রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিনা মূল্যে কৃত্রিম হাঁটু ও কোমরের জয়েন্ট প্রতিস্থাপন শুরু হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১০০ জন দুস্থ ও অসহায় রোগীকে বিনা মূল্যে হাঁটু ও কোমরের জয়েন্ট প্রতিস্থাপন করে দেয়া হবে।
হলি ফ্যামিলির সহকারী অধ্যাপক ও অর্থোপেডিক সার্জন অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন ডা. সাইফুল ইসলাম সাইফের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক এ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
এ নিয়ে সাইফুল বলেন, ‘যেসব মানুষের হাঁটু বা কোমরের জয়েন্ট নষ্ট হয়ে গেছে ও চলাফেরা করতে পারছেন না, অপারেশনের মাধ্যমে তাদের হাঁটু বা কোমরের জয়েন্ট কৃত্রিমভাবে প্রতিস্থাপন করে দেয়া হবে।’
চিকিৎসক ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে দেশ অনেক কিছু দিয়েছে জানিয়ে ডা. সাইফুল বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে এটাই সঠিক সময় দুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর, যখন দেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসলে যেসব দুস্থ, অসহায় ও গরিব মানুষের হাঁটু বা কোমরের জয়েন্ট নষ্ট হয়ে গেছে, তারা পরিবার, সমাজ তথা দেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার লক্ষ্য হলো স্থবির এই সমস্ত মানুষকে এই দুঃসহ অবস্থা থেকে সারিয়ে তোলে তাদের গতিশীল করা।’
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আবদুল ওয়াহহাবের উদ্যোগে আগে আসলে আগে অস্ত্রোপচারের ভিত্তিতে বিনা মূল্যে কৃত্রিম হাঁটু ও কোমরের হাড় প্রতিস্থাপন এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।
এই উদ্যোগে সম্পৃক্ত ডা. সাবরিনা আহমেদ বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে সবকিছু মিলে এই প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়ায় সাড়ে তিন লাখ টাকার উপরে দরকার হয়, যার মধ্যে কৃত্রিম হাঁটু বা কোমর জয়েন্টের মূল্য দেড় লাখ টাকা ও সার্জনের অপারেশন ফি এক লাখ টাকা আর বাকিটা হাসপাতালের খরচ।’
ডা. সাইফুল জানান, সহযোগিতা পেলে তিনি শুধু ১০০ মানুষকে নয়, ভবিষ্যতে ১ হাজার মানুষকে বিনা মূল্যে ও বিনা পারিশ্রমিকে এই সেবা দিয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে সহায়তা করতে চান।
তিনি এ উদ্যোগে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন:টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুহীন দিন দেখেছে বাংলাদেশ। আর এই এক মাস পর শনিবার ভাইরাসটিতে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু সংবাদ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল একজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল অধিদপ্তর। চলতি বছর করোনায় এটাই টানা মৃত্যুহীন দিনের রেকর্ড হলো।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৬ জনের।
নতুন করে করোনা শনাক্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৯ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনায় নতুন করে একজনের মৃত্যুতে এখন দেশে ২৯ হাজার ১২৮ জনের মৃত্যু হলো ভাইরাসটিতে। সব মিলিয়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ২০৪ জনে।
শনিবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ হাজার ৯২৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৭২ জন। এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৭৪৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ।
২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।
আরও পড়ুন:করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়ে এক মাস মৃত্যুশূন্য দেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। এর আগে সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল এক জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল।
শুক্রবার বিকেলে বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৫০ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগেই শনাক্ত হয়েছেন ৪৫ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন করে এক দিনে কোনো মৃত্যু না থাকায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৭ জনে রয়ে গেছে।
সব মিলিয়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ১৮৮।
নতুন করে করোনা শনাক্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৪৫ জন। রাজশাহীতে দুইজন; নওগাঁ, জয়পুরহাট ও সিলেটে একজন করে রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬ হাজার ৩১৩টি নমুনা পরীক্ষায় ৫০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের নতুন হার শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ২২১ জন। এ পর্যন্ত ১৯ লাখ ৫৭৫ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে।
এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।
