× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Financial institutions also need to take half the manpower for vaccination
google_news print-icon

আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও অর্ধেক জনবল, নিতে হবে টিকা

আর্থিক-প্রতিষ্ঠানেও-অর্ধেক-জনবল-নিতে-হবে-টিকা
ব্যাংকের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকেও অর্ধেক জনবল নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ছবি: সংগৃহীত
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ‘অফিসে আসা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুই ডোজ টিকা নিতে হবে। অফিসে অনুপস্থিত কর্মীরা ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ হিসেবে গণ্য হবেন। অন্যরা নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন ও দাপ্তরিক কাজ ভার্চুয়ালি করবেন।’

দেশে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে ব্যাংকের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকেও অর্ধেক জনবল নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সেই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের করোনার টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে সোমবার এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ সার্কুলার পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক কর্মকর্তা বা কর্মচারী নিয়ে আর্থিক সেবা কার্যক্রম চালাতে হবে। তবে আবশ্যকীয় আর্থিক সেবা চালু রাখতে এ বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘অফিসে আসা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুই ডোজ টিকা নিতে হবে। অফিসে অনুপস্থিত কর্মীরা ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ হিসেবে গণ্য হবেন। অন্যরা নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন ও দাপ্তরিক কাজ ভার্চুয়ালি করবেন।’

প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

এর আগে ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে ১৭ মার্চ থেকে ঘোষণা করা সাধারণ ছুটিতে জরুরি সেবা ছাড়া অফিস-আদালত ছিল বন্ধ। একপর্যায়ে অর্ধেক লোকবল দিয়ে অফিস চালানোর আদেশ আসে।

২০২১ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো যখন লকডাউন দেয়া হয়। সে সময়ও একই পদ্ধতিতে চলে অফিস। একই বছরের ১ জুলাই থেকে শাটডাউন হিসেবে পরিচিতি পাওয়া বিধিনিষেধেও একই পদ্ধতিতে চলে অফিস।

গত ৪ অক্টোবর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও অফিস-আদালতে ফেরে স্বাভাবিক অবস্থা।

তবে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রাথমিক লক্ষণ নিশ্চিত হওয়ার চার দিন পর আবার ১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

করোনার তৃতীয় ঢেউ রোধে অর্ধেক জনবল দিয়ে অফিস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রোববার রাতে নির্দেশনা জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়, ‘সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিসগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অর্ধেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে পরিচালনা করতে হবে। অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম ভার্চুয়ালি সম্পন্ন করবেন।’

এ নির্দেশনা সোমবার থেকেই কার্যকর করতে বলা হয় প্রজ্ঞাপনে।

সরকারি-বেসরকারি দপ্তর অর্ধেক জনবল দিয়ে পরিচালনায় ফেরার দিন ব্যাংকগুলোও অর্ধেক জনবলে পরিচালনার সিদ্ধান্তের কথা জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার দুপুরে সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগ।

এতে বলা হয়েছে, ‘আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারি, বেসরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস-আদালতের মতো সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কার্যক্রমও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অর্ধেক কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে পরিচালনা করা হবে।’

এবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও অর্ধেক জনবল নিয়ে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হলো।

আরও পড়ুন:
অফিসে অর্ধেক জনবল কার্যকর হয়নি সচিবালয়েই

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Hasina governments money laundering information will be included in the textbook

হাসিনা সরকারের অর্থপাচারের তথ্য পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হবে

হাসিনা সরকারের অর্থপাচারের তথ্য পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হবে রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: নিউজবাংলা
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ক্ষমতা হারানোর কিছুদিন আগেও শেখ হাসিনা সরকার ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়েছিল। মূলত এস আলমকে টাকা পাচারের সুযোগ করে দিতেই এতো পরিমাণ টাকা ছাপানো হয়েছিল।

শেখ হাসিনার সরকার গত ১৫ বছরে কীভাবে অর্থ পাচার করেছে তা পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, আগামী প্রজন্ম যাতে এ সম্পর্কে জানতে পারে এবং সচেতন থাকতে পারে সেজন্য এসব তথ্য পাঠ্যপুস্তকে রাখা হবে।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রোববার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রেস সচিব।

শফিকুল আলম বলেন, আর্থিক খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি তিন মাসের অনুসন্ধান প্রতিবেদন আজ সকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনটি শিগগির জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হবে।

