× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Thats why Ivy repeatedly
google_news print-icon

যে কারণে আইভী বারবার

যে-কারণে-আইভী-বারবার
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তিন বারের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। ফাইল ছবি/নিউজবাংলা
সেলিনা হায়াৎ আইভীকেই কেন বারবার বেছে নেয় নারায়ণগঞ্জবাসী? সেটা কী মেয়র হিসেবে তার পারফরম্যান্স, নাকি শামীম ওসমান বিরোধিতা?

উন্নয়ন, সাহসিকতা ও সততা—এই তিন গুণ দিয়ে নবনির্বাচিত মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী নারায়ণগঞ্জবাসীর মন জয়ের পাশাপাশি আস্থা অর্জনে সফল হয়েছেন বলে মনে করেন নগরের বিশিষ্টজনরা।

তারই ধারাবাহিকতায় এই হ্যাটট্রিক জয় এসেছে বলে মনে করেন তারা। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে আইভী ভোটযুদ্ধে পাস করলেও এই জয় নৌকার নয় বলে অভিমত তাদের।

রোববার অনুষ্ঠিত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট। সেই ভোটে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হাতি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারকে উড়িয়ে দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নেন আইভী। ব্যবধান ছিল ৬৬ হাজার ৯৩১ ভোট। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট না হলে এই ব্যবধান আরও বড় হতে পারত বলেও বিজয়ের পর নিজের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন মেয়র আইভী।

আইভীর পথটি অবশ্য মোটেও সহজ ছিল না। তার কারণ নারায়ণগঞ্জের ভোটের সমীকরণ। এখানকার হিসাব-নিকাশ দেশের আর ১০টি এলাকার চেয়ে ভিন্ন। এই জেলার রাজনীতিতে প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের সঙ্গে তার প্রকাশ্য বিরোধ মানুষের মুখে মুখে ফেরে। আর সেই বিরোধ হয়ে ওঠে নির্বাচনে মূল আলোচ্য বিষয়।

২০১৬ সালে সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহারের অনুমতি এলে আওয়ামী লীগ আস্থা রাখেন আইভীর ওপর। সেই নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেনকে ৭৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারান আইভী।

নারায়ণগঞ্জ পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনের মর্যাদা দেয়ার পর প্রথম নির্বাচন হয় ২০১১ সালে। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য হলেও দলের সমর্থন বঞ্চিত হন আইভী। কিন্তু তৎকালীন পৌর মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাঠে থাকেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত হেভিওয়েট প্রার্থী শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে। নির্বাচনের মাঠে পারিবারিক দ্বন্দ্ব হয়ে ওঠে প্রকাশ্য। নির্বাচনে কী হবে না হবে তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লাখো ভোটের ব্যবধানে শামীম ওসমানকে পরাস্ত করে নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন আইভী।

এমনকি তার আগে যে পৌরসভা ছিল, তারও নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। এখন পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজয়ের স্বাদ নিতে হয়নি আইভীকে। ওই সময়ের জেলা বিএনপির সহসভাপতি নূর ইসলামকে হারিয়ে পৌরসভার নেতৃত্ব নেন তিনি।

সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘সব কটি নির্বাচন ছিল চ্যালেঞ্জিং। এটিও তার চেয়ে কম নয়। একেকটার ধরন একেক রকম। আমি এত চ্যালেঞ্জের কথা বলতে চাই না। নির্বাচন মানেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা-প্রতিযোগিতা।’

কোন জাদুমন্ত্রে তিনি নারায়ণগঞ্জবাসীকে মুগ্ধ করে রেখেছেন, জয় নিশ্চিত হওয়ার পর প্রশ্নটি রাখা হয় সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে।

মৃদু হেসে নবনির্বাচিত এই মেয়র বলেন, ‘আমার যত কিছু হয়েছে বা অতীতেও যে বিজয় হয়েছে, সব কিছুর মূলে কিন্তু আমার জনশক্তি, জনস্রোত এবং জনসমর্থন। জনসমর্থন যদি না থাকত, তাহলে আমি নারায়ণগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতাম না।’

