× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Teachers want more caution in appointing vice chancellors
google_news print-icon

উপাচার্য নিয়োগে আরও সতর্কতা চান শিক্ষাবিদরা

শাবি
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবির আন্দোলনে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দেয়াল লিখন। ছবি: সংগৃহীত
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি অথবা বিশেষজ্ঞ প্যানেল করা যেতে পারে। তারা যাচাই-বাছাই করে যোগ্য ব্যক্তিদের উপাচার্য নিয়োগের সুপারিশ করবে। নিয়োগপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতের পরামর্শও দিচ্ছেন তারা।  

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে তীব্র আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৩ বছরে শিক্ষার্থী আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন পাঁচজন উপাচার্য। এমন পরিস্থিতিতে উপাচার্য নিয়োগে সরকারকে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন শিক্ষাবিদরা।

তারা বলছেন, উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি অথবা বিশেষজ্ঞ প্যানেল করা যেতে পারে। তারা যাচাই-বাছাই করে যোগ্য ব্যক্তিদের উপাচার্য নিয়োগের সুপারিশ করবে। নিয়োগপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতের পরামর্শও দিচ্ছেন শিক্ষাবিদরা।

২০০৯ সালে পদত্যাগ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এস এম এ ফায়েজ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শরীফ এনামুল কবির পদত্যাগ করেন ২০১২ সালে। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক উপাচার্য মো. আনোয়ার হোসেনও পদ ছাড়তে বাধ্য হন ২০১৪ সালে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিন আহমেদ ২০১৯ সালে এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এস এম ইমামুল হক একই বছর পদত্যাগ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকার যোগ্য লোককে যোগ্য জায়গায় বসাতে পারছে না বলেই উপাচার্যদের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।’

তার মতে, ‘আচার্য মানেই হচ্ছেন প্রভূত জ্ঞানের অধিকারী। উপাচার্যরা তার সমগোত্রীয়। তাই উপাচার্য নিয়োগ যাচ্ছেতাইভাবে হতে পারে না।’

এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘সার্চ কমিটির মাধ্যমে উপাচার্য নিয়োগ দিতে হবে। এ রীতি আমাদের পাশের দেশ ভারতেই আছে। এ পদ্ধতি অবলম্বন করলে যোগ্য ব্যক্তিরা সঠিক জায়গায় অধিষ্ঠিত হবেন।’

উপাচার্য নিয়োগে আরও সতর্কতা চান শিক্ষাবিদরা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ

একই ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘পদের মোহে অনেকেই উপাচার্য পদে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছেন, যা শিক্ষাব্যবস্থার জন্য সুখকর নয়। এ জন্য উপাচার্য নিয়োগপ্রক্রিয়া খুব স্বচ্ছ হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ প্যানেল করা যেতে পারে। তারা দেখে উপাচার্য নিয়োগের সুপারিশ করবে।

উপাচার্য হিসেবে যারা নিয়োগ পান তাদের মেয়াদ একবারের বেশি হওয়া উচিত নয় বলেও মনে করছেন অধ্যাপক মনজুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘তা না হলে যারা উপাচার্য পদে নিয়োগ পেতে ব্যর্থ হন তারা বিভিন্ন ঘটনায় ইন্ধন জোগান।’

বিশ্ববিদ্যালয়ে অযাচিত রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েকটি কারণে উপাচার্যদের বিরুদ্ধে নানা সময়ে অভিযোগ ওঠে। এর মূলে রয়েছে অযাচিত রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় উপাচার্য ও শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে। এগুলো ক্ষতি করেছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে।’

তার মতে, ‘বিভিন্ন কারণে উপাচার্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। এর পেছনে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্ররাজনীতি। এ ছাড়া বড় বড় কাজের টেন্ডার তো রয়েছেই। কারও (উপাচার্য) বিরুদ্ধে সত্যিকার অর্থে অভিযোগ উঠলে ইউজিসি দেশের গণমান্য শিক্ষাবিদদের নিয়ে একটা প্যানেল করতে পারে। সেই প্যানেল অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থার সুপারিশ করবে।’

