দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরিবেশ-প্রতিবেশের ক্ষতি হবে- এমন প্রকল্প গ্রহণ না করার পরামর্শ দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম, দুর্নীতি হচ্ছে কি না তা তদারকিতেও ডিসিদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২২-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব নির্দেশনা দেন। গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি, সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা মেয়র, সিটি করপোরেশন- সবাইকে নিয়ে সমন্বিতভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা করি, প্রকল্প গ্রহণ করি, বাস্তবায়ন করি এবং বাস্তবায়ন যথাযথভাবে হচ্ছে কি না, সেটা যদি আমরা নজর দিই, আমাদের যে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি, সেটাও যদি যথাযথভাবে আমরা বাস্তবায়ন করি, তাহলে অবশ্যই খুব বেশি দিন লাগবে না। আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে টিকে থেকে আমরা দেশকে উন্নত করতে পারব।’
চলমান উন্নয়ন প্রকল্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যেসব প্রকল্প চলমান আছে, আমাদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এসব প্রকল্প গ্রহণ করে এবং সে প্রকল্প বিভিন্ন এলাকায় বাস্তবায়ন হয়। কিন্তু এই প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে গ্রহণ করা এবং তার প্রয়োজনীয়তা সাপেক্ষে এবং সেগুলো বাস্তবায়নে কোনো অনিয়ম হচ্ছে কি না, দুর্নীতি হচ্ছে কি না বা মানসম্মত হচ্ছে কি না, সে বিষয়ের ওপর নজরদারির ব্যবস্থা আপনাদের অবশ্যই নিতে হবে।’
জনপ্রতিনিধিরা যেসব নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে আমলাদের আন্তরিক থাকতে হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘তাদের কিছু নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি থাকে জনগণের কাছে। এই প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন, তবে অবশ্যই আমি এটা বলব, প্রতিশ্রুতি আসলে যথাযথ কি না, সেটা বিবেচনায় নিয়ে সেই ধরনের পরিকল্পনা নেয়া।
‘অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প পরিহার করতে হবে। আর প্রকল্প যেটা নিতে হবে সেটা যেন যথাযথ ও মানুষের সেবামূলক হয় এবং মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অবদান রাখতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে কিন্তু করতে হবে। একটা কিছু করার জন্য করা, সেটা যেন না হয়। সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।’
জেলা-উপজেলা পর্যায়ে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির ওপর জোর দিয়েছেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা পরিকল্পিতভাবে কাজ করি, তাহলে আমাদের কোনো সমস্যা থাকে না। একটা জেলার অধীন উপজেলা, একেবারে ওয়ার্ড পর্যন্ত উন্নয়নটা- এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কিন্তু বিরাট অবদান রাখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সংসদ থেকে শুরু করে সব জনপ্রতিনিধিকে নিয়ে বসে আলোচনা করে কাজ করা যায়, সেটা আরও বেশি কার্যকর হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়নের নামে পরিবেশ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, প্রতিবেশ যেন নষ্ট না হয়, জীববৈচিত্র্য যেন নষ্ট না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।’
জেলা প্রশাসকদের অর্পিত দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হওয়ার তাগিদ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি সরকারে আসার পর সবার বেতন-ভাতা বাড়িয়ে দিয়েছি, সেটা মনে রেখেই আপনারা আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন- সেটাই আমি আশা করি।’
এ প্রসঙ্গে জাতির পিতার আদর্শকে সামনে এনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজেকে একজন জনগণের খাদেম বা সেবক হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমিও তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে নিজেকে জনগণের একজন সেবক মনে করি। ক্ষমতায় আসা, প্রধানমন্ত্রী হওয়া মানে জনগণের জন্য কাজ করার একটা সুযোগ পাওয়া। যে লক্ষ্য স্থির করেছি, তা বাস্তবায়নে আপনাদের সহযোগিতা একান্তভাবে প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার বিষয়টি সামনে এনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে এবং আমাদের সামনের দিকে অনেক এগিয়ে যেতে হবে। কারণ বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়তে হবে।’
