নতুন বছরে পুঁজিবাজারে চাঙাভাব অব্যাহত আছে। চলতি সপ্তাহে টানা চার দিন আর বছরের ১৪ কর্মদিবসের ১২ দিনই বাড়ল সূচক। ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে লেনদেনও। একেক দিন একেক খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রবণতার মধ্যে এবার আগ্রহ দেখা গেল বস্ত্র খাতে।
বুধবার ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে সূচকের যে অবস্থান, সেটি গত ১৮ নভেম্বর অর্থাৎ দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। সেদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক ছিল ৭ হাজার ৯১। ঠিক দুই মাস এক দিন পর সূচক দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৮৯ পয়েন্টে।
এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত সূচক বাড়ল ৩৩২ পয়েন্ট। গত বছরের শেষ কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ৯২১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সেখান থেকে বেড়ে বুধবার দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৩৫ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
২০২১ সালের শেষ দিকে পুঁজিবাজারে লেনদেনের খরা দেখা গেলেও চলতি বছরের দ্বিতীয় কর্মদিবসে লেনদেন এক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে দেয়ার পর তা এখন দুই হাজার কোটি টাকার দিকে ছুটছে। মাঝে একদিন দুই হাজার কোটি টাকার আশেপাশে লেনদেন হয়েওছিল। তবে পরে সেখান থেকে কমে।
চলতি বছর একেকদিন বিমা খাত, পরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, প্রকৌশল, খাদ্য, ওষুধ ও রসায়নে আগ্রহ দেখা গেছে। প্রতি দিনই বিবিধ খাত হয় লেনদেনের শীর্ষে বা দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল।
গত কয়েক দিন ধরে বস্ত্র খাতে আগ্রহ ধীরে ধীরে বাড়ছিল। আজ তা বেড়ে হলো দুইশ কোটি টাকার পাশেপাশে। লেনদেনের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির লেনদেনও।
লেনদেনে বস্ত্র খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে ৬৮ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ২২ শতাংশ কোম্পানির।
সবচেয়ে বেশি কোম্পানির দর অবশ্য বেড়েছে প্রকৌশল এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতে। এর মধ্যে প্রকৌশলে ৮৪ শতাংশ এবং ওষুধ খাতের ৮১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারে অর্থ যোগ হয়েছে।
লেনদেন শেষে ডিএসইতে মোট ১ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭১২ কোটি টাকা।
দিনের সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া খাত অবশ্য ছিল বিবিধ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়নের সঙ্গে বস্ত্রের অবস্থান ছিল কাছাকাছি।
বিবিধ খাতে লেনদেন হয়েছে সবচেয়ে বেশি ২৭৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়নে হাতবদল হয়েছে ১৯৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা বস্ত্রে হাতবদল হয়েছে ১৯৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
চামড়া, প্রকৌশল, বিমা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেও লেনদেন ছাড়িয়েছে একশ কোটি টাকার বেশি।
সূচক বাড়ালো যেসব কোম্পানি
সূচক বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকায় ছিল বেক্সিমকো গ্রুপ। গত দুই থেকে তিন মাস ধরে এই গ্রুপের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর ক্রমেই কমছিল। এর মধ্যে এক দিনে বাড়ল চারটি কোম্পানির দর। তবে কোম্পানিটির ইসলামি সুকুক বন্ড অভিহিত মূল্যের আরও একটু নিচে নেমে গেছে।
সূচক যত পয়েন্ট বেড়েছে, তার অর্ধেকের বেশি বাড়িয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড একাই। টানা দরপতনের মধ্যে থাকা এই কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দিনেই বেড়েছে ৫.২৭ পয়েন্ট। এতে সূচক যোগ হয়েছে ১৮.৯ পয়েন্ট।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এসিআই লিমিটেডের শেয়ারদর ৭.৫৭ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৪.৫৯ পয়েন্ট।
বেক্সিমকো গ্রুপেরই আরেক কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মার দর ১.৭৬ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৪.৩ পয়েন্ট।