কেন এই জনসমর্থন তার ব্যাখ্যাও দাঁড় করিয়েছেন নৌকা প্রতীকের এই বিজয়ী।

আইভী বলেন, ‘এটা সত্যি যে, জনগণের যে আস্থা আমার প্রতি, তার কারণ মানুষকে কখনও মিথ্যে বলিনি, কখনও অযথা আশ্বাস দিইনি। আমি গতানুগতিকের বাইরে গিয়ে যে আপনাদের সঙ্গে মিশেছি, কাজ করেছি, যেটা পেরেছি সেটা করেছি, যেটা পারিনি সেটা বলিনি। সবচেয়ে বড় কথা হলো নিঃস্বার্থভাবে মানুষকে ভালোবেসেছি, মানুষ প্রতিবারই আমাকে প্রতিদান দিয়েছে।’

আইভীর এই সাফল্যকে উন্নয়ন, সাহসিকতা ও সততার মেলবন্ধন মনে করে নারায়ণগঞ্জে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল বলেন, ‘এটা খুব সহজ জিনিস। প্রথমত তার কাজ, এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিগত দিনে তিনি মানুষের কল্যাণে অনেক কাজ করেছেন। এটি উন্নয়ন বলি বা অন্য যেভাবেই সংজ্ঞায়িত করি। এটা নগরবাসীর কাছে মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

সাফল্যের দ্বিতীয় কারণ হিসেবে ধীমান সাহা বলছেন, সেলিনা হায়াৎ আইভীর সততার কথা।

তিনি বলেন, ‘এসব কাজের পেছনে তার সততা ছিল। একটা মানুষ শতভাগ সৎ হয় না। তিনি ৯৯ পার্সেন্ট সৎ ছিলেন। এটা নগরবাসী দেখেছে। তার কাজের মধ্যে স্বচ্ছতা ছিল, সততা ছিল। সততার পাশাপাশি জবাবদিহিও ছিল।

‘আমরা দেখেছি, মেয়র আইভীর পেছনে প্রতিপক্ষের অন্তত ১০০টা ক্যামেরা লাগানো ছিল। এখানে আমি আক্ষরিক ক্যামেরার কথা বলছি না, দৃষ্টিকে বুঝিয়েছি। এত কিছুর পরও তিনি তার কাজটি করে গেছেন। তাই সততা ও স্বচ্ছতার বিষয়ে আমার কিছু বলার আছে বলে মনে হয় না।’

আইভীর ‘সাহস’ তাকে অন্য একটি উচ্চতায় নিয়েছে বলেও মত তার।

ধীমান সাহা জুয়েল বলেন, ‘কোনো একটি কাজ করতে গিয়ে যদি একটা বিল্ডিং ভাঙতে হয় বা কারও একটু ক্ষতি হয়ে যায়, তারপরও দশজনের কল্যাণের জন্য কাজটা তিনি করেছেন। এই সাহসটা অন্য কোনো জনপ্রতিনিধির মধ্যে দেখা যায় না।’

নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী শামীম ওসমানের সঙ্গে বিরোধের প্রসঙ্গ টেনে ধীমান সাহা বলেন, ‘সাহস দুই ধরনের। একটি হচ্ছে কাজ করার সাহস। আরেকটি হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের একটি অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার যে সাহস। সৎ থেকে, কাজ করে, শুভ শক্তির সঙ্গে থেকে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা। অশুভ শক্তি প্রতিটা জেলায়ই আছে। প্রতিটা জেলায়ই একাধিক অশুভ শক্তি থাকে। পাশাপাশি শুভ শক্তিও থাকে। শুভ শক্তিদের যে সম্মিলন, অশুভ শক্তিকে পরাভূত করার যে সাহস, লড়াই করার যে সাহস, তা আইভীর মধ্যে আছে।’

আর তাই আইভী জনমানুষের হৃদয়ে আছে জানিয়ে ধীমান সাহা জুয়েল বলেন, ‘গতকাল এর প্রতিফলন আমরা দেখেছি, মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে।’

নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল করিম দীপু মনে করেন উন্নয়ন, সন্ত্রাস বিরোধিতা আর তরুণদের কাছে টানতে পারার ক্ষমতার দিক বিবেচনায় নিলে, অন্য যে কোনো প্রার্থীর চেয়ে এগিয়ে সেলিনা হায়াৎ আইভী।

তিনি বলেন, ‘এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এখানে মানুষ উন্নয়ন চায়। এখানে উন্নয়নের জয় হয়েছে। উনি দৃশ্যমান উন্নয়ন অনেক করেছেন, আমরা দেখেছি।’

