প্রতিদিনের লেনদেনে একটু একটু করে বাড়ছে সূচক। বছরের প্রথম কর্মদিবসে সূচক ছিল ৬ হাজার ৮৫৩ পয়েন্টে। সেখান থেকে ১২ কর্মদিবসে সূচকে ২০০ পয়েন্ট যোগ হয়ে সোমবার দেড় মাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে ফিরেছে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স।
খাতভিত্তিক লেনদেনে ফিরছে একসময় হু হু করে বাড়তে থাকা বিমা, স্বল্প মূলধনি, বস্ত্র ও প্রকৌশল খাতের কোম্পানির শেয়ার। এসব খাতের শেয়ারের প্রতি নতুন করে আগ্রহ দেখাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির তালিকায় উঠে আসে কোম্পানিগুলোর নাম।
ডিসেম্বর ক্লোজিংয়ের থাকা কোম্পানিগুলো ইতোমধ্যে তাদের অর্থবছরের হিসাব সম্পূর্ণ করেছে। এখন অডিটের মাধ্যমে আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে লভ্যাংশ আসতে শুরু করবে। পুঁজিবাজারে মূলত ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক খাত, বিমা, মিউচুয়াল ফান্ডের অর্থবছর ডিসেম্বরকেন্দ্রিক। ফলে এসব কোম্পানির প্রতি এখনই আগ্রহ দেখাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
সপ্তাহের শুরুতে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর উত্থানে আটকে ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। সেখান থেকে এক দিনের ব্যবধানে আবারও আগ্রহের নতুন খাত পেয়েছেন তারা। সোমবার লেনদেনে জীবন বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বেড়েছে বেশির ভাগ। পাশাপাশি সাধারণ বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর প্রতিও ছিল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ।
এদিন লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত পুঁজিবাজারের লেনদেন একবারও হাজার কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করেনি। তবে ৩ জানুয়ারি থেকে হাজার কোটি টাকার লেনদেনের যাত্রা এখনও অব্যাহত আছে। এই যাত্রায় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ১১ জানুয়ারি, ১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা।
সোমবার লেনদেনের শুরুতেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার কেনার বেশ উচ্ছ্বাস লক্ষ করা গেছে। যার ফলে সূচকের উত্থানে পতনের যে বড় ঢেউ দেখা যেত, সেটি ছিল না বললেই চলে।
খানিক সময়ের জন্য সূচকের পতন উত্থানের হার কমে এলেও পরবর্তী সময়ে আবার সেটি শেয়ার কেনার আগ্রহে উঠে এসেছে। দিন শেষে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৫ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫৫ পয়েন্টে। এর আগে ২১ নভেম্বর সূচক ছিল ৭ হাজার ৮৫ পয়েন্টে।
সোমবার লেনদেনে সাধারণ বিমা খাতের ৯৭ দশমিক ৫০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। আর জীবন বিমা খাতের ৭৬ দশমিক ৯২ শতাংশ দর বেড়েছে।
এ ছাড়া ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৬১ শতাংশ, নন-ব্যাংক আর্থিক খাতের ৬৮ শতাংশ, ব্যাংকের ৫৯ শতাংশ, প্রকৌশল খাতের ৩৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
তৃতীয় দিনে লেনদেন থাকা বেক্সিমকো গ্রুপের গ্রিন সুকুকের দাম আরও কমেছে। এদিন সুকুকটির দর কমে হয়েছে ৯১ টাকা ৫০ পয়সা। ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যেই এই সুকুকের লেনদেন গত বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে। সেদিন সর্বোচ্চ দর উঠেছিল ১১০ টাকা। লেনদেন শেষ হয় ১০১ টাকায়। দ্বিতীয় দিনের লেনদেনে দর আরও কমে হয় ৯৫ টাকা। সোমবার তৃতীয় দফায় প্রতিটি সুকুকের দর কমেছে সাড়ে ৩ টাকা।
সূচক উত্থানে ছিল যেসব কোম্পানি
সোমবার সূচক উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল টেলিকম খাতের রবির। শেয়ারদর ৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ উত্থানে সূচক বেড়েছে ১৩ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট। এ ছাড়া বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারদর ২ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৫ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ারের দর বৃদ্ধি সূচক উত্থানে ভূমিকা রেখেছে ৪ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট।
ওরিয়ন ফার্মার অবদান ছিল ৩ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট। বিএসআরএমের শেয়ারদর বেড়েছে ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ, এতে সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ২৮ পয়েন্ট।
লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের শেয়ারদর বাড়ায় সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট।
