নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে বড় ব্যবধানে হেরে যাওয়া বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার তার নিজ এলাকা ১৩ নং ওয়ার্ডেও জিততে পারেননি। তবে এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে দাঁড়িয়ে জিতেছেন তার ছোট ভাই মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।
তৈমূরের মার্কা হাতিতে যত ভোট পড়েছে, তার ভোট ছাই খোরশেদের ঠেলাগাড়ি মার্কায় ভোট পড়েছে তার দ্বিগুণ।
অর্থাৎ খোরশেদকে যারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চেয়েছেন, তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক মেয়র হিসেবে দেখতে চেয়েছেন নৌকা মার্কার প্রার্থী আইভীকে।
এই ওয়ার্ডের ১২টি কেন্দ্রে মেয়র পদে সব মিলিয়ে ৭ হাজার ২৫৪ টি ভোট পেয়েছেন তৈমূর। অন্যদিকে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী খোরশেদ পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭৭২ ভোট, যা তৈমূরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
এই ওয়ার্ডে তৈমূরের চেয়ে কিছু বেশি ভোট পেয়েছেন আইভী। তার নৌকায় সমর্থন জানিয়েছেন ৭ হাজার ৩৬১ জন।
এই ওয়ার্ডের ১২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬টিতে বেশি ভোট পেয়েছেন তৈমূর, ৬টিতে বেশি পেয়েছেন আইভী। আর ১২টি কেন্দ্রেই তৈমূরের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন তার ভাই খোরশেদ।
ঠেলাগাড়ি প্রতীকে খোরশেদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে গো হারা হেরেছেন যুবলীগ নেতা শাহ ফয়েজ উল্লাহ। তিনি ১ হাজার ২২ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তৈমূরের ছোট ভাই ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়ী মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিগত সময়ের কর্মকাণ্ড দেখে মানুষ ভোট দেয়। করোনার সময় মানুষ আমাকে পাশে পেয়েছে। এ কারণে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ স্থানীয়রা জনগণ দলমত-নির্বিশেষে আমাকে ভোট দিয়েছে।’
মেয়র নির্বাচনের ক্ষেত্রেও মানুষ একই নীতিমালায় ভোট দিয়েছে বলে মনে করেন খোরশেদ। তিনি বলেন, ‘আগে যিনি মেয়র ছিলেন তার কাজগুলো দেখে তাকে স্থানীয়রা ভোট দিয়েছেন।’
নিজ এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থী ছোট ভাইয়ের চেয়েও কম ভোট পাওয়ার বিষয়ে তৈমূর আলম খন্দকারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তা বন্ধ পাওয়া যায়। খোরশেদও জানিয়েছেন তিনি বাড়িতে বিশ্রাম করছেন।
ভোটের পরে এক প্রতিক্রিয়ায় তৈমূর তার পরাজয়ের কারণ হিসেবে ইভিএমকে দেখিয়েছিলেন। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না দেখিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, ইভিএম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কারণে হেরেছেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী গত রোববার ১৯২টি কেন্দ্রে আইভী ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৭টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমূর পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৬৬ ভোট। ভোটের ব্যবধান প্রায় ৬৭ হাজার।
এ নিয়ে আইভী টানা চারবার ভোটে জিতলেন। এর মধ্যে ২০০৩ সালে পৌরসভার মেয়র এবং ২০১১, ২০১৬ সালের ধারাবাহিকতায় এবার সিটি করপোরেশনের মেয়র হলেন।
চারবারই আইভীর প্রতিদ্বন্দ্বীরা তার ধারেকাছেও আসতে পারেননি। তবে সিটি করপোরেশনের তিনটি নির্বাচনের মধ্যে তৈমূরই সবচেয়ে কম ভোটে হেরেছেন।
কোন কেন্দ্রে কত ভোট
নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ ভোটকেন্দ্র-১ এ তৈমূরের পক্ষে ভোট পড়েছে ৯৭৬টি। অন্যদিকে এখানে খোরশেদ ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ৬৮১টি।
এই কেন্দ্রে আইভী ভোট পেয়েছেন ৮১৪ টি। অর্থাৎ তৈমূরের চেয়ে কিছুটা কম ভোট পেয়েছেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ ভোটকেন্দ্র-২ এ তৈমূর ভোট পেয়েছেন ৭৭৪টি। খোরশেদ এখানে পেয়েছেন এক হাজার ২৫২ ভোট।
এই কেন্দ্রে আইভী ভোট পেয়েছেন ৫০৬ টি। অর্থাৎ তৈমূরের চেয়ে কম।
আদর্শ স্কুল ভোটকেন্দ্র-১ এ তৈমূরের হাতি মার্কায় ভোট পড়েছে ২৬৭টি। এখানে কাউন্সিলর পদে খোরশেদের ঠেলাগাড়িতে পড়েছে ৫৯৬ ভোট।
