বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় মুনাফার নিশ্চয়তার পরও বেক্সিমকোর আনা ইসলামি গ্রিন সুকুক বন্ডে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ নেই বললেই চলে। বন্ডটি পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরুর পর হাতবদল হচ্ছে খুবই কম। চাহিদা না থাকায় দ্বিতীয় দিনই তা নেমে গেছে অভিহিত মূল্যের নিচে। ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের বন্ড এখন পাওয়া যাচ্ছে ৯০ টাকা ৫০ পয়সায়।
বন্ডটি বছরে ন্যূনতম ৯ শতাংশ মুনাফা দেবে, যেভাবে ব্যাংকে টাকা রাখলে এখন পাওয়া যায় ৬ শতাংশের কম। মুনাফার হার আরও বেশি হতে পারে, আর বছর শেষে বন্ডে বিনিয়োগের বিপরীতে ২৫ শতাংশ কম দামে শেয়ার পাওয়ার সুযোগের কারণে মুনাফার হার ১৬ থেকে ১৭ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশিও হতে পারে।
এত আকর্ষণীয় মুনাফার সুযোগ থাকার পরও বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ কেন?- প্রাপ্ত তথ্য বলছে, বন্ডটি নিয়ে ধারণার অভাবের পাশাপাশি কারণ হিসেবে আছে এটি কেনাবেচায় মাত্রাতিরিক্ত মাশুলও।
এমনিতে শেয়ার কেনাবেচায় ১০০ টাকার বিপরীতে সর্বনিম্ন ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা পর্যন্ত কমিশন কাটে ব্রোকারেজ হাউস। তবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মাশুল, অগ্রিম কর আর ব্রোকারেজ হাউসের কমিশন মিলে সুকুক বন্ডে লাগতে পারে এর চেয়ে বহুগুণ।
সুকুক বা বন্ড কেনার ক্ষেত্রে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ নির্ধারিত লেনদেন মাশুল ৫০ টাকা, অগ্রিম কর দিতে হয় আড়াই টাকা ও বাকি সাড়ে ২২ টাকা ব্রোকারেজ হাউসের কমিশন। মোট সাড়ে ৭৪ টাকা দিতে হয় কমিশন। একই হারে কমিশন দিতে হবে সুকুক বিক্রি করার ক্ষেত্রেও।
এক শ টাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত বন্ড কিনলে সব মিলিয়ে কমিশন কাটা হচ্ছে সাড়ে ৭৪ টাকা। আর সেই একটি সুকুক বিক্রি করলেও একই হারে কমিশন দিতে হচ্ছে।
অর্থাৎ বড় অঙ্কের কিনলে কমিশনের চাপ বেশি বোধ না হলেও কেউ যদি কম টাকার কিনতে চান, তার কমিশন বেশি পড়ে যাচ্ছে।
ব্রোকারেজ হাউসগুলোর ট্রেডারদের বক্তব্য, পুঁজিবাজারে যে বন্ডগুলো আছে সেগুলোর অভিহিত মূল্য ৫ হাজার টাকা। আর বন্ডে যারা বিনিয়োগ করেন, তারা ডে ট্রেডিংয়ের উদ্দেশ্যে বা অল্প টাকায় বিনিয়োগ করে না। তারা বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করে থাকেন। কিন্তু সুকুকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ থাকায় বিষয়টি ভিন্ন হতে পারত। এখানে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ করার সুযোগ থাকা উচিত ছিল।
একাধিক ব্রোকারেজ হাউসের তথ্য বলছে, সুকুক আসার পর কেউ ১০টি, কেউ ৫০টি বন্ড কেনার অর্ডার দিতে গিয়ে কমিশনের কথা জেনে পিছিয়ে এসেছে।
কেউ যদি বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করেন, তাহলে তাকে কমিশনের কারণে একসঙ্গে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বন্ড বিক্রি করতে হবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ক্রেতা পাওয়া কঠিন।
অথচ যেকোনো কোম্পানির শেয়ার একটি করেও কেনাবেচা করা যায় এবং সে ক্ষেত্রে কমিশন হয় প্রতি ১০০ টাকায় ২০ বা ৫০ পয়সা হিসাবেই।
এ কারণে প্রথম দিন অভিহিত মূল্যের চেয়ে বেশি টাকায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বন্ড কেনার আদেশ এলেও পরের দিনগুলোতে ক্রয়াদেশ ক্রমেই কমছে।
গত ১৩ জানুয়ারি লেনদেন শুরুর প্রথম দিন সর্বোচ্চ দর উঠে ১১০ টাকা। দিন শেষে দর দাঁড়ায় ১০১ টাকা। সেদিন হাতবদল হয় ৩২ লাখ ৩২ হাজার ৭৭২টি বন্ড।