তিনি বলেন, ক্ষমতা হারানোর কিছুদিন আগেও শেখ হাসিনা সরকার ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়েছিল। মূলত এস আলমকে টাকা পাচারের সুযোগ করে দিতেই এতো পরিমাণ টাকা ছাপানো হয়েছিল।

পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, এই মহাচুরির বিচার অবশ্যই হবে। পাশাপাশি পাচার হওয়া টাকা ফেরানোর চেষ্টা করবে সরকার। আমরা সর্বোচ্চভাবে এই চেষ্টা চালিয়ে যাব।

তিনি বলেন, টাকা চুরি করে কোথায় নিয়ে গেছে, সেটা বের করা এবং টাকা দেশে ফেরানোই সরকারের লক্ষ্য। পাচার হওয়া অর্থ বিদেশ থেকে ফেরত আনার জন্য এফবিআইসহ বিভিন্ন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করছে সরকার।

শফিকুল আলম বলেন, শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির পরীক্ষা করা সাতটি প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ছিল এক লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। অতিরিক্ত উপাদান যোগ করে, জমির দাম বেশি দেখিয়ে এবং ক্রয়ের ক্ষেত্রে হেরফের করে প্রকল্পের ব্যয় সংশোধন করে এক লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকা করা হয়। ব্যয়ের সুবিধা বিশ্লেষণ না করেই প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ৭০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।

কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ কে এনামুল হকের রেফারেন্স দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, গত ১৫ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) সাত লাখ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে এবং এর ৪০ শতাংশ অর্থ আমলারা লুটপাট করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।

আরও পড়ুন:
হাসিনার আমলে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে
পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা
সাবেক ভূমিমন্ত্রীর অর্থ পাচারের অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Decision on appeal against verdict in grenade attack case Attorney General
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল

গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দেখে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত

গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দেখে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে রোববার গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া রায়ের কারণ দেখে ও নির্দেশনা নিয়ে তারপর আপিলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আপিল করা উচিত বলে মনে করি।’

গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া রায়ের কারণ দেখে ও নির্দেশনা নিয়ে তারপর আপিলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আপিল করা উচিত বলে মনে করি।’

রোববার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল এমন মন্তব্য করেন।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে বিচারিক আদালতের বিচার অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রোববার রায় দেয় হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ডেথ রেফারেন্স নাকচ করে ও আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেয়া হয়। ফলে এ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ দণ্ডিত সব আসামি খালাস পেয়েছেন।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ রায় দেয়। হাইকোর্টের একই বেঞ্চ গত ২১ নভেম্বর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি গ্রহণ শেষ করে। সেদিন আদালত মামলা দুটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখে। রোববার তা ঘোষণা করা হয়।

রায়ের পর আসামি পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ে বিচারিক আদালতের বিচার অবৈধ বলা হয়েছে। শোনা সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে রায় দেয়া হয়েছিল। কেউ স্বচক্ষে দেখেছেন- এ মর্মে কোনো প্রমাণ নেই।’

তিনি বলেন, ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয়েছে নির্যাতনের মাধ্যমে। মুফতি হান্নান দুটি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। চারশ’ বছরের ইতিহাসে ভারতীয় উপমহাদেশে দ্বিতীয় জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে কাউকে সাজা দেয়ার নজির নেই।’

আরও পড়ুন:
সিলেটে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুই মামলা খারিজ
দ্বিতীয় স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সাজা দেয়া নজিরবিহীন
গ্রেনেড হামলা মামলা: তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jamaat is determined to fulfill the dreams of martyrs of July coup Shafiqur

জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্বপ্ন পূরণে জামায়াত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: শফিকুর

জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্বপ্ন পূরণে জামায়াত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: শফিকুর
জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, ‘শত শত ছাত্রের রক্তের বিনিময়ে স্বৈরশাসককে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। বাংলার মাটিতে স্বৈরাচারীরা যাতে আর ফিরে আসতে না পারে, সেজন্য যে কোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাই।’

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের শহীদদের জাতীয় বীর আখ্যায়িত করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শহীদদের স্বপ্ন পূরণে জামায়াত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

খুলনা নগরীর ইস্টার্ন জুট মিল শ্রমিক মাঠে জামায়াতের খানজাহান আলী থানা ইউনিটের কর্মী সম্মেলনে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহীদরা বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। আমরা তাদের স্বপ্ন পূরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তারা জুলাই-আগস্টে দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংগঠিত করেছে এবং স্বৈরাচারের অভিশাপ থেকে জাতিকে মুক্ত করেছে।’

জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমরা বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই- যেখানে জাতি, দল, ধর্ম নির্বিশেষে মানুষের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। এদেশের নাগরিক হিসেবে সব মানুষ মর্যাদার সঙ্গে তাদের ন্যায্য অধিকার ভোগ করবে।’

তিনি বলেন, ‘শত শত ছাত্রের রক্তের বিনিময়ে স্বৈরশাসককে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। বাংলার মাটিতে স্বৈরাচারীরা যাতে আর ফিরে আসতে না পারে, সেজন্য যে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে ডা. শফিকুর বলেন, ‘দেশের মানুষ গত ১৭ বছরের আওয়ামী লীগ শাসনামলে সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ‘লগি-বৈঠা’র মাধ্যমে তাদের হত্যা যাত্রা শুরু করে।

‘ফ্যাসিবাদী এই শাসক বিডিআর বিদ্রোহের সময় ৫৭ জন প্রতিভাবান সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে এবং তাদের অনেককে গুম করে- যা এ বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।’

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘তারা এই অঞ্চলের সব পাটকল ও কৃষি জমি ধ্বংস করেছে। সব বন্ধ পাটকল পুনরায় চালু ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি জানাচ্ছি।’

খানজাহান আলী থানা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি গাজী মোরশেদ মামুনের পরিচালনায় এবং থানা আমির সাঈদ হাসান মাহমুদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

জামায়াতের আমির এর আগে নগরীর আল ফারুক সোসাইটিতে মহিলা জামায়াত খুলনা সিটি ইউনিটের মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

আরও পড়ুন:
বিচারালয় চাইলে শেখ হাসিনাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন
৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন: জামায়াত আমির
৭ নভেম্বরের চেতনা ও ৫ আগস্টের বিপ্লব একসূত্রে গাঁথা: গোলাম পরওয়ার
শহীদদের স্বপ্নের দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে চায় জামায়াত: ডা. শফিকুর
বিপ্লবের চেতনায় জাতীয় ঐক্যের ডাক জামায়াত আমিরের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A little tough time ahead army chief

সামনে একটু কঠিন সময় পার করতে হবে: সেনাপ্রধান

সামনে একটু কঠিন সময় পার করতে হবে: সেনাপ্রধান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান রোববার ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে খেতাবপ্রাপ্ত ও মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্য এবং তাদের নিকটাত্মীয়দের শুভেচ্ছা উপহার দেন। ছবি: আইএসপিআর
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দিন-রাত কাজ করছে। সামনে আরও কঠিন সময় আছে। সবাই মিলে কাজ করলে দেশকে এই ক্রান্তিলগ্ন থেকে উদ্ধার করা সম্ভব।’

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দিন-রাত কাজ করছে। সামনে আরও কঠিন সময় আছে। সবাই মিলে কাজ করলে দেশকে এই ক্রান্তিলগ্ন থেকে উদ্ধার করা সম্ভব।

রোববার ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের সংবর্ধনা এবং সেনাবাহিনীর শান্তিকালীন পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের কাছে দোয়া চেয়ে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘সামনে আরও সময় আছে। একটু কঠিন সময় পার করতে হবে আমাদের। আমরা যেন দেশ ও জাতিকে একটা ভালো জায়গায়, একটা নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যেতে পারি সেজন্য দোয়া করবেন।’

স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেনাবাহিনী গঠনে অবদান রাখায় মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সেনাবাহিনী প্রধান।

তিনি বলেন, ‘আপনাদের অবদানের ফলশ্রুতিতেই আজকের এই সেনাবাহিনী দাঁড়িয়ে আছে। সেনাবাহিনী দেশের ক্রান্তিকালে অনেক ভালো কাজ করে যাচ্ছে। দেশ এবং জাতি এই সেনাবাহিনীর কাছে কৃতজ্ঞ। দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সেনাসদস্যরা দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তাছাড়াও দেশ ও জাতি গঠনের বিভিন্ন কাজে আমরা নিয়োজিত আছি।’

সেনাপ্রধান বলেন, ‘বিশ্বশান্তি রক্ষায় আমরা ইউএন মিশনে কাজ করে যাচ্ছি। ডিজাস্টার ও রিলিফে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা পারদর্শিতা অর্জন করেছি। এটা সম্ভব হয়েছে আপনাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে। আপনারা যেভাবে আমাদের প্রশিক্ষিত করেছেন, যেভাবে মোটিভেটেড করেছেন, যেভাবে আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, তার ফলশ্রুতিতে সেনাবাহিনী আজ বর্তমান জায়গায় আছে। এর কৃতিত্ব, অবদান আপনাদের।’