এই কেন্দ্রে আইভী ভোট পেয়েছেন ৩৪৭টি, অর্থাৎ তৈমূরের চেয়ে বেশি।
আর্দশ স্কুল ভোটকেন্দ্র-২ এ তৈমূর পেয়েছেন ৩৫২ ভোট, খোরশেদ পেয়েছেন ৮০১ ভোট।
এই কেন্দ্রে আইভী ভোট পেয়েছেন ৪৯২টি, অর্থাৎ তৈমূরের চেয়ে বেশি।
আর্দশ স্কুল ভোটকেন্দ্র-৩ এ তৈমূর পেয়েছেন ৬৮০ ভোট, অন্যদিকে খোরশেদ পেয়েছেন ১০৩৮ ভোট।
এই কেন্দ্রে আইভী ভোট পেয়েছেন ৩৬২টি, অর্থাৎ আইভী এখানে তৈমূরের চেয়ে কম ভোট পেয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল এম এ মাদ্রসা ঈদগাহ ভোটকেন্দ্রে তৈমূরের পক্ষে রায় দিয়েছেন ৯৮২ জন ভোটার। তবে তার ভাইয়ের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন ১ হাজার ৫৪৩ জন।
এই কেন্দ্রে আইভী ভোট পেয়েছেন ৫২৭টি, অর্থাৎ তৈমূরের চেয়ে কম।
নারায়ণগঞ্জ গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ-১ কেন্দ্রে তৈমূরকে বেছে নিয়েছেন ৬৪৪ জন। অন্যদিকে কাউন্সিলর হিসেবে খোরশেদ পছন্দের ছিলেন ১ হাজার ৭৯ জনের কাছে।
এই কেন্দ্রে আইভী ভোট পেয়েছেন ৫৯০টি, অর্থাৎ তৈমূরের চেয়ে কম।
নারায়ণগঞ্জ গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ-২ এ তৈমূর রায় পেয়েছেন ৪৯১ জন ভোটারের। খোরশেদ রায় পেয়েছেন ৭৮৯ জনের।
এই কেন্দ্রে আইভী ভোট পেয়েছেন ৪১২টি, অর্থাৎ তৈমূরের চেয়ে কিছুটা কম।
৩৯ নং আদর্শ শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আমলাপাড়া কেন্দ্রে তৈমূরের তুলনায় খোরশেদ ভোট পেয়েছেন তিন গুণ।
এই কেন্দ্রে মেয়র পদে হাতি মার্কার পাশে ছিলেন ৪৯৩ জন। অন্যদিকে কাউন্সিলর হিসেবে খোরশেদের পাশের ছিলেন ১ হাজার ৪১৯ জন।
এই কেন্দ্রে আইভী ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ৪৭টি, অর্থাৎ তৈমূরের দ্বিগুণের বেশি।
নারায়ণগঞ্জ আইডিয়াল স্কুল আমলাপাড়া কেন্দ্রে তৈমূরের তুলনায় তিন গুণ ভোটার পছন্দ করেছেন খোরশেদকে। এই কেন্দ্রে হাতি মার্কায় ভোট পড়েছে ২৮৯টি। অন্যদিকে ঠেলাগাড়িতে পড়েছে ৯৬১টি।
এই কেন্দ্রে আইভী ভোট পেয়েছেন ৭৪৪টি, অর্থাৎ তৈমূরের আড়াই গুণের বেশি।
সরকারি তোলারাম কলেজ ভোট কেন্দ্র-১ এ তৈমূরকে বেছে নিয়েছেন ৭৭৭ জন ভোটার। খোরশেদকে বেছে নিয়েছেন ১ হাজার ৫৪৩ জন।
এই কেন্দ্রে আইভী ভোট পেয়েছেন ৯০৬টি। এখানেও তিনি তৈমূরের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন।
সরকারি তোলারাম কলেজ ভোটকেন্দ্র-২ এ তৈমূরের পক্ষে ইভিএমে বাটন টিপেছেন ৫২৯ জন। খোরশেদের পক্ষে টিপেছেন তার দ্বিগুণ সংখ্যক ভোটার। সব মিলিয়ে ১ হাজার ৭০ জন।
এই কেন্দ্রেও তৈমূরের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন আইভী। তার পক্ষে রায় দিয়েছেন ৬১৪ জন।
আরও পড়ুন:ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়ে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, নানামুখী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ও তাদের দোসররা নতুন রূপে ফিরে আসতে চাইছে। তাদের প্রতিহত করতে প্রয়োজনে ছাত্র-জনতা আবারও সড়কে নামবে।
শনিবার চট্টগ্রামের মাদারবাড়ী প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে গণঅভ্যুত্থানে নিহত চট্টগ্রামের ১০৫ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সারজিস আলম এসব কথা বলেন।
জুলাই আন্দোলনে নৃশংসতার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া কীট রয়েছে। তাদের পাখা গজালে পাঁচ বছর পর তারা শহীদ পরিবারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। তাই খুনিরা যেন কোনোভাবেই পুনর্বাসনের সুযোগ না পায় সেজন্য সচেতন থাকতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সারজিস আলম। প্রতিটি পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করা হয়।
নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তার ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষে নারীসহ দুই ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের নজরপুর এলাকায় শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন চান্দেরকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মানিক মিয়া (৫৫) ও সাবেক নারী ইউপি সদস্য কল্পনা বেগম (৩২)। তারা উভয়ই রুবেল গ্রুপের সদস্য।
