স্বেচ্ছায় আন-অফিশিয়ালি আজীবন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করে যাবেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলার।
সোমবার এক বিদায়ী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতি এই ভালোবাসার কথা জানান রাষ্ট্রদূত মিলার। আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিদায়ী অনুষ্ঠানে মিলার সম্ভব হলে আবারও রাষ্ট্রদূত হয়ে বাংলাদেশে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি এটাও জানান, সরকারি চাকরি থেকে অবসরে চলে যাওয়ায় তা আর সম্ভব নয়।
তবে দ্বিতীয় বার এ দেশের রাষ্ট্রদূত হওয়ার সুযোগ না থাকলেও আন-অফিশিয়ালি (অলিখিতভাবে) এ দেশের রাষ্ট্রদূত হয়ে সারা জীবন কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত হিসেবে বাংলাদেশে তিন বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন শেষে এ মাসেই ঢাকা ছাড়ছেন আর্ল মিলার। ইতিমধ্যে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে শুরু করেছেন তিনি। ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর ঢাকায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিষয়ক কূটনীতিক পিটার হার্স। তিনি ঢাকায় আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মিলার বলেন, ‘আমার চাকরি জীবনের এই শেষ অ্যাসাইনমেন্টটি ছিল সম্মানের। গত তিন বছর ধরে এ দেশে কাজ করতে পারা আমার জন্য অনেক সম্মানের। দারুণ স্মৃতি নিয়ে দেশে ফিরছি।
'আমি এবং আমার পরিবারের প্রতি এ দেশের মানুষের ভালোবাসায় আমি সম্মানিত, কৃতজ্ঞ।’
ঢাকার প্রতি তার পরিবারের ভালোবাসার কথা জানিয়ে মিলার বলেন, 'দুই মাস আগে ঢাকায় আসা তার ছেলে আলেকজান্ডার এন্ড্রো ঢাকা ছাড়ছে না। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে (ডব্লিউএফপি) সে কাজ নিয়েছে। আরও এক বছর ঢাকায় থাকবে সে।
অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহম্মেদ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। সংগঠনের সাবেক সভাপতি আফতাব-উল-ইসলাম বলেন, আর্ল মিলারের দায়িত্বকালে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত হয়েছে। বাণিজ্যসংক্রান্ত বিভিন্ন বিরোধ নিষ্পত্তি করেছেন তিনি। সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানেও ভূমিকা রাখতে নতুন রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। অবশ্য এ বিষয়ে বক্তব্যে কোনো কথা বলেননি আর্ল মিলার।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অ্যামচেমের সাবেক দুই সভাপতি নুরুল ইসলাম এবং ফরেস্ট কুকসন বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাজ্যের রয়েল কলেজ অফ ডিফেন্স স্টাডিজের (আরসিডিএস) প্রতিনিধি দল সোমবার সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে বাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।
সাক্ষাতের সময় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন আরসিডিএসের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট এয়ার ভাইস মার্শাল গ্যারি টুনিক্লিফ সিভিও।
সাক্ষাৎকারের সময় কুশলাদি বিনিময়ের পর সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশে সফরের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান এবং সামরিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
সোমবার সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী প্রধানের আমন্ত্রণে প্রতিনিধি দলটি ঢাকা সেনানিবাসে নৈশভোজে অংশ নেয়।
নৈশভোজে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাজ্যের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেলসহ ব্রিটিশ হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ ফরেন সার্ভিস একাডেমি, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) এবং ব্রাকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
২০ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি ১৪ মে ঢাকায় আসেন। আগামী ২১ মে ভারতের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
