রাজধানীর হলি ফ্যামিলি মেডিক্যাল কলেজের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে রমনা থানায় করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির সহকারী অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার কথা ছিল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক সালমান রহমান তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেননি। এ জন্য ঢাকার মহানগর হাকিম মোহনা আলমগীর দ্বিতীয় দফা তারিখ পিছিয়ে দেন।
তদন্ত কর্মকর্তা সালমান রহমান নিউজবাংলাকে জানান, ‘ঘটনাস্থল (পিও) পরিদর্শন করেছি। তদন্তের কাজের অগ্রগতি আছে, এখনও শেষ হয়নি।’
এর আগে ঢাকার মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন গত ১৩ জানুয়ারি অভিযুক্ত সালাউদ্দিনের জামিন আদেশ দেন।
বিষয়টি রমনা থানার (নারী ও শিশু) আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক মকবুলুর রহমান।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর রমনা থানায় সহকারী অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেন এক ছাত্রী। গত ২৯ অক্টোবর ডা. সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মেডিক্যাল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরী গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর মেসেঞ্জারে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন ধরনের যৌন হয়রানিমূলক মেসেজ পাঠান। এ সময় ছাত্রীকে ‘কুপ্রস্তাব’ দেন। এতে রাজি না হওয়ায় এক শিক্ষাবর্ষে অনেক বছর আটকে রাখার হুমকি দেন ওই শিক্ষক। এরপর কলেজে বিভিন্নভাবে ডেকে তার দেয়া মেসেজ ফোন থেকে মুছে ফেলতে এবং তার সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করতে বলেন।
ওই শিক্ষক অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে ছাত্রীকে ভয় দেখান। এসব অভিযোগে ছাত্রী প্রথমে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রমনা থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন:ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দুই লঞ্চের মাঝখানের ফাঁকা জায়গা থেকে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই মরদেহ উদ্ধারের পর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।
নৌ-পুলিশের সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাইয়ুম আলী সরদার নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টার্মিনাল থেকে খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধারে যায় সদরঘাট নৌ-থানার একটি টিম। মরদেহ উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
লঞ্চের কর্মচারীরা ধোয়ামোছার সময় ওই নারীর মরদেহ ভেসে থাকতে দেখেন বলে জানান ওসি।
প্রত্যক্ষদর্শী নাজমুন নাহার মুনা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকালে লঞ্চের কয়েকজন একটা মরদেহ দেখতে পায়। তখন সেখানকার লোকজন ওই মরদেহের কোমরে বাঁধা বেল্টে বাঁশ দিয়ে আটকে রাখতে বলে। মরদেহের মাথায় ব্যান্ডেজ করা ছিল। মনে হয়েছে স্কুলড্রেস পরা, কেউ হয়তো মারধর করে ফেলে রেখে গেছে।’
সদরঘাট নৌ-থানার ডিউটি অফিসার জানান, মরদেহটি পানিতে ভাসমান অবস্থায় ছিল। সকালে উদ্ধার করে সাড়ে ১০টার দিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লোকজন বলছে, ওই নারী পাগল ছিলেন। তার গলায় তাবিজ ও হাতে চুড়ি পাওয়া গেছে।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রধান ডোম শ্যামল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মরদেহটি শুক্রবার বেলা ১টার দিকে মর্গে আসে। তবে কোনো আত্মীয়স্বজন মরদেহ নেয়ার জন্য আসেননি৷ মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে মর্গে রাখা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর যাত্রাবাড়ী কুতুবখালী এলাকায় বাসের ধাক্কায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুল মতিন মিয়া। তার বয়স ৫৫ বছর।
তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মেঘনা থানায়। বর্তমানে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকায় সপরিবার থাকতেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
নিহত ব্যক্তির মেয়ে শিখা আক্তার বলেন, ‘আমার বাবা একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকায় রাস্তা পারের সময় একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে ধাক্কা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন:করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিতিশীলতা শুরু হয়েছে, দেখা দিয়েছে মন্দা। এমন প্রেক্ষাপটে সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি)।