দীপু বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের বাস্তবতায় সন্ত্রাসবিরোধী যে অবস্থান, সেটা একটা ব্যাপার। তিনি একজন ভিশনারি মেয়র। ছোট করে হলেও ভবিষ্যতে কী কী করবেন তার ঘোষণা দিয়েছেন। তার মধ্যে ছিল সবুজবান্ধব নগরী গড়া, যেটাকে আমরা বলছি গ্রিন কনসেপ্ট।’

গ্রিন কনসেপ্টই তরুণদের কাছে টানার কৌশল বলে মনে করেন এই বিশ্লেষক। তিনি বলেন, ‘আমরা যারা বয়স্ক ভোটার, তারা এতটা বুঝি না। আমরা হয়তো গ্রিন কনসেপ্ট মানে গাছ লাগানো বুঝি। কিন্তু যারা তরুণ ভোটার, তাদের জন্য বিষয়টা জরুরি। তারা এই বিষয়গুলো আমলে নিয়েছে বলে আমি মনে করি।’

আইভীর পারিবারিক পরিচয়কেও বড় করে দেখছেন দীপু। তিনি বলেন, ‘তার পরিবারের ভক্ত যারা আছেন, তারা সংখ্যায় বিশাল, যারা ওনার বাইরে যাবে না।’

বন্দরকে মূল শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করতে শীতলক্ষ্যা নদীতে সেতু তৈরি নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রাণের দাবি। অন্তত নির্বাচনের মাঠে মানুষের সঙ্গে কথা বলে তার গুরুত্ব বোঝা গেছে।

জাহিদুল করিম দীপু বলেন, ‘আমাদের ছোটবেলা থেকে একটা দাবি ছিল কদম রসুল ব্রিজ। তিনি এর ব্যাপারে বলেছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে ব্রিজটির কাজের উদ্বোধন হবে বলে আশা করছেন।’

এ ছাড়া সামাজিক বাস্তবতায় নারীদের অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।

তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তার পাস করাকে নৌকার বিজয় বলতে নারাজ তিনি। বলেন, ‘সাংস্কৃতিক জোট একটা লিফলেট করেছে, যেখানে কোনো মার্কা নেই। বর্তমান যে অবস্থা, সেখানে বিভিন্ন কারণে মানুষের নৌকা প্রতীকের প্রতি অনীহা আছে। কিন্তু আইভী এর ঊর্ধ্বে। লিফলেটেও বলা হয়েছে, আইভীকে সর্বস্তরের মানুষ ভোট দিবে এবং সেভাবেই আইভীর জয় হবে।’

নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি বলেন, ‘মানুষ আইভীকে ভোট দিয়েছে দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে তার সাহসিকতা ও গত ১০ বছরে যে দৃশ্যমান উন্নয়ন করেছেন সে জন্য।’

সব গুণ বাদ রেখে সেলিনা হায়াৎ আইভীর নারায়ণগঞ্জবাসীর উন্নয়নে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করাকে এগিয়ে রাখলেন নারায়ণগঞ্জ মহিলা পরিষদের সভাপতি লক্ষ্মী চক্রবর্তী।

তিনি বলেন, ‘যেটা দৃশ্যমান দেখি, যেটা অনুভব করি, সেটা হলো কাজ। নিজের কর্মক্ষেত্র দিয়েই তো মানুষের পরিচয়। কাজই তাকে আর সবার চেয়ে এগিয়ে রেখেছে। সিটি করপোরেশন বলি, ইউনিয়ন পরিষদ সবখানেই তো পাবলিক ফাংশন। মানুষ আসলে কাজ দিয়েই মূল্যায়ন করে।’

আরও পড়ুন:
টানা জয়েও ভোটে ভাটা আইভীর
তৈমূর কি এখন ট্রাইব্যুনালে যাবেন?
তৈমূরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী
আইভীকে মিষ্টিমুখ করালেন তৈমূর
‘নারায়ণগঞ্জে উন্নয়নবিমুখ রাজনীতির চরম ভরাডুবি’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
BNP does not support the electoral college in the presidential election

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকট্রোরাল কলেজব্যবস্থা সমর্থন করে না বিএনপি

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকট্রোরাল কলেজব্যবস্থা সমর্থন করে না বিএনপি

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রস্তাবিত ইলেকট্রোরাল কলেজব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার হরণে এই ব্যবস্থাকে আরেকটি ছলচাতুরী হিসেবে দেখা হচ্ছে।’

