পিঠজুড়ে বেত্রাঘাতের দাগ। বাদ যায়নি হাত-পাসহ শরীরের অন্যান্য অংশও। খুলনার রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা ইউনিয়নের শ্রীফলতলা গ্রামে হাফেজিয়া মাদ্রাসার এক শিশু শিক্ষার্থীকে এভাবেই পেটানোর অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
নির্যাতনের শিকার ১১ বছর বয়সী সাব্বির শেখ শ্রীফলতলা গ্রামের মোহাম্মাদিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তিন বছর ধরে সে ওই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে। সহপাঠীদের সঙ্গে দুষ্টুমি করায় গত রোববার তাকে শিক্ষক মেহেদী হাসান বেধম বেত্রাঘাত করেন বলে তার পরিবারের অভিযোগ।
রূপসার ঘাটভোগ ইউনিয়নের আনন্দনগর মেঝোঝিলার রউফ শেখ ও লিপি বেগমের তিন সন্তানের মধ্যে সবার ছোট সাব্বির।বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন সে।
মামলার বাদী ওই শিক্ষার্থীর মা লিপি বেগম মঙ্গলবার দুপুরে নিউজবাংলাকে বলেন, সাব্বির রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুরো শরীর ফুলে উঠেছে। প্রচণ্ড যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।
কিডনি পরীক্ষার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন। তার সুষ্ঠ চিকিৎসার জন্য আমরা চিন্তিত। এভাবে শারীরিক নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
সাব্বিরের চাচা শেখ অসিকুর রহমান বলেন, ‘পড়া না করে দুষ্টুমি করায় নির্মমভাবে আমার ভাইপোকে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টা সে অজ্ঞান ছিল। শরীরের পিঠে ও হাতের বাহুতে মোট ৪০টি বেত্রাঘাত রয়েছে। প্রতিটি আঘাতের স্থানে রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে।’
রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. শফিক নিউজবাংলাকে জানান, বেত্রাঘাতের কারণে আগাতের স্থানগুলোতে কালো রক্ত জমাট বেঁধেছে। সাব্বিরের হাত ও মুখ ফুলে গেছে। এ কারণে তার কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তাকে সুস্থ করে তুলতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে।
নির্যাতনের ঘটনায় সোমবার সাব্বিরের মা লিপি বেগম বাদী হয়ে রূপসা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগ মামলার এজাহার হিসেবে রেকর্ড করেছে পুলিশ।
মাদ্রাসার শিক্ষক মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপুলিশ পরিদর্শক সেকেন্দার আলী। তিনি বলেন, ‘মামলাটির তদন্তভার পেয়েছি। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।’
রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগে তার মায়ের লিখিত অভিযোগটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে নির্যাতনের সত্যতা পাওয়া গেছে।
ঘটনার পর থেকে শিক্ষক মেহেদী পলাতক। তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার মোবাইলটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন কপোতাক্ষপাড়ের মানুষ।
‘ত্রাণ চাই না, পরিত্রাণ চাই’ স্লোগানে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মানববন্ধন করেছেন তারা।
জেলা নাগরিক কমিটি, নারী কমিটি, আশাশুনি সদর ও শ্রীউলা ইউনিয়নবাসী এই কর্মসূচির আয়োজন করেন।
জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনিসুর রহিমের সভাপতিত্বে ও যুগ্মসচিব আলী নুর খান বাবলুর সঞ্চালনায় মানববন্ধন হয়।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, পানি কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, আশাশুনি সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম হোসেনুজ্জামান, জাসদ নেতা অধ্যাপক ইদ্রিস আলী।
আনিসুর রহিম বলেন, ‘আমরা ত্রাণ চাই না, টেকসই বেড়িবাঁধ চাই। নদনদীর ভাঙন আর দেখতে চাই না। আশাশুনির নদনদী খনন প্রয়োজন। জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের বরাদ্দের অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া মহল্লা জলাবদ্ধতা। অনেকের ঘরের মধ্যে পানি। জলাবদ্ধতায় জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।