আরও পড়ুন:নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থে কেনা বিলাসবহুল ১০টি গাড়ি বিক্রি করে সেই টাকা প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ তহবিলে জমা করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব ড. মো. ফরহাদ হোসেনের সই করা এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
আদেশে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ধারা ৪৪ (১) অনুযায়ী প্রত্যক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সাধারণ তহবিল থাকবে এবং ৪৪ (৭) ধারা অনুযায়ী সাধারণ তহবিলের অর্থ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় ব্যয় ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যয় করা যাবে না।
নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা উন্নয়ন খাতে প্রয়োজনীয় ব্যয় না করে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ১২টি গাড়ি কেনে। এর মধ্যে ১০টি বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
অফিস আদেশে আরও বলা হয়, উল্লিখিত ১০টি বিলাসবহুল গাড়ি খোলা দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রি করে বিক্রয়লব্ধ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা উন্নয়নে ব্যয়ের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের সাধারণ তহবিলে জমা করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে জরুরি ভিত্তিতে জানানোর অনুরোধ করা হলো।
যে ১০টি গাড়ি বিক্রি করতে হবে
যানবাহনের ধরন ও মডেল হলো- হার্ড জিপ (টয়োটা প্রাডো টি এক্স), মডেল-২০১৫; হার্ড জিপ (রেঞ্জ রোভার ভোগ পি ৪০০ ), মডেল-২০১৯; হার্ড জিপ (রেঞ্জ রোভার ভোগ পি ৪০০ ই), মডেল-২০১৯; হার্ড জিপ (রেঞ্জ রোভার অটোবায়োগ্রাফি), মডেল-২০১৯; হার্ড জিপ (রেঞ্জ রোভার ভোগ পি ৪০০), মডেল-২০১৯; হার্ড জিপ (রেঞ্জ রোভার অটোবায়োগ্রাফি), মডেল-২০১৯, হার্ড জিপ (রেঞ্জ রোভার অটোবায়োগ্রাফি), মডেল-২০১৯; হার্ড জিপ (রেঞ্জ রোভার ভোগ পি ৪০০ ই), মডেল-২০১৯; কার (স্যালুন) মার্সিডিজ বেঞ্জ, মডেল-২০১৯ এবং হার্ড জিপ (রেঞ্জ রোভার ভোগ পি ৪০০ ই), মডেল-২০১৯।
আরও পড়ুন:রাজধানীর উত্তরা পূর্ব জসিম উদ্দিন রোড এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় স্কুটারচালক নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ লোকমান হোসেন শরীফ। তার বয়স ৪৫ বছর।
তার বাড়ি চাঁদপুর সদর জেলায়। বর্তমানে উত্তরখান মাদারবাড়ি এলাকার বাসায় ভাড়া থাকতেন। তার তিনজন মেয়ে রয়েছে।
নিহতের ভাগিনা মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমার মামা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। সকালে উত্তরা জসিমউদ্দিন রোড এলাকা দিয়ে স্কুটারে যাওয়ার সময় স্টার লাইনের বাস পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে আমার মামা গুরুতর আহত হন। তাকে উত্তরা জাহানারা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে উত্তরা জাহানারা হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর মিরপুর-২ এলাকার মিরপুর শপিং কমপ্লেক্সের সাতটি দোকান থেকে অনুমোদনবিহীন ২১৩টি মোবাইলসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড ইন্সপেকশন টিম ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাবের যৌথ অভিযানে এসব জব্দ করা হয়।
অভিযানে মোবাইল ল্যাব থেকে ৩৪টি, মোবাইল অ্যান্ড গেজেট থেকে ৩১টি, টেক ফ্যাক্টরি থেকে ৯টি, গ্যাজেট ভিলা-৬৩৯ থেকে ৩৩টি, গ্যাজেট ভিলা-৬৬২ থেকে ৩১টি, গ্যাজেট ভিলা-৬৭১ থেকে ৩৩টি এবং কোরাস থেকে ৪২টি বিভিন্ন মডেলের হ্যান্ডসেট জব্দ করা হয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বিটিআরসি জানায়, আটক ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদনবিহীন মোবাইলের ব্যবসা করে আসছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১, (সংশোধিত-২০১০) অনুযায়ী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নির্মূলে মঙ্গলবার থেকে ১০ দিনের বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
