জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রেস ক্লাবের নির্বাচন আগামী ২৪ জানুয়ারি।
বৃহস্পতিবার সাধারণ সভা শেষে সংগঠনটির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সাদেক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘জবি প্রেস ক্লাবের কার্যক্রম আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে আগামী ২৪ জানুয়ারি নতুন কমিটি গঠন করতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দিনই বিকেলে ভোটার তালিকা প্রকাশ ও মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়। মনোনয়ন ফরম পূরণের শেষ সময় ২২ জানুয়ারি দুপুর ১২টা। ওই দিনই বিকাল ৪টায় প্রার্থিতা যাচাই ও প্রকাশ করা হবে।
২৪ জানুয়ারি সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাশ ভবনের চতুর্থ তলায় ৪০৪ নম্বর কক্ষে ভোটগ্রহণ হবে। একই দিন বেলা সাড়ে ৩টায় ভোটের ফল প্রকাশ করা হবে।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইমরান আহমেদ অপু বলেন, ‘আমরা সব সময় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটাধিকারের পক্ষে। আশা করি একটি সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে গতিশীল নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়ে এই সংগঠনকে এগিয়ে নেবে।’
পার্বত্য এলাকায় শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ এলাকায় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা, প্রতিষ্ঠানের ধরন, কী ধরনের লেখাপড়ার প্রয়োজন এগুলো যাচাই করা হবে। এরপর পার্বত্য এলাকার শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নে একটি নীতিমালা তৈরি করা হবে। যার ভিত্তিতে পার্বত্য এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়নে পদক্ষেপ নেবে সরকার।
সরকারের এ উদ্যোগের কথা নিউজবাংলাকে জানান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) রূপক রায়।
জানতে চাইলে পার্বত্য এলাকার শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নে গঠিত কমিটির সভাপতি ও মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহেদুল ///খবির চৌধুরী বলেন, ‘যোগাযোগব্যবস্থাসহ নানা কারণে এখনও পার্বত্য এলাকায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় পিছিয়ে রয়েছে। এর থেকে উত্তরণে আমরা বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এর অংশ হিসেবে পার্বত্য এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিওভুক্তিসহ শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য একটি নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
শিক্ষাবিদরা বলছেন, সরকারের এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে পার্বত্য এলাকার শিক্ষাব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আসবে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারিক আহসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকারের এ উদ্যোগ অবশ্যই ইতিবাচক। তবে এটা যে শুধু পার্বত্য এলাকার জন্য দরকার তা কিন্তু নয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার ভিন্ন ভিন্ন চাহিদা ও পরিবেশ রয়েছে, এগুলো চিহ্নিত করে মাউশির একটি ক্রাশ প্রোগ্রাম নেয়া উচিত। পার্বত্য এলাকা এর মধ্যে অন্যতম।
‘পার্বত্য এলাকার জীবনাচরণের যে বৈচিত্র্য রয়েছে, তা কখনই ঢাকার শিক্ষার্থীদের মতো হবে না। এই যে পরিবর্তিত পরিবেশ, সেখানে শিক্ষাকে সংযুক্ত করতে হলে অবশ্যই আলাদা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’
এ উদ্যোগ শুধু পার্বত্য এলাকায় নয়, দেশের অন্য জায়গাতেও বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তারিক আহসান।
একই ধরনের মন্তব্য করেন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যাপক শেখ একরামুল কবির। তিনি বলেন, এ উদ্যোগ অবশ্যই ইতিবাচক। কেননা যোগাযোগব্যবস্থাসহ নানা কারণে শুধু পার্বত্য এলাকার শিক্ষার্থীরা এখনও অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তাদের সমানভাবে এগিয়ে নিতে এ উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রাখবে এবং পার্বত্য এলাকায় শিক্ষাব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আসবে।
জানা যায়, সরকারের এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে ১২ সদস্যের কমিটিও গঠন করেছে মাউশি। এতে সভাপতি হিসেবে আছেন মাউশির পরিচালক (কলেজ ও সাধারণ প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী। আর সদস্যসচিব হিসেবে আছেন মাউশির উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আনিকা রাইসা চৌধুরী। আরও আছেন মাউশির উপপরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস, উপপরিচালক (কলেজ-১) মো. ওয়াহিদুজ্জামান, উপপরিচালক (কলেজ-২) মো. এনামুল হক হাওলাদার, উপপরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন, উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. মোনালিসা খান, উপপরিচালক (শারীরিক শিক্ষা) আক্তারুজ্জামান ভূঁইয়া, উপপরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন) সেলিনা জামান, উপপরিচালক (প্রশাসন, সেসিপ) প্রফেসর ড. সামসুন নাহার, উপপরিচালক (ইকুইটি, সেসিপ) মো. আমিনূল ইসলাম, উপপরিচালক (প্রোগ্রাম, সেসিপ) শিপন কুমার দাস।
আরও পড়ুন:৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারিপরীক্ষা হবে ২৭ মে। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়া প্রার্থীদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
বুধবার পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সই করা অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