আরও পড়ুন:শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাবিজ্ঞানে উন্নত শিক্ষা লাভের সুযোগ বাড়াতে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোর আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। এ জন্য সব বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষকসংখ্যা, প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ, অবকাঠামো, পাঠদান ও চিকিৎসাসেবা সম্পর্কিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। কিন্তু বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলো এতে সাড়া দিচ্ছে না।
বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। তাদের নির্দেশনার তোয়াক্কা করছে না প্রতিষ্ঠানগুলো।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে ৭২টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধিকাংশই অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে চলছে।
প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকসংখ্যা, প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ, অবকাঠামো, পাঠদান ও চিকিৎসাসেবা সম্পর্কিত তথ্য চাওয়া হলেও তারা তাতে সাড়া দিচ্ছে না। উল্টো ক্ষমতা ও তদবিরের মাধ্যমে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন সময় বেসকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে নানা অসংগতি পাওয়া গেছে। তবে সংকট কাটিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রকৃত চিত্র জানানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে অধিদপ্তর তথ্য চেয়ে একাধিকবার চিঠিও দেয়। কিন্তু গত বছরের ১৩ অক্টোবরের পর থেকে মাত্র ২৮টি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকিগুলো পূর্ণাঙ্গ তথ্য দেয়নি। যারা দিয়েছে তাদের অনেকের নাজুক পরিস্থিতি দেখা গেছে।
কলেজগুলোয় জোড়াতালির পাঠদানে মান নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে না। চিকিৎসক তৈরির নামে স্বাস্থ্য খাতকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও তারা রোগীদের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে সরকারি ও বেসরকারি মোট ১০৭টি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য মোট আসনসংখ্যা ১০ হাজার ৬৯৭। তার মধ্যে ৩৭টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ৪ হাজার ৩৫০ এবং ৭০ বেসরকারি কলেজে আসন রয়েছে ৬ হাজার ৩৪৭টি। কিন্তু হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া অধিকাংশেরই প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, শিক্ষক, শিক্ষা উপকরণ, উন্নত মানের ল্যাবরেটরি, শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখানোর জন্য সুবিধা খুবই কম। ফলে এখান থেকে পাস করা চিকিৎসকদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, চিকিৎসাসেবার মান উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। তবে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজেগুলো অসহযোগিতার কারণে এটি করা সম্ভব হচ্ছে না। অধিদপ্তর থেকে বেসরকারি মেডিক্যালের সার্বিক উন্নয়নে তাদের নজরদারি কার্যক্রম চলমান আছে। এ ধারাবহিকতায় একাধিক কলেজে পরিদর্শন প্রতিবেদন তৈরি করে সুপারিশসহ মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অধিভুক্তি হালনাগাদ থাকা বাধ্যতামূলক হলেও ২০১২ সালের পর থেকে তা করা হয়নি। ৫৮ শতাংশ বেড অকুপেন্সি ঘাটতিসহ প্রায় সব বিভাগে শিক্ষক, ল্যাব, শ্রেণিকক্ষের সরঞ্জাম, লাইব্রেরির আসন এবং সার্ভিস রুলের ঘাটতি রয়েছে। ফলে ২০১৮-১৯ থেকে সর্বশেষ ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের জন্য অ্যাকাডেমিক অনুমোদন নবায়ন করার পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে সব শর্তাবলির দৃশ্যমান উন্নয়ন আবশ্যক বলে মন্তব্য করা হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রী ভর্তির আসন বৃদ্ধির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের উচ্চতর কমিটির কাছে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানান, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে যে প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে, সেখানে ৮০ শতাংশ কলেজ বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ নীতিমালা পরিপূর্ণভাবে মানতে পারছে না। এর মধ্যে ৩০ শতাংশের মতো প্রায় শতভাগ ব্যর্থ হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এনায়েত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে দেশের বাইরে আছি। দেশে ফিরে বিস্তারিত কথা বলতে পারব। বিষয়টি নিয়ে অধিদপ্তরের পরিচালক তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারবেন।’
অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. এ কে এম আহসান হাবিব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসা শিক্ষা ও সেবার মান উন্নয়নে দফায় দফায় চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য জানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কয়েক বছরে সাতটি মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু কলেজগুলো বিভিন্ন সময় উচ্চ আদালতে রিট করে কার্যক্রম চালাচ্ছে। অধিদপ্তর অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দিলেও বিভিন্ন সময় উচ্চপর্যায়ের তদবিরে কার্যত্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে অনেক কলেজ চিকিৎসা শিক্ষাদানে বেশ ভালো করছে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও চিকিৎসা আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক ডা. রশীদ ই মাহবুব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশে আশির দশক থেকে শুরু করে প্রায় ৪০ বছর ধরে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে কথা হচ্ছে। কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশ লাগে, যা আজ অবধি সম্ভব হয়নি। আইন না থাকায় কোনো রকমে একটি নীতিমালা করে পরিচালিত হচ্ছে। ফলে সরকারিভাবে অনুমোদন নিয়ে অধিকাংশই নামকা ওয়াস্তে পরিচালিত হচ্ছে।
