বহুল প্রতীক্ষিত প্রকল্প এলাকা মহেশখালী-মাতারবাড়ী ইন্টিগ্রেটেড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (মিডি) ঘিরে এখন বিশদ মহাপরিকল্পনা (কম্প্রিহেনসিভ মাস্টার প্ল্যান) নিয়েছে সরকার।
এর আওতায় শিগগির একটি স্বতন্ত্র আইন তৈরি হচ্ছে। যে আইনের ক্ষমতাবলে ‘মিডি’ এলাকা পরিচালনায় একটি শক্তিশালী কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে।
এ কর্তৃপক্ষ হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রয়োজন অনুযায়ী তা নিজ ক্ষমতাবলে পরিকল্পিত ‘মিডি’ গড়তে নতুন প্রকল্প গ্রহণ, অনুমোদন, অর্থায়ন ও বাস্তবায়ন করতে পারবে। সেই সঙ্গে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এলাকায় টাউনশিপ গড়ে তোলা, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিবেশ সুরক্ষাসহ চিহ্নিত এলাকার আইন-শৃঙ্খলা সব কিছুই পরিচালনা করতে পারবে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তৈরি করা এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।
বর্তমানে দেশে বহুমুখী অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিরাট কর্মযজ্ঞ চলছে এই ‘মহেশখালী-মাতারবাড়ী ইন্টিগ্রেটেড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ’ এলাকায়।
বিদ্যুৎকেন্দ্র, সমুদ্রবন্দর, এলএনজি, এলপিজি টার্মিনাল, ইকোনমিক জোন, ওয়াটার ফ্রন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ, টাউনশিপ ডেভেলপমেন্ট, পানিসম্পদ উন্নয়ন এবং পরিবেশের সুরক্ষাসহ ইকোট্যুরিজম পার্কসহ ৩৭টি মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে সমানতালে। এ ছাড়া এসব মেগা প্রকল্পসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সেক্টর উন্নয়ন পরিকল্পনা অনুযায়ী বর্তমানে এখানে ৬৮টি প্রকল্প চিহ্নিত করা গেছে।
ইতিমধ্যে চিহ্নিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ছয়টি প্রকল্প শেষ হয়েছে। প্রায় ৭৮ হাজার ৫৪৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার ছয়টি প্রকল্পের কাজ চলমান। অন্যান্য প্রকল্প সম্ভাব্যতা যাচাইসহ বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি প্রকল্প জাপান সরকারের বিনিয়োগে বাস্তবায়নের প্রস্তাব রয়েছে।
সরকার আশা করছে, বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগে এসব অবকাঠামো উন্নয়ন দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ, কানেক্টিভিটি এবং আন্ত ও আন্তর্জাতিক শিল্প-বাণিজ্য প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তবে দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, মিডি এলাকাজুড়ে চলতে থাকা এসব উন্নয়ন কাজের প্রায় সবটাই হচ্ছে বিচ্ছিন্নভাবে। যেমন- মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের দায়িত্বে আছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের দায়িত্বে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। সেখানে যে অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে, সেটির দায়িত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ। গ্যাসলাইন, এলএনজি, রাস্তাঘাট হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন দপ্তর আলাদা করে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যার ফলে কাজের সমন্বয় হচ্ছে না। কাজে ব্যাঘাত ঘটছে।
একইভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন-সহযোগী জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) বহুল আলোচিত এই প্রকল্পে ২০ বিলিয়ন আমেরিকান ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব রয়েছে, যেখানে জাইকার ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্সের (ওডিএ) বিনিয়োগের পরিমাণ থাকছে ১০ বিলিয়ন ডলার। বাকি ১০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ করবে জাপানের বেসরকারি খাত।
বর্তমানে ৩০০-এর বেশি জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে। তবে এ প্রকল্পে জাপানের বেসরকারি খাতের এই বিনিয়োগ কোথায় হবে, পৃথক অর্থনৈতিক অঞ্চলে, না দেশি-বিদেশিদের সমন্বিত কোনো অঞ্চলে, সে বিষয়টি এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও ঢাকায় জাপানি দূতাবাসের তথ্য মতে, এখনও জাপান প্রস্তাব ও সমীক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, মিডি উদ্যোগে জাপানের ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ বাস্তবায়ন পর্যায়ে গড়ালে সেটি দেশের অর্থনীতির জন্য হবে বিরাট মাইলফলক। তবে প্রশ্ন হলো, জাপানি উদ্যোক্তারা যখন বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে আসবেন, বিনিয়োগসংক্রান্ত তথ্য ও সেবার জন্য কার কাছে যোগাযোগ করবেন? তাদের অনুকূলে প্রয়োজনীয় ভূমি কে বরাদ্দ দেবে এবং তাদের সুষ্ঠু পরিচালন তদারকিই বা কে করবে? সে রকম কোনো সুনির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ মিডিতে নেই।
