× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Allegation of taking money against the primary education officer
google_news print-icon

যেখানেই যান, সেখানেই ‘ঘুষ-অনিয়মে’ সালাম

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা
রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম। ছবি: নিউজবাংলা
বরকল দোছরীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রিমেশ চাকমা বলেন, ‘বকেয়া বিলের বিষয়ে আব্দুস সালামের সঙ্গে কথা বললে তিনি প্রতিটি শিক্ষকের কাছ থেকে বেতনের ১০ শতাংশ করে টাকা লাগতে পারে বলেন... ব্যক্তিগতভাবে আমিও জানি যে, এসব বিষয়ে কাজ করতে গেলে কিছু টাকা লাগেই। তবে শিক্ষা কর্মকর্তা যে এখন একতরফাভাবে আমাদের ওপর দায় চাপাচ্ছেন সেটি সঠিক নয়।’

গাইবান্ধা সদর ও পাবনার বেড়া উপজেলায় দায়িত্ব পালনের সময় অনিয়ম ও দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ ছিল প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে। অভিযোগ মাথায় নিয়েই তাকে বদলি করা হয় রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলায়। এখানেও উঠেছে একই ধরনের অভিযোগ।

পাবনায় ঘুষসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠার পর সালামের বিরুদ্ধে তদন্তের উদ্যোগ নেয়া হয়। তিনি বদলি হয়ে যাওয়ার পর থেমে যায় সে উদ্যোগ।

গাইবান্ধায় একাধিক শিক্ষক লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর সেখান থেকে বদলি করা হয় তাকে। সেখানকার প্রশাসনও এ বিষয়ে আর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

বরকলের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভিযোগ, গ্রেড উন্নীত করতে উপজেলার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষককে তাদের বেতনের ১০ শতাংশ করে চাঁদা দিতে হয়েছে। চাঁদা নেয়ার সঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কয়েকজন নেতাও জড়িত।

সালামের বিরুদ্ধে বরকলে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ নিয়ে জানলেও গাইবান্ধা ও পাবনায় অতীত রেকর্ডের বিষয়ে কিছু জানা নেই বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটির জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন।

রাঙামাটির বরকলের শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে সালাম দায়িত্ব নেন ২০২১ সালে।

সে বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডের পরিবর্তে ১৩তম গ্রেডের বেতন-বোনাসসহ সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে ঘোষণা দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

বরকলের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভিযোগ, গ্রেড উন্নীত করতে উপজেলার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষককে তাদের বেতনের ১০ শতাংশ করে চাঁদা দিতে হয়েছে। চাঁদা নেয়ার সঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কয়েকজন নেতাও জড়িত।

মাইছছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মেলিনা চাকমা নিউজবাংলাকে জানান, শুধু গ্রেডে উন্নীত করা নয়, অফিশিয়াল যে কোনো কাজেই তাদের টাকা দিতে হয়।

তবে শিক্ষা কর্মকর্তা সালাম উল্টো দোষ চাপিয়েছেন সহকারী শিক্ষক সমিতির নেতাদের ওপর। তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার সঙ্গে সমিতির নেতারা জড়িত। বিলের কাজের জন্য মাসে দুই-তিনবার তাদের ঢাকায় যেতে হয়। সে কারণে টাকা নিয়েছেন। তবে অফিশিয়ালি টাকা নেয়ার কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।

মেলিনা বলেন, ‘১৩তম গ্রেডের বকেয়া বিলের কাজ করতে শিক্ষক সমিতির একজনকে ৬০০ টাকা দিয়েছি।’

এই স্কুলের আরেক শিক্ষক জলসা চাকমা জানান, টাকা না দিলে তার কাগজপত্র খালি যাবে এবং বেতনের কোনো কাজ হবে না বলে হুমকি দেন বরুনাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সদস্য পূণ্যবান চাকমা।