এ ছাড়া সাইফ পাওয়ারের ২ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ২ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট, বার্জার পেইন্টের ২ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট ও ডরিন পাওয়ারের ১ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট অবদান ছিল সূচক বৃদ্ধিতে।
পাশাপাশি শেয়ারদর কমায় সূচক পতনে ত্বরান্বিত করেছে তিতাস গ্যাস, আরএকে সিরামিক, আইসিবি, পাওয়ার গ্রিড, ওয়ালটন, বিএটিবিসি, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ব্র্যাক ব্যাংক ও ডেল্টা লাইফ।
দর বৃদ্ধিতে ১০ কোম্পানি
সোমবার সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে সদ্য লেনদেনে আসা ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের। দিনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ দর বৃদ্ধিতে শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ১০ পয়সা।
এ ছাড়া এদিন ৯ শতাংশের বেশি শেয়ারদর বেড়েছে পাঁচটি কোম্পানির। এর মধ্যে আছে শমরিতা হসপিটাল, যার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ১৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা লেনদেনে এদিন কোম্পানিটির ১১ লাখ ৫৭ হাজার ৭২টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ। দর বৃদ্ধিতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০৪ টাকা ২০ পয়সা।
প্রাইম লাইফের শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এ ছাড়া ফুওয়াং ফুডের শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ।
৮ শতাংশের বেশি শেয়ারদর বেড়েছে দুটি কোম্পানির। এর মধ্যে প্রগতি লাইফের ৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ ও ডরিন পাওয়ারের ৮ দশমিক ১১ শতাংশ।
৭ শতাংশের বেশি শেয়ারদর বেড়েছে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ, সাইফ পাওয়ারের ৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ ছাড়া এ তালিকায় আছে লিব্রা ইনফিউশন ও পিপলস ইন্স্যুরেন্স।
দরপতনে ১০ কোম্পানি
এদিন সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে লাভেলো আইসক্রিম, ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ। গত দুই কর্মদিবস ধরে কমছে কোম্পানিটির শেয়ারদর। সোমবার দরপতনে ৫০ টাকা ১০ পয়সার শেয়ার নেমেছে ৪৬ টাকা ৬০ পয়সায়।
আরএকে সিরামিকের শেয়ারদর কমেছে ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ। আরও দুটি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ৬ শতাংশের বেশি। একটি হচ্ছে তিতাস গ্যাস, যার শেয়ারদর ৪৮ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ কমে হয়েছে ৪৫ টাকা ৫০ পয়সা। অন্যটি এএমসিএল (প্রাণ), যার শেয়ারদর কমেছে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ।
সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের শেয়ারদর কমেছে ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ৪ শতাংশের বেশি শেয়ারদর কমেছে আরও সাতটি কোম্পানির। এর মধ্যে রংপুর ফাউন্ডির ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ, কাট্টলি টেক্সটাইলের ৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ, তাল্লু স্পিনিংয়ের ৪ দশমিক ৩২ শতাংশ, সমতা লেদারের ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ, এপেক্স স্পিনিংয়ের ৪ দশমিক ২৮ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।
লেনদেনে ১০ কোম্পানি
সোমবার টাকার অঙ্কে লেনদেন সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, যার ১৩১ কোটি ৫২ লাখ টাকার ৯৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪৬৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
সাইফ পাওয়ারের লেনদেন হয়েছে ১০০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ২ কোটি ২৪ লাখ ৪১ হাজার ৪৫২টি শেয়ার।
বেক্সিমকো লিমিটেডের লেনদেন হয়েছে ৯০ কোটি ৪ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৬০ লাখ ৯৮ হাজার ৭৬৫টি শেয়ার।
ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকার। হাতবদল হয়েছে ৭১ লাখ ১৬ হাজার ৭৬৯টি শেয়ার।
পাওয়ার গ্রিডের ৫৫ কোটি ৩ লাখ টাকা, আরএকে সিরামিকের ৪৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা, জিপিএইচ ইস্পাতের ৪৫ কোটি ২ লাখ টাকা, ফারইস্ট লাইফের ৪২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এ ছাড়া প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪২ কোটি ১৭ লাখ ও ফরচুন সুজের ৩৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য