রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হল খোলা রেখে সশরীরে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ইনস্টিটিউট নিজ নিজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
শুক্রবার বিকেলে রাবি প্রশাসনের সভা শেষে জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রদীপ কুমার পান্ডের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অফিস সীমিত পরিসরে রোববার থেকে বৃহস্পতিবার (সরকারি ছুটির দিন ছাড়া) পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু থাকবে।
বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, ইন্টারনেট, চিকিৎসা, পরিষ্কার-পরিছন্নতাসহ জরুরি পরিষেবাও চালু থাকবে।
শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ আবাসস্থলে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবস্থান করার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অধিকতর মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
দাপ্তরিক প্রয়োজন ছাড়া বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করার জন্য বলা হয়েছে। ক্যাম্পাসে সভা, সমাবেশ ও জনসমাগম না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়।
এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে রাখার দাবিতে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যা ৬টার দিকে কর্মসূচি শেষ করে হলে ফিরেছেন।
অবস্থান কর্মসূচি
এর আগে করোনার কারণে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেল ৪টায় রাবি শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সচল রাখার দাবি জানানো হয় কর্মসূচি থেকে।
সারা দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুই সপ্তাহ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় সরকার। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিকেল ৫টার দিকে জরুরি সভায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখার দাবিতে তারা অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করেন। সিদ্ধান্ত অনুকূলে না এলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচিতে রাবির ফলিত রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান রাকিব বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের যে ঘোষণা স্বাস্থ্যমন্ত্রী দিয়েছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সিদ্ধান্তের জন্য মিটিং হবে৷ তা শুনে আমরা এখানে অবস্থান নিয়েছি। প্রায় দেড় বছর পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে। আমরা মাত্র ফার্স্ট সেমিস্টার পরীক্ষা দিয়েছি৷ সামনে সেকেন্ড সেমিস্টার পরীক্ষা৷ এর মধ্যেই আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের টালবাহানা চলছে। নিঃসন্দেহে তারা শিক্ষা খাতকে নষ্ট করার জন্য উঠে-পড়ে লেগেছেন।’
ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন রাবি ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাব্বত হোসেন মিলন।
আরও পড়ুন:পাহাড় থেকে দল বেঁধে নেমে আসে হাতি। গুঁড়িয়ে দেয় মানুষের ঘর-বাড়ি, নষ্ট করে ফসলি জমি। এমনকি হাতির আক্রমণে মানুষের মৃত্যুও ঘটে।
ক্ষতি থেকে বাঁচতে হাতির এমন উন্মত্ত্ব পালকে সংঘবদ্ধ হয়ে, ভয় দেখিয়ে তাড়া করে মানুষও। তাড়া খেয়ে পালিয়ে যায় হাতিরা। মাঝেমাঝে ঘটে তাদেরও প্রাণহানি।
শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় এলাকায় হাতি-মানুষের এমন দ্বন্দ্ব বহু বছর ধরেই চলছে। ভারত সংলগ্ন শেরপুর জেলার শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তজুড়ে এই গারো পাহাড় অঞ্চল। এখানে ভারত থেকে নেমে আসা বন্য হাতিরা প্রায়ই বিচরণ করে।
বর্তমানে হাতির একাধিক দল ওই পাহাড়ি এলাকায় স্থায়ীভাবেই অবস্থান নিয়েছে। খাদ্যের সন্ধানে তারা ঘন ঘন নেমে আসছে লোকালয়ে। ক্ষিপ্ত হাতিদের তাড়াতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। বর্তমানে আতঙ্কে দিন কাটছে সীমান্তবাসীর।