শান্তিকালীন পদক বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে যদি কাজ করি ইনশাআল্লাহ দেশকে এই ক্রান্তিলগ্ন থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হবো। একটা শান্ত, সুশৃঙ্খল ভবিষ্যতের দিকে যেতে সক্ষম হবো।’

২০২৩-২৪ অর্থবছরে শান্তিকালীন সময়ে বিভিন্ন বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২৮ সেনা সদস্যকে পদক পরিয়ে দেন সেনাপ্রধান। তাদের মধ্যে পাঁচজন সেনাবাহিনী পদক, পাঁচজন অসামান্য সেবা পদক ও ১৮ জন বিশিষ্ট সেবা পদক অর্জন করেন।

অনুষ্ঠানে খেতাবপ্রাপ্ত ও মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্য এবং তাদের নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় ও শুভেচ্ছা উপহার দেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

আরও পড়ুন:
দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে উন্নতির শিখরে নেয়ার প্রত্যয় সেনাপ্রধানের
বিএমএ-র ‘হল অব ফেম’-এ অন্তর্ভুক্ত হলেন সেনাপ্রধান
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ১১ দিনের সফরে সেনাপ্রধান
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Public Administration Commission will recommend dropping the word cadre

সিভিল সার্ভিস থেকে ‘ক্যাডার’ শব্দ বাদের সুপারিশ যাচ্ছে

সিভিল সার্ভিস থেকে ‘ক্যাডার’ শব্দ বাদের সুপারিশ যাচ্ছে
সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘ক্যাডার শব্দটি নেতিবাচক হওয়ায় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এই সুপারিশ করবে। কমিশন অনেকগুলো সংস্কারের প্রস্তাব দেবে। ক্যাডার শব্দটি বাদ দিয়ে যার যে সার্ভিস যেমন- সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সিভিল সার্ভিস হেলথ, সিভিল সার্ভিস অ্যাগ্রিকালচার- এ রকম। এটা আমাদের বড় সংস্কার।’

সিভিল সার্ভিস থেকে ‘ক্যাডার’ শব্দটি বাদ দেয়ার সুপারিশ করবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।

রোববার দুপুরে সচিবালয়ে কমিশনের ১২তম বৈঠক শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘ক্যাডার শব্দটি নেতিবাচক হওয়ায় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এই সুপারিশ করবে। কমিশন অনেকগুলো সংস্কারের প্রস্তাব দেবে। ক্যাডার শব্দটি বাদ দিয়ে যার যে সার্ভিস যেমন- সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সিভিল সার্ভিস হেলথ, সিভিল সার্ভিস অ্যাগ্রিকালচার- এ রকম। এটা আমাদের বড় সংস্কার।’

ডিসি শব্দের বিষয়ে মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসক ব্রিটিশদের সৃষ্টি। এই শব্দের বাইরে আরও অনেক শব্দ আছে যেমন- কালেক্টর, ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট। এসব বিষয়ে সাধারণ মানুষ জানতে চায়। আমরা এসব নিয়ে সুপারিশ দেব। তবে সরকার সেটাই নেবে যেটা দেশের জনগণ চায়।’

জেলা প্রশাসক নাম পরিবর্তন হবে কি না- জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘অনেকে বলেছেন জনপ্রশাসন না বলে জনসেবা বলা যায় কি না। জেলা প্রশাসক নামের বিকল্প বিষয়ে সাজেশন দেব, সরকার যেটা নেয়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ট্যুর করতে গিয়ে যে জিনিসটা দেখলাম, মানুষ মনের কথা বলতে চেয়েছে। কয়েকটি অফিস সম্পর্কে মানুষের একেবারেই নেগেটিভ ধারণা। এগুলো আপনারা জানেন, আমি জানি, উল্লেখ করতে চাই না। তারপরও দু-একটার কথা বলতে হয়।

‘এসিল্যান্ড অফিস সম্পর্কে বাজে ধারণা, রেজিস্ট্রি অফিস সম্পর্কে খুবই বাজে ধারণা। রেজিস্ট্রি অফিসের দুর্নীতি এমন লেভেলে যে কোনো অভিযোগ নেই। শেয়ারিংটা খুবই সায়েন্টিফিক। কারও কোনো অভিযোগ নেই- দিচ্ছে এবং নিচ্ছে। বরং বলে আগের স্যারের চেয়ে আপনি কম নিচ্ছেন।’

