চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ কয়েকটি জেলায় প্রার্থিতা উন্মুক্ত রাখায় সংঘাত-সংঘর্ষ কম হয়েছে।
আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি এমন অনেক জেলায়ও নৌকার প্রার্থীর ভরাডুবি হয়েছে। তৃণমূলে দলের নামে সংঘাতে কয়েকটি ইউনিয়নে প্রাণহানিও ঘটেছে। হামলা-মামলার মুখে এলাকা ছেড়েছেন অনেকে।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তিন জেলা মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জে প্রথম থেকে পঞ্চম দফা পর্যন্ত ইউপি নির্বাচনের সার্বিক বিশ্লেষণে এমন চিত্র উঠে এসেছে। তৃণমূলে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন চান না অধিকাংশ দলীয় নেতা-কর্মীই। তবে ত্যাগী নেতাদের মনোনয়ন দিলে দল শক্তিশালী হবে- এমন দাবিও রয়েছে।
মাদারীপুরের তিনটি আসনেই দুই যুগের বেশি সময় ধরে একক আধিপত্য আওয়ামী লীগের। তারপরও এবার স্থানীয় নির্বাচনে সদর, রাজৈর ও শিবচর উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে দলীয় মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। এর বাইরে কালকিনি ও ডাসার উপজেলার ১২ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৯টি ইউনিয়নেই স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। মাত্র তিনটি ইউনিয়নে জয় পেয়েছে নৌকা।
মাদারীপুর জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য মতে, প্রথম দফা ইউপি নির্বাচনে শিবচর উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়নে কাউকে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। সেখানে কোনো ধরনের সংঘাত ছাড়াই ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতিতে নির্বাচন হয়। উন্মুক্ত প্রার্থিতা থাকায় আওয়ামী লীগ ঘরানার রাজনীতিতে বিশ্বাসীরাই মূলত এসব ইউনিয়নে জয়ী হন। আর নৌকা প্রতীক না থাকায় প্রার্থীদের মধ্যে তেমন সংঘাত-সংঘর্ষও ঘটেনি।
দ্বিতীয় ধাপে কালকিনি ও ডাসার উপজেলায় নৌকার প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়। ‘মনোনয়ন বাণিজ্যে’ অযোগ্য লোককে নৌকার মাঝি করায় সংঘাতের সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে কালকিনির চর দৌলতখান (সিডিখান) ইউনিয়নে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. চান মিয়া সিকদারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ভুরঘাটা-মোল্লারহাট সড়কের বটতলা মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টির ঘটনাও ঘটে।
ভোটের প্রচারকালে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় শিকারমঙ্গল, সিডিখান, আলীনগর, ডাসার, কয়ারিয়াসহ প্রায় সব কটি ইউনিয়নে। গত ২৮ অক্টোবর আলীনগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজুর রহমান মিলন সর্দারের বাড়িঘরে ব্যাপক হামলা চালিয়ে ১০টি মোটরবাইক, একটি প্রাইভেট কারসহ কোটি টাকার ক্ষতি করার অভিযোগ ওঠে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাহিদ পারভেজের বিরুদ্ধে।
তবে সাহিদ পারভেজের দাবি, স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনই বরং নৌকা প্রতীক ভেঙেছেন। এর আগে শিকারমঙ্গল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সিরাজুল হক মৃধার লোকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল আলম মালের বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুরসহ অন্তত ২০ জনকে আহত করেন।
ডাসার উপজেলায় গত ২ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সবুজ কাজী ও তার সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম ভাসাই শিকদার ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর চার সমর্থকসহ এক নারী সাংবাদিক আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বিপুল দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
৬ নভেম্বর কালকিনির কয়ারিয়া ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী জাকির হোসেন জমাদার ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুল হাসান নুর মোহাম্মদ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণসহ ৫০ মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হন। পুলিশ ১২ জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে।
এ ছাড়া ১০ নভেম্বর দ্বিতীয় দফা ইউপি নির্বাচনে সিডিখানে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী চান মিয়া শিকদার ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মিলন মিয়ার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন আটজন। তাদের মধ্যে আলমগীর হোসেন প্যাদা নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ছাড়া একই উপজেলার কয়ারিয়া, শিকারমঙ্গল, লক্ষ্মীপুর, ডাসার উপজেলার গোপালপুর, বালীগ্রাম, ডাসারসহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ, হামলা-পাল্টাহামলায় পাঁচ শতাধিক মানুষ আহত হন। এসব ঘটনায় কালকিনি ও ডাসার থানায় ২০টির বেশি মামলা হয়।
