× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The Prime Minister wants coordination of peoples representatives and bureaucrats in development
google_news print-icon

উন্নয়নে জনপ্রতিনিধি-আমলার সমন্বয় চান প্রধানমন্ত্রী

উন্নয়নে-জনপ্রতিনিধি-আমলার-সমন্বয়-চান-প্রধানমন্ত্রী
ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: নিউজবাংলা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের কিছু নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি থাকে জনগণের কাছে। এই প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন, তবে অবশ্যই আমি এটা বলব, প্রতিশ্রুতি আসলে যথাযথ কি না, সেটা বিবেচনায় নিয়ে সে ধরনের পরিকল্পনা নেয়া।

দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরিবেশ-প্রতিবেশের ক্ষতি হবে- এমন প্রকল্প গ্রহণ না করার পরামর্শ দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম, দুর্নীতি হচ্ছে কি না তা তদারকিতেও ডিসিদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২২-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব নির্দেশনা দেন। গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন সরকারপ্রধান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি, সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা মেয়র, সিটি করপোরেশন- সবাইকে নিয়ে সমন্বিতভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা করি, প্রকল্প গ্রহণ করি, বাস্তবায়ন করি এবং বাস্তবায়ন যথাযথভাবে হচ্ছে কি না, সেটা যদি আমরা নজর দিই, আমাদের যে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি, সেটাও যদি যথাযথভাবে আমরা বাস্তবায়ন করি, তাহলে অবশ্যই খুব বেশি দিন লাগবে না। আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে টিকে থেকে আমরা দেশকে উন্নত করতে পারব।’

চলমান উন্নয়ন প্রকল্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যেসব প্রকল্প চলমান আছে, আমাদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এসব প্রকল্প গ্রহণ করে এবং সে প্রকল্প বিভিন্ন এলাকায় বাস্তবায়ন হয়। কিন্তু এই প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে গ্রহণ করা এবং তার প্রয়োজনীয়তা সাপেক্ষে এবং সেগুলো বাস্তবায়নে কোনো অনিয়ম হচ্ছে কি না, দুর্নীতি হচ্ছে কি না বা মানসম্মত হচ্ছে কি না, সে বিষয়ের ওপর নজরদারির ব্যবস্থা আপনাদের অবশ্যই নিতে হবে।’

জনপ্রতিনিধিরা যেসব নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে আমলাদের আন্তরিক থাকতে হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘তাদের কিছু নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি থাকে জনগণের কাছে। এই প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন, তবে অবশ্যই আমি এটা বলব, প্রতিশ্রুতি আসলে যথাযথ কি না, সেটা বিবেচনায় নিয়ে সেই ধরনের পরিকল্পনা নেয়া।

‘অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প পরিহার করতে হবে। আর প্রকল্প যেটা নিতে হবে সেটা যেন যথাযথ ও মানুষের সেবামূলক হয় এবং মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অবদান রাখতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে কিন্তু করতে হবে। একটা কিছু করার জন্য করা, সেটা যেন না হয়। সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।’

জেলা-উপজেলা পর্যায়ে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির ওপর জোর দিয়েছেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা পরিকল্পিতভাবে কাজ করি, তাহলে আমাদের কোনো সমস্যা থাকে না। একটা জেলার অধীন উপজেলা, একেবারে ওয়ার্ড পর্যন্ত উন্নয়নটা- এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কিন্তু বিরাট অবদান রাখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সংসদ থেকে শুরু করে সব জনপ্রতিনিধিকে নিয়ে বসে আলোচনা করে কাজ করা যায়, সেটা আরও বেশি কার্যকর হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়নের নামে পরিবেশ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, প্রতিবেশ যেন নষ্ট না হয়, জীববৈচিত্র্য যেন নষ্ট না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।’

জেলা প্রশাসকদের অর্পিত দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হওয়ার তাগিদ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি সরকারে আসার পর সবার বেতন-ভাতা বাড়িয়ে দিয়েছি, সেটা মনে রেখেই আপনারা আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন- সেটাই আমি আশা করি।’

এ প্রসঙ্গে জাতির পিতার আদর্শকে সামনে এনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ ‍মুজিবুর রহমান নিজেকে একজন জনগণের খাদেম বা সেবক হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমিও তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে নিজেকে জনগণের একজন সেবক মনে করি। ক্ষমতায় আসা, প্রধানমন্ত্রী হওয়া মানে জনগণের জন্য কাজ করার একটা সুযোগ পাওয়া। যে লক্ষ্য স্থির করেছি, তা বাস্তবায়নে আপনাদের সহযোগিতা একান্তভাবে প্রয়োজন।’