শুক্রবার টিআইবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। একই সঙ্গে সরকারের সহায়ক হিসেবে জরুরি ভিত্তিতে স্বাধীন অর্থনৈতিক কৌশলবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এতে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও রিজার্ভের ওপর সৃষ্ট চাপ এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনীতির ওপর বহুমুখী চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে।
সংকট মোকাবিলায় করণীয় ঠিক করতে অর্থ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমন পরিস্থিতিতে অহেতুক ব্যয় কমিয়ে সবাইকে সাশ্রয়ী ও যৌক্তিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারপ্রধান। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায় টিআইবি।
প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিপুল আমদানি ব্যয়, বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্যহীনতা, রিজার্ভের ওপর তৈরি হওয়া চাপ মোকাবিলায় ব্যয় হ্রাস করতে হবে। জনকল্যাণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে সুচিন্তিত অর্থনৈতিক কর্মকৌশল নেওয়া এবং সাহসের সঙ্গে তা বাস্তবায়ন জরুরি।’
তাই খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ, সমাজবিজ্ঞানী এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে জরুরি ভিত্তিতে একটি অর্থনৈতিক কৌশলবিষয়ক পরামর্শক কমিটি গঠন করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে বলেও জানান ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘অন্য সব দেশের মতো বাংলাদেশকেও সম্ভাব্য খাদ্য ঘাটতিসহ বহুমুখী সংকটের মুখোমুখি হতে হবে বলে উদ্বেগ বাড়ছে। সংকটে বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা অনুযায়ী যেকোনো দেশেই সুশাসন অধিকতর ব্যাহত হয়। দুর্নীতি ও অর্থ পাচারসহ আর্থিক খাতের বহুমুখী অনিয়ম গভীর ও ব্যাপক হয়। আর্থসামাজিক বৈষম্য, দারিদ্র্য ও প্রান্তিকতার বিকাশ ঘটে। পাশাপাশি মৌলিক মানবাধিকার সুরক্ষা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়।’
সংকট মোকাবিলায় কৌশল প্রণয়নে বস্তুনিষ্ঠ, পেশাগত উৎকর্ষ ও বিজ্ঞানভিত্তিক এবং নিরপেক্ষ দিকনির্দেশনা সরকারের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হবে বলে মনে করেন তিনি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘এই কমিটি ২০২১-৪১ এর টার্গেট অনুযায়ী ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম ও ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশে পৌঁছাতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি ২০৩১ সালের মধ্যে অতিদারিদ্র্য দূর এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দারিদ্র্য শূন্যে নিয়ে আসার জন্য নির্দিষ্ট কৌশল প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
করোনাভাইরাস মহামারির অভিঘাত এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণে বিশ্বজুড়ে মন্দা ও দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই পরিস্থিতিতে জোর দিচ্ছে কৃচ্ছ্রসাধনে। বিলাসপণ্য আমদানিতেও নিরুৎসাহিত করতে হচ্ছে। পাশাপাশি আমদানিনির্ভর প্রকল্পও বেছে বেছে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের অর্থনীতির গতি সচল রাখতে যেসব প্রকল্প অতি প্রয়োজনীয়, সেগুলোই কেবল চালিয়ে যাওয়া হবে। যেসব প্রকল্প এখনই না করলেও চলে, সেগুলো বাস্তবায়নে ধীরে চলার নির্দেশ দেন তিনি।
আরও পড়ুন:পাইপলাইন সংস্কারের জন্য শনিবার মিরপুরে ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখবে তিতাস গ্যাস অ্যান্ড ট্রান্সমিশন কোম্পানি।
সেই সঙ্গে মিরপুরের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতেও এ সময় গ্যাসের চাপ কম থাকবে।
শুক্রবার এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জরুরি গ্যাস পাইপলাইন সংস্কার কাজের জন্য শনিবার সকাল ৯টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা রাজধানীর মিরপুর ১, ২, ৬, ৭, ১০, ১১, ১২, ১৩, ইস্টার্ন হাউজিং (পল্লবী), রূপনগর, আরামবাগ, আলুবদি, মিরপুর ডিওএসএইচ পর্যন্ত এলাকায় সব শ্রেণির গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। সে সঙ্গে আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকতে পারে।
গ্রাহকের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস।
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া গেছে। তার নাম আলিফা আক্তার।
বৃহস্পতিবার রাতের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বরিশালের মুলাদী উপজেলার নন্দিরবাজার গ্রামের বাসিন্দা তিনি। বর্তমানে কামরাঙ্গীরচরের মধ্য ইসলামনগর মজিবর ঘাট এলাকার একটি বাসায় স্বামী আব্দুর রহিমকে নিয়ে থাকতেন।
