নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে ইউপি নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী বুধবার দুপুরে একসঙ্গে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই লিখিত অভিযোগ দেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ‘আব্দুল কাদের মির্জা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার অনুসারী জনবিচ্ছিন্ন প্রার্থীদের অবৈধভাবে নির্বাচিত করতে সাতটি ইউনিয়নে হীনচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ইতোমধ্যে তার সন্ত্রাসীদের দিয়ে এবং সশরীরে বিভিন্ন ইউনিয়নের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে উপস্থিত হয়ে আমাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। মোবাইল ফোনেও অনেককে হুমকি দিচ্ছেন। এতে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।’
আরও বলা হয়, ‘তিনি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে পৌরসভার সরকারি গাড়িতে তার সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিভিন্ন গণসংযোগে উসকানিমূলক বক্তব্য রাখছেন। এতে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থায় আব্দুল কাদের মির্জার এমন উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধসহ তার অনুসারীদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা জরুরি।
লিখিত অভিযোগ দেয়া প্রার্থীরা হলেন ২ নম্বর চরপার্বতী ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু, মুছাপুর ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরী শাহীন, ৮ নম্বর চরএলাহী ইউপির প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক, ৬ নম্বর রামপুর ইউপির প্রার্থী সিরাজিস সালেকীন রিমন, ৩ নম্বর চরহাজারী ইউপিতে নুরুজ্জামান স্বপন, ৫ নম্বর চরফকিরা ইউপির প্রার্থী জায়দল হক কচি ও ১ নম্বর সিরাজপুর ইউপির প্রার্থী মাঈন উদ্দিন মামুন।
অভিযোগের বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি কোনো সন্ত্রাসী নিয়ে চলি না। আমার দলের নেতাকর্মী আমার সঙ্গে থাকে। অবাধ-সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য প্রশাসন আমার থেকে যে সহযোগিতা চায়, সে সহযোগিতা করব।’
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, অভিযোগ করার বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে এখনও অভিযোগপত্র আমার হাতে আসেনি।’
আরও পড়ুন:ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গৃহশিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওই গৃহশিক্ষকের বাড়ি উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নে। শিশুটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো রোববার সন্ধ্যায় শিশুটির বাড়িতে পড়াতে যান গৃহশিক্ষক আফাজ উদ্দিন। শিশুটিকে পড়ানোর সময় তার মা পাশের ঘরে চলে যান। এ ফাঁকে আফাজ উদ্দিন শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে শিশুটির চিৎকার শুনে মা ঘরে এসে বিষয়টি জানতে পারেন। তখন তিনি প্রতিবেশীদের ডেকে গৃহশিক্ষকের অপকর্মের কথা জানান।
স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) কল করে বিষয়টি জানান। পরশুরাম থানা পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে গৃহশিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
রাতেই শিশুটির মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পরশুরাম থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আফাজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সোমবার আদালতে তুললে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পরশুরাম মডেল থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুজ জোহরার আদালতে শিশুটির জবানবন্দি নেয়া হয়। পরে আদালত আফাজ উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন:বরিশাল নগরীতে মেস থেকে সান ই জাহান জুয়েনা নামের কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাত ৯টার দিকে নগরীর ব্রজমোহন কলেজের মসজিদের গেটের সামনের গলির আইনুন ভিলা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
১৮ বছর বয়সী জুয়েনা সরকারি বরিশাল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। তিনি পিরোজপুরের নেছারাবাদের সোহাগদল এলাকার মাসুম ফরাজীর মেয়ে।
জুয়েনা আইনুন ভিলার চতুর্থ তলার ৪০৪ নম্বর রুমে দেড় বছর ধরে ভাড়া থাকতেন।
আইনুন ভিলার কেয়ারটেকার মর্জিনা বেগম বলেন, ‘সন্ধ্যায় মেয়েদের চিৎকার শুনে দরজার ওপর থেকে দেখতে পাই সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে ঝুলে আছে ওই ছাত্রী। পরে পুলিশে কল দেই।’
বাড়ির মালিক আইনুন বেগম বলেন, ‘প্রায় দেড় বছর ধরে এই মেয়ে ভাড়া থাকে এখানে। কখনো সন্দেহজনক কোনো বিষয় চোখে পড়েনি।’
পুলিশ জানায়, ওই ছাত্রীর হাতে ব্লেড দিয়ে কাটা অনেকগুলো দাগ পাওয়া গেছে।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি লোকমান হোসেন জানাান, দরজা ভেঙে ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যা না কি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ছাত্রীর মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারায় দুই দলের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আমির হোসেন নামের একজন নিহত হয়েছেন।
