চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ ১৫ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
শনিবার সন্ধ্যায় র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসূফ প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নুরুল আফসার, নুরুল কাদের, মোহাম্মদ হাসান, মোহাম্মদ মামুন, নুরুল কবির, আব্দুল হামিদ, আবু বক্কর, মোহাম্মদ ইউসুফ, গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ সফিউল আলম, আব্দুল খালেক, রুবেল উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম জিকু, মোহাম্মদ সুলতান ও মোহাম্মদ মঞ্জুর।
এম এ ইউসূফ জানান, শুক্রবার ভোরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নুরুল আফসার, নুরুল কাদের, হাসান ও মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, ছয়টি ওয়ান শুটারগান, চারটি কার্তুজ, পাঁচটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে জেলেদের গুম, হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:পুরুষ সেজে প্রতারণার অভিযোগে যশোরে ফারহানা আক্তার স্নেহা নামে এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে যশোর শহরের দড়াটানা মোড় থেকে স্নেহাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি শহরের লোন অফিস পাড়ার শাহাজান আলীর মেয়ে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, আটক স্নেহা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুরুষ সেজে প্রতারণা করে আসছেন।
ওসি আরও জানান, সম্প্রতি চৌগাছা উপজেলার বেড় গোবিন্দপুর গ্রামের চা দোকানি হাবিবুর রহমানের সঙ্গে পুরুষ বেশে স্নেহার পরিচয় হয়। পরে হাবিবুরের মেয়ের সঙ্গে তিনি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ওই মেয়ের কাছ থেকে মোবাইলসহ বিকাশের মাধ্যমে নগদ টাকা নিয়ে সটকে পড়েন স্নেহা।
এ ঘটনায় হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার যশোর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে সকালে স্নেহাকে শহরের দড়াটানা মোড় থেকে গ্রেপ্তার করে।
মনিরুজ্জামান আরও জানান, স্নেহার নামে দেশের বিভিন্ন থানায় মাদক ও প্রতারণার একাধিক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন:বগুড়ার কাহালুতে ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেলের দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন। উপজেলার নওগাঁ-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বীরবেদার এলাকায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজনের নাম আব্দুল্লাহ ও সৈকত। এ ঘটনায় সাগর সাখিদার নামে আরও এক বন্ধু আহত হন।
তাদের সবার বয়স ২২ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। হতাহত তিনজনই নওগাঁর বাসিন্দা এবং একই বাইকের আরোহী ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কাহালু থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এরশাদ আলী জানান, সাগর নওগাঁ সদরের তিলোকপুর এলাকার হবিবর সাখিদারের ছেলে। তাকে গুরুতর অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যদের পরিচয় এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, মোটরসাইকেলে চড়ে তিন জন নওগাঁর দিকে যাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বীরকেদার বারোপুর এলাকায় বিপরীতমুখী একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। এতে সৈকত নামে এক বাইক আরোহী ট্রাকের চাপায় ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর বাকি দুজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়।
সেখানে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আব্দুল্লাহ মারা যান। আর গুরুতর আহত হওয়ায় সাগর সাখিদারকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এসআই এরশাদ আলী আরও জানান, দুর্ঘটনার পর সৈকতের মরদেহ কাহালু থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আর আব্দুল্লাহকে দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেখানেই রয়েছে।
কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমবার হোসেন বলেন, ‘হতাহত তিনজনই মোটরসাইকেলের ছিলেন। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও মোটরসাইকেল হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই ট্রাকের চালক-সহকারী পালিয়ে গেছেন।’
আরও পড়ুন:ঢাকার ধামরাইয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে একজন নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় দুই পক্ষের চারজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের গাঙ্গুটিয়া বাজার এলাকায় শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম ফরহাদ হোসেন। আর আটক হয়েছেন মো. জাকারিয়া।
ধামরাই থানার কাওয়ালীপাড়া বাজার তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ফয়েজ উদ্দিন এসব নিশ্চিত করেছেন।
