× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Editor of Group Theater Federation fired
google_news print-icon

গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সম্পাদককে অব্যাহতি

গ্রুপ-থিয়েটার-ফেডারেশনের-সম্পাদককে-অব্যাহতি
কেন্দ্রীয় পরিষদ সভায় শনিবার কামাল বায়েজীদকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
শনিবার রাতে গণমাধ্যমে ফেডারেশানের প্রচার সম্পাদক মাসুদ আলম বাবুর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

টাকা আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

শনিবার রাতে গণমাধ্যমে ফেডারেশনের প্রচার সম্পাদক মাসুদ আলম বাবুর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের গত তিন বছরের ব্যয় হওয়া এক কোটি ২৪ লাখ একান্ন হাজার ৩৭৩ টাকার হিসাব দিতে পারেননি কামাল বায়েজীদ। এ ছাড়া জনতা ব্যাংকে সংগঠনের অ্যাকাউন্ট থেকে ২০১৯ সালে নিজের অ্যাকাউন্টে সংগঠনের টাকা স্থানান্তর করেন তিনি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এরই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় পরিষদের ৪১ জন সদস্যের লিখিত ২৯টি অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার কেন্দ্রীয় পরিষদ সভায় উপস্থিত ৪০ জন সদস্যের সম্মতিক্রমে কামাল বায়েজীদকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

এর আগে ২০২১ সালের ২৩ অক্টোবর ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় পরিষদের সভায় আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের দায়ে সম্পাদক (অর্থ) রফিক উল্লাহ্ সেলিমকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ৩০ দিনের মধ্যে সেলিমকে অর্থের যাবতীয় হিসাব বুঝিয়ে দেয়ার কথা বলা হলেও তিনি ব্যর্থ হন।

কামাল বায়েজীদের জায়গায় এখন থেকে দায়িত্ব পালন করবেন সহকারী সম্পাদক চন্দন রেজা এবং অর্থ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন আন্তর্জাতিক সম্পাদক চঞ্চল সৈকত।

আরও পড়ুন:
টিএসসির অনুষ্ঠানে হামলা ও সাংস্কৃতিক দায়
জাতীয় সংগীত পুরস্কার প্রবর্তনের ভাবনা
প্রস্তাবিত বাজেটে অসন্তুষ্ট সংস্কৃতিকর্মীরা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
In the noise of the guest birds the canal bill of the mouth watering ghatail

অতিথি পাখির কোলাহলে মুখর ঘাটাইলের খাল-বিল

অতিথি পাখির কোলাহলে মুখর ঘাটাইলের খাল-বিল

শরৎ বিদায় নিচ্ছে, হেমন্তের পরশে প্রকৃতি যখন শীতের আগমনের প্রস্তুতি নিচ্ছে- ঠিক তখনই টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে ধলাপাড়া ইউনিয়নের শহরগোপিনপুর এলাকার খালপাড়ে দেখা মিলছে অতিথি পরিযায়ী পাখির ঝাঁক।

অতিথি পাখির কোলাহলে মুখর ঘাটাইলের খাল-বিল

প্রতি বছরের মতো এবারও তারা এসেছে হাজার মাইল দূরের শীতপ্রধান সাইবেরিয়া ও উত্তরাঞ্চলীয় দেশগুলো থেকে। এখানে তারা ডিম ফোটানো, বাচ্চা বড় করা ও কিছু সময় কাটানোর জন্য অবস্থান নেয়।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার পূর্বাঞ্চলীয় পাহাড়ি জনপদ শহরগোপিনপুরে ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত খাল ও বিলজুড়ে নানা রঙের অতিথি পাখির আনাগোনা চোখে পড়ে। সকালবেলায় ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি খাবারের সন্ধানে বিলে নেমে আসে, আবার বিকেলে দলবেঁধে ফিরে যায়। পাখিদের এমন অবাধ বিচরণ ও কলকাকলি দেখে বিমোহিত হচ্ছেন এলাকাবাসী ও পথচারীরা।

অতিথি পাখির কোলাহলে মুখর ঘাটাইলের খাল-বিল

তবে আনন্দের এই দৃশ্যের মাঝেও রয়েছে দুঃসংবাদ- শিকারিদের সক্রিয়তা। স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছু শিকারি ছদ্মবেশে খাল-বিলে ঘোরাফেরা করে বিষটোপ ও জাল পেতে পাখি ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এতে ধীরে ধীরে এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হুমকির মুখে পড়ছে।