মানববন্ধন শেষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন নাগরিক নেতারা।
আরও পড়ুন:ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আগামী ১৫ জুন থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন ১০টি অঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে মঙ্গলবার দুপুরে করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের চতুর্দশ বোর্ড সভায় মেয়র এ তথ্য জানান।
তাপস বলেন, ‘আমাদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি। এজন্য আমরা মনে করি, আমাদের আরও করণীয় রয়েছে এবং সেভাবেই এবারের কর্মপরিকল্পনা সাজিয়েছি। কর্মপরিকল্পনার আলোকে ১৫ জুন থেকেই কার্যক্রম আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু করব। আমাদের ১০টি অঞ্চলে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের জন্য আমরা এরই মাঝে জানিয়েছি। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে যাব। এছাড়াও আমাদের চিরুনি অভিযান পরিচালিত হবে।’
গতবারের তুলনায় এবার বেশি সময় ধরে চিরুনি অভিযান চালানো হবে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘গতবার আমরা এক মাস নিয়ন্ত্রণকক্ষ পরিচালনা করেছিলাম। এবার সেটা আমরা দুই মাস ধরে পরিচালনা করব। এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে আমরা চিরুনি অভিযানগুলো তদারকি করব।’
এ সময় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আপনারা যারা বাসাবাড়ির মালিক এটা আপনাদেরই দায়িত্ব যে আপনার আঙিনা, ছাদে, টবে পরিত্যক্ত জায়গায় যাতে কোনো পানি না জমে সেটা খেয়াল রাখা। বৃষ্টি হলে কোথাও পানি জমেছে কিনা সেটা দেখবেন। পানি জমে থাকলে সেটা ফেলে দিন। তিন দিনের জন্য অপেক্ষা না করে নিয়মিত জমা পানি ফেলে দিন।’
২০১৯ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে তুলনামূলক সফলতার জন্য মেয়র তাপস বোর্ড সভায় কাউন্সিলরদের ধন্যবাদ জানিয়ে এবার আরও বেশি সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
বোর্ড সভায় করপোরেশনের কাউন্সিলররা ছাড়াও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। তাতে অভিযোগ করেছেন, একটি হাটের অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদের সময় তার বসতঘর ভাঙা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
ইউএনও শরিফ আহম্মেদ ও এসিল্যান্ড মিথিলা দাসসহ পাঁচজনের নামে মঙ্গলবার আদালতে মামলার এই আবেদন করেন নাচোলের কসবা উজিরপুর এলাকার আব্দুর রশীদ।
বাদীর আইনজীবী আব্দুর রহমান এসব নিশ্চিত করেছেন।
আবেদনে বলা হয়, গত ১০ মে বেলা আড়াইটার দিকে কসবা উজিরপুর হাটের ৩০-৪০টি দোকান উচ্ছেদ করার সময় তার দুটি পাকা ঘর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। এতে তার ১৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। সে সময় তার বাড়ি খেকে ৫০ হাজার টাকাসহ ১২টি জিনিসপত্র লুট হয়।
বাদী অভিযোগ করেন, হাটের জমির সঙ্গে তার বসতবাড়ির জমির দাগের কোনো মিল নেই। তার বসতবাড়ি আরএস ১৬৬, যা ৬০ বছরের বেশি সময় থেকে তিনি ভোগদখল করে আসছেন।
নাচোলের ইউএনও শরিফ বলেন, ‘ওটা সরকারি ইজারা দেয়া হাট। ওই হাটে অবৈধ স্থাপনা ছিল। বারবার নোটিশ দেয়া হয়েছে। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় উচ্ছেদ করা হয়েছে।
‘ওখানে কারও বাড়িঘর ছিল না। তারা কেন এ কথা বলছে আমি জানি না। আর ওই জমি হাটের শতভাগ খাস খতিয়ানের জায়গা। আমি যদি অপরাধ করে থাকি, আদালত আমাকে শান্তি দেবে। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শাস্তি দিক। কারও বসতবাড়ি নির্বাহী কর্মকর্তা, এসিল্যান্ড ভেঙে দেবে, লুটপাট করবে এমন অভিযোগ দুঃখজনক। এতে সরকারি দায়িত্ব পালনে বিব্রতবোধ করবে।’