এমন ভীতিকর পরিস্থিতির জন্য হাতির খাদ্য সংকটকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ক্ষেত্রে পাহাড়ে ফলজ ও পরিবেশ সহায়ক বনজ বৃক্ষ নিধন এবং হাতির খাদ্য হিসেবে চিহ্নিত গাছপালা রোপণ না করে ক্ষতিকর আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানোকেই সবচেয়ে বেশি দায় দিচ্ছেন তারা। খাদ্য না পেয়েই জীবন বাঁচাতে লোকালয়ে চলে আসছে হাতির দল। মানুষ তাদেরকে তাড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। এতে হাতিও ক্ষিপ্ত হচ্ছে। ক্ষিপ্ত হাতির আক্রমণে মারা পড়ছে মানুষ। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মারা পড়ছে হাতিও।
সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য না থাকলেও বন বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা এবং স্থানীয় মানুষেরা দাবি করেছেন, হাতি তাড়াতে গিয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত শতাধিক মানুষের মৃত্যু ছাড়াও আহত হয়েছেন সহস্রাধিক। এসব ঘটনায় অর্ধশতাধিক হাতিও মারা পড়েছে। হাতি-মানুষের এই দ্বন্দ্বের নিরসন চায় এখন সীমান্তবাসী।
সীমান্তবর্তী রাংটিয়া গ্রামের আলম হোসেন বলেন, ‘পাহাড়ে হাতি আইলে আমরা ঘুমাইতেও পারি না। কেমনে ঘুমাই? ঘুমের মধ্যে হাতি চইলা আইলে বাঁচুম কেমনে? হাতি আইলে কামেও যাইতে পারি না। কারণ রাতে হাতি পাহারা দিয়া সারা দিন ঘুমাই।’
ছোট গজনীর কাশেম মিয়া বলেন, ‘পাহাড়ে অনেকদিন ধরেই হাতি আছে। কিন্তু পাহাড় থেকে এরা এখন আমাদের গ্রামে চলে এসেছে। আমি লিচু আর কাঁঠালের বাগান করছি এক একর জমিতে। কিছুদিন পরই পেকে যেতো লিচুগুলো। কিন্তু হাতির ভয়ে ভালো করে পাকার আগেই সব লিচু পেড়ে বেচে দিচ্ছি।’
তাওয়াকুচার তোতা মিয়া বলেন, ‘হাতি তো আইতে আইতে আমাদের গ্রামেও চলে আইছে। এইডাই ডর। আমাদের যেন জীবনের ক্ষতি না করে আবার।’
নওকুচি গ্রামের ফজেন মারাক জানান, পাহাড় থেকে নেমে তাদের পাড়ার খুব কাছেই ৩০ থেকে ৪০টি হাতি অবস্থান করছে। এ জন্য গ্রামের সবাই এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে এখন আসলে খাবারের অভাব। তাই আমগোর বাড়িঘরে হাতি নাইমা আহে। পাহাড়ে আগে পশুপাখির খাবারের অনেক গাছ আছিল। অহন নাইক্কা। পশুপাখির খাবারের গাছ থাকলে আমাদের ওপর আক্রমণ কম হতো।’
শেরপুরের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মুহাম্মদ মকরুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ‘পাহাড়ে হাতির বিচরণ দেখা যাচ্ছে। রাংটিয়া রেঞ্জের তাওয়াকুচা ও গজনী এলাকাগুলো একসময় হাতির রাস্তা ও বিচরণ ভূমি ছিল। তাই সেই রাস্তা ব্যবহার করতে গিয়ে হাতি লোকালয়ে ঢুকে পরছে। আমরা সবাইকে নিয়ে চেষ্টা করছি যেন হাতিগুলো লোকালয়ে না আসে। তবে মানুষ-হাতি উভয়কে রক্ষা করতে গিয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য একটি অভয়ারণ্য তৈরির কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ চলছে বলেও জানান এই বন কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:বরিশালের উজিরপুরে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় শিশুসহ আট যাত্রী নিহত হয়েছেন।
বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে উজিরপুর উপজেলার বামরাইলে রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আরশাদ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, যমুনা পরিবহনের বাসটি ঢাকা থেকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার দিকে যাচ্ছিল। বামরাইলে এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই শিশুসহ আটজনের মৃত্যু হয়। আহত হন ২০ জন।
আহতদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এখনও হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট লিডার মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমাদের দুটি ইউনিট উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। বাসটি গাছের মধ্যে ঢুকে গেছে। গাড়ি কেটে হতাহতদের বের করতে হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:বরিশাল নগরীর ব্যস্ততম একটি সড়কে প্রাইভেটকার উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর ফজলুল হক অ্যাভিনিউ এলাকায় জেলা জজ কোর্টের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী নূরুল আমিন বলেন, ‘লঞ্চঘাটের দিক থেকে নীল রঙের প্রাইভেটকারটি দ্রুতগতিতে কাকলীর মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় ফজললু জজ কোর্টের সামনে স্পিড ব্রেকার পার হওয়ার সময় ব্রেক ফেল করে উল্টে যায় গাড়িটি।’