গতকাল বুধবার বিকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য কমিশনের যে প্রস্তাব তাতে একটা ইলেক্টোরাল কলেজ করা হবে। এবং প্রায় ওনাদের ভাষ্য অনুযায়ী ৭০ হাজারের মতো ভোটার থাকবে। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার পর্যায়ের প্রতিনিধিগণ এখানে ভোটার হবেন। এবং রাষ্ট্রপতিকে সৎ, দক্ষ ও অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য ওখানে প্রস্তাব করা হয়েছে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রস্তাবে আগের মতোই একমত নয় বিএনপি।

এই কাউন্সিলের জবাবদিহি না থাকায় সমর্থন করে না বিএনপি। এই কাউন্সিলে আরেকটি ভারসাম্যহীন অবস্থা তৈরি হবে বলে মনে করি আমরা।’

স্বাধীন বিচারব্যবস্থার দাবি জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘স্বাধীন বিচারব্যবস্থা হলে ভারসাম্যহীনতা দূর হবে, ফ্যাসিবাদ দমন করবে। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য, অন্য সাংবিধানিক পদ, সংস্থা স্বাধীন করতে পারলে সমস্যা থাকবে না।’

বিএনপি মনে করে সুশাসন নিশ্চিত করতে ন্যায়পাল করা যেতে পারে। বিদ্যমান ব্যবস্থা বজায় রেখে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ হলে তাদের যোগ করা যেতে পারে, বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আইন সংশোধন করা যেতে পারে। জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। বিএনপি মনে করে, দুদক ও মানবাধিকার কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করতে বিদ্যমান আইনগুলো সংস্কারের প্রয়োজন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The common man is in danger of 6 months off the supply of drugs

ওষুধ সরবরাহ বন্ধ ৮ মাস বিপাকে সাধারণ মানুষ

ওষুধ সরবরাহ বন্ধ ৮ মাস বিপাকে সাধারণ মানুষ

সরকারিভাবে ওষুধ সরবরাহ না থাকায় ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। প্রায় সাত-আট মাস কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় এতে তৃণমুলে বসবাসকারী অবহেলিত মানুষগুলো স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে। এমনটিই আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।

জানা গেছে, নড়াইল জেলার তিনটি উপজেলা ও একটি প্রশাসনিক থানা এলাকায় ৪০টি ইউনিয়ন পরিবারকেন্দ্র এবং মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সিভিল সার্জন কর্তৃক সাতটি স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র পরিচালিত হয় । বাকিগুলো পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ অধিদপ্তর থেকে পরিচালিত হয়ে থাকে।

সিভিল সার্জন কর্তৃক পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সদর উপজেলায় তিনটি, লোহাগড়া উপজেলায় তিনটি এবং কালিয়া উপজেলায় একটি। এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসাসেবার ওপর গ্রামাঞ্চলের নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষগুলো সুস্থ ও সবলভাবে বেচে থাকার জন্য অনেকটিই নির্ভর করে। এসব কেন্দ্রগুলোতে সরকারি ওষুধ সরবরাহ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ । কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সংকটের কথা স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ।

গত মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার জেলার কয়েকটি স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, চিকিৎসাসেবা নিতে আসা গ্রামের অনেক মহিলা চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসাপত্র নিয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। তাদের মুখখানা ছিল মলিন । আবার অনেক কেন্দ্র ছিল ফাকা। দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার একটি কক্ষে বসে গল্পে মেতে আছেন বন্ধুদের সঙ্গে। গত মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. মো.আলাউদ্দীন কেন্দ্রের একটি কক্ষে চুপচাপ বসে আছেন । জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে আমাদের এখানে ২৫ রকমের ওষুধ বরাদ্দ ছিল। তখন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে শিশু-নারী ও পুরুষ স্বাস্থ্যসেবা নিতে জড়ো হতেন। গত সাত-আট মাস হলো কোনো ওষুধ সরবরাহ নেই । ফলে কেন্দ্রে রোগীদের তেমন ভিড়ও নেই। শুধু পরিবার পরিকল্পনা কিছু সামগ্রী আছে তাই দিয়ে সেবা চলছে। তিনি বলেন, এখানে যেসব রোগী আসে তার বেশিরভাগ হচ্ছে শিশু ও নারী। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আগে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ জন রোগীকে সেবা দিয়েছি। বর্তমানে ১৫ থেকে ২০ জনের বেশি হয় না।

ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ হলে তৃণমুলে সাধারণ মানুষ বিপদে এবং স্বাস্থ্যসেবা ঝুঁকিতে পড়বে বলে মনে করেন নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো.রবিউল ইসলাম।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সরকারের দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে। না হলে গ্রামের কৃষক শ্রেণির মানুষের জীবনের ছন্দ পতন ঘটবে। গতকাল বুধবার দুপুরে লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কুমড়ি গ্রাম থেকে ছোট শিশুকে কোলে নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিতে এসেছেন সালমা আক্তার । তার কোলের শিশুর সর্দি-কাশি দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আগে এহেনে ডাক্তার দেহালি ওষুধ দেতো। এহোনে দেচ্ছে না । কাগজে লেহে দিলি আমাগে বাজারের দুয়ানতে কিনে নিতি হচ্ছে। আমরা গরিব মানুষ। অত টায়া পয়সা নাই আমাগে। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকাররে কচ্ছি আগের মতো আমাগে মাগনা (বিনা টাকায়) ওষুধ দিতি হবে।’

কালিয়া উপজেলার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের মুলশ্রী গ্রামের দীপ্তি রানী মণ্ডল বুকে ব্যথা অনুভব করলে নিজের ওষুধ নিতে এসেছেন ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে। তিনি বলেন, ‘এহেনের ডাক্তার সাদা কাগজে কী যেন লেহে দেলো। আর কলো এই কাগজ নিয়ে বাজারের দুয়ানেরতে অসুদ কিনতি হবে । কিরাম কতা হলো কওদিন বাপু । আমাগে যদি দুয়ানেরতে অসুদ কিনতি হবে তালি তুমরা এহানে বসে রইছো ক্যান ? আগেতো এমন কতা শুনিনি।’

জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক আলিফ নূর বলেন, ‘পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে প্রায় সাত থেকে আট মাস। যে কারণে সমাজের তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তিনি দাবি করেন, ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো বন্ধের মধ্যেও খোলা ছিল । ওষুধ না পেলেও চিকিৎসাসেবা বন্ধ ছিল না । যারা গর্ভবতী মা তারা চেকআপের জন্য কেন্দ্রে আসছেন । তাদের প্রয়োজনীয় সেবাও দেওয়া হচ্ছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ওষুধ সরবরাহের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত সংকট মোচন হবে ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former Coxs Bazar 1 constituency MP Zafar Alam on seven days remand in seven cases

সাত মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ডে কক্সবাজার -১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম

সাত মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ডে কক্সবাজার -১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম

কক্সবাজারের আলোচিত সাবেক এমপি জাফর আলম কে আদালতে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখাতে চকরিয়া উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হয়েছে আজ।

জাফর আলম সর্বশেষ কক্সবাজার-১ আসনের এমপি এবং চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন।

বুধবার সকাল ৯টার পর পরই জেলা পুলিশের একটু প্রিজন ভ্যানে করে যৌথ বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় তাকে আদালতে আনা হয়।

তাকে আজ আদালতে তোলার খবরে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালত চত্বর ও আশপাশের অন্তত অর্ধ কিলোমিটার এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয় যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে।

আদালত সূত্র জানায়- বিগত ৫ আগষ্ট পরবর্তী চকরিয়া ও পেকুয়া থানায় দায়ের করা একাধিক হত্যাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তাকে শ্যােন অ্যারেস্ট দেখানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। সেসব মামলার শুনানি করা হয় আজ। এ সময় আদালতের বিচারক মো. আনোয়ারুল কবির শুনানী শেষে ৭ মামলায় সর্বমোট ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তন্মধ্যে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব মামলায় সর্বোচ্চ চারদিন ও সর্বনিম্ন ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলাগুলোর মধ্যে চকরিয়া থানার ৫টি ও পেকুয়া থানার ২টি মামলা রয়েছে।

আরও জানান- আদালতের শুনানী চলাকালে জাফর আলমের পক্ষে শুনানী করেন অসংখ্য আইনজীবী। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে তথা জাফর আলমের বিপক্ষে শুনানীতে অংশ নেন আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট মো. মঈন উদ্দিন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন এপিপি মঈন উদ্দিন-ই।

আদালতের শুনানী শেষে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীরা জাফর আলমের মুক্তির দাবিতে সাড়ে দশটার দিকে একটি ঝটিকা মিছিল বের করেন।

এর আধাঘন্টা পর উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা জাফর আলমের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে পাল্টা মিছিল করে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে গিয়ে শেষ করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Gosipur Jalsuka road work has not been completed in 6 months 

গোসাইপুর-জালশুকা সড়কের কাজ ১১ মাসেও শেষ হয়নি! 