নির্দেশনায় বলা হয়, ৪৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী শুক্রবার ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষাকেন্দ্রে বই-পুস্তক, সকল প্রকার ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ড সদৃশ কোনো ডিভাইস, গহনা ও ব্যাগসহ কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না। এ ধরনের কাজকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, পরীক্ষাকেন্দ্রের গেটে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল ফোন, ঘড়ি ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হবে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পরীক্ষার দিন প্রার্থীর মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানো হবে।
পরীক্ষার সময় কোনো প্রার্থী কানের ওপর কোনো আবরণ রাখতে পারবে না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ আগেই কমিশনে অনুমোদন গ্রহন করতে হবে।
এতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার দিন কেন্দ্রে ওইসব জিনিসের কোনো কিছু প্রার্থীর কাছে পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা), বিধিমালা ২০১৪ এর বিধি ভঙ্গে কারণে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে পিএসসির সব নিয়োগ পরীক্ষার জন্য তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এই বিসিএসে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে শিক্ষা ক্যাডারে। এ ক্যাডারে ৭৭৬ জনকে নিয়োগ দেয়ার কথা রয়েছে।
এ ছাড়া প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০, পুলিশে ৫০, পররাষ্ট্রে ১০, আনসারে ১৪, অর্থ মন্ত্রণালয়ে সহকারী মহাহিসাবরক্ষক (নিরীক্ষা ও হিসাব) পদে ৩০, সহকারী কর কমিশনার পদে ১১, সহকারী নিবন্ধক (সমবায়) পদে ৮ ও সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট/ট্রাফিক (রেলওয়ে) নিবন্ধক পদে ৭ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে।
একইসঙ্গে তথ্য মন্ত্রণালয়ে সহকারী পরিচালক বা তথ্য কর্মকর্তা বা গবেষণা কর্মকর্তা পদে ১, সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) পদে ৭, সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক পদে ২, সহকারী পোস্টমাস্টার পদে ২৩, সহকারী নিয়ন্ত্রক (বাণিজ্য) পদে ৬, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (পরিবার পরিকল্পনা) ২৭ জন এবং ৩ জন সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক নেয়া হবে।
প্রফেশনাল ক্যাডারে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী পদে ১, সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী পদে ৮, সহকারী সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী পদে ৬, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক পদে ১, সহকারী বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী পদে ২ (তথ্য) ও সহকারী বন সংরক্ষক পদে ৫ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে।
আরও পড়ুন:জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০২০ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ। তবে ৪ বছরের সমন্বিত ফলাফল (CGPA) আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হবে।
বুধবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মোঃ আতাউর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, এ পরীক্ষায় দেশের ৭৩৩ টি কলেজের ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এ পরীক্ষার ৪ বছরের সমন্বিত ফল (CGPA) আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হবে।
আরও বলা হয়, সন্ধ্যা ৭টা থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.nu.ac.bd/results অথবা www.nubd.info/results) ফল পাওয়া যাবে।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে দ্বিতীয় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস বন্ধ করা হয় গত ২১ জানুয়ারি। এ দফায় শিক্ষাঙ্গনে সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকে এক মাস।
২২ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষাঙ্গনগুলো আবার প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে।
গত ২ মার্চ শুরু হয় প্রাথমিকে সশরীরে ক্লাস। টানা দুই বছর বন্ধের পর গত ১৫ মার্চ প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস শুরু হয়।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর দুই দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। প্রথম দফায় প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করে শিক্ষাঙ্গনের দুয়ার।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী ভোটার তালিকা হালনাগাদে সরকারি, বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীর সই করা অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
আদেশে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ১৬ মে‘র স্মারকপত্রে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, ২০২২ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে সার্বিক সহযোগিতা ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদেরকে নির্দেশনা দিতে অনুরোধ করা হল।
জানা গেছে, ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম তাদের এবং বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পড়েছেন নিবন্ধনের জন্য তাদেরও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ১৪০টি উপজেলা বা থানার তথ্যসংগ্রহ করা হবে। অবশিষ্ট উপজেলা বা থানার সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার বা জেলা নির্বাচন অফিসাররা স্থানীয়ভাবে তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধন কার্যক্রমের সময়সূচি নির্ধারণ করবেন।
উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে উচ্চশিক্ষার জন্য লাখো তরুণ-তরুণীর প্রস্তুতির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একে একে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করছে।
কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সূচি ঘোষণা করেছে। কোনো কোনোটি প্রাথমিক একটি ধারণা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ সূচি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে।
এরই মধ্যে সেনাবাহিনী পরিচালিত ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস ভর্তি পরীক্ষা শেষ করেছে। তবে এখনও ফল প্রকাশ হয়নি। দেশের প্রধান প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখনও কমপক্ষে এক মাস সময় রয়েছে প্রস্তুতির জন্য।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। করোনার মধ্যে সীমিতসংখ্যক বিষয়ে নেয়া পরীক্ষায় এবার পাসের হারে হয়েছে রেকর্ড। ৯৫ শতাংশের বেশি পাসের হারের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য এবার চাপ থাকবে বেশি।
এই মুহূর্তে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫২টি। এর বাইরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজেও ভর্তির সুযোগ আছে।
দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেয়া হয়েছে ১০৮টি। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলোতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ভর্তি পরীক্ষা অবশ্য হয় না। আর এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে বছরে দুটি সেমিস্টারেই ভর্তির সুযোগ থাকে।
২০২০ সালে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর যেসব বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছিল, তার মধ্যে এখন দৃশ্যত আর কিছুই নেই। ফলে এবার ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে পুরোপুরি স্বাভাবিক পরিবেশে।
কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বতন্ত্র পরীক্ষা ছাড়াও এবারও দেশের ২০টি গুচ্ছভুক্ত সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
দেশের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে ৩ জুন। ওই দিন বাণিজ্য অনুষদ তথা ‘গ’ ইউনিটের পরীক্ষা হবে।
পরের দিন হবে কলা অনুষদ তথা ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষা। ১০ জুন হবে বিজ্ঞান অনুষদ বা ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ বা ‘ঘ’ ইউনিুটের ভর্তি পরীক্ষা হবে ১১ জুন। চারুকলা অনুষদের লিখিত (অঙ্কন) পরীক্ষা হবে ১৭ জুন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা যথাসময়ে হবে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করেছে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
রাজধানী লাগোয়া সাভারের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক সূচি প্রকাশ করলেও কোন অনুষদে কবে পরীক্ষা হবে, সেই বিষয়টি জানানো হয়নি এখনও। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে ৩১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষা চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত।
এই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ক্ষেত্রে ছাত্র বাছাইয়ে লিখিত পরীক্ষা নেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খুব শিগগিরই ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত সূচি প্রকাশ করা হবে।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ আগস্ট থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। কয়েক শিফটে ভর্তি পরীক্ষা চলবে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত।
বিজ্ঞান অনুষদ তথা ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা ১৬ ও ১৭ আগস্ট। বাণিজ্য অনুষদ বা ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষার ১৯ আগস্ট।
এর বাইরে কলা অনুষদ তথা ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা ২০ ও ২১ আগস্ট, সমাজবিজ্ঞন অনুষদ বা ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা ২২ ও ২৩ আগস্ট হবে।
‘বি ১’ উপইউনিটের পরীক্ষা ২৪ আগস্ট সকাল পৌনে ১০টা এবং ‘ডি ১’ উপইউনিটের পরীক্ষা ২৪ আগস্ট দুপুর পৌনে ২টায় শুরু হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগের নিয়মেই এবারের ভর্তি পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
উত্তরের জনপদের সবচেয়ে প্রাচীন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা শুরু হবে ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা দিয়ে।
বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির জন্য ছাত্র বাছাইয়ে এই পরীক্ষা হবে ২৫ জুলাই। কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান, চারুকলা, শিক্ষা ও গবেষণার ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা হবে ২৬ জুলাই। বাণিজ্যের ‘বি’ ইউনিটে পরীক্ষা হবে আগামী ২৭ জুলাই।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)
দেশে প্রকৌশল শিক্ষায় সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) এবার পরীক্ষা হবে দুই ভাগে। ৪ জুন হবে শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা (প্রিলিমিনারি পরীক্ষা)। চূড়ান্ত লিখিত পরীক্ষা হবে ১৮ জুন।
১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে। এতে থাকবে না পাস নম্বর। পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া ছয় হাজার শিক্ষার্থী চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে এই তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে।’
গুচ্ছভুক্ত ২০ বিশ্ববিদ্যালয়
এককভাবে পরীক্ষা না নিয়ে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় একসঙ্গে পরীক্ষা নিয়ে মেধাক্রমের ভিত্তিতে ছাত্র বাছাই করবে এবারও। একে বলা হচ্ছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা।
