কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের পাঁচ দিন পর পদ্মা নদী থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তিন জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
ঘুরতে গিয়ে গত বুধবার নিখোঁজ হন বিধান হোসেন নামে ওই যুবক। তার বাড়ি সদরের জুগিয়া পালপাড়ায়। তিনি বালু ঘাটের শ্রমিক ছিলেন।
কুষ্টিয়ার ঈশ্বরদীর তালবাড়িয়ায় পদ্মা নদীর ঘাটের কাছে সোমবার বিকেল ৫টার দিকে বিধানের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন লক্ষীকুন্ডা নৌ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান।
তিনি জানান, নৌ পুলিশের সদস্যরা নদী থেকে বিধানের মরদেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
পরিবারের বরাতে কুষ্টিয়া মডেল থানার (ওসি) ছাব্বিরুল আলম বলেন, গত ১২ জানুয়ারি সকালে বিধান বাড়ির বাইরে থেকে ঘুরতে যায়। এরপর থেকে তার হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। বিধানকে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে তার বাবা কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
ওসি জানান, মরদেহের সঙ্গে রশি দিয়ে বালির বস্তা বাঁধা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমঘটিত কারণে তাকে হত্যা করা হতে পারে। প্রথমে ডুবে থাকলেও পরে ভেসে ওঠে মরদেহটি। এ ঘটনায় তিন জনকে সন্দেহ করে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
আরও পড়ুন:ঢাকার ধামরাইয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে একজন নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় দুই পক্ষের চারজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের গাঙ্গুটিয়া বাজার এলাকায় শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম ফরহাদ হোসেন। আর আটক হয়েছেন মো. জাকারিয়া।
ধামরাই থানার কাওয়ালীপাড়া বাজার তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ফয়েজ উদ্দিন এসব নিশ্চিত করেছেন।
তিনি স্থানীয়দের বরাতে জানান, গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের গাজিখালী নদীর মাটি খনন নিয়ে একই ইউনিয়নের অর্জুন নালাই এলাকার মো. জাকারিয়া ও কাওয়ালীপাড়া গ্রামের মতিয়ার রহমানের মধ্যে বিরোধ চলছিল অনেকদিন ধরে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মতিয়ার গাঙ্গুটিয়া বাজার এলাকায় গেলে খবর পেয়ে তাকে মারতে আসে জাকারিয়া ও তার লোকজন। দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে তখন লাঠিসোটা ও রড নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় রডের আঘাতে আহত হন ফরহাদ। তাকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গাঙ্গুটিয়া বাজারের পল্লী চিকিৎসক মনতোষ চন্দ্র সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুপক্ষের মারামারি থামাতে গিয়ে ফরহাদ মাঝে পড়ে যায়। এ সময় রডের আঘাতে গুরুতর আহত হয় সে।’
কাওয়ালীপাড়া বাজার তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই ফয়েজ জানান, ঘটনা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের সহকারী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসাইনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার (এসপি) মোমতাসিরুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার বিকেলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ মাহাবুবুর রহমান।
লিখিত অভিযোগে অধ্যক্ষ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার কলেজে প্রবেশ করে গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসাইনকে তুই শিবির করিস বলে কানে-মুখে চড়-থাপ্পড় মারেন। পরে তিনি শিক্ষকদের কমনরুমে গিয়ে নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যান।
অভিযোগে আরও বলা হয়, নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক সুব্রত, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিদ মণ্ডল, খাতা চুরি মামলার আসামি রকিবুল ইসলাম মিল্টন, কর্মচারী তাপস ও সবুজ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোশাররফকেও লাঞ্ছিত করেন। তারা কলেজের কিছু নথি হাতিয়ে নিয়ে মোশাররফকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন। এ সময় কলেজের কর্মচারী তাপস ও সবুজ তাকে টানাহেঁচড়া করেন।
অধ্যক্ষ মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘কলেজ থেকে সরকারি খাতা চুরির বিষয় নিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশে মামলা করা হয় আদালতে। মামলাটি বর্তমান সিআইডি তদন্ত করছে। মামলার সাক্ষী গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন।
‘এ কারণে তার ওপর ক্ষুব্ধ আসামিরা। তারাও ওই কলেজে চাকরি করেন। বহিরাগতদের ডেকে খাতা চুরি মামলার আসামি রকিবুল ইসলাম মিল্টনসহ অন্যরা তাকে চড়-থাপ্পড় মারেন।’
অধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘কলেজের কাজে সহকারী অধ্যাপক মোশাররফ হোসেনকে সাময়িক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়। নন-এমপিও ৬১ নম্বর সিরিয়ালের জুনিয়র প্রভাষক সব্রত কুমার নন্দী ও খাতা চুরির মামলার আসামি সাবেক উপাধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মণ্ডল চুরির ঘটনা ধামাচাপা দিতে বহিরাগত, কলেজের স্টাফ সবুজ ও পিয়ন তাপসের সহায়তায় ত্রাস সৃষ্টিসহ মোশাররফ হোসেনকে লাঞ্ছিত করে।’
অভিযোগকারী শিক্ষক সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ‘এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার এসে শিক্ষক রুমের সবাইকে বের করে দেন। এরপর আমাকে শিবির করিস বলে থাপ্পড় মারেন। গ্রুপিং করিস কেন বলেই পরপর পাঁচ-ছয়টি থাপ্পড় মারেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই এমপি মারধর করেন।’
তিনি জানান, এমপি মারধরের আগে কিছু বহিরাগত দুষ্কৃতি তুই শিবির করিস বলে চড়-থাপ্পড় মারে। এতে তিনি কানে গুরুতর আঘাত পান।
এখন তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে জানান।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘একটি ফাইল হাতিয়ে নিতে সুব্রত ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মণ্ডল আটকে রেখে অপমান-অপদস্ত, এমনকি মারধর করতে উদ্যত হন। এ ধরনের একটি সরকারি ডকুমেন্ট নিতে হলে কালীগঞ্জ ইউএনওর সম্মতি ছাড়া দিতে পারব না বলে তাদের সাফ জানিয়ে দিই।’
বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আটক অবস্থা থেকে তারা ছেড়ে দেন বলে জানান মোশাররফ।
এ ব্যাপারে জানতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, কলেজের বিষয়টি তাকে কেউ জানায়নি। এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
অধ্যক্ষ তাকে জানানোর পরও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি- এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি ফোন কেটে দেন।
মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় অধ্যক্ষের অভিযোগ বিষয়ে এসপি মোমতাসিরুল ইসলামের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নওগাঁয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে প্রশ্নফাঁস চক্রের সক্রিয় সদস্য ও পরীক্ষার্থীকে এক মাসের সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পরীক্ষা চলার সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহারুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা প্রদান করেন। এর আগে জাতীয় গোয়েন্দো সংস্থার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মামুনকে আটক করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত মামুন জেলার পোরশা উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
ঘটনার সময় উপস্থিত ব্যক্তিদের বরাতে জানা গেছে, নওগাঁ শহরের জনকল্যাণ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই কেন্দ্রের ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে মামুনকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, দুটি সিম ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহারুল ইসলাম বলেন, ‘আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রশ্নফাঁস চক্রের অন্য সদস্যদের সহযোগিতায় এসএমএসের মাধ্যমে সরবরাহ করা উত্তরপত্র দেখে পরীক্ষা দেয়ার জন্য হলে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করে। পরে তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি আইন ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, মামুনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া তাকে যারা উত্তরপত্র সরবরাহ করছিল তাদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন:প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র জালিয়াতি চক্রের ১৩ সদস্যকে আটক করেছে রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
এ সময় জব্দ করা হয়েছে প্রশ্নের ফটোকপি, টাকা, ২০টি মোবাইল ফোন, ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজবাড়ী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রাণবন্ধু চন্দ্র কৃঞ্চ বিশ্বাস।
আটক ব্যক্তিরা হলেন ইব্রাহীম হোসেন, সাগর আহম্মেদ, বিজয় বালা, নুরুল হক হাওলাদার, হারুন সরদার, রেজাউল করিম, আবু সালাম, মুনছুর মণ্ডল, রুবেল মাহমুদ, মিজানুর রহমান, রুমান হাসান, মাইনুল ইসলাম, ও ফরিদা বেগম।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন নারী পরীক্ষার্থী ও পাঁচজন প্রাথমিক শিক্ষকও রয়েছেন।
চক্রের হোতা মাঈনুল ইসলাম হাওলাদারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জালিয়াতির ঘটনা স্বীকার করেছেন।
