নতুন বছরে পুঁজিবাজারে চাঙাভাব অব্যাহত আছে। চলতি সপ্তাহে টানা চার দিন আর বছরের ১৪ কর্মদিবসের ১২ দিনই বাড়ল সূচক। ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে লেনদেনও। একেক দিন একেক খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রবণতার মধ্যে এবার আগ্রহ দেখা গেল বস্ত্র খাতে।
বুধবার ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে সূচকের যে অবস্থান, সেটি গত ১৮ নভেম্বর অর্থাৎ দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। সেদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক ছিল ৭ হাজার ৯১। ঠিক দুই মাস এক দিন পর সূচক দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৮৯ পয়েন্টে।
এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত সূচক বাড়ল ৩৩২ পয়েন্ট। গত বছরের শেষ কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ৯২১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সেখান থেকে বেড়ে বুধবার দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৩৫ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
২০২১ সালের শেষ দিকে পুঁজিবাজারে লেনদেনের খরা দেখা গেলেও চলতি বছরের দ্বিতীয় কর্মদিবসে লেনদেন এক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে দেয়ার পর তা এখন দুই হাজার কোটি টাকার দিকে ছুটছে। মাঝে একদিন দুই হাজার কোটি টাকার আশেপাশে লেনদেন হয়েওছিল। তবে পরে সেখান থেকে কমে।
চলতি বছর একেকদিন বিমা খাত, পরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, প্রকৌশল, খাদ্য, ওষুধ ও রসায়নে আগ্রহ দেখা গেছে। প্রতি দিনই বিবিধ খাত হয় লেনদেনের শীর্ষে বা দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল।
গত কয়েক দিন ধরে বস্ত্র খাতে আগ্রহ ধীরে ধীরে বাড়ছিল। আজ তা বেড়ে হলো দুইশ কোটি টাকার পাশেপাশে। লেনদেনের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির লেনদেনও।
লেনদেনে বস্ত্র খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে ৬৮ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ২২ শতাংশ কোম্পানির।
সবচেয়ে বেশি কোম্পানির দর অবশ্য বেড়েছে প্রকৌশল এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতে। এর মধ্যে প্রকৌশলে ৮৪ শতাংশ এবং ওষুধ খাতের ৮১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারে অর্থ যোগ হয়েছে।
লেনদেন শেষে ডিএসইতে মোট ১ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭১২ কোটি টাকা।
দিনের সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া খাত অবশ্য ছিল বিবিধ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়নের সঙ্গে বস্ত্রের অবস্থান ছিল কাছাকাছি।
বিবিধ খাতে লেনদেন হয়েছে সবচেয়ে বেশি ২৭৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়নে হাতবদল হয়েছে ১৯৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা বস্ত্রে হাতবদল হয়েছে ১৯৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
চামড়া, প্রকৌশল, বিমা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেও লেনদেন ছাড়িয়েছে একশ কোটি টাকার বেশি।
সূচক বাড়ালো যেসব কোম্পানি
সূচক বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকায় ছিল বেক্সিমকো গ্রুপ। গত দুই থেকে তিন মাস ধরে এই গ্রুপের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর ক্রমেই কমছিল। এর মধ্যে এক দিনে বাড়ল চারটি কোম্পানির দর। তবে কোম্পানিটির ইসলামি সুকুক বন্ড অভিহিত মূল্যের আরও একটু নিচে নেমে গেছে।
সূচক যত পয়েন্ট বেড়েছে, তার অর্ধেকের বেশি বাড়িয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড একাই। টানা দরপতনের মধ্যে থাকা এই কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দিনেই বেড়েছে ৫.২৭ পয়েন্ট। এতে সূচক যোগ হয়েছে ১৮.৯ পয়েন্ট।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এসিআই লিমিটেডের শেয়ারদর ৭.৫৭ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৪.৫৯ পয়েন্ট।
বেক্সিমকো গ্রুপেরই আরেক কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মার দর ১.৭৬ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৪.৩ পয়েন্ট।