আহত দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে, যারা হলেন আমির হোসেন (২১) ও রাব্বি মিয়া (২৪)।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জব্বার বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জেরে উপজেলা যুবলীগ নেতা আবিদ হাসান রুবেল ও রায়পুরা পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুন অর রশিদের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে সংঘর্ষে রুবেলের চাচা মানিক মিয়া পার্শ্ববর্তী চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার বশির উদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
‘এ সময় হারুন অর রশিদের সমর্থকরা তাকে বশির উদ্দিনের উঠানে কুপিয়ে হত্যা করে বলে জানা যায়।’
নিহত মানিক মিয়া চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য। কল্পনা বেগম একই ইউনিয়নের সাবেক নারী ইউপি সদস্য।
ওসি জব্বার বলেন, ‘দুই গ্রুপের গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জেরে ভোর থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নারীসহ দুইজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনার বিস্তারিত পরে জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুতে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠীর যুদ্ধের মধ্যে শুক্রবার রাত থেকে গোলার বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে।
এ শব্দ শনিবার ভোর পর্যন্ত পাওয়া যায়।
এমন বাস্তবতায় নতুন করে অনুপ্রবেশের শঙ্কার পাশাপাশি সীমান্ত এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে।
সীমান্তের বাসিন্দারা বলছেন, কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এবং সাবরাংয়ের পূর্বে নাফনদীর ওপারে রাখাইনের মংডু টাউনশিপের বিপরীতে মংডু শহরের অবস্থান। ওই সীমান্ত এলাকায় প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
চলমান যুদ্ধে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি অধিকাংশ এলাকা তাদের দখলে নেয়। এসব জায়গা পুনরুদ্ধারে কয়েক দিন ধরে ব্যাপক হামলা চালায় দেশটির জান্তা সরকার। এ কারণে সে দেশের গোলার শব্দে এপারের সীমান্ত কেঁপে উঠছে।
টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দা ওমর ফারুক বলেন, ‘রাতভর মিয়ানমারের গোলার কারণে নির্ঘুম রাত কেটেছে। সকাল পর্যন্ত বড় ধরনের গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে।
‘তাই আমরা রাত জেগে বসে ছিলাম। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা ভয়ে ছিল।'
সীমান্তের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, মিয়ানমারে এখনও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। বর্তমানে মংডুতে হামলা হচ্ছে। সেখানে অধিকাংশ রোহিঙ্গার বসবাস। এভাবে যুদ্ধ চলমান থাকলে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে।
সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর ইশতিয়াক মুর্শেদ।
এদিকে খারাংখালী, টেকনাফ, পৌরসভা, হ্নীলা, জাদিমুড়া, দমদমিয়া, নাইট্যংপাড়া, পৌরসভার জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, নাফ নদীর মোহনায় থেকে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ।
সীমান্তের বাসিন্দা গফুর আলম বলেন, ‘সীমান্তে রাতভর গোলার বিকট শব্দে মানুষ ঘুমাতে পারিনি। একটু পরপর গোলার বিকট শব্দ ভেসে আসছে এপারে, যার কারনে ভয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ি।
‘রাতের মতো এমন গুলির শব্দ আগে কখনও শুনিনি। এ পরিস্থিতিতে যেকোনো মুহূর্তে সীমান্তে আবারও অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে।’
ক্যাম্পে বসবাসকারী এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, ‘রাখাইনে কয়েক দিন ধরে ফের যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে, যার কারনে সে দেশে থাকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করছে পালিয়ে আসার জন্য, কিন্তু তাদের এ দেশে না আসতে নিরুৎসাহিত করছি। তবু মানুষ প্রাণে ভয়ে পালিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে।’
অন্যদিকে মিয়ানমারের মংডু শহরের মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে।
