয়।
প্রধান প্রকৌশলী জানান, ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২ নম্বর ইউনিট বন্ধ রয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর ইলেকট্রো হাইড্রোলিক ওয়েল পাম্প নষ্ট হওয়ায় ৩ নম্বর ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি জানান, ১ নম্বর ইউনিটটি অনেক দিনের পুরোনো। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে সংস্কারকাজের জন্য সেটিও বন্ধ করা হয়েছিল। মেরামত শেষে বৃহস্পতিবার রাতে সেটি চালু করা হয়েছে।
এ কর্মকর্তা আরও জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছে। তারা ১৫ দিন সময় চেয়েছে। চীন থেকে মেশিন এলেই ৩ নম্বর ইউনিট চালু করা সম্ভব হবে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকার ধারণ করেছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটি আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানায়।
বার্তায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশের দক্ষিণপূর্বাংশ ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও আরও ঘনীভূত হতে পারে।
‘এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।’
সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়, ‘চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
‘উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:আগামী একশ’ দিনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এই পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।
উপদেষ্টা বলেন, আগামী ১০০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারকে দক্ষ ও জনবান্ধব করার উদ্যোগ নেয়া হবে। স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন গঠন এবং গণমাধ্যম কর্মী (চাকরির শর্তাবলী) আইন ও সম্প্রচার আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য দপ্তর/সংস্থার সাংগঠনিক কাঠামোর আইনি সংস্কারে উদ্যোগ নেয়া হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য আইন, বিধি ও নীতিমালার প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে।
তিনি জানান, এই সময়ের মধ্যে সাংবাদিকদের বেতন কাঠামোর যৌক্তিক সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
চলচ্চিত্র নির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করা এবং ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক ডিজিটালাইজেশনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ঘোষিত রোডম্যাপে একশ’ দিনের মধ্যে অনলাইন নিউজ পোর্টালের লাইসেন্স প্রদান নীতিমালা যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেয়া হবে। এছাড়া বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনের চারটি শূন্য পদ পূরণ করা হবে।
চলমান প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে সম্পাদনে কিংবা প্রয়োজনীয় সংস্কার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) আয়বর্ধক কর্মসূচির জন্য বিজনেস সল্যুশন প্রোগ্রামের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন আইন, ১৯৫৭-কে যুগোপযোগী করা হবে।
বাংলাদেশ বেতার থেকে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের পথে শীর্ষক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ ছাত্র-জনতাকে নিয়ে এপিসোড প্রচার করা হবে।
বাংলাদেশ বেতারের অনিয়মিত শিল্পীদের অংশগ্রহণ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হবে।
ঢাকাসহ সারাদেশে দেওয়াল লিখন, স্লোগান এবং গ্রাফিতি তুলে ধরে তথ্য বিবরণীমূলক অনুষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার করা হবে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ও আহত ছাত্রদের পরিবারকে নিয়ে ২০০টি ফিচার প্রকাশসহ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যুগোপযোগী করা হবে। তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে জনসচেতনতা তৈরিসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তৃণমূল পর্যায়ে প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে।
পতিত সরকারের ২০০৯-২০২৪ সাল পর্যন্ত সব দুর্নীতি, অনাচার, দমন-পীড়ন, মানবতাবিরোধী অপরাধ, সাম্প্রতিক হত্যাযজ্ঞ ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে ডকুমেন্টারি তৈরির জন্য প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর যৌথভাবে কাজ করবে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সব শহীদের ওপর পরিচিতিভিত্তিক ডকুমেন্টারি নির্মাণ এবং দেওয়ালে অংকিত গ্রাফিতির ওপর চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর কর্তৃক অ্যালবাম তৈরি করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং রাষ্ট্র সংস্কারভিত্তিক ফিচার প্রকাশ করা হবে।
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনে গণমাধ্যমসহ অন্যান্য অংশীজনের ভূমিকাভিত্তিক সেমিনার জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজন করা হবে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড কর্তৃক সেন্সর্ড অবস্থায় থাকা চলচ্চিত্রসমূহ নীতিমালা ও যৌক্তিকতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। চলচ্চিত্র বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি পুনর্গঠন করা হবে।
তথ্য উপদেষ্টা জানান, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ আইন ২০১৮-এর কতিপয় ধারা সংশোধন করে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ যুগোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তথ্য কমিশনের বিদ্যমান চাকরির বিধিমালা যুগোপযোগী করা হবে।
আরও পড়ুন:চেক নিয়ে ঘুরছেন সাংবাদিকরা, অথচ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরার ব্যাংক একাউন্টে টাকা নেই। ব্যাংক থেকে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে বার বার। এমন প্রতারণার প্রতিবাদে বসুন্ধরা সিটির সামনে মানববন্ধন করতে গিয়েও বাধার মুখে পড়েছেন সাংবাদিকরা। কেড়ে নেয়া হয়েছে ব্যানার।