ইতোমধ্যে নেদার বিল ও চাপড়া বিলে এসেছে নানা প্রজাতির অতিথি পাখি। স্থানীয়দের মতে, এখানে বেশি দেখা যাচ্ছে বড় পানকৌড়ি, পাতি-কুট, গিরিয়া হাঁস ও তিলা হাঁস। পাশাপাশি বছরজুড়ে কিছু দেশীয় বিরল প্রজাতির পাখিও এখানে আশ্রয় নেয়। ফলে এসব বিল এখন পাখিদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে।

অতিথি পাখির কোলাহলে মুখর ঘাটাইলের খাল-বিল

গোপিনপুর গ্রামের শাহাদত হোসেন জানান, সাধারণত নভেম্বর মাসের শেষ দিকে পাখি আসা শুরু হয়। কিন্তু এবার অক্টোবরের শেষ দিক থেকেই ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি আসতে শুরু করেছে। প্রতিদিন ভোরে বিলে নেমে তাদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ।

ধলাপাড়ার আষাঢ়িয়াচালা এলাকার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বালি হাঁস, পাতি সরালি, বেগুনি কালিমসহ নানা প্রজাতির হাঁস আসছে। তারা খাল ও বিলের চারপাশে কচুরিপানার ভেতর অবস্থান করছে। এখন পুরো এলাকা যেন পাখির রাজ্য।

অতিথি পাখির কোলাহলে মুখর ঘাটাইলের খাল-বিল

অন্যদিকে স্থানীয় রফিকুল ইসলাম জানান, ‘দিনে গরু-মহিষ চড়ানোর অজুহাতে কিছু লোক হাওরে ঘোরাফেরা করে। সুযোগ বুঝে তারা বিষটোপ বা জাল ফেলে পাখি ধরে। রাতেরবেলাতেই তাদের আসল শিকার শুরু হয়।’

পাখি গবেষক ও আলোকচিত্রী মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, ‘ঘাটাইলের বিস্তীর্ণ বনভূমি, খাল-বিল ও নদী এলাকায় পানকৌড়ি, ডাহুক, জলপিপি, সরালি, বালি হাঁসসহ অসংখ্য প্রজাতির পাখির সমাগম ঘটে। এসব দৃশ্য ধারণ করতে অনেক ফটোগ্রাফার ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। তবে এসব পাখির টিকে থাকার জন্য নিরাপদ আবাস গড়া ও শিকার বন্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।’

ঘাটাইল ব্রাহ্মণশাসন সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক শিক্ষক জুলফিকার-ই-হায়দার বলেন, ‘উত্তরের সাইবেরিয়া অঞ্চলে তীব্র তুষারপাতের কারণে এই পাখিরা উষ্ণতার খোঁজে আমাদের দেশে আসে। তারা প্রতি বছর একই পথে উড়ে আসে এবং এই অভ্যাস থেকে সরে আসে না। এ কারণে তাদের ‘পরিযায়ী পাখ’ বলা হয়।’

শীতের আগমনে ঘাটাইলের খাল-বিল এখন পরিণত হয়েছে অতিথি পাখির অভয়ারণ্যে। প্রকৃতিপ্রেমীরা যেমন উপভোগ করছেন তাদের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য, তেমনি স্থানীয়রা চান- এই অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ও সচেতন মহল একসঙ্গে এগিয়ে আসুক।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Import and export stop at Benapole port after 6 oclock

বেনাপোল বন্দরে ৬টার পর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

*পণ্য অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সরকারের কঠোর সিন্ধান্ত *কাস্টমসের হঠকারী সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের
বেনাপোল বন্দরে ৬টার পর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে পণ্যবাহী ট্রাক বের হচ্ছে।

কাগজপত্র বিহীন ও চোরাই পণ্য অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কোনো পূর্ব ঘোষণা বা প্রস্ততি ছাড়াই বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সন্ধ্যা ৬টার পর সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করেছে বেনাপোল কাস্টমস।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, এক সপ্তাহ ধরে চলছে এই নিয়ম।

