চলতি সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবসে ঘুরে দাঁড়াল পুঁজিবাজারের সূচক। সপ্তাহের প্রথম দুদিন টানা সূচকের পতন চাঙ্গা পুঁজিবাজারে কুয়াশার আবরণ দিতে শুরু করেছিল। সেখান থেকে মঙ্গলবার তালিকাভুক্ত বস্ত্র ও প্রকৌশল খাতের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের বাড়তি আগ্রহে ঘুরল সূচক।
এদিন লেনদেন শুরুর পৌনে এক ঘণ্টায় সূচকের যে উত্থান হয়েছিল তাতে বলা মুশকিল ছিল শেয়ার কেনার বদলে পরবর্তীতে বিক্রিতে মনোযোগ দেবে বিনিয়োগকারীরা। এই সময়ে আগের দিনের তুলনায় ৫৯ পয়েন্ট বাড়ে ডিএসইএক্স সূচক।
বেলা পৌনে ১১টার পর মূলত উত্থানের ধারা কমতে শুরু করে, যা লেনদেনের শেষ সময় পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। ফলে দিন শেষে ১৩ পয়েন্ট উত্থানে শেষ হয়েছে লেনদেন। টানা ৯ কর্মদিবসে ৭ হাজার পয়েন্টে স্থির থেকে মঙ্গলবার সূচক দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩২ পয়েন্টে।
চলতি সপ্তাহের রোববার ডিএসইর এই প্রধান সূচক ৭ হাজার ১০৫ পয়েন্ট থেকে ৩২ দশমকি ৬৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছিল ৭ হাজার ৭৩ পয়েন্টে। তারপর দিন সোমবারও সূচক কমেছিল ৫৩ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট। সপ্তাহের দুদিন সূচক কমেছে ৮৬ দশমিক ৭১ পয়েন্ট।
এদিন সূচক উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর দর বৃদ্ধি। লেনদেনে এদিন ৭২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। পাশাপাশি দর বৃদ্ধিতে ছিল প্রকৌশল খাতের কোম্পানিগুলো। লেনদেনে এ খাতের ৫০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। সিমেন্ট খাতে তালিকাভুক্ত সাতটি কোম্পানির মধ্যে ৫৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।
মঙ্গলবার স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭.৪১ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছিল ন্যাশনাল টি কোম্পানির। এ ছাড়া, এইচআর টেক্সটাইলের ৪.৩৪ শতাংশ আর স্টাইল ক্রাফটের ৪.১৪ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৪টি কোম্পানির আর দর হারিয়েছে ১৬২টি কোম্পানির। লেনদেন হয়েছে মোট ১ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। হাজার কোটি টাকা লেনদেনেও ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে ডিএসই। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে যে হাজার কোটি টাকা লেনদেনে সূচনা হয়েছে সেটি ১৫ কর্মদিবস ধরে অব্যাহত আছে।
পুঁজিবাজারে এসএমই কোম্পানিগুলোকে নিয়ে গঠন করা আলাদা বোর্ডে মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৪৬ লাখ টাকা। লেনদেনে ৩টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে , কমেছে একটি কোম্পানির। এই বোর্ডের প্রধান সূচক ডিএসএমইএক্স ১৩ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮৮ দশমিক ০৯ পয়েন্টে।
যেসব কোম্পানির দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে
মঙ্গলবার সূচক বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল আইসিবির ১১ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৫.৮৫ শতাংশ। এ ছাড়া, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিসের শেয়ার দর দশমিক ৪৭ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৩.০২ পয়েন্ট।
হাইডেনবার্গ সিমেন্টের সূচক বৃদ্ধিতে অবদান ছিল ২.৯৫ পয়েন্ট। স্কয়ার টেক্সটাইলের ২.৪৮ পয়েন্ট। বেক্সিমকো লিমিটেডের ২.৪৫ পয়েন্ট।
এ ছাড়া, সূচক বৃদ্ধিতে ভূমিকা ছিল ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, ইসলামী ব্যাংক, বসুন্ধরা পেপার মিলস, বিএসআরএম স্টিল ও বিএসআরএম লিমিটেড।
অপরদিকে শেয়ারের দর পতনে সূচক কমাতে সহায়ক ছিল বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, গ্রামীনফোন, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, ব্র্যাক ব্যাংক, লিন্ডে বিডি, সোনালী পেপার, বেক্সিমকো ফার্মা, বিকনফার্মা, রেনেটা ও ইউনিক হোটেল।
দর বৃদ্ধির ১০ কোম্পানি
মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে নতুন তালিকাভুক্ত বিডি থাই ফুডের। প্রথম দিনের লেনদেন কোম্পানির শেয়ারের কোনো বিক্রেতা ছিল না। শেয়ার কেনার জন্য আগ্রহী থাকলেও এদিন মাত্র ২৩৪টি শেয়ার হাতবতল হয়েছে।
এ ছাড়া, ১০ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে আর ও একটি কোম্পানি স্কয়ার টেক্সটাইলের। দর বৃদ্ধিতে ৬৩ টাকার শেয়ার পৌঁছেছে ৬৯ টাকা ৯০ পয়সায়।
এদিন ৯ শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে চারটি কোম্পানির। এগুলো হচ্ছে মতিন স্পিনিং, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, কুইন সাউথ টেক্সটাইল ও মালেক স্পিনিং।
হাইডেনবার্গ সিমেন্টের শেয়ার দর বেড়েছে ৮.৭১ শতাংশ।
সাত শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে তিনটি কোম্পানির। এর মধ্যে আছে ন্যাশনাল টি কোম্পানি, হামিদ ফেব্রিক্স ও বসুন্ধরা পেপার মিলস।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
দিনের সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৫.৪৭ শতাংশ। এতে ৮৪ টাকার শেয়ার পৌঁছেছে ৭৯ টাকা ৪০ পয়সায়।
দেশ গার্মেন্টসের শেয়ার দর কমেছে ৫.৩০ শতাংশ। ফার কেমিক্যালের শেয়ার দর কমেছে ৫ শতাংশ।
৪ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমেছে দুটি কোম্পানির। এপেক্সফুড ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির।
তিন শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমেছে আটটি কোম্পানির। এর মধ্যে আছে ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জিল বাংলা সুগার, অলেম্পিক এক্সেসরিস, দুলামিয়া কটন, এএমসিএল (প্রাণ), শ্যামপুর সুগার, ফুওয়া সিরামিক, সোনালী পেপার ও অনালিমা ইয়ার্ড।
লেনদেনে সেরা ১০
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের ৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এদিন কোম্পানিটির ৫৬ লাখ ৫৮ হাজার ২২০টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির ৪৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এ ছাড়া ফরচুন সুজের ৩৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা শেয়ার লেনদেন হয়েছে। স্কয়ার টেক্সটাইলের ৩৪ কোটি ৩১ লাখ টাকার, বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ২৫ কোটি ১৩ লাখ টাকার, পাওয়ার গ্রিডের ২৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
ওরিয়ন ফার্মার ২২ কোটি ৫৬ লাখ টাকার, এপেক্স ফুটওয়ারের ২১ কোটি ৮১ লাখ টাকার, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ২০ কোটি ১৪ লাখ টাক ও এসিআই কোম্পানির ১৯ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য