সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর পাশাপাশি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি রোধে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে বৃহস্পতিবার ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলন চলছে।
ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, জেলা প্রশাসকরা হচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের প্রাণ। জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমেই সরকারি সিদ্ধান্তগুলো মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন হয়। এ জন্য জেলা প্রশাসক সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
‘আজকে যে সেশনটি একটু আগে শেষ করলাম, সেখানে যে বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে, তার মধ্যে বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া প্রায় ৯ কোটি মানুষ ব্যবহার করে। সেটি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া যেমন প্রচারের বড় ক্ষেত্র, তেমনি অপপ্রচার রটানোর ক্ষেত্রেও এটি একটি বড় ক্ষেত্র।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা যদি গত সাত-আট বছরের পরিসংখ্যান দেখি, তাহলে দেখতে পাই, আমাদের দেশে যেসব দুর্ঘটনা ঘটেছে, গুজব রটেছে, রটানো হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, তার প্রায় সবগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে করানো হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের কাছে আমরা সে বিষয়টি তুলে ধরেছি।’
তিনি বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় নানা বিভ্রান্তিমূলক খবর পরিবেশন করে। সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা করা হয়। সে বিষয়গুলো ডিসিদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। তারা যেন এসব বিষয়ে তৎপর থাকেন এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’
ব্রিফিংয়ে সম্প্রচার নীতিমালা নিয়েও কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী কোনো আইপিটিভি বা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে কেউ সংবাদ পরিবেশন করতে পারে না, কিন্তু দেখা যায় আইপিটিভির মাধ্যমে এখনও কোনো কোনো জায়গায় খবর পরিবেশন করা হচ্ছে। নিয়মিত সংবাদ বুলেটিন পরিবেশন করা হয় এবং ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমেও সংবাদ বুলেটিন প্রচার করা হচ্ছে।
‘এটি আমাদের সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী করতে পারে না; যে সম্প্রচার নীতিমালা আমাদের মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে। আমরা জেলা প্রশাসকদের কাছে সেসব কথা বলেছি। অনেকগুলো আইপিটিভি দেখা যায় যে, স্থানীয়ভাবে অনেক জনপ্রিয়। মানুষ তাদেরকে চিনে এবং তারা নিয়মিত খবর প্রচার করছে। তারা তো সেটা পারে না। আমরা জেলা প্রশাসকদের বলেছি যেটি, সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী তারা পারেন না; তারা যেন এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।’
বিদেশি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার (ক্লিনফিড) বাস্তবায়ন করায় ডিসিদের ধন্যবাদ জানান তথ্যমন্ত্রী।
এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসকদের আমি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে ধন্যবাদ জানিয়েছি। গত বছরের অক্টোবর থেকে ক্লিনফিড বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তারা যেভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে, সে জন্য তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছি। এখনও তাদের এ বিষয়ে নজর রাখতে বলেছি।
‘বিশেষ করে ক্যাবল নেটওয়ার্ক যারা পরিচালনা করে, তারা যেন কোনোভাবে স্থানীয় চ্যানেল হিসেবে টেলিভিশনে কোনো অনুষ্ঠান ও বিজ্ঞাপন প্রচার না করে; সেসব বিষয় যেন জেলা প্রশাসকরা নজরে রাখেন।’
আরও পড়ুন:প্রবাসী আয় পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনো ধরনের শর্ত রইল না আর।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে রিজার্ভে টান পড়ার মধ্যে রেমিট্যান্স পাঠানোর পথ সহজ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এখন থেকে পাঁচ হাজার ডলার বা ৫ লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্স এলে কোনো ধরনের কাগজপত্র ছাড়াই পাওয়া যাবে প্রণোদনা।
সোমবার সিদ্ধান্তটি জারির দিন থেকেই তা কার্যকর করা হয়েছে।
বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্সের বিপরীতে প্রণোদনার প্রক্রিয়া সহজ করতে এ নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে পাঁচ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্স পাঠাতে গেলে রেমিটারকে (অর্থপ্রেরক) বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসের কাছে বিস্তারিত কাগজপত্র জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল।
