× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Boyfriend sentenced to life imprisonment for killing housewife
google_news print-icon

গৃহবধূ হত্যার আসামির যাবজ্জীবন

গৃহবধূ-হত্যার-আসামির-যাবজ্জীবন
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ছবি: নিউজবাংলা
এজাহারে বলা হয়, বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ২০১১ সালের ১ অক্টোবর মধ্যরাতে ফোন করে সালেহাকে বাড়ি থেকে আবহাওয়া অফিসে ডেকে নিয়ে যান রেজাউল মণ্ডল। এ সময় কথা-কাটাকাটি হলে পরনের শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে সালেহাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান রেজাউল।

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে গৃহবধূ হত্যা মামলায় এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

রায়ে আসামিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছে আদালত।

মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য্য আসামির অনুপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে এ রায় দেন।

নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিরঞ্জন বসাক।

ওই গৃহবধূর নাম সালেহা আক্তার। তিনি মানিকগঞ্জের শিবালয়ের নিহালপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

দণ্ডিত আসামির নাম রেজাউল মণ্ডল। তার বাড়ি শিবালয়ের একই এলাকায়। আরিচা ফেরিঘাটে চা-পানের দোকান ছিল তার।

এজাহারে বলা হয়, বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ২০১১ সালের ১ অক্টোবর মধ্যরাতে ফোন করে সালেহাকে বাড়ি থেকে আবহাওয়া অফিসে ডেকে নিয়ে যান রেজাউল মণ্ডল। এ সময় কথা-কাটাকাটি হলে পরনের শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে সালেহাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান রেজাউল। এ ঘটনায় তাকে আসামি করে শিবালয় থানায় মামলা করেন নিহতের ভাই ইসমাইল হোসেন।

মামলার তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট জমা দেয় তৎকালীন শিবালয় থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান।

মামলায় ১৯ সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য শেষে বিচারক আসামি রেজাউল মণ্ডলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেন।

রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি নিরঞ্জন বসাক সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামিপক্ষের আইনজীবীর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন:
শিশু হত্যায় যুবকের যাবজ্জীবন
১০০ গ্রাম হেরোইনের মামলায় ১০ বছর পর যাবজ্জীবন
কৃষক হত্যায় বাবা-ছেলের যাবজ্জীবন
হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন, ১ আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ড
স্বামী হত্যায় স্ত্রী ও প্রেমিকের যাবজ্জীবন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
3 were injured in the attack by outsiders at the concert of the student movement in Madaripur

মাদারীপুরে ছাত্র আন্দোলনের সংগীতানুষ্ঠানে ‘বহিরাগতদের’ হামলা, আহত ৩

মাদারীপুরে ছাত্র আন্দোলনের সংগীতানুষ্ঠানে ‘বহিরাগতদের’ হামলা, আহত ৩ রোববার মাদারীপুর শিল্পকলা একাডেমীতে হামলার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ছবি: নিউজবাংলা
আয়োজকদের একজন আব্দুর রহিম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্পৃক্তদের নিয়েই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু কয়েকজন নিজেদের ছাত্র আন্দোলনের কর্মী দাবি করে হামলা করেছে, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগের কর্মী। আমরা এদের বিচার দাবি করছি।’

মাদারীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত কাওয়ালি অনুষ্ঠানে বহিরাগতদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্র আন্দোলনের তিনজন আহত হয়েছেন। পরে সেনাবাহিনী ও সদর থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পণ্ড হয়ে যায় অনুষ্ঠান।

রোববার বিকেলে মাদারীপুর শিল্পকলা একাডেমীতে দু’দফায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও আয়োজকরা জানান, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে কাওয়ালি সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রোববার বেলা ২টার দিকে শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠান শুরুও হয়। হঠাৎ জুবায়ের আহমেদ নাফিজ, মুন্না কাজীসহ বেশকিছু লোক অনুষ্ঠানস্থলে এসে আয়োজকদের ওপর হামলা করে। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী নেয়ামত উল্লাহ ও আশিকুল তামিম আশিক আহত হন। সেনাবাহিনী ও সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তবে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়। বিষয়টি সমাধানের জন্যে দুপক্ষের লোকজন নিয়ে বসেও কোনো ফল আসেনি। পরে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফেরার পথে ইখতিয়ার আহমাদ সাবিদ নামে আরেকজন আয়োজককে ইট দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় প্রতিপক্ষ। পরে আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আয়োজকদের একজন আব্দুর রহিম বলেন, ‘যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে সম্পৃক্ত রয়েছে, তাদের নিয়েই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু কয়েকজন নিজেদের ছাত্র আন্দোলনের কর্মী দাবি করে অনুষ্ঠানে আমাদের ওপর হামলা করে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগের কর্মী রয়েছে। আমরা এদের বিচার দাবি করছি।’

