করোনাভাইরাস সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। নির্দেশ পাওয়ার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সশরীরে ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অনলাইনে সব ধরনের ক্লাস নেয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে চলমান সেমিস্টার ফাইনালের অবশিষ্ট লিখিত পরীক্ষাগুলো সশরীরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেয়া হবে।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইমদাদুল হক নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আগামী দুই সপ্তাহ আমাদের সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইনে ক্লাস চলবে।’
পরীক্ষার ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, ‘যেহেতু আমাদের পরীক্ষা প্রায় শেষ, আর দু-একটা ডিপার্টমেন্টে হয়ত ব্যবহারিক-মৌখিক পরীক্ষা বাকি আছে সেগুলো অনলাইনে নেয়া যেতে পারে।
‘যেসব বিভাগের পরীক্ষা চলছে সেসব বিভাগের চেয়ারম্যান, অনুষদের ডিন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
নিউজবাংলাকে উপাচার্য আরও বলেন, ‘আমরা গতকাল একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যেসব ডিপার্টমেন্টে করোনা সংক্রমণ ঘটেছে তাদের ক্লাসগুলো অনলাইনে আর বাকিরা আপাতত সশরীরে নেয়ার। কিন্তু যেহেতু প্রজ্ঞাপন আসছে তাই এখন থেকে সব ডিপার্টমেন্টের সব ক্লাস অনলাইনে হবে।’
এদিকে উপাচার্যের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত ক্লাস-পরীক্ষা ও অফিস খোলা নিয়ে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইনে ক্লাস চলবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব বিভাগে পরীক্ষা চলছে, সেগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও অনুষদের ডিনদের আলোচনা সাপেক্ষে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিতে পারবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অফিস স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
পরীক্ষার বিষয়ে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল নিউজবাংলাকে জানান, চলমান সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার যে কয়টি লিখিত পরীক্ষা বাকি আছে সেগুলো যথানিয়মে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে নেয়া হবে। কোনো মৌখিক বা ব্যবহারিক পরীক্ষা সশরীরে নেয়া হবে না। সেগুলো অনলাইনে হবে।
চলবে না বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ্-আল্- মাসুদ নিউজবাংলাকে জানান, ক্লাস বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলবে না। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে সীমিত পরিসরে বাস চলবে।
চলবে ভর্তি
ক্লাস বন্ধ থাকলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষে ভর্তি চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জন্য দেশের সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর গত বছরের ৭ অক্টোবর সশরীরে পরীক্ষার মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হয়।
আরও পড়ুন:যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সময়োপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা শনিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রথমে সাক্ষাৎ করে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সামসুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। এরপর আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এয়ার ভাইস মার্শাল মো. নজরুল ইসলাম।
সাক্ষাৎকালে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন উপাচার্যরা।
বিশ্বায়নের এই যুগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে এবং বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে দেশের নতুন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে।
‘গতানুগতিক কারিকুলামে বর্তমান যুগের চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সময়োপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে সব স্তরে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি বন্ধের নির্দেশ দেন আবদুল হামিদ।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব সংযুক্ত ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:হামলার প্রতিবাদে ছাত্রদলের ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আসতে পারে, এই ধারণায় স্ট্যাম্প, লাঠিসোঁটা নিয়ে ও হেলমেট মাথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
তাদের একটি অংশকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মোটরসাইকেলের শোডাউনও দিতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, অন্যদিনের তুলনায় আজকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঢিলেঢালা অবস্থায় ছিলেন। লাঠিসোঁটাগুলো একপাশে রাখা ছিল, সবার হাতে হাতে ছিল না।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ছাত্রদল আসেনি। তারা বলছেন, আজকের কর্মসূচি জেলা এবং মহানগর ইউনিটের জন্য।
গত সোমবার সংবাদ সম্মেলন করতে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দুই সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ হয়।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট এলাকায় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় শনিবার দেশের সব জেলা ও মহানগর ইউনিটে বিক্ষোভ কর্মসূচি ডেকেছে ছাত্রদল।
