দেশে এ পর্যন্ত ৫৫ শরীরে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। তাদের অধিকাংশই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা।
জার্মানিভিত্তিক গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা (জিআইএসএআইডি) সোমবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটির তথ্য বলছে, ডিসেম্বরের শেষের দিক থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত জমা হওয়া নমুনা শনাক্ত শেষে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বাংলাদেশে প্রথম ওমিক্রন শনাক্তের বিষয়টি জানান।
১০ জানুয়ারি দেশে ১০ জনের দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হয়। ১২ জানুয়ারি তিনজনের শরীরে ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার সংবাদ আসে। তারা সবাই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা। তবে এই রোগীরা সম্প্রতি বিদেশ ভ্রমণ করেছেন কি না, সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য সংস্থাটি জানাতে পারেনি।
সেদিন জিম্বাবুয়ে থেকে ফিরে আসা জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের দুই সদস্যের দেহে ওমিক্রনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
গত বছরের ২৪ নভেম্বর আফ্রিকা অঞ্চলে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার খবর দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
পদ্মা সেতুকে জাতীয় সম্পদ ও দেশের অহংকার উল্লেখ করে উচ্চ আদালত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ জানিয়েছে, যারা এমন জাতীয় সম্পদের বিরোধিতা করবে তারা জাতির শত্রু।
সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করে।
আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ‘পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় সম্পদ। এটা আমাদের অহংকার। এ ধরনের জাতীয় স্বার্থ ও উন্নয়নের বিরুদ্ধে যারা থাকেন, তারা জাতির শত্রু, দেশের শত্রু, তাদের চিহ্নিত করা দরকার।’
পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে জারি করা রুলের শুনানিকালে এ মন্তব্য করে হাইকোর্ট।
পরে আগামীকাল মঙ্গলবার এ রুলের ওপর আরও শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ঠিক করে দেয় হাইকোর্ট।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
শনিবার দুপুরে মাওয়া প্রান্তে নামফলক উন্মোচনের মাধ্যমে দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন:যানবাহনের প্রচলিত অ্যাসিড ব্যাটারির মেয়াদকাল ছয় মাস থেকে এক বছর। এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। অথচ একটি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি চলে পাঁচ থেকে ছয় বছর। এটি যানবাহন চালানোর খরচ কমিয়ে দেয়। পরিবেশও বাঁচায়।
এমন দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির থ্রি হুইলার বাজারে আনছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ‘বাঘ মোটরস’। আগামী জুলাইয়ে উৎপাদনে যাবে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী কাজী জসিমুল ইসলাম বাপ্পি জানান, দেশে এটি হবে প্রথম ইকো থ্রি-হুইলার ট্যাক্সি। এর নাম রাখা হচ্ছে ‘বাঘ’। গাজীপুরের নিজস্ব কারখানায় উৎপাদন শুরু হবে।
জসিমুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবেশ বাঁচাতে আমাদের তেলের বিকল্প নিয়ে ভাবতেই হবে। শুধু থ্রি-হুইলারই নয়, আগামী তিন বছরে বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহনও যুক্ত হবে বাঘ মোটরসের বহরে।’