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার বিষয়টি সামনে এনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে এবং আমাদের সামনের দিকে অনেক এগিয়ে যেতে হবে। কারণ বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়তে হবে।’

দেশের অগ্রযাত্রায় করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর জেলা প্রশাসক সম্মেলন করতাম। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারি আমাদের এমন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে যে পর পর দুবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন করেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪১ বাস্তবায়ন করা।’

সামষ্টিক অর্থনীতির সব সূচকে বাংলাদেশ উন্নতি করেছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, দরিদ্র থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না।’

সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে

করোনাভাইরাস মহামারির শঙ্কা নিয়ে জেলা প্রশাসক সম্মেলনেও সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের একটা নতুন ভ্যারিয়েন্ট এসে গেছে। এটা আরও বেশি দ্রুত ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

ডিসিদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসকদের বলব, স্ব-স্ব প্রশাসনে নির্দেশ দিয়ে দেবেন, প্রত্যেকে যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। কারণ এই ভ্যারিয়েন্টটা আসলে এমনি মনে হয় খুব বেশি ক্ষতি করবে না। আসলে এটা অনেক ক্ষতি করতে পারে।’

ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা যেন আর না বাড়তে পারে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কেউ ভিক্ষা করবে, এটা লজ্জার

বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ, গণহত্যার শিকার হওয়া কোনো পরিবারের সদস্য ভিক্ষা করে খাবে তা স্বাধীন দেশের জন্য লজ্জার বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সব থেকে আগে এই কাজটি করতে হবে। আমি আর কখনও দেখতে চাই না কোনাে শহীদ পরিবার, জাতির পিতার চিঠি যার হাতে সে ভিক্ষা করে খাবে। এটা যেন না হয়। আমি সবাইকে আহ্বান জানাব- এ বিষয়টি আপনারা ভালোভাবে দেখবেন।’

‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কেউ ভিক্ষা করবে, এটা আমাদের জন্য মোটেও সম্মানজনক নয়’ উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আপনাদের এটাও দেখতে হবে, কোথাও কোনো জায়গায় কোনো মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, শহীদ পরিবার, বা গণহত্যার শিকার পরিবারের কেউ এ ধরনের দুর্ভোগ পোহাচ্ছে কি না। কারণ এটা অন্তত আমার জন্য খুবই লজ্জাজনক, আমি মনে করি। জানি না, অন্যরা কী ভাববে। কিন্তু আমি নিজে মনে করি, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।’

ঝরে পড়া ঠেকাতে স্কুল ফিডিং

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঝরে পড়া ঠেকাতে স্কুল ফিডিং ব্যবস্থার ওপরে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এ ক্ষেত্রে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘কারও কাছে হাত পেতে অনুদান আর নিতে চাই না। কিন্তু আমাদের যদি একটু উদ্যোগ নেয়া যায়, স্বতঃপ্রণোদিত স্কুল ফিডিং কর্মসূচি আমরা করতে পারি।’

পরীক্ষামূলকভাবে এ ব্যবস্থায় সফলতা এসেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তবে এটা নির্ভর করে আমাদের প্রশাসনে যারা আছেন, অর্থাৎ জেলা বা উপজেলা বা ইউনিয়নে যারা আছেন, বা আমাদের জনপ্রতিনিধিরা, স্থানীয় বিত্তশালীরা সমন্বিতভাবে কিন্তু কাজটি করা যেতে পারে। এই উদ্যোগ নেয়ার ফলে আমরা দেখেছি, ঝরে পড়াটা কমে যায়।’

উন্নয়নে যোগাযোগের কোনো বিকল্প নেই

অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের নেয়া টেকসই মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্থনীতিতে যথেষ্ট অবদান রাখবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘যে কোনো উন্নয়নের ক্ষেত্রে যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। আজ আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হয়েছি। যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রকল্প হাতে নিয়েছি। রাজধানী যানজট মুক্ত করতে বেশকিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছি। তা ছাড়া কর্ণফুলী টানেল, হয়তো এই অঞ্চলে আমরাই প্রথম তৈরি করছি। কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি শেষ হবে। পাশাপাশি রাজধানীতে মেট্রোরেল পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে। বাকি কাজগুলোও আমরা করতে পারব।’

উত্তরবঙ্গের সঙ্গে আরও দ্রুত যোগাযোগে আলাদা রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানান সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের পদ্মা সেতু নির্মাণও প্রায় শেষ পর্যায়ে। যার ফলে আমাদের দক্ষিণাঞ্চলে যোগাযোগ হবে। রাজধানীর সঙ্গে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের সংযোগ করা, সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। তাই সারা দেশে সেতু ও সড়ক নির্মাণ করে আমরা যোগাযোগব্যবস্থাকে উন্নত করছি।’