পুলিশ জানায়, তিনি তার সোনালী ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করেছে বলে জানায়। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র কৃঞ্চ বিশ্বাস জানান, রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামানের নির্দেশনায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দুপুরে জেলা শহরের নতুন বাজার এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে মিজানুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে একটি মামলা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আম পাড়তে বাধা দেয়ায় জয়দেব সরকার নামে এক ব্যক্তিকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
হত্যার ঘটনায় দুজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে রূপগঞ্জ থানায়। উপজেলার বিরাবো এলাকায় শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় বলা হয়, গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার বটবাড়ি এলাকার জয়দেব সরকার তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুনীল মালাকারের বাড়িতে বাস করতেন।
শুক্রবার বিকেলে বিরাবো গ্রামের অটোরিকশাচালক মাহবুবের স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও তার ছেলে সিয়াম সুনীল সরকারের গাছের আম পাড়ার সময় জয়দেব সরকার তাদের বাধা দেন। এ সময় তাদের সঙ্গে জয়দেরবের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রোকেয়া ও সিয়াম বাড়ির কেয়ারটেকার জয়দেব সরকারের গলা চেপে ধরেন। তখন জয়দেব সরকার মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
জয়দেব সরকারের ডাকচিৎকারে তার স্ত্রী-কন্যাসহ আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তারা পালিয়ে যান। পরে জয়দেব সরকারকে উদ্ধার করে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
রূপগঞ্জ থানার ওসি এ এফ এম সায়েদ বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে আম পাড়তে বাধা দেয়ায় ওই বৃদ্ধকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জয়দেব সরকারের মেয়ে তৃষ্ণা রাণী সরকার রোকেয়া বেগম ও তার ছেলে সিয়ামকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।’
মানিকগঞ্জের শিবালয়ের যমুনা নদীতে গোসল করতে নেমে আহসান হাবিব নামের এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছেন।
শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে শিবালয়ের জাফরগঞ্জের নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজের এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ আহসান হাবিবের বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার ফুলবাড়ি কুনপাড়া গ্রামে। তিনি সাভারের আশুলিয়া এলাকার নাসা গার্মেন্টেসের জেনারেল ম্যানেজার (ওয়াশিং) পদে কর্মরত ছিলেন।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি তার খোঁজ করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, গোসল করার একপর্যায়ে নদীর শ্রোতে ভেসে ডুবে যান তিনি। এখনো তাকে খোঁজে পাওয়া যায়নি।’
বগুড়ায় ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়ে সরকারি মালিকানাধীন নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ৫০ বছর বয়সী ওই নেসকো কর্মীর নাম রবিউল ইসলাম শাহিন। তার বাড়ি জেলার গাবতলী উপজেলায়।
শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাহিন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে শহরের পুরান বগুড়া এলাকায় অবস্থিত নেসকোর বিতরণ বিভাগ-৩-এর কার্যালয়ে ওই ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
প্রায় ২৭ বছর ধরে বিদ্যুৎ বিভাগে কাজ করা শাহিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেসকোর বিতরণ বিভাগ-৩-এর সহকারী প্রকৌশলী জুলফিকার আলী।
তিনি জানান, রবিউল ইসলামের দায়িত্ব ছিল প্রতি ঘণ্টায় বিদ্যুতের বিভিন্ন ডাটা লিপিবদ্ধ (রিডিং) করা। বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে মিটারের রিডিং নেয়ার সময় রবিউলের পেছনে থাকা বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ইকুইপমেন্ট (সিটি ইকুইপমেন্ট) বিস্ফোরিত হলে দগ্ধ হন তিনি।
বিস্ফোরণের শব্দ শুনে অফিসের অন্যরা আহত শাহিনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাত আড়াইটার দিকেই ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানে ভর্তির পর শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে তিনি মারা যান।
জুলফিকার বলেন, ‘রবিউল ইসলামের মরদেহ এখনও ঢাকার বার্ন হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। সেখানে নেসকোর এক কর্মকর্তা রয়েছেন সার্বিক বিষয় দেখার জন্য। আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা শেষে তার মরদেহ বগুড়ায় নিয়ে আসা হবে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য