বাদীর আইনজীবী আব্দুর রহমান জানান, জেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমলি আদালতের বিচারক হুমায়ন কবীর মামলাটি আমলে নিয়ে নাচোল থানার ওসিকে তদন্ত করে ১৫ জুনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ি জেবিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে এক ঠিকাদারের কাছে ভাড়া দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়টির মাঠজুড়ে রাখা হয়েছে ইট, খোয়াসহ নানা ধরণের নির্মাণ সামগ্রী। আর মেশিন দিয়ে ইট ভাঙার শব্দে পাঠগ্রহণে প্রতিদিনই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে ওই স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. কামাল হোসেন দাবি করেছেন, উপজেলার নাগরা-বান্ধাবাড়ি-রাশমীল সড়কের নির্মাণ সামগ্রী রাখতে বান্ধাবাড়ি জেবিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠটি ৭ লাখ টাকায় ভাড়া দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঠিকাদার মো. জসিম উদ্দিনের কাছ থেকে এই টাকা গ্রহণ করেছেন বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক।
ক্ষোভ প্রকাশ করে কামাল হোসেন বলেন, ‘মাঠটিতে জেবিপি উচ্চ বিদ্যালয় ও বান্ধাবাড়ি হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়- দুই স্কুলের শিক্ষার্থীরাই খেলাধুলা করে। কিন্তু নির্মাণ সামগ্রী রাখার কারণে তাদের খেলাধুলা এখন বন্ধ। আর বিদ্যালয় চলার সময়ে মেশিন দিয়ে ইট ভাঙার শব্দে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায়ও সমস্যা হচ্ছে।’
খেলাধুলা ও পড়াশোনায় সমস্যা হওয়ার কথা জানিয়েছে বান্ধাবাড়ি হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির কয়েক শিক্ষার্থীও। এ স্কুলের ছাত্র-অভিভাবক সবুজ ঘরামী বলেন, ‘আমরাও শুনেছি, ঠিকাদারের কাছ থেকে জেবিপি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হান্নান মোল্লা ও প্রধান শিক্ষক শেখ আব্দুর রশিদ ৭ লাখ টাকা নিয়েছেন। এতে দুই স্কুলেরই শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।’
এ বিষয়ে বান্ধাবাড়ি জেবিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ আব্দুর রশিদ বলেন, ‘যে মাঠটি ভাড়া দেয়া হয়েছে সেটি আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করে না। মাঠটি আমাদের হলেও ব্যবহার করে বান্ধাবাড়ি হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।’
তবে ভাড়া হিসেবে সাত লাখ টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক দাবি করেছেন, নির্মাণ সামগ্রী রাখতে ৫০ হাজার টাকা ও একটি সিসি টিভি মনিটরের বিনিময়ে ঠিকাদার জসিমউদ্দীনকে অনুমতি দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘৭ লাখ টাকা নেয়ার বিষয়টি ভিত্তিহীন।’
সাত লাখ টাকা দেয়ার কথা অস্বীকার করেন ঠিকাদার জসিমউদ্দীনও। তিনি বলেন, ‘আমি ৩ মাসের জন্য মাঠটি ভাড়া নিয়েছি। বিনিময়ে বিদ্যালয়ে ৫০ হাজার টাকা ও ১টি সিসি টিভি মনিটর দিতে হবে।’
তবে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যালয়ের মাঠ ভাড়া দেয়ার কোন বিধান নেই। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর হাতিরঝিলে সব ধরনের বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদসহ চার দফা নির্দেশনা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে লেক মাছের অভয়ারণ্য করতে ওয়াটার ট্যাক্সি সার্ভিস চলাচল বন্ধের পরামর্শ দিয়েছে আদালত।
সম্প্রতি হাতিরঝিল নিয়ে একটি রায় প্রকাশ করা হয়েছে। ৫৫ পৃষ্ঠার রায়টি মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বছরের ৩০ জুন এ রায় দেয়।
হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রজেক্টে লে আউট প্ল্যানের নির্দেশনার বাইরে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে রাজউকের নিষ্ক্রিয় থাকার প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর ২০১৮ সালে রিট করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রুল জারি করে হাইকোর্ট। পরে ওই রুলের শুনানি শেষে ২০২১ সালের ৩০ জুন রায় ঘোষণা করে আদালত।
আদালতে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ, তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী সঞ্জয় মন্ডল। আর রাজউকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস আল হারুনী ও আশেক মোমিন।
লিখিত রায়ে বলা হয়, ‘প্রতিটি ফোঁটা পানি অতি মূল্যবান। সুপেয় পানির চেয়ে মূল্যবান আর কোনো সম্পদ পৃথিবীতে নেই। সুতরাং প্রতিটি ফোঁটা পানির দূষণ প্রতিরোধ একান্ত আবশ্যক।’
হাতিরঝিলের সৌন্দর্য নিয়ে আদালত বলে, হাতিরঝিলের পানি এবং এর নজরকাড়া সৌন্দর্য অমূল্য সম্পদ। এ অমূল্য সম্পদকে কোনোভাবেই ধ্বংস করা যাবে না।
হাইকোর্টের চার দফা নির্দেশনা
১. সংবিধান, পরিবেশ আইন, পানি আইন এবং তুরাগ নদী রায় মোতাবেক রাজধানী ঢাকার ফুসফুস বেগুনবাড়ি খালসহ হাতিরঝিল এলাকা জনগণের সম্পত্তি।
২. হাতিরঝিল এলাকায় হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ এবং নির্মাণ সংবিধান, পরিবেশ আইন, পানি আইন এবং তুরাগ নদীর রায় অনুযায়ী বেআইনি এবং অবৈধ।
৩. হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় বরাদ্দ করা সব হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অবৈধ এবং এসব বরাদ্দ বাতিল ঘোষণা করা হলো।
৪. এ রায়ের অনুলিপি প্রাপ্তির পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে সব হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের জন্য নির্দেশ দেয়া হলো।
হাতিরঝিলের বিষয়ে উচ্চ আদালতের পরামর্শ
হাতিরঝিল এবং বেগুনবাড়ি সম্পূর্ণ প্রকল্পটি সংরক্ষণ, উন্নয়ন এবং পরিচালনায় একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ ‘হাতিরঝিল লেক সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ’ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সরাসরি অধীন গঠন করা।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রকৌশল বিভাগ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪তম ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডকে যৌথভাবে হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকার স্থায়ী পরামর্শক নিয়োগ করতে হবে।
জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য মাটির নিচে আন্তর্জাতিক মানের টয়লেট স্থাপন ও নির্ধারিত দূরত্বে বিনা মূল্যে জনসাধারণের পান করার জন্য পানির ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
পায়ে চলার রাস্তা, বাইসাইকেল লেন এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক লেন তৈরি করতে হবে।
লেক মাছের অভয়ারণ্য করার জন্য ক্ষতিকর সব ধরনের যান্ত্রিক যান তথা ওয়াটার ট্যাক্সি সার্ভিস ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পরামর্শও দেয়া হয়েছে।
পাশাপাশি প্রকল্পটি বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে নামকরণ করার পরামর্শ এসেছে।
এ ছাড়া হাতিরঝিল এবং বেগুনবাড়ি সম্পূর্ণ প্রকল্পটি সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও পরিচালনার ব্যয় রেভিনিউ বাজেট থেকে বরাদ্দ করার পরামর্শ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন:বছরের পর বছর বিদ্যুৎ বিল না দেয়ায় বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
১৭ লাখ ২৭ হাজার ৩৫৬ টাকা বকেয়া থাকায় সোমবার বিকেলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বাগেরহাট ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)।