তবে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপে সদর, রাজৈর, শিবচর উপজেলার ২৬টি ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থিতা উন্মুক্ত থাকায় তেমন সংঘাত হয়নি। ভোটার উপস্থিতিও ছিল তুলনামূলক বেশি।
এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা তাহমিনা সিদ্দিকা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পরাজয় হয়নি। পরাজয় হয়েছে মনোনয়ন বাণিজ্যের। যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তারা এক প্রভাবশালী ব্যক্তিকে টাকা দিয়ে নৌকা কিনে এনেছেন। এ কারণে জনগণ মনোনয়ন বাণিজ্যের বিরুদ্ধে তাদের রায় দিয়েছেন। আর মনোনয়ন উন্মুক্ত থাকা ইউপিগুলোতে স্বতন্ত্র হিসেবে বিজয়ীরাও সবাই আওয়ামী লীগ করেন। এসব ইউপিতে হামলা-মামলার ঘটনাও কম ঘটেছে।’
মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী না হওয়ার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে। দলের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হলে নৌকার পরাজয় হতো না। যেখানে অযোগ্য প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে, সেখানে সংঘর্ষের ঘটনাও বেশি ঘটেছে। আমি মনে করি দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে আরো সতর্ক হতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বলেন, ‘মাদারীপুরসহ আশপাশের জেলাগুলো আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি। এখানে অধিকাংশ মানুষই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করে মাদারীপুরের কয়েকটি উপজেলায় নৌকা প্রতীক না দেয়ার অনুরোধ করেছিলাম। তাই এসব স্থানে নৌকা না দেয়ায় বিনা রক্তপাতে নির্বাচন হয়েছে। আগামীতে এ ধারা অব্যাহত রাখতে অনুরোধ করব।’
মাদারীপুরের পাশের জেলা শরীয়তপুরেও ৬৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪২টিতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীকবিহীন নির্বাচন হয়েছে। আর আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে নির্বাচন হয়েছে শরীয়তপুর সদরের ৯ ইউপিতে। এ নয়টি ইউনিয়নে দ্বিতীয় ধাপে নৌকার মনোনয়ন নিয়ে কয়েকজন নির্বাচিত হন। তবে দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের হামলা-মামলার ঘটনা বেশি ঘটে। এর মধ্যে চিতলিয়া ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়। দলীয় প্রার্থীর কর্মীদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের সংঘর্ষে রক্তাক্ত জনপদে পরিণত হয় এসব ইউনিয়ন। পরে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নবিহীন নির্বাচন হয়।
শরীয়তপুর নির্বাচন অফিসের তথ্য মতে, তৃতীয় ধাপে গোসাইরহাট উপজেলার ৭, চতুর্থ ধাপে ডামুড্যা উপজেলার ৭ ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার ১২ এবং পঞ্চম ধাপে নড়িয়ার ১৫ ও জাজিরার একটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ছাড়া নির্বাচন শেষ হয়। এসব নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলি ও মারামারির ঘটনা ঘটলেও দলীয় প্রভাব বিস্তারের ঘটনা ঘটেনি।
আওয়ামী লীগের বাতিঘর খ্যাত গোপালগঞ্জ জেলায় ৬৯টি ইউনিয়নের মধ্যে সদর উপজেলার ১৫টিতে উন্মুক্তভাবে নির্বাচন হয়েছে। অন্যগুলোর মধ্যে কোটালীপাড়ায় ৩টি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। একটি ইউনিয়নে নির্বাচন হয়নি। বাকি ৫০টিতে দলীয় প্রার্থীদের প্রভাব বিস্তারের মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে এসব এলাকা আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হওয়ায় সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা কম ঘটেছে।
তবে নির্বাচন-সংশ্লিষ্টদের দাবি, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হয়নি এমন ইউনিয়নগুলোর চেয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট হওয়া ইউপিগুলোতে নির্বাচনি উত্তাপ বেশি ছিল।
আরও পড়ুন:অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর নিরাপত্তাহীনতায় পুনরায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যসহ ৭ জনকে আটক করেছে বিজিবি।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল পৌণে সাতটার দিকে শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার নকশি সীমান্ত পথে নকশি ক্যাম্পের টহলরত বজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে বিকেলে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
বিষয়টি ২৬ আগষ্ট সকালে বিজিবি পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।