সকালে গুলশানে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ পার্কসংলগ্ন এলাকায় ১০ দিনব্যাপী বিশেষ মশা নিধন অভিযান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সেলিম রেজা বলেন, ‘মেয়রের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে যেকোনো ভবনে, নির্মাণাধীন বাড়িতে, সরকারি-বেসরকারি বা আধাসরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠানে এমনকি সিটি করপোরেশনের কোনো অফিসে মশার লার্ভা পাওয়া গেলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। লার্ভা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এরই মধ্যে উত্তর ঢাকায় এডিসের হটস্পট চিহ্নিত করে কাজ শুরু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সেলিম রেজা নগরবাসীকে অনুরোধ করে বলেন, ‘নিজ নিজ বসতবাড়িতে জমে থাকা পানি ফেলে দিয়ে এডিসের উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করতে হবে, সবাই মিলে সচেতন হলেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব।’
ডিএনসিসির পুরো এলাকা ৪০০ বর্গগজ আয়তনে বিভক্ত করে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ৯৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক তালিকাবদ্ধ করে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় তিনি অন্যান্য কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে কয়েকটি নির্মাণাধীন ভবন ঘুরে দেখেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৩টি নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অঞ্চল-৩-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান, স্থানীয় কাউন্সিলরসহ অন্য কর্মকতারা।
এ ছাড়া অঞ্চল-১-এর আওতাধীন ১নং ওয়ার্ডের উত্তরা সেক্টর নং ৪, ৬, ৮ এবং ওয়ার্ড ১৭-এর নিকুঞ্জ-১, ২ ও জামতলা, টানপাড়া এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লট, ড্রেন ঝোপঝাড়ে কিউলেক্স মশকবিরোধী অভিযান ও এডিসবিরোধী অভিযানে পাঁচ স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৫টি মামলায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-৬-এর ৫১ নং ওয়ার্ডের উত্তরা সেক্টর-১১ আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন অভিযান করেন। দুই স্থানে মালিকবিহীন পরিত্যক্ত টায়ারে দুটি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। সেগুলো ধ্বংস করে দুই মামলায় ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গত ১১ মে সকালে রাজধানীর উত্তরায় এডিস ও ডেঙ্গুবিরোধী নাগরিক সচেতনতামূলক পথসভায় অংশ নিয়ে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম ১০ দিনের মশা (ডেঙ্গু ও এডিস) নিধন কর্মসূচির ঘোষণা দেন। ১৭ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
আরও পড়ুন:গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে দুই কন্যাকে নিয়ে জাপান যেতে আপিলে আবেদন করেছেন জাপানি মা এরিকো নাকানো।
মঙ্গলবার তার আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী শিশির মনির।
তিনি জানান, দুই মেয়েকে গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে জাপান ভ্রমণের অনুমতি চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এ আবেদন করা হয়েছে।
এ ছাড়া দুই মেয়ের বাবা ইমরান শরীফের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের আবেদন করেন মা এরিকো। সেই আবেদনের শুনানির জন্য আগামী সোমবার তারিখ ঠিক করে দিয়েছে আপিল বিভাগ।
গত ১৫ ডিসেম্বর সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ দুই শিশুকে মায়ের কাছে দেয়ার নির্দেশ দেয়। তবে দিনের বেলা বাবা দেখা করতে পারবেন।
গত বছরের ১৯ আগস্ট বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক স্বামী ইমরান শরীফের কাছ থেকে ১০ ও ১১ বছর বয়সী দুই কন্যাসন্তানকে ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেন জাপানি মা এরিকো। রিটের দীর্ঘ শুনানি শেষে গত ২১ নভেম্বর রায় দেয় হাইকোর্ট।
রায়ে দুই মেয়েকে বাবার কাছে রেখে মা বছরে তিনবার ১০ দিন করে দেখা করতে পারবেন। আর এ জন্য মায়ের সব খরচ বাবাকে বহন করতে হবে। হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধেই আপিল করেন মা। ওই আপিলের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ দুই শিশুকে মায়ের কাছে রাখার আদেশ দেয়।