এমন বাস্তবতায় টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীরদ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার এলাকায় নাফ নদে বিজিবি ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদস্যরা দিন-রাত টহল বৃদ্ধি করেছেন।
এ বিষয়ে সদ্য যোগদানকারী টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘আমিও গোলার বিকট শব্দ শুনেছি। মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে এ ধরনের বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
‘আমরা সীমান্তের বসবাসকারী মানুষের খোঁজখবর রাখছি। পাশাপাশি সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমাদের বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা সর্তক অবস্থানে রয়েছে।’
আরও পড়ুন:মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়া উত্তরের জেলা নওগাঁয় শনিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এটি চলতি বছরে এখন পর্যন্ত জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কোনো জেলার তাপমাত্রা আট দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলে সেখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।
স্থানীয়রা জানান, নওগাঁয় সন্ধ্যার পর শীতের প্রকোপ একটু বেশি থাকছে। সেই সঙ্গে হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েক গুণ। সন্ধ্যার পর থেকেই গরম কাপড় পরে চলাফেরা করছে মানুষ।
রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। সকাল হলেই কেটে যাচ্ছে শীত।
দ্রুতই কুয়াশা ভেদ করে দেখা মিলছে সূর্যের। তাই বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের তীব্রতাও কমে যাচ্ছে।
এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিন্নমূল মানুষ ও খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।
সদর উপজেলার সামনে শনিবার সকালে কথা হয় রিকশাচালক কুরবান আলীর সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘সারা দিন যখন গরম থাকে, তখন যাত্রী পাওয়া যায়। রিকশাও ভালোভাবে চালানো যায়, কিন্তু সন্ধ্যার পর কিংবা খুব সকালে যাত্রী তেমন পাওয়া যায় না।
‘শীতের কারণে রিকশা ঠিকভাবে চালানো যায় না। ফলে আয় উপার্জন কমে গেছে।’
নওগাঁর বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘আজ শনিবার সকাল ৯টায় জেলায় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গতকাল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
‘সেই হিসাবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এ জেলার তাপমাত্রা কমেছে ২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় শীত আগামীতে বৃদ্ধি পেতে পারে।’
আরও পড়ুন:বন্য খেজুর থেকে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে ভিনেগার উৎপাদনের দাবি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান মজুমদার ও তার গবেষক দল।
বন্য খেজুর থেকে ভিনেগার তৈরি বাংলাদেশের খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের জন্য একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে বলেও মন্তব্য করেন এ অধ্যাপক।
গবেষক আনিছুর রহমান বলেন, ‘বন্য খেজুর থেকে ভিনেগার উৎপাদনে প্রক্রিয়াকরণের জন্য গাজন প্রক্রিয়াটি পরিবেশবান্ধব। স্থানীয় কৃষিসম্পদ কাজে লাগিয়ে এবং অপচয় কমিয়ে এ পদ্ধতি খাদ্য উৎপাদনের কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতেও সহায়ক হতে পারে। গবেষণাটি বাংলাদেশের বৃহত্তর টেকসই উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।’
উৎপাদিত ভিনেগারটির দেশের বাজারে প্রভাব সম্পর্কে অধ্যাপক আনিছুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে এই গবেষণার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ভিনেগার উৎপাদন কেবল খাদ্য ও পানীয় হিসেবে ব্যবহারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি প্যাকেজিং, কসমেটিক ও ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পেও ব্যবহৃত হতে পারে।
‘বিশেষ করে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের কাছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পুষ্টিকর ভিনেগারের চাহিদা বাড়ছে, যা বাজারে এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়াবে।’
