হঠাৎ উল্টো পথে পুঁজিবাজার। নতুন বছরের শুরু থেকে সূচক ও লেনদেনের যে গতি, সেটি যেন চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে ভিন্ন সুর তুলছে। রোববারের পথ ধরে সোমবারও কমেছে সূচক। তবে হাজার কোটি টাকা লেনদেন আস্থার জায়গায় চিড় ধরাতে নারাজ বিশ্লেষকরা।
রোববার পুঁজিবাজারে সূচক কমেছিল ৩২ পয়েন্ট। পরদিন সোমবার কমে আরও বেশি। লেনদেন শুরুর ৮ মিনিটে আগের দিনের তুলনায় ২৮ পয়েন্ট সূচকের বৃদ্ধি দিনটি শুভক্ষণের আভাস দিয়েছিল। কিন্তু ৮ মিনিট পরই শেয়ার বিক্রির চাপ আসতে থাকে পুঁজিবাজার। শেষ পর্যন্ত ৫৩ পয়েন্ট হারিয়ে শেষ হয় লেনদেন।
চলতি বছর এই প্রথম পরপর দুই দিন সূচক কমল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে ভাটার টান দেখা গেলেও একেবারে শেষ সপ্তাহ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। নতুন বছরের প্রথম পাঁচ কর্মদিবস টানা সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনেও আসে গতি। এই অবস্থা চালু থাকে তিন সপ্তাহ। ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে কেবল দুদিন সূচকের পতন দেখে বিনিয়োগকারীরা। আর নতুন বছরের দ্বিতীয় কর্মদিবসে লেনদেন ১ হাজার কোটি টাকার ঘর ছাড়িয়ে যাওয়ার পর সেটি আর কমেনি।
তবে নতুন সপ্তাহের প্রথম দুই দিনে ৮৫ পয়েন্ট সূচকের পতনের পাশাপাশি লেনদেন গতি হারানোয় বিনিয়োগকারীদের মনে আবার সংশোধনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিক্রয়চাপে কেবল ৭১টি কোম্পানি দর বৃদ্ধির তালিকায় নাম তুলতে পেরেছে। বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৭০টি কোম্পানি। অপরিবর্তিত ছির ৩৯টির দর।
সূচকের পাশাপাশি পতন হয়েছে লেনদেনেও। হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ২১১ কোটি টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন ছিল ১ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা। এক দিনের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ২৭১ কোটি টাকা।
প্রধান সব খাতেই ঘটেছে দরপতন। এর মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ৯৬ শতাংশ, প্রকৌশল খাতের ৮৮ শতাংশ, সাধারণ বিমা খাতের ৯৫ শতাংশ আর ব্যাংক খাতের ৬৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমে গেছে।
পুঁজিবাজারের দর পতনের কারণ সম্পর্কে আবু আহমেদ বলেন, ‘প্রতিদিনই ওমিক্রনের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সরকারের পক্ষ থেকেও নতুন নতুন নির্দেশনা আসছে। জনসমাগমের বিষয়েও কড়াকড়ি করা হয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীরাও এ বিষয়ে সচেতন। অনেকেই এখন ঘরে বসে লেনদেন করছে। এর কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘নতুন বছরের শুরুতে লেনদেন হাজার কোটি টাকার ঘরেই হচ্ছে। এটি আশার বিষয়। আর সূচক যে পরিমাণ কমছে তাতে বাজার কারেকশন হচ্ছে, এটি ভালো। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এ মুহূর্তে বাজারে সক্রিয় থাকা জরুরি। তারা সক্রিয় থাকলে কারেকশন হলেও বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।’
যেসব কোম্পানির দর পতনে সূচকের পতন
সোমবার সূচক পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বিবিধ খাতের বেক্সিমকো লিমিটেডের ১৩ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ।
সূচক পতনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বেক্সিমকো ফার্মা, যার শেয়ারদর ২ দশমিক ৯১ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৬ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারদর দশমিক ৭৬ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৫ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট।
এ ছাড়া আইসিবি, রবি, যমুনা অয়েল ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ারদর কমায় সোমবার সূচক কমেছে ১৪ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট। ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ারদর দশমিক ৬৩ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ২ দশমিক ১৪ পয়েন্ট, আর তিতাস গ্যাসের ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ দর কমায় সূচক কমেছে ১ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট।