সেটি তুলে দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘পাঁচ হাজার অথবা পাঁচ লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্স পাঠালে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা পাওয়ার জন্য প্রবাসীর কাগজপত্র বিদেশের এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এখন থেকে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৈধ উপায়ে দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণের বিপরীতে রেমিট্যান্স প্রণোদনা/নগদ সহায়তা প্রদানে রেমিটারের কোনো কাগজপত্র ব্যতীত বিদ্যমান হারে (২.৫০ শতাংশ) রেমিট্যান্স প্রণোদনা/নগদ সহায়তা প্রযোজ্য হবে।’
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিপরীতে কোনো ধরনের কাগজপত্র ছাড়াই নগদ সহায়তা পাওয়া যাবে।
প্রতি ডলারের বিপরীতে নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত পাওয়া যাবে আরও আড়াই টাকা। ডলারের সবশেষ বিনিময় হার ঠিক হয়েছে ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা। এর সঙ্গে আড়াই টাকা যোগ হয়ে পাওয়া যাবে ৯০ টাকা ৪০ পয়সা।
পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
জ্বালানি ও পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ডলারের মজুত এখন দেশের প্রধান দুশ্চিন্তার একটি হয়ে গেছে।
গত বছরের ২৪ আগস্ট এই রিজার্ভ অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। তখন ওই রিজার্ভ দিয়ে প্রায় ১০ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যেত। তখন অবশ্য প্রতি মাসে ৪ থেকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হতো।
তবে আমদানি ব্যয় বাড়ায় গত ৯ মে আকুর (এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন) রেকর্ড ২২৪ কোটি (২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন) ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪১ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। এরপর সপ্তাহ খানেক রিজার্ভ ৪২ বিলিয়নন ডলারের নিচে অবস্থান করে।
রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ায় গত বুধবার রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। গত কদিন তা আরও বেড়ে রোববার দিন শেষে ৪২ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারে ওঠে।
জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ- প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য আমদানি হয়েছে দেশে। এ হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের ক্রিকেটে আরও উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) চেয়ারম্যান গ্রেগ বারক্লে।
ঢাকা সফররত আইসিসি চেয়ারম্যান গণভবনে সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে এই আশ্বাস দেন।
বারক্লে বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আইসিসি সব ধরনের সহায়তা দেবে।’
আইসিসির সর্বাত্মক সহযোগিতা পেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট আরও এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
আইসিসি চেয়ারম্যানকে শেখ হাসিনা বলেন, তার পুরো পরিবারই ক্রীড়ামোদী। কারণ, তার দাদা, বাবা ও ভাইয়েরা খেলোয়াড় এবং ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন।
গত সাত বছরে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী ক্রিকেট দলের অসাধারণ নৈপুণ্যের প্রশংসা করেন আইসিসি চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের গত সাত বছরের পারফরম্যান্স তাকে বাংলাদেশ সফরে অনুপ্রাণিত করেছে, যাতে তিনি সরাসরি বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করতে পারেন।’
প্রথমবারের মতো আইসিসি নারী বিশ্বকাপ ক্রিকেটে পাকিস্তানকে ৯ রানে পরাজিত করে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জয়ের কথা উল্লেখ করেন আইসিসি চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘আইসিসি নারী ক্রিকেটের উন্নয়নেও প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিবে।’
বাংলাদেশকে কোচিং, আম্পায়ারিং এবং উইকেট বা পিচের উন্নয়নে সহায়তা করারও অঙ্গীকার করেন বারক্লে।
এসময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আইসিসি চেয়ারম্যান ও নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সাবেক এক পরিচালক দুই দিনের সফরে রোববার ঢাকায় পৌঁছেছেন।
২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বারক্লে। ঢাকায় এসে পূর্বাচলে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন তিনি।