বাংলাদেশে বিগত কয়েক বছরে খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য স্থানীয় কৃষি সম্পদের টেকসই ব্যবহারের ওপর বাড়তি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক আনিছুর বলেন, ‘বাংলাদেশে বন্য খেজুর ইদানীং ব্যাপকভাবে পাওয়া যাচ্ছে। এটি বেশ সস্তা ও স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য।
‘এই খেজুর গাছ সাধারণত গ্রামীণ এলাকায় এবং রাস্তার পাশের জমিতে পাওয়া যায়, তবে নানা পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ হওয়ার পরও এই বন্য খেজুর দেশের প্রেক্ষাপটে অনেকটাই অব্যবহৃত একটি সম্পদ।’
গবেষণা পদ্ধতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আনিছুর বলেন, ‘বন্য খেজুরের রস ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়া মাধ্যমে ভিনেগারে পরিণত করা হয়েছে। এ গবেষণায় এক ধরনের ইস্ট ব্যবহার করে ওই রসে অ্যালকোহল তৈরি করা হয় এবং পরে অ্যাসিটোব্যাক্টর প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া দিয়ে অ্যালকোহলকে অ্যাসিটিক অ্যাসিডে রূপান্তর করা হয়।’
গবেষক আরও বলেন, ‘গবেষণায় দেখা গেছে যে, রসের ঘনত্ব যত বেশি হয়, তত বেশি অ্যালকোহল ও অ্যাসিডিটি বৃদ্ধি পায়। বেশি ঘনত্বের রসটি সবচেয়ে ভালো পুষ্টিগুণ, অ্যাসিডিটি ও ম্যাক্রো মিনারেলস (পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম) সমৃদ্ধ হয়। তাই এটি স্বাস্থ্য সচেতন ভোক্তাদের জন্য একটি আকর্ষণীয় পণ্যও বটে।’
গবেষণাটি বিশ্ববিখ্যাত প্রকাশনা এলসভিয়ারের নামী সাময়িকী অ্যাপ্লায়েড ফুড রিসার্চে সম্প্রতি প্রকাশ হয়েছে।
ভিনেগার তৈরির এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও মাঠ পর্যায়ে সফলতা সম্পর্কে এ অধ্যাপক বলেন, ‘এই গবেষণা স্থানীয় কৃষকদের জন্য একটি নতুন আয় সৃষ্টির পথ খুলতে পারে। একদিকে খেজুর থেকে তৈরি ভিনেগারের উচ্চমান এবং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হওয়ায় বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের স্থানীয় কৃষিপণ্যের চাহিদা বাড়াতে সাহায্য করবে।’
অধ্যাপক আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে বাকৃবি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) ও ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) আরও ছয় জন গবেষক এই প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন। বাকৃবি থেকে গবেষক দলে রয়েছেন ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলিম, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. পলি কর্মকার এবং ওই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারী শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা ও আ ন ম ইফতেখার আলম।
এ ছাড়া সিকৃবির খাদ্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ফাহাদ জুবায়ের এবং ডুয়েটের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক লোপা আনসারী গবেষক দলে যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন:ঝালকাঠির নলছিটিতে শুক্রবার রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন।
বরিশাল-ঝালকাঠি আঞ্চলিক মহাসড়কের ষাইটপাকিয়া এলাকায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো দুজন হলেন আল আমিন সিরাজ (৪৫) ও মফিজুর রহমান (৮৫)।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, রাতে আল আমিন সিরাজ মোটরসাইকেল চালিয়ে বরিশাল থেকে ঝালকাঠির দিকে যাচ্ছিলেন। একই সময় ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ষাইটপাকিয়া এলাকায় সড়কের পাশে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন মফিজুর রহমান নামের বৃদ্ধ।
সিরাজ তার মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারী মফিজুর রহমানকে চাপা দেন। এতে দুজনেরই অবস্থা গুরুতর হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজন দুজনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সে সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত বলে জানান।
নিহত পথচারী মফিজুর রহমানের বাড়ি ঝালকাঠি সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের বাড়ইয়ারা গ্রামে। তিনি তার জামাতার চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন জামাতাকে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য।