তবে হামলাকারী জুবায়ের আহমেদ নাফিজ দাবি করেছেন, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন। তাকে না জানিয়ে কাওয়ইল গানের আয়োজন করায় বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখা হয়েছে।

মাদারীপুর সদর থানার ওসি এইচএম সালাউদ্দিন বলেন, ‘অনুষ্ঠানস্থলে আসার আগেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে আসার পর আর কোনো ঘটনা ঘটেনি। আহতরা অভিযোগ দিলে বিষয়টি তদন্ত করে মামলা নেয়া হবে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Hasina ran away leaving the leaders to avenge her fathers death Mamunul Haque

বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই নেতাদের রেখে পালিয়েছেন হাসিনা: মামুনুল হক

বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই নেতাদের রেখে পালিয়েছেন হাসিনা: মামুনুল হক রোববার ঠাকুরগাঁওয়ে পাবলিক ক্লাব মাঠে গণসমাবেশে বক্তব্য দেন মামুনুল হক। ছবি: নিউজবাংলা
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারাই শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিলেন। এ কারণে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে কীভাবে প্রতিশোধ নেয়া যায় সেই চিন্তা শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছিলেন।’

শেখ হাসিনা তার বাবার মৃত্যুর চূড়ান্ত প্রতিশোধ নিয়ে দেশে ছেড়ে পালিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক। তিনি বলেছেন, প্রতিশোধের অংশ হিসেবেই আওয়ামী লীগের নেতাদের রেখে তিনি ভারতে পালিয়েছেন।

রোববার ঠাকুরগাঁওয়ে পাবলিক ক্লাব মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জেলা শাখার আয়োজনে এক গণসমাবেশে মামুনুল হক একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতারাই শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিলেন। এ কারণে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে কীভাবে তার বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়া যায় সেই চিন্তা শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছিলেন।’

মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনা তার পরিবারের কাউকে রাজনীতিতে আনেননি। কারণ দেশের মানুষের ওপর তার কোনো আস্থা ছিলো না। তার চিন্তায়ই ছিলো বাংলাদেশের রাজনীতির বারোটা বাজিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবেন।

‘প্রতিশোধের রাজনীতি করে দেশটাকে ধ্বংস করেছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য ছিলোনা। তিনি দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে আরেক দেশকে ট্রানজিট দিয়ে দেন। কারণ তিনি এ দেশের উন্নতি চাননি। দেশটাকে অঙ্গরাজ্যে পরিণত করাই ছিলো হাসিনার রাজনীতি।’

বাংলাদেশ খেলাফল মজলিস ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সাঈদ আহমদ সাঈফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমেদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা এনামুল হক মূসা।

বক্তব্য শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের জন্য দোয়া করা হয়।

আরও পড়ুন:
হাজার বছরে শেখ হাসিনার মতো নির্মম কারও জন্ম হয়েছে কি না, সন্দেহ মামুনুলের
আওয়ামী লীগ নাটকবাজ দল: মামুনুল হক
দুই মামলায় হেফাজত নেতা মামুনুলের জামিন বহাল
দুই মামলায় হেফাজতের মামুনুলের জামিন স্থগিত
আরও ৩ মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A case of attempted murder of Yunus and Khaleda against Hasina
পদ্মা সেতুর নিচে চুবানো ও নদীতে ফেলে দেয়ার হুমকি

হাসিনার বিরুদ্ধে ইউনূস ও খালেদাকে হত্যাচেষ্টার মামলা

হাসিনার বিরুদ্ধে ইউনূস ও খালেদাকে হত্যাচেষ্টার মামলা শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২২ সালের ১৮ মে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে বলেন- ‘পদ্মা সেতুতে নিয়ে খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলে দেওয়া উচিত। আর ড. ইউনূসকে পদ্মা নদীতে দুটি চুবানি দিয়ে সেতুর ওপর তোলা উচিত। এসব মন্তব্যের মাধ্যমে খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূসকে হত্যার সুপ্ত ইচ্ছা ব্যক্ত করেন তৎকালীন সরকার প্রধান।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পদ্মা সেতুর নিচে চুবানো ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সেতু থেকে ফেলে দেয়ার হুমকির ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে রোববার মামলাটি দায়ের করেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সৌরভ প্রিয় পাল।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একমাত্র আসামি করে মামলার আবেদন করা হয়।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বা সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ১৮ মে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে নিয়ে খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলে দেওয়া উচিত।’ একইসঙ্গে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধে চেষ্টার অভিযোগ তুলে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পদ্মা নদীতে দুটি চুবানি দিয়ে সেতুর ওপর তোলা উচিত বলে মন্তব্য করেন তৎকালীন সরকার প্রধান।

