হঠাৎ উল্টো পথে পুঁজিবাজার। নতুন বছরের শুরু থেকে সূচক ও লেনদেনের যে গতি, সেটি যেন চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে ভিন্ন সুর তুলছে। রোববারের পথ ধরে সোমবারও কমেছে সূচক। তবে হাজার কোটি টাকা লেনদেন আস্থার জায়গায় চিড় ধরাতে নারাজ বিশ্লেষকরা।
রোববার পুঁজিবাজারে সূচক কমেছিল ৩২ পয়েন্ট। পরদিন সোমবার কমে আরও বেশি। লেনদেন শুরুর ৮ মিনিটে আগের দিনের তুলনায় ২৮ পয়েন্ট সূচকের বৃদ্ধি দিনটি শুভক্ষণের আভাস দিয়েছিল। কিন্তু ৮ মিনিট পরই শেয়ার বিক্রির চাপ আসতে থাকে পুঁজিবাজার। শেষ পর্যন্ত ৫৩ পয়েন্ট হারিয়ে শেষ হয় লেনদেন।
চলতি বছর এই প্রথম পরপর দুই দিন সূচক কমল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে ভাটার টান দেখা গেলেও একেবারে শেষ সপ্তাহ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। নতুন বছরের প্রথম পাঁচ কর্মদিবস টানা সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনেও আসে গতি। এই অবস্থা চালু থাকে তিন সপ্তাহ। ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে কেবল দুদিন সূচকের পতন দেখে বিনিয়োগকারীরা। আর নতুন বছরের দ্বিতীয় কর্মদিবসে লেনদেন ১ হাজার কোটি টাকার ঘর ছাড়িয়ে যাওয়ার পর সেটি আর কমেনি।
তবে নতুন সপ্তাহের প্রথম দুই দিনে ৮৫ পয়েন্ট সূচকের পতনের পাশাপাশি লেনদেন গতি হারানোয় বিনিয়োগকারীদের মনে আবার সংশোধনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিক্রয়চাপে কেবল ৭১টি কোম্পানি দর বৃদ্ধির তালিকায় নাম তুলতে পেরেছে। বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৭০টি কোম্পানি। অপরিবর্তিত ছির ৩৯টির দর।
সূচকের পাশাপাশি পতন হয়েছে লেনদেনেও। হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ২১১ কোটি টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন ছিল ১ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা। এক দিনের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ২৭১ কোটি টাকা।
প্রধান সব খাতেই ঘটেছে দরপতন। এর মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ৯৬ শতাংশ, প্রকৌশল খাতের ৮৮ শতাংশ, সাধারণ বিমা খাতের ৯৫ শতাংশ আর ব্যাংক খাতের ৬৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমে গেছে।
পুঁজিবাজারের দর পতনের কারণ সম্পর্কে আবু আহমেদ বলেন, ‘প্রতিদিনই ওমিক্রনের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সরকারের পক্ষ থেকেও নতুন নতুন নির্দেশনা আসছে। জনসমাগমের বিষয়েও কড়াকড়ি করা হয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীরাও এ বিষয়ে সচেতন। অনেকেই এখন ঘরে বসে লেনদেন করছে। এর কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘নতুন বছরের শুরুতে লেনদেন হাজার কোটি টাকার ঘরেই হচ্ছে। এটি আশার বিষয়। আর সূচক যে পরিমাণ কমছে তাতে বাজার কারেকশন হচ্ছে, এটি ভালো। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এ মুহূর্তে বাজারে সক্রিয় থাকা জরুরি। তারা সক্রিয় থাকলে কারেকশন হলেও বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।’
যেসব কোম্পানির দর পতনে সূচকের পতন
সোমবার সূচক পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বিবিধ খাতের বেক্সিমকো লিমিটেডের ১৩ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ।
সূচক পতনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বেক্সিমকো ফার্মা, যার শেয়ারদর ২ দশমিক ৯১ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৬ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারদর দশমিক ৭৬ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৫ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট।
এ ছাড়া আইসিবি, রবি, যমুনা অয়েল ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ারদর কমায় সোমবার সূচক কমেছে ১৪ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট। ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ারদর দশমিক ৬৩ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ২ দশমিক ১৪ পয়েন্ট, আর তিতাস গ্যাসের ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ দর কমায় সূচক কমেছে ১ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট।