উপাচার্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠা ‘অস্বাভাবিক নয়’ বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উপাচার্যদের বিরুদ্ধে অনেক ধরনের অভিযোগ উঠতেই পারে। তবে সব অভিযোগ সত্য নয়। অভিযোগগুলোর মধ্যে দুটি গুরুতর। একটি হচ্ছে নৈতিক স্খলন, আরেকটি দুর্নীতি। এর একটিও যদি কারও বিরুদ্ধে ওঠে, অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে তা তদন্ত করতে হবে। যা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি করে থাকে। তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই দায়ীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’

উপাচার্য নিয়োগে আরও সতর্কতা চান শিক্ষাবিদরা
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের দেয়াল লিখন

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘সেখানে কিন্তু ফরিদের (শাবি উপাচার্য) বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলন বা আর্থিক দুর্নীতির কোনো অভিযোগ নেই। অদক্ষতা বা অযোগ্যতা সেগুলো অন্য বিষয়। তারপরও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে।’

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতার অন্যতম কারণ আঞ্চলিকতা বলে মনে করছেন সাবেক শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান (এন আই খান)।

তিনি বলেন, ‘বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকাল ছেলেমেয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছে। নিয়োগ পেয়েই তারা একটি বলয় সৃষ্টি করে। আমেরিকায় কিন্তু যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আপনি পাস করবেন সেখানে প্রথমে শিক্ষক হওয়া যায় না। প্রথমে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে হবে। এরপর সেখানে শিক্ষকতায় নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে সে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছে সেখানে নিয়োগের সুযোগ পাবে। এ জন্য আঞ্চলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেন ভারসাম্য থাকে সে ব্যবস্থা করতে হবে।’

উপাচার্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে ত্বরিত ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে মনে করেন এই সাবেক শিক্ষাসচিব।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে আছে, প্রশাসনে যারা থাকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে ন্যায়-অন্যায় যা-ই হোক তাদের সরিয়ে দিতে হবে। এটাই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। যারা উপাচার্য তারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। তাই পদ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যেন কলুষিত না হয় সে বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।’

উপাচার্য নিয়োগে আরও সতর্কতা চান শিক্ষাবিদরা
ড. জাফর ইকবালের অনুরোধে অনশন ভেঙেছেন শাবি শিক্ষার্থীরা

অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক মনে করছেন, কোনো উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে নৈতিক অবস্থান থেকে সে বিষয়ে তার নিজেরই পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উপাচার্যের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলে বিশ্ববিদ্যালয়-কাঠামোর মধ্যেই এর সমাধান আছে। যেমন, সিনেট ও সিন্ডিকেট। এ দুটোতেই সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য। তাই উপাচার্যরা যখন দেখবেন তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এসেছে, তখন তিনি নৈতিক অবস্থান থেকে সেখানে আর সভাপতিত্ব করবেন না।

‘তা যদি তিনি না করেন তাহলে উচিত ইউজিসিতে অভিযোগগুলো তদন্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ যাওয়া। এটাই নিয়ম ও বিধিবিধান। এ ছাড়া উপাচার্য স্বপ্রণোদিত হয়েও ইউজিসিকে তদন্তের অনুরোধ করতে পারেন।’

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘আমি মনে করি নৈতিক অবস্থান থেকে উপাচার্যদের উচিত তার বিষয়ে যে অভিযোগগুলো এসেছে, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইউজিসি গঠন করেছিলেন যাতে শিক্ষকদের ওপর অন্যরা কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করতে পারে। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন শিক্ষকদের স্বশাসনের ওপর।’

উপাচার্য নিয়োগে আরও সতর্ক হতে সরকারকে পরামর্শ দেন এই শিক্ষাবিদ।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ জন্য আমি মনে করি নিয়োগপ্রক্রিয়ায় আরও সতর্ক হতে হবে।’

আরও পড়ুন:
এভাবে যে পদ আঁকড়ে থাকে, তাকে আমি দানব বলি: জাফর ইকবাল
‘উচ্চমহল’ বিশ্বাসঘাতকতা করবে না, আশা জাফর ইকবালের
অনশন ভাঙার পর নতুন কর্মসূচির পথে শাবি শিক্ষার্থীরা
জাফর ইকবালের আশ্বাসে ভাঙল শাবি শিক্ষার্থীদের অনশন
‘আমিও তোমাদের টাকা দিলাম, আমাকে অ্যারেস্ট করুক’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
SSC Fruit Revision Application begins

এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু

এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে সন্তুষ্ট না হওয়া শিক্ষার্থীদের খাতা চ্যালেঞ্জ বা ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু হয়েছে।

আজ শুক্রবার থেকে আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শুধু টেলিটক সিম ব্যবহার করে ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ের জন্য নির্ধারিত আবেদন ফি লাগবে ১৫০ টাকা।

পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবে- RSC<Space> Board Name (First 3 letters)<Space>Roll<Space>Subject Code লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নাম্বারে। একাধিক Subject Code Type এর ক্ষেত্রে কমা (,) ব্যবহার করতে হবে। যেমন-১০১,১০২,১০৩।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Centenary students of 5 educational institutions pass and all fail

৯৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস, ১৩৪টিতে সবাই ফেল

৯৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস, ১৩৪টিতে সবাই ফেল

এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যায় বড় ধরনের অবনতি লক্ষ করা গেছে। গত বছরের শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় এবার সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক-তৃতীয়াংশেরও নিচে।

ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মাত্র ৯৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। অথচ, গত বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৯৬৮টি। সেই হিসাবে এবার শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কমেছে ১ হাজার ৯৮৪টি।

অন্যদিকে, ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানের কোনো পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। গতবছর শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫১টি। সে হিসেবে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৮৩টি।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফল প্রকাশ করেছে।

বিগত বছরগুলোর মতো এবার ফল প্রকাশ ঘিরে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা রাখা না হলেও সার্বিক বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার সভাকক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় কথা বলেন বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দকার এহসানুল কবির।

এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ১০ এপ্রিল। পরীক্ষা শেষ হয় ১৩ মে। চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন।

এ ছাড়াও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন পরীক্ষার্থী ছিল।

উল্লেখ্য, গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় এক লাখ পরীক্ষার্থী কম ছিল। এবার ফল তৈরি হয়েছে বাস্তব মূল্যায়ন নীতিতে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
SSC The pass rate for foreign examiners is 57 percent

এসএসসি: বিদেশি পরীক্ষার্থীদের পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ

এসএসসি: বিদেশি পরীক্ষার্থীদের পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ

এ বছর ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ৮টি কেন্দ্রে বিদেশি পরীক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন, পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

৮টি কেন্দ্র থেকে মোট ৪২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন।

তাদের মধ্যে ৩৭৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন আর অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ৫৪ জন। ১টি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ এবং বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একযোগে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

এবার সারাদেশে মোট পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন এক লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জনে। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। আর জিপিএ ফাইভ পেয়েছিল এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন।

এ বছর সারা দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৭৯ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। মোট উপস্থিতি ছিল ১৯ লাখ আট হাজার ৮৬ জন। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তেরো লাখ তিন হাজার ৪২৬ জন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The pass rate in the submission test is 57 percent

দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৯ শতাংশ

দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৯ শতাংশ

বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৯ শতাংশ। এ বোর্ডে সারাদেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৬৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে এ ফল প্রকাশ করা হয়।

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে গড় পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। সে হিসাবে পাসের হার অনেক কমেছে।

ছাত্রীদের পাসের হার ৭১.০৩ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৬৫.৮৮ শতাংশ। সেই হিসাবে এবারও পাসের হারে এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রীরা। এ নিয়ে টানা ১০ বছর এসএসসিতে পাসের হারে এগিয়ে ছাত্রীরা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Samar Semester 2021 at Southeast University with new students

সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে সমার সেমিস্টার ২০২৫-এর নতুন শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবীন বরণ

সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে সমার সেমিস্টার ২০২৫-এর নতুন শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবীন বরণ

সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি (SEU) সামার সেমিস্টার ২০২৫-এ ভর্তি হওয়া নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে ২ ও ৩ জুলাই ২০২৫ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস দুইদিনব্যাপী নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক স্কুলের উদ্যোগে চারটি পৃথক সেশনের মাধ্যমে আয়োজিত এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক যাত্রাকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।

২ জুলাই প্রথম সেশনে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (SSE) এর অধীনে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) বিভাগের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডেটাসফট সিস্টেমস বাংলাদেশ লিমিটেড-এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মঞ্জুর মাহমুদ। একই দিনে দ্বিতীয় সেশনে SSE-এর আওতাধীন আর্কিটেকচার, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE), এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। এ সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (IEB)-এর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহিউদ্দিন আহমেদ (সেলিম)।