গত মার্চে এ বাহনটিকে চলাচলের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। উচ্চ নিরাপত্তা ফিচার, কম খরচ ও উন্নত প্রযুক্তির এই গাড়ির দাম ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। বাঘ মোটরস জানিয়েছে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকলেও তাদের থ্রি হুইলারে তেমন গরম অনুভূত হয় না।
জসিমুল ইসলাম বলেন, ‘বাঘ মোটরস প্রথম কোনো বাংলাদেশি কোম্পানি নিজস্ব প্যাটেন্ট দিয়ে, নিজস্ব ডিজাইনে নিজস্ব প্রকৌশলে দেশে গাড়ি উৎপাদন করছে। বর্তমানে দেশে অন্যরা যেসব গাড়ি উৎপাদন করছে, সেগুলো প্রযুক্তিসহ সব কিছুই অন্য দেশের। এখানে শুধু উৎপাদন হচ্ছে। আর আমাদের পেটেন্ট থেকে শুরু করে সবকিছুই নিজস্ব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এ পরিবহন শতভাগ পরিবেশবান্ধব, কোনো দূষণ নাই, সৌরশক্তিতে চলে, গ্রিন এনার্জি ব্যবহার হয়। এমন হাজারটা কারণ আছে, যাতে মানুষ আমাদের এই বাঘ ইকো মোটরসের ইকো ট্যাক্সি ব্যবহার করবে।’
অ্যাসিড ব্যাটারির কারণে দেশে প্রায় ২ কোটি লিটার অ্যাসিড নির্গত হয়ে পরিবেশের ক্ষতি করছে। ফলে বিদ্যুৎচালিত যানবাহন উৎসাহিত করার সময় এসেছে।
জসিমুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এই ইকো থ্রি-হুইলারের ডিজাইন-ড্রইং করে পেটেন্ট করেছি। এটা পৃথিবীর প্রথম সোলার ইকো থ্রি-হুইলার, যেটা লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে চলে। এটির পারমিশন পেতে আমাদের প্রায় ৩০ মাস সময় লেগেছে।’
এটির দাম সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘একটা সিএনজি অটোরিকশার দাম এখন প্রায় ১৮ লাখ টাকা, সেখানে আমরা একটা ইকো থ্রি-হুইলার ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকায় দিচ্ছি। আমাদের একটা ব্যাটারি ৬ বছর পর্যন্ত পরিবর্তন করতে হয় না। প্রচলিত যেসব অ্যাসিড ব্যাটারি আছে, ছয় বছরে সেখানে ১২টি ব্যাটারি প্রয়োজন হয়।’
২০২০ সালের এপ্রিলে বাঘ মোটরস ১১টি যান তৈরি করে। ডুয়াল পাওয়ার-ব্যাটারি এবং সৌরচালিত এ থ্রি-হুইলারে যাত্রীর নিরাপত্তায় বেশ কিছু ফিচার যুক্ত হয়েছে। এর একটি হচ্ছে যাত্রীর সিটের সঙ্গে ‘প্যানিক বাটন’ রাখা রয়েছে। এই বাটনে চাপ দিলে গাড়ির গতি মুহূর্তেই ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটারে নেমে আসবে। এরপর ২০ মিনিটের জন্য গাড়িটি অচল হয়ে যাবে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সতর্কবার্তাও পাঠাবে। এতে কর্তৃপক্ষ ট্যাক্সির কার্যকারিতা নিষ্ক্রিয় করতে পারবে।
এতে থাকবে নিরাপত্তা ক্যামেরা, যা একটি কেন্দ্রীয় সার্ভারে যুক্ত থাকবে। সব ধরনের ভিডিও রেকর্ড ও সংরক্ষণ থাকবে সার্ভারে। থাকবে এমবেড করা রিয়াল-টাইম জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম, যা থ্রি-হুইলারের রিয়াল-টাইম অবস্থান দেখাবে। চুরি ঠেকাতে থাকবে আলাদা প্রযুক্তিও।
গাড়িগুলোতে উচ্চমানের ইস্পাত ব্যবহার করা হচ্ছে, যা সাধারণত বাস-কারে ব্যবহৃত হয়।
জসিমুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের গাড়ি শতভাগ মেটাল বডির তৈরি। পুরো বডিই মোটরগাড়ির মতো করে তৈরি, যা যাত্রীকে অধিক নিরাপত্তা দেবে। ব্রেক ও লাইট ছাড়া পুরো গাড়ির দুই বছরের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি থাকবে। গাড়িতে ওয়াইফাই সিস্টেম থাকবে, মোবাইল চার্জিং সিস্টেম থাকবে, জিপিএস থাকবে, মনিটর থাকবে।’
