২০২০ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সূচকের ব্যাপক উত্থানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া বেক্সিমকো লিমিটেডের দর এখন ক্রমাগত কমছে।
দর কমছে একই গ্রুপের আরও তিন কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, আইএফআইসি ব্যাংক ও শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ারেরও। সুকুক বন্ড তালিকাভুক্তির পরদিনই নেমে গেছে অভিহিত মূল্যের নিচে।
এর মধ্যে বেক্সিমকো লিমিটেড তার সর্বোচ্চ দরের তুলনায় ২২ শতাংশের বেশি, বেক্সিমকো ফার্মা প্রায় ২৫ শতাংশ, আইএফআইসি ব্যাংক প্রায় ২০ শতাংশ এবং শাইনপুকুর ৩৫ শতাংশের বেশি দর হারিয়েছে। তালিকাভুক্ত হয়েই সুকুক বন্ড দর হারিয়েছে ১৮ শতাংশের বেশি।
২০২০ সালের ১৯ জুলাই বেক্সিমকোর একেকটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩ টাকায়। গত ১৪ নভেম্বর তা সর্বোচ্চ ১৮৭ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়। কিন্তু সেদিনই দর হারানো শুরু।
নতুন বছরে নতুন আমেজে পুঁজিবাজার। প্রতিদিনই অল্প অল্প করে বাড়ছে সূচক আর লেনদেন। নতুন বছরের প্রথম লেনদেন ৩ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সূচক বেড়েছে ২০২ পয়েন্ট। এ সময়ে স্বল্প মূলধনি কোম্পানির উত্থানের পাশাপাশি বিমা, প্রকৌশল, বস্ত্র খাতকে এগিয়ে আসতে দেখা গেছে। এমন সময়েও বেক্সিমকো গ্রুপের পিছিয়ে পড়া পুঁজিবাজারে নতুন আলোচনা তৈরি করেছে।
কোম্পানির শেয়ারদর অস্বাভাবিক হারে বাড়লে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ সাধারণত কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। তবে কমার ক্ষেত্রে এমন নোটিশ দেয়ার ঘটনা সাধারণত ঘটে না। আর বেক্সিমকো গ্রুপের শেয়ারদর যখন তরতর করে বাড়ছিল, সে সময় কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়নি। অবশ্য এটাও ঠিক কোম্পানির মূল্য সংবেদনশীল সব তথ্য ছিল প্রকাশিত।
২০২০ সালের মে থেকে পুঁজিবাজারে যে উত্থান শুরু হয়, তাতে বেক্সিমকো গ্রুপের শেয়ারগুলোতে ব্যাপক চাঙাভাব দেখা দেয়। দাম আরও বাড়বে- এমন খবরে বিনিয়োগকারীরাও বাড়তি দাম দিয়েই শেয়ার কিনছিলেন। গত কয়েক মাস ক্রমাগতভাবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগও বাড়ছিল কয়েকটি কোম্পানিতে।
বেক্সিমকো লিমিটেড করোনার সময় যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা মাস্ক, পিপিইর মতো সরঞ্জাম সরবরাহের কাজ পেয়েছে। এ জন্য তারা পিপিই পার্ক স্থাপন করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র এই পার্ক থেকে বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকার পণ্য নেবে।
আবার কোম্পানিটি দুটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র করছে। আগামী বছরের শেষ দিকে কেন্দ্র দুটি উৎপাদনে আসবে। এই কেন্দ্রে অর্থায়নের জন্য তিন হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ড ছাড়া হয়েছে। এরই মধ্যে সব টাকা তোলা হয়েছে।
বেক্সিমকো ফার্মার দর বৃদ্ধিতে দুটি মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছিল। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে করোনার ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা আনতে সরকার যে চুক্তি করে, তাতে বেক্সিমকো ফার্মাকে করা হয় লোকাল এজেন্ট। প্রতি টিকার জন্য তারা এক ডলার করে পাবে সরকারের কাছ থেকে। পাশাপাশি বহুজাতিক কোম্পানি সানোফি এভেনটিসের ৩৫ শতাংশ শেয়ার কোম্পানিটি কিনে নিয়েছে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রুত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, বেক্সিমকো গ্রুপ পুঁজিবাজারে নানা কারণে আলোচিত। গত দেড় বছরে শেয়ারদর অনেক বেড়েছে। এখন মূল্য সমন্বয় হওয়া উচিত।
আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ারদর বৃদ্ধিতেও কাজ করে একটি সংবাদ। শ্রীলঙ্কান একটি ব্যাংকে এই ব্যাংকটির শেয়ার রয়েছে। সেই শেয়ার তারা বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই শেয়ার বিক্রি হলে বিপুল পরিমাণ মুনাফার আশা করা হচ্ছে।
তবে শাইনপুকুর সিরামিকসের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হবে- এমন প্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছিল না।
২০২০ সালের মে থেকে পুঁজিবাজারে যে উত্থান শুরু হয়, তাতে বেক্সিমকো গ্রুপের শেয়ারগুলোতে ব্যাপক চাঙাভাব দেখা দেয়। দাম আরও বাড়বে- এমন খবরে বিনিয়োগকারীরাও বাড়তি দাম দিয়েই শেয়ার কিনছিলেন। গত কয়েক মাস ক্রমাগতভাবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগও বাড়ছিল কয়েকটি কোম্পানিতে।
গত ৫ অক্টোবর বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ারদর বেড়ে হয় ২৫৫ টাকা ৪০ পয়সা। সেদিন থেকেই দরপতন শুরু। বর্তমান দর ১৯২ টাকা ৭০ পয়সা। এই কয় দিনে শেয়ারদর কমেছে ৬২ টাকা ৭০ পয়সা বা ২৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
তবে বেক্সিমকো লিমিটেড নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে, বেক্সিমকো ফার্মা ও শাইনপুকুর সিরামিকস অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে এবং আইএফআইসি ব্যাংক অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে দর হারাতে শুরু করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রুত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেক্সিমকো গ্রুপ পুঁজিবাজারে নানা কারণে আলোচিত। গত দেড় বছরে শেয়ারদর অনেক বেড়েছে। এখন মূল্য সমন্বয় হওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ‘বেক্সিমকো লিমিটেডের নতুন প্রোডাক্ট সুকুক নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম। কারণ, এখানে আস্থার জায়গাটি এখনও তৈরি হয়নি। কিন্তু সুকুকে যেসব শর্ত দেয়া হয়েছে সবগুলোই আকর্ষণীয়। বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে অন্তত এক বছর অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে হয়। যখন সুযোগ-সুবিধাগুলো দৃশ্যমান হবে তখন বিনিয়োগকারীরাও এটিতে আকৃষ্ট হবেন।’
বেক্সিমকো লিমিটেড
২০২০ সালের ১৯ জুলাই বেক্সিমকোর একেকটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩ টাকায়। গত ১৪ নভেম্বর তা সর্বোচ্চ ১৮৭ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়। কিন্তু সেদিনই দর হারানো শুরু।
এরপর থেকে মোট ৪৩ কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে পুঁজিবাজারে। এর মধ্যে ২৬ দিন দর কমেছে, ১৭ দিন বেড়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বেড়েছে খুবই কম পরিমাণে। কিন্তু দর হারিয়েছে শতকরা হিসাবে।
কোম্পানিটির শেয়ারদর বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১৪৪ টাকা ১০ পয়সা, যা গত ১৯ অক্টোবরের পর সর্বনিম্ন।
গত ১১ নভেম্বর থেকে কোম্পানিটির একেকটি শেয়ার দর হারিয়েছে ৪০ টাকা ৯০ পয়সা বা ২২ দশমিক ১০ শতাংশ।
এই সময়ে কোম্পানিটির বেশ কয়েকটি ইতিবাচক খবর অবশ্য এসেছে। দুটি সৌর বিদ্যুৎুকেন্দ্র করতে সুকুক বন্ড ছেড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা তারা পেয়েছে। সেই বন্ডের লেনদেনও পুঁজিবাজারে শুরু হয়েছে।
এর মধ্যে কোম্পানিটির ৩ কোটি শেয়ার মালিকপক্ষ পুঁজিবাজার থেকে কিনে নিয়েছে।
