× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Jewels smile on the hobbys orange
google_news print-icon

শখের কমলায় জুয়েলের হাসি

শখের-কমলায়-জুয়েলের-হাসি
ঠাকুরগাঁওয়ে বাগানে থোকায় থোকায় দার্জিলিং জাতের কমলা। ছবি: নিউজবাংলা
আবু জাহিদ ইবনুল ইরাম জুয়েল জানান, চলতি বছর তিনি বাগান থেকে ২৫০ মণ কমলা উৎপাদন করতে পারবেন। ২০০ টাকা কেজি হলেও ২ লাখ টাকায় সেগুলো বিক্রি করতে পারবেন ।

১০ বছর আগে শখের বসে স্থানীয় হর্টিকালচার থেকে দার্জিলিং জাতের কমলার চারা কিনে আনেন আবু জাহিদ ইবনুল ইরাম জুয়েল। দুই বছর পর সেই চারা থেকে প্রথম ফল পান। সুমিষ্ট কমলা খেয়ে জুয়েল সে জাতের চারা দিয়ে বাগান করার পরিকল্পনা করেন।

পরে দার্জিলিং জাতের আরও কমলার চারা রোপণ করেন। সে রোপণের উদ্দেশ্য ছিল কমলা চাষ করে লাভবান হওয়া। কিছুটা সময় লাগলেও দুই বছর থেকে লাভের মুখ দেখেছেন জুয়েল।

ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর কোষারাণীগঞ্জ ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামে কমলার বাগান করেছেন জুয়েল। তার বাগানে এখন রয়েছে তিন শতাধিক কমলা গাছ।

আবু জাহিদ ইবনুল ইরাম জুয়েল জানান, চলতি বছর তিনি বাগান থেকে ২৫০ মণ কমলা উৎপাদন করতে পারবেন। ২০০ টাকা কেজি হলেও ২ লাখ টাকায় সেগুলো বিক্রি করতে পারবেন।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, ঠাকুরগাঁওয়ে ৭৩ হেক্টর জমিতে মালটা ও কমলার বাগান রয়েছে এক হাজার ৩২টি। এর মধ্যে সীমান্তবর্তী উপজেলার পীরগঞ্জ ও হরিপুরে ভারতীয় দার্জিলিং জাতের সাতটি কমলাবাগান গড়ে উঠেছে।

জেলায় অনেকেই কমলার বাগান গড়ে তুললেও জুয়েল ছাড়া অন্যরা দার্জিলিং জাতের কমলার চাষ ভালোভাবে করতে পারেননি।

বাগান ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি গাছে ফল ধরেছে। ভারতীয় জাতের এ ফল মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে চাহিদাও রয়েছে।

বাগানটি দেখতে প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থী ভিড় করছেন। বাগানেই বিক্রি করা হচ্ছে কমলা।

শখের কমলায় জুয়েলের হাসি
নিজের তৈরি কমলাবাগানে জুয়েল। ছবি: নিউজবাংলা

বাগানমালিক জুয়েল জানান, বাগানের বয়স ১০ বছর হলেও তিন বছর হলো ভালো ফলন আসা শুরু হয়েছে। এবার ফলন সবচেয়ে বেশি। নভেম্বর মাস থেকে বাগানের উৎপাদিত কমলা বিক্রি শুরু হয়েছে। ফল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পাঠানো হচ্ছে অন্য জেলাতেও।

জুয়েল বলেন, ‘তিন শতাধিক গাছের বাগানটির প্রতিটিতে ৮০০ থেকে ৯০০ কমলা ধরেছে। আমার বাগানের কমলা খেতে মিষ্টি হওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এসে ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি কেজি কমলা বিক্রি করছি ১৮০-২০০ টাকা করে।’

আগে বাগানটি থেকে পাঁচ লাখ টাকার কমলা বিক্রি হতো, এবার সেটা প্রায় ২০ লাখ টাকার হবে বলে জানান জুয়েল।

জুয়েল বাগানের পাশাপাশি একই প্লটে চারা উৎপাদন শুরু করেছেন। সীমান্ত এলাকায় ফল বাগান গড়ে ওঠায় কর্মসংস্থানের পাশাপাশি এলাকার অন্য কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হয়ে নিচ্ছেন পরামর্শ।

বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থী শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘শহর থেকে এসেছি কমলা বাগান দেখতে। আমি দার্জিলিংয়ে বাগান দেখেছি। কিন্তু এখানে কমলা বাগান যে সুন্দর তা দার্জিলিংয়ের বাগানকেও হার মানাবে। আর এই কমলা অনেক মিষ্টি। আমার দেশের মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি তা এই বাগান দেখেই বোঝা যায়।’

দর্শনার্থী রবিউল আহসান বলেন, ‘পরিবারসহ কমলাবাগান দেখতে এসেছি। আগে কমলাবাগান শুধু ছবিতেই দেখেছি। আজ বাস্তবে গাছে ঝুলন্ত কমলা দেখলাম। কিনে খেলাম, নিয়েও যাচ্ছি। অনেক মিষ্টি আর রসালো কমলা।’

কমলা বাগানে প্রথম থেকেই কাজ করেন নরেন মোহন। তিনি বলেন, ‘আমি বাগানের প্রথম থেকেই কাজ করছি। এখন প্রতিদিন হাজারের ওপর মানুষ আসে বাগান দেখতে। আমরা বাগানে ৮-১০ জন এখন কাজ করছি। কমলাগাছ থেকে নামাতে ৩-৪ জনকে কাজ করতে হয়। ফল চুরি ঠেকাতে ২৪ ঘণ্টা পাহারা দিতে হয়।’ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু হোসেন জানান, বছর দশেক আগে সরকার একটি প্রকল্প নেয়। সেই থেকেই ঠাকুরগাঁওয়ে কমলা চাষের শুরু। কমলাবাগানে সফলতা পেতে বুঝে-শুনে পরিচর্যার ব্যাপার আছে। জুয়েল কৃষি দপ্তর থেকে সব সময় পরামর্শ নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘কৃষকরা যদি এভাবে কমলার বাগান করতে এগিয়ে আসেন, তাহলে কৃষিতে একটা বিপ্লব ঘটবে। আর কমলা দেশের বাইরে থেকে আনতে হবে না। আমাদের দেশের কমলা দিয়েই ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণ হবে।’

আরও পড়ুন:
দার্জিলিংয়ের ‘সাদকি’ কমলা নীলফামারীতে
কমলাপুরে ঝুলছে থোকা থোকা কমলা
৮৫ মিনিটের প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস
কমলা হ্যারিসের যত সম্পদ
জেন্ডার সমতা নিয়ে বক্তব্য দেবেন কমলা হ্যারিস

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Ultimatum road block on appointment of vice chancellor in EB

ইবিতে উপাচার্য নিয়োগে আল্টিমেটাম, সড়ক অবরোধ

ইবিতে উপাচার্য নিয়োগে আল্টিমেটাম, সড়ক অবরোধ অবিলম্বে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে শুক্রবার কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধকালে ছাত্র সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বৈরাচার পতনের দীর্ঘদিন পরও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ হয়নি। অতি দ্রুত একজন দক্ষ, যোগ্য ও ক্লিন ইমেজের উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম সচল করতে হবে। নইলে ছাত্রসমাজ আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা পদত্যাগ করলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালনায় এক ধরনের অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগদান সম্পন্ন হলেও কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) উপাচার্য নিয়োগ হয়নি। এ অবস্থায় দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ভিসি নিয়োগের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।

শুক্রবার বিকেল ৪টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে বটতলা প্রাঙ্গণে সমবেত হন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেইন গেটে গিয়ে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে। সেখানে তারা সমাবেশ করেন। প্রায় আধ ঘণ্টার সড়ক অবরোধে মহাসড়কের দুপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বৈরাচার পতনের দীর্ঘদিন পরও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এর প্রতিবাদে আজকের এই ব্লকেড কর্মসূচি। অতি দ্রুত একজন দক্ষ, যোগ্য ও ক্লিন ইমেজের উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম সচল করতে হবে। নইলে ছাত্রসমাজ আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

