পুঁজিবাজারে নতুন বছরের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে বুধবার। কমেছে সূচকও। সূচকে ছিল উত্থান-পতনের জোয়ার। শেয়ার কেনাবেচায় যেন ইঁদুর-বেড়ালের খেলা চলেছে।
এদিন লেনদেন শুরু হয় ৭ হাজার ৩২ পয়েন্ট দিয়ে। শুরুর ১০ মিনিটে সূচক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৭ হাজার ৭২ পয়েন্ট। কিন্তু সেখান থেকে সূচক ৭ হাজার ৩৩ পয়েন্টে নামতে সময় নিয়েছে মাত্র ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট।
আবার শেয়ার কেনার আগ্রহে সূচকে উত্থান দেখা যায়। বেলা ১১টা ৩৬ মিনিটে সূচক পৌঁছে ৭ হাজার ৫২ পয়েন্টে। দুপুর ১২টা ৮ মিনিটে সেখান থেকে ১৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৭ হাজার ৩৮ পয়েন্ট। ১২টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত সূচক পতন থেকে উত্থানে ফেরার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত আগের দিনের তুলনায় সূচক দশমিক ১৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩২ পয়েন্ট।
এ নিয়ে টানা ১০ কর্মদিবস ৭ হাজারে স্থির রয়েছে ডিএসইর প্রধান সূচক- ডিএসইএক্স। গত ১৩ জানুয়ারি থেকে ৭ হাজারে অবস্থান করছে এই সূচক।
অন্যদিকে সূচকের পতন হলেও নতুন বছরে উত্থানের পুঁজিবাজারে হাজার কোটি টাকার লেনদেনও অব্যাহত আছে। বুধবার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১১৫ কোটি টাকা। নতুন বছরের ১৯ কর্মদিবসের মধ্যে বুধবার দ্বিতীয় সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। এর আগে ২ জানুয়ারি লেনদেন হয়েছিল ৮৯৪ কোটি টাকা।
বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনাবেচা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতাই সূচক পড়ে যাওয়ার কারণ ধরা হচ্ছে।
বিনিয়োগকারী মশিউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত করোনার নতুন সংক্রমণ নিয়ে নির্দেশনা আসছে। আক্রান্তের সংখ্যাও অন্য সময়ের তুলনায় বেশি। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শঙ্কা আছে।
‘যদিও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি আগেই জানিয়েছে যে সংক্রমণ বাড়লে ব্যাংকের সময়ের সঙ্গে সমন্বয় করে পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময় নির্ধারণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারের লেনদেন বন্ধ করে দেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। তার পরও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক আছে মন্দার সময়ে বিনিয়োগ ফিরে পাওয়া নিয়ে।
বুধবার খাতভিত্তিক লেনদেনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। লেনদেনে এ খাতের ৮১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। তার পরই আছে বস্ত্র খাত, যার লেনদেন হওয়া ৫৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ব্যাংক খাতে ২৫ শতাংশ ও মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ৩৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে বুধবার।
এদিন লেনদেন হওয়া ৩৮১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৮টির, কমেছে ১৫৭টির। দর অপরিবর্তিত আছে ৬৬টি কোম্পানির।
যেসব কোম্পানির দর কমায় সূচকের পতন
বুধবার সূচক পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল মেঘনা পেট্রোলিয়ামের, দশমিক ১৭ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
বার্জার পেইন্টের শেয়ারদর ১ দশমিক ১১ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে দশমিক ১ পয়েন্ট।
লিন্ডে বিডির শেয়ারদর ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর শেয়ারদর দশমিক ২১ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট।
এ ছাড়া এদিন সূচক কমায় ভূমিকা ছিল ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, সোনালী পেপার, বসুন্ধরা পেপার, ব্র্যাক ব্যাংক, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট ও ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের।
তবে সূচক পতনের পাশাপাশি বুধবার যেসব কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছিল তাদের ভূমিকা ছিল সূচক উত্থানে। এ তালিকায় শীর্ষ দশে রয়েছে আইসিবি, স্কয়ার ফার্মা, এমজেএল বাংলাদেশ, ম্যারিকো, স্কয়ার টেক্সটাইল, মালেক স্পিনিং, মতিন স্পিনিং, আরএকে সিরামিক, গ্রামীণফোন ও রেনেটা।
লেনদেনে সেরা ১০
লেনদেনে সেরা দশের তালিকার শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। কোম্পানিটির ৮৩ কোটি ১৩ লাখ টাকার ৫৪ লাখ ১ হাজার ৮২০টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে এদিন।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ৭২ লাখ টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৫০ লাখ ৩২ হাজার ৮৮৭টি।
মতিন স্পিনিংয়ের ৩১ কোটি ২৩ লাখ টাকার, আরএকে সিরামিকের ২৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ২৭ কোটি ৪০ লাখ টাকার ও এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ২৭ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এ ছাড়া এ তালিকায় ছিল জিপিএইচ ইস্পাত, অগ্নি সিস্টেমস, পাওয়ার গ্রিড ও সোনালী পেপার।
দর বৃদ্ধির ১০ কোম্পানি
এদিন সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ দর বেড়েছে তিনটি কোম্পানির। এর মধ্যে সদ্য তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ব্যাংক রয়েছে। এ ছাড়া নতুন লেনদেনে আসা বিডি থাই ফুড ও ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের এদিন ৯ শতাংশের বেশি শেয়ারদর বেড়েছে।
ইউনিয়ন ব্যাংক ছাড়া ১০ শতাংশ শেয়ারদর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির তালিকায় আছে কুইন সাউথ টেক্সটাইল ও অগ্নি সিস্টেমস।
এ ছাড়া ফনিক্স ফিন্যান্সের শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ। একই হারে দর বেড়েছে বিডি থাই ফুডের। ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। মালেক স্পিনিংয়ের শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং ইয়াকিন পলিমারের ৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এ ছাড়া তাল্লু স্পিনিংয়ের শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ১৮ শতাংশ ও মতিন স্পিনিংয়ের শেয়ারদর বেড়েছে ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
দরপতনের ১০ কোম্পানি
বুধবার সবচেয়ে বেশি ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ দর হারিয়েছে এপেক্স ফুটওয়্যারের শেয়ার। দরপতনের কারণে ৩৭৭ টাকা ১০ পয়সার শেয়ার পৌঁছেছে ৩৪৪ টাকা ৩০ পয়সায়।
মেঘনা পেট্রোলিয়ামের শেয়ারদর কমেছে ৬ দশমিক ৮৮ ও ওরিয়ন ইনফিউশনের ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ।
৫ শতাংশের বেশি শেয়ারদর কমেছে আরও দুটি কোম্পানির, শমরিতা হসপিটালের ৫ দশমিক ২৮ ও তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ।
এপেক্স ফুডের শেয়ারদর কমেছে ৪ দশমিক ৯৮, বসুন্ধরা পেপারের ৪ দশমিক ৬৬, জি মিনি সি ফুডের ৪ দশমিক ৪৫ ও ন্যাশনাল টি কোম্পানির ৪ দশমিক ২০ শতাংশ।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য