গোসাইপুর-জালশুকা সড়কের কাজ ১১ মাসেও শেষ হয়নি! 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার গোসাইপুর-জালশুকা সড়কের নির্মাণ কাজ ১১ মাসেও শেষ হয়নি। অথচ ঠিকাদারের শর্ত অনুসারে এ কাজ নয় মাসে শেষ করার কথা। অভিযোগ রয়েছে- ঠিকাদার লোকমান হোসেন এ সড়কের বক্সকাটিং করে ১১ মাস ধরে ফেলে রেখেছেন। তার স্বেচ্ছাচারিতা ও গাফিলতে এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। উল্লেখ্য তিতাস নদীর উত্তর পাড়ে বড়াইল ইউনিয়নের একটি গ্রাম গোসাইপুর। গ্রামের পশ্চিম অংশে বাজার। বাজারের পূর্ব দিকে দিয়ে চলে গেছে গোসাইপুর-জালশুকা সড়কটি। এ বাজারের যাতায়াতের জন্য রাধানগর, চরগোসাইপুর, জালশুকা, বড়াইল, মেরাতুলী গ্রামের মানুষেরাও সড়কটি ব্যবহার করে।

গোসাইপুর বাজারের মুদি মালের ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেন বলেন-"আমার গ্রামের বাড়ি জালশুকা । প্রতিদিন এ সড়কে বাজারে আসি। সড়কটি বর্ষাকালে বৃষ্টি হলেই পানি ও কাঁদা মিলে চলাচলে অযোগ্য হয়ে যায়"। বড়াইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বাসার বলেন-"পূর্ব অঞ্চলের জনগণের জন্য এই রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গোসাইপুর বাজার ও রাধানগর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজে আসা-যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। সড়কটির কাজ শেষ না হওয়ার কারণে জনগণের যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে"। গোসাইপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার ডা. হুমায়ুন কবীর বলেন-"সড়কটি দীর্ঘদিন ধরেই অবহেলিত চলাচলে ভোগান্তির শেষ নেই। নির্মাণ কাজ করতে এসে ঠিকাদার আর কাজ করছেন না। এখন বর্ষার বৃষ্টির কারনে মোড়ে মোড়ে রাস্তা ভেঙে মাটি পড়ে যাচ্ছে। যাত্রীরা পা পিছলে পড়ে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না শিক্ষার্থীরাও"। কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন- "সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে আমি কয়েকবার তাগিদ দিয়েছি"। এ বিষয়ে ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব হোসেন বলেন-"এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে"। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী বলেন-"এই সড়কের কাজ বন্ধ থাকার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি দ্রুত সময়ে কাজ শুরু করার জন্য ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করব"।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The bridge is not working in the mustard house

সরিষাবাড়ীতে কাজে আসছে না অর্ধকোটি টাকায় নির্মিত ব্রিজ

ভোগান্তিতে ৭ গ্রামের মানুষ
সরিষাবাড়ীতে কাজে আসছে না অর্ধকোটি টাকায় নির্মিত ব্রিজ

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সংযোগ সড়ক ও রাস্তা না থাকায় কাজে আসছে না প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজ। ফলে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হয় ৫ গ্রামের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষের। এমন ব্রিজের দেখা মিলেছে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর আদ্রা গ্রামের ফসলের মাঠে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের এই ব্রিজটি। ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও এখন পর্যন্ত জনসাধারণের চলাচলের জন্য নির্মিত হয়নি সড়ক। ফলে কোনো কাজেই আসছে না সাতপোয়া ইউনিয়নের, চর রৌহা, আকন্দপাড়া, মাজারিয়া ও খামার মাগুরাসহ পার্শ্ববর্তী মাদারগঞ্জ উপজেলার আরও ২টি গ্রামের জনসাধারণসহ হাজারও মানুষের।

সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রতিদিন এসব এলাকার ফসলের মাঠের আল দিয়ে দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করছেন স্থানীয়রা। ব্রিজটি নির্মাণের দীর্ঘদিন পার হলেও এটি এখনো জনগণের চলাচলের জন্য ব্যবহারযোগ্য হয়ে ওঠেনি। ব্রিজের দুই পাশে কাঁদা ও অসমতল জমির কারণে শিশু, বৃদ্ধ এমনকি সাধারণ পথচারীদেরও চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এছাড়া কৃষকদের আবাদি ফসল আনা-নেওয়া বা শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতেও হয়েছে চরম দুর্ভোগ।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হাসানুর কবীর স্বপন, মাসুদ রানা, চান মিয়া, ছমিরন বেওয়া বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের খবরে আমরা এলাকাবাসীরা খুবই খুশি হয়েছিলাম। ভেবে ছিলাম আমাদের কয়েক গ্রামের দীর্ঘদিনের চলাচলের দুর্ভোগ লাঘব হবে। কিন্তু ব্রিজটি নির্মাণের এতদিন পার হলেও সড়ক না থাকায় এটি আমাদের কোনো কাজে আসছে না। আমরা দাবি জানাই অতি দ্রুত আমাদের চলাচলের সুবিধার্থে ব্রিজটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী শওকত জামিল বলেন, ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যেই ব্রিজটি ও সড়কের কথা জানতে পেরেছি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। ওই এলাকার মানুষদের চলাচলের দুর্ভোগ লাঘবে মাটি কেটে রাস্তা উঁচু করে ব্রিজের সঙ্গে সংযোগ রাস্তা নির্মাণ করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The unemployed people are lost in employment
কর্মসংস্থান হারিয়ে বেকার সংশ্লিষ্টরা

হারিয়ে যাচ্ছে বর-কনের বাহন পালকি

হারিয়ে যাচ্ছে বর-কনের বাহন পালকি গ্রামবাংলার ঐতিহ্য পালকি। ছবি: নিউজবাংলা

পালকি ছিল এক সময় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য, বর-কনের বাহন। এটা ছাড়া বিয়ের কথা ভাবাই যেত না। সারা দেশের মতো রূপগঞ্জেও একই অবস্থা ছিল। কালের বির্বতনে চিরায়ত গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের ধারক পালকি রূপগঞ্জে আজ আর চোখে পড়ে না। পালকি এখন মিউজিয়াম পিস হয়ে কালের সাক্ষী হয়ে আছে জাদুঘরে। বেহারাদের সুর করে সেই গ্রাম ঘুরে মাঠ-ঘাট-প্রান্তর পেরিয়ে গন্তব্যের কাছে দূর থেকে সেই ছয় বেহারাদের আর দেখা যাচ্ছে না। তাদের ছন্দিত লয়ে হাঁটার সঙ্গে সঙ্গে এ গাঁ থেকে ওগাঁয়ে নাইয়র, বিয়ের কনে বর কিংবা মান্যগন্য ব্যক্তিদের নিয়ে যাওয়ার এ চক্রবিহীন যান সম্ভবত তার অন্তিম যাত্রা করেছে। ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ভাষায়, রবীন্দ্রনাথের কবিতায়, হেমন্তের গানে কিংবা ভুপেন হাজারিকার মাদল তালে চলা পালকি এখন ঐতিহ্যের খাতায় নাম লিখিয়েছে।

সেই ন্যাংটা পুঁটো ছেলেটা আর বলে না পালকি চলে পালকি চলে.....আদুল গাঁয়ে যাচ্ছে কারা হনহনিয়ে। রবি ঠাকুরের ‘বীর পুরুষ’ কবিতার খোকা তার মাকে পালকিতে নিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতদের সাথে লড়ে যখন ওরা আসে তেড়ে ‘হারে রে রে’ বলে। সেই ভীষণ যুদ্ধের বর্ণনাও দিতে পারে না মাকে। মাও বলতে পারে না, ভাগ্যেস খোকা ছিল তার সঙ্গে। দাদা তার সদ্য বিয়ে হওয়া দিদিকে আর বলে না, আর কটাঁ দিন থাক না দিদি, কেঁদে কেটে কঁকিয়ে, দুদিন বাদে তো নিয়েই যাবে পালকি করে সাজিয়ে। ‘মৈমনসিং গীতিকার’ দেওয়ানা মদিনা ও ছুটবে না পালকিতে আবের পাংখা নিয়ে আর পালকি বহরের সেই পরিচিত দৃশ্য এখন আর দেখা যায় না।

