হঠাৎ উল্টো পথে পুঁজিবাজার। নতুন বছরের শুরু থেকে সূচক ও লেনদেনের যে গতি, সেটি যেন চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে ভিন্ন সুর তুলছে। রোববারের পথ ধরে সোমবারও কমেছে সূচক। তবে হাজার কোটি টাকা লেনদেন আস্থার জায়গায় চিড় ধরাতে নারাজ বিশ্লেষকরা।
রোববার পুঁজিবাজারে সূচক কমেছিল ৩২ পয়েন্ট। পরদিন সোমবার কমে আরও বেশি। লেনদেন শুরুর ৮ মিনিটে আগের দিনের তুলনায় ২৮ পয়েন্ট সূচকের বৃদ্ধি দিনটি শুভক্ষণের আভাস দিয়েছিল। কিন্তু ৮ মিনিট পরই শেয়ার বিক্রির চাপ আসতে থাকে পুঁজিবাজার। শেষ পর্যন্ত ৫৩ পয়েন্ট হারিয়ে শেষ হয় লেনদেন।
চলতি বছর এই প্রথম পরপর দুই দিন সূচক কমল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে ভাটার টান দেখা গেলেও একেবারে শেষ সপ্তাহ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। নতুন বছরের প্রথম পাঁচ কর্মদিবস টানা সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনেও আসে গতি। এই অবস্থা চালু থাকে তিন সপ্তাহ। ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে কেবল দুদিন সূচকের পতন দেখে বিনিয়োগকারীরা। আর নতুন বছরের দ্বিতীয় কর্মদিবসে লেনদেন ১ হাজার কোটি টাকার ঘর ছাড়িয়ে যাওয়ার পর সেটি আর কমেনি।
তবে নতুন সপ্তাহের প্রথম দুই দিনে ৮৫ পয়েন্ট সূচকের পতনের পাশাপাশি লেনদেন গতি হারানোয় বিনিয়োগকারীদের মনে আবার সংশোধনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিক্রয়চাপে কেবল ৭১টি কোম্পানি দর বৃদ্ধির তালিকায় নাম তুলতে পেরেছে। বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৭০টি কোম্পানি। অপরিবর্তিত ছির ৩৯টির দর।
সূচকের পাশাপাশি পতন হয়েছে লেনদেনেও। হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ২১১ কোটি টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন ছিল ১ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা। এক দিনের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ২৭১ কোটি টাকা।
প্রধান সব খাতেই ঘটেছে দরপতন। এর মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ৯৬ শতাংশ, প্রকৌশল খাতের ৮৮ শতাংশ, সাধারণ বিমা খাতের ৯৫ শতাংশ আর ব্যাংক খাতের ৬৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমে গেছে।
পুঁজিবাজারের দর পতনের কারণ সম্পর্কে আবু আহমেদ বলেন, ‘প্রতিদিনই ওমিক্রনের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সরকারের পক্ষ থেকেও নতুন নতুন নির্দেশনা আসছে। জনসমাগমের বিষয়েও কড়াকড়ি করা হয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীরাও এ বিষয়ে সচেতন। অনেকেই এখন ঘরে বসে লেনদেন করছে। এর কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘নতুন বছরের শুরুতে লেনদেন হাজার কোটি টাকার ঘরেই হচ্ছে। এটি আশার বিষয়। আর সূচক যে পরিমাণ কমছে তাতে বাজার কারেকশন হচ্ছে, এটি ভালো। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এ মুহূর্তে বাজারে সক্রিয় থাকা জরুরি। তারা সক্রিয় থাকলে কারেকশন হলেও বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।’
যেসব কোম্পানির দর পতনে সূচকের পতন
সোমবার সূচক পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বিবিধ খাতের বেক্সিমকো লিমিটেডের ১৩ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ।
সূচক পতনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বেক্সিমকো ফার্মা, যার শেয়ারদর ২ দশমিক ৯১ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৬ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারদর দশমিক ৭৬ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৫ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট।
এ ছাড়া আইসিবি, রবি, যমুনা অয়েল ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ারদর কমায় সোমবার সূচক কমেছে ১৪ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট। ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ারদর দশমিক ৬৩ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ২ দশমিক ১৪ পয়েন্ট, আর তিতাস গ্যাসের ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ দর কমায় সূচক কমেছে ১ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট।
