যা ছিল এক হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের আন্দোলন, তা এখন রূপ নিয়েছে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের এখন একটাই দাবি, উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমদ লিজার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর গত রোববার হামলা চালায় পুলিশ। তখন দুই পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। এরপর থেকেই এ আন্দোলনের দাবি হয়ে ওঠে উপাচার্যের পদত্যাগ। সিরাজুন্নেসা হলের ছাত্রীদের সঙ্গে অন্য শিক্ষার্থীরাও তখন যুক্ত হন এই আন্দোলনে। এমনকি এর আগে ছাত্রীদের আন্দোলনে উপাচার্যের পক্ষে অবস্থান নেয়া ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও এখন উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে সরব।
পুলিশের হামলার ঘটনায় বিস্ফোরণ ঘটলেও উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ দীর্ঘদিনের বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি, ক্যাম্পাসে কোনো অনুষ্ঠান করতে বাধা প্রদান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কুমিল্লার লোকদের নিয়োগে প্রাধান্য, উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলাপ করে এসব অভিযোগের কথা জানা গেছে।
২০১৭ সালের আগস্টে প্রথম দফায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। ২০২১ সালের ৩০ জুন উপাচার্য পদে তাকে পুনর্নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
উপাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কারণ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসির সরকার বলেন, ‘উপাচার্য আমাদের কোনো দাবিকে আমলে নেন না। তার একক সিদ্ধান্তে সবকিছু চলে।’
উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ভবন তৈরি হচ্ছে। বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আশু সমস্যা সমাধানে উপাচার্য কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না।’
তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালে আমরা ৪ দফা দাবিতে আন্দোলন করেছিলাম। এর অন্যতম ছিল প্রতিটি একাডেমিক ভবনে আলাদা রিডিং রুম করা। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা দাবি করেছিলাম সপ্তাহে সাত দিন পাঠাগার খোলা রাখার। সে দাবিও পূরণ হয়নি। এখন সপ্তাহে পাঁচ দিন পাঠাগার খোলা থাকে। শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকে। অথচ এই দুই দিন ক্লাস পরীক্ষা না থাকায় শিক্ষার্থীরা পাঠাগারে এসে পড়তে পারত।’
উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের সব পথ বন্ধ করে দিয়েছেন উল্লেখ করে এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমরা ক্যাম্পাসে রোড পেইন্টিং করতাম। এই উপাচার্য তা বন্ধ করে দেন। তিনি আমাদের গ্রাফিতি আঁকতে দেন না। দেয়াল লিখন নিষিদ্ধ করেছেন। সব কিছু নিষিদ্ধ করে তিনি স্বৈরাচারী কায়দায় বিশ্ববিদ্যালয় চালাচ্ছেন।’
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হোসেন অপূর্ব বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ হাজার শিক্ষার্থী। তাদের খাবারের কোনো ব্যবস্থা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাফেটেরিয়া আছে মাত্র দুটি।’
তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে অনেক টং দোকান ছিল, যেগুলোয় শিক্ষার্থীরা খেতে পারতেন। কিন্তু করোনার পর থেকে উপাচার্য এগুলো বন্ধ করে দেন।
এর কারণ হিসেবে অপূর্ব বলেন, ‘টং দোকানে শিক্ষার্থীরা আড্ডা দিতেন। তারা একত্রিত হতে পারতেন। কিন্তু উপাচার্য তা চান না। শিক্ষার্থীরা একত্রিত হোক, তা তিনি পছন্দ করেন না। তিনি বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন।’
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার দুটি সাইনবোর্ড নিয়েও ক্ষোভ দেখা দেয়। পাশাপাশি দুটি ক্যাফেটেরিয়ার একটিতে ‘সম্মানিত শিক্ষক/ কর্মকর্তাদের’ অন্যটিতে ‘শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের জন্য’ সাইনবোর্ড টানানো হয়। শুধু শিক্ষকদের আগে ‘সম্মানিত’ শব্দ ব্যবহার করে বৈষম্য করা হয়েছে অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থীরাও এ নিয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ক্ষোভের মুখে গত সপ্তাহে সাইনবোর্ড দুটি সরিয়ে নেয়া হয়।
উপাচার্যের কাছে শিক্ষার্থীরা কোনো অভিযোগ নিয়ে গেলে উল্টো হয়রানির শিকার হতেন জানিয়ে স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন বলেন, ‘আমরা কোনো দাবি বা অভিযোগ নিয়ে গেলে তিনি আমাদের রেজাল্ট দেখতে চান। রেজাল্ট খারাপ হলে তিনি আমাদের সঙ্গে আর কথাই বলেন না, বরং অপদস্ত করেন। বিভাগের শিক্ষকদের দিয়ে চাপ প্রয়োগ করান।’
তিনি বলেন, ‘আগে ছাত্রীরা রাত ১০টা পর্যন্ত হলের বাইরে থাকতে পারত। কিন্তু ফরিদ উদ্দিন দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১৭ সালে ছাত্রীদের সন্ধ্যার পর হলের বাইরে থাকা নিষিদ্ধ করে দেন। এখন সন্ধ্যা হলেই প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ক্যাম্পাসে ঘুরে ঘুরে দেখেন কোনো ছাত্রী হলের বাইরে আছে কি না। কেউ বাইরে থাকলে তাকে হেনস্তা করা হয়। অনেক সময় অভিভাকদের কাছেও চিঠি পাঠানো হয়।’
উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সাংস্কৃতিক আয়োজন করতে দিতেন না উল্লেখ করে পলিটিক্যাল স্ট্যাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী দীক্ষিতা তালুকদার বলেন, ‘তিনি আমাদের কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে দিতেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তন ব্যবহার করতে দিতেন না। কিছুদিন আগে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বারবিকিউয়ের আয়োজন করতে চেয়েছিল, তাতেও তিনি বাধা দিয়েছেন।’
