শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। তবে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের আন্দোলনে যারা সংহতি প্রকাশ করবেন কেবল তাদের সঙ্গেই আলোচনা করা হবে।
শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের করা মামলা প্রত্যাহারে রাত ১০টা পর্যন্ত সময়ও বেঁধে দিয়েছেন তারা।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক তুলসী কুমার দাস ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মুহিবুল আলমের নেতৃত্বে শিক্ষক সমিতির কয়েকজন নেতা মঙ্গলবার বিকেলে আলোচনা করতে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে যান।
আলোচনার প্রস্তাব শিক্ষার্থীরা ফিরিয়ে দিলে চলে যান শিক্ষক নেতারা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম অপূর্ব বলেন, ‘আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। গুলি করা হয়েছ। এখন আমাদের সঙ্গে কীসের আলোচনা। এখন উপাচার্য পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন- এটিই আমরা চাই।’
তিনি বলেন, ‘কেউ আলোচনা করতে চাইলে আগে আমাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করতে হবে।’
শিক্ষার্থীদের প্রস্তাব দেয়ার আগে এদিন দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের সঙ্গে তার বাসভবনে গিয়ে দেখা করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি তুলসী কুমার দাস।
উপাচার্য কার্যালয় থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘আলোচনার মাধ্যমে সবকিছুর সমাধান সম্ভব। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাই। এভাবেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে।’
শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের করা মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য রাত ১০টার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বিকেলে উপাচার্য ভবনের সামনে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের এই ঘোষণা মাইক থেকে জানানো হয়।
সোমবার রাতে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হান্নান বাদী হয়ে সিলেটের জালালাবাদ থানায় এই মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় দুই-তিন শ শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
তিন দফা দাবিতে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রোববার সন্ধ্যায় পুলিশের সংঘর্ষ হয়। অবরুদ্ধ উপাচার্যকে মুক্ত করতে গিয়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করলে এই সংঘাত বাধে। এতে পুলিশ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের নির্দেশে পুলিশ তাদের ওপর হামলা ও গুলি করে।
তবে এবার শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ এনে মামলা করল পুলিশ।
এজাহারে বলা হয়, রোববার আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ২০০ থেকে ৩০০ ‘উচ্ছৃঙ্খল’ শিক্ষার্থী পুলিশের কাজে বাধা দেয়।
সরকারি আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ ছাড়া পুলিশকে লক্ষ্য করে শিক্ষার্থীরা গুলি ছোড়ে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
তবে এই মামলায় কাউকে হয়রানি করা হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল। মঙ্গলবার দুপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করতে এসে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেবে না। এ ছাড়া একটি মামলা হলেও কাউকে হয়রানি করা হবে না।’
আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করতে এসে আলোচনার মাধ্যমে যাতে সমাধানে পৌঁছা যায় সেই পথ খোলা রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান নাদেলও।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার আজবাহার আলী শেখও জানিয়েছেন, ‘কোনো ঘটনা ঘটলে মামলা করাটা আমাদের রুটিন কাজ। এ জন্য কোনো শিক্ষার্থীকে হয়রানি করা হবে না।’
আরও পড়ুন:নওগাঁয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে প্রশ্নফাঁস চক্রের সক্রিয় সদস্য ও পরীক্ষার্থীকে এক মাসের সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পরীক্ষা চলার সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহারুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা প্রদান করেন। এর আগে জাতীয় গোয়েন্দো সংস্থার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মামুনকে আটক করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত মামুন জেলার পোরশা উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
ঘটনার সময় উপস্থিত ব্যক্তিদের বরাতে জানা গেছে, নওগাঁ শহরের জনকল্যাণ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই কেন্দ্রের ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে মামুনকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, দুটি সিম ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহারুল ইসলাম বলেন, ‘আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রশ্নফাঁস চক্রের অন্য সদস্যদের সহযোগিতায় এসএমএসের মাধ্যমে সরবরাহ করা উত্তরপত্র দেখে পরীক্ষা দেয়ার জন্য হলে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করে। পরে তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি আইন ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, মামুনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া তাকে যারা উত্তরপত্র সরবরাহ করছিল তাদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন:প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র জালিয়াতি চক্রের ১৩ সদস্যকে আটক করেছে রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