দেশের অগ্রযাত্রায় করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর জেলা প্রশাসক সম্মেলন করতাম। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারি আমাদের এমন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে যে পর পর দুবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন করেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪১ বাস্তবায়ন করা।’
সামষ্টিক অর্থনীতির সব সূচকে বাংলাদেশ উন্নতি করেছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, দরিদ্র থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না।’
সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে
করোনাভাইরাস মহামারির শঙ্কা নিয়ে জেলা প্রশাসক সম্মেলনেও সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের একটা নতুন ভ্যারিয়েন্ট এসে গেছে। এটা আরও বেশি দ্রুত ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
ডিসিদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসকদের বলব, স্ব-স্ব প্রশাসনে নির্দেশ দিয়ে দেবেন, প্রত্যেকে যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। কারণ এই ভ্যারিয়েন্টটা আসলে এমনি মনে হয় খুব বেশি ক্ষতি করবে না। আসলে এটা অনেক ক্ষতি করতে পারে।’
ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা যেন আর না বাড়তে পারে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কেউ ভিক্ষা করবে, এটা লজ্জার
বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ, গণহত্যার শিকার হওয়া কোনো পরিবারের সদস্য ভিক্ষা করে খাবে তা স্বাধীন দেশের জন্য লজ্জার বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সব থেকে আগে এই কাজটি করতে হবে। আমি আর কখনও দেখতে চাই না কোনাে শহীদ পরিবার, জাতির পিতার চিঠি যার হাতে সে ভিক্ষা করে খাবে। এটা যেন না হয়। আমি সবাইকে আহ্বান জানাব- এ বিষয়টি আপনারা ভালোভাবে দেখবেন।’
‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কেউ ভিক্ষা করবে, এটা আমাদের জন্য মোটেও সম্মানজনক নয়’ উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আপনাদের এটাও দেখতে হবে, কোথাও কোনো জায়গায় কোনো মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, শহীদ পরিবার, বা গণহত্যার শিকার পরিবারের কেউ এ ধরনের দুর্ভোগ পোহাচ্ছে কি না। কারণ এটা অন্তত আমার জন্য খুবই লজ্জাজনক, আমি মনে করি। জানি না, অন্যরা কী ভাববে। কিন্তু আমি নিজে মনে করি, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।’
ঝরে পড়া ঠেকাতে স্কুল ফিডিং
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঝরে পড়া ঠেকাতে স্কুল ফিডিং ব্যবস্থার ওপরে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এ ক্ষেত্রে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘কারও কাছে হাত পেতে অনুদান আর নিতে চাই না। কিন্তু আমাদের যদি একটু উদ্যোগ নেয়া যায়, স্বতঃপ্রণোদিত স্কুল ফিডিং কর্মসূচি আমরা করতে পারি।’
পরীক্ষামূলকভাবে এ ব্যবস্থায় সফলতা এসেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তবে এটা নির্ভর করে আমাদের প্রশাসনে যারা আছেন, অর্থাৎ জেলা বা উপজেলা বা ইউনিয়নে যারা আছেন, বা আমাদের জনপ্রতিনিধিরা, স্থানীয় বিত্তশালীরা সমন্বিতভাবে কিন্তু কাজটি করা যেতে পারে। এই উদ্যোগ নেয়ার ফলে আমরা দেখেছি, ঝরে পড়াটা কমে যায়।’
উন্নয়নে যোগাযোগের কোনো বিকল্প নেই
অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের নেয়া টেকসই মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্থনীতিতে যথেষ্ট অবদান রাখবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যে কোনো উন্নয়নের ক্ষেত্রে যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। আজ আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হয়েছি। যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রকল্প হাতে নিয়েছি। রাজধানী যানজট মুক্ত করতে বেশকিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছি। তা ছাড়া কর্ণফুলী টানেল, হয়তো এই অঞ্চলে আমরাই প্রথম তৈরি করছি। কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি শেষ হবে। পাশাপাশি রাজধানীতে মেট্রোরেল পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে। বাকি কাজগুলোও আমরা করতে পারব।’
