বিমা খাতে উত্থানের পরও নতুন বছরে ১৬ কর্মদিবসে তৃতীয় দিনের মতো সূচকের পতন হয়েছে। এর মধ্যে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে পতন দেখল দুই দিন।
আগের সপ্তাহের পাঁচটি কর্মদিবসের প্রতিদিন সূচক অল্প অল্প করে বাড়ার সুখস্মৃতি নিয়ে নতুন সপ্তাহের রোববার প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতেই সূচক বাড়ে ২৮ পয়েন্ট। তবে ৫ মিনিট পর থেকেই সূচক পড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত আগের দিনের চেয়ে ৩২ পয়েন্ট কমে শেষ হয় লেনদেন।
সূচক পতনের দিনে ১০২টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, বিপরীতে কমেছে ২৪৮টির। আগের দিনের দামেই লেনদেন শেষ করেছে ২৮টি কোম্পানি।
চলতি বছর প্রথমবারের মতো সূচক কমে গত ৯ জানুয়ারি, ৫৫ পয়েন্ট। এরপর দ্বিতীয়বারের মতো সূচক কমে ১২ জানুয়ারি। সেদিন পতন হয় ৫৩ পয়েন্ট। বাকি প্রতিদিনই সূচক বেড়েছে। সব মিলিয়ে ১৬ দিনে সূচকে যোগ হয়েছে ৩১৬ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট।
সূচক পতনের দিন কমেছে লেনদেনও। দিন শেষে হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ৪৮২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬০১ কোটি ২০ লাখ ২৬ হাজার টাকা। আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১২১ কোটি টাকা।
তবে গত ১৪ কর্মদিবস ধরে টানা ১ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়ার পর এ বিষয়টি নিষ্ক্রিয়দের আবার শেয়ার কেনায় আগ্রহী হয়ে ওঠার প্রমাণ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
এদিন প্রায় সব খাতেই দরপতন হয়েছে। তবে ব্যতিক্রম ছিল সাধারণ বিমা খাত। এই খাতের ৯৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। কমেনি একটিরও। ৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর ছিল অপরিবর্তিত।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ৫০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। এর বাইরে ব্যাংক, আর্থিক, বস্ত্র, প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়নের মতো প্রধান খাতগুলোয় কমেছে সিংগভাগ শেয়ারের দর।
যেসব কোম্পানির দর কমায় সূচকের পতন
রোববার সূচক পতনের সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের কারণে। শেয়ারদর ১ দশমিক ২৫ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৯ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট।
টেলিযোগাযোগ খাতে রবির দর কমেছে ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ, সূচক থেকে হারিয়ে ৮ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট।
লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের শেয়ারদর ২ দশমিক ৬ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৫ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট।
এ ছাড়া স্কয়ারফার্মা ৪ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট, বেক্সিমকো লিমিটেড ৪ দশমিক ২৩ পয়েন্ট ও ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ৩ দশমিক ১৮ পয়েন্ট, পদ্মা অয়েল ৩ দশমিক ১৭ পয়েন্ট, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ২ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট, ব্র্যাক ব্যাংক ২ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট ও এসিআই লিমিটেডের কারণে সূচক কমেছে ১ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক ফেলেছে ৪৪ দশমিক ১৮ পয়েন্ট।
এর বিপরীতে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির শেয়ারদর ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ বাড়ার পর সূচকে যোগ হয়েছে ২০ দশমিক ৬১ পয়েন্ট।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা গ্রামীণফোন সূচক বাড়িয়েছে ৪ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট। শেয়ারদর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪২ পয়েন্ট।
এ ছাড়া বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল, রেনিটা, বিকন ফার্মা, লিনডে বিডি, বেক্সিমকো ফার্মা, সোনালী পেপার, বার্জার পেইন্টস ও ইউনিলিভার কনজ্যুমার সূচকে বেশ কিছু পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৪৬ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির ১০ কোম্পানি
দর বৃদ্ধিতে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল সদ্য তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স। ১৭ জানুয়ারি লেনদেনে আসা ১০ টাকা অভিতিহ মূল্যেই প্রতিটি শেয়ার দিনের সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হয়ে ১৭ টাকা ৬০ পয়সায় পৌঁছেছে।
এর পরই ছিল মালিকানা বদল হতে যাওয়া ফু ওয়াং ফুডসের। মিনোরি বাংলাদেশ এই কোম্পানিটির মালিকানায় আসতে অনুমোদন দেয়ার খবরে শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
এ ছাড়া এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ ও এপেক্স ফুটওয়্যারের শেয়ারদর ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়েছে।
পঞ্চম অবস্থানে ছিল বিডি ল্যাম্পস, যার দর ২২১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৮ দশমিক ৬২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৪০ টাকা ৫০ পয়সা।
এ ছাড়া ইয়াকিন পলিমারের দর ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ফু ওয়াং সিরামিকসের দর ৮ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, জেমিনি সি ফুডের দর ৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ ও আরএকে সিরামিকসের দর ৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়েছে।
দর বৃদ্ধির সেরা দশের শেষ অবস্থানে ছিল বিমা খাতের গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, যার দর ৪৯ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫৩ টাকা ২০ পয়সা।
দরপতনের শীর্ষ ১০
এই তালিকার শীর্ষে ছিল মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ। জেড ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
এদিন ৬ শতাংশের বেশি শেয়ারদর বেড়েছে আরও দুটি কোম্পানির। এর মধ্যে গ্লোবাল হ্যাভি কেমিক্যালসের দর ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ ও তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের দর কমেছে ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।
লভ্যাংশ ঘোষণার পর উড়তে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন দর হারিয়েছে ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ দর হারিয়েছে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ।
তিন বছর পর লভ্যাংশ ঘোষণা করা তাল্লু স্পিনিং প্রতি বছরই লোকসান দেখানো ও লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত জানানোর পর দুই দিনেই দর হারিয়েছে ৪০ শতাংশের মতো। ১৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে নেমে এসেছে ১০ টাকা ১০ পয়সায়। এর মধ্যে আজ কমেছে ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ বা ৬০ পয়সা।
মিথুন নিটিংয়ের শেয়ারদর ১০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ কমে হয়েছে ১৩ টাকা ৮০ পয়সা।
এ ছাড়া শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৫ দশমিক ১২ শতাংশ, কেয়া কসমেটিকসের দর ৫ দশমিক ১৯ শতাংশ কমেছে।
লেনদেনে সেরা ১০
দর হারালেও লেনদেনে সেরা ছিল রোববার বেক্সিমকো লিমিটেড। কোম্পানিটির ১৫৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার ৯৭ লাখ ৪২ হাজার ৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনে ৬৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা, পাওয়ার গ্রিডের ৫৬ কোটি ৭ লাখ টাকা, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সে ৩৭ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এপেক্স ফুটওয়্যারে ৩৬ কোটি ১৪ লাখ টাকার ১০ লাখ ৩৬ হাজার ১৮৫টি শেয়ার, সোনালী পেপারে ৩৫ কোটি ১৩ লাখ টাকার ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫৮১টি শেয়ার, সাইফ পাওয়ারটেকের ৩৪ কোটি ১৭ লাখ টাকার ৭৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এ ছাড়া ফরচুন সুজে ৩৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোয় ৩২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, লিন্ডে বিডিতে ২৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য