দুই মাসের বেশি সময় ধরে সংশোধনে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডে ভর করে টানা দুই দিন সূচক বাড়ল পুঁজিবাজারে। ওয়ালটনের দরপতনের ধাক্কা সামলানোর ক্ষেত্রে এ কোম্পানিটির পাশাপাশি বেক্সিমকো ফার্মার ভূমিকাও ছিল।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক বাড়ল ১৬ দশমিক ২৬ পয়েন্ট। এর মধ্যে বেক্সিমকো গ্রুপের দুই কোম্পানির মধ্যে বেক্সিমকো লিমিটেড বাড়িয়েছে ১২ দশমিক ২৩ পয়েন্ট আর বেক্সিমকো ফার্মা বাড়িয়েছে ৩ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট।
এ নিয়ে চলতি সপ্তাহের পাঁচ দিনই সূচক অল্প অল্প করে বেড়েছে।
গত বছরের শেষ প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে ক্রমাগত দরপতন হতে থাকলেও চলতি বছরের শুরুটা হয়েছে ঝলমলে। তিন সপ্তাহের ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সূচক কমেছে কেবল দুই দিন, বেড়েছে বাকি ১৩ দিন।
সংশোধন কাটিয়ে সূচকে চাঙাভাব ফেরার পর যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, সেটি হলো সূচক লাফ দিচ্ছে না, বাড়ছে অল্প অল্প করে। লেনদেনও বাড়ছে ধীরে ধীরে।
২০২০-এর মাঝামাঝি থেকে ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সূচকের যে ব্যাপক উত্থান হয়েছিল সেখানে বেক্সিমকো গ্রুপের, বিশেষ করে বেক্সিমকো লিমিটেডের উত্থান ছিল সবচেয়ে বেশি।
তবে বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলোর অক্টোবর ও নভেম্বর থেকে দর হারাতে শুরু করে। গত এক বছরের সর্বোচ্চ দরের তুলনায় এই কদিনে ২২ শতাংশের বেশি দর হারায় বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা দর হারায় প্রায় ২৫ শতাংশ, আইএফআইসি ব্যাংক প্রায় ২০ শতাংশ আর শাইনপুকুর সিরামিকস দর হারায় ৩৫ শতাংশের বেশি।
১৮৭ টাকা থেকে পড়তে পড়তে ১৪৪ টানায় নেমে আসা বেক্সিমকো লিমিটেড ঘুরে দাঁড়ায় বুধবার। সেদিন শেয়ারদর বাড়ে ৭ টাকা ৬০ পয়সা। পরদিন বাড়ল আরও ৮ টাকা ৭০ পয়সা।
অন্যদিকে বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ারদর বুধবার বাড়ে ৩ টাকা ৪০ পয়সা, পরের দিন তা বাড়ল আরও ৪ টাকা ৭০ পয়সা।
এই দুই দিনে গ্রুপের আরেক কোম্পানি শাইনপুকুর সিরামিকসের দরে যোগ হয়েছে ২ টাকা বা ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ। তবে আইএফআইসি ব্যাংক এখনও ঠায় দাঁড়িয়ে একটি দরে। অন্যদিকে লেনদেন শুরুর পরেই অভিহিত মূল্যের চেয়ে নিচে নেমে যাওয়া বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক দর হারিয়েছে সাড়ে ৯ শতাংশ।
কেবল সূচকের উত্থানে নয়, লেনদেনেও বেক্সিমকোর ভূমিকা ছিল প্রধান। এর মধ্যে বেক্সিমকো লিমিটেডে লেনদেন হয়েছে ২৪৬ কোটি ৫৪ লাখ ৮১ হাজার টাকা। এটি মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে সূচক বাড়লেও বেশির ভাগ শেয়ারের দর অবশ্য কমেছে। সব মিলিয়ে বেড়েছে ১৬২টি কোম্পানির দর, কমেছে ১৭৪টির। অপরিবর্তিত ছিল বাকি ৪২টির দর।
লেনদেনও খানিকটা কমেছে। দিন শেষে হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ৬০১ কোটি ২০ লাখ ২৬ হাজার টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ১ হাজার ৭৩৫ কোটি ৫৭ লাখ ৪১ হাজার টাকা।
এদিন বিবিধি খাতের বেক্সিমকো লিমিটেড ছাড়াও লেনদেনে ৫০ শতাংশের বেশি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৫৮ শতাংশ।
প্রধান খাতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সাধারণ বিমা খাতের শেয়ারদর। এই খাতের ৬৬ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ব্যাংক খাতের ৩৪ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। একই হারে বেড়েছেও। আর্থিক খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৩১ শতাংশ।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ৬০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে ৩৫ শতাংশের।
সূচক বেড়েছে যেসব কোম্পানির অবদান বেশি
বেক্সিমকো লিমিটেড ও বেক্সিমকো ফার্মা ছাড়া তৃতীয় কোম্পানি হিসেবে সূচকে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে লিন্ডে বিডি। এই কোম্পানিটি যোগ করেছে ২ দশমিক ৪১ পয়েন্ট।
সূচক বৃদ্ধিতে ইতিবাচক অবদান রেখেছে স্কয়ার ফার্মা, কেয়া কসমেটিকস, এসিআইও। সূচকে এই তিন কোম্পানির অবদান ছিল ৪ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট।
এর বাইরে ট্রাস্ট ব্যাংক শূন্য দশমিক ৮২ পয়েন্ট, উত্তরা ব্যাংক শূন্য দশমিক ৬৬ পয়েন্ট, বিকনফার্মা শূন্য দশমিক ৬১ পয়েন্ট ও সোনালী পেপার শূন্য দশমিক ৫৯ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচকে যোগ করেছে ২৪ দশমিক ৮১ পয়েন্ট।
অন্যদিকে সূচক সবচেয়ে বেশি কমিয়েছে ওয়ালটন। কোম্পানিটির অর্ধবার্ষিক আয় কমে যাওয়ার পর শেয়ারদর ৩ দশমিক ৭ শতাংশ কমায় সূচক কমে গেছে ২০ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা গ্রামীণফোন ৩ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট এবং লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট সূচক কমিয়েছে ৩ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট।