২০২৫ সালের পর বিশ্বে কোনো ডিজেলচালিত গাড়ি তৈরি হবে না। ২০৩০ সাল থেকে তৈরি হবে না কোনো অকটেন গাড়িও। সব গাড়িই বিদ্যুৎচালিত গাড়িতে পরিণত হবে।
নিজস্ব রাইড শেয়ারিং অ্যাপের মাধ্যমে একটি ট্যাক্সি সার্ভিস হিসেবে কাজ করবে এই ইকো ট্যাক্সি। এর বাইরে ব্যক্তিগতভাবেও এটি কেনা যাবে।
সাধারণ সিএনজিচালিত থ্রি-হুইলার এবং হিউম্যান-হলারের চেয়ে বড় চাকা থাকবে বাঘ ইকো ট্যাক্সিতে। পাশাপাশি অ্যান্টি-লক ব্রেক সিস্টেম (এবিএস)-সহ একটি হাইড্রোলিক ব্রেক সিস্টেমও থাকবে। গাড়ির ছাদে থাকবে সোলার প্যানেল। এতে ব্যবহৃত একটি ৪৮০ ওয়াটের সোলার প্যানেল দিনের বেলায় ৪০ শতাংশ চার্জ হবে ব্যাটারিতে। যার ফলে অতিরিক্ত ৪০ কিলোমিটার যেতে পারবে গাড়িটি।
প্রতি কিলোমিটারে এটি চলার খরচ হতে পারে ১ দশমিক ৩৩ টাকার মতো। সম্পূর্ণ চার্জে ১৫০০ ওয়াটের গাড়িটি ৯০ কিলোমিটার চলতে পারে। এতে চালকের দিনে খরচ হবে ১২০ টাকা। ব্যাটারির চার্জ শেষ হলেও চিন্তা নেই। ৬০ ভোল্টের ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ হতে মাত্র ১৫ মিনিট সময় লাগবে।
বিভিন্ন স্থানে নিজস্ব চার্জিং পয়েন্টও বসানো হবে। চার্জিং পোর্টে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-সহ একটি মাইক্রো চিপ ইনস্টল করা থাকবে। একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে পোর্টটি খোলা হবে। গাড়ির মালিক নির্দেশ দিলেই চার্জ শুরু হবে।
আরও পড়ুন:পদ্মা সেতু চালুর দিনে রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের স্বাভাবিক ভিড় দেখা যায়নি। অনেকে পদ্মা সেতু দেখতে সড়কপথে রওনা দিয়েছেন বলে ধারণা করছেন লঞ্চসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণের জেলাগুলোর যোগাযোগে এতদিন ব্যবহার হয়ে আসা প্রধান মাধ্যম সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে রোববার রাত ৮টায় গিয়ে যাত্রীদের কোলাহল দেখা যায়নি। অন্যান্য দিন এমন সময়ে ডেকে যাত্রীতে কানায় কানায় পূর্ণ থাকলেও লঞ্চ অনেকখানি ফাঁকাই দেখা যায়। কেবিনেরও বেশির ভাগ ভাড়া হয়নি।
টিকিট কাউন্টারের কর্মীরা বলছেন, অধিকাংশ লঞ্চেই আশানুরূপ যাত্রী নেই। ডেকের ধারণক্ষমতার অর্ধেক ও পূর্ণ হচ্ছে না। সামনের দিনগুলোতে কী হবে, লঞ্চ কী করে চলবে আর তাদের চাকরিইবা থাকবে কি না এই নিয়ে শঙ্কা জেগেছে এরই মধ্যে। তবে কেউ কেউ বলছেন, বরিশালের মানুষ নৌপথে শুয়ে-বসে যাত্রা করে অভ্যস্ত। তারা সড়কপথে খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া যাবে না। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় কিছুদিন এমন মন্দা থাকতে পারে লঞ্চে।
পারাবত লঞ্চের সুপারভাইজার মো. শাহজালাল মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যারা লঞ্চে যাওয়ার তারা লঞ্চেই যাবে। প্রথম দিন হয়তো সেতু দেখতে গিয়েছে। সেতুর উদ্বোধন হবে তাই অনেক লঞ্চ ও বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে আসতে পারেনি।’
‘লঞ্চে ৩৫০-৪০০ জন যাত্রীর ধারণক্ষমতা থাকলেও আজ দেড় শতাধিক যাত্রী হয়েছে। ঢাকা থেকে সর্বশেষ ট্রিপেও আমরা তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে পাড়ি জমিয়েছিলাম।’
রেডসন-৫, এমভি কুয়াকাটা-১ ও ২-এর সুপারভাইজার রফিকুল ইসলাম রাজু নিউজবাংলাকে জানান, ‘রমজানের ঈদের পর থেকেই যাত্রী কম। ইদানীং তো আরও কম। সেতু হয়েছে এখন যাত্রী কমই থাকবে।’
পটুয়াখালীগামী পূবালী-৫ লঞ্চের মালিক আলী আজগর বলেন, ‘আজ লঞ্চে যাত্রী নেই বললেই চলে। ডেক একদম ফাঁকা। কেবিন তো ভাড়াই হয়নি। ঘাটে লঞ্চ নেই তাই এই অবস্থা। লঞ্চ বেশি হলে যাত্রীসংকটে ভুগতে হতে পারে।’