বাইকচালক আল আমিন সিরাজের বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। তার শ্বশুরবাড়ি ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায়। তিনি বাইক চালিয়ে শশুর বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘দুর্ঘটনাটি পার্শ্ববর্তী নলছিটি থানা এলাকায় ঘটলেও মরদেহ সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। আমরা নিহতদের পরিবারের সাথে কথা বলেছি।
‘তাদের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ ময়নাতদন্ত না করে প্রাথমিক সুরতহাল করে পরিবারের কাছে দিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।'
আরও পড়ুন:কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁনকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রবেশে বাধা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি পক্ষ।
এসপি শুক্রবার রাত আটটার দিকে প্রবেশ করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে তাকে বাধা দেয়া হয়।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক পক্ষ চলমান ‘ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী সংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও খিচুড়ি ভোজ’-এর বিরোধিতা করে সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলন শেষ হওয়ার পরই কুমিল্লার এসপি মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁনকে নিয়ে একটি গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসে। গাড়িটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি পক্ষ তার প্রবেশে বাধা দেয়।
পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ও কুমিল্লা জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন এসে এসপিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করাতে চান। তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। দুই পক্ষের হট্টগোলে পুলিশ সুপার কিছুক্ষণ ফটকে অপেক্ষা করেন। পরবর্তী সময়ে ফিরে যান।
জানতে চাইলে এসপি নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, ‘আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে আসা হয়নি। তাই আজকে এক জায়গা থেকে ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সাধারণ শিক্ষার্থী এবং আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম।’
সমন্বয়ক ও কুমিল্লা জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন বলেন, ‘আমরা উনাকে ইনভাইট করেছিলাম, কিন্তু উনি যে আসবে বিষয়টি বিকেল পর্যন্ত নিশ্চিত ছিলাম না।
‘স্যারের ব্যস্ততার কারণে উনি শুধু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে একটু আলোচনা করতে এসেছিলেন।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত মো. হান্নান রহিম খিচুড়ি ভোজ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘যেখানে আন্দোলনে আহতরা এখনও হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে, দাউদকান্দিতে আজকেও একজন মারা গিয়েছে, সেখানে খিচুড়ি ভোজ, নাচ-গান এসব তো এক প্রকার তাদের প্রতি মশকরা করার মতো।
‘আহত অনেকেই চাচ্ছে তাদের যেন যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থাটা অন্তত করে দেয়া হয়। এমন একটা সিচুয়েশনে এ রকম একটা আয়োজনের কোনো যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছি না। আর সেই আয়োজনে এসেছেন পুলিশ সুপার। তাই আমরা ঢুকতে দিইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি টাকার যে জোগান, সেটা একজন সাবেক কাউন্সিলর থেকে আসছে। তা ছাড়া কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তরিকুল অনেকটা ইচ্ছাকৃতভাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে হেয় করার জন্য আন্দোলনের এই পর্যায়ে এমন একটি আয়োজনের অর্থায়ন করেছেন। তাই তাকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, ‘পুলিশ সুপার যে আসবেন, আমরা জানি না। আমাদের কাউকে জানানোও হয়নি।
‘তাকে যে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়েছে, সেটাও আমাদের জানানো হয়নি।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য