এদিন ডেল্টা লাইফের শেয়ারদর ৩ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ১ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট। সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানিই সূচক ফেলেছে ৪৫ দশমিক ২৪ পয়েন্ট।
সূচক পতনের দিনে দর বৃদ্ধির মাধ্যমে সূচককে উত্থানের দিকে নেয়ার প্রচেষ্টায় ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বিকন ফার্মা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিলিভার কনজ্যুমার, সোনালী পেপার, কহিনূর কেমিক্যাল, রেকিট বেনকিনজার, রেনাটা, বার্জার পেইন্টস ও হাইডেলবার্গ সিমেন্ট।
এর মধ্যে বিএটিবিসি একাই সূচকে যোগ করেছে ১১ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট। অন্য ৯টি যোগ করেছে ১৮ দশমিক ৯১ পয়েন্ট। সব মিলিয়ে ১০ কোম্পানি যোগ করেছে ৩০ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
দর বৃদ্ধি পাওয়া দুটি কোম্পানিই ছিল নতুন তালিকাভুক্ত। এর মধ্যে লেনদেন শুরুর প্রথম দিন বিডি থাই ফুডের শেয়ার দর বেড়েছে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। দর বৃদ্ধিতে ১০ টাকার শেয়ার পৌছেছে ১১ টাকায়।
দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, যার দর বেড়েছে ৯.৬৫ শতাংশ।
গত ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করেছে। সাত কর্মদিবসে প্রতিদিনই সর্বোচ্চ পরিমাণে বেড়ে ১০ টাকার শেয়ার পৌঁছেছে ১৯ টাকা ৩০ পয়সায়।
আট শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে এপেক্স ফুটওয়্যারের। কোম্পানিটির শেয়ারদরে যোগ হয়েছে ৮.৭৩ শতাংশ। ন্যাশনাল টি কোম্পানির দর বেড়েছে ৭.৪৩ শতাংশ। পঞ্চম অবস্থানে থাকা কোহিনূর ক্যামিক্যালের দর বেড়েছে ৬.৯২ শতাংশ।
আরও দুটি কোম্পানির শেয়ার দর ছয় শতাংশের বেশি বেড়েছে। এর মধ্যে আরামিট সিমেন্টের দর ৬.৫৫ শতাংশ ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের দর ৬.৫৪ শতাংশ বেড়েছে।
পাঁচ শতাংশের বেশি দর বেড়েছে দুটি কোম্পানির। এর মধ্যে সোনারগাঁও টেক্সটাইলের দর ৫.৯১ শতাংশ ও দেশ গার্মেন্টেসের দর বেড়েছে ৫.৮৯ শতাংশ।
ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার দর বেড়েছে ৪.৯২ শতাংশ। ১০৩ টাকা ২০ পয়সার শেয়ার দিন শেষে হয়েছে ১০৮ টাকা ৩০ পয়সা।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
একমি পেস্টিসাইডের শেয়ার দর সোমবার সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর কমেছে ৭.৩২ শতাংশ। এদিন আরও দুটি কোম্পানির শেয়ার দর সাত শতাংশের বেশি কমেছে। এর মধ্যে আছে যমুনা অয়েল, যার শেয়ার দর কমেছে ৭.২১ শতাংশ ও গোল্ডেনসনের দর কমেছে ৭.১০ শতাংশ।
ফু ওয়াং সিরামিকসের দর কমেছে ৬.৪৩ শতাংশ। ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৪৬৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের দর ৬.০৪ শতাংশ, জিবিবি পাওয়ারের দর ৬.০২ শতাংশ, ফু ওয়াং ফুডসের দর কমেছে ৫.৮৫ শতাংশ।
দেশবন্ধু পলিমারের দর কমেছে ৫.৮৩ শতাংশ।
এছাড়া কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৪.৭৭ শতাংশ, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালের দর ৪.৪৯ শতাংশ আর লুবরেফ বাংলাদেশের দর কমেছে ৪.৩৮ শতাংশ।
লেনদেনে সেরা ১০ কোম্পানি
লেনদেনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, যার ১১৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকায় ৯১ লাখ ২৬ হাজার ১২৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডে লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ১২ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৬৩ কোটি ৫৭ লাখ ১৫টি।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা পাওয়ার গ্রিডে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, চতুর্থ অবস্থানে থাকা বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোয় লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
এছাড়া ফুওয়াং ফুডসে ৩২ কোটি ২৫ লাখ টাকা, এপেক্স ফুটওয়্যারে ২৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা, এশিয়ান ইন্স্যুরেন্সে ২১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানিতে ২০ কোটি ৬ লাখ টাকা, ফরচুন সুজে ১৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, লিনডে বিডিতে ১৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, এসিআই লিমিটেডে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য