এমভি পারাবত-১৮ লঞ্চের মালিক ও সমিতির মহাসচিব শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘যাত্রীর চাপ কমা-বাড়ার ব্যাপারে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। এটা ঈদের সময় বলা যাবে। সেতু চলাচলের আজ প্রথম দিন। অনেকে শখের বসেও হয়তো দেখতে গেছেন।’
লঞ্চে যাতায়াতের সুবিধাগুলো উল্লেখ করে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ পথে খাবার ও পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা শুধু লঞ্চেই রয়েছে। পদ্মা সেতু দিয়ে বাসগুলো সরাসরি গন্তব্যস্থলে পৌঁছাবে। এ ক্ষেত্রে যেকোনো সময় খাবার বা পানি পাওয়া সম্ভব না। লঞ্চে যাত্রীরা এ সুবিধা পাবেন।’
সড়কপথে ভাড়া বেশি পড়বে বলেও যাত্রীরা লঞ্চ বেছে নেবেন বলে বিশ্বাস করেন এই লঞ্চ মালিক। বলেন, ‘লঞ্চ ভাড়া ৩৫০ টাকা আর সেখানে বাস ভাড়া পাঁচ শতাধিক৷ এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে লঞ্চেই যাত্রীরা দক্ষিণাঞ্চলে যাবেন।’
সুন্দরবন লঞ্চের মালিক ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান রিন্টু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু হয়েছে এখন সবাই দৌড়ে হয়তো চলে যাবেন। কিন্তু সুবিধা-অসুবিধা চিন্তা করে যাত্রীরা লঞ্চেই ফিরে আসবেন। কেননা লঞ্চে সড়কপথের চেয়ে সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি।’
যাত্রী কম থাকলেও লঞ্চে নির্ধারিত ভাড়াই নেয়া হচ্ছে। ঢাকা থেকে বরিশাল পর্যন্ত ভাড়া ডেকে ৩৫০, ৩৭০; এমনকি কোনো কোনো লঞ্চে ৪০০ টাকাও রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-টরন্টো রুটে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু হচ্ছে ২৭ জুলাই। টরন্টো ফ্লাইটে ভ্রমণে ইচ্ছুকরা এখন থেকেই অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।
রোববার প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশ-বিদেশে অবস্থিত বিমানের যে কোনো সেলস্ সেন্টার, বিমান অনুমোদিত যে কোনো ট্রাভেল এজেন্সি, বিমানের বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট www.biman-airlines.com ও কল সেন্টার ০১৯৯০৯৯৭৯৯৭ থেকে এ রুটের টিকিট কেনা এবং আনুষঙ্গিক সেবাগুলো গ্রহণ করা যাবে।
তবে কানাডা থেকে আপাতত ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট কেনা যাবে না। বিষয়টি এখনও অ্যাকটিভেশন পর্যায়ে রয়েছে।
বিমান বলছে, প্রাথমিকভাবে ঢাকা-টরন্টো রুটে সপ্তাহে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালিত হবে। ঢাকা থেকে প্রতি বুধবার ও রোববার বিমানের ফ্লাইট টরন্টোর উদ্দেশে যাত্রা করবে। একই দিন টরন্টো থেকে ফিরতি ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে। রুটটিতে ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে বিমানের বহরে থাকা বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ।
ঢাকা থেকে যাওয়ার সময় ফ্লাইটটি তুরস্কের ইস্তানবুলে এক ঘণ্টার জন্য টেকনিক্যাল ল্যান্ডিং করবে। তবে ফিরতি ফ্লাইটটি সরাসরি ঢাকায় অবতরণ করবে বলে জানিয়েছে বিমান।
বাংলাদেশ থেকে ইকোনমি ক্লাসে ভ্রমণে একমুখী যাত্রার জন্য ভাড়া ঠিক করা হয়েছে সর্বনিম্ন ৯০ হাজার ৫১০ টাকা। আর রিটার্ন টিকিটের ভাড়া ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৭০ টাকা।
প্রিমিয়াম ইকোনমি ক্লাসের একমুখী ভাড়া ১ লাখ ২৭ হাজার ৩০০ টাকা আর রিটার্ন ভাড়া ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৫৫ টাকা।