রোববার সব উপজেলা, থানা, পৌরসভা ও কলেজে মিছিল করবে সংগঠনটি।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের এক নেতা জানান, আজকের কর্মসূচি শুধু জেলা ও মহানগর ইউনিটের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ তাদের কোনো কর্মসূচি নেই।
এদিকে হল ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ইউনিটের নেতাকর্মীরা সকাল ৯টায় হল থেকে বের হয়ে ছাত্রদলকে রুখে দেয়ার স্লোগান দিতে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) জড়ো হতে থাকেন। ওই সময় সব হল থেকে লাঠিসোঁটাও বের করা হয়।
এরপর বিভিন্ন হল ইউনিট ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েন। এসব লাঠিসোঁটা যে হলের, যেখানে অবস্থান, তার একপাশে জড়ো করে রাখা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য, ডাস চত্বর, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, আইন অনুষদ, কার্জন হল এবং চাঁনখারপুলের সামনে নেতাকর্মীদের অবস্থান দেখা গেছে। ওই সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন গানও পরিবেশন করেন।
বেলা পৌনে একটা পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অবস্থান ছিল।
সাংবাদিক ও কলাম লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আনার আগে তারা পয়েন্টগুলো থেকে অবস্থান সরিয়ে নেয়।
পরে ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়ে হলে ফিরে আসেন।
ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের এমন অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ আচরণ এবং সহযোগিতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যাশা করে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণার্থে যেসব জিনিস আমাদের কাজে লাগবে সেগুলোই শিক্ষার্থীরা গ্রহণ করবে।’
ছাত্রলীগের এই অবস্থানকে সহযোগিতা হিসেবে দেখছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো সংগঠনের নাম উল্লেখ করিনি। শিক্ষার পরিবেশ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেই শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের স্বার্থে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থেকে সহযোগিতা করাটাই বড় উন্নয়ন।
‘আমরা সবার কাছে সহযোগিতা চাইছি। কেউ যদি সহযোগিতা না করে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ঝামেলা সৃষ্টি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমাদের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সুস্পষ্ট অনুরোধ এবং নির্দেশনা দেয়া আছে। এতে কার কী পরিচয় সেটা আমাদের কাছে বড় নয়।’
আরও পড়ুন:গুচ্ছ পদ্ধতিতে দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ, পরীক্ষা ফি, পরীক্ষা কেন্দ্র বাছাই, ভর্তি কার্যক্রমসহ একাধিক বিষয়ে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে।
সেশনজট কমাতে এগিয়ে নিয়ে আসা হবে পরীক্ষার সময়, সামান্য বাড়তে পারে পরীক্ষা ফি-ও। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার এসব বিষয়ে আগামী ৩০ মে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত উপাচার্যদের একটি সভা শেষে এসব বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. ড. ইমদাদুল হক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ আমাদের প্রস্তুতিমূলক মিটিং হয়েছে। এবার আমরা চেষ্টা করছি ভর্তির পর মাইগ্রেশন হলে আবার টাকা দেয়ার প্রয়োজন যাতে না হয়। আমরা এবার চেষ্টা করব একসাথে ভর্তি কার্যক্রম চালাতে, যাতে ক্লাস শুরু করতে বিলম্ব না হয়।’
পরীক্ষার তারিখ এগিয়ে নেয়া ও ফি বাড়ানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার ফি বাড়তে পারে; কারণ সবকিছুর দাম বেড়েছে। তবে খুব বেশি বাড়ানো হবে না। আমরা চেষ্টা করছি পরীক্ষার সময় এগিয়ে নিতে। অন্তত দেড়মাস এগিয়ে নিতে পারলেও, সেশনজট অনেকটা কমাতে পারব আমরা।’
সার্বিক বিষয়ে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘গতবার শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার কেন্দ্র বাছাই দিতে হয়েছিল অনেকগুলো। কিন্তু এবার কেন্দ্র হিসেবে একটি বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করতে বলা হবে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্র পছন্দ থাকবে, সেই বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নেবে কীভাবে তাদের ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নেয়া যায়। একটি কেন্দ্রের অধীনে আশেপাশের স্কুল-কলেজে সিট পড়তে পারে। নিজ এলাকার বাইরে গিয়ে ভোগান্তি নিয়ে যেন পরীক্ষা দিতে না হয় সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরীক্ষার তারিখ, ফিসহ সব বিষয়ে আগামী ৩০ মে পরবর্তী সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সভা শেষে ফি, পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে।’
উপাচার্য ইমদাদুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগে একজন শিক্ষার্থী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পরে তা বাতিল করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে দুই জায়গায় ফি দেয়া লাগতো। এবার আমরা মাইগ্রেশনের বিষয়টি চালু করব, সাথে ভর্তি ফির বিষয়টিও সংযুক্ত করব; যেন কেউ এক বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে ফি সমন্বয় করে দেয়া যায়। সে বিষয়টি পরবর্তী সভায় আমরা তুলব। শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ, শ্রম, কষ্ট এমনকি আর্থিক বিষয়ে যতটা সম্ভব সাশ্রয়ী করা যা সে ব্যাপারে আমরা ভাবছি।’