তারা বলেন, সেশনজট দূর করার জন্য সবচেয়ে জরুরি একজন মানসম্মত, জ্ঞানী ও একাডেমিশিয়ান ভিসি নিয়োগ। অনতিবিলম্বে ভিসি নিয়োগ না হলে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ অব্যাহত রাখা হবে।

আরও পড়ুন:
নতুন উপাচার্য পেল আরও তিন বিশ্ববিদ্যালয়
পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ
বুয়েটের নতুন ভিসি অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান
জাবির নতুন ভিসি অধ্যাপক কামরুল আহসান
নতুন উপাচার্য পেল পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Attempt to break the shrine of Dongka Shah

ডংকা শাহর মাজার ভাঙার চেষ্টা

ডংকা শাহর মাজার ভাঙার চেষ্টা সুনামগঞ্জ শহরে ডংকা শাহ’র মাজার ভাঙার চেষ্টা হলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ছবি: নিউজবাংলা
মাজারের খাদেম আছদ আলী বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় মাজারে তালা দিয়ে বাসায় যাই। আজ সকাল ৮টার দিকে খবর পাই যে এলাকার শ্যামলের নেতৃত্বে কিছু লোক মাজার ভাঙছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে মাজারটা রক্ষা করেছে।’

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হোসেন বখত চত্বর এলাকায় ময়নার পয়েন্ট গলিতে অবস্থিত ডংকা শাহর মাজার ভেঙে দেয়ার চেষ্টা হয়েছে।

শুক্রবার ফজরের নামাজের পর কিছু মুসল্লি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাজারে হামলা চালান। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে পুলিশ প্রশাসনের পাহারায় মাজারের আশপাশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয় মাজারটি।

এলাকার মুসল্লিরা অভিযোগ করে বলেন, ‘এই মাজারে গাঁজাসহ বিভিন্ন নেশাদ্রব্য সেবন ও অসামাজিক কার্যকলাপ চলে। এগুলো কোনোভাবেই ইসলাম সমর্থন করে না। এ কারণে মাজার ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।’

এ বিষয়ে ডংকা শাহ মাজারের খাদেম আছদ আলী বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় মাজারে তালা দিয়ে বাসায় যাই। আজ সকাল ৮টার দিকে খবর পাই যে এলাকার শ্যামলের নেতৃত্বে কিছু লোক মাজার ভাঙছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে মাজারটা রক্ষা করেছে।

তিনি বলেন, ‘মাজারে থাকা দানবাক্সটি ভেঙে দেয়া হয়েছে। দানবাক্সে ১৫ হাজার টাকার মতো জমা ছিল। সেই টাকাগুলো নেই। মাজারের সামনের সিঁড়ি ভেঙেছে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।’

সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল আহাদ বলেন, ‘ডংকা শাহর মাজার ভাঙচুর হয়নি। এলাকার মানুষ মাজারের কার্যক্রমের প্রতিবাদ জানিয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। তবে দানবাক্সের টাকার বিষয়ে আমি কিছু জানি না, তারা অভিযোগেও বলেনি।’

আরও পড়ুন:
মাজারে হামলাকারীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Demonstration rally in DU against Khagrachari attack

খাগড়াছড়িতে হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

খাগড়াছড়িতে হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ খাগড়াছড়িতে হামলা-ভাংচুরের প্রতিবদে জুম্ম ছাত্র জনতা শুক্রবার শাহবাগ মোড় অবরোধ করে। ছবি: নিউজবাংলা
শুক্রবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে তাদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় তারা পাহাড় থেকে সেনাশাসন সরানো, হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিসহ হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়িদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও তাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জুম্ম ছাত্র জনতা।

শুক্রবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে তাদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় তারা পাহাড় থেকে সেনাশাসন সরানো, হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিসহ হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে এক পাহাড়ি ছাত্র বলেন, ‘আমরা মানবেন্দ্র নারায়ণ লার্মার যোগ্য উত্তরসূরি। মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার রক্ত কোনো আপোষ মানে না। সেই রক্তের শপথ নিয়ে আমরা বলতে চাই, জুম্ম জনগণের ওপর যত মানবাধিকার লংঘন হয়েছে তার সবগুলোর বিচার আমরা নিয়ে ছাড়ব।’