এদিন ডেল্টা লাইফের শেয়ারদর ৩ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ১ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট। সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানিই সূচক ফেলেছে ৪৫ দশমিক ২৪ পয়েন্ট।
সূচক পতনের দিনে দর বৃদ্ধির মাধ্যমে সূচককে উত্থানের দিকে নেয়ার প্রচেষ্টায় ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বিকন ফার্মা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিলিভার কনজ্যুমার, সোনালী পেপার, কহিনূর কেমিক্যাল, রেকিট বেনকিনজার, রেনাটা, বার্জার পেইন্টস ও হাইডেলবার্গ সিমেন্ট।
এর মধ্যে বিএটিবিসি একাই সূচকে যোগ করেছে ১১ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট। অন্য ৯টি যোগ করেছে ১৮ দশমিক ৯১ পয়েন্ট। সব মিলিয়ে ১০ কোম্পানি যোগ করেছে ৩০ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
দর বৃদ্ধি পাওয়া দুটি কোম্পানিই ছিল নতুন তালিকাভুক্ত। এর মধ্যে লেনদেন শুরুর প্রথম দিন বিডি থাই ফুডের শেয়ার দর বেড়েছে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। দর বৃদ্ধিতে ১০ টাকার শেয়ার পৌছেছে ১১ টাকায়।
দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, যার দর বেড়েছে ৯.৬৫ শতাংশ।
গত ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করেছে। সাত কর্মদিবসে প্রতিদিনই সর্বোচ্চ পরিমাণে বেড়ে ১০ টাকার শেয়ার পৌঁছেছে ১৯ টাকা ৩০ পয়সায়।
আট শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে এপেক্স ফুটওয়্যারের। কোম্পানিটির শেয়ারদরে যোগ হয়েছে ৮.৭৩ শতাংশ। ন্যাশনাল টি কোম্পানির দর বেড়েছে ৭.৪৩ শতাংশ। পঞ্চম অবস্থানে থাকা কোহিনূর ক্যামিক্যালের দর বেড়েছে ৬.৯২ শতাংশ।
আরও দুটি কোম্পানির শেয়ার দর ছয় শতাংশের বেশি বেড়েছে। এর মধ্যে আরামিট সিমেন্টের দর ৬.৫৫ শতাংশ ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের দর ৬.৫৪ শতাংশ বেড়েছে।
পাঁচ শতাংশের বেশি দর বেড়েছে দুটি কোম্পানির। এর মধ্যে সোনারগাঁও টেক্সটাইলের দর ৫.৯১ শতাংশ ও দেশ গার্মেন্টেসের দর বেড়েছে ৫.৮৯ শতাংশ।
ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার দর বেড়েছে ৪.৯২ শতাংশ। ১০৩ টাকা ২০ পয়সার শেয়ার দিন শেষে হয়েছে ১০৮ টাকা ৩০ পয়সা।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
একমি পেস্টিসাইডের শেয়ার দর সোমবার সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর কমেছে ৭.৩২ শতাংশ। এদিন আরও দুটি কোম্পানির শেয়ার দর সাত শতাংশের বেশি কমেছে। এর মধ্যে আছে যমুনা অয়েল, যার শেয়ার দর কমেছে ৭.২১ শতাংশ ও গোল্ডেনসনের দর কমেছে ৭.১০ শতাংশ।
ফু ওয়াং সিরামিকসের দর কমেছে ৬.৪৩ শতাংশ। ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৪৬৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের দর ৬.০৪ শতাংশ, জিবিবি পাওয়ারের দর ৬.০২ শতাংশ, ফু ওয়াং ফুডসের দর কমেছে ৫.৮৫ শতাংশ।
দেশবন্ধু পলিমারের দর কমেছে ৫.৮৩ শতাংশ।
এছাড়া কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৪.৭৭ শতাংশ, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালের দর ৪.৪৯ শতাংশ আর লুবরেফ বাংলাদেশের দর কমেছে ৪.৩৮ শতাংশ।
লেনদেনে সেরা ১০ কোম্পানি
লেনদেনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, যার ১১৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকায় ৯১ লাখ ২৬ হাজার ১২৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডে লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ১২ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৬৩ কোটি ৫৭ লাখ ১৫টি।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা পাওয়ার গ্রিডে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, চতুর্থ অবস্থানে থাকা বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোয় লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
এছাড়া ফুওয়াং ফুডসে ৩২ কোটি ২৫ লাখ টাকা, এপেক্স ফুটওয়্যারে ২৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা, এশিয়ান ইন্স্যুরেন্সে ২১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানিতে ২০ কোটি ৬ লাখ টাকা, ফরচুন সুজে ১৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, লিনডে বিডিতে ১৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, এসিআই লিমিটেডে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য