এ বিষয়ে পূণ্যবান বলেন, ‘বকেয়া বিলের কাজ করতে সহকারী শিক্ষকদের ন্যূনতম একটা ফি দিতে বলা হয়েছিল। পরে শিক্ষকরা অভিযোগ করায় টাকা দিতে হবে না বলে জানানো হয়েছে।’

টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে কি না সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে অভিযোগকারী শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলব।’

তবে শিক্ষা কর্মকর্তা সালাম উল্টো দোষ চাপিয়েছেন সহকারী শিক্ষক সমিতির নেতাদের ওপর।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার সঙ্গে সমিতির নেতারা জড়িত। বিলের কাজের জন্য মাসে দুই-তিনবার তাদের ঢাকায় যেতে হয়। সে কারণে টাকা নিয়েছেন। তবে অফিশিয়ালি টাকা নেয়ার কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।

‘এর আগেও কয়েকজন সমিতির নেতাদের বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগ করেছিলেন। তখন তাদের বলেছিলাম লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়ার জন্য।’

বরকল দোছরীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিমেশ চাকমার দাবি, ‘বকেয়া বিলের বিষয়ে আব্দুস সালামের সঙ্গে কথা বললে তিনি প্রতিটি শিক্ষকের কাছ থেকে বেতনের ১০ শতাংশ করে টাকা লাগতে পারে বলেন। তবে আমরা বিষয়টার বিরোধিতা করেছিলাম। পরে ন্যূনতম একটা খরচ শিক্ষকদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে।

‘ব্যক্তিগতভাবে আমিও জানি যে, এসব বিষয়ে কাজ করতে গেলে কিছু টাকা লাগেই। তবে শিক্ষা কর্মকর্তা যে এখন একতরফাভাবে আমাদের ওপর দায় চাপাচ্ছেন সেটি সঠিক নয়।’

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিরণ কুমার অধিকারী টাকা নেয়ার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘টাকা নেয়ার বিষয়ে কথা উঠেছিল কিন্তু পরে নেয়া হয়নি।’

তবে এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কোন জায়গায় টাকা নিচ্ছে না বলেন তো? দেশে এত অনিয়ম হচ্ছে সেগুলা দেখতে পাচ্ছেন না। আপনি আমাদের নিয়ে পড়ে আছেন কেন?’

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘বরকল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দপ্তরি নিয়োগে টাকা নেয়া, ঠিকভাবে কাজ না করা ও অফিসের অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত চলছে। শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তে এসেছিলেন। তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবেন।

‘যদি অভিযোগের সত্যতা মেলে তাহলে জেলা প্রশাসক সিদ্ধান্ত নেবেন বিভাগীয় মামলা হবে কি না। শিক্ষকদের বকেয়া বেতনের জন্য টাকা নেয়ার বিষয়ে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে মৌখিকভাবে শুনেছি। বিষয়টি আমাদের নলেজে আছে।’

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিরণ কুমার টাকা নেয়ার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘টাকা নেয়ার বিষয়ে কথা উঠেছিল কিন্তু পরে নেয়া হয়নি।’ তবে এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কোন জায়গায় টাকা নিচ্ছে না বলেন তো? দেশে এত অনিয়ম হচ্ছে সেগুলা দেখতে পাচ্ছেন না। আপনি আমাদের নিয়ে পড়ে আছেন কেন?

রাঙ্গামাটি আসার আগে সালাম ছিলেন পাবনার বেড়ার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। বেড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবুর আলী জানান, সেখানকার স্কুলগুলোর প্রধান শিক্ষকরা সালামের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি করার অভিযোগ করেছেন। তবে সে সময় তার বদলির সময় হয়ে যাওয়ায় এর তদন্ত এগোয়নি।

গাইবান্ধা সদরের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা থাকার সময়ও সালাম বেশ কিছু অভিযোগ ছিল বলে জানান জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি জহুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘কিছু টিচারের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। কিছু অনিয়ম-দুনীতিও ছিল তার বিরুদ্ধে। একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণও করেছিলেন তিনি।

‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ মন্ত্রণালয়সহ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্তে সত্যতাও পায়। পরে তাকে এখান থেকে রংপুর বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সংযুক্ত করা হয়। বিশেষ করে তিনি শিক্ষক বদলি বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন। এ ছাড়া কয়েকটি দপ্তরে তার বিরুদ্ধে একাধিক শিক্ষক অনিয়মের লিখিত অভিযোগও করেন।’

প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন পাবনার ইমরোজ খন্দকার বাপ্পি ও গাইবান্ধার পিয়ারুল ইসলাম।

আরও পড়ুন:
দুই ভাইয়ের দখলে বরিশালের পরিবহন খাত
ডিসিরাই জানেন দুর্নীতি কোথায় হয়: দুদক চেয়ারম্যান
ধানমন্ডিতে নৌকার কোট পিন নিয়ে চাঁদাবাজি
চাঁদাবাজি: ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে চার্জশিট

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The head teacher and wife died in lightning

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল প্রধান শিক্ষক ও স্ত্রীর

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল প্রধান শিক্ষক ও স্ত্রীর মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া (৫৫) কাপাসিয়ার কির্তুনীয়া ইছব আলী ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ছবি: নিউজবাংলা
কাপাসিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল হালিম বলেন, ‌‘স্বামী-স্ত্রীর লাশ থানায় নিয়ে এসেছেন স্বজনরা। স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় বৈদ্যুতিক মোটর চালু করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক স্কুলশিক্ষক ও তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের সেলদিয়া গ্রামে শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় কাপাসিয়া থানা পুলিশ।

প্রাণ হারানো দুজন হলেন কাপাসিয়ার কির্তুনীয়া ইছব আলী ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া (৫৫)। তাকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রী ফেরদৌসি আক্তারেরও (৪০) মৃত্যু হয়।

স্বজনদের বরাতে পুলিশ জানায়, গতকাল বিকেলে শহীদুল্লাহ বাড়ির পাশে ছোট একটি পুকুর থেকে মাছ ধরতে পানি সেচের জন্য বৈদ্যুতিক মোটর স্থাপন করেন। মোটরটি চালু করতে গিয়ে শহীদুল্লাহ প্রথমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা স্ত্রী ফেরদৌসি এগিয়ে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হন। পরে গুরুতর অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়। বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তারা মিয়া নামে অপর একজন প্রতিবেশী আহত হন।

শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া স্থানীয় কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘদিন তিনি রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। তিনি তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

কাপাসিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল হালিম বলেন, ‌‘স্বামী-স্ত্রীর লাশ থানায় নিয়ে এসেছেন স্বজনরা। স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
টেকনাফে স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ
কাপাসিয়ায় নদে নিখোঁজ শিশু-কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
কাপাসিয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা, দুজন গ্রেপ্তার   
টিলার মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি, সাবেক মেম্বারকে জরিমানা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The cylinder exploded while making a cake on the occasion of Shabe

শবে বরাত উপলক্ষে পিঠা তৈরির সময় সিলিন্ডার বিস্ফােরণে দগ্ধ ১১

শবে বরাত উপলক্ষে পিঠা তৈরির সময় সিলিন্ডার বিস্ফােরণে দগ্ধ ১১ জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। ছবি: নিউজবাংলা
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, আশুলিয়া থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ১১ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুজনকে অবজারভেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের শ্বাসনালি দগ্ধ হয়েছে।

ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানাধীন নরসিংহপুর এলাকার একটি বাসায় শুক্রবার রাতে রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়েছে।

দগ্ধদের রাত পৌনে একটার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। তাদের মধ্যে ৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। বাকি দুজনকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।