আধুনিক যোগাযোগের গোগ্রাসে পালকি হারিয়ে যাচ্ছে বিস্মৃতির অতল তলে প্রাচীন বাংলার এ বাহনটি। এক সময় গ্রাম-বাংলার হাটবাজারে পালকি সাজিয়ে রাখা হত। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার আগেই পালকিওয়ালাদের কাছে ছুটে যেতেন বরের লোকজন। পালকি কাঠ দিয়ে তৈরি করা হতো। ছয়জন মিলে পালকি বহন করতো। সামনে পেছনে দুজন ও মাঝখানে দুজন করে পালকি কাঁদে নিত। প্রথমে বরকে পালকিতে করে তার নিজ বাড়ি থেকে কনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হতো। বিয়ের কার্যক্রম সম্পূর্ণ হওয়ার পর বর-কনেকে এক সঙ্গে আবার বরের বাড়িতে নিয়ে আসতো।

আসলে পালকি নামটির উৎপত্তি ফারসি ও সংস্কৃত উভয় ইন্দো ভারতীয় ভাষা থেকে আর সেই সঙ্গে ফরাসি থেকেও। পল্লীকবি জসিম উদ্দিন তাঁর স্মৃতি কথায় এ গাঁ থেকে ওগাঁয়ে যাওয়া বেহারাদের পালকি নিয়ে চলার যে বিবরণ দিয়েছেন তা আমাদের আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। বিলুপ্ত এ পালকি এখন বিভিন্ন জাদুঘরে শোভা পাচ্ছে। বিয়ে বাড়িতে নব বর-বধুদের আনা নেয়ায় পালকি ব্যবহার করা হতো। চক্রযানের বিপ্লবে পালকির জায়গা দখল করে নিয়েছে আধুনিকতার এ যুগে প্রাইভেটকার, নোহা, বাস ও মাইক্রোবাস। হালের লাঙ্গল যেমন গ্রামেও অচল তেমনি ধনী গরিব নির্বিশেষে সকলের নানা অনুষ্ঠানে ব্যবহার করছে আধুনিক যান্ত্রিক যানবাহন। এসব যানের রমরমা ব্যবসাও এ কারণেই জমে ওঠেছে।

আধুনিকতার ছোঁয়ায় ইদানিং বর-কনের বাহনে যোগ হয়েছে হেলিকপ্টারও। রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া এলাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে বর যাত্রা গিয়েছেন সফিক মিয়া। হেলিকপ্টারে বর-কনে বহনের ঘটনা তখন পুরো এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ছড়ায় বলা হতো বউ সাজবে কালকি, চড়বে সোনার পালকি! সোনার বরনী কন্যা এখন আর পালকিবদ্ধ পরিবেশে যাবে না, উঠবে আসল বা নকল ফুলের সাজানো এয়ারকন্ডিশন গাড়িতে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bus in Pabna Truck driver killed in a collision with truck

পাবনায় বাস- ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকচালক নিহত

পাবনায় বাস- ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকচালক নিহত

মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভোর সাড়ে চারটার দিকে পাবনা বাইপাস মহাসড়কের ইয়াকুব ফিলিং স্টেশন এর সামনে দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ট্রাকচালক সেলিম হোসেন (৩৮) মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের মৃত আব্দুল গনির ছেলে।

আহতরা হলেন- বাসের হেলপার তারেক (৩৫) ট্রাকের হেল্পার আলামিন (৩৫)। তাদের রাজশাহী মেডিকেল। কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ট্রাকচালক সেলিম সুনামগঞ্জ থেকে পাথর ভর্তি করে মাওয়া যাচ্ছিলেন।অপরদিক পাবনা এক্সপ্রেস বাসটি ঢাকা থেকে পাবনা বাস টার্মিনালে যাত্রী নামিয়ে হেলপার আলামিন গাড়ি গ্যারেজ করার জন্য দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে ইয়াকুব ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছালে ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তাৎক্ষিনক ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম আহত তিনজনকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ট্রাক চালক সেলিম কে মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে আহত ট্রাকের হেলপার ও বাসের হেলপারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্থানান্তর করা হয়।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

p
উপরে