এ বিষয়ে উত্তর খোঁজার চেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শিগগিরই এই ‘মিডি’ পরিচালনায় কর্তৃপক্ষ তৈরি করা হবে। এ জন্য আগামী দুই মাসের মধ্যে মহেশখালী-মাতারবাড়ী ইন্টিগ্রেটেড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (মিডি) কর্তৃপক্ষ গঠনে আইনের খসড়া তৈরি করতে বলেছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়।
এ লক্ষ্যে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে বেজা, বিডা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, অর্থ বিভাগ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয় প্রতিনিধি এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
এই কমিটি তাদের কাজের সুবিধার জন্য দরকারি সদস্য সংযুক্ত করতে পারবে। কমিটি সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে একটি খসড়া আইন তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাবে।
জানা গেছে, বর্তমানে মিডি পরিচালিত হচ্ছে মিডি সমন্বয় কমিটি দিয়ে। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী এ কমিটি অনুমোদন করেন। এরপর থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি সেলের তত্ত্বাবধানে অনুমোদিত কমিটি মিডির কার্যক্রম সমন্বয় ও মনিটরিং করে আসছে।
পরে মিডি কর্তৃপক্ষ গঠনের উদ্দেশ্যে ২০১৯ সালের ৫ মার্চ একটি আইনের খসড়া তৈরি করা হয়। এটির বিষয়ে মতামত পেতে প্রকল্পের বড় স্টেকহোল্ডার জাইকাকেও পাঠানো হয়। তবে এখনও জাইকা থেকে মতামত পাওয়া যায়নি। এ কারণে এ বিষয়ে আর কোনো অগ্রগতিও হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায, আইনের খসড়াটি জাইকার মনঃপূত হয়নি। তা ছাড়া তারা মিডি প্রকল্পে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিলেও এখনও তারা সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ করতে পারেনি। যে কারণে মতামত দেয়ারও প্রয়োজন মনে করেনি।
এমন প্রেক্ষাপটে মিডি কর্তৃপক্ষ গঠন বিষয়ে চলতি মাসের ১৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) জুয়েনা আজিজের সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের উপস্থিতিতে ভার্চুয়ালি একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এতে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণসহ বহুমুখী উন্নয়ন কার্যক্রমের পরিচালন ও নিয়ন্ত্রণের সুবিধায় একটি আলাদা কর্তৃপক্ষ গঠনের আইনি প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার ওপর জোর দেয়া হয়।
এ বৈঠকে মিডি কর্তৃপক্ষ গঠনে আগের খসড়াটি সংশোধনের পরামর্শ আসে। মুখ্য সচিব কায়কাউস জানান, মিডির প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়নসহ পরবর্তীতে সেগুলো পরিচালনার জন্য একটি স্বতন্ত্র কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তিনি উপযুক্ত একটি কর্তৃপক্ষ গঠনের বিষয়ে জাপান, থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সফল মডেলগুলো পর্যালোচনার পরামর্শ দেন।
কায়কাউস বলেন, মিডি এলাকার জন্য জাইকা শুধু ভূমি ব্যবহার জরিপ পরিকল্পনা করেছে, কিন্তু চাহিদা মূল্যায়ন হয়নি। সে জন্য কম্প্রিহেনসিভ স্ট্যাডি এবং মাস্টার প্ল্যানের প্রয়োজন রয়েছে। এ জন্য এমন একটি আইন তৈরি করতে হবে, যেখানে কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রস্তাব থাকে এবং গঠিত কর্তৃপক্ষ যাতে একুশ শতকের উপযোগী রূপান্তরমুখী একটি আধুনিক শহর নির্মাণ করতে সক্ষম হয়।
আইনটির প্রয়োজনীয় সংশোধনের জন্য লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান কায়কাউস।
এ প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব জানান, গতানুগতিক ধারণার বাইরে ব্যতিক্রমধর্মী সিটি গভর্নমেন্টের আদলে একটি শক্তিশালী কর্তৃপক্ষ গঠনই প্রকল্পের সুন্দর ভবিষ্যৎ দেখাতে পারে। সে জন্য একটি আইনের প্রয়োজন হবে। যে আইন মিডির মাস্টারপ্ল্যানের কাজও করবে।
আরও পড়ুন:শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গত ০২ জুন, সোমবার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতি।
জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম মরতুজা, মোঃ ফয়েজ আলম ও মোঃ আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আবেদিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভা সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যকরী সভাপতি শাহ জাহান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি এস. এফ. এম. মুনির হোসেন, সহসভাপতি মজিবুর রাহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ছানোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনায় আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। আবার ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার সময় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। ট্রেড লাইসেন্স নিতেও রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দাখিলের বাধ্যবাধকতায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্রের বাধ্যবাধকতায় এসব পরিবর্তন আনা হয়েছে। এত দিন ৪৬টি সেবায় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখানোর বাধ্যবাধকতা ছিল।
এখন ১১ ধরনের সেবা নিতে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। শুধু কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীদের (টিআইএন) সিস্টেম জেনারেটেড প্রত্যয়নপত্র দাখিল করলেই হবে। ওই ১১টি সেবা হলো সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় নতুন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণে; সমবায় সমিতির নিবন্ধন প্রাপ্তিতে; সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ারের নতুন লাইসেন্স গ্রহণে; ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ ও নবায়নে; চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, চার্টার্ড সেক্রেটারি, আইনজীবী ও কর আইনজীবী, অ্যাকচুয়ারি, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার হিসেবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ গ্রহণে; পাঁচ লাখ টাকার অধিক পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খোলায়; এমপিওভুক্তির মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে দশম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মচারীর কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের ক্ষেত্রে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেকট্রনিক উপায়ে টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনের হিসাব রিচার্জের মাধ্যমে কমিশন, ফি বা অন্য কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্ট্যাম্প, কোর্ট ও কার্টিজ পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসেবে লাইসেন্স নিবন্ধন ও তালিকাভুক্তিতে; ত্রি-চক্র মোটরযানের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়নে; ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে লাইসেন্সিং অথরিটির কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ইতিহাসে ৫৪তম বাজেট।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার সময় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করছি, যা জিডিপির ১২.৭ শতাংশ। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।
তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই যে, ২০১৫ সালের পর এখন পর্যন্ত বেতন কাঠামো প্রণীত না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।
ঘরে বসে যেসব ক্রেতারা কেনাকাটা করতে চান, তাদের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনাকাটা আগামী অর্থবছর থেকে খানিকটা ব্যয়বহুল হতে পারে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ই-প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় থেকে কমিশনের ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করতে চাইছে। সেক্ষেত্রে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পণ্যের দাম বেশি হতে পারে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই ভ্যাটের হার ছিল ৫ শতাংশ।
জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে ভিন্ন বাস্তবতায় এবার সংসদের বাইরে ভিন্ন আঙ্গিকে পেশ হলো বাজেট। এবার সংসদ না থাকায় সংসদের আলোচনা বা বিতর্কের কোনো সুযোগ থাকছে না। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বাজেট উপস্থাপন করার পর ৩০ জুন তা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে কার্যকর করা হবে।