আটককৃতরা হলো মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রমজান আলী (২৪) ও আসমত আলীর ছেলে রাসেল (১৬)। আটক অনুপ্রবেশকারীরা হলো, নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বোমবাঘ গ্রামের শামীম শেখ (২৩), আফসানা খানম (২২), রুমা বেগম (৩২), মিলিনা বিশ্বাস (২৮) ও তিন বছর বয়সী শিশু কাশেম বিশ্বাস।
বিজিবি এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, মাথাপিছু ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে গত ২৩ আগস্ট রাতের আধারে নালিতাবাড়ীর সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ পথে নারী এবং শিশুসহ ৫ বাংলাদেশীকে ভারতে পাঠায় মানব পাচারকারী রমজান আলী ও রাসেল। কিন্তু ভারতীয় পুলিশের তৎপরতায় নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে এ পাঁচ বাংলাদেশী। এ কারণে ২৫ আগষ্ট সোমবার সকাল পৌণে সাতটার দিকে ঝিনাইগাতির নকশি সীমান্তের কালিমন্দির এলাকা দিয়ে পুনরায় তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এসময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা টের পেয়ে সবাইকে আটক করে। পরে মানব পাচারে জড়িত দুইজনের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে এবং অন্য ৫ জনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অপরাধে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং সবাইকে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ময়মনসিংহ বিজিবি’র ৩৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
ঝালকাঠিতে গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনায় এনে ব্রান্ডশপ লোটো ও লি কুপার প্রতিষ্ঠানটি তাদের ১৩২তম ফ্লাগশিপ আউটলেট উদ্বোধন করেছে।
এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্ট লিঃ এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কাজী জাভেদ ইসলাম সহ কোম্পানির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সাথে নিয়ে ফিতা কেটে আউটলেটটি উদ্বোধন করেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়।
পৌর শহরের সাধনার মোড়ে মঙ্গলবার ২৬ আগষ্ট সকাল ১০টায় লোটো ও লি কুপারের ফ্ল্যাগশিপ আউটলেটদ্বয়ের শুভ উদ্বোধন আনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পর্যায়ের গ্রাহক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ঝালকাঠিতে কোম্পানীর এ যাত্রার প্রথম দিনে স্থানীয় ফ্যাশন সচেতন তরুণ তরুণীরা তাদের পছন্দের পন্য কালেকশন বেছে নিতে ভীর জমায়।
কোম্পানীর পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রথম তিনদিনের প্রতিদিন প্রথম ৩০ জন পাবেন ৫০% ছাড়, ২য় ৩০ জন পাবেন ৪০% ছাড়, ৩য় ৩০ জন পাবেন ৩০% ছাড়, ৪র্থ ৩০ জন পাবেন ২০% ছাড় এবং তৎপরবর্তী সকল কাস্টমার পাবেন ১০% ছাড়। এই বিশেষ ছাড় ২৬শে আগষ্ট থেকে শুরু হয়ে ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে
নওগাঁয় সপ্তম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ মামলায় আ: সালাম (৩৮) নামে এক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আ: সালাম সদর উপজেলার বর্ষাইল মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম ওই শিক্ষার্থীর পরিবার পত্নীতলা উপজেলায় ভাড়া থাকতেন। ভাঙ্গারী ব্যবসার সুবাদে আসামী আ: সালামও পাশাপাশি একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভিকটিম মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে আ: সালাম বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতো এবং রাস্তাঘাটে বিরক্ত করতো। বিষয়টি জানাজানি হলে আসামী আ: সালাম ওই ভিকটিমের পরিবারকে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখাতো। এরই একপর্যায়ে ২০২২ সালের ১১ জুলাই বিকেল তিনটার দিকে আসামী আ: সালাম একটি বাজার এলাকা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নওগাঁ সদর উপজেলার ভবানীপুর দক্ষিন পাড়া গ্রামের মোজাফ্ফর রহমানের ভাড়া বাড়িতে আটক রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা পত্নীতলা থানায় অভিযোগ করলে র্যাব ওই বাড়ি থেকে আসামিকে গ্রেফতার ও মেয়েকে উদ্ধার করে। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় আসামী আ: সালামসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ আ: সালামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়। বাকি আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়।
মামলার এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম সন্তোষ প্রকাশ করেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী ফাহমিদা কুলসুম উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান।