শেখ হাসিনা এসব মন্তব্যের মাধ্যমে বিষোদগার করে বেগম খালেদা জিয়া ও দেশের একমাত্র নোবেল লরিয়েট ড. ইউনূসকে হত্যার সুপ্ত ইচ্ছা ব্যক্ত ও মানহানি করেছিলেন। তিনি খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূসকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে এবং হত্যার ষড়যন্ত্র করে, হত্যার জন্য প্ররোচনা দিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন তথা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগের সন্ত্রাসীদের প্ররোচিত করেছিলেন।

আরও পড়ুন:
হাজার বছরে শেখ হাসিনার মতো নির্মম কারও জন্ম হয়েছে কি না, সন্দেহ মামুনুলের
নড়াইলে মাশরাফির বিরুদ্ধে মামলা
ফাইয়াজ হত্যায় হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনাল মামলা
নোয়াখালীতে সাবেক এমপি একরামসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Another body washed up on the beach

সমুদ্র উপকূলে ভেসে এলো আরও এক মরদেহ

সমুদ্র উপকূলে ভেসে এলো আরও এক মরদেহ প্রতীকী ছবি
কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া আটটি ফিশিং ট্রলারসহ ৭০ জেলে নিখোঁজ ছিল। এ পর্যন্ত ছয়জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। অপরাপর জেলেদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, বলা যাচ্ছে না।

কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে আরও একজনের মরদেহ ভেসে এসেছে।

শহরের পশ্চিম কুতুবদিয়াপাড়া সমুদ্র উপকূলে রোরবার সকালে মরদেহটি ভেসে আসে বলে জানান সি সেইফ লাইফগার্ডের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ ওসমান গণি।

তিনি জানান, সকালে একটি মরদেহ ভেসে আসতে দেখে স্থানীয়রা লাইফ গার্ডের কর্মী ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেন। পরে সৈকতের কর্মীসহ লাইফগার্ড কর্মীদের একটি দল মরদেহটি উদ্ধার করে। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে পৌঁছে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। পরে মরদেহটি কক্সবাজার জেলা সদর হাসাপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

তাৎক্ষণিকভাবে মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া না গেলেও এটি বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ নিখোঁজ জেলের বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে শুক্রবার ও শনিবার বিভিন্ন সময় ৫ জেলের মরদেহ ভেসে এসেছিল।

কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া আটটি ফিশিং ট্রলারসহ ৭০ জেলে নিখোঁজ ছিল। এ পর্যন্ত ছয়জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। অপরাপর জেলেদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, বলা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন:
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসককে মারধর ভাংচুর, সেবা বন্ধ
সীমান্ত হত্যা: গভীর রাতে কিশোরের মরদেহ ফেরত বিএসএফের
কক্সবাজারে সাগরে নেমে নিখোঁজ পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার
কক্সবাজারে পদত্যাগ না করায় প্রধান শিক্ষককে হত্যার হুমকির অভিযোগ
ভারত থেকে দেশে আওয়ামী লীগ নেতা পান্নার মরদেহ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
DSCC councilor Sirajul arrested in Srimangal

শ্রীমঙ্গলে গ্রেপ্তার ডিএসসিসির কাউন্সিলর সিরাজুল

শ্রীমঙ্গলে গ্রেপ্তার ডিএসসিসির কাউন্সিলর সিরাজুল শ্রীমঙ্গলের রাধানগর এলাকার প্যারাগন রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে শনিবার বিকেলে সিরাজুলকে (কালো পাঞ্জাবি পরা) গ্রেপ্তার করা হয়। তার নামে মুগদা থানায় মামলা রয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিরাজুল ইসলাম ছাত্রদের বিপরীত অবস্থানে গিয়ে সরাসরি নেতৃত্ব দেন। মুগদা থানার তিনি এজাহারনামীয় আসামি।’

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মুগদাপাড়া এলাকার কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শ্রীমঙ্গলের রাধানগর এলাকার প্যারাগন রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে শনিবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নামে মুগদা থানায় মামলা রয়েছে।

রিসোর্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজুল ইসলাম শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তাদের রিসোর্টে ওঠেন। তার সঙ্গে আরও ১০ থেকে ১২ জন ছিলেন। সবাই মিলে এক দিনের জন্য চার-পাঁচটি রুম বুকিং করেন।

মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিরাজুল ইসলাম ছাত্রদের বিপরীত অবস্থানে গিয়ে সরাসরি নেতৃত্ব দেন। মুগদা থানার তিনি এজাহারনামীয় আসামি।

‘আমাদের কাছে খবর ছিল, তিনি আজ (শনিবার) রাতে মৌলভীবাজারের সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে চাচ্ছিলেন। যেহেতু তার বিরুদ্ধে মামলা আছে, শুধু তাকেই আমরা গ্রেপ্তার করছি। তার পরিবারের লোকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
বদির ভাতিজা শাহজাহান বসুন্ধরা থেকে গ্রেপ্তার
সাবেক ভূমিমন্ত্রী ডিলুর ছেলে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার
বকেয়া মজুরির দাবিতে বাগানে বাগানে চা শ্রমিকদের প্রতিবাদ
সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান গ্রেপ্তার
সাবেক দুই আইজিপি গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Five people were killed when an autorickshaw was hit by a covered van

অটোরিকশায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কা, পাঁচজন নিহত

অটোরিকশায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কা, পাঁচজন নিহত প্রতীকী ছবি
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন জানান, পুলিশ মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

গাজীপুরের কালীগঞ্জে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন।

এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন দুজন।

টঙ্গী-কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল সড়কে কালীগঞ্জ পৌরসভার মূলগাঁও এলাকায় শনিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো পাঁচজন হলেন সাতক্ষীরা সদর থানার হাজীপুর এলাকার মগরব আলীর ছেলে নাজমুল হোসেন (৩৫), গাজীপুরের নোয়াগাঁও এলাকার সুভাষ কর্মকারের ছেলে অমল কুমার কর্মকার (৩৯), নর‌সিংদীর শিবপুর থানার আবদুর রহমানের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৭৫), তার ছেলে মোহাম্মদ আলী (৪৫) ও মোহাম্মদ আলীর ছেলে আমান উল্লাহ (৪)।

স্থানীয়দের ভাষ্য, শনিবার রাতে টঙ্গী-কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল সড়কের কালীগঞ্জ পৌরসভার মূলগাঁও এলাকায় প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির কাছে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কাভার্ড ভ্যান দ্রুতগতির একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়।

গুরুতর আহত অবস্থায় শিশু আমান উল্লাহ ও অটোরিকশা চালককে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ওই শিশুকে মৃত বলে জানান।

তারা আরও জানান, অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় অটোরিকশার চালককে ঢাকার একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন জানান, পুলিশ মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আরও পড়ুন:
গজারিয়ায় গাড়ির ধাক্কায় দুই বাইক আরোহী নিহত
খাটিয়া বহনকারী চারজনকে ধাক্কা ট্রাকের, প্রাণ গেল তিনজনের
ইজিবাইকে পিকআপের ধাক্কায় চারজন নিহত, আহত ৩
সিরাজগঞ্জে অটোরিকশায় মাইক্রোর ধাক্কা, পাঁচজন নিহত
বঙ্গবন্ধু সেতুতে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, তিনজন নিহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A disaster in hilsa extraction in the season of blowing sea

ফুঁসছে সাগর, ভরা মৌসুমে ইলিশ আহরণে বিপর্যয়

ফুঁসছে সাগর, ভরা মৌসুমে ইলিশ আহরণে বিপর্যয় সাগর উত্তাল থাকায় নিরাপদে আশ্রয় নিয়ে আছে মাছ ধরার ট্রলার। ছবি: নিউজবাংলা
শরণখোলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, ছয় মাসের ইলিশ মৌসুমের তিন মাস চলে যায় নিষেধাজ্ঞায়। বাকি সময় দফায় দফায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাগর-নদীতে ঠিকমতো জাল ফেলা যায় না। ফলে একদিকে লোকসানের ঘানি টানতে টানতে মহাজনরা নিঃস্ব হচ্ছে। অন্যদিকে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত লাখ লাখ জেলে চরম সংকটে পতিত হচ্ছে।’

গভীর নিম্নচাপের কারণে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় সুন্দরবনসহ বাগেরহাটের বিভিন্ন মৎস্য বন্দরে আশ্রয় নিয়েছে এক হাজারের বেশি ফিশিং ট্রলার। ফলে আপাতত সাগরে মাছ শিকার বন্ধ। এ অবস্থায় ভরা মৌসুমে ইলিশ আহরণে বিপর্যয় নেমে এসেছে।

ত্তাল সাগরে বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ায় সাগরে টিকতে না পারায় এসব ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খালসহ বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি ঘাট, শরণখোলা, রায়েন্দা, মোংলা ও রামপাল ঘাটে এসে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।