উত্তরবঙ্গের সঙ্গে আরও দ্রুত যোগাযোগে আলাদা রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানান সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পদ্মা সেতু নির্মাণও প্রায় শেষ পর্যায়ে। যার ফলে আমাদের দক্ষিণাঞ্চলে যোগাযোগ হবে। রাজধানীর সঙ্গে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের সংযোগ করা, সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। তাই সারা দেশে সেতু ও সড়ক নির্মাণ করে আমরা যোগাযোগব্যবস্থাকে উন্নত করছি।’
বিশ্বব্যাংক অলাভজনক বলায় বিএনপি দেশে রেল বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সরকারে এসে আবার রেল নিয়ে আলাদা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করি। আলাদা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করে রেলকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিয়ে, বাজেট দিয়ে রেলপথ উন্নয়নের ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি আমরা।’
একই সঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে পর দেশে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সংখ্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমরা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মর্যাদায় করে দেব। আমাদের সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে উন্নত করব।’
গ্রামে নিশ্চিত করতে হবে নাগরিক সেবা
জেলা প্রশাসকদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আপনারা কাজ করেন মাঠপর্যায়ে। প্রতিটি জেলার দায়িত্ব আপনাদের। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং তাদের স্বাবলম্বী করার জন্য আমাদের যে ব্যাপক পল্লী উন্নয়ন কাজ আমরা নিয়েছি, সেগুলোকে সব থেকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। কারণ দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের তৃণমূলের মানুষের জীবনমান উন্নত করতে হবে। সেখানে আমাদের সব থেকে বেশি উন্নয়ন করতে হবে। সেটাই হচ্ছে আমি সব সময় বিশ্বাস করি।’
প্রতিটি ইউনিয়নের সঙ্গে ওয়ার্ড, ওয়ার্ড থেকে গ্রাম পর্যায়ে উন্নয়নের জন্য রাস্তা নির্মাণ থেকে শুরু করে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করে দেয়ার কথাও জানান শেখ হাসিনা।
সব ধরনের নাগরিক সুবিধা যেন প্রান্তিক মানুষ পেতে পারে সেজন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই কাজগুলো যাতে সঠিকভাবে চলে, সেটা দেখতে হবে আমাদের জেলা প্রশাসনকে। কারণ পল্লী উন্নয়ন আমরা সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। বাজেট যেটা আমরা করে দিচ্ছি সেখানেও কিন্তু আমরা জেলা ভিত্তিক বাজেট করে দিচ্ছি। প্রতিটি জেলার কী কী চাহিদা, সেটাকে আমরা বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে থাকি। তা ছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমার জেন্ডারভিত্তিক বাজেটও তৈরি করছি।’
গ্রামে সব নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেয়া সরকারের অঙ্গীকার জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাতে শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা কমে যাবে। গ্রামে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। একেকটা জেলার সার্বিক উন্নয়ন করা আপনাদের (জেলা প্রশাসক) কর্তব্য বলে আমি মনে করি।’
সবাইকে ই-টেন্ডারে আসতে হবে
ই-টেন্ডার বাস্তবায়ন করা যুগান্তকারী উদ্যোগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আর টেন্ডার বাক্স নিয়ে মারামারি, কাটাকাটি, গোলাগুলি, বোমাবাজি হচ্ছে না- এটাই বড় কথা। এবং এখনও যদি কোনো মন্ত্রণালয় বাকি থাকে, তাদেরকে আমি বলব, এই ই-টেন্ডারিং পদ্ধতি গ্রহণ করতে।’
জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকদের সক্রিয় ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে। সরকারি সেবা নিতে এসে সাধারণ মানুষ যেন কোনোভাবে হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।’
সুশাসন সুসংহত করতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদেক্ষপ বাস্তবায়ন ও দুর্নীতি প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকদের আরও আন্তরিকভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘মানুষের কল্যাণে আপনাদের সব ধরনের ভয়-ভীতি, প্রলোভনের ঊর্ধ্বে থেকে আইনানুগ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:পুলিশ প্রশাসন সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাব জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ভবনে পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান সফর রাজ হোসেনের কাছে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব জমা দেয়া হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সাবেক সচিব এস এম জহিরুল ইসলাম দলের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব জমা দেন।
