চলতি সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবসে ঘুরে দাঁড়াল পুঁজিবাজারের সূচক। সপ্তাহের প্রথম দুদিন টানা সূচকের পতন চাঙ্গা পুঁজিবাজারে কুয়াশার আবরণ দিতে শুরু করেছিল। সেখান থেকে মঙ্গলবার তালিকাভুক্ত বস্ত্র ও প্রকৌশল খাতের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের বাড়তি আগ্রহে ঘুরল সূচক।
এদিন লেনদেন শুরুর পৌনে এক ঘণ্টায় সূচকের যে উত্থান হয়েছিল তাতে বলা মুশকিল ছিল শেয়ার কেনার বদলে পরবর্তীতে বিক্রিতে মনোযোগ দেবে বিনিয়োগকারীরা। এই সময়ে আগের দিনের তুলনায় ৫৯ পয়েন্ট বাড়ে ডিএসইএক্স সূচক।
বেলা পৌনে ১১টার পর মূলত উত্থানের ধারা কমতে শুরু করে, যা লেনদেনের শেষ সময় পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। ফলে দিন শেষে ১৩ পয়েন্ট উত্থানে শেষ হয়েছে লেনদেন। টানা ৯ কর্মদিবসে ৭ হাজার পয়েন্টে স্থির থেকে মঙ্গলবার সূচক দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩২ পয়েন্টে।
চলতি সপ্তাহের রোববার ডিএসইর এই প্রধান সূচক ৭ হাজার ১০৫ পয়েন্ট থেকে ৩২ দশমকি ৬৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছিল ৭ হাজার ৭৩ পয়েন্টে। তারপর দিন সোমবারও সূচক কমেছিল ৫৩ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট। সপ্তাহের দুদিন সূচক কমেছে ৮৬ দশমিক ৭১ পয়েন্ট।
এদিন সূচক উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর দর বৃদ্ধি। লেনদেনে এদিন ৭২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। পাশাপাশি দর বৃদ্ধিতে ছিল প্রকৌশল খাতের কোম্পানিগুলো। লেনদেনে এ খাতের ৫০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। সিমেন্ট খাতে তালিকাভুক্ত সাতটি কোম্পানির মধ্যে ৫৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।
মঙ্গলবার স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭.৪১ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছিল ন্যাশনাল টি কোম্পানির। এ ছাড়া, এইচআর টেক্সটাইলের ৪.৩৪ শতাংশ আর স্টাইল ক্রাফটের ৪.১৪ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৪টি কোম্পানির আর দর হারিয়েছে ১৬২টি কোম্পানির। লেনদেন হয়েছে মোট ১ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। হাজার কোটি টাকা লেনদেনেও ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে ডিএসই। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে যে হাজার কোটি টাকা লেনদেনে সূচনা হয়েছে সেটি ১৫ কর্মদিবস ধরে অব্যাহত আছে।
পুঁজিবাজারে এসএমই কোম্পানিগুলোকে নিয়ে গঠন করা আলাদা বোর্ডে মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৪৬ লাখ টাকা। লেনদেনে ৩টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে , কমেছে একটি কোম্পানির। এই বোর্ডের প্রধান সূচক ডিএসএমইএক্স ১৩ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮৮ দশমিক ০৯ পয়েন্টে।
যেসব কোম্পানির দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে
মঙ্গলবার সূচক বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল আইসিবির ১১ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৫.৮৫ শতাংশ। এ ছাড়া, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিসের শেয়ার দর দশমিক ৪৭ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৩.০২ পয়েন্ট।
হাইডেনবার্গ সিমেন্টের সূচক বৃদ্ধিতে অবদান ছিল ২.৯৫ পয়েন্ট। স্কয়ার টেক্সটাইলের ২.৪৮ পয়েন্ট। বেক্সিমকো লিমিটেডের ২.৪৫ পয়েন্ট।
এ ছাড়া, সূচক বৃদ্ধিতে ভূমিকা ছিল ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, ইসলামী ব্যাংক, বসুন্ধরা পেপার মিলস, বিএসআরএম স্টিল ও বিএসআরএম লিমিটেড।
অপরদিকে শেয়ারের দর পতনে সূচক কমাতে সহায়ক ছিল বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, গ্রামীনফোন, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, ব্র্যাক ব্যাংক, লিন্ডে বিডি, সোনালী পেপার, বেক্সিমকো ফার্মা, বিকনফার্মা, রেনেটা ও ইউনিক হোটেল।
দর বৃদ্ধির ১০ কোম্পানি
মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে নতুন তালিকাভুক্ত বিডি থাই ফুডের। প্রথম দিনের লেনদেন কোম্পানির শেয়ারের কোনো বিক্রেতা ছিল না। শেয়ার কেনার জন্য আগ্রহী থাকলেও এদিন মাত্র ২৩৪টি শেয়ার হাতবতল হয়েছে।
এ ছাড়া, ১০ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে আর ও একটি কোম্পানি স্কয়ার টেক্সটাইলের। দর বৃদ্ধিতে ৬৩ টাকার শেয়ার পৌঁছেছে ৬৯ টাকা ৯০ পয়সায়।
এদিন ৯ শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে চারটি কোম্পানির। এগুলো হচ্ছে মতিন স্পিনিং, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, কুইন সাউথ টেক্সটাইল ও মালেক স্পিনিং।
হাইডেনবার্গ সিমেন্টের শেয়ার দর বেড়েছে ৮.৭১ শতাংশ।
সাত শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে তিনটি কোম্পানির। এর মধ্যে আছে ন্যাশনাল টি কোম্পানি, হামিদ ফেব্রিক্স ও বসুন্ধরা পেপার মিলস।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
দিনের সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৫.৪৭ শতাংশ। এতে ৮৪ টাকার শেয়ার পৌঁছেছে ৭৯ টাকা ৪০ পয়সায়।
দেশ গার্মেন্টসের শেয়ার দর কমেছে ৫.৩০ শতাংশ। ফার কেমিক্যালের শেয়ার দর কমেছে ৫ শতাংশ।
৪ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমেছে দুটি কোম্পানির। এপেক্সফুড ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির।
তিন শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমেছে আটটি কোম্পানির। এর মধ্যে আছে ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জিল বাংলা সুগার, অলেম্পিক এক্সেসরিস, দুলামিয়া কটন, এএমসিএল (প্রাণ), শ্যামপুর সুগার, ফুওয়া সিরামিক, সোনালী পেপার ও অনালিমা ইয়ার্ড।
লেনদেনে সেরা ১০
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের ৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এদিন কোম্পানিটির ৫৬ লাখ ৫৮ হাজার ২২০টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির ৪৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এ ছাড়া ফরচুন সুজের ৩৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা শেয়ার লেনদেন হয়েছে। স্কয়ার টেক্সটাইলের ৩৪ কোটি ৩১ লাখ টাকার, বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ২৫ কোটি ১৩ লাখ টাকার, পাওয়ার গ্রিডের ২৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
ওরিয়ন ফার্মার ২২ কোটি ৫৬ লাখ টাকার, এপেক্স ফুটওয়ারের ২১ কোটি ৮১ লাখ টাকার, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ২০ কোটি ১৪ লাখ টাক ও এসিআই কোম্পানির ১৯ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য