তিতাস গ্যাস, ফরচুন সুজ, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল, আইসিবি, ব্র্যাক ব্যাংক, জিপিএইচ ইস্পাত, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকও সূচক কমিয়েছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানিই সূচক কমিয়েছে ৩৬ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে দুর্বল কোম্পানি
যে ১০টি কোম্পানির দর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে, তার মধ্যে আটটি ‘বি‘ ক্যাটাগরির কোম্পানি, একটি নতুন তালিকাভুক্ত, একটি জেড ক্যাটাগরির।
যে কোম্পানি লভ্যাংশ দেয় না, সেগুলো জেড ক্যাটাগরিতে থাকে, যে সব কোম্পানি ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেয়, সেগুলো ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানি আর যেসব কোম্পানি ১০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি লভ্যাংশ দেয়, সেটি ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি।
লেনদেনে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে কেয়া কসমেটিকসের ১০ শতাংশ। ৭ টাকার শেয়ার বেড়ে হয়েছে ৭ টাকা ৭০ পয়সা। ২০২০ সালের জন্য এক শতাংশ লভ্যাংশ দেয়া এই কোম্পানিটি ২০২১ সালের জন্য এখনও লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি।
২০২১ সালে শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া দেশবন্ধু পলিমারের দর বেড়েছে ৯.৯১ শতাংশ, শেয়ার প্রতি সাড়ে ২৭ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া গোল্ডেনসনের দর ৯.৯০ শতাংশ, শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া গোল্ডেন হ্যাভি ক্যামিকেলের দর ৯.৮০ শতাংশ আর নতুন তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৯.৫৮ শতাংশ।
সাত শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে দুটি কোম্পানির। এর মধ্যে শেয়ার প্রতি ৩০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া গোল্ডেন হারভেস্টের ৭.৮২ শতাংশ আর শেয়ার প্রতি এক টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করা পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্রিন্টিংয়ের ৭.১৯ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
২০২১ সালে শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা বেঙ্গল উইন্ডসোরের দর ৬.১১ শতাংশ, লোকসানের কারণে লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দেয়া ইয়াকিন পলিমারের দর ৫.৯২ শতাংশ এবং শেয়ার প্রতি এক টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করা মনোস্পোল পেপারের দর বেড়েছে ৫.৬৮ শতাংশ।
দর পতনে ১০ কোম্পানি
লভ্যাংশ সংক্রান্ত ঘোষণার কারণে বৃহস্পতিবার তাল্লু স্পিনিংয়ের শেয়ার দরে কোনো সীমা ছিল না। ফলে স্বাভাবিক দরের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি ও কমার সুযোগ ছিল কোম্পানিটির।
গত তিন বছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা না করার পর কোম্পানিটির শেয়ার দর এক দিনেই কমেছে ২৫.১৭ শতাংশ। আগের দিন দর ছিল ১৪ টাকা ৩০ পয়সা, সেটি নেমে এসেছে ১০ টাকা ৭০ পয়সায়।
দর পতনের দ্বিতীয় তালিকায় ছিল ফুওয়াং ফুড, যার দর কমেছে ৬.৪৩ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স দর হারিয়েছে ৬.৩২ শতাংশ।
এছাড়া দেশ গার্মেন্টসের দর ৬.০৬ শতাংশ, প্রাইম লাইফের দর ৫.৬২ শতাংশ, ওরিয়ন ইনফিউশনের দর ৫.০৪ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসের দর ৪.৯৯ শতাংশ, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৪.৫১ শতাংশ ও ফরচুন সুজের দর ৪.৩৭ শতাংশ কমেছে।
দর পতনের শীর্ষ দশে থাকা অপর কোম্পানিটি হলো অগ্নি সিস্টেমস। ৪.০৩ শতাংশ দর হারিয়ে ২৪ টাকা ৮০ পয়সা দরের শেয়ার নেমেছে ২৩ টাকা ৮০ পয়সায়।
লেনদেনে সেরা ১০
এদিন সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের ২৪৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৪ হাজার ২৯৩টি।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের লেনদেন হয়েছে ৭১ কোটি ৪০ লাখ টাকার।
লেনদেনের তৃতীয় স্থানে ছিল ফরচুন সুজ। কোম্পানিটির মোট ৪১ কোটি ৩১ লাখ টাকার ৩২ লাখ ৯৫ হাজার ৭১৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা সাইফ পাওয়ারটেকের লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ৮ লাখ টাকা। এসিআই শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার।
ষষ্ঠ স্থানে থাকা জিপিএইচ ইস্পাতে লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৫৬ লাখ ৭৫ হাজার ২১৩টি।
এছাড়া পাওয়ারগ্রিডে ২৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, একটিভ ফাইনে ২৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা, লিনডে বিডির ২৫ কোটি ১০ লাখ টাকা, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সে ২৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, প্যারামাউন্ড টেক্সটাইলে ২৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য