বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে তাৎপর্যপূর্ণ শহীদ আসাদ দিবস আজ।
১৯৬৯ সালের এই দিনে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সামনে প্রাণ হারান ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। তার মৃত্যুতে বেগবান হয় বাঙালির মুক্তি আন্দোলন।
আসাদের মৃত্যুর জেরে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পতন হয় স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের। রচিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সোপান।
প্রতি বছর ২০ জানুয়ারি দেশমাতৃকার মুক্তি এবং স্বাধীনতার লক্ষ্যে আসাদের মহান আত্মত্যাগ এবং অবদানকে বাঙ্গালি জাতি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে থাকে।
শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ আসাদের আত্মত্যাগ আমাদের মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি অনন্য মাইলফলক। গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে শহিদ আসাদের এ অসামান্য অবদান দেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে শহিদ আসাদসহ বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
তিনি বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারী শহীদ আসাদ এদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার আত্মত্যাগ সব সময় আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে প্রেরণা যোগাবে।’
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন:রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন করে ৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি’ নিয়ে প্রথম উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে এই প্রতিশ্রুতি আসে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে জানান, যুক্তরাষ্ট্র ৬০ মিলিয়ন এবং যুক্তরাজ্য ৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র শান্তিপূর্ণ সমাধান হল তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন। এ জন্য রাখাইনে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের একটি বাস্তবসম্মত রোডম্যাপসহ সাত দফা প্রস্তাব দেন তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘অর্থায়ন ক্রমেই কমে আসছে। এখন একমাত্র শান্তিপূর্ণ পথ হল তাদের প্রত্যাবাসন শুরু করা।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, প্রোপোর্শনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতি দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও ঝুলন্ত পার্লামেন্টের জন্ম দেয়। তিনি দাবি করেন, দেশের মানুষ এই পদ্ধতির বিপক্ষে। গতকাল মঙ্গলবার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ওলামা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা পিআর বলতে বুঝি পাবলিক রিলেশন, অর্থাৎ জনসংযোগ। এখন সবাই জনসংযোগে ব্যস্ত, সেই পিআরেই আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু যারা প্রোপোর্শনাল রিপ্রেজেন্টেশনের নামে দেশে ‘পার্মানেন্ট রেস্টলেসনেস’ বা স্থায়ী অস্থিরতা প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তারা সফল হবে না।’
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতির বিভাজনে বিশ্বাস করে না। দলটি সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের অংশগ্রহণে একটি সমন্বিত রাজনৈতিক ধারায় বিশ্বাসী। বিএনপি জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চায়।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা দাবি করেন, দেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে বাধা সৃষ্টি করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এ বিষয়ে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘এখানে দেশি ও বিদেশি শক্তির ভূমিকা থাকতে পারে, এমনটি আমরা অনুমান করতে পারি। তবে দেশের জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ, তারা যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের মানুষ নির্বাচনমুখী, এবং সম্ভাব্য প্রার্থীরাও ইতোমধ্যে জনসংযোগ শুরু করেছেন। কেউ যদি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করে, জনগণ তাদের রাজনৈতিকভাবে চিহ্নিত ও প্রত্যাখ্যান করবে বলে তিনি সতর্ক করেন।
এ সময় তিনি সব রাজনৈতিক দলকে বিভেদ ভুলে দেশের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান
শারদীয় দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটিকে কেন্দ্র করে সূর্যোদয় সূর্যাস্তের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটায় বিপুল সংখ্যক পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমন ঘটবে। আজকে ব্যাপক পর্যটকের আনাগোনা। ইতোমধ্যে আবাসিক হোটেল মোটেল রিসোর্ট গুলোর অধিকাংশই আগাম বুকিং হয়ে গেছে। এখনো বুকিং এর জন্য অনেক পর্যটকরা যোগাযোগ করছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী সংগঠন হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
মঙ্গলবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত পূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির বন্ধ। চার দিনের এ লম্বা ছুটিকে ঘিরে আবাসিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্টসহ পর্যটন নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো আগত পর্যটকদের বরণে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। ধুয়ে মুছে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।
শারদীয় উৎসবকে ঘিরে ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে। এবার পূজোর ছুটিতে লক্ষাধিক লোক সমাগমের আশা করছেন ব্যবসায়িরা। পুজোর ছুটির পর অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যটন মৌসুম শুরু হবে। পূজোর ছুটির মধ্যদিয়ে এ-মৌসুমের ঘাটতি কাটিয়ে উঠবে এমনটাই মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়িরা।
এদিকে বিপুলসংখ্যক পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমন কে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ গোয়েন্দা সদস্যদের নজরদারিতে থাকবে সৈকত এলাকা। আগতরা যাতে নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন কতৃপক্ষ।
আগত পর্যটকদের বরণে এরইমধ্যে প্রস্তুত হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ফিসফ্রাই, আচার ঝিনুক, বারমিজ প্রসাধনী ব্যবসায়ীসহ মোট ১৬টি পেশার প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক। দেশের চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আসছে পর্যটন মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমন ঘটবে বলে জানান পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীরা। এজন্য তারা দেশের অস্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকারের কাছে আহবান জানান তারা।
তা নাহলে পর্যটনে এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবাসিক হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, কুয়াকাটায় ছোট বড় মিলে আড়াই শতাধিক হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলোর বেশির ভাগই বুকিং রয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোতেও ৫০-৬০ ভাগ আগাম বুকিং রয়েছে। তবে শতভাগ বুকিং হয়ে যাবে এমনটাই আশা তাদের।
আবাসিক হোটেল সৈকত এর ম্যানেজার রাজিব হোসেন জানান, তাদের হোটেলে ৭০টি রুম রয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত একটানা বুকিং রয়েছে। এখনো অনেক পর্যটকরা রুমের জন্য ফোন দিলেও তারা রুম দিতে পারছেন না।
পর্যটন করপোরেশনের মোটেল ইয়ুথ ইন ও হলিডে হোমস কতৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের মোটেলে ৭৭টি রুম রয়েছে। এরই মধ্যে ৯০ ভাগ রুম আগাম বুকিং হয়ে গেছে।
অভিজাত আবাসিক হোটেল সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড বিলাসের এজিএম আল-আমিন খান উজ্জ্বল বলেন, ২৮-৩০ সেপ্টেম্বর ৬০ ভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে।আগামী ১ অক্টোবর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত রিসোর্ট এবং ভিলা শতভাগ বুক হয়েছে। এছাড়াও ৪-৬ অক্টোবর পর্যন্ত আশানুরূপ বুকিং রয়েছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম. এ মোতালেব শরীফ জানান, চলতি সপ্তাহে দুর্গাপূজা আর সাপ্তাহিক ছুটি মিলে লম্বা ছুটিকে কাজে লাগাতে এরইমধ্যে কুয়াকাটায় থাকা প্রথম শ্রেণির আবাসিক হোটেলের প্রায় শতভাগ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। ছোট-বড় আবাসিক হোটেল গুলোতেও ৬০-৭০ শতাংশ হোটেল কক্ষ হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান জানান, পূজো ও সাপ্তাহিক ছুটিকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটায় প্রচুর সংখ্যক পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমন ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। আগত পর্যটক দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত সহ তারা যেন নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পারে এজন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ দর্শনীয় স্পটগুলোতে ভ্রাম্যমাণ টহল থাকবে।
কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো ইয়াসিন সাদেক বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় পৌর কতৃপক্ষ, মহিপুর থানা পুলিশ, ব্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সড়ক মহাসড়ক সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেক পোস্টের মাধ্যমে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার চাপিতলা ইউনিয়নে কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এতে একদিকে নষ্ট হচ্ছে উর্বর তিন ফসলি জমি, অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা।
জানা যায়, চাপিতলা গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে মীর আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে ফসলি জমিতে ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন করছেন। পাইপলাইন সংযোগ দিয়ে উত্তোলিত মাটি কখনো অন্য ফসলি জমি, আবার কখনো পুকুর বা গর্ত ভরাটে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে তিন ফসলি জমি জলাশয়ে পরিণত হয়ে আশপাশের কৃষি জমি চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
অপর দিকে উপজেলার সিমানাপাড় ২টি ড্রেজার, কোরবানপুর জিএম উচ্চবিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে পুকুরের ভেতরে ১টি ও তার আরও ৪০০ মিটার দক্ষিণে ২ এবং কোরবানপুর নতুন কবরস্থানের পাশে ১টি ড্রেজার দেদারসে চলছে।
অভিযোগ রয়েছে, ড্রেজার সিন্ডিকেট প্রথমে একটি জমিতে গর্ত সৃষ্টি করে, পরে আশপাশের জমি ভেঙে পড়তে শুরু করলে মালিকদের জিম্মি করে কম দামে জমি বিক্রিতে বাধ্য করা হয়। এতে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এলাকাবাসীর দাবি, অবৈধ ড্রেজিং কার্যক্রমে শুধু জমিই নয়, আশেপাশের রাস্তা ও ঘরবাড়িও হুমকির মুখে পড়েছে। দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি জানান তারা।
সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস জানান, আলমগীর বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এই ড্রেজার ব্যবসা করছে যা খুবই নিন্দনীয়। আমরা চাই এই এলাকায় কোণো ড্রেজার না চলুক।
অভিযুক্ত ড্রেজার ব্যবসায়ী মীর আলমগীর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমি ড্রেজার ভাড়ায় এনেছি আমার নিজস্ব জমি ভরাটের জন্য।
মুরাদনগরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাছান খান বলেন, ‘অবৈধ ড্রেজিং বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ গ্রামীণ কাঁচা রাস্তার বেহাল দশার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নানা শ্রেণি-পেশার তিন লাখ মানুষ। রাস্তাগুলোতে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। বিষয়টি বারবার কর্তৃপক্ষকে জানালেও টনক নড়ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের উত্তর বালিগাঁও-বাগমারা গ্রামের সংযোগ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে আছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কটি পরিণত হয় জলাশয়ে। ফলে প্রতিদিন হাজারও মানুষের যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়ছে। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কর্মজীবী মানুষ সবাই পড়ছেন চরম দুর্ভোগে।
স্থানীয়রা জানান, বর্ষাকালে গ্রামের কাঁচা রাস্তাগুলো খানাখন্দ, গর্ত ও কর্দমাক্ত হয়ে যায়। একটু বৃষ্টিতেই কাদা হওয়ায় দুর্ভোগ বাড়ে চলাচলকারীদের। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পড়েন বিড়ম্বনায়। বড় বড় গর্ত আর রাস্তায় পানি জমে থাকায় ভোগান্তির শেষ নেই পথচারীদের। কোথাও সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্ত। কোথাও আবার বৃষ্টির পানি জমে থাকায় বেড়েছে ভোগান্তি। বহুদিন ধরে সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমিনা বেগম বলেন, ‘এলাকার মানুষকে নিয়ে আমি নিজেও বিপাকে আছি। বর্ষায় রাস্তাটি একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। আমরা বারবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছি, আশা করছি শিগগিরই এই রাস্তার উন্নয়ন কাজ শুরু হবে।’
কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল জানান, ‘রাস্তাটি সংস্কারের জন্য প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে। বরাদ্দ এলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কমলগঞ্জ উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী মো.আব্দুর রকিব বলেন, গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নের জন্য আমরা নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি। এ রাস্তার বিষয়টি তালিকাভুক্ত রয়েছে, ধাপে ধাপে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। বরাদ্দ পেলে পর্যায়ক্রমে রাস্তা পাকা করা হবে।’