এ সময় জব্দ করা হয়েছে প্রশ্নের ফটোকপি, টাকা, ২০টি মোবাইল ফোন, ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজবাড়ী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রাণবন্ধু চন্দ্র কৃঞ্চ বিশ্বাস।
আটক ব্যক্তিরা হলেন ইব্রাহীম হোসেন, সাগর আহম্মেদ, বিজয় বালা, নুরুল হক হাওলাদার, হারুন সরদার, রেজাউল করিম, আবু সালাম, মুনছুর মণ্ডল, রুবেল মাহমুদ, মিজানুর রহমান, রুমান হাসান, মাইনুল ইসলাম, ও ফরিদা বেগম।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন নারী পরীক্ষার্থী ও পাঁচজন প্রাথমিক শিক্ষকও রয়েছেন।
চক্রের হোতা মাঈনুল ইসলাম হাওলাদারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জালিয়াতির ঘটনা স্বীকার করেছেন।
পুলিশ জানায়, তিনি তার সোনালী ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করেছে বলে জানায়। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র কৃঞ্চ বিশ্বাস জানান, রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামানের নির্দেশনায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দুপুরে জেলা শহরের নতুন বাজার এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে মিজানুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে একটি মামলা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আম পাড়তে বাধা দেয়ায় জয়দেব সরকার নামে এক ব্যক্তিকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
হত্যার ঘটনায় দুজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে রূপগঞ্জ থানায়। উপজেলার বিরাবো এলাকায় শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় বলা হয়, গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার বটবাড়ি এলাকার জয়দেব সরকার তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুনীল মালাকারের বাড়িতে বাস করতেন।
শুক্রবার বিকেলে বিরাবো গ্রামের অটোরিকশাচালক মাহবুবের স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও তার ছেলে সিয়াম সুনীল সরকারের গাছের আম পাড়ার সময় জয়দেব সরকার তাদের বাধা দেন। এ সময় তাদের সঙ্গে জয়দেরবের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রোকেয়া ও সিয়াম বাড়ির কেয়ারটেকার জয়দেব সরকারের গলা চেপে ধরেন। তখন জয়দেব সরকার মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
জয়দেব সরকারের ডাকচিৎকারে তার স্ত্রী-কন্যাসহ আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তারা পালিয়ে যান। পরে জয়দেব সরকারকে উদ্ধার করে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
রূপগঞ্জ থানার ওসি এ এফ এম সায়েদ বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে আম পাড়তে বাধা দেয়ায় ওই বৃদ্ধকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জয়দেব সরকারের মেয়ে তৃষ্ণা রাণী সরকার রোকেয়া বেগম ও তার ছেলে সিয়ামকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।’
মানিকগঞ্জের শিবালয়ের যমুনা নদীতে গোসল করতে নেমে আহসান হাবিব নামের এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছেন।
শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে শিবালয়ের জাফরগঞ্জের নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজের এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ আহসান হাবিবের বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার ফুলবাড়ি কুনপাড়া গ্রামে। তিনি সাভারের আশুলিয়া এলাকার নাসা গার্মেন্টেসের জেনারেল ম্যানেজার (ওয়াশিং) পদে কর্মরত ছিলেন।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি তার খোঁজ করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, গোসল করার একপর্যায়ে নদীর শ্রোতে ভেসে ডুবে যান তিনি। এখনো তাকে খোঁজে পাওয়া যায়নি।’
বগুড়ায় ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়ে সরকারি মালিকানাধীন নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ৫০ বছর বয়সী ওই নেসকো কর্মীর নাম রবিউল ইসলাম শাহিন। তার বাড়ি জেলার গাবতলী উপজেলায়।
শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাহিন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে শহরের পুরান বগুড়া এলাকায় অবস্থিত নেসকোর বিতরণ বিভাগ-৩-এর কার্যালয়ে ওই ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
প্রায় ২৭ বছর ধরে বিদ্যুৎ বিভাগে কাজ করা শাহিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেসকোর বিতরণ বিভাগ-৩-এর সহকারী প্রকৌশলী জুলফিকার আলী।