প্রায় দুই ঘন্টা সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগ মোড়ের দিকে যান এবং প্রায় বিশ মিনিটের মতো মোড়টি অবরোধ করে রাখেন।

একই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল করেছে বিক্ষুব্ধ এই ছাত্র জনতা।

আরও পড়ুন:
পার্বত্য তিন জেলায় সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
রাঙ্গামাটিতে সংঘর্ষ-ভাঙচুর, ১৪৪ ধারা জারি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Everyone is urged to remain calm in the three hill districts

পার্বত্য তিন জেলায় সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান

পার্বত্য তিন জেলায় সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে- পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান হামলা, আক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনায় সরকার গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে। খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বুধবার এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি ও পরবর্তীতে তার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলমান হামলা, আক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনায় সরকার গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে। সূত্র: বাসস

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় দুঃখ প্রকাশ করে বলা হয়, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) খাগড়াছড়ি ও আজ (শুক্রবার) রাঙামাটিতে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার।

বার্তায় উল্লেখ করা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সব বাহিনীকে সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে এবং পার্বত্য তিন জেলায় বসবাসকারী সব জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেখানে শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণে সরকার বদ্ধপরিকর।

আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়া এবং ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত না হওয়ার জন্য সবাইকে নির্দেশ প্রদান করে ওই বার্তায় বলা হয়, আইন নিজ হাতে তুলে নেয়া এবং যে কোনো সম্পত্তি ধ্বংস করা দণ্ডনীয় ও গর্হিত অপরাধ। সহিংসতার সঙ্গে সম্পর্কিত সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করা হবে।

বার্তায় বলা হয়, এ লক্ষ্যে সরকার খুব শিগগির একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করবে। এছাড়া আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল আগামীকাল শনিবার খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি পরিদর্শন করবে। প্রতিনিধি দলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এবং প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী থাকবেন।

আরও পড়ুন:
রাঙ্গামাটিতে সংঘর্ষ-ভাঙচুর, ১৪৪ ধারা জারি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Section 144 imposed on clashes and vandalism in Rangamati

রাঙ্গামাটিতে সংঘর্ষ-ভাঙচুর, ১৪৪ ধারা জারি

রাঙ্গামাটিতে সংঘর্ষ-ভাঙচুর, ১৪৪ ধারা জারি সংঘর্ষের সময় বেশ কিছু দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ছবি: ইউএনবি
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে পাহাড়ি ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাঙ্গামাটি শহরের বনরূপায় এসে বেশ কয়েকটি গাড়ি ও দোকানে হামলা চালান। খবর পেয়ে বাঙালিরা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

খাগড়াছড়ির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাঙ্গামাটিতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে পাহাড়ি ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাঙ্গামাটি শহরের বনরূপায় এসে বেশ কয়েকটি গাড়ি ও দোকানে হামলা চালান। খবর পেয়ে বাঙালিরা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

ওই সময় আহত হন উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন। সংঘর্ষের সময় বেশ কিছু দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবির যৌথ টহল টিম কাজ করছে।

আরও পড়ুন:
ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৭
তুচ্ছ ঘটনার জেরে শেরপুরে সংঘর্ষে দুজন নিহত, আহত ১০
চাঁদপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫০
সচিবালয় এলাকায় আনসার-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ, আহত ৩৮
নগরকান্দায় বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত ১০

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Politics and drugs are banned in BashemurbipraBP campus

রাজনীতি ও মাদক নিষিদ্ধ বশেমুরবিপ্রবিপি ক্যাম্পাসে

রাজনীতি ও মাদক নিষিদ্ধ বশেমুরবিপ্রবিপি ক্যাম্পাসে বশেমুরবিপ্রবিপির ফটক। ছবি: নিউজবাংলা
সিন্ডিকেট সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন বলেন, ‘চতুর্থ সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকল ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি, শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনীতি ছাড়াও সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলো।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর (বশেমুরবিপ্রবিপি) ক্যাম্পাসে ছাত্র, শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ধূমপানসহ সব ধরনের মাদক নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের চতুর্থ সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই সভা হয়।

