পুঁজিবাজারে চলছে বিভিন্ন কোম্পানির দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশের মৌসুম। গত বছরের জুনে যেসব কোম্পানির অর্থবছর শেষ হয়েছে সেসব কোম্পানি তাদের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ করছে, আর ডিসেম্বর ক্লোজিংয়ের কোম্পানিগুলো চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে লভ্যাংশ ঘোষণার সিদ্ধান্ত জানাবে।
তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক চিত্র উঠে আসে এসব প্রান্তিক প্রতিবেদনে। এর ওপর ভিত্তি করে বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্ত নেন কোনো কোম্পানিতে নতুন বিনিয়োগ করবেন কি করবেন না।
এ সময় পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানিতে বিনিয়োগের চিত্র যেমন উঠে আসে, তেমনি বিনিয়োগের মন্দাতে থাকা কোম্পানিগুলোর চিত্রও উন্মোচিত হয়। আর ওই সময়টাতে সূচকের উত্থান-পতনই থাকে বেশি। গত ২০২০ সালের জানুয়ারিতেও এ রকম চিত্র দেখা যায়।
গত বছরের ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৯ কর্মদিবসের লেনদেনে মাত্র ১০ দিন সূচক বেড়েছিল। সে সময় সূচক ছিল সাড়ে ৪ হাজার পয়েন্টে। আর লেনদেন ছিল সর্বোচ্চ ৫০০ কোটি টাকা। চলতি বছরের একই সময়ে ১৪ কর্মদিবসে সূচক বেড়েছে। লেনদেন উঠেছে ১ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকার।
চলতি সপ্তাহের ৫ কর্মদিবসের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএইএক্স কমেছে ৪ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট। সূচক দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২৭ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের চার দিনই কমেছে প্রধান এই সূচক।
সপ্তাহের শুরুর দিন রোববার সূচক কমেছিল ৩২ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট। সোমবার সূচক কমেছে ৫৩ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট। মঙ্গলবার সূচক বেড়েছে ১৩ দশমিক ৩২ পয়েন্ট। বুধবার কমেছে দশমিক ১৩ পয়েন্ট।
শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রিতে চাপ বেশি থাকলেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে ১০৩ কোটি টাকা। এদিন লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা।
এদিন লেনদেন শেয়ারদর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির চেয়ে শেয়ার দর পতন হওয়ার কোম্পানির সংখ্যা ছিল বেশি। লেনদেনে ১৪২টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ১৮৪টি কোম্পানির। দর আগের দিনের মতোই আছে ৫৫টি কোম্পানির।
বৃহস্পতিবার লেনদেনে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে জীবন বিমা খাতের, ৭৭ শতাংশ। এ ছাড়া সাধারণ বিমা খাতের ২৮ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
আগের দিন নন ব্যাংক আর্থিক খাতের বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়লেও বৃহস্পতিবার সে ধারা থেকে বেরিয়ে গেছে। লেনদেনে এ খাতের ৩২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
যেসব কোম্পানির দরপতনে সূচক কমেছে
বৃহস্পতিবার লেনদেনে গ্রামীণফোনের শেয়ারদর ১.১৩ শতাংশ পতনে সূচক কমছে সবচেয়ে বেশি ৮.৪৪ পয়েন্ট। এ ছাড়া বিকনফার্মার ৪.৪৬ শতাংশ শেয়ারদর কমায় সূচক কমেছে ৪.১৫ পয়েন্ট।
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর শেয়ারদর ২.৪৫ পয়েন্ট কমেছে, কোম্পানির শেয়ারদর দশমিক ৪৪ শতাংশ কমায়। বাজার পেইন্টের শেয়ারদরের কারণে সূচক ১.৪৬ পয়েন্ট কমেছে। পাওয়ার গ্রিডের শেয়ারদর ১.৬৮ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ১.৩৪ পয়েন্ট।
এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার ১ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট, স্কয়ার টেক্সটাইলের দশমিক ৯৯ পয়েন্ট, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির দশমিক ৯১ পয়েন্ট, হাইডেলবার্গ সিমেন্টের দশমিক ৮৫ পয়েন্ট ও বিএসআরএম স্টিলের ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ কমেছে। এদিন সার্বিকভাবে সূচক কমেছে দশমিক ৮২ পয়েন্ট।
যেসব কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে সেগুলোর মধ্যে আছে আইসিবি, ন্যাশনাল লাইফ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ইউনিলিভার কনজ্যুমার, বেক্সিমকো ফার্মা, আরএকে সিরামিক, তিতাস গ্যাস, বেক্সিমকো লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক ও ফারইস্ট লাইফ।
দর বৃদ্ধির ১০ কোম্পানি
প্রকৌশল খাতের বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমের শেয়ারদর বৃহস্পতিবার দিনের শেষে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বেড়েছে। দর বৃদ্ধিতে ২০ টাকার শেয়ার পৌঁছেছে ২২ টাকায়।
এ ছাড়া সদ্য লেনদেনে আসা ইউনিয়ন ব্যাংকের শেয়ারদরও ১০ শতাংশ বেড়েছে। ১১ টাকার শেয়ার দিন শেষে হয়েছে ১২ টাকা ১০ পয়সা। এদিন ১৩ লাখ টাকার ১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৩৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ারদর বেড়েছে ৯.৯৬ শতাংশ। ৯ শতাংশের বেশি শেয়ারদর বেড়েছে আরও চারটি কোম্পানির। এর মধ্যে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের ৯.৮৭ শতাংশ, বিডি থাই ফুডের ৯.৭৭ শতাংশ, কুইন সাউথ টেক্সটাইলের ৯.৭৬ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এ ছাড়া প্রকৌশল খাতের বেঙ্গল উইসডমের শেয়ারদর বেড়েছে ৯.৭৩ শতাংশ।
৮ শতাংশের বেশি শেয়ারদর বেড়েছে একটি কোম্পানির, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার বেড়েছে ৮.২৫ শতাংশ।
৭ শতাংশের বেশি শেয়ারদর বেড়েছে তিনটি কোম্পানির। এর মধ্যে বিডিল্যাম্পের ৭.৮১ শতাংশ, ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের শেয়ারের দর বেড়েছে ৭.৭৬ শতাংশ।
দরপতনের ১০ কোম্পানি
প্রিমিয়ার সিমেন্টের শেয়ারদর কমেছে সবচেয়ে বেশি, ৭.১৩ শতাংশ। এতে ৬৩ টাকা ১০ পয়সার শেয়ার নেমে এসেছে ৫৮ টাকা ৬০ পয়সায়।
ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর কমেছে ৪.৭৯ শতাংশ। এ ছাড়া আরও চারটি কোম্পানির শেয়ারদর ৪ শতাংশের বেশি কমেছে। এগুলো হচ্ছে নর্দান ইন্স্যুরেন্স, বিকন ফার্মা, স্কয়ার টেক্সটাইল ও জুট স্পিনিং।
৩.৭৬ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের। ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ারদর কমেছে ৩.৭৪ শতাংশ। তাল্লু স্পিনিংয়ের শেয়ারদর কমেছে ৩.৭৩ শতাংশ। এপেক্স ফুটওয়ারের শেয়ারদর কমেছে ৩.৬৩ শতাংশ।
লেনদেনে সেরা ১০
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের ৬১ কোটি ১৩ লাখ টাকার। হাতবদল হয়েছে ৩৯ লাখ ৬৬ হাজার ৭০৫টি শেয়ার।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ৬১ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। কুইন সাউথ টেক্সটাইলের ৫০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
মালেক স্পিনিংয়ের ৩৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার ১ কোটি ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৫৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। আরএকে সিরামিকের ৩৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ফুওয়াং ফুডের ৩০ কোটি ৩১ লাখ টাকার, পাওয়ার গ্রিডের ৩০ কোটি ৩০ লাখ টাকার, সাইফ পাওয়ারের ২৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকার, ন্যাশনাল লাইফের ২৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ও এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ২৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য