তাদের এমন সিদ্ধান্তে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। দুদেশের সীমান্ত জুড়ে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ জটের সৃষ্টি হয়েছে। বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ী, আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকরা।

তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছেন, সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অপরদিকে সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলছেন, এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

আগে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৪৫০ ট্রাক পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করলেও এ সিদ্ধান্তের পর তা কমে ১৮০-২০০টিতে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হতো প্রতিদিন ১৩০ থেকে ১৫০ ট্রাক পণ্য।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ১ আগাস্ট দুদেশের সিদ্ধান্তে বেনাপোল-পেট্রাপোল ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) ২৪ ঘণ্টা চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়। ২০২৪ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দেশের সব কাস্টমস হাউসকে ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশ দেয়। কিন্তু বেনাপোলে তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি।

বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলছেন, বন্দর ও কাস্টমস কার্যক্রমে সমন্বয়ের অভাবে প্রায়ই প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হয়। প্রতিদিন গড়ে ২০০-২৫০ কোটি টাকার আমদানি-রপ্তানি হয় এ বন্দর দিয়ে। সময়সীমা কমে যাওয়ায় বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী আনারুল ইসলাম বলেন, পূর্ব ঘোষণা ছাড়া সন্ধ্যার পর বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করায় ব্যবসায়ীরা হতবাক। দুপাশে শত শত ট্রাক আটকে আছে। কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। এভাবে সিদ্ধান্ত চলতে থাকলে ব্যবসায়ীরা বিকল্প হিসেবে ভোমরা, হিলি বা সোনামসজিদমুখী হতে বাধ্য হবে, এতে সরকারের রাজস্বও কমে যাবে।

ভারতের পেট্রোপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশের এই একতরফা সিদ্ধান্তে ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দুদেশের বাণিজ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। পেট্রাপোল বন্দরে প্রতিদিন ট্রাক জটের মধ্যে পড়ছি। প্রতিদিন হাজারেরও বেশি ট্রাক পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছে পেট্রাপোল বন্দরে। বিগত সময়ে রাত ১২টা পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি চালু ছিল।

বেনাপোলে বন্দর ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট পক্ষদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। তা না করে একতরফাভাবে সময়সীমা কমানো হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী, কর্মচারী এবং সরকারও। আমরা কাস্টমস কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রতিদিন অন্তত ৪০০-৫০০ আমদানিমুখী ট্রাক প্রবেশ নিশ্চিত করা জরুরি।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, কয়েকদিন আগে আমাদের সাথে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের একটি বৈঠক হয়েছিল। তারা প্রস্তাব করেছিল সন্ধ্যা ৬টার পর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার। আমরা বলেছি বন্দর ব্যবহারকারী সবার সাথে কথা বলে বিষয়টি জানানো হবে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, আমরা বন্দর পরিচালনা করি। তবে কাস্টমস অনুমোদন ছাড়া কোনো পণ্য ক্লিয়ার করা সম্ভব নয়। আকস্মিক এই সিদ্ধান্ত রাজস্ব এবং বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

বেনাপোল কাস্টমসের কোনো কর্মকর্তা সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলছেন না। কাস্টমসের কোনো তথ্য ও সংবাদকর্মীদের জানানো হয় না। বর্তমান বেনাপোল কাস্টম হাউসে কর্মরত কাস্টমস কমিশনার হাউসের কোনো কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়নি সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলার। এর আগে একজন সহকারী কমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তা সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলতেন।

তবে কাস্টমসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক সমন্বয়ের কারণে সাময়িকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সমাধান হতে পারে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Courtesy meeting of Pakistan Joint Force Chairman with Chief Adviser

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যানের সৌজন্য সাক্ষাৎ পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা গতকাল (শনিবার) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

দুই দেশের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে জেনারেল মির্জা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নানা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

‘আমাদের দুই দেশ একে অপরকে সহায়তা করবে,’ বলেন জেনারেল মির্জা। তিনি আরও জানান, করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে দুইমুখী নৌপথ ইতোমধ্যে চালু হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা-ুকরাচি আকাশপথও চালু হবে।