দ্বিতীয় কর্মদিবস ১৬ জানুয়ারিতেই অভিহিত মূল্যের নিচে নেমে আসে বন্ড। সেই সঙ্গে কমে চাহিদা। লেনদেন হয় ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৮০৪টিতে।
লেনদেন শুরুর ঠিক এক সপ্তাহ পর ২০ জানুয়ারি হাতবদল হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৭৬৪টি বন্ড।
কমিশনের নীতির কারণে সুকুক বন্ড লেনদেনে ধীরগতির এই বিষয়টি নজরে এসেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনেরও (বিএসইসি)।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বন্ডের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আগ থেকেই একটি চার্জ নির্ধারণ করা আছে। সেটি সুকুকের ক্ষেত্রেও কার্যকর হচ্ছে। তবে অন্যান্য বন্ডের তুলনায় সুকুকে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী বেশি। কিন্তু কমিশন বা চার্জ বেশি হওয়ায় আগ্রহ হারাচ্ছে। সেটি আমাদের নজরে এসেছে।
‘চার্জ নির্ধারণে বিএসইসি’র কিছু করার নেই। ডিএসই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে বিষয়টি দ্রুত সমাধানে ডিএসইকে এরই মধ্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আশা করি এ সমস্যা থাকবে না।’
ডিএসইর উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান বলেন, সুকুকের কমিশনের বিষয়টি সমাধানে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
সুকুক বন্ড বিনিয়োগকারীদের বছরে ৯ শতাংশ ন্যূনতম মুনাফা দেয়ার পাশাপাশি আরও নানা সুযোগের কথা উল্লেখ আছে। বলা হয়েছে, বেক্সিমকো লিমিটেডের লভ্যাংশ ১০ শতাংশের বেশি হলে যতটুকু বেশি হবে, তার ১০ শতাংশ যোগ হবে সুকুকের লভ্যাংশে।
২০২১ সালের জন্য বেক্সিমকো লিমিটেড বিনিয়োগকারীদের ৩৫ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আগামীতেও যদি একই হারে লভ্যাংশ দেয়, তাহলে এই ৩৫ শতাংশে ১০ শতাংশের অতিরিক্ত ২৫ শতাংশের ১০ শতাংশ হিসেবে আড়াই শতাংশ সুকুরের লভ্যাংশে যোগ হবে। অর্থাৎ তখন বন্ডধারীরা সাড়ে ১১ শতাংশ লভ্যাংশ পাবেন।
সুকুকের এই লভ্যাংশ করমুক্ত রাখার বিষয়েও আলোচনা চলছে। এমনিতে লভ্যাংশের ওপর ১০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ কর কাটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। সুকুকে সেটি না কাটা হলে প্রকৃত মুনাফা বেশি হবে।
আবার প্রতিবছর বিনিয়োগকারীরা ২০ শতাংশ টাকা তুলে নিতে পারবেন অথবা তিনি চাইলে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার নিতে পারবেন।
এখানেই রয়েছে বাড়তি মুনাফার সুযোগ। কারণ এই শেয়ার পাওয়া যাবে ২৫ শতাংশ কম দামে। রেকর্ড ডেটের আগের দুই সপ্তাহের ভরিত গড় হিসাব করে এই শেয়ার দেয়া হবে।
অর্থাৎ শেয়ার মূল্য ১০০ টাকা হলে বিনিয়োগকারী পাবেন ৭৫ টাকায়, শেয়ার মূল্য ২০০ হলে পাবেন ১৫০ টাকায়, আর শেয়ার মূল্য ৩০০ হলে পাবেন ২২৫ টাকায়, শেয়ার মূল্য ৪০০ টাকা হলে তিনি পাবেন ৩০০ টাকায়। এভাবে যে শেয়ার তিনি পাবেন, তাতে ৩৩ শতাংশ মুনাফা করার সুযোগ আছে। সব মিলিয়ে এক লাখ টাকায় ৫ বছরে ন্যূনতম ৭৮ হাজার টাকা মুনাফা পাবেন তিনি।
সুকুক হলো ইসলামিক শরিয়াহ নীতিমালা মেনে পরিচালিত বন্ড বা আর্থিক পণ্য। প্রচলিত বন্ডের সুদের পরিমাণ নির্ধারিত থাকে, কিন্তু তার বিপরীতে কোনো সম্পদের ব্যাকআপ থাকে না। তবে সুকুক নির্দিষ্ট সম্পদ বা প্রকল্পের বিপরীতে গঠিত হয়। ওই সম্পদ ও প্রকল্পের আয়ই আনুপাতিক হারে পেয়ে থাকেন সুকুক ইউনিটধারীরা।
সুদবিহীন সুকুক বন্ডের ৩ হাজার কোটি টাকার বেশির ভাগ অংশই দুটি সৌরচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগ করবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো লিমিটেড।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য