আরও পড়ুন:বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতিতে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে রক্ষায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করা এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় যৌথ পদক্ষেপ গ্রহণে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পারস্পরিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনে আঞ্চলিক সহযোগিতাকে ‘সবচেয়ে কার্যকর বিকল্প’ মনে করেন সরকারপ্রধান। এর অংশ হিসেবে আঞ্চলিক আর্থিক সহযোগিতা জোরদার করাসহ পাঁচটি প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকেপ) ৭৮তম বার্ষিক সম্মেলনে সোমবার এক ভিডিওবার্তায় প্রধানমন্ত্রী এসব প্রস্তাব দেন।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে হাইব্রিড পদ্ধতিতে হচ্ছে অধিবেশনটি। এবারের প্রতিপাদ্য ‘এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন অভিন্ন লক্ষ্য।’ ২৩ মে শুরু হওয়া এ অধিবেশন চলবে ২৭ মে পর্যন্ত।
ভিডিওবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ব যখন কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাত থেকে পুনরুদ্ধারে লড়াই করছে, তখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতায় বড় আঘাত হিসেবে হাজির হয়। এই যুদ্ধের প্রভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলো। এই যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় যৌথ পদক্ষেপ প্রয়োজন।’
‘সাউথ-সাউথ নেটওয়ার্ক ফর পাবলিক সার্ভিস ইনোভেশন’ প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞদের এসডিজিসহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শেয়ারে ভূমিকা রেখেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আঞ্চলিক সহযোগিতাকে পারস্পরিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনে সবচেয়ে কার্যকর বিকল্প হিসেবে দেখি আমরা। সার্ক, বিমসটেক, বিবিআইএন, বিসিআইএম-ইসি এবং ত্রিপক্ষীয় হাইওয়ের মতো বিভিন্ন আঞ্চলিক উদ্যোগের সঙ্গে আছে বাংলাদেশ।
‘জাতিসংঘ এসকেপের ক্রস-বর্ডার পেপারলেস ট্রেড, এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ নেটওয়ার্কিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানির মতো উদ্যোগে বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে যুক্ত।’
এশিয়ান হাইওয়ে এবং ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়েসহ এ রকম অন্যান্য উদ্যোগেও এসকেপকে বাংলাদেশ সমর্থন দিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
পাঁচ প্রস্তাব
আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরিতে পাঁচটি প্রস্তাব দেন সরকারপ্রধান।
১. জ্ঞান এবং উদ্ভাবন সহযোগিতাকে এগিয়ে নিতে কর্মমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ।
২. উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পথে থাকা দেশগুলোকে আরও বাস্তবসম্মত উপায়ে আন্তর্জাতিক সহায়তার ব্যবস্থা করা।
৩. জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত তহবিল এবং প্রযুক্তি বরাদ্দে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করা।
৪. আঞ্চলিক সংকট ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা অর্জনে আঞ্চলিক আর্থিক সহযোগিতা বৃদ্ধি।
৫. চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কর্মসংস্থান তৈরি এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাত ও তথ্যপ্রযুক্তির সেবা সম্প্রসারণ করা।
এ সময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আবারও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের ১১ লাখ নাগরিককে আশ্রয় দিচ্ছে বাংলাদেশ। এই মানবিক সংকট মারাত্মক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করেছে।
‘আমরা এই বাস্তুচ্যুত মানুষের নিরাপদ, টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা এবং সমর্থন আশা করছি।’
২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার প্রসঙ্গটিও ওঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে।
তিনি বলেন, ‘এটি হচ্ছে গত ১৩ বছর ধরে আমাদের পরিকল্পিত উন্নয়নযাত্রার বৈশ্বিক স্বীকৃতি। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক, উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের সরকার।’
কোভিড-১৯ মহামারি সারা বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলেও মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মহামারি মোকাবিলায় আমরা জীবন ও জীবিকার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছি।