দুই পক্ষ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি ভুয়া তথ্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার প্রবণতার চ্যালেঞ্জ নিয়েও মতবিনিময় হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিপদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিকভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।’

সাক্ষাৎকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Level playing field to be ensured in elections Home Advisor

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৫তম বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন। ছবি: বাসস

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে।

আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৫তম বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হলে নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা সহজ হবে । আর নির্বাচনের সময় সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে ।

তিনি বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, এখনও আছে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দেশের পরিস্থিতি ও সার্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়া অনেক ঘটনা সত্য নয়, তবে গণমাধ্যমের তথ্য সঠিক থাকে।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে মোবাইল ফোনের সিমকার্ড নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অনেক অপরাধে সিমকার্ড ব্যবহার হয় অন্যের নামে। নির্বাচনের আগেই সিমকার্ডের সংখ্যা কমানো হবে। এক ব্যক্তির নামে ১০টা থেকে ৫টা/৭টা, পরে ২টায় নিয়ে যাওয়া হবে।

এছাড়া বৈঠকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা, মাদক নিয়ন্ত্রণ এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও নির্দেশনা দেয়া হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা কিভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।

নিরাপত্তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দল কিছু সমস্যার সমাধান করলে এবং জনগণ সচেতন থাকলে নির্বাচন সুন্দর হবে। রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান এলাকায় গণ্ডগোল বা অপরাধ প্রবণতা আগের চেয়ে কমেছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। নিয়োগের ক্ষেত্রেও সমস্যা নেই।’

নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Institutional reforms are needed to prevent disappearances Asif Nazrul

গুম প্রতিরোধে প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার: আসিফ নজরুল

গুম প্রতিরোধে প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার: আসিফ নজরুল

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।

গতকাল শনিবার রাজধানীর গুলশানের হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ: জোরপূর্বক গুম মোকাবিলায় বিচার বিভাগের ভূমিকা’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কর্মশালাটি গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকাস্থ জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।

বিচারকদের উদ্দেশে আসিফ নজরুল বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।

সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিচার লিখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাদের শিল্পকর্মই তাদের বিচার। তাদের এই প্রস্তাবটি মনে রাখা উচিত।

তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।

কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। তিনি জানান, কমিশন ইতোমধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।

গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির জনসংযোগ কর্মকর্তা কে এম খালিদ বিন জামান জানান, কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রেখেছেন, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান। ওয়ার্কিং সেশন পরিচালনা করেন কমিশনের সদস্য মো. সাজ্জাদ হোসেন।

কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন কমিশনের সদস্য ড. নাবিলা ইদ্রিস। এই পর্বে গুম-সংক্রান্ত মামলায় প্রমাণ সংগ্রহ, সাক্ষ্যগ্রহণ, মানবাধিকার মানদণ্ডের প্রয়োগ ও বিচার প্রক্রিয়ার জবাবদিহি নিশ্চিতের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

আলোচনায় গুম প্রতিরোধে একটি স্থায়ী গুম প্রতিরোধ কমিশন গঠন, গুম প্রতিরোধে আইন প্রণয়ন, বিচার বিভাগের আওতায় স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থা প্রতিষ্ঠা, গুম সংক্রান্ত মামলার জটিলতা নিরসনে মনিটরিং সেল গঠন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বিচারকদের জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ আয়োজন, ভিক্টিমদের সাইকোলজিক্যাল ও লিগ্যাল সহযোগিতা নিশ্চিতকরণ, ভিকটিমদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনসহ অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন, অনলাইন জিডি সহজীকরণ, চিহ্নিত মামলাগুলো অগ্রাধিকারভিত্তিতে নিষ্পন্ন করা, বিচারক ও ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে ভিক্টিমদের সহজে পৌঁছানোর ব্যবস্থা গ্রহণ, ম্যাজিস্ট্রেটদের মিথ্যা মামলা নিরসন সংক্রান্ত ক্ষমতা প্রদান এবং বিচার বিভাগ ও কমিশনের মধ্যে তথ্য বিনিময়ের কাঠামো উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ উঠে আসে।

দেশের বিভিন্ন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে কর্মরত বিচারকসহ প্রায় ৯০ জন প্রশিক্ষণার্থী এতে অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Revival of justice is the call of the hour Chief Justice