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের বালুকাপাড়া গ্রামে রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে পুনরায় তাকে বিয়ে করায় এক দম্পতিকে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' করে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে নালিশ দেওয়ার জের ধরে পেটানো হয় দিনমজুর আব্দুল জলিল প্রামানিককে। প্রতিপক্ষের লোকজনের মারধরে এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে গেছে।
এঘটনায় তিনি একটি থানায় অভিযোগ করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে সেটি মামলাটি হিসেবে রের্কড করা হয়। তবে মামলার এজাহারে সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।
সরেজমিনে বালুকাপাড়া গ্রামে গিয়ে আব্দুল জলিলকে ১৮ মাস ধরে সমাজচ্যুত করে রাখার তথ্য জানা গেছে। আব্দুল জলিলের সমাজচ্যুত করার ঘটনাটি স্থানীয় রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশীদ মন্ডলও অবগত আছেন। তিনি দুই পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকেও সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি সমাধান করতে পারেনি।
গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক কলহের কারণে আব্দুল জলিল প্রামানিক রাগের মাথায় তার স্ত্রীকে তালাক দেন। এঘটনার ২৯ দিন পর তিনি আবারও স্ত্রীকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় গ্রাম্য মাতব্বরেরা ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুল জলিল প্রামানিকের পরিবারকে সমাজচ্যুত করে রাখেন। সেই সময় জলিল প্রামানিক বিষয়টি আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কে জানান। ইউএনও রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মণ্ডলকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেন। ইউপি চেয়ারম্যান উভয়পক্ষকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। তবে কার্যত কোন কোনো সমাধান করতে পারেননি। এতে গ্রাম্য মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলের ওপর আরও ক্ষুব্ধ হন। সমাজচ্যুত করে রাখা আব্দুল জলিল গত ১৫ আগস্ট রাত আটটার দিকে গ্রামের মসজিদের দিকে রওনা হন। এসময় মাতব্বরেরা তাকে দুই দফায় প্রচন্ড মারধর করেন। এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে যায়। তিনি চিকিৎসা নিয়ে থানায় আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বালুকাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেড় বছর আগে আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। কয়েক দিন পর আবার সংসার শুরু করেন। এনিয়ে গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিল প্রামানিককে সমাজচ্যুত করেন। এনিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় বৃদ্ধা লুৎফন নেছা বলেন, আমি কাজ করতে পারিনি। আব্দুল জলিলের বউ আমার বাড়িতে এসে জবাই করা মুরগির তরকারি রান্না করে দিয়েছিল। আমি জলিলের বাড়িতে গিয়ে এক বাটি মুরগির মাংসের তরকারি দিয়ে এসেছি। এতে আমাকেও সমাজচ্যুত করার হুমকি দিয়েছিল।
বালুকাপাড়া গ্রামের মোড়ের দোকানি হাফিজার রহমান বলেন, বউকে তালাক দেওয়ার ঘটনায় আব্দুল জলিল প্রামানিককে গ্রামের মাতব্বরেরা সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল গ্রামের সামাজিক কোন কর্মকান্ডে অংশ নিতে দেয় না।
আব্দুল জলিল প্রামানিক বলেন, আমি রাগের মাথায় স্ত্রী তালাক দিয়েছিলাম। ২৯ দিন পর আবার বিয়ে পড়ে নিয়েছি। একারণে গ্রামের মাতব্বর রকি খান, মিল্টন খাঁ, আবু সুফিয়ানসহ আরও ১০-১২ জন আমাকে সমাজচ্যুত করেছেন। রাগের মাথায় স্ত্রীক। তালাক দিলে পুনরায় বিয়ে করা যাবে ঢাকার একজন মুফতির মতামত নিয়ে আসার পরও তারা মানেনি। তারা বলছে হিল্লা বিয়ে ছাড়া আমার বিয়ে বৈধ হবে না। তারা আমাকে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে গ্রামের মসজিদে নামাজ আদায়ে করতে ও জানাজায় শরিক হতে বা দেননি। মিলাদ মাহফিল দাওয়াত দেওয়ার মাতব্বরদের চাপে পর ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি গ্রামের কারও জমিতে দিনমজুরি কাজও করতে পারব না বলে লোকজন জানিয়ে দেন। একারণে কেউ আমাকে কাজে নেয় না। সমাজচ্যুত করার জের ধরে মসজিদে যাওয়ার সময় মাতব্বরদের একাংশের লোকজন আমাকে মেরে হাত ভেঙে দিয়েছেন।
গ্রামের মাতব্বদের একজন মো. মিল্টন খাঁ। তিনি আব্দুল জলিলের দায়ের করা মামলার দুই নম্বর আসামি। তাকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কাজ করেছেন। একারণে গ্রামের লোকজন তাকে সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কি কাজ করেছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আবার স্ত্রীকে নিয়েছেন। এটা সমাজ বিরোধী কাজ।