৩ জুলাই তৃতীয় সেশনে স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস (SASS) অর্থনীতি, ইংরেজি ও বাংলা বিভাগের নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানায়। এ সেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর এবং SANEM-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক বাজিউল হক খোন্দকার।

সেদিনই চতুর্থ ও শেষ সেশনে সাউথইস্ট বিজনেস স্কুল (SBS) তাদের বিবিএ ও এমবিএ প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ওরিয়েন্টেশন আয়োজন করে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. মাহবুবুর রহমান, এফসিএ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিটি ব্যাংক পিএলসি-এর সিএফও। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা এবং নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জনের আহ্বান জানান।

সবগুলো সেশনে সভাপতিত্ব করেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম। এছাড়া প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. মোফাজ্জল হোসেন এবং রেজিস্ট্রার মেজর জেনারেল মো. আনোয়ারুল ইসলাম, SUP, ndu, psc (অব.) শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন সেশনে সংশ্লিষ্ট স্কুলের ডিন ও বিভাগের চেয়ারম্যানগণও উপস্থিত ছিলেন।

এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামগুলোর মূল লক্ষ্য ছিল নতুন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ, মূল্যবোধ ও বিভিন্ন সুবিধার সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেওয়া, যাতে তারা একটি প্রাণবন্ত বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু করতে পারে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Interview with the 5th BCS begins on July 7

৪৫তম বিসিএসের সাক্ষাৎকার ৮ জুলাই শুরু

৪৫তম বিসিএসের সাক্ষাৎকার ৮ জুলাই শুরু

৪৫তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভাইভা শুরু হবে আগামী ৮ জুলাই থেকে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন পিএসসি।

এবার চাকরি প্রত্যাশীরা তাদের আবেদনের পছন্দক্রম পরিবর্তন করতে পারবেন কিংবা আবেদনের ক্রমও বহাল রাখতে পারবেন সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করার আগে। তবে পছন্দক্রম পরিবর্তনের ফরমটি তাৎক্ষণিক চাকরিপ্রার্থীদের সরাসরি হাতে সরবরাহ করা হবে এবং তা পূরণ করে সাক্ষাৎকার বোর্ডে জমা দিতে হবে।

৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় সাময়কিভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে সাধারণ ক্যাডারে ২০৬ জন, সাধারণ ও কারিগরি /পেশাগত উভয় ক্যাডারে ১৮১ জন এবং শুধু কারিগরি/পেশাগত ক্যারের পদগুলোর ৬৫ জনসহ মোট ৪৫২ জন প্রার্থীর সাক্ষাৎকারের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে, যা কমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
EB Vice Chancellors visit to China with UGC delegation 

ইউজিসি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ইবি উপাচার্যের চীন সফর 

ইউজিসি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ইবি উপাচার্যের চীন সফর 

বাংলাদেশে চীন দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশ উচ্চশিক্ষা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে চীন সফরে যোগদান করবেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। আগামী ৬ জুলাই থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত (ভ্রমণ সময় ব্যতীত) মোট ৬ দিনের সফরে যাচ্ছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত পহেলা জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এএসএম কাশেম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভ্রমণ সংক্রান্ত সকল খরচ বাংলাদেশে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন দূতাবাস বহন করবেন। এতে বাংলাদেশ সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আর্থিক সম্পৃক্ততা থাকবেন না। মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে কর্মস্থলে যোগদান করবেন। ভ্রমণের একটি প্রতিবেদন তাঁর প্রত্যাবর্তনের ১৫ (পনের) কার্যদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। এছাড়া উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. ইয়াকুব আলী উপাচার্যের নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবেন।

ইবি উপাচার্যের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) গোলাম মাহফুজ মঞ্জু জানান, উপাচার্যের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৬ তারিখে উপাচার্যের সফরে যাবেন। তিনি উচ্চশিক্ষা বিষয়ক ইউজিসির চেয়ারম্যানের অধীনে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যাচ্ছেন।

ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ জানান, ‘উচ্চশিক্ষা বিষয়ক ইউজিসির অধীনে একটা বড় প্রতিনিধিদল নিয়ে চীন সফরে যাওয়া হচ্ছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাস্ট) উপাচার্যগণ সঙ্গে থাকবেন।

মন্তব্য

p
উপরে