ন্যায়বিচারের পুনর্জাগরণ এখন সময়ের আহ্বান: প্রধান বিচারপতি

ন্যায়বিচারের পুনর্জাগরণ এখন সময়ের আহ্বান: প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, ‘ন্যায়বিচারের পুনর্জাগরণ এখন আমাদের সময়ের আহ্বান। সংবিধানের স্বাধীনতা, সমতা ও ন্যায়বিচারের অঙ্গীকার যেন দেশের প্রতিটি নাগরিকের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়, সেটিই আমাদের দায়িত্ব।’

গতকাল শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আইন কেবল নিয়মের সমষ্টি নয়, এটি জাতির নৈতিক বিবেকের প্রতিফলন। ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হলে রাষ্ট্র দৃঢ় হয়, আর ন্যায় ব্যর্থ হলে সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রও ভেঙে পড়ে।’

তিনি বলেন, ‘মানবতা যখন অবিচার ও অমানবিক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভয়াবহ পরিণতি প্রত্যক্ষ করে, তখনই মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা মানবজাতিকে নতুন এক নৈতিক চেতনার দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। যখন রাষ্ট্র নাগরিকদের মর্যাদা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়, তাদের কণ্ঠরোধ করে, তখন ন্যায়ের জন্য লড়াই করা নৈতিকভাবে অপরিহার্য হয়ে পড়ে।’

দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন কেবল ভাষার জন্য ছিল না-এটি ছিল ন্যায়, মর্যাদা ও অস্তিত্বের অধিকারের সংগ্রাম। ঠিক একইভাবে ১৯৭১ সালে বাঙালি কেবল রাজনৈতিক স্বাধীনতার জন্য নয়, বরং মর্যাদা, সমতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের জন্য লড়েছিল।

বিচার বিভাগ সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন, আমরা এমন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতাকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে প্রশাসনিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ, নৈতিকভাবে সাহসী ও সংবিধানিকভাবে শক্তিশালী বিচার বিভাগ বিনির্মাণ করতে হবে।

তিনি জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি বিচার বিভাগ সংস্কারের একটি ‘রোডম্যাপ’ ঘোষণা করেছেন, যার মূল উদ্দেশ্য হলো পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা। সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫ বিগত ১৫ মাসের সুপরিকল্পিত কৌশলগত প্রচেষ্টা ও বহুপাক্ষিক প্রয়াসের ফল, বলেন প্রধান বিচারপতি।

সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি বলেন, কোনো ধরনের অবিশ্বাস বা একতরফা আচরণ গত ১৫ মাসের নিরলস প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতার এই ভিত্তিকে দুর্বল করে দিতে পারে। বিচার বিভাগীয় স্বায়ত্তশাসনের স্থায়ীত্ব নিশ্চিত করতে সকল অংশীজনের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও সমন্বয়ের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।

আইনজীবী, শিক্ষাবিদ ও নবীন আইনস্নাতকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আইনের অধ্যয়ন কেবল পেশাগত প্রশিক্ষণ নয়, এটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সাধনা। প্রত্যেক আইনের পেছনে আছে একটি জীবন, প্রত্যেক রায়ের পেছনে আছে একটি ভাগ্য।

প্রযুক্তিনির্ভর বিচার ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে আমরা এখনো ঔপনিবেশিক কাঠামোর উত্তরাধিকার বহন করছি। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডেটা-নির্ভর ব্যবস্থাপনা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয়ে আমাদের বিচারব্যবস্থাকে সময়োপযোগী করতে হবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান স্মরণ করে তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় অসংখ্য প্রাজ্ঞ আইনবিদ তৈরি করেছে। আমি বিশ্বাস করি, এখান থেকে ভবিষ্যতেও এমন আইনজ্ঞ তৈরি হবে, যারা কেবল জ্ঞানে নয়, মানবিকতাতেও আলোকিত হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব। তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই যে ৩টি বিভাগ ছিল তার একটি হলো আইন বিভাগ। আইন বিভাগ কাজ করে সমাজ, রাষ্ট্র এবং মানুষকে নিয়ে। অনেক ক্ষেত্রেই মানবিক আচরণ আনপ্রেডিক্টেবল। মানুষ কোন পরিস্থিতিতে কী করে বসেন সেটা সবসময় প্রেডিক্ট করা যায় না। সেজন্য মানুষের আচরণ দ্বারা সম্পৃক্ত সেসব বিষয়কে আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনগুলো তাদের যে রোলগুলো প্লে করার কথা সেগুলো তারা করে না। আপনাদের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনকে আরও শক্তিশালী করুন আপনারা। অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন হলো দেওয়ার জায়গা, এখানে ক্ষুদ্র ব্যক্তি স্বার্থ সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে, তাই এখান থেকে কারও কিছু পাওয়ার আশা করা যাবে না।