দুই দল ডাকাতের সংঘাতে এক পক্ষের সরদার নিহত হয়েছেন বলে দাবি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের।
সোমবার রাত পৌনে ১১ টার দিকে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উমখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর জানান, দুই দল ডাকাতের মধ্যে গোলাগুলিতে এক পক্ষের সরদার আমির হোসেন নিহত হন।
তিনি নিউজবাংলাকে জানান, উমখালী বাজারে রাত পৌনে ১১টার দিকে রহমানের নেতৃত্ব ডাকাত গ্রুপের সঙ্গে আমির হোসেনের গ্রুপের ডাকাতদের গুলিবিনিময় হয়। এ সময় রহমান গ্রুপের লোকজন আমির হোসেনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পর এলাকায় আতংক সৃষ্টি করতে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে রহমান গ্রুপের লোকজন। আমিরের মরদেহ পুলিশ নিয়ে গেছে। র্যাব-পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর উপঅধিনায়ক মেজর মঞ্জুর মেহেদী ইসলাম জানান, এলাকার পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অস্ত্রধারীদের ধরতে অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন:পটুয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মেহেরিন আফরোজ সারিকা নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের কলেজরোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন হওলাদারের বাসা থেকে তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, কাগজপত্র না থাকায় মোটরসাইকেল তিনটি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়া দুই পক্ষের মধ্যে সামান্য উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিবেশ স্বাভাবিক আছে।
পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন হাওলাদারের অভিযোগ, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কটূক্তি এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সভাপতির ওপর হামলার প্রতিবাদে তারা মিছিল বের করেন। মিছিলটি কলেজের সামনে দিয়ে সদররোড়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা হঠাৎ হামলা চালায়। এ সময় ছাত্রদলকর্মীরা আশপাশের এলাকায় আশ্রয় নিলে ছাত্রলীগ কর্মীরা ওই এলাকার বাসাবাড়িতেও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
আল-আমিন আরও জানান, ঘটনার পর পুলিশ তার বাসায় গিয়ে ৩টি মোটরসাইকেল জোর করে নিয়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একই ইস্যুতে সকাল ১০টার দিকে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আল হেলাল নয়নের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ খবর ছড়িয়ে পরলে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ উদ্দিন খান হিরার নেতৃত্বে একটি মিছিল শহরে মহড়া দেয়।
এর আধা ঘন্টা পর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল-আমিনের নেতৃত্বে ওই মিছিলটি বের হয়ে কলেজ রোড এলাকা অতিক্রমের সময় ছাত্রলীগকর্মীরা কলেজ থেকে বের হয়ে হামলা চালায় এবং মিছিলটিকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ছাত্রলীগের এই দলটিকে সে সময় নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হৃদয় আশিষ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভির হাসান আরিফ ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ উদ্দিন খান হিরা। এ সময় ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন কর্মীকে আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করতেও দেখা গেছে।
তবে ওই হামলার ঘটনায় বাসা থেকে স্কুলে যাবার পথে লাঠির আঘাতে আহত হয়েছে পটুয়াখালী সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থী মেহেরিন আফরোজ সারিকা। ঘাড়ে লাঠির আঘাত লাগলে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় পাঠানো হয়েছে। কার লাঠির আঘাতে সারিকা আহত হয়েছে সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
এদিকে হামলার পর এর প্রতিবাদে ডিসি কোর্ট এলাকায় আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয় জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মেহেদি হাসান শামিম চৌধুরীর নেতৃত্বে।
সদর থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, পুলিশ কোনো লাঠিচার্জ করেনি। তা ছাড়া ঘটনার সময় কোনো শিক্ষার্থী আহত হয়েছে কি-না এমন কোনো খবরও তার জানা নেই।
আরও পড়ুন:ছাত্রদল নেতাকর্মীদের পিটিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় ছাত্রদলের দুই নেতা আহত হয়েছেন।
ছাত্রদল নেতাকর্মীদের পিটুনি দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়ার ঘটনা অকপটে স্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি।
সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরের পাশে ছাত্রদলের টেন্টে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত দুজন হলেন রাবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ তাহের ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাকির রেজোয়ান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে রাবি ছাত্রদল নেতাকর্মীরা দলীয় টেন্টে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। বিকেল ৫টার দিকে ছাত্রলীগের ১০-১২ জন সেখানে গিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের পেটাতে শুরু করেন। এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়ে যান।
রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে তাদের নেতাকর্মীরা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এতে ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত দুজন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
এ বিষয়ে রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ওরা মিটিং করছিল। সেটা দেখে ছাত্রলীগের রুহুল ও শাকিলের নেতৃত্বে কিছু ছেলে তাদের পিটুনি দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে।’
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শামসুর রহমান বিশ্বাস জানান, সন্ধ্যার দিকে এম এ তাহের ও জাকির রেজোয়ান নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসেন। তাদের মধ্যে তাহেরকে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের কারখানায় ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করার সময় আগুন লেগে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর সোমবার রাত ৮টায় সাংবাদিকদের একথা জানান ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (অপারেশন) লেফট্যানেন্ট কর্নেল রেজাউল করিম।
তিনি জানান, আগুনে স্যালাইন ও নানা ট্যাবলেট তৈরির বিপুল উপকরণ ও কেমিক্যাল পুড়ে গেছে।
কারখানার লার্জ ভলিউম প্যারেন্টাল ইউনিটে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের ৭ ঘণ্টার চেষ্টায় তা নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা রেজাউল বলেন, ‘আগুন নেভাতে মূল চ্যালেঞ্জ ছিল কারখানার বিশাল আয়তন। প্রায় ৬০-৭০ হাজার স্কয়ার ফিটের কমপেক্ট কারখানার বহুতল ভবনটিতে সংস্কার ও ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলছিল। সেখান থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি।
‘অনেক বড় বিল্ডিং এবং চারিদিক থেকে প্রবেশপথ খুবই স্বল্প ছিল। স্টিল এবং গ্লাসের পার্টিসান ছিল, সেগুলো ভেঙে ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়েছে। এ কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। এর ফলে দুপুরের দিকে আগুনের ব্যপকতা বেড়ে যায়। বিকেল নাগাদ আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।’
তিনি জানান, এত বড় কোম্পানিতে যে পরিমাণ নিজস্ব অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা থাকার কথা, তা ছিল কি না সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:জয়পুরহাটে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখা ব্যবস্থাপকের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের সময় ধারালো অস্ত্রসহ ৩ ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পুলিশ। জয়পুরহাট সদর উপজেলার চান্দা ব্রিজ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জয়পুরহাট থানার ওসি এ কে এম আলমগীর জাহান এ তথ্য জানিয়েছেন।
আটক ছিনতাইকারীদের মধ্যে ৪০ বছরের জামিউল ইসলাম জেলা শহরের আমতলী এলাকার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে, ৩১ বছর বয়সী শামসুজ্জোহা ধানমন্ডি এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে এবং ৩৪ বছরের সুমন হাজি মাদ্রাসা রোড এলাকার মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে।
ওসি আলমগীর জাহান জানান, গত রোববার ইসলামী ব্যাংকের জেলা শাখা থেকে কয়েক লাখ টাকা তুলে জামালগঞ্জের মাহা ট্রেডিং কর্পোরেশনের এজেন্ট ব্যাংকে নেয়া হবে এ কথা এজেন্টের গাড়িচালক সুমন জানতেন। ওই টাকা লুট করতে ছিনতাইকারীদের সঙ্গে পরিকল্পনা করেন তিনি।
রোববার এজেন্ট শাখার ম্যানেজার আবুল হোসেন তার সহকারীকে নিয়ে ব্যাংক থেকে ১৩ লাখ টাকা তুলে মোটরসাইকেলে চড়ে চান্দা ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে দুটি মোটরসাইকেলে আসা ৬ জন ধারালো ছুরি দেখিয়ে তাদের পথরোধ করে। একপর্যায়ে চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে টাকাগুলো ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে তারা।
এ সময় ভুক্তভোগীরা চিৎকার শুরু করলে পথচারী ও আশপাশের মানুষ দৌড়ে এসে দুজনকে আটকের পর মারধর করে পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ ওই দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর আরও একজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। ওই তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ১৩ লাখ টাকা আদালতের মাধ্যমে এজেন্ট ব্যাংক নিয়ে যেতে পারবে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য