শনিবার দিনভর বাগেরহাটে ৫৭ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে মোংলা আবহাওয়া অফিস। বাগেরহাটে থেমে থেমে বৃষ্টির মধ্যে বয়ে যাচ্ছে ঝড়ো হাওয়া।

সাগর উত্তাল থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বৈরী আবহাওয়া কারণে মোংলা বন্দরের জেটি ও পশুর চ্যানেলের আউটার বারে অবস্থানরত সব বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য ‌উঠা-নামার কাজ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এদিকে মৎস্য আহরণে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা এখন মাছ ধরা নিয়ে সাগরে ব্যস্ত সময় কাটানোর কথা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর বড় বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ইলিশ আহরণে দেখা দিয়েছে চরম বিপর্যয়।

সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় ২৩ জুলাই। ওই সময় প্রথম সাগরে রওনা হয়েই টানা এক সপ্তাহের দুর্যোগের কবলে পড়তে হয়েছে জেলেদের।

গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে চলতি সপ্তাহে দু’দফা নিম্নচাপ ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে বঙ্গোপসাগর। উত্তাল ঢেউয়ে সাগরে কোনো ট্রলার নামতে পারছে না। ফের বন্ধ হয়ে গেছে ইলিশ আহরণ।

বর্তমানে বাগেরহাটের হাজারের বেশি ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনসহ উপকূলীয় বিভিন্ন মৎস্য বন্দরে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। গত দেড় মাসে তিন দফা দুর্যোগে পড়ে কোটি কোটি টাকা লোকসানে পড়েছেন বাগেরহাটের শরণখোলাসহ উপকূলের মহাজন ও আড়ৎদাররা।

শনিবার দুপুরে শরণখোলার মৎস্য আড়ৎদাররা জানিয়েছেন, নিম্নচাপের কারণে গত রোববার থেকে টানা তিন দিন সাগরে জাল ফেলতে পারেনি জেলেরা। মাঝখানে দু’দিন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) আবহাওয়া কিছুটা স্বাভাবিক হলে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা ট্রলারগুলো সাগরে ছুটে যায়। কিন্তু এরই মধ্যে ফের হানা দিয়েছে গভীর নিম্নচাপ। ফলে শুক্রবার ভোর থেকে আবারও সব ফিশিং ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে আসে।

গভীর সাগর থেকে ফিরে আসা ট্রলারগুলো বর্তমানে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের মেহের আলীর চর এবং বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি ঘাট, শরণখোলা, রায়েন্দা, মোংলা ও রামপাল ঘাটে এসে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।

শরণখোলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘একের পর এক দুর্যোগের কারণে সাগরে জাল ফেলা যাচ্ছে না। প্রতি ট্রিপে একেকটি ট্রলারে দেড় লাখ থেকে দুই লাখ টাকা খরচ হয়। কিন্তু মাছ না পাওয়ায় অধিকাংশ মালিক-মহাজনের চালান খোয়াতে হচ্ছে। এমনিতেই এ বছর প্রত্যেক আড়ৎদার ও মহাজন লাখ লাখ টাকা লোকসানে রয়েছে।’

আবুল হোসেন আরও বলেন, ‘ইলিশের যখন ভরা মৌসুম তখনই ৬৫ দিন থাকে নিষেধাজ্ঞা। এর পর আবার অক্টোবর মাসে শুরু হবে ইলিশের প্রজনন মাস। তখন ২২ দিন দেশের সব নদী ও সমুদ্রে সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

ফলে ছয় মাসের ইলিশ মৌসুমের তিন মাস চলে যায় নিষেধাজ্ঞায়। বাকি সময় দফায় দফায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাগর-নদীতে ঠিকমতো জাল ফেলা যায় না। ফলে একদিকে লোকসানের ঘানি টানতে টানতে মহাজনরা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত লাখ লাখ জেলে চরম সংকটে পতিত হচ্ছে।’

আড়ৎদার, ট্রলার মালিক সর্বোপরি জেলেদের দুর্দশা বিবেচনা করে তাদের স্বার্থে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা আর না দেয়ার দাবি জানান এই ফিশিং ট্রলার মালিক নেতা।

আরও পড়ুন:
সাগরে এক জালেই ১৩০ মণ ইলিশ: যা বলছেন বিশেষজ্ঞ
ভোলার ‍দুই অভয়াশ্রমে ইলিশ ধরা বন্ধ
মুন্সীগঞ্জে মাছের আড়তে অভিযান, ৩৫ মণ জাটকা জব্দ
বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি এখন গভীর নিম্নচাপ
নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর উত্তাল

মন্তব্য

p
উপরে