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর বলেন, ‘এলাকার জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি আমরা অবগত আছি। ইতোমধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের রবি মৌসুমে শতভাগ স্বচ্ছতার মাধ্যমে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, শীতকালীন পেঁয়াজ, চিনাবাদাম, মসুর ও খেসারি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৬ হাজার ৬৭০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এতে খুশি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা। এছাড়া গত অর্থবছরে মাসকলাই ২০০ জন কৃষক, তিল ১ হাজার জন, পাট ৩৫০ জন, রোপা আমন ১ হাজার ৩৫০ জন, শাকসবজি ৮০ জন ও বোরো হাইব্রিড ধানের ১ হাজার ৬০০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনা দেয়। এর মধ্যে উপজেলার অর্জুনাতে ৯৯৫ জন, গাবসারায় ৮৫৫ জন, ফলদায় ১৪১০ জন, গোবিন্দাসী ৭৭০ জন, অলোয়া ১ হাজার ৭০ জন, নিকরাইল ৭২৫ জন এবং পৌরসভায় ৮৪৫ জন কৃষক প্রণোদনা পান।
প্রণোদনা পেয়ে চর অলোয়া গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনার আওতায় সরিষার বীজ ও সার পেয়েছি। জমিতে চাষ করে এবার প্রচুর ফলন হয়েছে। এ ধরনের সহযোগিতা আমাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। বাগবাড়ী গ্রামের কৃষক কুদ্দুস বলেন, প্রণোদনা হিসেবে ভুট্টার বীজ ও সার পেয়েছি। নিজের জমিতে চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি। এ উদ্যোগ আমাদের কৃষকদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে দারুণ ভূমিকা রাখছে। তারা বিনামূল্যে বীজ ও সার তাদের কাছে সরাসরি পৌঁছেছে এবং তারা কৃষি অফিসের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কৃষি প্রণোদনা চান ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা।
এদিকে সম্প্রতি উপজেলা কৃষি অফিসের অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংবাদ পরিবেশ করে। যা ভুল ও মিথ্যা তথ্যে ভিত্তিতে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে জানান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাসানুর রহমান।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রবি মৌসুমে প্রণোদনা কার্যক্রম সঠিকভাবে বিতরণ সম্পন্ন করা হয়। কোনো অনিয়ম হয়নি।
শারদীয়া দুর্গাপূজা ঘিরে কেউ অসাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডে জড়াতে চাইলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান। তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা তুলে ধরে তিনি জানান- তাদের বিশেষ ইন্টেলিজেন্স টিমের মাধ্যমে দুর্বৃত্তদের তথ্য দ্রুত পৌছে যাবে এবং ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মঙ্গলবার মহাঅষ্টমিতে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামটস্থ পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জেলা বাস মালিক সমিতি ও জেলা মিনিবাস মালিক সমিতির দুটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন র্যাব কর্মকর্তা মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান। পরে তিনি সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এ সময় তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাই-বোনেরা যাতে নিরাপদে এবং নিরবিচ্ছিন্নভাবে পূজা উদযাপন করতে পারে তার জন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। আমাদের প্রথমস্তরে পেট্রোল টিম প্রতিটি পূজামন্ডপ পরিদর্শন করছে।
তিনি আরো বলেন, দ্বিতীয়স্তরের বিশেষ ইন্টেলিজেন্স টিম মন্ডপের আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে৷ কেউ যদি কোন প্রকার অসাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডে জড়াতে চায়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায় তাহলে সেই তথ্য দ্রুত পেয়ে যাব এবং দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজমীর হোসেন, জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান সিদ্দিকী, ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্পের স্কোয়াড্রন লিডার তারিকুল ইসলাম, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন পিয়াল, জেলা বাসমালিক পূজামণ্ডপের সভাপতি সূর্যনাথ দাস, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার ঘোষ, কোষাধক্ষ্য মানিক চৌধুরী মিঠু, মিনিবাস মালিক সমিতির পূজামণ্ডপের সভাপতি মৃত্যঞ্জয় দাস মনা, সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ সাহা পিয়াস উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য