দগ্ধদের মধ্যে চার বছর বয়সী মমিনের দেহের ২০ শতাংশ, ৯ বছরের মাহাদীর ১০ শতাংশ, ১৫ বছরের শামীমের ১৪ শতাংশ, চার বছরের সোয়াইদের ২৭ শতাংশ, তিন মাস বয়সী সুমাইয়ার ৯ শতাংশ, ৫০ বছরের সূর্য বানুর ৭ শতাংশ, ৩২ বছরের শিউলি আক্তারের ৯৫ শতাংশ, ৩৫ বছরের মোছাম্মৎ শারমিনের ৪২ শতাংশ, ৩৮ বছরের মোহাম্মদ সোহেল রানার ১০ শতাংশ, ৩২ বছরের মোহাম্মদ সুমন মিয়ার ৯৯ শতাংশ এবং ৭০ বছর বয়সী জহুরা বেগমের দেহের পাঁচ শতাংশ পুড়ে যায়।

দগ্ধদের বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা আবু ইসহাক জানান, আশুলিয়ার নরসিংহপুরের গোমাইল এলাকার একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় শবে বরাত উপলক্ষে পিঠা তৈরির সময় হঠাৎ বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়। সেখান থেকে তাদের প্রথমে সাভারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে এলে তাদের ভর্তি রাখা হয়।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, আশুলিয়া থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ১১ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুজনকে অবজারভেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের শ্বাসনালি দগ্ধ হয়েছে।

আরও পড়ুন:
মিরপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে চার
মিরপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আরও একজনের মৃত্যু
মিরপুরে বাসায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সাতজন দগ্ধ
সোনারগাঁয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে সাত শ্রমিক দগ্ধ
কাফরুলে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পাঁচজন দগ্ধ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
After 5 and a half years the Naf river is allowed to fish in the river

সাড়ে ৭ বছর পর নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি

সাড়ে ৭ বছর পর নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি নাফ নদীর তীরে নৌকার সারি। ছবি: এএফপি
টেকনাফ মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ বলেন, ‌‘নাফ নদীতে মাছ ধরার জন্য প্রাথমিকভাবে অনুমতি মিলেছে। এতে জেলেরা খুশি। রাতে মাছ ধরার অনুমতি না পেলে জেলেদের পোষাবে না। কারণ রাতে বেশি মাছ পাওয়া যায়।’

দীর্ঘ সাড়ে সাত বছর পর টেকনাফের নাফ নদীতে জেলেদের মাছ ধরার অনুমতি মিলেছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকার মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার বন্ধের কারণ দেখিয়ে ২০১৮ সালে নাফ নদীতে স্থানীয় জেলেদের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। তখন থেকে প্রান্তিক জেলেরা আর্থিক সংকটের মুখে পড়েন।

এত বছর ধরে অনেক দেন-দরবারেও জেলেরা আর নামতে পারেননি নাফ নদীতে। বৃহস্পতিবার কক্সবাজার জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জেলেদের মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, ‘সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমানার অভ্যন্তরে নাফ নদীতে শাহপরীর দ্বীপ হতে টেকনাফ জেটিঘাট পর্যন্ত মাছ ধরতে পারবেন জেলেরা।

‘জেলেরা মাছ ধরতে যাওয়ার সময় বিজিবির পাঁচটি নির্ধারিত পোস্টে টোকেন বা পরিচয়পত্র দেখাবেন এবং মাছ ধরা শেষে ফেরত আসার পর বিজিবির পোস্টে তল্লাশি করার ব্যাপারে বিজিবি সদস্যকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন। কোনো জেলে চেক পোস্টে না জানিয়ে মাছ ধরতে পারবেন না। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করা যাবে না।’

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘মৎস্য অধিদপ্তরের হালনাগাদকৃত নিবন্ধিত জেলেদের তালিকা বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে প্রদান করা হবে, যাতে কোনোক্রমেই নিবন্ধিত জেলে ব্যতীত কেউ নাফ নদীতে মাছ ধরতে না পারে।