এসময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি এসএসহ অন্যান্য বিচারপতি, শিক্ষাবিদ ও সাবেক শিক্ষার্থীবৃন্দ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Giraffes disappeared from the safari park

সাফারী পার্ক থেকে বিলীন হলো জিরাফের অস্তিত্ব

সাফারী পার্ক থেকে বিলীন হলো জিরাফের অস্তিত্ব

ছন্দময় ভঙ্গিতে ধীর লয়ে দল বেধে সাফারী পার্কের ভেতর ঘুরে বেড়াতো জিরাফগুলো। কখনো কখনো দৌঁড়াতো গাছ পালায় আচ্ছাদিত প্রশস্ত প্রান্তরে। সামনের দুই পা এক সঙ্গে ও পেছনের দুই পা একসঙ্গে চলা জিরাফের দৌড়াদৌড়ি দৃশ্যও ছিল উপভোগ্য। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ইন্দ্রবপুর এলাকায় গড়ে ওঠা সাফারী পার্কে এক সময় ১৬ সদস্যের জিরাফ পরিবারের চঞ্চলতা বাড়তি আনন্দ দিত দর্শনার্থীকে। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে গাজীপুর সাফারী পার্ক থেকে একেবারেই বিলিন হলো জিরাফের অস্তিত্ব। ধুকে ধুকে বেঁচে থাকা সর্বশেষ জিরাফটিও মারা গেছে।

জানা গেছে, টিবি রোগে আক্রান্ত হয়ে স্ত্রী জিরাফটি বৃহস্পতিবার মারা যায়। তবে কর্তৃপক্ষ সর্বশেষ জিরাফের মৃত্যুর খবরটি গোপন রাখে। সাফারী পার্ক থেকে জিরাফের অস্তিত্ব বিলিন হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয় গতকাল শনিবার সকালে।

গাজীপুর সাফারী পার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বনসংরক্ষক তারেক রহমান গণমাধ্যমকে জানান, দীর্ঘদিন ধরেই বেঁচে থাকা একমাত্র জিরাফটি টিবি আক্রান্ত ছিল। জিরাফটিকে সুস্থ করতে ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। কিন্ত শেষ পর্যন্ত সেটাকে বাঁচানো গেল না। বৃহস্পতিবার রাতে শেষ জিরাফের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর ময়নাাতদন্ত শেষ করে পার্কের ভেতরেই জিরাফটিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়। এ মৃত্যুর মধ্য দিয়ে একেবাইরেই জিরাফের অস্তিত্ব বিলিন হলো সাফারী পার্কে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, জিরাফ মারা যাওয়ার পরপরই পার্ক কর্তৃপক্ষ একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে।

পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৩ সালে সাফারী পার্ক প্রতিষ্ঠার পর আন্তর্জাতিক প্রাণী বিপণন প্রতিষ্ঠান ফ্যালকন ট্রেডার্সের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১২টি জিরাফ আনা হয়। পরে উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়ায় এসব জিরাফ থেকে জন্ম হয় আরও ৪টি জিরাফের। এর মধ্যে যদিও ২০১৮ সালের জুলাই মাসে কমন ইল্যান্ডের গুতোয় আহত হয়ে একটি ও পরে ২০১৯ সালে জুলাই মাসে অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকটি জিরাফসহ মোট ১৩টি জিরাফের মৃত্যু হয়। এরপর বেঁচে থাকা আরও দুটি জিরাফ মারা যায়। সর্বশেষ টিকে থাকা স্ত্রী জিরাফটিও মারা যায় বৃহস্পতিবার।

মন্তব্য

p
উপরে