‘প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম পরিদর্শনে বিএমডিসি, বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকার রয়েছে। তাদের কোনো সমন্বয় নেই। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ও বিএমডিসির লাইসেন্স ছাড়া প্রায় সবকিছু প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। শিক্ষক, অবকাঠামো, মান নিয়ন্ত্রণ কোনোটাই সঠিকভাবে হচ্ছে না। এতে করে শিক্ষার্থীরা জ্ঞানার্জন করলেও সবাই পেশা-জীবনে তা প্রয়োগ করতে পারছে না, দক্ষ হচ্ছে না। প্রাতিষ্ঠানিক ভূমিকা ছাড়া এটা সম্ভব নয়। এ জন্য আইন করে মান নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব দিতে হবে।’
বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে ১০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক থাকার বাধ্যবাধকতা রেখে গত বছরের ৩ মে এ-সংক্রান্ত আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় নতুন আইনের খসড়া অনুমোদনের জন্য গত ৩০ মার্চ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ‘বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ বিল-২০২২’ সংসদে তোলেন। বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
ওই বিলে বলা হয়েছে, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ বা ডেন্টাল কলেজের প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত হবে ১:১০। কোনো বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষকের সংখ্যা সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদিত পদের ২৫ শতাংশের বেশি রাখা যাবে না। বেসরকারি মেডিক্যাল বা ডেন্টাল কলেজে অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা থাকতে হবে। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের জন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় কমপক্ষে দুই একর এবং ডেন্টাল কলেজের জন্য এক একর জমি থাকতে হবে। অন্য এলাকায় এই জমির পরিমাণ চার একর ও দুই একর হতে হবে। এই জমি সংশ্লিষ্ট কলেজের নামে নিরঙ্কুশ, নিষ্কণ্টক, অখণ্ড ও দায়মুক্ত হতে হবে। মেডিক্যাল কলেজ বা ডেন্টাল কলেজ এবং এর অধীন পরিচালিত হাসপাতাল কোনোভাবেই ইজারা বা ভাড়া নেওয়া জমিতে বা ভবনে স্থাপন করা যাবে না।
দেশের সাড়ে ২৬ শতাংশ মানুষ স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন। আর অঞ্চলভেদে স্থূলতার হার রংপুরে সবচেয়ে বেশি বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক গবেষণায় জানা গেছে।
রাজধানীর হোটেল শেরাটনে বৃহস্পতিবার এক সেমিনারে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, অঞ্চলভেদে স্থূলতার হার সবচেয়ে বেশি রংপুরে। এই বিভাগের ৩৩ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ স্থূলতায় ভোগেন। ঢাকায় এই হার ৩১ দশমিক ৯ শতাংশ, চট্টগ্রামে ২৯ শতাংশ, রাজশাহীতে ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ, সিলেটে ২৩ শতাংশ, বরিশালে ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ১৬ দশমিক ১ শতাংশ। খুলনায় এই হার ১৪ শতাংশ।
স্থূলতার সমস্যা আগে শুধু বয়স্কদের মধ্যে দেখা দিলেও এখন তরুণদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে বলে গবেষণায় জানা গেছে।
প্রতিবেদনে জানা গেছে, দেশের জনগণের মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের ৫৫ দশমিক ১ শতাংশের স্থূলতার সমস্যা রয়েছে। ২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের ৩৮ দশমিক ৪ শতাংশ, ২০ থেকে ২৪ বয়সীদের ২৯ শতাংশ ও ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে ১৮ দশমিক ২ শতাংশের স্থূলতার সমস্যা রয়েছে।
স্থূলতায় শহর অঞ্চলের মানুষ বেশি ভুগছেন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। শহর অঞ্চলের ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ স্থূলতায় ভোগেন আর গ্রামে এই হার ২০ দশমিক ৭ শতাংশ।
সেমিনারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘স্বাস্থ্যকর ও পরিমিত খাবার সুস্থ থাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একবার মুটিয়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণে আনা অনেক কঠিন। কিন্তু আমরা একটু সচেতন হলে, আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা যদি স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পালন করতে পারি, তবে স্থূলতার ভয়াল থাবা থেকে আমাদের এবং আমাদের সন্তানদের রক্ষা করা সম্ভব।’
দেশে সংক্রামক রোগের চেয়ে অসংক্রামক রোগ দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে বলে জানান তিনি।