বিশ্বব্যাংক অলাভজনক বলায় বিএনপি দেশে রেল বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সরকারে এসে আবার রেল নিয়ে আলাদা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করি। আলাদা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করে রেলকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিয়ে, বাজেট দিয়ে রেলপথ উন্নয়নের ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি আমরা।’

একই সঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে পর দেশে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সংখ্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমরা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মর্যাদায় করে দেব। আমাদের সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে উন্নত করব।’

গ্রামে নিশ্চিত করতে হবে নাগরিক সেবা

জেলা প্রশাসকদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আপনারা কাজ করেন মাঠপর্যায়ে। প্রতিটি জেলার দায়িত্ব আপনাদের। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং তাদের স্বাবলম্বী করার জন্য আমাদের যে ব্যাপক পল্লী উন্নয়ন কাজ আমরা নিয়েছি, সেগুলোকে সব থেকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। কারণ দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের তৃণমূলের মানুষের জীবনমান উন্নত করতে হবে। সেখানে আমাদের সব থেকে বেশি উন্নয়ন করতে হবে। সেটাই হচ্ছে আমি সব সময় বিশ্বাস করি।’

প্রতিটি ইউনিয়নের সঙ্গে ওয়ার্ড, ওয়ার্ড থেকে গ্রাম পর্যায়ে উন্নয়নের জন্য রাস্তা নির্মাণ থেকে শুরু করে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করে দেয়ার কথাও জানান শেখ হাসিনা।

সব ধরনের নাগরিক সুবিধা যেন প্রান্তিক মানুষ পেতে পারে সেজন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই কাজগুলো যাতে সঠিকভাবে চলে, সেটা দেখতে হবে আমাদের জেলা প্রশাসনকে। কারণ পল্লী উন্নয়ন আমরা সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। বাজেট যেটা আমরা করে দিচ্ছি সেখানেও কিন্তু আমরা জেলা ভিত্তিক বাজেট করে দিচ্ছি। প্রতিটি জেলার কী কী চাহিদা, সেটাকে আমরা বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে থাকি। তা ছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমার জেন্ডারভিত্তিক বাজেটও তৈরি করছি।’

গ্রামে সব নাগরিক ‍সুবিধা পৌঁছে দেয়া সরকারের অঙ্গীকার জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাতে শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা কমে যাবে। গ্রামে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। একেকটা জেলার সার্বিক উন্নয়ন করা আপনাদের (জেলা প্রশাসক) কর্তব্য বলে আমি মনে করি।’

সবাইকে ই-টেন্ডারে আসতে হবে

ই-টেন্ডার বাস্তবায়ন করা যুগান্তকারী উদ্যোগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আর টেন্ডার বাক্স নিয়ে মারামারি, কাটাকাটি, গোলাগুলি, বোমাবাজি হচ্ছে না- এটাই বড় কথা। এবং এখনও যদি কোনো মন্ত্রণালয় বাকি থাকে, তাদেরকে আমি বলব, এই ই-টেন্ডারিং পদ্ধতি গ্রহণ করতে।’

জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকদের সক্রিয় ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে। সরকারি সেবা নিতে এসে সাধারণ মানুষ যেন কোনোভাবে হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।’

সুশাসন সুসংহত করতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদেক্ষপ বাস্তবায়ন ও দুর্নীতি প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকদের আরও আন্তরিকভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘মানুষের কল্যাণে আপনাদের সব ধরনের ভয়-ভীতি, প্রলোভনের ঊর্ধ্বে থেকে আইনানুগ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আরও পড়ুন:
জনসেবায় ডিসিদের প্রধানমন্ত্রীর ২৪ নির্দেশনা
২৫ কোটি টাকা সাশ্রয়ে প্রধানমন্ত্রীর উচ্ছ্বাস
গৃহহীন আছে কি না খুঁজে বের করুন: প্রধানমন্ত্রী
দুর্ঘটনা রোধে ট্রাফিক নিয়ম পড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
নিন্দুকের ঘেউ ঘেউয়ে কিছু যায়-আসে না: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
New Member of the Press Council Matiur Rahman Chowdhury