তিতাস গ্যাস, ব্র্যাক ব্যাংক, গ্রামীণ ফোন, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ইউনিলিভার, স্কয়ার ফার্মা ও লিনডে বিডিও সূচকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানিই সূচকে যোগ করেছে ৪৬ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ৭.৪৩ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে রবি। কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১.২৬ পয়েন্ট।
ইউনাইটেড পাওয়ার, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, ওয়ালটন, বিএসআরএম স্টিল, ট্রাস্ট ব্যাংক, অলিম্পিক একসেসোরিজ, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট, জিপিএইচ ইস্পাত ও ডাচ বাংলা ব্যাংকও সূচক কিছুটা কমিয়েছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পনি সূচক কমিয়েছে ২২.০১ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির ১০ কোম্পানি
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির ৫টিই বস্ত্র খাতের।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে গ্লোবাল হ্যাভি কেমিক্যারের ৯.৮৮ শতাংশ। আগের দিন শেয়ারদর ছিল ৩৩ টাকা ৪০ পয়সা, সেটি বেড়ে হয়েছে ৩৬ টাকা ৭০ পয়সা।
আরও দুটি কোম্পানির শেয়ার দর নয় শতাংশের বেশি বেড়েছে। এর একটি নতুন তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ইন্স্যরেন্স, যার দর বেড়েছে ৯.৭৭ শতাংশ। অপরটি সেন্ট্রাল ফার্মা, যার দর বেড়েছে ৯.৩৫ শতাংশ।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা দেশ গার্মেন্টসের দর ১৮৮ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৮.৭১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২০৪ টাকা ৫০ পয়সা।
সাত শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে পাঁচটি কোম্পানির। এর মধ্যে বস্ত্র খাতের শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৭.৭৯ শতাংশ, সোনারগাঁও টেক্সটাইলের দর ৭.৩৫ শতাংশ, মুন্নু ফেব্রিক্সের দর ৭.৫৬ শতাংশ ও তাল্লু স্পিনিংয়ের দর ৭.৫১ শতাংশ দর বেড়েছে। এছাড়া ওষুধ ও রসায়ন খাতের এসিআইয়ের দর ৭.৫৭ শতাংশ।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
দর পতনের শীর্ষে ছিল রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, যার দর কমেছে ৫.১৯ শতাংশ। চার শতাংশের বেশি দর কমেছে তিনটি কোম্পানির। এর মধ্যে শমরিতা হসপিটালের ৪.৬১ শতাংশ, প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৪.৩৭ শতাংশ ও পদ্মা লাইফের দর ৪.২৩ শতাংশ কমেছে।
এছাড়া আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর ৩.৭৫ শতাংশ, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর ৩.৬৪ শতাংশ, আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর ৩.২৯ শতাংশ, জিলবাংলা সুগার মিলের ৩.১১ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।
নবম অবস্থানে থাকা এম আই সিমেন্ট ২.৯১ শতাংশ আর দশম অবস্থানে থাকা ফাস ফাইনান্স দর হারিয়েছে ২.৮৫ শতাংশ।
লেনদেনে সেরা ১০
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের ১৭৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ১৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩৬টি।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ফরচুন সুজের লেনদেন হয়েছে ১৭১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখ ১৮ হাজার ২৯৬টি।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনে লেনদেন হয়েছে ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৬৩ লাখ ১৭ হাজার ৪৪০টি।
সাইফ পাওয়ারটেকে ৬৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, এসিআইয়ে ৪১ কোটি ৪১ লাখ টাকা, জিপিএইচ ইস্পাতে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, ওরিয়ন ফার্মায় ৩২ কোটি ২৯ লাখ টাকা, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সে ৩০ কোটি ৮ লাখ টাকা, প্যারামাউন্ড টেক্সটাইলে ২৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা এবং পাওয়ারগ্রিডের ২৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য