চেক দেয়ার পরও প্রতারণা আর হয়রানির প্রতিবাদে আজ (বৃহস্পতিবার) প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের (ইডব্লিউএমজিএল) দৈনিক কালের কণ্ঠ, ডেইলি সান ও অনলাইন পোর্টাল বাংলানিউজ২৪ডটকম থেকে বিনা নোটিশে ছাঁটাই হওয়া সংবাদকর্মীরা।
ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদের তোয়াক্কা না করে নিজেদের মনগড়া হিসাবে ছাঁটাইকৃত শতাধিক কর্মীকে, দশ ভাগে বিভক্ত করে জানুয়ারি ২০২৪ থেকে দশটি চেক দেয় বসুন্ধরা। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে ব্যাংকে চেক জমা দিলে প্রতিষ্ঠানটির একাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় নিজেদের পাওনা পাননি ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা। বার বার ব্যাংক থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ইতোমধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কালের কণ্ঠের ছাঁটাইকৃত সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান।
পাওনা না পেয়ে অর্থাভাবে অনেকের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বসুন্ধরার চেক প্রতারণার শিকার অনেকের পক্ষে চিকিৎসা ব্যয় ও ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এরই প্রতিকার চেয়ে আজ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিয়ে এসেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা। তাদের প্রত্যাশা, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপে বসুন্ধরা গ্রুপ দ্রুতই পাওনা পরিশোধ করবে সাংবাদিকদের। হয়রানি আর ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলবে বঞ্চিত সংবাদকর্মীদের।
ইউনাইটেড নিউজ অফ বাংলাদেশের (ইউএনবি) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ খান মারা গেছেন।
রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সূত্র: ইউএনবি
কসমস গ্রুপ অফ কোম্পানির চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ খান বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি স্ত্রী, ভাই, আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
শুক্রবার বাদ জুমা গুলশানের আজাদ মসজিদে নামাজে জানাযা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ বাংলাদেশের ফেলো ছিলেন আমানুল্লাহ খান। ১৯৬৯ সালে ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ পাকিস্তান থেকে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস হিসেবে ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
আমানুল্লাহ খান ইউএনবি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। ইউএনবি দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদ সংস্থা, যা ১৯৮৮ সালে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) সঙ্গে সংবাদ বিনিময়ের প্রধান অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
তিনি কসমস প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিশিং লিমিটেডেরও চেয়ারম্যান ছিলেন। এটি বাংলাদেশের অন্যতম পুরনো ইংরেজি সাপ্তাহিক ঢাকা কুরিয়ারসহ নানা ধরনের বই প্রকাশ করে।
পেশাগত কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি তিনি জাতীয় দৈনিক ও সংবাদ ম্যাগাজিনে বিভিন্ন বিষয়ে নিবন্ধ লেখার জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন।
আইএলও কনভেনশনে স্বাক্ষর করার সব শর্ত পূরণ করার অংশ হিসেবে শ্রমিকদের পাওনা যথাযথভাবে মেটানোর জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে শ্রমিক-মালিক সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ‘ন্যাশনাল বিজনেস ডায়ালগ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা জেনেভা কনভেনশনে যোগ দিতে পারিনি। এটা বহুদিন পড়ে আছে। শ্রমিক, মালিক, সরকার- সবাই যখন একটি টিম হলাম তখন ওটাও আমরা করে ফেলব।
‘ওটা না করলে সামনে এগুনো কষ্টকর হবে। যেখানেই যাবেন এটা বাধা দেবে। বলবে- তোমরা শ্রমিকদের যা শর্ত, প্রাপ্য এগুলোতে সই করছো না। কাজেই যদি আমাদের এগুতে হয় পরিষ্কারভাবে হতে হবে।’
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের সাহস দেন, এগিয়ে আসেন; আমরা সবাই মিলে আইএলও কনভেনশনে স্বাক্ষর করে ফেলি। আমার একটা বড় আশা, যে মেয়াদকাল আমরা এখানে থাকব, শ্রমিক-মালিক সম্পর্কটা সুন্দরভাবে গড়ে তুলব।’
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ডিসিসিআই, এমসিসিআই, এফআইসিসিআই, বিএবি, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ চেম্বার অফ ইন্ডাস্ট্রিজের মতো সংগঠনের নেতা ও সদস্যরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন:তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিনকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিনের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে দুই সচিবকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পারসোনেল-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু রায়হান দোলন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে রোবেদ আমিনকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেনকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়ার কথাও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের তিন দিন পর ৮ আগস্ট দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপরই আওয়ামী লীগ সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সব সচিবকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর ধারাবাহিকতায় দুই সচিবকে ওএসডি করা হলো বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে গত ১৮ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিনকে নিয়োগের ২৫ দিনের মাথায় চিকিৎসকদের টানা আন্দোলনের মুখে বৃহস্পতিবার তাকে সরানোর সিদ্ধান্ত দেয় মন্ত্রণালয়।
এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন, মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব অর্পণ করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য