এই ছাত্রী বলেন, ‘হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি আদায়ে আমরা আন্দোলনে নামলে তিনি দাবি পূরণে এক সপ্তাহের সময় চান। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিতে তিনি এক ঘণ্টারও সময় নেননি। আচমকাই হল বন্ধের ঘোষণা দিয়ে দেন। তার নির্দেশে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। এমন স্বৈরাচারী ও ব্যর্থ উপাচার্য আমরা চাই না।’
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম নেতা সাব্বির আহমদ অভিযোগ করে বলেন, ‘এই উপাচার্য আমাদের ঐক্য নষ্ট করেছেন। আমরা যতবার দাবি নিয়ে দাঁড়িয়েছি, ততবার তিনি আমাদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে হয়রানি করেছেন। তার কাছে আমরা আমাদের কোনো অধিকার নিয়ে কথা বলতে পারি না।’
গত বৃহস্পতিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমদ লিজার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের ছাত্রীরা। তখন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতারা তাদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি শনিবার সন্ধ্যায় আন্দোলনকারী ছাত্রীদের উপর ছাত্রলীগ হামলা চালায় বলেও অভিযোগ আছে।
তবে এখন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও যোগ দিয়েছেন উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে। মঙ্গলবার উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ চেয়ে ক্যাম্পাসে মিছিল করে ছাত্রলীগের একটি অংশ। এ ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভেও শরিক হয়েছেন ছাত্রলীগের অনেকে।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি নেই দীর্ঘদিন ধরে। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় গত বছরের ১৭ জুন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এরপর আর নতুন কমিটি দেয়া হয়নি। ক্যাম্পাসে এখন ছাত্রলীগের অন্তত ছয়টি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে।
এই গ্রুপিং জিইয়ে রাখার পেছনেও উপাচার্যের ইন্ধন রয়েছে অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘উপাচার্যের কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি আসছে না। তিনি ছাত্রলীগকে কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত করে রেখেছেন। কমিটি দিলে ঝামেলা হবে এমনটি বুঝিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের।’
তার অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। এসবে ব্যাপক লুটপাট হচ্ছে। লুটপাট অব্যাহত রাখা ও নিজের ক্ষমতা একচ্ছত্র করতে ছাত্রলীগের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করেছেন ফরিদ উদ্দিন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যেও বিভক্তি জিইয়ে রাখার অভিযোগ রয়েছে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে।
তবে উপাচার্যের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগের সত্যতা থাকলেও তিনি কিছু ভালো কাজও করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস পরীক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। সেশনজট তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমাদের এখানে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরপরই পরীক্ষা শুরু হয়েছে। নতুন সেমিস্টারের ক্লাসও শুরু হয়েছে। সেশনজট অনেকাংশে কমে এসেছে। যারা পরীক্ষা দিতে চান না, তারা উপাচার্যের ওপর ক্ষুব্ধ।’
তিনি বলেন, ‘উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং বন্ধ করেছেন। এ কারণেও কেউ কেউ তার ওপর নাখোশ। তাদের দাবি, র্যাগিংয়ের মাধ্যমে সিনিয়র-জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের তিনটি গ্রুপ রয়েছে। এগুলো হলো- আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’, আওয়ামী-বামপন্থি শিক্ষকদের প্যানেল ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তচিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ’ ও বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধে শ্রদ্ধাশীল শিক্ষক ফোরাম’।
নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে শিক্ষকদের এই দ্বন্দ্ব জিইয়ে রাখার অভিযোগ রয়েছে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে। তবে এ ব্যাপারে কোনো কোনো শিক্ষক প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, ‘তিনি খুব অহংকারী। কাউকে মূল্যায়ন করেন না। তিনিকে প্রধানমন্ত্রীর কাছের লোক বলে পরিচয় দেন।’
তিনি বলেন, ‘উপাচার্যের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে কুমিল্লাকরণ করছেন নিয়োগ ও বিভিন্ন দায়িত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে নিজ এলাকার লোকদের গুরুত্ব দিয়ে।’
এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের সঙ্গে মঙ্গলবার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। বাসবভন অবরোধ করে তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। ফলে তার সঙ্গে দেখা করা যায়নি।
সোমবার উপাচার্য বলেছিলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মান অনেক উন্নত হয়েছে। করোনাকালেও আমরা অনেক ভালো করেছি। এখন কিছু বহিরাগতের ইন্ধনে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। বহিরাগতরাই এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন:বুয়েট শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদ স্মৃতি স্মরণে বুয়েট সংলগ্ন পলাশী গোলচত্বরে আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ আজ উদ্বোধন করা হয়েছে।
ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (আইসেস্কো)-এর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. রাহিল কামার আজ ৫ অক্টোবর ২০২৫ রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এসময় একই সংস্থার ফাহমিদা ফাইজা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইসেস্কোর মধ্যে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা প্রকল্প গ্রহণের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আইসেস্কো চেয়ার’ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তাঁরা ফলপ্রসূ আলোচনা করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন খ্যাতিমান সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্ব ও নেটওয়ার্কিং গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করায় তিনি আইসেস্কো প্রতিনিধিদলের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ৫০০ টাকা বাড়ি ভাড়া বাড়ার প্রজ্ঞাপনকে প্রত্যাখ্যান করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট। একই সঙ্গে ২০ শতাংশ বাড়িভাড়ার দাবিতে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
জানা যায়, গতকাল রোববার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া বাড়ানোর পরিপত্র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি শাখার উপসচিব মোসা. শরীফুন্নেসা স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা শর্ত পালন সাপেক্ষে ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হলো।
এ নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট সভাপতি এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী।
নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বাড়ার একটি প্রজ্ঞাপন ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা এই প্রজ্ঞাপণের ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি যে প্রজ্ঞাপনটি সঠিক। আমরা ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া বাড়ার প্রজ্ঞাপনকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের পক্ষ থেকে প্রত্যাখ্যান করছি।
তিনি আরো লিখেছেন, ১৩ আগস্ট এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের নেতাদের সঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টার নেতৃত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১ হাজার ৫০০ টাকা মেডিক্যাল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপণের দাবিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাতাগার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
তিনি উল্লেখ করেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষক কর্মচারীদের ২০ শতাংশ অনুযায়ী বাড়িভাড়ার ফাইল অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইেয়দ এ জেড মোরশেদ আলী।
এর আগে এমপিওভুক্ত শিক্ষায় বৈষম্য নিরসন, সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা ও জাতীয়করণের দাবিতে গত ১৩ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রায় এক লাখ শিক্ষক-কর্মচারী মহাসমাবেশ করেন।
ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মাদ্রাসা শিক্ষায় এই উপমহাদেশে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অবদান উল্লেখযোগ্য। আমি একজন মাদ্রাসার ছাত্র হিসেবে গর্ববোধ করি।
বুধবার রাজধানীর বকশিবাজারে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশসহ এই উপমহাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষার ঐতিহ্য শত বছরের পুরনো। যুগে যুগে এই শিক্ষাব্যবস্থা অনেক আধুনিকায়ন হয়েছে। সুশিক্ষার মাধ্যমে এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে।
আ ফ ম খালিদ হোসেন আরো বলেন, বাংলাদেশে আলিয়া মাদ্রাসার মতো আড়াইশো বছরের ঐতিহ্য সম্ভবত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। আলিয়া মাদ্রাসা থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুর রহমান বিশ্বাসসহ বহু আলেম-ওলামা বেরিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, এই উপমহাদেশে, মাদ্রাসা শিক্ষা না থাকলে ইসলামের ঐতিহ্য আদর্শ তমুদ্দিন কোন কিছুই বজায় রাখা সম্ভব হতো না। তাই সামাজিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় মাদ্রাসা শিক্ষার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা নিয়ে সমাজে ধর্মীয় মূল্যবোধের বিকাশ ঘটাতে হবে মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে। এই শিক্ষাকে ছোট করে দেখলে চলবে না। এর ঐতিহ্য শত বছরের।
উপদেষ্টা আরো বলেন, মাদ্রাসা হল আলেম-ওলামা তৈরীর কারখানা। বর্তমান সরকার মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়নের পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রদেরকে প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করে বাস্তব জীবনে নিজেদের প্রতিভার বিকাশ করাতে হবে। তবেই জীবনে সফলতা সম্ভব।
তিনি বলেন ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার বর্তমান শিক্ষার্থীদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।সূত্র : বাসস
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী নিয়োগের ক্ষমতা হারানোর পর এবার প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদেও নিয়োগের ক্ষমতাও হারাচ্ছে পরিচালনা পর্ষদ বা ‘গভর্নিং বডি’ ও ‘ম্যানেজিং কমিটি’।