আর বিজনেস ক্লাসের ক্লাসে ভ্রমণে একমুখী ভাড়া শুরু হবে ১ লাখ ৬৪ হাজার ১০০ টাকা এবং রিটার্ন টিকিটের সর্বনিম্ন ভাড়া ঠিক করা হয়েছে ৩ লাখ ৪ হাজার ৩০২ টাকা।
টরন্টো থেকে যারা ঢাকায় আসবেন তাদের জন্য ইকোনমি ক্লাসে একমুখী ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯০ কানাডিয়ান ডলার আর রিটার্ন টিকিটের দাম ১ হাজার ২৩৩ কানাডিয়ান ডলার।
প্রিমিয়াম ইকোনমি ক্লাসের ক্ষেত্রে একমুখী ভাড়া ১ হাজার ২৩০ কানাডিয়ান ডলার এবং রিটার্ন টিকিটের দাম ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৭৮ কানাডিয়ান ডলার। আর বিজনেস ক্লাসের ক্ষেত্রে একমুখী ভাড়া ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৬০ কানাডিয়ান ডলার এবং রিটার্ন টিকিটের দাম ধরা হয়েছে সর্বনিম্ন ৩ হাজার ৭৮ কানাডিয়ান ডলার।
আরও পড়ুন:পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট খুলে টিকটক ভিডিও বানানো মো. বাইজীদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হচ্ছে।
আইনটির যে ধারায় তার নামে মামলা হবে বলে জানানো হয়েছে, সে ধারায় এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মনে করছে, সেতুর ওপরের রেলিংয়ের ইস্পাতের পাতের সংযোগস্থলের নাট খোলা নিছক খেয়ালের ছলে হয়নি; এটা পরিকল্পিত।
সংস্থাটির এক কর্মকর্তা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বলেছেন, বাইজীদের এই কাজের পেছনে নাশকতার চেষ্টা থাকতে পারে।
পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরুর দিন রোববার রেলিংয়ের নাট খোলার ভিডিও টিকটকে ছড়িয়ে সন্ধ্যায় সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হন সেই যুবক। পরে জানা যায়, তিনি বায়েজিদ তালহা নামে পরিচিত, তবে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম মো. বাইজীদ।
সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মাহবুবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাইজীদ তার পরিকল্পনা অনুযায়ী পদ্মা সেতুর নাট খুলেছিলেন সেতুর ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে। এমন অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় এ মামলা প্রক্রিয়াধীন। থানা কর্তৃপক্ষই বাদী হবে।’
কী আছে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ ধারায়
বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ ধারায় ‘অন্তর্ঘাতমূলক’ (স্যাবোটাজ) কর্মকাণ্ডের ব্যাখ্যা ও শাস্তির উল্লেখ রয়েছে।
এই আইনের ১৫ (খ) ধারায় বলা হয়, কোনো রেলপথ, রোপওয়ে, রাস্তা, খাল, সেতু, কালভার্ট, বন্দর, ডকইয়ার্ড, লাইটহাউজ, বিমানবন্দর, টেলিগ্রাফ বা টেলিফোনের লাইন অথবা টেলিভিশন বা বেতার স্থাপনার দক্ষতা বিনষ্ট বা ক্ষতিসাধনের মতো কাজ করা যাবে না।
এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এ ছাড়া যাবজ্জীবন বা ১৪ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে আইনে।
বাইজীদকে জিজ্ঞাসাবাদে কী জানা গেল
বাইজীদকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সিআইডির প্রধান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হয়েছি, সে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই কাজ করেছে। আমরা বিস্তারিত আগামীকাল (সোমবার) সংবাদ সম্মেলনে জানাব।’
জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি বাইজীদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতাও পরীক্ষা করা সিআইডি জানিয়েছে, তিনি ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িত। পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী আশফাকুর রহমান বিপ্লবের সময়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের মিছিল-মিটিংয়ে নিয়মিত অংশ নিতেন।
সিআইডি আরও জানায়, বাইজীদের মোবাইল ফোন থেকেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই তারা দেখা গেছে, নিছক হেয়ালি নয়, পরিকল্পিতভাবে সেতুর রেলিংয়ের নাট খুলেছেন এ যুবক।
কী ছিল আলোচিত ভিডিওতে
পুলিশ জানায়, শনিবার পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর বিপুলসংখ্যক মানুষ উঠে পড়েন মূল সেতুতে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরে তাদের সরিয়ে দেন। পরদিন সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার পর দিনের বিভিন্ন সময়ে বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। এরই ফাঁকে আলোচিত ভিডিওটি করেন বাইজীদ।
৩৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ওই যুবক সেতুর রেলিংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে দুটি বল্টুর নাট খুলছেন। যিনি ভিডিও করছিলেন, তাকে বলতে শোনা যায়, ‘এই লুজ দেহি, লুজ নাট, আমি একটা ভিডিও করতেছি, দ্যাহো।’
নাট হাতে নিয়ে বাইজীদ বলেন, ‘এই হলো পদ্মা সেতু আমাদের...পদ্মা সেতু। দেখো আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু। এই নাট খুইলা এহন আমার হাতে।’
ওই সময় পাশে থেকে আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘ভাইরাল কইরা ফালায়েন না।’
আরও পড়ুন:রাজধানী ঢাকার সম্প্রসারিত অংশ পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ডিপ্লোমেটিক জোন গড়ে তোলা হবে বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি জানান, পূর্বাচলের ২৭ নম্বর সেক্টরে ডিপ্লোমেটিক জোন করার জন্য প্লট নির্ধারিত রয়েছে।
রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘অনেক দেশই অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে মিশন খোলার ব্যাপারে আগ্র্রহ দেখিয়েছে। তাছাড়া যেসব দেশ বাড়ি ভাড়া নিয়ে তাদের অফিস পরিচালনা করছে তাদের পক্ষ থেকেও এক সময় অফিস ভবন নির্মাণের জন্য জমির দাবি উঠতে পারে।
‘বর্তমানে গুলশান ও বারিধারা এলাকায় কূটনৈতিক মিশনের জন্য বরাদ্দ দেয়ার মতো জায়গা খালি নেই। তাই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) শহর সম্প্রসারণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পূর্বাচল ডিপ্লোমেটিক জোন তৈরির পরিকল্পনা করেছে। বিদেশি মিশনগুলো সম্মত হলে প্রক্রিয়াটি দ্রুতগতিতে শুরু করা যাবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবছরই বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে নতুন নতুন কূটনৈতিক মিশন খোলার বিষয়ে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও বাংলাদেশে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। এসব আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মিশনগুলোর নিজস্ব অফিস ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর একটি অগ্রাধিকারমূলক যৌক্তিক নির্দেশ রয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বে জমির দাম ও ভাড়া করা অফিসের মূল্য উত্তরোত্তর বাড়ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন রাষ্ট্রে তার মিশনগুলোর জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জমি কেনার সিদ্ধান্ত বিষয়ে কাজ করা যাচ্ছে।