ওজোপাডিকোর দাবি, ২০১৬ সাল থেকে বাগেরহাট পৌরসভার মালিকানাধীন জেলার এই বাস টার্মিনালের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে।
অপরদিকে বাগেরহাট বাস মালিক সমিতি বলছে, বিদ্যুৎ বিলের টাকা নিয়মিত পৌরসভাকে দেয়া হয়েছে। আর বাগেরহাট পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি তাদের জানা নেই। তবে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনের জন্য চেষ্টা করা হবে।
ওজোপাডিকো সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের পক্ষে মেয়র বাগেরহাট পৌরসভার ব্যাংক হিসেবে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ১৭ লাখ ২৭ হাজার ৩৫৬ টাকা বিল বকেয়া রয়েছে। শুধু বাগেরহাট বাস টার্মিনাল নয়, বাগেরহাট পৌরভবন, স্ট্রীট লাইটসহ বিভিন্ন ধরণের ১৮টি হিসেবে বাগেরহাট পৌরসভার কাছে আরও প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে ওজোপাডিকোর।
পৌরসভার বাইরেও বাগেরহাট জেলা পুলিশের কাছে ২৫ লাখ ১৯ হাজার, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে ৪ লাখ ২১ হাজার, পিসি কলেজে ৩ লাখ ২০ হাজার, বাগেরহাট মেডিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজে ২ লাখ ২২ হাজার, রেলরোড জামে মসজিদে ৩ লাখ, শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে ৪৪ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে ওজোপাডিকোর।
এদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বাস শ্রমিক-কর্মচারীরা।
বাস শ্রমিক রানা শেখ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাগেরহাট বাস স্ট্যান্ডে একদিন বাস রাখলে ঢাকার পরিবহনের জন্য ৮০ টাকা এবং লোকাল পরিবহনের জন্য ৫০ টাকা দিতে হয়। এখানের টয়েলেটগুলোও আমাদের টাকা দিয়ে ব্যবহার করতে হয়। তাহলে কেন টাকার জন্য বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকবে? আসলে আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, আমাদের টাকার কোন দাম নেই।’
জামাল শেখ বলেন, ‘এই স্ট্যান্ড থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানের বাস ছাড়ে। বিদ্যুৎ না থাকায় খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে, পুন সংযোগ স্থাপনের দাবি জানাই।’
নিউজবাংলাকে বাগেরহাট বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তালুকদার আব্দুল বাকি বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিদ্যুৎ বিলের জন্য প্রতি মাসে পৌরসভার মার্কেটিং কর্মকর্তার কাছে ২০ হাজার টাকা দেয়া হত। কিন্তু করোনাকালীন সময়ে এই টাকা নিয়মিত দেয়া হয়নি।
‘বিদ্যুৎ না থাকায় কয়েক হাজার বাস শ্রমিক ও যাত্রী ভোগান্তিতে রয়েছেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ভোগান্তি লাঘবে অতি দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার দাবি জানাই।’
বাগেরহাট পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মুছাব্বেরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাগেরহাট বাস টার্মিনালে যাতে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া যায়, সে বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
প্রতি মাসের বিদ্যুৎ বিলের টাকা নিয়মিত পৌরসভার কাছে দেয়া হত- বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তালুকদার আব্দুল বাকির এমন দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাস টার্মিনাল থেকে নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল বাবদ টাকা দেয় বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।’
সাড়ে চার কোটি টাকা বকেয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য হিসেবে যে সাড়ে চার কোটি টাকা রয়েছে ওই টাকার বিপরীতে মাঝে মাঝে কিছু টাকা দেয়া হয়। এছাড়া জুন মাসের শেষে রাজস্ব খাতের হিসেব করে বিদ্যুৎ বিভাগের বকেয়া পরিশোধের বিষয়ে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।’
