বিমা খাতে উত্থানের পরও নতুন বছরে ১৬ কর্মদিবসে তৃতীয় দিনের মতো সূচকের পতন হয়েছে। এর মধ্যে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে পতন দেখল দুই দিন।
আগের সপ্তাহের পাঁচটি কর্মদিবসের প্রতিদিন সূচক অল্প অল্প করে বাড়ার সুখস্মৃতি নিয়ে নতুন সপ্তাহের রোববার প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতেই সূচক বাড়ে ২৮ পয়েন্ট। তবে ৫ মিনিট পর থেকেই সূচক পড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত আগের দিনের চেয়ে ৩২ পয়েন্ট কমে শেষ হয় লেনদেন।
সূচক পতনের দিনে ১০২টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, বিপরীতে কমেছে ২৪৮টির। আগের দিনের দামেই লেনদেন শেষ করেছে ২৮টি কোম্পানি।
চলতি বছর প্রথমবারের মতো সূচক কমে গত ৯ জানুয়ারি, ৫৫ পয়েন্ট। এরপর দ্বিতীয়বারের মতো সূচক কমে ১২ জানুয়ারি। সেদিন পতন হয় ৫৩ পয়েন্ট। বাকি প্রতিদিনই সূচক বেড়েছে। সব মিলিয়ে ১৬ দিনে সূচকে যোগ হয়েছে ৩১৬ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট।
সূচক পতনের দিন কমেছে লেনদেনও। দিন শেষে হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ৪৮২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬০১ কোটি ২০ লাখ ২৬ হাজার টাকা। আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১২১ কোটি টাকা।
তবে গত ১৪ কর্মদিবস ধরে টানা ১ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়ার পর এ বিষয়টি নিষ্ক্রিয়দের আবার শেয়ার কেনায় আগ্রহী হয়ে ওঠার প্রমাণ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
এদিন প্রায় সব খাতেই দরপতন হয়েছে। তবে ব্যতিক্রম ছিল সাধারণ বিমা খাত। এই খাতের ৯৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। কমেনি একটিরও। ৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর ছিল অপরিবর্তিত।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ৫০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। এর বাইরে ব্যাংক, আর্থিক, বস্ত্র, প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়নের মতো প্রধান খাতগুলোয় কমেছে সিংগভাগ শেয়ারের দর।
যেসব কোম্পানির দর কমায় সূচকের পতন
রোববার সূচক পতনের সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের কারণে। শেয়ারদর ১ দশমিক ২৫ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৯ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট।
টেলিযোগাযোগ খাতে রবির দর কমেছে ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ, সূচক থেকে হারিয়ে ৮ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট।
লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের শেয়ারদর ২ দশমিক ৬ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৫ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট।
এ ছাড়া স্কয়ারফার্মা ৪ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট, বেক্সিমকো লিমিটেড ৪ দশমিক ২৩ পয়েন্ট ও ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ৩ দশমিক ১৮ পয়েন্ট, পদ্মা অয়েল ৩ দশমিক ১৭ পয়েন্ট, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ২ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট, ব্র্যাক ব্যাংক ২ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট ও এসিআই লিমিটেডের কারণে সূচক কমেছে ১ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক ফেলেছে ৪৪ দশমিক ১৮ পয়েন্ট।
এর বিপরীতে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির শেয়ারদর ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ বাড়ার পর সূচকে যোগ হয়েছে ২০ দশমিক ৬১ পয়েন্ট।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা গ্রামীণফোন সূচক বাড়িয়েছে ৪ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট। শেয়ারদর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪২ পয়েন্ট।
এ ছাড়া বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল, রেনিটা, বিকন ফার্মা, লিনডে বিডি, বেক্সিমকো ফার্মা, সোনালী পেপার, বার্জার পেইন্টস ও ইউনিলিভার কনজ্যুমার সূচকে বেশ কিছু পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৪৬ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির ১০ কোম্পানি
দর বৃদ্ধিতে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল সদ্য তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স। ১৭ জানুয়ারি লেনদেনে আসা ১০ টাকা অভিতিহ মূল্যেই প্রতিটি শেয়ার দিনের সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হয়ে ১৭ টাকা ৬০ পয়সায় পৌঁছেছে।
এর পরই ছিল মালিকানা বদল হতে যাওয়া ফু ওয়াং ফুডসের। মিনোরি বাংলাদেশ এই কোম্পানিটির মালিকানায় আসতে অনুমোদন দেয়ার খবরে শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
এ ছাড়া এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ ও এপেক্স ফুটওয়্যারের শেয়ারদর ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়েছে।
পঞ্চম অবস্থানে ছিল বিডি ল্যাম্পস, যার দর ২২১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৮ দশমিক ৬২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৪০ টাকা ৫০ পয়সা।
এ ছাড়া ইয়াকিন পলিমারের দর ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ফু ওয়াং সিরামিকসের দর ৮ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, জেমিনি সি ফুডের দর ৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ ও আরএকে সিরামিকসের দর ৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়েছে।
দর বৃদ্ধির সেরা দশের শেষ অবস্থানে ছিল বিমা খাতের গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, যার দর ৪৯ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫৩ টাকা ২০ পয়সা।
দরপতনের শীর্ষ ১০
এই তালিকার শীর্ষে ছিল মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ। জেড ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
এদিন ৬ শতাংশের বেশি শেয়ারদর বেড়েছে আরও দুটি কোম্পানির। এর মধ্যে গ্লোবাল হ্যাভি কেমিক্যালসের দর ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ ও তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের দর কমেছে ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।
লভ্যাংশ ঘোষণার পর উড়তে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন দর হারিয়েছে ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ দর হারিয়েছে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ।
তিন বছর পর লভ্যাংশ ঘোষণা করা তাল্লু স্পিনিং প্রতি বছরই লোকসান দেখানো ও লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত জানানোর পর দুই দিনেই দর হারিয়েছে ৪০ শতাংশের মতো। ১৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে নেমে এসেছে ১০ টাকা ১০ পয়সায়। এর মধ্যে আজ কমেছে ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ বা ৬০ পয়সা।
মিথুন নিটিংয়ের শেয়ারদর ১০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ কমে হয়েছে ১৩ টাকা ৮০ পয়সা।
এ ছাড়া শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৫ দশমিক ১২ শতাংশ, কেয়া কসমেটিকসের দর ৫ দশমিক ১৯ শতাংশ কমেছে।
লেনদেনে সেরা ১০
দর হারালেও লেনদেনে সেরা ছিল রোববার বেক্সিমকো লিমিটেড। কোম্পানিটির ১৫৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার ৯৭ লাখ ৪২ হাজার ৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনে ৬৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা, পাওয়ার গ্রিডের ৫৬ কোটি ৭ লাখ টাকা, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সে ৩৭ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এপেক্স ফুটওয়্যারে ৩৬ কোটি ১৪ লাখ টাকার ১০ লাখ ৩৬ হাজার ১৮৫টি শেয়ার, সোনালী পেপারে ৩৫ কোটি ১৩ লাখ টাকার ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫৮১টি শেয়ার, সাইফ পাওয়ারটেকের ৩৪ কোটি ১৭ লাখ টাকার ৭৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এ ছাড়া ফরচুন সুজে ৩৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোয় ৩২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, লিন্ডে বিডিতে ২৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য