‘দূতাবাস ভবনের জন্য ভূমি বিনিময় এখন একটি যৌক্তিক রাষ্ট্রাচারে পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ভূমি বিনিময় কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। এই মুহূর্তেও কিছু কার্যক্রম চলমান।
‘বাংলাদেশের নিজস্ব দূতাবাসের ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে যেসব দেশ জমি বরাদ্দ দিয়েছে অথবা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে সেগুলো হচ্ছে- ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, থাইল্যান্ড, ইরাক, মিসর, জাপান ইত্যাদি। তারই ধারাবাহিকতায় ভিয়েনা কনভেনশন-১৯৬১ অনুযায়ী বিদেশি মিশনগুলোকে তাদের নিজস্ব ভবন তৈরির ক্ষেত্রে নতুন করে জমি বরাদ্দ দেয়া প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন:পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট বল্টু খুলে এক টিকটকারের আটক এবং তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলার ঘোষণার মধ্যেই নাট খোলার আরও একটি ভিডিও ছড়িয়েছে।
দুটি ভিডিও পর্যালোচনা করলে দেখে মনে হয়, দুটো একই জায়গায় করা হয়েছে।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা-সিআইডি বলেছে, তারা বেশ কয়েকটি ঘটনা নিয়ে একস্ঙ্গে কাজ করছে। এসব বিষয়ে পরে জানানো হবে।
রোববার পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরুর দিন সেতুতে উঠতে বিশেষ করে বাইকারদের মরিয়া মনোভাবের মধ্যে সেতুর রেলিংয়ের ওপরে থাকা স্টিলের পাত সংযোগের নাট বল্টু খুলতে দেখা যায় একটি ভিডিওতে।
পরে জানা যায়, সেই যুবকের নাম বাইজীদ তালহা। তার বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার তেলীখালী গ্রামে।
ভিডিওটি প্রথমে আপলোড করা হয়েছিল টিকটকে। সেটি ভাইরাল হলে তুমুল সমালোচনার মুখে তা সরিয়ে ফেলা হয়। এমনকি বাইজীদের ফেসবুক আইডিটিও ডিঅ্যাকটিভেট করে ফেলা হয়। বন্ধ হয়ে যায় ফোন নম্বর।
তবে সন্ধ্যার ঢাকার শান্তিনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। সেই যুবক হাত দিয়ে নাট বল্টু খোলার কথা জানানো হলেও গোয়েন্দারা জানান, বাইটের নাট খোলার যন্ত্র দিয়ে সেতুর রেলিংয়ের নাট খোলা হয়েছে।
এর মধ্যে টিকটকেই আরও একটি ভিডিও প্রচার হয়।
সেই ভিডিওতে দেখা যায়, নাট খুলে লম্বা গড়নের এক যুবক বলেন, ‘পদ্মা সেতুর নাট।’
অন্য একজন বলেন, নাট খুইল্যা গেছে?’
সেই যুবক বলেন, ‘ঝাকায়া খুইল্যা ফালাইছি হাত দিয়া’।
এই সবগুলাই কি লুজ?-জিজ্ঞেস করেন ভিডিওতে চেহারা দেখা না যাওয়া দ্বিতীয় জন।
এর মধ্যে সেই নাটটি জায়গা মতো স্থাপন করেন সেই যুবক। বলেন, ‘এইগুলা লুজ। লাগায়া দিলাম। ক্যামেরা দেহাইয়া লাগাইয়া দিলাম।’
ভিডিওতে চেহারা দেখা যায় না, সেই যুবক বলেন, ‘এখন লাগায়া দিছেন, কিন্তু রাইতে আবার কী করবেন না করবেন…’
এরপর সেই যুবক পাশের আরেকটি জোড়ার কাছে যান, ‘এই যে দেখেন আরেকটা। এতে আমি কিন্তু কোনো রেঞ্জ ব্যবহার করি নাই।’
তবে তিনি সেই নাট খুলেছেন, কি না সেটা দেখা যায় না।
এর আগের যে ভিডিওটি ছড়িয়েছিল এবং দ্বিতীয় ভিডিওর স্থানটি একই বলেই প্রতীয়মান হয়, যদিও বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ বিস্তারিত জানাচ্ছে না। দ্বিতীয় যুবকের পরিচয়ও কেউ নিশ্চিত করেনি।
যোগাযোগ করা হলে সিআইডির সাইবার ইন্টিলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এই ধরনের বেশ কয়েকজনের বিষয়ে খোঁজ করছি। তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য