আক্কেলপুর রায়কালী ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মন্ডল বলেন, আব্দুল জলিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তিনি রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। এঘটনায় গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলকে সমাজচ্যুত করেন। আব্দুল জলিল ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন। ইউএনও স্যার আমাকে ঘটনাটি সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। উভয়পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে বৈঠক করেছি। আব্দুল জলিল যেন সামাজিকভাবে মিশতে পারে সেটি বলেছি। সমাজচ্যুতের ঘটনার জের ধরে আব্দুল জলিলকে মারধর করা হয়েছে। এতে তার বাম হাত ভেঙেছে বলে জেনেছি।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, আব্দুল জলিল প্রামানিক থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সেটি মামলা হিসেবে রের্কড করা হয়েছে। আসামি আট জনের মধ্যে ইতিমধ্যে আদালত থেকে পাঁচজন আসামি জামিন নিয়েছেন, অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে ২৭,২৪৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। বিগত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের একই মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২১,৯১৬ কোটি টাকা। জুলাই-২০২৫ মাসে বিগত জুলাই-২০২৪ মাসের তুলনায় ৫,৩৩৩ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। জুলাই ২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২৪.৩৩%।
জুলাই’২৫ মাসে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক থেকে। এ খাত থেকে আদায় হয়েছে ১১,৩৫২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায়ের পরিমান ছিল ৮,৫৭১ কোটি টাকা। জুলাই ২০২৫ মাসে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ৩২.৪৫%।
আয়কর ও ভ্রমন কর খাতে জুলাই’২৫ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬,২৯৫ কোটি টাকা যা জুলাই’২০২৪ মাসের একই খাতে আদায়কৃত ৫,১৭৫ কোটি টাকার চাইতে ১,১২০ কোটি টাকা বেশি। আয়কর ও ভ্রমন করের ক্ষেত্রে জুলাই ২০২৫ মাসের আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২১.৬৫%।
২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে আমদানি ও রপ্তানি খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯,৬০২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায় ছিল ৮,১৭০ কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধির হার ১৭.৫২%।
রাজস্ব আদায়ের এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার জন্য আয়কর, মূল্য সংযোজন কর এবং কাস্টমস শুল্ক-কর আদায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রচেষ্টা আরো জোরদার করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নানাবিধ কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
সম্মানিত করদাতাগণ আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করে যথাযথ পরিমান কর পরিশোধের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজের অন্যতম অংশীদার হবেন মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশাবাদী।
কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র্যাব।
গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।
শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন
র্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।
মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।
এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।
পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই খোলা হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব জলকপাট। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা ২ মিনিটে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।
কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, রাতে লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.০৫ ফুট ছুঁয়ে গেলে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, “প্রথমে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জলকপাট খোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই সোমবার রাতেই জলকপাট খুলে দিতে হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি লেক থেকে কর্ণফুলিতে গিয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে পানি নিঃসরণের হার এখন প্রতি সেকেন্ডে ৪১ হাজার কিউসেক।
ভাটি এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পানি প্রবাহ বাড়লেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে, এবং প্রয়োজনে আমরা আগেভাগেই ব্যবস্থা নেব।”
স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য