বাগেরহাট ওজোপাডিকোর সহকারি প্রকৌশলী সাইদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের গ্রাহকের কাছে ওজোপাডিকোর প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। বকেয়া থাকা গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের নোটিশ দেয়া হয়েছে।
অনেকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং কারও কারও বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের বকেয়ার পরিমাণ অনেক বেশি, তাদের বিষয়ে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কিমিটির সভায়ও বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে আমরা চেষ্টা করছি যাতে দ্রুত বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায় করতে পারি।’
আরও পড়ুন:ঝালকাঠি সদরের পোনাবালিয়া ইউনিয়নে দুটি লোহার সেতুর মালামাল ভাঙারির কাছে বেচে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল বাসার খানের বিরুদ্ধে।
সোমবার ট্রাকে তুলে ওই মালামাল পাচারের সময় জব্দ করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি, কেউ গ্রেপ্তারও হননি।
স্থানীয়রা জানান, পোনাবালিয়া ইউনিয়নে নয়াখালের ওপর এবং আলমগীর হাওলাদারের বাড়ির সামনে খালে লোহার সেতু দুটি ভেঙে পড়লে চলতি বছর নতুন করে নির্মাণ করে দেয় এলজিইডি। পুরোনো সেতু দুটির লোহার মালামাল খুলে ইউপি চেয়ারম্যান নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।
সোমবার দুপুরে সেতুর মালামাল ট্রাকে তুলে নলছিটি নিয়ে যাচ্ছিলেন ভাঙারি ব্যবসায়ী। এ সময় পোনাবালিয়া খেয়াঘাট এলাকায় স্থানীয় লোকজন ট্রাকটি আটক করে পুলিশে দেন।
মালামাল আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খোকন। তিনি বলেন, ‘সোমবার বিকেলে গোপনে তথ্য পেয়ে পোনাবালিয়া খেয়াঘাটে যাই। সেখান থেকে সরকারি সেতুর লোহার ১১টি রড, ৫টি ছোট বিম, ২০টি অ্যাঙ্গেলসহ একটি ট্রাক জব্দ করে ঝালকাঠি থানায় নিয়ে আসি।’
চেয়ারম্যান আবুল বাসার খানের বিরুদ্ধে সেতুর মালামাল অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নান্না খলিফা।
তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান আবুল বাসার পুরোনো সেতুর লোহার মালামাল বেশ কিছুদিন আগে নিজ বাড়িতে রেখেছিলেন। সোমবার গোপনে ভাঙারিদের কাছে সেসব বিক্রি করে দেন। মালগুলো ট্রাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা আটক করে থানায় জানালে পুলিশ গিয়ে জব্দ করে।’
সেতুর মালামাল কেনা ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. মুনছুর বলেন, ‘পোনাবালিয়ার চেয়ারম্যান আবুল বাসার খান আমাকে ডেকে কিছু মালামাল বিক্রির কথা বলেন। আমি ৬৭ হাজার ৫০০ টাকায় সেতুর লোহার মালামাল কিনেছি।
‘তার গ্রামের বাড়ির পাশের একটি খোলা জায়গায় রাখা মালামাল ট্রাকে তুলে নলছিটি যাচ্ছিলাম। স্থানীয় লোকজন আমার ট্রাক ধরে পুলিশে দিয়েছে। ঘটনার পর চেয়ারম্যান আমার ফোন ধরেন না।’
গ্রাম পুলিশ মিন্টু হাওলাদার বলেন, ‘পুরোনো সেতুর মালামাল চেয়ারম্যানের বাড়িতেই ছিল। সেগুলো কীভাবে বাইরে এলো, জানা নেই।’
দুটি পুরোনো সেতুর মালামাল জব্দ করার এক দিন পেরিয়ে গেলেও মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত কেউ আটক হননি, মামলাও হয়নি।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি খলিলুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের পর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভাঙারি ব্যবসায়ী মুনছুরকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।’
এ বিষয়ে পোনাবালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাসার খান বলেন, ‘আমার কাছে সেতুর মালামাল ছিল না, আমি এগুলো বিক্রিও করিনি। একটি চক্র আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য