এসব পদে সরকারের তদারকিতে নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হবে। কোনো প্রক্রিয়ায় বা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে তা নির্ধারণে কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় এ তথ্য জানান বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ-এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারী প্রধান পদে নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়া নিয়ে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘সিদ্ধান্ত একটা হয়েছে, আগে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ পদগুলোতে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি নিয়োগ দিত, এখন এ পদগুলোতে সরকার নিয়োগ দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটা কমিটি করে দিয়েছে। কমিটি এটা নির্ধারণ করবে, এ পদগুলোতে কোন আদলে নিয়োগ দেবে, কারা করবে, এনটিআরসিএ করবে না, অন্য কেউ করবে কোনটাই এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’
এ কমিটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এনটিআরসিএ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা দায়িত্ব পালন করছেন বলেও তুলে ধরেন তিনি।
আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এ সব পদে নিয়োগে কোন নীতিমালা বা নিয়ম অনুসরণ করা হবে তা এ কমিটি নির্ধারণ করবে।’
আপাতত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পর্যায়ের শিক্ষক ও প্রভাষক পদে প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশ করার দায়িত্ব এনটিআরসিএ এর হাতে থাকলেও প্রতিষ্ঠান প্রধান, সহকারী প্রধান ও কর্মচারী পদে নিয়োগের ক্ষমতা ছিল পরিচালনা পর্ষদের হাতে।
গত সোমবার প্রকাশিত এক পরিপত্রে বেসরকারি স্কুল ও কলেজের কর্মচারী পদে নিয়োগ সুপারিশ কমিটির সভাপতি পদ থেকে ‘গভর্নিং বডি’ ও ‘ম্যানেজিং কমিটি’ সরিয়ে ডিসিদের এ দায়িত্ব দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ের নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়া নিয়ে জানাতে এ কর্মশালা আয়োজন করে এনটিআরসিএ।
কর্মশালায় এনটিআরসিএ সদস্য এরাদুল হক, মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী, পরিচালক তাসনিম জেবিন বিনতে শেখ, সংস্থাটির সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক ও সংবাদকর্মীরা অংশ নেন।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ডিবেট ক্লাব আয়োজিত “জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৫”-এর গ্র্যান্ড ফিনালে ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আজ সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাকুল হায়দার হলে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ফরিদ আহমদ সোবহানীর সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবুল কাসেম হায়দার।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মো. শামসুল হুদা, রেজিস্ট্রার ড. আবুল বাশার খান, ডিবেট ক্লাবের কো-অর্ডিনেট ও আইন বিভাগের লেকচারার মেহেরবা সাবরিন, এবং ক্লাবের সভাপতি আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিত ইবনে মাহমুদ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দসহ অসংখ্য শিক্ষার্থীর উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
৩২ টি কলেজের অংশগ্রহণে ইন্টার-কলেজ প্রতিযোগিতার ফাইনাল-এ সরকারি বাংলা কলেজ ও সরকারি বিজ্ঞান কলেজ মুখোমুখি হয়। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ বিজয়ী হয় এবং সরকারি বাংলা কলেজ রানার আপের গৌরব অর্জন করে। এ পর্বে সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হন সরকারি বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী ইমন আহমেদ।
অন্যদিকে, ২৮ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে ইন্টার-ইউনিভার্সিটি প্রতিযোগিতার ফাইনাল-এ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) এর মধ্যে লড়াই হয়। এই প্রতিযোগিতায় বুটেক্স বিজয়ী হয় এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি রানার আপ হয়। এ পর্বের সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আলভি সালমান।
আয়োজকরা জানান, এ প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের তরুণ প্রজন্মকে যৌক্তিকতা, মুক্তচিন্তা ও নেতৃত্বের চর্চায় অনুপ্রাণিত করা।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং শিল্পখাতের অংশীজনদের যৌথ সহযোগিতায় কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) নতুন পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ চালু করবে।
বাংলাদেশের তরুণদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করাই বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন উদ্যোগের লক্ষ্য।
এ লক্ষ্যে রোববার ঢাকায় এক হোটেলে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা এবং শিল্পখাতের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
কোইকা'র পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ অংশীদারিত্ব বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে। শিল্পখাতের অভিজ্ঞতা এবং বিএমইটি-এর নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে এ কর্মসূচি প্রাসঙ্গিক ও ফলপ্রসূ কারিগরি প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করবে।
মন্তব্য