সিন্ডিকেট সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘চতুর্থ সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকল ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি, শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনীতি ছাড়াও সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলো।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতি ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়াও সব ধরনের মাদক বহন, সংরক্ষণ এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে সিন্ডিকেট সদস্যগণ একমত হয়েছেন।’

উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।

এ ছাড়া সিন্ডিকেটের চতুর্থ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি বিভাগের পাঠ্যসূচি অনুমোদন করা হয়েছে বলে জানান উপাচার্য।

এর আগে সিন্ডিকেট সভার শুরুতে চলতি বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে যেসব ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন, তাদের প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। এ ছাড়াও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন সিন্ডিকেট সদস্যরা।

গতকাল বিকেল তিনটায় শুরু হওয়া বশেমুরবিপ্রবিপির চতুর্থ সিন্ডিকেট সভা চলে প্রায় পাঁচটা পর্যন্ত।

ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ১০ সদস্যের মধ্যে ৯ জন অংশ নেন।

আরও পড়ুন:
পুরো ক্যাম্পাস নয়, ঢাবির নির্দিষ্ট স্থানে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রস্তাব
কুবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা
মে দিবসে রাজধানীতে মুখোমুখি হচ্ছে শ্রমিক লীগ-শ্রমিক দল
ছাত্র রাজনীতি সমস্যা নয়, উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে: গয়েশ্বর
রাজধানীতে দুপুরে বিএনপির মিছিল, বিকেলে আওয়ামী লীগের সমাবেশ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Section 144 issued in Khagrachari headquarters

খাগড়াছড়ি সদরে ১৪৪ ধারা

খাগড়াছড়ি সদরে ১৪৪ ধারা খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ ভবন। ছবি: ফেসবুক
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজন চন্দ্র রায় স্বাক্ষরিত এক আদেশে ১৪৪ ধারা জারির তথ্য জানানো হয়।

আগের দিনে সহিংসতায় প্রাণহানির পর শুক্রবার খাগড়াছড়ি সদরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজন চন্দ্র রায় স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ‘যেহেতু সাম্প্রতিক ১৯.০৯.২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে খাগড়াছড়ি সদর থানা এলাকায় পাহাড়ি ও বাঙালি সংগঠনের লোকজন আলাদা আলাদাভাবে বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নেয় এবং উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং তৎপ্রেক্ষিতে অফিসার ইনচার্জ, খাগড়াছড়ি সদর থানা হতে প্রাপ্ত অধিযাজনপত্রে উক্ত এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে মর্মে উল্লেখ থাকায়, সূত্র: অফিসার ইনচার্জ, খাগড়াছড়ি সদর মডেল খানা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা-এর স্মারক নম্বর ৪০৫৬, তারিখ: ২০.০৯.২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।

‘যেহেতু উল্লিখিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কতিপয় ব্যক্তি একত্রে মিলিত হয়ে উক্ত স্থানে শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্ন করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে মর্মে প্রতীয়মান হয়, সেহেতু আমি সুজন চন্দ্র রায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অত্র উপজেলার পৌরসভা (সদর) এলাকায় অদ্য ২০.০৯.২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ ১৪.০০ ঘটিকা হতে রাত ২১.০০ ঘটিকা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯৮-এর ১৪৪ ধারা মতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলাম।’

আদেশে আরও বলা হয়, ‘এ আদেশ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।’

আরও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
খাগড়াছড়িতে সহিংসতায় তিনজন নিহত, আহত ৯
মণিপুরে নতুন করে সহিংসতায় নিহত ৬
খাগড়াছড়িতে বন্যাদুর্গতদের পাশে সেনাবাহিনী
সহিংসতায় দেশের ১৯ জেলায় ১৪ পুলিশসহ নিহত ৯৬

মন্তব্য

p
উপরে