এদিন ডেল্টা লাইফের শেয়ারদর ৩ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ১ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট। সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানিই সূচক ফেলেছে ৪৫ দশমিক ২৪ পয়েন্ট।
সূচক পতনের দিনে দর বৃদ্ধির মাধ্যমে সূচককে উত্থানের দিকে নেয়ার প্রচেষ্টায় ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বিকন ফার্মা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিলিভার কনজ্যুমার, সোনালী পেপার, কহিনূর কেমিক্যাল, রেকিট বেনকিনজার, রেনাটা, বার্জার পেইন্টস ও হাইডেলবার্গ সিমেন্ট।
এর মধ্যে বিএটিবিসি একাই সূচকে যোগ করেছে ১১ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট। অন্য ৯টি যোগ করেছে ১৮ দশমিক ৯১ পয়েন্ট। সব মিলিয়ে ১০ কোম্পানি যোগ করেছে ৩০ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
দর বৃদ্ধি পাওয়া দুটি কোম্পানিই ছিল নতুন তালিকাভুক্ত। এর মধ্যে লেনদেন শুরুর প্রথম দিন বিডি থাই ফুডের শেয়ার দর বেড়েছে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। দর বৃদ্ধিতে ১০ টাকার শেয়ার পৌছেছে ১১ টাকায়।
দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, যার দর বেড়েছে ৯.৬৫ শতাংশ।
গত ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করেছে। সাত কর্মদিবসে প্রতিদিনই সর্বোচ্চ পরিমাণে বেড়ে ১০ টাকার শেয়ার পৌঁছেছে ১৯ টাকা ৩০ পয়সায়।
আট শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে এপেক্স ফুটওয়্যারের। কোম্পানিটির শেয়ারদরে যোগ হয়েছে ৮.৭৩ শতাংশ। ন্যাশনাল টি কোম্পানির দর বেড়েছে ৭.৪৩ শতাংশ। পঞ্চম অবস্থানে থাকা কোহিনূর ক্যামিক্যালের দর বেড়েছে ৬.৯২ শতাংশ।
আরও দুটি কোম্পানির শেয়ার দর ছয় শতাংশের বেশি বেড়েছে। এর মধ্যে আরামিট সিমেন্টের দর ৬.৫৫ শতাংশ ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের দর ৬.৫৪ শতাংশ বেড়েছে।
পাঁচ শতাংশের বেশি দর বেড়েছে দুটি কোম্পানির। এর মধ্যে সোনারগাঁও টেক্সটাইলের দর ৫.৯১ শতাংশ ও দেশ গার্মেন্টেসের দর বেড়েছে ৫.৮৯ শতাংশ।
ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার দর বেড়েছে ৪.৯২ শতাংশ। ১০৩ টাকা ২০ পয়সার শেয়ার দিন শেষে হয়েছে ১০৮ টাকা ৩০ পয়সা।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
একমি পেস্টিসাইডের শেয়ার দর সোমবার সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর কমেছে ৭.৩২ শতাংশ। এদিন আরও দুটি কোম্পানির শেয়ার দর সাত শতাংশের বেশি কমেছে। এর মধ্যে আছে যমুনা অয়েল, যার শেয়ার দর কমেছে ৭.২১ শতাংশ ও গোল্ডেনসনের দর কমেছে ৭.১০ শতাংশ।
ফু ওয়াং সিরামিকসের দর কমেছে ৬.৪৩ শতাংশ। ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৪৬৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের দর ৬.০৪ শতাংশ, জিবিবি পাওয়ারের দর ৬.০২ শতাংশ, ফু ওয়াং ফুডসের দর কমেছে ৫.৮৫ শতাংশ।
দেশবন্ধু পলিমারের দর কমেছে ৫.৮৩ শতাংশ।
এছাড়া কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৪.৭৭ শতাংশ, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালের দর ৪.৪৯ শতাংশ আর লুবরেফ বাংলাদেশের দর কমেছে ৪.৩৮ শতাংশ।
লেনদেনে সেরা ১০ কোম্পানি
লেনদেনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, যার ১১৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকায় ৯১ লাখ ২৬ হাজার ১২৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডে লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ১২ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৬৩ কোটি ৫৭ লাখ ১৫টি।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা পাওয়ার গ্রিডে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, চতুর্থ অবস্থানে থাকা বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোয় লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
এছাড়া ফুওয়াং ফুডসে ৩২ কোটি ২৫ লাখ টাকা, এপেক্স ফুটওয়্যারে ২৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা, এশিয়ান ইন্স্যুরেন্সে ২১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানিতে ২০ কোটি ৬ লাখ টাকা, ফরচুন সুজে ১৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, লিনডে বিডিতে ১৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, এসিআই লিমিটেডে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য