তবে অতীতের রেওয়াজ মেনে বাজেট ঘোষণার পরদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে বাজেট নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া পুরো জুন মাসজুড়ে অংশীজনদের মতামত নেওয়ার কথাও তিনি বলেছেন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে সরকারের ধারাবাহিক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করায় এবং সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পাওয়ায় মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে আসবে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এ কথা বলেন। তার এ বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে আমাদের সরকার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে তখন আমাদের সামনে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরে মানুষকে স্বস্তি দেয়া।
তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে আমরা ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করেছি। এর ফলে নীতি সুদের হার ১৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মুদ্রানীতির আওতায় গৃহীত কার্যক্রমকে সহায়তা করতে সংকোচনমূলক রাজস্বনীতি অনুসরণ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে আনায় সার্বিকভাবে সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠতে শুরু করেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ১০.৮৯ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে। আশার কথা হলো এবারের রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্মরণকালের মধ্যে সবচাইতে স্থিতিশীল ছিল। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এই জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের কোঠায় নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতির সাথে এ লড়াইয়ের ফলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে।’
মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকা জরুরি উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল থাকা অত্যাবশ্যক। প্রবাস আয়ের প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক হওয়ায় এবং রপ্তানি স্থিতিশীল থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এপ্রিল মাসে বৃদ্ধি পেয়ে ২৭.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সে কারণে আমরা বিগত ১৪ মে তারিখে বাজারভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার চালু করেছি।
১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী আর্থিক অস্থিরতা সামাল দিতে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। এর মূল লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিক মুদ্রানীতি সমন্বয় সাধন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে উৎসাহ দেওয়া এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করা। বহু দেশ সংকটে পড়ে এই সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছে- কেউ সাময়িকভাবে রক্ষা পেয়েছে, কেউ আবার দীর্ঘমেয়াদি ঋণনির্ভরতার ফাঁদে পড়ে গেছে।
আজ, যখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ভারসাম্য ক্রমশ পশ্চিমকেন্দ্রীকতা থেকে সরে পূর্ব ও দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন আইএমএফ তার প্রাসঙ্গিকতা ও নৈতিক অবস্থান নিয়ে এক নতুন প্রশ্নের সম্মুখীন।
ঋণ সহায়তা, নাকি ঋণের ফাঁদ?
আইএমএফ সাধারণত এমন শর্তে ঋণ দেয়, যার মধ্যে থাকে কঠোর ব্যয়সংযম, ভর্তুকি হ্রাস, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বাজারমুখী সংস্কার; কিন্তু এই শর্তগুলো অনেক সময় জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। স্থানীয় শিল্প ধসে পড়ে, বৈষম্য বেড়ে যায় এবং সাধারণ মানুষের জীবন আরও কঠিন হয়ে ওঠে। আর্জেন্টিনার অভিজ্ঞতা এর এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। ২০১৮ সালে আইএমএফ ইতিহাসের বৃহত্তম ঋণ প্যাকেজ ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করে। ফল ছিল বিপরীত- মুদ্রাস্ফীতি ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, দারিদ্র্য আরও বেড়ে যায় এবং দেশটি আবার মন্দার মুখে পড়ে।
এই অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে শুধু অর্থনৈতিক সমীকরণ দিয়ে কোনো দেশের সামাজিক বাস্তবতা নির্ধারণ চলে না।