তিনি স্থানীয়দের বরাতে জানান, গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের গাজিখালী নদীর মাটি খনন নিয়ে একই ইউনিয়নের অর্জুন নালাই এলাকার মো. জাকারিয়া ও কাওয়ালীপাড়া গ্রামের মতিয়ার রহমানের মধ্যে বিরোধ চলছিল অনেকদিন ধরে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মতিয়ার গাঙ্গুটিয়া বাজার এলাকায় গেলে খবর পেয়ে তাকে মারতে আসে জাকারিয়া ও তার লোকজন। দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে তখন লাঠিসোটা ও রড নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় রডের আঘাতে আহত হন ফরহাদ। তাকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গাঙ্গুটিয়া বাজারের পল্লী চিকিৎসক মনতোষ চন্দ্র সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুপক্ষের মারামারি থামাতে গিয়ে ফরহাদ মাঝে পড়ে যায়। এ সময় রডের আঘাতে গুরুতর আহত হয় সে।’
কাওয়ালীপাড়া বাজার তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই ফয়েজ জানান, ঘটনা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের সহকারী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসাইনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার (এসপি) মোমতাসিরুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার বিকেলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ মাহাবুবুর রহমান।
লিখিত অভিযোগে অধ্যক্ষ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার কলেজে প্রবেশ করে গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসাইনকে তুই শিবির করিস বলে কানে-মুখে চড়-থাপ্পড় মারেন। পরে তিনি শিক্ষকদের কমনরুমে গিয়ে নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যান।
অভিযোগে আরও বলা হয়, নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক সুব্রত, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিদ মণ্ডল, খাতা চুরি মামলার আসামি রকিবুল ইসলাম মিল্টন, কর্মচারী তাপস ও সবুজ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোশাররফকেও লাঞ্ছিত করেন। তারা কলেজের কিছু নথি হাতিয়ে নিয়ে মোশাররফকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন। এ সময় কলেজের কর্মচারী তাপস ও সবুজ তাকে টানাহেঁচড়া করেন।
অধ্যক্ষ মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘কলেজ থেকে সরকারি খাতা চুরির বিষয় নিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশে মামলা করা হয় আদালতে। মামলাটি বর্তমান সিআইডি তদন্ত করছে। মামলার সাক্ষী গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন।
‘এ কারণে তার ওপর ক্ষুব্ধ আসামিরা। তারাও ওই কলেজে চাকরি করেন। বহিরাগতদের ডেকে খাতা চুরি মামলার আসামি রকিবুল ইসলাম মিল্টনসহ অন্যরা তাকে চড়-থাপ্পড় মারেন।’
অধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘কলেজের কাজে সহকারী অধ্যাপক মোশাররফ হোসেনকে সাময়িক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়। নন-এমপিও ৬১ নম্বর সিরিয়ালের জুনিয়র প্রভাষক সব্রত কুমার নন্দী ও খাতা চুরির মামলার আসামি সাবেক উপাধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মণ্ডল চুরির ঘটনা ধামাচাপা দিতে বহিরাগত, কলেজের স্টাফ সবুজ ও পিয়ন তাপসের সহায়তায় ত্রাস সৃষ্টিসহ মোশাররফ হোসেনকে লাঞ্ছিত করে।’
অভিযোগকারী শিক্ষক সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ‘এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার এসে শিক্ষক রুমের সবাইকে বের করে দেন। এরপর আমাকে শিবির করিস বলে থাপ্পড় মারেন। গ্রুপিং করিস কেন বলেই পরপর পাঁচ-ছয়টি থাপ্পড় মারেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই এমপি মারধর করেন।’
তিনি জানান, এমপি মারধরের আগে কিছু বহিরাগত দুষ্কৃতি তুই শিবির করিস বলে চড়-থাপ্পড় মারে। এতে তিনি কানে গুরুতর আঘাত পান।
এখন তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে জানান।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘একটি ফাইল হাতিয়ে নিতে সুব্রত ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মণ্ডল আটকে রেখে অপমান-অপদস্ত, এমনকি মারধর করতে উদ্যত হন। এ ধরনের একটি সরকারি ডকুমেন্ট নিতে হলে কালীগঞ্জ ইউএনওর সম্মতি ছাড়া দিতে পারব না বলে তাদের সাফ জানিয়ে দিই।’
বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আটক অবস্থা থেকে তারা ছেড়ে দেন বলে জানান মোশাররফ।
এ ব্যাপারে জানতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, কলেজের বিষয়টি তাকে কেউ জানায়নি। এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
অধ্যক্ষ তাকে জানানোর পরও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি- এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি ফোন কেটে দেন।
মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় অধ্যক্ষের অভিযোগ বিষয়ে এসপি মোমতাসিরুল ইসলামের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নওগাঁয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে প্রশ্নফাঁস চক্রের সক্রিয় সদস্য ও পরীক্ষার্থীকে এক মাসের সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পরীক্ষা চলার সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহারুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা প্রদান করেন। এর আগে জাতীয় গোয়েন্দো সংস্থার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মামুনকে আটক করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত মামুন জেলার পোরশা উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
ঘটনার সময় উপস্থিত ব্যক্তিদের বরাতে জানা গেছে, নওগাঁ শহরের জনকল্যাণ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই কেন্দ্রের ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে মামুনকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, দুটি সিম ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহারুল ইসলাম বলেন, ‘আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রশ্নফাঁস চক্রের অন্য সদস্যদের সহযোগিতায় এসএমএসের মাধ্যমে সরবরাহ করা উত্তরপত্র দেখে পরীক্ষা দেয়ার জন্য হলে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করে। পরে তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি আইন ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, মামুনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া তাকে যারা উত্তরপত্র সরবরাহ করছিল তাদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন:প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র জালিয়াতি চক্রের ১৩ সদস্যকে আটক করেছে রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
এ সময় জব্দ করা হয়েছে প্রশ্নের ফটোকপি, টাকা, ২০টি মোবাইল ফোন, ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজবাড়ী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রাণবন্ধু চন্দ্র কৃঞ্চ বিশ্বাস।
আটক ব্যক্তিরা হলেন ইব্রাহীম হোসেন, সাগর আহম্মেদ, বিজয় বালা, নুরুল হক হাওলাদার, হারুন সরদার, রেজাউল করিম, আবু সালাম, মুনছুর মণ্ডল, রুবেল মাহমুদ, মিজানুর রহমান, রুমান হাসান, মাইনুল ইসলাম, ও ফরিদা বেগম।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন নারী পরীক্ষার্থী ও পাঁচজন প্রাথমিক শিক্ষকও রয়েছেন।
চক্রের হোতা মাঈনুল ইসলাম হাওলাদারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জালিয়াতির ঘটনা স্বীকার করেছেন।
পুলিশ জানায়, তিনি তার সোনালী ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করেছে বলে জানায়। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র কৃঞ্চ বিশ্বাস জানান, রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামানের নির্দেশনায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দুপুরে জেলা শহরের নতুন বাজার এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে মিজানুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে একটি মামলা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আম পাড়তে বাধা দেয়ায় জয়দেব সরকার নামে এক ব্যক্তিকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
হত্যার ঘটনায় দুজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে রূপগঞ্জ থানায়। উপজেলার বিরাবো এলাকায় শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় বলা হয়, গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার বটবাড়ি এলাকার জয়দেব সরকার তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুনীল মালাকারের বাড়িতে বাস করতেন।
শুক্রবার বিকেলে বিরাবো গ্রামের অটোরিকশাচালক মাহবুবের স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও তার ছেলে সিয়াম সুনীল সরকারের গাছের আম পাড়ার সময় জয়দেব সরকার তাদের বাধা দেন। এ সময় তাদের সঙ্গে জয়দেরবের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রোকেয়া ও সিয়াম বাড়ির কেয়ারটেকার জয়দেব সরকারের গলা চেপে ধরেন। তখন জয়দেব সরকার মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
জয়দেব সরকারের ডাকচিৎকারে তার স্ত্রী-কন্যাসহ আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তারা পালিয়ে যান। পরে জয়দেব সরকারকে উদ্ধার করে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
রূপগঞ্জ থানার ওসি এ এফ এম সায়েদ বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে আম পাড়তে বাধা দেয়ায় ওই বৃদ্ধকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জয়দেব সরকারের মেয়ে তৃষ্ণা রাণী সরকার রোকেয়া বেগম ও তার ছেলে সিয়ামকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।’
মন্তব্য