২০০৮ সালের ১১ জুলাই জাপানের এরিকো ও বাংলাদেশি আমেরিকান শরীফ ইমরান জাপানি আইন অনুযায়ী বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা টোকিওতে বসবাস শুরু করেন। ১২ বছরের সংসারে তারা তিন কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। তারা হলো জেসমিন মালিকা, লাইলা লিনা ও সানিয়া হেনা।
এরিকো পেশায় একজন চিকিৎসক। মালিকা, লিনা ও হেনা টোকিওর চফো সিটিতে আমেরিকান স্কুল ইন জাপানের (এএসআইজে) শিক্ষার্থী ছিল।
গত বছরের ১৮ জানুয়ারি শরীফ ইমরান বিয়ে বিচ্ছেদের (ডিভোর্স) আবেদন করেন। ২১ জানুয়ারি ইমরান এএসআইজে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে তার মেয়ে জেসমিন মালিকাকে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ এরিকোর সম্মতি না থাকায় তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। পরে ইমরান তার মেয়ে জেসমিন ও লিনাকে স্কুলবাসে বাড়ি ফেরার পথে বাসস্টপ থেকে অন্য একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যান।
২৫ জানুয়ারি ইমরান তার আইনজীবীর মাধ্যমে এরিকোর কাছে তার সন্তানদের পাসপোর্ট হস্তান্তরের আবেদন করেন। এরিকো তা প্রত্যাখ্যান করেন।
এরপর ২৮ জানুয়ারি এরিকো টোকিওর পারিবারিক আদালতে তার সন্তানদের জিম্মার অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চেয়ে মামলা করেন। আদালত ৭, ১১ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি শিশুদের সঙ্গে পারিবারিকভাবে সাক্ষাতের আদেশ দেন। ইমরান আদালতের আদেশ ভঙ্গ করে মাত্র একবার মায়ের সঙ্গে দুই মেয়ের সাক্ষাতের সুযোগ দেন।
এরিকোর অভিযোগ, গত ৯ ফেব্রুয়ারি মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ইমরান তার মেয়েদের জন্য নতুন পাসপোর্টের আবেদন করেন এবং গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নতুন পাসপোর্ট নেন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইমরান তার দুই মেয়ে জেসমিন ও লাইলাকে নিয়ে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।
আরও পড়ুন:শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ও বাস্তব শিক্ষার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে শিক্ষকদের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
রাজধানীর সরকারি টিচার ট্রেনিং কলেজে বঙ্গবন্ধু ‘সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ’-এর জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘তত্ত্বীয় জ্ঞানের চেয়ে ব্যহারিক শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রায়োগিক শিক্ষার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বাস্তব শিক্ষার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে হবে।’
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনের সঙ্গে কাজ করার মানসিকতাই তৈরি হয়নি। আমরা তত্ত্বীয় জ্ঞানের ওপর এত বেশি জোর দিচ্ছি যে, বাস্তবে কোনও কাজ করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা নিরুৎসাহিত হয়ে যাচ্ছে। তারা মনে করছে কৃষি কাজসহ কায়িক পরিশ্রমের কাজ হচ্ছে অশিক্ষিত লোকের কাজ। যেহেতু সে শিক্ষিত হয়ে গেছে সেহেতু সে এসব কাজ করবে না।
‘কিন্তু শিক্ষার্থীরা লদ্ধ জ্ঞানকে ব্যবহার করার মাধ্যমে উদ্ভাবন করতে পারে। তাই শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ থাকলো, শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ব্যবহারে উপযুক্ত করতে হবে।’
শিক্ষার্থীদের উন্মুক্ত ও বিজ্ঞানমনস্ক করার আহ্বান জানিয়ে উপমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা কূপমণ্ডুকতা, জড়তা, অতিমাত্রায় প্রতিক্রিয়াশীলতার মধ্যে ডুবে থাকে এবং কুসংস্কার, ধর্মীয় অপব্যখ্যা, নারী-পুরুষের মধ্যে অসমতার প্রতি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ চলে যায় সৃজনশীল চর্চার অভাবে।
‘সে কারণে শিক্ষকদের আমি অনুরোধ করব, জাতির পিতা যে দক্ষতা নির্ভর জনগোষ্ঠী করতে চেয়েছিলেন, শিক্ষার্থীদের সেই বাস্তব শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দক্ষতা নির্ভর জনগোষ্ঠী গেড়ে তুলতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য