গত ৮ এপ্রিল গুচ্ছের সমন্বয় কমিটির সভায় এই পদ্ধতিতে সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৩ সেপ্টেম্বর, ১০ সেপ্টেম্বর মানবিক আর সবশেষ ১৭ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবারের মতো দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে অংশ নিলেও এবার নতুন ২টি বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হয়েছে।
গুচ্ছভুক্ত ২২টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
এ ছাড়া রয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন:জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অনুষ্ঠিত ২০২০ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল পুনর্নিরীক্ষণ শুরু হবে আগামী ২৯ মে থেকে। চলবে ২৩ জুন বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
পুনর্নিরীক্ষণের জন্য কোর্স প্রতি ফি দিতে হবে ৮০০ টাকা।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামানের সই করা অফিস আদেশে বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করে পে স্লিপ ডাউনলোড করে নিকটস্থ সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখার মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা জমা দিতে হবে অথবা সোনালী ব্যাংকের অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা- নগদ, বিকাশ, রকেট অথবা বিভিন্ন ধরনের কার্ড যেমন- আমেরিকান এক্সপ্রেস, ভিসা, ডিবিবিএল, নেক্সাস, মাস্টার কার্ড অথবা সোনালী ব্যাংকের হিসাবধারীরা নিজ হিসাব থেকে অনলাইনে টাকা ট্রান্সফার করে আবেদন করতে পারবে। ফি জমাদানের সঙ্গে সঙ্গে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হবে।
নির্ধারিত সময়ের আগে অথবা পরে আবেদন ফরম পূরণ করা, পে স্লিপ ডাউনলোড করা এবং টাকা জমা দেয়া যাবে না।
ব্যাংকে প্রচলিত অন্য কোনো ফরমে টাকা জমা প্রদান করা হলে এবং পরবর্তী সময়ে যেকোনো প্রকার জটিলতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। আবেদনের সময় পত্র কোড যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে।
গত ২৪ মে অনার্স চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। পরীক্ষায় দেশের ৭৩৩টি কলেজের ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৭ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন:রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রথম বর্ষে ভর্তির আবেদন নেয়া শুরু হয়েছে। এক দিনেই ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রাথমিক আবেদন জমা হয়েছে প্রায় ৪২ হাজার। এ প্রক্রিয়া চলবে ৯ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক বাবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যাপক বাবুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তিনটি ইউনিটে সর্বমোট ৪১ হাজার ৭৪১টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে আবেদন জমা পড়েছে ১৩ হাজার ৫১৮টি, ‘বি’ ইউনিটে ১২ হাজার ৬৭টি এবং ‘সি’ ইউনিটে ১৬ হাজার ১৫৬টি।’
তিনি জানান, বুধবার দুপুর ১২টা থেকে প্রাথমিক আবেদন শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে আবেদনকারীদের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতি ইউনিটে ৭২ হাজার ভর্তিচ্ছু চূড়ান্ত আবেদনের জন্য নির্বাচিত হবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এবারের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৪ থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে আগামী ১৫ জুন থেকে চূড়ান্ত আবেদন শুরু হবে। চলবে ২৮ জুন পর্যন্ত। এবার তিনটি (এ, বি, সি) ইউনিটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।’
ভর্তিচ্ছুদের আবেদন যোগ্যতা নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘’বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫ সহ দুটি মিলিয়ে কমপক্ষে ৮ থাকতে হবে। ব্যবসায় শাখা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫ সহ দুটি মিলিয়ে কমপক্ষে ৭.৫ থাকতে হবে।
‘মানবিকের শিক্ষার্থীদের আবেদনের জন্য এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ কমপক্ষে ৩ পয়েন্টসহ দুটিতে কমপক্ষে জিপিএ ৭ থাকতে হবে। এ ছাড়া এবার দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ থাকছে।’
ভর্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ১৫টি বিভাগের ১৬৮টি আসন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন। শিক্ষা ও গবেষণার মান সুষ্ঠুভাবে ধরে রাখতে আসন সংখ্যা কমানোর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রাবির একাডেমিক শাখা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে আসনসংখ্যা ছিল ৪১৭৩টি। ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে তা কমিয়ে করা হয়েছে ৪০০৫টি। বাংলা বিভাগে আসন কমেছে ২০টি, ইতিহাস বিভাগে ১০টি, নাট্যকলা বিভাগে ৫টি, অর্থনীতি বিভাগে ১০টি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ১০টি, সমাজকর্ম বিভাগে ২০টি।