বেক্সিমকো ফার্মা
ভারত থেকে করোনার টিকা আনতে মধ্যস্থতা, বহুজাতিক কোম্পানি সানোফি এভেনটিসের শেয়ার কেনার খবরে শেয়ারদর বাড়তে শুরু করে ২০২০ সালের জুন থেকে। সে সময় শেয়ারটি বিক্রি হয়েছে ৬৬ টাকা করে।
গত ৫ অক্টোবর শেয়ারদর বেড়ে হয় ২৫৫ টাকা ৪০ পয়সা। সেদিন থেকেই দরপতন শুরু। বর্তমান দর ১৯২ টাকা ৭০ পয়সা। এই কয় দিনে শেয়ারদর কমেছে ৬২ টাকা ৭০ পয়সা বা ২৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
আইএফআইসি ব্যাংক
ব্যাংকটির শেয়ারদর বাড়তে শুরু করে গত বছরের ৩ মে থেকে। সেদিন শেয়ারপ্রতি দর ছিল ৯ টাকা ৮০ পয়সা।
যেখান থেকে ছয় মাসের যাত্রায় শেয়ারদর ১১৭ শতাংশ বেড়ে গত ১৮ নভেম্বর দাঁড়ায় ২১ টাকা ৭০ পয়সা। এরপর থেকেই কমছে দাম। ১৭ টাকা ৫০ পয়সায়।
সর্বোচ্চ দর থেকে কোম্পানিটির একেকটি শেয়ার হারিয়েছে ৪ টাকা ২০ পয়সা। শতকরা হিসেবে দাম কমেছে ১৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
শাইনপুকুর সিরামিকস
২০২০ সালের ৩ আগস্ট কোম্পানিটির একেকটি শেয়ার বিক্রি হয়েছে ৮ টাকায়। কোম্পানির দৃশ্যত কোনো উন্নতি তা থাকলেও শেয়ারদর ক্রমে বাড়তে বাড়তে গত ৭ অক্টোবর দাম দাঁড়ায় ৪৫ টাকা ৪০ পয়সা।
গত ৭ অক্টোবর থেকে দর হারাচ্ছে কোম্পানিটি। বর্তমান দাম ২৯ টাকা ২০ পয়সা। সর্বোচ্চ দর থেকে দাম কমেছে ১৬ টাকা ২০ পয়সা বা ৩৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
সুকুক বন্ড দ্বিতীয় দিনেই অভিহিত মূল্যের নিচে
এই বন্ডটি নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বেশ উচ্ছ্বসিত। ইক্যুইটিনির্ভর পুঁজিবাজারে এই বন্ডগুলো লেনদেন ব্যাপকভাবে বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছিল।
এর মধ্যে বেক্সিমকো লিমিটেডের আনা সুকুক বন্ড শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে। ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের বন্ডের প্রতিটি ইউনিট বছর শেষে কমপক্ষে ৯ টাকা লভ্যাংশ দেবে- এটা নিশ্চিত। তবে বেক্সিমকো লিমিটেডের লভ্যাংশ ১০ শতাংশের বেশি হলে যতটুকু বেশি হবে, তার ১০ শতাংশ সুকুকের লভ্যাংশে যোগ হবে।
সুকুক বন্ডের লেনদেন ১১০ টাকায় শুরু হলেও চার কর্মদিবসে তা সেখান থেকে কমে গেছে ১৮ টাকা ৫০ পয়সা। দ্বিতীয় দিনেই তা অভিহিত মূল্যের নিচে নেমে আসে। মঙ্গলবার তা দাঁড়িয়েছে ৯১ টাকা ৫০ পয়সা। সর্বনিম্ন নেমেছিল ৯১ টাকা।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে বেক্সিমকো লিমিটেড লভ্যাংশ দিয়েছে ৩৫ শতাংশ। অর্থাৎ ১০ শতাংশের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি। আগামী বছরও একই হারে লভ্যাংশ দিলে এই ২৫ শতাংশের ১০ শতাংশ হিসাবে আড়াই শতাংশ সুকুকের লভ্যাংশে যোগ হবে। তখন লভ্যাংশ হবে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ।
এর পাশাপাশি বন্ডের ২০ শতাংশ বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নেয়া যাবে। কেউ চাইলে নগদে ফেরত পাবেন, কেউ চাইলে শেয়ার নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে বেক্সিমকো লিমিটেডের একেকটি শেয়ার পাওয়া যাবে ২৫ শতাংশ কম টাকায়। অর্থাৎ এই শেয়ার বিক্রি করে তার প্রকৃত মুনাফা থাকবে ৩৩ শতাংশ।
সব মিলিয়ে বন্ডটি থেকে বছরে ১৬ থেকে ১৯ শতাংশ মুনাফা করা সম্ভব হতে পারে।
তবে বন্ডের লেনদেন ১১০ টাকায় শুরু হলেও চার কর্মদিবসে তা সেখান থেকে কমে গেছে ১৮ টাকা ৫০ পয়সা। দ্বিতীয় দিনেই তা অভিহিত মূল্যের নিচে নেমে আসে। মঙ্গলবার তা দাঁড়িয়েছে ৯১ টাকা ৫০ পয়সা। সর্বনিম্ন নেমেছিল ৯১ টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য