‘এই অনুমোদন সম্পূর্ণ সাময়িক। আগামী তিন মাস পর সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ অনুমতি নবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন জানান, জেলেদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

টেকনাফ মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ বলেন, ‌‘নাফ নদীতে মাছ ধরার জন্য প্রাথমিকভাবে অনুমতি মিলেছে। এতে জেলেরা খুশি।

‘রাতে মাছ ধরার অনুমতি না পেলে জেলেদের পোষাবে না। কারণ রাতে বেশি মাছ পাওয়া যায়।’

আরও পড়ুন:
জামালপুরে পানিতে ডুবে তিন কিশোরের মৃত্যু
মিয়ানমার সীমান্তে শীতবস্ত্র বিতরণ কোস্ট গার্ডের
শেরপুরে ঘুরতে এসে ভোগাই নদীতে ডুবে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু
টেকনাফ স্থলবন্দরে মাছের বোট ভিড়েছে টানা নয়দিন পর
মালয়েশিয়া পাঠানোর প্রস্তুতিকালে টেকনাফে উদ্ধার ৩০

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Father suicide after killing two children in Habiganj Police

হবিগঞ্জে দুই সন্তানকে বিষ পান করিয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা: পুলিশ

হবিগঞ্জে দুই সন্তানকে বিষ পান করিয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা: পুলিশ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানা ভবন। ছবি: ওমর ফারুক
চুনারুঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ নূর আলম জানান, পারিবারিক কলহের জেরে আবদুর রউফ সন্তানদের বিষ পান করানোর পর নিজেও বিষ পানে আত্মহত্যা করেন।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে দুই সন্তানকে বিষ পান করিয়ে হত্যার পর বাবা একই উপায়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

চুনারুঘাটের আতিকপুর গ্রামে শুক্রবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।

ওই তিনজন হলেন চুনারুঘাট উপজেলার আতিকপুর গ্রামের আবদুর রউফ (৩২) এবং তার দুই সন্তান আয়েশা আক্তার (৩) ও খাদিজা আক্তার (৫)।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, আবদুর রউফ বিদেশে যাওয়ার জন্য স্থানীয় এক দালালের কাছে টাকা দিলেও বিষয়টি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। এ নিয়ে সম্প্রতি তার স্ত্রী হাফসার সঙ্গে ঝগড়া হয়। এর জেরে দুই দিন আগে হাফসা দুই শিশু সন্তানকে রেখে এক বছরের অপর শিশুকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান।

পুলিশ আরও জানায়, পারিবারিক বিষয় নিয়ে ক্ষোভ ও অভিমানে আবদুর রউফ শুক্রবার ভোররাতে প্রথমে তার দুই সন্তানকে বিষ পান করিয়ে নিজে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রথমে দুই সন্তান ও পরে আবদুর রউফকে মৃত বলে জানান।

খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূর আলম জানান, পারিবারিক কলহের জেরে আবদুর রউফ সন্তানদের বিষ পান করানোর পর নিজেও বিষ পানে আত্মহত্যা করেন।

আরও পড়ুন:
হবিগঞ্জে আকিজের কারখানায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে নিহত ৪
সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ছবি ছড়ানোর অভিযোগ, বিষপানে আত্মহত্যা
হবিগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
ভিডিও কলে নববধূর, পরে প্রবাসী প্রেমিকের আত্মহত্যা: পুলিশ
লাখাইয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

মন্তব্য

ভোলায় সংঘবদ্ধ পিটুনিতে দুই যুবক নিহত

ভোলায় সংঘবদ্ধ পিটুনিতে দুই যুবক নিহত ভোলার তজুমদ্দিন থানা ভবন। ছবি: নিউজবাংলা
স্থানীয়দের ভাষ্য, ভূঁইয়া বাড়িতে একদল ব্যক্তির গরু চুরি করতে ঢোকেন। বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের সদস্যরা চিৎকার করলে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে চোরদের ধাওয়া করেন। এর একপর্যায়ে জনতার হাতে দুই যুবক ধরা পড়ে, যাদের সংঘবদ্ধভাবে পেটানো হয়।