তিনি জানান, দুর্ঘটনার সময় প্রাইভেটকারটিতে চালক ছাড়া কেউ ছিলেন না। পরে গাড়ির মালিক ঝালকাঠি জেলা সমাজসেবা প্রবেশন কর্মকর্তা সাদিয়া আয়েশা ঘটনাস্থলে আসেন। তবে দুর্ঘটনাকবলিত ওই গাড়িটি আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
দুর্ঘটনার বিষয়ে প্রাইভেটকারটির চালক মো. সাগর বলেন, কিভাবে গাড়ি উল্টে গেল বুঝতে পারছি না।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘দুর্ঘটনার কারণে কিছু সময় ওই লেনে যান চলাচল বন্ধ ছিল। উল্টে যাওয়া প্রাইভেটকারটি আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:ঝালকাঠি পৌর খেয়াঘাট এলাকার তরুণ সিরাজুল ইসলাম। দেড় বছর ধরে পালন করছেন ঘোড়া। ঘোড়দৌড় আর গাড়ি চালানোর জন্য তার আস্তাবলে রয়েছে ছয়টি তরতাজা ঘোড়া। যার দুটি দিয়ে চালান গাড়ি, যা তার আয়ের অন্যতম উৎস। আর দুটি দিয়ে গ্রাম্য ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা করেন সিরাজুল।
তার ঘোড়ার গাড়ি ঝালকাঠিতে বেশ জনপ্রিয়। বিয়ে, শো-ডাউন, ঘুরতে যাওয়াসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভাড়া দিয়ে পয়সা রোজগার করেন সিরাজুল।
গাড়ি টানার জন্য পালন করা তার দুটি ঘোড়ার একটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সিরাজুল।
তার অভিযোগ, তার সঙ্গে কথাকাটাকাটির একটা পর্যায়ে আস্তাবলের পাশে বাস করা নজরুল তার ঘোড়া হত্যার হুমকি দেয়। পরে তার একটি ঘোড়া বিষপ্রয়োগ ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়।
সিরাজুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে ঘোড়াগুলো রাখতাম। তার পাশেই নজরুল নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে শুক্রবার রাতে আমার সাথে তর্ক হয়। তখন নজরুল আমাকে ধমক দিয়ে বলেছে, আমাকে ঘোড়ার গাড়ির ব্যবসা করতে দিবে না, কী করে ঘোড়া পালি সেটা সে দেখিয়ে দেবে।’
সিরাজুল আরও বলেন, ‘শনিবার সকালে ঘোড়া দুটো শিশুপার্কের মাঠে বেঁধে রেখে বাসায় যাই। দুপুর আড়াইটার দিকে ঘোড়া আনতে গিয়ে দেখি একটি ঘোড়া মৃত অবস্থায় মাঠে পড়ে আছে। দেখি ঘোড়াটির শরীরে পেটানো ও পায়ের রগ কাটার চিহ্ন।’
তিনি বলেন, ‘শনিবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় পশু চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে পারিনি।’
সিরাজুলের দাবি, তার ঘোড়াকে বিষাক্ত কিছু খাইয়ে হত্যা করেছে নজরুল।
শনিবার বিকেলে প্রাণি হত্যার বিচারের দাবিতে মৃত ঘোড়া ভ্যানে তুলে সদর থানায় নিয়ে যান সিরাজুল। তিনি পুলিশের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন।
বলেন, নজরুল ইসলাম তার ঘোড়া হত্যা করেছেন।
পরে সদর থানা পুলিশের পরামর্শে সন্ধ্যা ৬টায় ঘোড়াটিকে পৌর কসাইখানা সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর পাড়ে মাটিচাপা দেন সিরাজুল।
ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে সিরাজুলের ঘোড়া রাখার ঘরে গিয়ে দেখা যায়, ওই ঘরটির পাশেই অভিযুক্ত নজরুলের একটি গোয়ালঘর রয়েছে। প্রায়ই গরুর দড়ি না পেয়ে সিরাজুলকে দোষারোপ করতেন নজরুল।
ঘোড়া হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে নিউজবাংলাকে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘোড়ার মৃত্যু সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে।’
ঝালকাঠি সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সিরাজুলকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি, অভিযোগ পেলে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে সেক্ষেত্রে ঘোড়ার ময়নাতদন্ত করতে হবে।’
আরও পড়ুন:এক বিধবাকে লাঠিপেটা করা হচ্ছে- ১০ সেকেন্ডের এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