প্রসঙ্গত, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করেছিল বিএনপি।
দেশে চলমান অস্থির সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস ঐক্যের যে ডাক দিয়েছেন তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতারা। তারা দেশি-বিদেশি নানা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান ধর্মীয় নেতারা।
বৈঠক থেকে বের হয়ে রমনা সেন্ট ম্যারিজ ক্যাথেড্রালের প্রধান পুরোহিত অলভার্ট রোজারিও বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) রাজনৈতিক দলগুলো যে কথা বলেছে তার সঙ্গে আমরা একাত্মতা পোষণ করেছি। আমরা একটা স্পর্শকাতর সময় পার করছি। এই সময়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
‘ইসকনের ঘটনায় মানুষের মনে যে ক্ষত তৈরি হয়েছে তা দূর করতে হবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যারা কষ্টে আছেন, যাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে তাদের অনেকেই আজ আসেননি। তাদেরকে নিয়ে যেন প্রধান উপদেষ্টা বসেন আমি সে কথা বলে এসেছি।’
বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয় বলেন, ‘দেশে যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকে। আমরা যেন মিলেমিশে থাকতে পারি। এটা আমাদের ঐতিহ্য। সে বিষয়ে যেন প্রধান উপদেষ্টা ব্যবস্থা নেন। তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) আমাদের কথা মন দিয়ে শুনেছেন।’
গারো পুরোহিত জনসন মুরি কামাল বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। যেসব মিডিয়া অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের আমরা প্রতিরোধ করবো। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। এই সরকারকে আমরা সহযোগিতা করবো।’
রমনা হরিচাঁদ মন্দিরের সহ-সম্পাদক অবিনাশ মিত্র বলেন, ‘আমরা যারা বাংলাদেশে আছি, আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। কিন্তু বিভেদটা কোথায়?
‘যারা বিভেদ তৈরি করছে তারা আমাদের মধ্যে ঢুকে বিদেশে বসে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তারা স্বার্থ হাসিল করবে এটা আমরা চাই না। এটা বাংলাদেশ। এখানে আমরা সবাই সমানভাবে মিলেমিশে আছি। কোনো সমস্যা নেই।’
প্রসঙ্গত, জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে গত মঙ্গলবার থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রথম দিন ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। পরদিন বুধবার বৈঠক করেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ ধর্মীয় নেতাদের আহ্বান জানানো হয়েছিল।’
আরও পড়ুন:রাজধানীতে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন। এই সম্মেলন শেষ হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘২০২৫ সালের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ হয়েছে। ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি ডিসি সম্মেলন হবে। এখন পর্যন্ত নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সম্মেলনের কার্য অধিবেশনগুলো ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। তবে অন্য ভেন্যুও আমাদের বিবেচনায় রয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা যায়, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে হবে।
সম্মেলনে প্রতি বছরের মতো এবারও জেলা প্রশাসকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে সম্মেলনে উপদেষ্টা-সচিবদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা এবং সেসব প্রস্তাবের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সরকারের কর্মকাণ্ড মাঠ পর্যায়ে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি নীতিনির্ধারণী বিভিন্ন বিষয় ও উন্নয়ন কর্মসূচি বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের দিকনির্দেশনা দিতে আয়োজন করা হয় জেলা প্রশাসক সম্মেলন। কেন্দ্রের নির্দেশনা মাঠ প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের বাস্তবতা তুলে আনাও এই সম্মেলনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
সাবেক সরকারি কর্মকর্তা আখতার হোসেনকে চুক্তিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। তাকে দু’বছরের জন্য এই পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
অন্য যে কোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে আখতার হোসেনকে ইসির সিনিয়র সচিব পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগের অন্যান্য শর্ত চুক্তিপত্র দিয়ে নির্ধারণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ইসি সচিব শফিউল আজিমকে গত ৩ ডিসেম্বর ওএসডি করে সরকার।