ভোলার তজুমদ্দিনে স্থানীয়দের সংঘবদ্ধ পিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন।

সোনাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভূঁইয়া বাড়িতে বৃহস্পতিবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।

পিটুনিতে প্রাণ হারানো দুজন হলেন তজুমদ্দিনের বালিয়াকান্দি গ্রামের মো. নয়ন (৩০) ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার খাসমহল এলাকার আমির হোসেন (২৮)। তারা নিয়মিত গরু চুরি করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এ প্রতিবেদন লেখার সময় পিটুনিতে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয়দের ভাষ্য, ভূঁইয়া বাড়িতে একদল ব্যক্তির গরু চুরি করতে ঢোকেন। বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের সদস্যরা চিৎকার করলে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে চোরদের ধাওয়া করেন। এর একপর্যায়ে জনতার হাতে দুই যুবক ধরা পড়ে, যাদের সংঘবদ্ধভাবে পেটানো হয়।

তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন দুজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‌‘ভোরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গণপিটুনির শিকার দুই যুবককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।’

ওসি জানান, ময়নাতদন্তের জন্য দুজনের মরদেহ ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

চ্যালেঞ্জ নেওয়ার ইচ্ছা থেকে ট্রেনচালকের আসনে ফরিদা

চ্যালেঞ্জ নেওয়ার ইচ্ছা থেকে ট্রেনচালকের আসনে ফরিদা নানা প্রতিকূলতার মাঝেও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন ফরিদা আক্তার। কোলাজ: ইউএনবি
ফরিদা আক্তার বলেন, ‘কাজটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে আমি বেছে নিয়েছি। ছোট থেকে ইচ্ছা ছিল চ্যালেঞ্জিং পেশায় যাব। ২০১৪ সালে ট্রেনচালক হিসেবে রেল বিভাগে যুক্ত হই।’

ছোটবেলা থেকে ইচ্ছা ছিল চ্যালেঞ্জিং পেশা বেছে নেওয়ার। সে ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। এক দশকের বেশি সময় ধরে ট্রেনচালক হিসেবে কাজ করছেন ফরিদা আক্তার।

লালমনিরহাট রেল বিভাগে একমাত্র নারী ট্রেনচালক (এলএম) ফরিদা। নানা প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালনে অনড় ৪ সন্তানের এ জননী।

মাত্র ১০ মাসের সন্তানকে বাড়িতে রেখে নিয়মিত ট্রেন চালাচ্ছেন ফরিদা। তার এ সাহসিকতা ও আত্মবিশ্বাসে মুগ্ধ রেল বিভাগ।

স্বামী টুটুল ও চার সন্তান নিয়ে লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনের সরকারি কোয়ার্টারে বসবাস করেন ফরিদা আক্তার। তার বাড়ি দিনাজপুর জেলায়। টুটুল লালমনিরহাটে বেসরকারি চাকরি করেন।

ফরিদা আক্তার বলেন, ‘কাজটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে আমি বেছে নিয়েছি। ছোট থেকে ইচ্ছা ছিল চ্যালেঞ্জিং পেশায় যাব। ২০১৪ সালে ট্রেনচালক হিসেবে রেল বিভাগে যুক্ত হই।’

তিনি বলেন, ‘পরিবার যদি সাপোর্ট না করে, তাহলে আপনি এ পেশায় আসতে পারবেন না। পাশাপাশি একজন পুরুষ ট্রেনচালকেরও সাপোর্ট প্রয়োজন আছে।

‘একজন নারী ট্রেনচালক হিসেবে সমাজে কে কী বলল, সেটা নিয়ে আমি ভাবি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে ও দুই ছেলে। সবচেয়ে ছোট ১০ মাসের মেয়েকে রেখে আমি ট্রেন চালাতে আসি। কাজে বের হলেও তারা কোনোদিন বিরক্ত হয় না।’

লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন ফরিদা আক্তার। চার সন্তানের মা হয়েও তিনি বেছে নেন ট্রেন চালানোর মতো চ্যালেঞ্জিং পেশা।

শুরুর দিকে একটু ভয় পেলেও এখন ট্রেনের স্টেশন থেকে স্টেশনে ছুটে চলার কাজটিকে ভালোবেসে ফেলেছেন ফরিদা। ২০১৪ সালে চাকরিতে যোগ দিয়ে ১০ বছরের বেশি সময় অতিক্রম করে ফেলেছেন এ নারী।

নারী হওয়ায় দায়িত্ব পালনে তাকে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়, কিন্তু সেসব নিয়ে কখনও দমে যাননি ফরিদা।

তিনি জানান, ট্রেনের যান্ত্রিক ত্রুটি হলে নিজেই তা সমাধানের চেষ্টা করেন।

লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় লোকো ইনচার্জ কাজী সুমন বলেন, ‘নারীরা এখন আর ঘরের মধ্যে বন্দি নেই। তারা অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।

‌‘নারী চালকদের কাজে কোনো গাফিলতি নেই। ফরিদার মতো নারীরা দেখিয়ে দিচ্ছেন, কোনো পেশাই নারীদের জন্য অসম্ভব নয়।’

আরও পড়ুন:
লালমনিরহাটে আলু ক্ষেতে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার মরদেহ
সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রশিক্ষণে ভাগ্য বদলেছে দীনেশের
পানি কমেছে তিস্তা ধরলার, এখনও প্লাবিত নিম্নাঞ্চল
লালমনিরহাটে গরু ব্যবসায়ী হত্যায় একজনের যাবজ্জীবন
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Illegal brick kiln in Meherpur is a fine of Tk 4 lakh

মেহেরপুরে অবৈধ ৪ ইটভাটাকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা

মেহেরপুরে অবৈধ ৪ ইটভাটাকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের শুকুরকান্দি গ্রামে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত চারটি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে। ছবি: নিউজবাংলা
অভিযানে দেখা যায়, ভাটাগুলোতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছিল না এবং জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছিল। এর ফলে পরিবেশের ওপর গুরুতর প্রভাব পড়ছিল।

মেহেরপুরে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা এবং পরিবেশ দূষণের ঘটনায় ভ্রাম্যমান আদালত চারটি ইটভাটাকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করেছে।

ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের শুকুরকান্দি গ্রামে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত চারটি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানটি পরিচালনা করেন গাংনী উপজেলা (ভূমি) সহকারী কমিশনার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদ্দাম হোসেন ।

অভিযানে দেখা যায়, ভাটাগুলোতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছিল না এবং জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছিল। এর ফলে পরিবেশের ওপর গুরুতর প্রভাব পড়ছিল।

ইটভাটাগুলোর মধ্যে থ্রি স্টারকে ১ লাখ টাকা, জনতা ব্রিকসকে ১ লাখ, রুপসা ব্রিকসকে ১ লাখ এবং সমতা ব্রিকসকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতায় ইটভাটাগুলোর চুলা পানি দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাঁচা ইটগুলো পানি দিয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়।

ভ্রাম্যমান আদালত জানিয়েছে, অবৈধ ইটভাটা বন্ধে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

আরও পড়ুন:
দুই দিনের রিমান্ডে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন
অবৈধ ইটভাটায় সয়লাব যশোর
মেহেরপুর সীমান্তে ১৮ স্বর্ণের বারসহ ভারতীয় নাগরিক আটক
সড়কের পাশে মাঠে পড়ে ছিল যুবদল নেতার গলা কাটা মরদেহ
ভাইদের হাতে বোন হত‍্যা মামলায় দুজন গ্রেপ্তার

মন্তব্য

p
উপরে