তিনি জানান, রবিউল ইসলামের দায়িত্ব ছিল প্রতি ঘণ্টায় বিদ্যুতের বিভিন্ন ডাটা লিপিবদ্ধ (রিডিং) করা। বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে মিটারের রিডিং নেয়ার সময় রবিউলের পেছনে থাকা বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ইকুইপমেন্ট (সিটি ইকুইপমেন্ট) বিস্ফোরিত হলে দগ্ধ হন তিনি।
বিস্ফোরণের শব্দ শুনে অফিসের অন্যরা আহত শাহিনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাত আড়াইটার দিকেই ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানে ভর্তির পর শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে তিনি মারা যান।
জুলফিকার বলেন, ‘রবিউল ইসলামের মরদেহ এখনও ঢাকার বার্ন হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। সেখানে নেসকোর এক কর্মকর্তা রয়েছেন সার্বিক বিষয় দেখার জন্য। আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা শেষে তার মরদেহ বগুড়ায় নিয়ে আসা হবে।’
আরও পড়ুন:চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা নদীর ধুলাউড়ি ঘাট এলাকায় নৌকাডুবি হয়েছে। এতে বাবার মরদেহ উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ ছেলে।
বৃহস্পতিবার রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার দূলভপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর এলাকার বদিউজ্জামান তার ছেলে রবিউল আওয়ালকে নিয়ে পদ্মা নদীতে মাছ ধরছিলেন। ঝড়, বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সময় তাদের নৌকা ডুবে যায়।
পদ্মা নদীর ধুলাউড়ি ঘাট এলাকায় শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বদিউজ্জামানের মরদেহ ভেসে ওঠে। ওই সময় স্থানীয়রা মরদেহ তার বাড়িতে নিয়ে যান।
পরে রবিউলের মরদেহ উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিসসহ স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়। দুপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ স্থানীয়রা রবিউল আওয়ালের মরদেহ উদ্ধারে চেষ্টা করছেন। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রবিউলের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
দূলভপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রজিব রাজু বলেন, ‘বিকেলে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত নিহত বদিজ্জমানের পরিবারের কাছে ২০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা পৌঁচ্ছে দিয়েছেন।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল রাজশাহী থেকে এসে অভিযান চালাচ্ছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত রবিউলের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, আমরা চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন:বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে দেশ ধ্বংস করাই বিএনপির কাজ বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
শুক্রবার দুপুরে নওগাঁর সাপাহার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি ফুটবল খেলা বন্ধ করে দিয়েছিল, কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করেছিল। আমরা ক্ষমতায় এসে চালু করেছি। দেশের সব সেক্টরে উন্নয়ন হচ্ছে। বিএনপি উন্নয়ন দেখতে পায় না, তাদের কাজই হচ্ছে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে দেশকে ধ্বংস করা।’
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ছোটবেলায় পলিথিন দিয়ে বল বানিয়ে খেলেছি। কত স্মৃতি এই ফুটবল খেলা নিয়ে। কালের বিবর্তনে সেই পলিথিন দিয়ে বানানো ফুটবল খেলা আর নেই। এখন তো আধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে ফুটবল তৈরি হয়ে থাকে।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট চালুর পর ফুটবল খেলায় আবারও প্রাণ ফিরেছে।’
সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার কাছেই বাংলাদেশ নিরাপদ। তার দ্বারাই সম্ভব দেশের উন্নয়ন। আর দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি বা দলের দ্বারা এমন উন্নয়ন সম্ভব নয়। ২০০৮ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার পর দেখেছি দেশের কী অবস্থা করে রেখেছিল বিএনপি।
‘প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কথা বলেছিলেন, বর্তমানে সেই সুফল ভোগ করছে দেশের মানুষ। হাতে হাতে মোবাইল হয়েছে, ইন্টারনেট পেয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পেয়েছে। মানুষ এখন আর না খেয়ে থাকে না। কৃষকদের পর্যাপ্ত কৃষি উপকরণ দেয়া হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন।
উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ রুহুল আমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামসুল আলম শাহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রেজা সারোয়ার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী ও থানার ওসি তারেকুর রহমান সরকার।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে অনূর্ধ্ব-১৭ বালক এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে বিজয়ী অনূর্ধ্ব-১৭ বালিকাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন খাদ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য