এই পদ্ধতিতে সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ৩ সেপ্টেম্বর। ১০ সেপ্টেম্বর মানবিক অনুষদ আর সবশেষ ১৭ সেপ্টম্বর হবে বাণিজ্য অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা।
গুচ্ছভুক্ত ২০টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
এ ছাড়া রয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
গুচ্ছে তিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
গুচ্ছ পদ্ধতিতে একটি মাত্র ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ছাত্র বাছাই করবে দেশের তিনটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ও। এই তিন বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নেবে আগামী ৬ আগস্ট।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)।
সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
দেশের সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার তারিখ এখনও নির্ধারণ হয়নি, তবে খুব শিগগিরই নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহিদুর রশিদ ভূঁইয়া।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
এর বাইরে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঠিক করা হয়েছে আগামী ১২ আগস্ট।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চবি) স্নাতক ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ইউনিট ভিত্তিক তারিখ প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (অ্যাকাডেমিক) সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ সময়সূচি জানানো হয়।
আগামী ১৬ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১৫ জুন বেলা ১১টা থেকে ৫ জুলাই রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে (https://www.admission.cu.ac.bd/) আবেদন করা যাবে।
ইউনিট ভিত্তিক পরীক্ষার নির্ধারিত সময়সূচি
‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা ১৬ ও ১৭ আগস্ট, ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা ১৯ আগস্ট, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা ২০ ও ২১ আগস্ট, ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা ২২ ও ২৩ আগস্ট, ‘বি ১’ উপ ইউনিটের পরীক্ষা ২৪ আগস্ট সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট এবং ‘ডি ১’ উপ ইউনিটের পরীক্ষা ২৫ আগস্ট দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘পরীক্ষাগুলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই হবে। কতজন আবেদন করছে তার ওপর ভিত্তি করে একধিক শিফটে পরীক্ষা নেয়া হবে।
‘বিভাগীয় শহরে কোনো পরীক্ষা হবে না। পরীক্ষার মানবণ্টন আগের মতোই থাকছে।’
ভর্তি প্রক্রিয়া ও স্থান
প্রতিবারের মতো এবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ১০০ নম্বরে হবে। এ ছাড়া জিপিএ এর ভিত্তিতে ২০ নম্বর থাকবে। বহুনির্বাচনী পদ্ধতির এই ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর হবে ৪০।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ চলাকালে এক তরুণের তৎপরতা অনেকের দৃষ্টি কাড়ে। কারণ সংঘর্ষকালে দুই ছাত্র সংগঠনের অনেক নেতাকর্মীর মাঝে কেবল ওই তরুণের হাতে একটি রামদা দেখা গেছে।
সংঘর্ষের সময়ে ছাত্রলীগের পক্ষে থাকা ‘রামদা’ হাতে ওই তরুণের পরিচয় জানা গেছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ইয়াছির আরাফাত ডিটু। প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের এই শিক্ষার্থী থাকেন শহীদুল্লাহ হলেই।
ডিটু শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফ আহমেদ মুনিমের অনুসারী। আর মুনিম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসের অনুসারী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ছবিতে দেখা যায়, কমলা রংয়ের শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট পরিহিত ডিটুর ডান হাতে একটি রামদা ধরা। রামদার কাঠের বাঁটও দৃশ্যমান। শার্টের হাতা ফোল্ডিং করা।
আর ডিটুর ডান পাশে ছিলেন ধূসর রংয়ের টি-শার্ট ও সাদা প্যান্ট পরিহিত শরিফ আহমেদ মুনিম। তিনি শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
ইয়াসির আরাফাত ডিটু ও শরিফ আহমেদ মুনিমের ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইল ঘুরে ছবির সঙ্গে তাদের মিল শনাক্ত করা গেছে।
তবে মুনিমের দাবি- এটি রামদা নয়, পাইপ। আর ডিটুর ভাষ্য, এটি ছিল লোহার রড।
ইয়াসির আরাফাত ডিটু বলেন, ‘এ নিয়ে আসলে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমার হাতে আসলে রামদা ছিল না, এটি আসলে রড। এটির মাথায় কাপড় বাঁধা ছিল। আর রডটি কোথাও কোনো কিছুর সঙ্গে লেগে বাঁকা হয়ে গেছে। আর ছবিটা এমন অ্যাঙ্গেলে তোলা যে এই রডকেই রামদা মনে হয়েছে।’
ডিটু আরও বলেন, ‘আমি রামদা হাতে নিয়ে থাকলে যদি কাউকে কোপ দিতাম তখন কেটে যেত। এরকম কিছু তো হয়নি। মূলত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা যখন ইট ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের আক্রমণ করতে আসছিল তখন মূলত তাদের প্রতিহত করতে আমি রড হাতে নিয়েছিলাম।
হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনিম বলেন, ‘ছাত্রদল যেন নৈরাজ্য করতে না পারে সেজন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল। এরপর ছাত্রদল যখন লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে আক্রমণ করতে আসছিল তখনকার পরিস্থিতিতে যে কেউই তাদের প্রতিরোধ করবে। এজন্য আমরা এগুলো হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম।
‘ছবিতে হয়তো আপনারা ভুল দেখছেন। এটি রামদা নয়, বাঁকা পাইপ ছিল।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য