প্রেস কাউন্সিলের নতুন সদস্য মতিউর রহমান চৌধুরী

প্রেস কাউন্সিলের নতুন সদস্য মতিউর রহমান চৌধুরী

সরকার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছে। বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খাদিজা তাহের ববির সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রেস কাউন্সিলের ৫ নম্বর ক্রমিকের প্রতিনিধি নিউএজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীর পদত্যাগ করায় তার পরিবর্তে সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার সম্পাদক সমিতির প্রতিনিধি হিসেবে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করা হলো।’

বর্তমান কাউন্সিলের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য এ মনোনয়ন কার্যকর থাকবে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

প্রেস কাউন্সিলের বর্তমান চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম, সচিব (উপসচিব) মো. আব্দুস সবুর।

এছাড়া ১২ জন সদস্য হচ্ছেন—১. বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ২. ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মিস দৌলত আকতার মালা, ৩. ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, ৪. ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, ৫. দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ৬. দৈনিক বণিক বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ৭. দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, ৮. দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা. রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, ৯. নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়ার) উপদেষ্টা আখতার হোসেন খান, ১০. বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, ১১. বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম এবং ১২. বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Meeting the Religion Advisor with the Prime Minister of Pakistan

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মিয়া শাহবাজ শরিফের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে পিএম হাউসে উভয়ের এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ধর্ম উপদেষ্টা ও তার প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং সখ্যের বন্ধনে আবদ্ধ। এ সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক ও কায়রোতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথা উল্লেখ করে দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে তার অবদানের প্রশংসা করেন। এছাড়া তিনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার আকাঙ্ক্ষাকে সাধুবাদ জানান।

এদিকে ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি পত্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এ পত্রে প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানে নজিরবিহীন বন্যায় সে দেশের সরকার ও জনগণের প্রতি গভীর সহমর্মিতা ও আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ভয়াবহ এ দুর্যোগে নিহতদের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

এ পত্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কঠিন এ সময়ে বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের পাশে রয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আপনার সুদক্ষ নেতৃত্বে পাকিস্তানের জনগণ তাদের অসাধারণ ধৈর্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করবে। প্রয়োজনে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে বাংলাদেশ সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

সাক্ষাৎকালে ঢাকা ও করাচীর মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল দ্রুত পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া কৃষি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ধর্মতত্ত্ব ও চিকিৎসা বিষয়ে উভয়দেশের শিক্ষার্থী বিনিময়ে বৃত্তি প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, ধর্মবিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রী সরদার ইউসুফ খান, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতা তারার, ইসলামাবাদে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ও শরীফ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রভাষক মুফতি জাহিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Decision to form an independent investigation service of the police

পুলিশের স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত

পুলিশের স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত

পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন।

পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠন করা হবে, যাতে কোনো রাজনৈতিক বা অন্য কোনো প্রভাব ছাড়াই তদন্ত সম্পন্ন করা যায়।’ এর পাশাপাশি পুলিশের ভেতরে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য একটি কমিশন গঠনের বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ‘এই দুই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আইন মন্ত্রণালয় কাজ করবে। এ কাজে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী যুক্ত থাকবেন।’

সভায় স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বারবার জোর দিয়েছেন যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও ক্ষমতায়িত করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন যেন নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ ও স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করতে পারে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

স্বাস্থ্য খাত নিয়েও সভায় আলোচনা হয়। শফিকুল আলম জানান, ‘কিছু মেডিকেল কলেজে যোগ্য শিক্ষকের সংকট রয়েছে। তাই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পরামর্শক বা অন্যভাবে সম্পৃক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রমের মান উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিষয়েও সভায় আলোকপাত করা হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা ভালো আছেন, দূতাবাস তাদের দেখভাল করছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে জাতীয় ফুটবল দলকে দেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

এ বৈঠক প্রসঙ্গে শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘আজকের বৈঠকের প্রতিটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।’

ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Basic training duration of cadre officers is 6 months

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪ মাস নির্ধারণ

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪ মাস নির্ধারণ

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছয় মাস থেকে কমিয়ে চার মাস করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন মাস প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে এবং এক মাস মাঠপর্যায়ে ওরিয়েন্টেশন ও গ্রাম সংযুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, কর্মকর্তাদের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৪৭ বছর করা হবে। পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নকালে প্রতি বছর তত্ত্বাবধায়কের অগ্রগতিমূলক প্রত্যয়ন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে, অন্যথায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বেতন বন্ধ রাখা হবে।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারি যত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেগুলোর ওপর মূল্যায়ন করতে হবে। কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, প্রশিক্ষণের ধরন-মান ইত্যাদির মানদণ্ড নির্ধারণ করে ক্যাটাগরিভিত্তিক প্রতিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে র‌্যাংকিং করতে হবে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি স্বাধীন ইউনিট গঠন করতে হবে। তারা সমস্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওপর পদ্ধতিগতভাবে, স্বাধীনভাবে মূল্যায়ন করবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক দর্শন জানতে হবে। সেগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না দেখতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা যারা বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন তাদের তথ্য সেখানে থাকবে।’