তিতাস গ্যাস, ব্র্যাক ব্যাংক, গ্রামীণ ফোন, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ইউনিলিভার, স্কয়ার ফার্মা ও লিনডে বিডিও সূচকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানিই সূচকে যোগ করেছে ৪৬ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ৭.৪৩ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে রবি। কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১.২৬ পয়েন্ট।
ইউনাইটেড পাওয়ার, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, ওয়ালটন, বিএসআরএম স্টিল, ট্রাস্ট ব্যাংক, অলিম্পিক একসেসোরিজ, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট, জিপিএইচ ইস্পাত ও ডাচ বাংলা ব্যাংকও সূচক কিছুটা কমিয়েছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পনি সূচক কমিয়েছে ২২.০১ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির ১০ কোম্পানি
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির ৫টিই বস্ত্র খাতের।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে গ্লোবাল হ্যাভি কেমিক্যারের ৯.৮৮ শতাংশ। আগের দিন শেয়ারদর ছিল ৩৩ টাকা ৪০ পয়সা, সেটি বেড়ে হয়েছে ৩৬ টাকা ৭০ পয়সা।
আরও দুটি কোম্পানির শেয়ার দর নয় শতাংশের বেশি বেড়েছে। এর একটি নতুন তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ইন্স্যরেন্স, যার দর বেড়েছে ৯.৭৭ শতাংশ। অপরটি সেন্ট্রাল ফার্মা, যার দর বেড়েছে ৯.৩৫ শতাংশ।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা দেশ গার্মেন্টসের দর ১৮৮ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৮.৭১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২০৪ টাকা ৫০ পয়সা।
সাত শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে পাঁচটি কোম্পানির। এর মধ্যে বস্ত্র খাতের শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৭.৭৯ শতাংশ, সোনারগাঁও টেক্সটাইলের দর ৭.৩৫ শতাংশ, মুন্নু ফেব্রিক্সের দর ৭.৫৬ শতাংশ ও তাল্লু স্পিনিংয়ের দর ৭.৫১ শতাংশ দর বেড়েছে। এছাড়া ওষুধ ও রসায়ন খাতের এসিআইয়ের দর ৭.৫৭ শতাংশ।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
দর পতনের শীর্ষে ছিল রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, যার দর কমেছে ৫.১৯ শতাংশ। চার শতাংশের বেশি দর কমেছে তিনটি কোম্পানির। এর মধ্যে শমরিতা হসপিটালের ৪.৬১ শতাংশ, প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৪.৩৭ শতাংশ ও পদ্মা লাইফের দর ৪.২৩ শতাংশ কমেছে।
এছাড়া আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর ৩.৭৫ শতাংশ, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর ৩.৬৪ শতাংশ, আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর ৩.২৯ শতাংশ, জিলবাংলা সুগার মিলের ৩.১১ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।
নবম অবস্থানে থাকা এম আই সিমেন্ট ২.৯১ শতাংশ আর দশম অবস্থানে থাকা ফাস ফাইনান্স দর হারিয়েছে ২.৮৫ শতাংশ।
লেনদেনে সেরা ১০
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের ১৭৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ১৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩৬টি।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ফরচুন সুজের লেনদেন হয়েছে ১৭১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখ ১৮ হাজার ২৯৬টি।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনে লেনদেন হয়েছে ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৬৩ লাখ ১৭ হাজার ৪৪০টি।
সাইফ পাওয়ারটেকে ৬৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, এসিআইয়ে ৪১ কোটি ৪১ লাখ টাকা, জিপিএইচ ইস্পাতে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, ওরিয়ন ফার্মায় ৩২ কোটি ২৯ লাখ টাকা, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সে ৩০ কোটি ৮ লাখ টাকা, প্যারামাউন্ড টেক্সটাইলে ২৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা এবং পাওয়ারগ্রিডের ২৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য