‘আমাদের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভূমিকা রেখেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে যখন জিডিপি প্রবৃদ্ধি নামমাত্র, তখন আমরা প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে পেরেছি। আমরা ২০২১-২২ সালে ৭ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি আশা করছি।’
ইতোমধ্যে দেশের বেশির ভাগ মানুষকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) চেয়ার হিসেবে, জ্বালানি সক্ষমতা অর্জনে ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’র খসড়া তৈরি করেছে বাংলাদেশ।”
আরও পড়ুন:একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির বিরুদ্ধে তিন দাবিসংবলিত স্মারকলিপি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছেন ইসলামিক কালচারাল ফোরাম নামের একটি সংগঠনের নেতারা।
এসব দাবি নিয়ে সোমবার তারা দুদক সচিব মাহবুব হাসানের সঙ্গে দেখা করেন।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও আলেমদের বিরুদ্ধে গণকমিশনের দেয়া অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে দুদকে পাল্টা এই স্মারকলিপি দেয় ইসলামিক কালচারাল ফোরাম।
কী আছে স্মারকলিপিতে
ইসলামিক কালচারাল ফোরাম তাদের স্মারকলিপিতে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আয়-ব্যয় ও তহবিলের উৎস সম্পর্কে অনুসন্ধান, নির্মূল কমিটির নেতাদের সম্পদের উৎস ও আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং গণকমিশনের শ্বেতপত্রের অর্থের জোগানদাতার তথ্যের খোঁজ নেয়ার দাবি জানায় দুদক সচিবের কাছে।
দুদকে যাওয়া দলটির নেতৃত্ব দেন ফোরামের উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন মাওলানা নাজমুল হক, আবু জাফর কাসেমী, মানসুরুল হক, আবুল কাসেম আশরাফি, রিয়াদুল ইসলাম, মুফতি আব্দুর রাজ্জাক কাসেমী, ওয়াহিদুল আলম, আব্দুর রহিম কাসেমী, আলহাজ ফজুলল হক ও হাফেজ মাওলানা মোতাহার উদ্দীন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ফোরাম নেতারা। তাদের একজন বলেন, ‘আমরা দুদক চেয়ারম্যানকে বলেছি, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যে মিথ্যা ও বানোয়াট, অসত্য, কৃত্রিম তথ্য দিয়ে ইসলাম ও কওমি মাদ্রাসাবিরোধী মানহানিকর তাণ্ডব চালাল, বিষোদগার করেছে, তা যে সম্পূর্ণ মিথ্যা, তা আপনারা তদন্তের পর দেখতে পারবেন। তারা গণকমিশন নামে সংবিধান পরিপন্থি যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাও রাষ্ট্রের সংবিধানবিরোধী।’
অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকরা নীরবে, নিভৃতে দেশ ও জাতি গঠনে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা দেশের এতিম, মিসকিন, দরিদ্র, নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কওমি মাদ্রাসায় দেশ ও জাতির সেবায় গড়ে তুলছি।
‘এ জন্য কিন্তু আমরা রাষ্ট্র থেকে কোনো পয়সা নিচ্ছি না। গত করোনার দুই বছর কিন্তু আমরা আমাদের শিক্ষকদের বেতনও দিতে পারিনি।’
প্রেক্ষাপট
গত ১১ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লার কাছে শ্বেতপত্র ও সন্দেহভাজন শতাধিক ব্যক্তির তালিকা হস্তান্তর করে ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন’।
কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্যসচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল এ তালিকা হস্তান্তর করে।
গণকমিশনের তালিকায় সন্দেহভাজন হিসেবে ১১৬ জনের নাম রয়েছে। শ্বেতপত্র ও তালিকাটি একই সঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনেও দেয়া হয়েছে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং জাতীয় সংসদের আদিবাসী ও সংখ্যালঘুবিষয়ক ককাসের যৌথ উদ্যোগে গঠন করা হয় গণকমিশন।
এর আগে ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন’ শীর্ষক শ্বেতপত্রটির মোড়ক উন্মোচন করা হয় ১২ মার্চ।
আরও পড়ুন:সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের প্যাকেজ নির্বাচন, নিবন্ধন স্থানান্তর ও নিবন্ধনের সময় আরও দুই দিন বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
রোববার রাতে মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-১-এর নিবন্ধন কার্যক্রম ২২ মে সন্ধ্যায় বন্ধ করা হয়েছে। শূন্য কোটা পূরণের জন্য সরকারঘোষিত হজ প্যাকেজ অনুযায়ী বর্ধিত সময়সূচি ঘোষণা করা হলো।
নিবন্ধনের অর্থ পরিশোধে বর্ধিত সময়ের শুরু ২৩ মে। বর্ধিত সময়ের শেষ হবে ২৪ মে (ব্যাংকিং সময় পর্যন্ত)।
বর্ধিত সময়ে প্রাক-নিবন্ধনের ক্রমিক ২৫ হাজার ৯২৫ থেকে ২৭ হাজার ১০৫ পর্যন্ত হজযাত্রীরা নিবন্ধনের আওতায় আসবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এ সময়ে নিবন্ধনকারী ব্যক্তিরা শুধু সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-২-এর অধীনে নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন।