নভেম্বরে দেশে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আগের মাস অক্টোবরে তা ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এই হার গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।
এদিকে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ থেকে সামান্য বেড়ে ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ হয়েছে নভেম্বরে। শহর এবং গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হারও গত মাসে বেড়েছে।
নভেম্বরে গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং অক্টোবরে ছিল ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ।
একই সময়ে গ্রামাঞ্চলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং অক্টোবরে ছিল ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। তবে গ্রামাঞ্চলে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি নভেম্বর ও অক্টোবরে অপরিবর্তিত ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ ছিল।
অন্যদিকে নভেম্বরে শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
নভেম্বরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ১২ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং নভেম্বরে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।
নভেম্বরে মজুরি হার সূচক ছিল ৮ দশমিক ১০ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন:রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের নবনিযুক্ত ২৩ বিচারপতি।
রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনে গিয়ে বৃহস্পতিবার তারা সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে নতুন বিচারপতিদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, নতুন বিচারপতি নিয়োগের ফলে দেশের উচ্চতর আদালতে বিচারিক কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত হবে এবং বিচারপ্রার্থীরা উপকৃত হবেন।
বিচারপতিগণ তাদের দক্ষতা ও মেধা কাজে লাগিয়ে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করতে সক্ষম হবেন বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনে বাংলাদেশের নতুন একটি হাইকমিশন স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সুশাসনের সূচক বিবেচনায় নিউজিল্যান্ড দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। দেশটি মানব উন্নয়ন সূচকে ১৬তম ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতা সূচকে ৩২তম অবস্থানে রয়েছে। জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বেশি হওয়ায় এ দেশটি বাংলাদেশি পণ্যের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বাজার হতে পারে।
নিউজিল্যান্ডে প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করছেন এবং প্রায় এক হাজার বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছেন।
ভৌগোলিকভাবে নিউজিল্যান্ড মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপরাষ্ট্র হওয়ায় সমবর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত দেশ অস্ট্রেলিয়া থেকে নিউজিল্যান্ডে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের যথাযথ সেবা নিশ্চিত করা সর্বদা সম্ভব হয় না।
একইসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে কনস্যুলার সেবা গ্রহণ করতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিপুল অর্থ ব্যয়সহ নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হন। ওয়েলিংটনে বাংলাদেশ হাইকমিশন স্থাপিত হলে নিউজিল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে সরাসরি দূতাবাসের সব ধরনের কনস্যুলার সেবা পৌঁছানো সহজ ও সাশ্রয়ী হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তানসহ ৭২টি দেশের কূটনৈতিক মিশন রয়েছে। নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের একটি মিশন স্থাপিত হলে তা দু’দেশের মধ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধির পথ সুগম করবে।
বাংলাদেশের বহুমাত্রিক স্বার্থ তথা রাজনৈতিক, কৌশলগত, বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা, প্রবাসী কল্যাণ বিবেচনায় রেখে নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনে একটি পূর্ণাঙ্গ মিশন স্থাপন করা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত হবে। তবে, এ বিষয়ে যাবতীয় ব্যয় পরবর্তী অর্থবছরে (২০২৫-২৬) নির্বাহ করা হবে।
মন্তব্য