এ ছাড়া সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ২০টি, লোকপ্রশাসন বিভাগে ১০টি, নৃবিজ্ঞান বিভাগে ৬টি, ফোকলোর বিভাগে ৬টি, মনোবিজ্ঞান বিভাগে ৫টি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১৫টি, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১০টি, প্রাচ্যকলা, চিত্রকলা এবং ছাপচিত্র বিভাগে ১৫টি এবং ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগে আসন কমেছে ৬টি।
রাবির জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার বলেন, ‘শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও যথোপযুক্ত দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা-সামর্থ্য এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাহিদা বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আসনসংখ্যা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে পাঠদান দ্বিমুখী এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যাবে।’
৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা হয়েছে।
২০০ নম্বরের পরীক্ষা শুরু হয় শুক্রবার সকাল ১০টায়, যা শেষ হয় দুপুর ১২টায়।
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) জানিয়েছে, এ পরীক্ষায় প্রার্থী ছিলেন মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। অনলাইনে আবেদন শুরু হয় একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর।
প্রথম দফায় আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। পরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ না হওয়ায় তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করে পিএসসি।
কোন ক্যাডারে কত নিয়োগ
এই বিসিএসে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে শিক্ষা ক্যাডারে। এ ক্যাডারে ৭৭৬ জনকে নিয়োগ দেয়ার কথা রয়েছে।
এ ছাড়া প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০, পুলিশে ৫০, পররাষ্ট্রে ১০, আনসারে ১৪, অর্থ মন্ত্রণালয়ে সহকারী মহাহিসাবরক্ষক (নিরীক্ষা ও হিসাব) পদে ৩০, সহকারী কর কমিশনার পদে ১১, সহকারী নিবন্ধক (সমবায়) পদে ৮ ও সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট/ট্রাফিক (রেলওয়ে) নিবন্ধক পদে ৭ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে।
একই সঙ্গে তথ্য মন্ত্রণালয়ে সহকারী পরিচালক বা তথ্য কর্মকর্তা বা গবেষণা কর্মকর্তা পদে ১, সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) পদে ৭, সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক পদে ২, সহকারী পোস্টমাস্টার পদে ২৩, সহকারী নিয়ন্ত্রক (বাণিজ্য) পদে ৬, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (পরিবার পরিকল্পনা) পদে ২৭ এবং সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক পদে ৩ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে।
প্রফেশনাল ক্যাডারে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী পদে ১, সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী পদে ৮, সহকারী সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী পদে ৬, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক পদে ১, সহকারী বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী পদে ২ (তথ্য) ও সহকারী বন সংরক্ষক পদে ৫ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে।
আরও পড়ুন:জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এক কর্মীকে তুলে এনে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা গেরুয়া থেকে তাকে তুলে আনা হয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
হেনস্তার শিকার ছাত্রদল কর্মী রাজন হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
তিনি বলেন, ‘আজ ছাত্রদলের একটি পোগ্রামে অংশ নিয়েছিলাম। ওই প্রোগ্রামের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়। সেগুলো দেখে মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগের কর্মীরা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং গেরুয়া থেকে আমাকে তুলে নিয়ে হেনস্তা করে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগ কর্মী সাগর সিদ্দিকী এ বিষয়ে বলেন, ‘ছাত্রলীগ সব ধরনের নাশকতা বিশৃঙ্খলার বিপক্ষে লড়ে যাচ্ছে। রাজনসহ ছাত্রদল কর্মীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। আমরা জানার পর রাজনকে ধরি। তাকে কোনোভাবেই হেনস্তা করা হয়নি। বরং শুধু মুচলেকা নেয়া হয়েছে। সে লিখিত মুচলেকা দিয়েছে যে এরকম আর ভবিষ্যতে করবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘আমরা সবসময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিপক্ষে। ক্যাম্পাসের পরিবেশ অস্থিতিশীল হোক এটা আমরা কখনো চাই না। ছাত্রদল কর্মীরা ক্যাম্পাসে সুবিধা করতে পারছে না। এজন্য ওরা ঢাকা-আরিচা রোডে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছিল। তখন ছাত্রলীগ কর্মীরা একজনকে ধরে। সে মুচলেকা দেয় যে এরকম কিছু ভবিষ্যতে করবে না। তবে কারো গায়ে হাত তোলা হয়নি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘আমাকে কোনো অভিযোগপত্র দেয়া হয়নি। অভিযোগপত্র পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক একটি মন্তব্যের প্রতিবাদ এবং ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের ওপর পুলিশি হামলা ও মামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক হয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের গেট পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য