সপ্তাহের তৃতীয় দিনের লেনদেনে শেয়ার কেনা বেচায় অনেকটা বিভ্রান্তিতে ছিল বিনিয়োগকারীরা। লেনদেনের শুরুতে সূচকের যে উত্থান আর লেনদেনের যে গতি ছিল সেটি শেষের দুই ঘণ্টায় ছন্দ হারিয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১২ টাকা ৫২ মিনিট পর্যন্ত সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছিল ৭ হাজার ৯৭ পয়েন্টে। তবে দিন শেষে বাড়তি সূচকের প্রায় পুরোটাই কমে আসে। আগের দিনের তুলনায় কেবল ০.৪৩ পয়েন্ট যোগ হয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।
লেনদেনে ১৮৪ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ১৪৬টি কোম্পানির। দর পাল্টায়নি ৪৮টি কোম্পানির।
সূচক অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছে বস্ত্র, প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ারের দর বৃদ্ধির কারণে।
বস্ত্র খাতে এদিন ৭১ শতাংশ বা ৪২টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৯টির। বাকি কোম্পানিগুলোর দর ছিল অপরিবর্তিত।
প্রকৌশল খাতে ৬৯ শতাংশ বা ২৯টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ২৩ শতাংশ বা ১০টি কোম্পানির। বাকিগুলোর দর ছিল অপরিবর্তিত।
ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৭৪ শতাংশ বা ২৩টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।
অন্যান্য খাতের মধ্যে ব্যাংক খাতের ৫৩ শতাংশ কোম্পানির, আর্থিক খাতের ৪৫ শতাংশ আর মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের ৩৯ শতাংশের দর বেড়েছে।
সূচকের উঠানামা থাকলেও বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় হতে শুরু করার লক্ষণ স্পষ্ট লেনদেনে। দিন শেষে হাতবদল হয়েছে এক হাজার ৭১২ কোটি ৮৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকার শেয়ার, যা আগের দিন ছিল ১ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকা।
সদ্য সমাপ্ত বছরের শেষ মাসে লেনদেন তলানিতে নেমে আসার পর চলতি বছর এ নিয়ে টানা ১২ কর্মদিবস হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে পুঁজিবাজারে।
দর বৃদ্ধির ১০ কোম্পানি
মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ বা নয় শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে সাতটি কোম্পানির। এরমধ্যে একমাত্র দেশ গার্মেন্টসের শেয়ার দর বেড়েছে ১০ শতাংশ। কোম্পানিটির ১৭১ টাকার শেয়ার পৌঁছেছে ১৮৮ টাকা ১০ পয়সায়। ৪ কোটি ৬ লাখ টাকার ২ লাখ ২৩ হাজার ২১১টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
নতুন তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৯.৯১ শতাংশ। তবে কেবল ৩৮১টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। সদ্য তালিকাভুক্ত হওয়া বিমা খাতের এই কোম্পানিটি গত বৃহস্পতিবার থেকে লেনদেন শুরু করেছে।
প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর ৯.৮৫ শতাংশ, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৯.৬৬ শতাংশ, এসএস স্টিলের ৯.৬২ শতাংশ, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর ৯.৪৭ শতাংশ, শমরিতা হসপিটালের দর বেড়েছে ৯.৪১ শতাংশ।
এদিন সাত শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে ছয়টি কোম্পানির। এর মধ্যে অগ্নি সিস্টেমসের দর ৭.৮৬ শতাংশ, মতিন স্পিনিংয়ের শেয়ার দর ৭.৬৬ শতাংশ আর ফার্মা এইডের দর বেড়েছে ৭.৪৯ শতাংশ।
দর পতনের দশ কোম্পানি
সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে অনালিমা ইয়ার্ড ৬.০৯ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিকেও লোকসানের হিসাব প্রকাশের পর ৪১ টাকার শেয়ার নেমেছে ৩৮ টাকা ৫০ পয়সায়। ২ কোটি ২৭ লাখ টাকার ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮৯২টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এছাড়া আইটি কনসালটেন্টনের শেয়ার দর ৪.৩৮ শতাংশ, আজিজ পাইপের দর ৪.৩১ শতাংশ, তুং হাই নিটিংয়ের দর ৪.২২ শতাংশ ও এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের দর ৪.২২ শতাংশ কমেছে।
তিন শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমেছে তিনটি কোম্পানির। এর মধ্যে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের দর ৩.৮২ শতাংশ, জনতা ইন্স্যুরেন্সের দর ৩.৪১ শতাংশ ও তিতাস গ্যাসের দর ৩.০৭ শতাংশ কমেছে।
দুই শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমেছে ১৫টি কোম্পানির। আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ২.৯৮ শতাংশ ও ডেসকোর ২.৯১ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।
লেনদেনে সেরা ১০
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ৯৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকার। হাতবদল হয়েছে মোট ৭০ লাখ ২০ হাজার ৩৯১টি শেয়ার।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডের ৯৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হয়েছে ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ২৪৮টি শেয়ার।
সাইফ পাওয়ারটেকে লেনদেন হয়েছে ৮৩ কোটি ৬০ লাখ টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৩২ হাজার ৪৩৩টি।
জিপিএইচ ইস্পাতে ৭৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, ফারইস্ট লাইফে ৪৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা, পাওয়ারগ্রিডে ৪৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, জিএসপি ফাইন্যান্সের ৪৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
এছাড়া ফরচুন সুজে ৪১ কোটি ৮১ লাখ টাকা, আর এ কে সিরামিকসে ৪০ কোটি ৬১ লাখ টাকা ও প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলে ৩৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য