বাংলাদেশ থেকে এ বছর সাড়ে ৫৭ হাজার মুসল্লি হজব্রত পালনে সৌদি আরবে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৪ হাজার মুসল্লি। বাকিরা যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।
স্বাভাবিক সময়ে প্রতি বছর সারা বিশ্বের ২০ থেকে ২৫ লাখ মুসল্লি পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পেয়ে থাকেন, কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর সৌদি আরবের বাইরের কেউ হজ করার সুযোগ পাননি।
পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সৌদি সরকার এবার সারা বিশ্বের ১০ লাখ মানুষকে হজ পালনের অনুমতি দিচ্ছে।
আরও পড়ুন:কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মা ও দুই ছেলের দেহে মাঙ্কিপক্সের মতো ক্ষত দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে আতঙ্কে আছে পরিবারটি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা বাড়িতে গিয়ে তাদের দেখেছেন। মাঙ্কিপক্স নয়, অন্য কোনো ধরণের চর্মরোগ হতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে বলেছেন চিকিৎসকরা।
ওই নারী মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে জানান, তার বয়স ২৯। ৬-৭ মাস ধরে তার শরীরে গোল চাকার মতো ক্ষত দেখা দিয়েছে। সেটা দিন দিন বাড়ছে। তার ১২ ও ৫ বছরের দুই ছেলেরও এ ধরনের ক্ষত হয়েছে। বড় ছেলের মুখে ও পায়ে হয়েছিল, যা শুকিয়ে গেছে। আর ছোট ছেলের পায়ে হয়েছে, যার চিকিৎসা চলছে।
তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে ছেলেরটা ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু আমারটা ভালো হচ্ছে না। শুধু বাড়ছেই। এখন সারা শরীরে হয়ে গেছে। কালো কালো হয়ে গেছে। ডা. তুষার শিকদারকে দেখাচ্ছি। তিনি ঈদের পরে কিছু টেস্ট করে নিয়ে যেতে বলেছেন। এখনও করা হয়নি।’
ওই নারীর ধারণা একটি বিদেশি অন্তর্বাস ব্যবহারের কারণে এমন হয়েছে। তবে সেটি দেশ থেকেই কেনা ছিল।
তিনি বলেন, ‘বিদেশি ওই অন্তর্বাস দেশে থেকেই কেনা। ৬-৭ মাস আগের কথা। এটা পরার পরপরই সারা শরীর চুলকানো শুরু করে। এসিড মারলে যেমন হয় তেমন পুড়ে যাওয়ার মতো হয়। এরপর থেকে চুলকানি বাড়তেই থাকে। গোল গোল চাকা চাকা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে।’
জেলা সিভিল সার্জন আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মাঙ্কিপক্স সন্দেহে ওই বাড়িতে চিকিৎসক পাঠানো হয়েছিল। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে সেটি অন্য কোনো চর্মরোগ। ৬ মাস ধরে তারা ভুগছেন; মাঙ্কিপক্স হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তারপরও যাচাই করা হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, ‘মনে হচ্ছে মাঙ্কিপক্স নয়। কোনো ধরনের চর্মরোগ হবে। তারপরও অধিকতর পরীক্ষার জন্য তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসতে বলেছি।’
আরও পড়ুন:বৈশ্বিক প্রভাবে দেশে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এখানে সরকারের কিছু করার নেই। বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বেই দ্রব্যমূল্য ববৃদ্ধি পাচ্ছে।
রোববার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালায় আওয়ামী লীগ সংস্কৃতির উপকমিটির আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি ।
কাদের বলেন, ‘রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিকভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। এতে আমাদের কিছু করার নেই। তারপরেও সরকার চেষ্টা করছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার।’
করোনার বিষয় সর্তক থাকার পরামর্শ দিয়ে নতুন উদ্বেগ মাঙ্কিপক্স নিয়েও সাবধান থাকার পরামর্শ দেন সড়ক মন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ নেতা কথা বলেন নির্বাচন ও জোট গঠন নিয়েও। বলেন, নির্বাচন যখন আসে তখন জোটের বদলে জোট বাধ্য হয়েই করতে হয়। সেখানে কৌশল অবলম্বন করতে হয়। কিন্তু কৌশলগত কারণে আওয়ামী লীগ জোট করলেও তার শেকড় থেকে একচুলও সড়বে না।
‘‘আওয়ামী লীগও দুই একটা দলের সঙ্গে ঐক্য জোট করলেও জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে জোট করে না। আওয়ামী লীগের আর্দশ অসাম্প্রদায়িক মানবতাবাদের। এই কথার ওপর আস্থা রাখতে হবে, শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখতে হবে ‘
আওয়ামী লীগ সংস্কৃতির উপকমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দলের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এর সঞ্চালায় ‘আড্ডা’য় উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, শ্রম সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের শিল্পীরাও এতে অংশ নেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য