সভায় সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণের নাম পরিবর্তন করে ‘দক্ষতা নবায়ন প্রশিক্ষণ’ করার সিদ্ধান্ত হয়। এ প্রশিক্ষণ হালনাগাদকৃত কারিক্যুলামে মাঠপর্যায়ে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হবে। এছাড়া উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা আংশিক বৃত্তিপ্রাপ্ত হলেও প্রেষণ অনুমোদন করা যাবে।

কর্মচারীদের সততা ও নৈতিকতা বিকাশ এবং দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব তৈরিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে সদ্গুণ, নৈতিকতা, আচরণবিজ্ঞান ও আচরণবিধি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক মূল্যায়ন এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে একটি নির্বাহী কমিটি (ইসিএনটিসি) গঠন করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Literature of the National Writers Forum

জাতীয় লেখক ফোরামের সাহিত্য আড্ডা

জাতীয় লেখক ফোরামের সাহিত্য আড্ডা

জাতীয় লেখক ফোরাম আয়োজিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে হওয়া এ সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠেনর সভাপতি ড. দেওয়ান আযাদ রহমান, মহাসচিব কবি-কথাসাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন এবং উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মো. আবদুল মান্নানসহ বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখকরা। অনুষ্ঠানটি একটি সাধারণ প্রাণবন্ত আড্ডার মধ্যেই শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি ৩টি পর্বে সাজানো হয়েছে। প্রতি পর্বে চারজন কবিকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য এবং কবিতা পাঠ করেছেন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন কবি-কথা সাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The government will take drastic action to collect interest free loans M Sakhawat Hossain

সুদমুক্ত ঋণ আদায়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে: এম সাখাওয়াত হোসেন

সুদমুক্ত ঋণ আদায়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে: এম সাখাওয়াত হোসেন

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের জন্য সরকার প্রদত্ত সুদমুক্ত ঋণ যথাসময়ে ফেরত না দিলে সংশ্লিষ্ট শিল্প কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বুধবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, বিজিএমইএ-এর সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা কারখানার মালিকদের নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।

ড. এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রম অসন্তোষ নিরসনের লক্ষ্যে সরকার বার্ডস গ্রুপ, টিএনজেড গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, ডার্ড গ্রুপ, নায়াগ্রা টেক্সটাইলস লিমিটেড, রোয়ার ফ্যাশন লিমিটেড, মাহমুদ জিন্স লিমিটেড, স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড এবং গোল্ডস্টার গার্মেন্টস লিমিটেডকে অর্থ বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় তহবিল, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ চুক্তির আওতায় উক্ত অর্থ পরিশোধ করছেন না।

তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। তাদের পাসপোর্ট জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ইতোমধ্যে কয়েকজন পলাতক মালিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি পলাতক মালিক ও প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট স্থগিত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেন।

উপদেষ্টা বলেন, "এই ঋণের টাকা শ্রমিকের টাকা এবং জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এ টাকা আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।"

তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ও প্রতিনিধিদের সংশ্লিষ্ট লিয়েন ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিষ্ঠানের জমি, কারখানা, যন্ত্রপাতি বিক্রি করে হলেও ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঋণের সকল টাকা পরিশোধ করতে বলেন।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-কে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Foreign Adviser

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, ইসরাইলের নৃশংসতার জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং ওই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন।

বাংলাদেশে সফররত ফিলিস্তিনের প্রধান বিচারপতি ড. মাহমুদ সিদকি আল-হাব্বাশের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় গতকাল মঙ্গলবার এক বৈঠকে উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন। আজ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।

বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানা অনুযায়ী দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি সমর্থন জানান।

ফিলিস্তিনের প্রধান বিচারপতি ড. আল-হাব্বাশ বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও জনগণের স্থায়ী সমর্থনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য আরও সুদৃঢ় করার গুরুত্বের ওপরও জোর দেন।

ফিলিস্তিনিদের নিরন্তর সমর্থনের জন্য দেশটির প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি এ বিষয়ে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বৃহত্তর ঐক্যের ওপরও জোর দেন।

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির আমন্ত্রণে ড. আল-হাব্বাশ তিন দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে এসেছেন।

মন্তব্য

p
উপরে