এটি প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে বছরে ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ (৭ লাখ) মৃত্যুই অসংক্রামক রোগে ঘটে থাকে। সে হিসাবে দেশে দিনে গড়ে এক হাজার ৯০০ মানুষ অসংক্রামক রোগে মারা যায়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটন আয়োজিত এক সায়েন্টিফিক সেমিনারে এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে অসংক্রামক রোগে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি হারে বাড়ছে। আগে এই রোগের প্রবণতা বয়স্ক মানুষের মধ্যে দেখা যেত। এখন তরুণরাও আক্রান্ত হচ্ছে। মানুষের জীবনাচার পরিবর্তন এর অন্যতম কারণ।
‘দেশে প্রতিবছর ১০ লাখ মানুষ স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করে। এর মধ্যে ৭ লাখই মারা যায় অসংক্রামক রোগে। সে হিসাবে প্রতিদিন মারা যায় ১৯০০ মানুষ।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অসংক্রামক রোগ একবার দেখা দিলে আজীবন চিকিৎসা নিতে হয়। কিন্তু এটা ব্যয়বহুল। এই রোগে আক্রান্তের হার বৃদ্ধিতে সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে। নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে হাসপাতালের সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায়ও।
‘আমরা ভালো ও উন্নত চিকিৎসা দিতে গেলে গবেষণা দরকার। গবেষণা থাকলে সঠিক দিকনির্দেশনা আসে। তাতে করে নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ সহজ হয়।
‘আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সংক্রামক রোগব্যাধি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এরই মাঝে অসংক্রামক রোগ বেড়ে গেছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে মানসিক সমস্যা বেড়েছে। এর প্রভাবে আত্মহত্যা বাড়ছে।
এমন বাস্তবতায় আজ (বৃহস্পতিবার) মানসিক স্বাস্থ্য পলিসি কেবিনেট নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’
সেমিনারে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন-অগ্রগতি নিয়েও কথা বলেন মন্ত্রী। বলেন, ‘দেশে ৩৮টি মেডিক্যাল কলেজ ও পাঁচটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ এগিয়ে গেছে। একইসঙ্গে সমস্যাও বেড়েছে। ভালো স্বাস্থ্য সেবার জন্য প্রয়োজন অবকাঠামো, ওষুধ ও স্বাস্থ্যকর্মী। স্বাস্থ্য খাত সংক্রামক রোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল। আমারা টিবি, কলেরা, ডায়রিয়া নিয়ে কাজ করেছে। এসব এখন নিয়ন্ত্রণে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক রোবেদ আমিন। বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবীরসহ অন্যরা।
আরও পড়ুন:দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৩৫ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগেই শনাক্ত হয়েছেন ৩৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। এ নিয়ে টানা ২৯ দিন মৃত্যুশূন্য দেশ। এর আগে সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল একজনের মৃত্যুর খবর এসেছিল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন করে এক দিনে কোনো মৃত্যু না থাকায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৭ জনে রয়ে গেছে।
সব মিলিয়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ১৩৮। নতুন করে করোনা শনাক্তদের মধ্যে ঢাকার ৩১ জন ও গাজীপুরের দুজন। এ ছাড়া দিনাজপুর ও কক্সবাজারে একজন করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫ হাজার ৮৬৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের নতুন হার শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ২১৬ জন। এ পর্যন্ত ১৯ লাখ ৩৫৪ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে।
এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।
আরও পড়ুন:স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি মানসিক সমস্যাকে গুরুত্ব দিতে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্যনীতি, ২০২২'-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
পরে সচিবালয়ে বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এটা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। এটা বিশ্বব্যাপী একটা ট্রেন্ড যে মানসিক স্বাস্থ্য ছাড়া স্বাস্থ্যসেবা অসম্পূর্ণ। সুতরাং যখনই স্বাস্থ্যের কথা আসবে, তখনই মানসিক স্বাস্থ্যের কথা আসবে।
‘আমাদের যেটা সার্ভে আছে সেখানে দেখা যায় যে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ১৮ দশমিক ০৭ শতাংশ এবং শিশু-কিশোরদের মধ্যে প্রায় ১২ দশমিক ০৬ শতাংশ মানসিক রোগে অসুস্থ। এই সংখ্যাকে অ্যাড্রেস করা দরকার।’
তিনি বলেন, ‘সেই জন্য মানসিক স্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয়তা ও সেই সেবা প্রাপ্তি কীভাবে সহজ করা যায়, মাঠ পর্যায়ে কীভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায় এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে কীভাবে তাদেরও সমাজজীবনের অংশ করা যায় সেই জন্য এই স্বাস্থ্যনীতিটা।
‘এখানে বিশেষজ্ঞদের একটি দল গঠন করে তাদের নিয়ে চার-পাঁচ বছর ধরে কাজ করে বিশেষজ্ঞ মতামত নিয়ে তারপর এটা করা হয়েছে। জাতিসংঘের ইউএনসিআরপিডির কনভেনশন আছে যে মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মানবাধিকার বিষয়টিকে যেন বিবেচনা করা হয়।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য