প্রেস ক্লাবের আয়োজনে সাংবাদিকদের এবং এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় হবে বলেও জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব।

তিনি বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চায়। আর সেই পরিবর্তনের জন্যই এই পরিবর্তিত সরকার এসেছে। আমরা সেটা নিয়ে কাজ করছি।’

ইতিমধ্যে এক লাখ মানুষ অনলাইনে কমিশনের প্রশ্নের জবাব দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
সাবেক তিন সিইসিকে তলব করবে নির্বাচন সংস্কার কমিশন
নির্বাচনে কেউ যাতে হস্তক্ষেপ করতে না পারে তার বিধান চায় ইসি
পুলিশ ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক পরিচয় না দেখার সুপারিশ করবে কমিশন
স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের নেতৃত্বে তোফায়েল আহমেদ
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two cases against Tariq Rahman dismissed in Sylhet

সিলেটে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুই মামলা খারিজ

সিলেটে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুই মামলা খারিজ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফাইল ছবি
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা জজ আদালতের আইনজীবী এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে হাসিনা সরকারের আমলে মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছিল। আজ আদালত দুটি মামলাই খারিজ করে দিয়েছে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে সিলেটে দায়ের করা দুটি মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

রোববার দুপুরে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছগির আহমেদ মামলা দুটি খারিজ করে তারেক রহমানকে খালাসের রায় দেন।

এর আগে ২০১৪ সালে বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সিলেটে মামলা দুটি দায়ের করেন ছাত্রলীগের দুই নেতা।

মামলা খারিজের তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা জজ আদালতের আইনজীবী এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে হাসিনা সরকারের আমলে মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছিল। আজ আদালত দুটি মামলাই খারিজ করে দেন।’

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে এই দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এর একটি করেছিলেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান আহমদ চৌধুরী এবং অপরটি করেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সে সময়ের সভাপতি শামীম মোল্লা।

আদালতের তৎকালীন বিচারক আনোয়ারুল হক মামলা দুটি গ্রহণ করে সরকারের অনুমোদনক্রমে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে সিলেটের শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

মামলা দুটিতে অভিযোগ করা হয়- ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য বিএনপির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি তারেক রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে বিরোধিতা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কট‍ূক্তি করেন।

আরও পড়ুন:
দ্বিতীয় স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সাজা দেয়া নজিরবিহীন
গ্রেনেড হামলা মামলা: তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The proof is that all the cases against Tariq Rahman were conspiratorial Fakhrul

প্রমাণ হলো তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলাই ছিল ষড়যন্ত্রমূলক: ফখরুল

প্রমাণ হলো তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলাই ছিল ষড়যন্ত্রমূলক: ফখরুল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। ফাইল ছবি
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারেক রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত মামলার অভিযোগ আইনগতভাবে মোকাবিলা করে উচ্চ আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। ঐতিহাসিক এই রায়ের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণ হলো যে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানকে অভিযুক্ত করেছিল।’

গ্রেনেড হামলা মামলা থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামি হাইকোর্ট থেকে খালাস পাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, এর মাধ্যমে প্রমাণ হলো যে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা সব মামলাই ছিল রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক।

দেশের উচ্চ আদালতে রোববার রায় ঘোষণার পর লন্ডন থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করায় মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানের পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘এই রায়ে প্রমাণ হলো আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এই মামলাতে তারেক রহমানকে অভিযুক্ত করেছিলো।

‘তারেক রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত মামলার অভিযোগ আইনগতভাবে মোকাবিলা করে উচ্চ আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। ঐতিহাসিক এই রায়ের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণ হলো যে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আনীত সব মামলাই ছিল রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক।’

আরও পড়ুন:
তারেকের সঙ্গে দেখা করতে যুক্তরাজ্যের পথে ফখরুল 
সীমান্তের ওপার থেকে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র হচ্ছে: ফখরুল
ফ্যাসিবাদী শক্তি ফেরার রাস্তা করে দেবেন না: ফখরুল
আসল চেহারা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে: মির্জা ফখরুল
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ধ্বংসের অপচেষ্টা চলছে: ফখরুল

মন্তব্য

p
উপরে