আইএমএফের নীতিনির্ধারণ কাঠামো এখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী শক্তির ভারসাম্যের প্রতিচ্ছবি। উন্নত দেশগুলো (বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন) সংগঠনের ভোটের অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অংশগ্রহণ প্রায় অনুপস্থিত। এই গণতান্ত্রিক ঘাটতি আজ দক্ষিণের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে গভীর অসন্তোষ ও অবিশ্বাসের জন্ম দিচ্ছে।
বিকল্প প্রতিষ্ঠানের উত্থান
এই প্রেক্ষাপটে বিকল্প আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন- নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (NDB), এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (AIIB) এবং ল্যাটিন আমেরিকান রিজার্ভ ফান্ড (FLAR) নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে। (NDB) এর সহায়তা তুলনামূলকভাবে শর্তমুক্ত এবং অংশগ্রহণমূলক। এখানে প্রতিটি দেশের ভোটের ও প্রতিনিধিত্বের সমান সুযোগ আছে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলো আরও আগ্রহী করে তুলেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখন শুধু আর্থিক বিকল্প নয়- এরা এক নতুন উন্নয়ন দর্শনের বাহক। সেই দর্শনে উন্নয়ন নির্ধারিত হয় স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনকে কেন্দ্র করে, বাইরের চাপ বা রূঢ় শর্ত নয়।
বিশ্ব আজ বহুমেরু। অর্থনৈতিক শক্তি ছড়িয়ে পড়ছে নানা অঞ্চলে। এই বাস্তবতায় টিকে থাকতে হলে আইএমএফকে নিজস্ব কাঠামো ও দর্শনে রূপান্তর আনতে হবে। প্রয়োজন গভর্ন্যান্সের সংস্কার, নীতিনির্ধারণে সমান অংশগ্রহণ, এবং সর্বোপরি সহানুভূতিশীল ঋণ নীতিমালা।
আইএমএফ যদি সত্যিই বৈশ্বিক আর্থিক স্থিতিশীলতার অভিভাবক হতে চায়, তাহলে তাকে হতে হবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক, এবং আঞ্চলিক বাস্তবতাসম্মত এটি শুধু আইএমএফের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রশ্ন নয়; এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার ও সার্বিক উন্নয়নের প্রশ্ন।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচার হওয়া অর্থ জব্দ কর তা বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার পরমর্শ দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ সময়ে এবারের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর এফডিসিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচারকৃত অর্থ জব্দের মাধ্যমে বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করলে তা হতে পারে এবারের বাজেটের একটি অভিনব উৎস।’
‘গত সরকারের রেখে যাওয়া বিদেশি ঋণের চাপ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। এই সরকারের এই সময়ে অন্যতম সাফল্য ৫০০ কোটি (৫ বিলিয়ন) ডলার পরিশোধ করে বিদেশি ঋণের চাপ কমিয়ে আনা,’ যোগ করেন তিনি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই ঋণ বিলিয়ন ডলার করে বছর বছর বাড়ছিল। সামগ্রিকভাবে এই সরকারের সাফল্যের জায়গাটা হলো বহির্খাত, রেমিট্যান্স, রপ্তানি, দায়-দেনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, মজুদ বাড়ানো ও টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল রাখা।’
তবে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, ‘খেলাপি ঋণ আদায়, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এবং করের আওতা বাড়ানোর মতো নতুন কোনো কিছু না থাকায় এবারের বাজেটে কোনো চমক থাকছে না।’
‘যে প্রকল্পগুলো সরকারের কাছে আছে, তা অতিমূল্যায়িত ও তার ৪০ শতাংশ ব্যয়ই ভুয়া। আগের যে প্রকল্পগুলো থেকে রক্তক্ষরণ হতো, সেগুলো অব্যাহত আছে,’ বলেন তিনি।
সিপিডির এই সম্মানীয় ফেলো বলেন, ‘রাজস্ব ব্যয় সঠিকভাবে না করলে করদাতাদের উৎসাহ থাকে না। আমাদের কর কাঠামো বৈষম্যনির্ভর। আমাদের বৈদেশিক খাতে কিছুটা স্থিতিশীলতা অর্জিত হলেও ব্যক্তি খাতে স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ এখনো আশানুরূপ অর্জিত হয়নি।’
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি নামের একটি বিতর্ক সংগঠন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
‘রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করা আসন্ন বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত’ শীর্ষক ছায়া সংসদে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজকে পরাজিত করে ঢাকার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।
মন্তব্য