কামরাঙ্গীরচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফাহমিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে কামরাঙ্গীরচর মধ্য ইসলামনগর মজিবর ঘাট এলাকার ৭ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
‘স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক কলহের জেরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’
আলিফার বাবা নান্নু মিয়া বলেন, ‘পাঁচ মাস আগে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত।
‘কয়েক দিন আগে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে আমার বাসায় চলে আসে। পরে বুঝিয়ে তাকে আবার স্বামীর সঙ্গে পাঠিয়ে দেয়া হয়। গত রাতে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার একপর্যায়ে অভিমান করে আমার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’
আরও পড়ুন:নির্বাচনে অংশ নেয়া ছাড়া বিএনপির সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
শুক্রবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির সামনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন। সমাবেশের আয়োজন করে মহিলা আওয়ামী লীগ।
নির্বাচন ছাড়া বিএনপির সব পথ বন্ধ উল্লেখ করে নানক বলেন, ‘গত রমজান থেকেই বিএনপির প্রার্থীরা তাদের এলাকায় নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা আসলে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। এ ছাড়া তাদের কোনো পথ খোলা নেই। এখন হয়তো পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছেন।’
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বিএনপি অহেতুক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। বিএনপির কর্মকাণ্ড মানুষ ভুলে নাই। তাদের নেতা নাই। নেতৃত্বশূন্য দল বিএনপি। তাই এখন পানি ঘোলা করে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে। কোনো লাভ হবে না, বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে।’
মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে সমাবেশের সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম। এ সময় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকিসহ মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
দেশের এক হাজার মাদ্রাসা ও শতাধিক ইসলামি বক্তার বিভিন্ন তথ্য দিয়ে ‘ধর্ম ব্যবসায়ীদের’ দুর্নীতির তদন্তের আহ্বান জানানো গণকমিশনের আইনি ভিত্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুক্রবার দুপুরে লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের ২৭তম বার্ষিক সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘গণকমিশনের আইনি কোনো ভিত্তি নেই। তারা একটি বই প্রকাশ করেছে ২ হাজার দিন সন্ত্রাস নামে। বইয়ের ভেতরে কী লিখেছে, তা আমি জানি না। এগুলো আমাদের দেখতে হবে।
‘তারা কাদের নামে সন্ত্রাস ও দুর্নীতির দায় দিয়েছেন এগুলো আমরা কেউই কোনো তদন্ত করিনি। সুতরাং এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না। তারা দিয়েছেন। আমরা না দেখে বলতে পারব না। দেখে বলতে হবে।’
গণকমিশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে হেফাজত আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে। তারা আন্দোলনে নামলে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আইন কেউ হাতে নিলে আমাদের যা করণীয়, সেটাই করব। এটা স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছি।
‘আমরা একটি কথা জোর দিয়ে বলতে চাই, যে অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই, সে অভিযোগ আমরা আমলে নিই না।’
প্রেক্ষাপট
গত ১১ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লার কাছে শ্বেতপত্র ও সন্দেহভাজন শতাধিক ব্যক্তির তালিকা হস্তান্তর করে ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন’।
কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্যসচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল এ তালিকা হস্তান্তর করে।
গণকমিশনের তালিকায় সন্দেহভাজন হিসেবে ১১৬ জনের নাম রয়েছে। শ্বেতপত্র ও তালিকাটি একই সঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনেও দেয়া হয়েছে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং জাতীয় সংসদের আদিবাসী ও সংখ্যালঘুবিষয়ক ককাসের যৌথ উদ্যোগে গঠন করা হয় গণকমিশন।
এর আগে ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন’ শীর্ষক শ্বেতপত্রটির মোড়ক উন্মোচন করা হয় ১২ মার্চ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য