নাটোরের সিংড়ায় শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটলেও শনিবার তা ভাইরাল হয়। পরে শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে অভিযুক্ত আইয়ুব আলীকে আটক করেছে পুলিশ।
সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকালে উপজেলার বেলোয়া গ্রামের এক বিধবা বাড়ির পাশ্ববর্তী এক দোকানে সেমাই কিনতে যায়। এ সময় একই গ্রামের অছিমদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে আইয়ুব আলীর সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আইয়ুব ওই নারীকে অশ্লীল গালিগালাজের পাশাপাশি লাঠি দিয়ে একের পর এক আঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে আইয়ুব ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।
এ ঘটনায় ১০ সেকেন্ডের ভাইরাল ভিডিওটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে এলে শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে বেলোয়া গ্রাম থেকে আইয়ুব আলীকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ পরিদর্শক আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরেই আইয়ুব আলী ওই বিধবাকে উত্যক্ত করতেন। এর প্রতিবাদ করায় মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় আইয়ুবকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী।
আরও পড়ুন:নরসিংদীতে নবজাতকসহ প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ আটক করেছে মেরী স্টোপস ক্লিনিকের ম্যানেজারসহ দুজনকে।
ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে শহরের বাসাইল এলাকার ক্লিনিকটিতে শনিবার দুপুরে ভাঙচুর করেন স্থানীয়রা।
পুলিশ ও রোগীর স্বজনরা জানান, শহরের শালিধা এলাকার হান্নান মিয়ার স্ত্রী সালেহা বেগমকে শুক্রবার ভর্তি করা হয় মেরী স্টোপস ক্লিনিকে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক হেলেনা হালিম রিপোর্ট দেখেই দ্রুত সিজার করার পরামর্শ দেন। প্রসূতি ও তার স্বজনরা রাজি না হলে চিকিৎসক তাদের জানান দেরি করলে বাচ্চার ক্ষতি হবে।
স্বজনদের অভিযোগ, সালেহা বেগমকে অনেকটা জোর করেই অপারেশনের জন্য নিয়ে যান চিকিৎসক হেলেনা। কিন্তু অপারেশনের টেবিলেই সালেহা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চিকিৎসক রোগীকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। স্বজনদের না জানিয়েই তাকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেয়া হয়।
রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মা ও নবজাতককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ভুল চিকিৎসায় নরসিংদীতেই সালেহার মৃত্যু হয় এবং তা গোপন করে মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় পাঠানো হয় বলে অভিযোগ তুলে স্বজন ও এলাকাবাসী শনিবার দুপুরে ক্লিনিকে হামলা চালান।
নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ক্লিনিকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। ক্লিনিকের ম্যানেজারসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রসূতির মৃত্যু ও ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে মেরী স্টোপস ক্লিনিক সংশ্লিস্ট কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন:নওগাঁয় বিল থেকে হাঁসের দল নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নে সরাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই কৃষকের নাম আয়েন উদ্দীন। তার বয়স ৫০ বছর। তিনি শিকারপুর ইউনিয়নের সরাইল গ্রামের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন করেছেন নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ‘নিহত আয়েন উদ্দীন হাঁসের খামার রয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ির পাশে গুটিয়ার বিল থেকে হাঁসের দল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। আয়েন উদ্দীন পেশায় কৃষক।’
ওসি আরও জানান, বজ্রপাতে মারা যাওয়ার কারণে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। রোববার সকালে তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য